Tag: bangla news

bangla news

  • SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে সল্টলেক। দুপুরে হাজরা মোড়। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকে (আপার প্রাইমারি) চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের দুই প্রান্তে। 

    বৃহস্পতিবার সকাল সকাল চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় সল্টলেকে। এদিন সল্টলেকে এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল গণ্ডগোল বাধে। বিনা অনুমতিতে কলকাতার করুণাময়ী এলাকায় আচার্য সদনের গেটের সামনে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।  চাকরিপ্রার্থীদের দাবি একটাই, প্রকাশ করতে হবে আপার প্রাইমারির প্যানেল৷ 

    সকাল সকাল বিক্ষোভ 

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে পৌঁছন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক এবং এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ তারপরে সামনে থালা রেখে, কালো ব্যাজ পরে, প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভের খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আসে র‌্যাফের একটি বাহিনীও। পুলিশের দাবি, কোনও বৈধ অনুমতি না থাকলেও আচার্য সদনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খানিক ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের৷ পরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূ্ন্যপদ থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও প্যানেল গঠন করা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ২৪৪ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও দাবি করেছেন।  ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তির পর ২০১৫ সালে পরীক্ষায় বসেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার এমএলএ হস্টেলের বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ 

    দুপুরে হাজরা মোড়ে তুলকালাম

    করুণাময়ী থেকে সরে আন্দোলনকারীরা হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, মেট্রো করে এসে হাজরায় জমায়েত করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়া। সেই মতো, হাজরায় জড়ো হন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে নামার পরেই তাঁদের অনেককে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ সরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মেট্রোর ভিতরে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের একাংশকে। বেআইনি ভাবে জমায়েত এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ হাজরা মোড় এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানার পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    Jammu Kashmir: “কোনও সংবিধান পরিষদ চিরকালীন নয়”, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংবিধান পরিষদ কোনওভাবেই সংসদ বা সুপ্রিম কোর্টের মতো স্থায়ী সংস্থা নয়। কোনও সংবিধান পরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) সংবিধান পরিষদ রাজ্যের সংবিধান তৈরির জন্য গঠিত হয়েছিল। তার মেয়াদ ফুরনোর পরে ক্ষমতা ছিল রাষ্ট্রপতির হাতেই।” বুধবার সাফ জানিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

    ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত মামলা

    জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। তার জেরে মামলা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এদিন শুরু হয়েছে সেই মামলা। সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা ছিল। ৩৭০ ধারা রদের পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu Kashmir) ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। স্থির হয়েছে সোম ও শুক্রবার বাদে প্রতিদিন শুনানি হবে এই মামলার।

    সিব্বলের সওয়াল 

    বৃহস্পতিবার, প্রথম দিনের শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর অভিযোগ, ৩৭০ ধারা রদ করে ও পূর্ণ রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে সংসদ রাজ্যের বিধানসভার ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি ওই অনুচ্ছেদ রদ করতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে তার জন্য জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান পরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন বলেও শর্ত ছিল। সিব্বলের অভিযোগ, রাজ্যের বিধানসভা ভেঙে দিয়ে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বিধানসভা বা জম্মু-কশ্মীরের সংবিধান পরিষদের বদলে সংসদ কীভাবে ৩৭০ ধারা রদের সুপারিশ করতে পারে?

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি ওই মন্তব্য করেন। সিব্বলকে তিনি প্রশ্ন করেন, সংবিধান পরিষদের (Jammu Kashmir) মেয়াদ শেষ হলে কী হবে? কোনও গণপরিষদ অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকতে পারে না। ৩৭০ ধারার ধারা ৩ এর বিধানটি রাজ্যের গণপরিষদের সুপারিশ প্রয়োজন। কিন্তু, প্রশ্ন হল, যখন গণপরিষদ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন কী হবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শিশু বিক্রির (Child Selling in Kolkata) ঘটনা সামনে আসতেই তৎপর কলকাতা পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে চার লক্ষ টাকায় নিজের কন্যাসন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের এক কর্মীকে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এ ছাড়াও নোনাডাঙা এলাকা থেকে মমতা পাত্র নামে এক ‘মিডলম্যান’-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলাকে এই শিশু কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রি হওয়া কন্যাসন্তানটির মা রূপালী মণ্ডল এবং পাটুলি থেকে গ্রেফতার হওয়া রূপা দাসের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন এই মমতা।

    নজরে বেহালার আইভিএফ সেন্টার

    শহরের বুকে জাঁকিয়ে শিশু কেনাবেচার (Child Selling in Kolkata) ব্যবসা চালাচ্ছে একটি চক্র। শিশুপাচার কাণ্ডে পুলিশের নজরে বেহালার বকুলতলার এক আইভিএফ সেন্টারও। পাচার চক্রের ধৃত দুই মহিলাকে নিয়ে সেই আইভিএফ সেন্টারে হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখানকার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে কেনার অভিযোগে ধৃত গৃহবধূ কল্যাণী গুহকে বুধবার বেহালার ওই আইভিএফ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কল্যাণীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় লালতি দে নামে আরও এক অভিযুক্তকে। বেহালার আইভিএফ সেন্টারে তল্লাশি চালানোর সময় বেনিয়াপুকুরের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পর বেনিয়াপুকুর গিয়ে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে এক কর্মীকে আটক করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, ডায়গনস্টিক সেন্টারের আড়ালে শিশু কেনাবেচায় ‘মিডলম্যানের’ ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম গোলাম অম্বিয়া।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    আইভিএফ সেন্টারগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

    পুলিশের অনুমান, শহরের (Child Selling in Kolkata) বুকে গডিয়ে ওঠা আইভিএফ সেন্টারগুলি শিশু কেনাবেচার বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এই আইভিএস সেন্টার গুলির বৈধ কাজ পত্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারে, জানা গিয়েছে, জেলা থেকে শিশুদের পাচার করে এনে রাখা হত কলকাতার একটি জায়গায়। সেখানে ভাড়া বাড়িতে চলত শিশু বিক্রির চক্র। নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান পাইয়ে দেওয়ার জন্য টোপ দেওয়া হত। মোটা টাকার বিনিময় সন্তান পাইয়ে দেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণী গুহ নামে ওই মহিলা দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকার কারণে একটি শিশুর খোঁজ করছিলেন। কলকাতায় পণ্যশ্রী থানার সাতগ্রাম এলাকায় ওই মহিলার একটি বাসস্থান আছে। দালাল মারফত তিনি রুপোলি মণ্ডলের খোঁজ পান। এরপরেই হয় টাকার রফা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    Parliament Adjourned: “ওঁরা মণিপুরে যেতে পারেন, বাংলা, রাজস্থানে নয়”, ‘ইন্ডিয়া’কে তোপ অনুরাগের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর নিয়ে প্রথম দিন থেকেই উত্তপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন। বুধবার এ নিয়ে বিরোধীদের তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, “বিরোধী নেতারা মণিপুর ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত নন। তাঁরা সংসদের আলোচনায় (Parliament Adjourned) অংশগ্রহণ করছেন না। তাঁরা কেবল পালিয়ে যাচ্ছেন, সংসদকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না।”

    বিরোধীদের তোপ অনুরাগের

    তিনি বলেন, “তাঁরা (বিরোধীরা) মণিপুরে যেতে পারেন, কিন্তু বাংলা ও রাজস্থানে যেতে পারেন না। তাঁরা কেবল রাজনীতি করছেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে অনুরাগ বলেন, “সংসদে বিল পেশ করতে বাধা দিলে কিছুই হবে না। তাই তাঁদের সংসদে আসা এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত। তাঁরা এর থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।” এদিকে, সংসদীয় কাজে (Parliament Adjourned) ব্যাঘাত ঘটায় শাসক ও বিরোধী দু পক্ষের সাংসদদের ওপরই ক্ষুব্ধ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। যতদিন না সংসদরা উপযুক্ত আচরণ করছেন, ততদিন তিনি আর লোকসভায় আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

    হট্টগোলে বিরক্ত স্পিকার

    মঙ্গলবার লোকসভায় দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ পেশ করেছে সরকার। এই বিল পেশের সময় ব্যাপক হট্টগোল হয় সংসদে (Parliament Adjourned)। তার জেরে বিরক্ত বোধ করেন স্পিকার। জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে সংসদের মর্যাদা রক্ষাই রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। সংসদীয় কার্যক্রম চলার সময় সাংসদরা সংসদের মর্যাদা ও শালীনতা বজায় রাখবেন, এমনটাই আশা করেন তিনি। কিন্তু, ২০ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল ও ট্রেজারি বেঞ্চের বাধায় যেভাবে বারংবার ব্যাহত হয়েছে সংসদের কাজকর্ম, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্পিকার। সেই কারণেই অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    আজ, বুধবার স্পিকারের আসনে ছিলেন নাম ওম বিড়লা। এদিন দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল ২০২৩ এর ওপর আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে এদিনও সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই মণিপুর হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে হট্টগোল শুরু করে দেন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সাংসদরা। যেহেতু লোকসভার ডেপুটি পদে কেউ এখন নেই, তাই সংসদ পরিচালনা করেন সাংসদ বিজেপির কিরিৎ সোলাঙ্কি। তিনি একাধিকবার বিরোধীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানালেও, কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এদিনের মতো মুলতুবি করে দিতে হয় সংসদের দুই কক্ষের কার্যক্রম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী চার অপহরণ হওয়া প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফেরানো হয়। এরপরই তাদের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যান বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি  বিজেপির জয়ী ৬ প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদেরকে তিনি সবরকমভাবে আশ্বস্ত করেন।

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কে এগিয়ে রয়েছে?

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ,মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে ৬টি আসনে। সিপিআইএম জয়লাভ করেছে ৩টি আসনে। আর নির্দল দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সহ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে রাতের অন্ধকারে চারজন জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে, জোরপূর্বক তাঁদের থেকে লিখিত ও ভিডিও বার্তা করে নেওয়া হয়। এরপর একাধিক গেস্টহাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। পরে সাদা কাগজে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে তাঁদেরকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন অপহৃত বিজেপির তিন প্রার্থী ও সিপিআইএমের এক প্রার্থী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল?

    এদিন জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেত্রী (BJP) অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তৃণমূল সরকার ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের কিনতে চাইছে। তাতে কাজ না হওয়ায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। এসব করে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সামনের ১০ তারিখে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। বিজেপির নেতৃত্বে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, বিজেপির (BJP) আনা অভিযোগ ঠিক নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    Nuh Violence: হিন্দুদের শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে গুলি ‘একে-৪৭’ থেকে! নুহ্-এর সংঘর্ষ কি পূর্ব-পরিকল্পিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ঘটে যাওয়া বীভৎসতার পর ৪৮-ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেদিনের কথা মনে পড়লেই এখনও শিউরে উঠছেন অনেকে। চোখে-মুখে মৃত্যুর আতঙ্ক। প্রাণে বেঁচে গেলেও, এখনও ত্রস্ত রয়েছেন হরিয়ানার মেওয়াটের নুহ্-তে (Nuh Violence) হিন্দু শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া পুণ্যার্থীরা।

    মহাভারত-সময়কালের মন্দির!

    প্রতি বছরের মত এবছরও শ্রাবণ মাসের সোমবার উপলক্ষে মুসলিম-অধ্যুষিত হরিয়ানার (Haryana Violence) মেওয়াটে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’-য় কয়েক হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল নুহ্-তে অবস্থিত নলহাড়ে পঞ্চ শিবমন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া। কথিত আছে, এই মন্দির নাকি মহাভারত-সময়কালের। সেই মন্দিরের পথেই এগোচ্ছিল শোভাযাত্রা। গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে শোভাযাত্রা আটকে দেয় এক দল বিক্ষুব্ধ জনতা।

    তালিবানি স্টাইলে হত্যা হিন্দু পুণ্যার্থীকে!

    এর পরই শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Nuh Violence)। পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় গুলি। ধেয়ে আসে অ্যাসিডের বোতল। জানা যাচ্ছে, অনেক মহিলা পুণ্যার্থীর সম্মানহানিও করা হয়। যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রায় ৩০টি সরকারি ও বেসরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। সেদিনের হামলায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে দুই হোমগার্ড ও এক নাগরিক গুলিতে মারা যান। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬০। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম অভিষেক রাজপুত। তিনি ছিলেন ওই দিনের হামলাকারী মুসলিমদের প্রথম শিকার। প্রথমে অভিষেককে গুলি করা হয়। গুলি লাগে তাঁর পেটে। কিন্তু, তাতেই ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। তালিবানদের মতো নলি কেটে বড় পাথর দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান পেশায় মেকানিক অভিষেক।

    আরও পড়ুন: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন আক্রান্তরা

    পরে, আক্রান্ত পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে নুহ্  (Nuh Violence) পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনান আক্রান্তরা। সেদিন কী ঘটেছিল, তা বর্ণনা করতে গিয়ে এক পুণ্যার্থী বলেন, জলাভিষেক করে ফেরা প্রথম বাসটিকে মন্দির থেকে এক কিলোমিটার দূরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তার পর পরই আরও ১৪-১৫টা গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তিনি যোগ করেন, খবর পেয়ে যখন তাঁদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, তখন তাঁদের গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই আক্রান্ত স্পষ্ট দাবি করেন, একেবারে এক-৪৭ থেকে গুলি করা হয় পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, ‘‘মন্দিরটি তিন দিকে পাহাড় দিয়ে ঘেরা। হামলাকারীরা ওই পাহাড় থেকে তিনদিক দিয়ে আমাদের গুলি করছিল।’’

    ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা?

    আরেকজন পুণ্যার্থী জানান, পুলিশ পৌঁছে হামলাকারীদের (Nuh Violence) লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে। তবে, হামলাকারীরা প্রস্তুত হয়েই এসেছিল। এক-ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয়। তিনি যোগ করেন, জলাভিষেক যাত্রায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। ওই হামলার পর ৬-৭ হাজার মানুষ মন্দিরে আশ্রয় নেন। পুলিশ সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। আরেক পুণ্যার্থীর দাবি, তিনি এক কিশোরকেও বন্দুক চালাতে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বছর ১৪ কি ১৫র এক কিশোর আগ্নেয়াস্ত্র চালাচ্ছিল। এর থেকেই পরিষ্কার, ওরা ৬ মাস আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করে রেখেছিল।’’

    ‘‘হিন্দুদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় প্রথমে’’

    হিন্দুদের ওপর হামলার (Haryana Violence) ঘটনা যে পূর্ব-পরিকল্পিত, তার ইঙ্গিত মিলেছে ওই হামলায় আহত হওয়া এক পুলিশ আধিকারিকের কথাতেও। তিনি বলেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রা ঠিকঠাক চলছিল। তিরঙ্গা মোড়ে পৌঁছতেই পাথর হামলা শুরু হয়। তিনি যোগ করেন, হিন্দুদের শোভাযাত্রাকে আটকে সেখান দিয়ে একটি মিছিল বের করে মুসলিমরা। সেখান থেকেই হিন্দুদের লক্ষ্য করে প্রথমে পাথর ছোড়া শুরু হয়। অন্তত ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

    ঠিক একই সময়ে সাইবার থানায় হামলা হল কেন?

    শুধু হিন্দুদের শোভাযাত্রায় হামলা (Haryana Violence) চালানোই নয়। পুণ্যার্থীদের একটি বাস হাইজ্যাক করে নুহে্র সাইবার পুলিশ থানায় হামলা চালানো হয় সেদিনই। তেমনই একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, বাসটি সোজা থানায় গিয়ে ধাক্কা মারে। লক্ষ্য ছিল, পুলিশের কাছে অপরাধের যে যে অভিযোগ ও নথিপ্রমাণ রয়েছে, তা নষ্ট করা। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েক বছরে দেশের সাইবার অপরাধের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল নুহ্। যে কারণে ২ বছর আগে এখানে সাইবার ক্রাইম শাখা পুলিশ থানা গঠন করা হয়। গত মে মাসেই, নুহ্ থেকে একটি সাইবার ক্রাইম চক্র ধরা পড়ে পুলিশের জালে। অভিযোগ, ২৮ হাজার মানুষকে ঠকানো হয়েছিল বিভিন্ন উপায়ে। প্রায় ১০০ কোটির প্রতারণা হয়েছিল। ১৪টি গ্রামে হানা দিয়ে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২৫০ জন এখনও পলাতক। দায়ের করা হয়েছিল প্রায় ১৩৫০ মামলা।

    ‘‘মিনি পাকিস্তান মেওয়াট’’! দাবি ভিএইচপি নেতার

    এর থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত। বেশ কিছু দিন আগে থেকেই এর ছক কষা হয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ দুজনই একমত যে, এই হামলা পূর্ব-পরিকল্পিত এবং এর নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। নুহ্ হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের যুগ্ম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘হরিয়ানার নুহ্-তে (Nuh Violence) যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যাত্রা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বন্দুক, লাঠি ও তরোয়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এক দিক দিয়ে ধেয়ে আসছিল বুলেট, অন্যদিক থেকে অ্যাসিডের বোতল। পাহাড়ে চড়ে মন্দিরেও ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা।’’ এমনকী, মেওয়াটকে মিনি পাকিস্তান হিসেবে উল্লেখ করেন সুরেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়,  প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    Haryana Violence: ফের উত্তেজনা হরিয়ানায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুগ্রামের সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে ফের নতুন করে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানায় (Haryana Violence)। নুহ জেলায় ঘটা সাম্প্রদায়িক অশান্তির জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন গুরুগ্রামের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইন্দ্রজিৎ সিং। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, গোটা পরিস্থিতির ছবি প্রকাশ্যে আনেন গুরুগ্রামের সাংসদ। তিনি বলেন, যদি দুই সম্প্রদয়ের হাতেই অস্ত্র থাকে, তাহলে কে তাদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে, হরিয়ানা সরকার তা খতিয়ে দেখবে। যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, নুহ-এর হিংসায় মদত দেওয়া হচ্ছে। কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    অশান্ত হরিয়ানার বিভিন্ন অঞ্চল

    একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, আবার মঙ্গলবার রাতে গুরুগ্রামের (Haryana Violence) সেক্টর ৭০-তে একাধিক দোকান এবং বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে আগুন ধরানো হয়, সেটার ঠিক পাশেই একটি আবাসন আছে। তবে শুধু রাতে নয়, মঙ্গলবার অন্ধকার নামার আগেও গুরুগ্রামে অশান্তি ছড়ায়। বাদশাপুরে কমপক্ষে তিনটি দোকানে লুঠপাট চালানো হয়। পতৌদি চকের কাছে একের পর এক দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। হরিয়ানার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এনসিআর (NCR) এলাকা, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানাতে বিক্ষোভ মিছিলের (rallies) আয়োজন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) ও তাদের শাখা সংগঠন বজরঙ্গ দল (Bajrang Dal)। এই মিছিল আটকাতে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত মিছিলের অনুমতি দিলেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়।  বিক্ষোভ মিছিল থেকে যাতে কোনও ঘৃণ্য ভাষণ (hate speeches) বা হিংসা (violence) না ছড়ায় তা দেখার। প্রয়োজনে পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর কথাও বলে শীর্ষ আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    দিল্লিতে জারি হাই অ্যালার্ট

    হরিয়ানার হিংসা (Haryana Violence) ছড়িয়ে পড়তে পারে দিল্লিতেও। আগাম সাবধানতা হিসেবে রাজধানী দিল্লিতেও জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গত তিনদিন ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হরিয়ানা। ১১৬ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনায় ৪১টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। হরিয়ানার নুহ-তে গত পরশু থেকে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। নূহ-র সাইবার ক্রাইম থানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। একাধিক পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠছে হরিয়ানার একাধিক এলাকা। গুরুগ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনা। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নূহ এবং গুরুগ্রামের একাধিক জায়গায় স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Pakistani in Indian Army: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনা বাহিনীতে (Indian Army) পাকিস্তানি চর নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে জানাল সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, ওবিসি সার্টিফিকেট কারচুপি করে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করছেন এমন চারজনের হদিশ মিলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে এমন বেশ কিছু নথি তাঁদের কাছে রয়েছে। এমনকী, শংসাপত্রে এসডিও-র সইও রয়েছে। এরপরই হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে এ বিষয়ে এফআইআর দায়ের করে দ্রুত তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখেছিল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে, এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই অভিযোগের গুরুতর ভূমিকা রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারত সহ অন্য রাজ্য থেকে জাল নথি দিয়ে বাহিনীতে নিয়োগ হচ্ছে। ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ও জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, মহকুমা শাসকের সই করা সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে, অথচ তিনি তা স্বীকার করছেন না। শুধু ডোমিসাইল নয় এমন প্রার্থীদের ওবিসি সার্টিফিকেটও দিয়েছেন মহকুমা শাসক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এখনও এমন নিয়োগের চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শুধু এই রাজ্য নয়, প্রতিবেশী রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এই ধরনের কার্যকলাপের হদিশ পাওয়া গিয়ছে। সিবিআই আদালতকে বলেছে, ‘এখনও অবধি কোনও বিদেশি নাগরিকের এইভাবে চাকরি পাওয়া হদিশ না পাওয়া গেলেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই অভিযোগের তদন্তের ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে। এটা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় বিপদের কারণ।’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    এ প্রসঙ্গে বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, এই রাজ্য সীমান্তবর্তী হওয়ায় কম নম্বরের মাধ্যমে এখানকার বাহিনীতে নিয়োগের একটা সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভিন্‌রাজ্যের নাগরিকেরা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে, চক্রের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে ঢুকে পড়ছেন। দ্রুত তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, যত দিন না সিবিআই এই তদন্তের রিপোর্ট দিচ্ছে, তত দিন মামলাকারী বিষ্ণু চৌধুরীর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে রাজ্যের পুলিশ। 

    সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিক!

    ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সত্যিই পাকিস্তানি নাগরিক আছেন কি না, থাকলেও কী ভাবে এলেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সিআইডিকে প্রাথমিক ভাবে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিবিআইকেও বিষয়টি দেখতে বলেন। আদালতের বক্তব্য ছিল, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সব সংস্থাকে একযোগে কাজ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের সেনাছাউনিতে পাকিস্তানের দুই নাগরিক কর্মরত বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নাম জয়কান্ত কুমার এবং প্রদ্যুম্ন কুমার। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে এসে তাঁরা ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন। সরকারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের নিয়োগও হয়েছে। ওই পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন হুগলির বাসিন্দা বিষ্ণু চৌধুরী। এই ঘটনায় পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যুক্ত থাকার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি মান্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    India-Pakistan: ‘‘যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়’’! ফের ভারতের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থৈতিক হাল ভালো নয়। ধার দেনা করে সরকার চালাতে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের (India-Pakistan) সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ সহ নানা বিষয়ে শত্রুতা বাড়িয়ে আখেরে লাভ হবে না সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন পাকিস্তানের প্রধানন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। তবে, পাক প্রধানমন্ত্রী আলোচনার প্রস্তাব দিলেও এই নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের এক টেবিলে বসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

    আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান

    ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ যদি চায় তাহলে যে কোনও বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের (India-Pakistan) আলোচনায় বসতে কোনও সমস্যা নেই। প্রথম থেকেই আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনও প্রকার ক্ষোভ নেই। আমাদের সমস্যা আমাদেরই মেটাতে হবে। আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। যুদ্ধ দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না। আলোচনা অনেক পথ খুলে দেয়। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি।” 

    ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ মানে বিপদ

    আসলে ভারতের সঙ্গে আরও একটা যুদ্ধ মনে পাকিস্তান শেষ হয়ে যাবে। সেটা জানেন শাহবাজ শরিফ। তাই উল্টো সুর গাইতে হচ্ছে তাঁকে। আসলে যতই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলুন না কেন, পাক সরকার আজও কিন্তু জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে তিনি কিন্তু উচ্চ বাচ্চা করেননি। তবে ভারতের (India-Pakistan) মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়াটা এই মুহূর্তে বোকামি হবে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাই তিনি বলেছেন, “গত ৭৫ বছরে ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সেই যুদ্ধের কুফল ভোগ করতে হয়েছে উভয়পক্ষকে। দুই দেশেই বেড়েছে দারিদ্রতা বেকারত্ব। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সম্পদের। অতীতের ভুল থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভারতের মতো পাকিস্তানও পরমানবিক ক্ষমতা ধর দেশ। এই ক্ষমতা আগ্রাসন প্রকাশের জন্য নয়। দেশকে সুরক্ষিত করার কারণে তা করা হয়েছে। আমরা সবাই জানি একটা পারমাণবিক যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর হতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত বিশ্বাস পথভ্রষ্ট হয়েছে”, বললেন ডোভাল

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিপাকে পড়েই এখন মুখে শাস্তির কথা বলছে পাকিস্তান। বর্তমানে দেউলিয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। তাছাড়া এর আগেও একবার নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছিলেন শরিফ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাক সেনার চাপে বয়ান বদল করেন তিনি। ভারতও এ বিষয়ে যথেষ্ট শক্ত। উল্লেখ্য,  কিছুদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ইসলামাবাদকে সেনা সরানোর হুঁশিয়ারি দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share