Tag: bangla news

bangla news

  • Delhi Ordinance Bill: বিজেপির পাশে বিজেডি! হতাশ বিরোধীরা, বিনা বাধাতেই পাশ হবে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল?

    Delhi Ordinance Bill: বিজেপির পাশে বিজেডি! হতাশ বিরোধীরা, বিনা বাধাতেই পাশ হবে দিল্লি অধ্যাদেশ বিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্র প্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের (YSRCP) পর ওড়িশার (Odisha) শাসক দল বিজু জনতা দলও (BJD) দিল্লি অধ্যাদেশ বিল (Delhi Ordinance Bill) নিয়ে কেন্দ্রকেই সমর্থন করতে চলেছে। এছাড়া বিরোধী দলের অনাস্থা প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে বলেও জানিয়েছে নবীন পট্টনায়েকের (Naveen Patnaik) দল। এটা আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস এবং বিরোধী জোটের জন্য একটা ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    বিজেডির সমর্থন 

    রাজ্যসভায় বিজেডির নেতা সস্মিত পাত্র বলেছেন, তার দল দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ বিলটিকে সমর্থন করবে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, তাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। বিজু জনতা দল (BJD) লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়েই তাদের সাংসদের জন্য তিন লাইনের হুইপ জারি করেছে। রাজ্যসভায় বিজেডির নয় জন সাংসদ রয়েছে। উচ্চকক্ষে ওয়াইএসআর কংগ্রেসেরও নয় জন সাংসদ রয়েছে। উভয় দলের মোট ১৮ জন সাংসদের সমর্থনে বিলটি হাউসে পাস হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও রাজ্যসভায় বিজেপি সহজেই সাফল্য পাবে।

    বিনা বাধায় বিল পাশ!  

    মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় দিল্লি অধ্যাদেশ বিল পেশ করেন। এই বিল নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। আজ, বুধবার সেই বিল নিয়ে আলোচনা ও পাশ করানো হবে। প্রথম থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে এসেছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি। তাদের অভিযোগ, এই বিল পাশ করিয়ে কেন্দ্র রাজ্য সরকারের ক্ষমতা নিজের হাতে রাখার চেষ্টা করছে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-ও আম আদমি পার্টির পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ বিরোধীরা একজোট হয়ে দিল্লি অধ্যাদেশ বিলের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।

    আরও পড়ুন: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    কোন অঙ্কে বিল পাশ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৫। তবে ৭টি আসন ফাঁকা থাকায়, ২৩৮টি আসন সংখ্যার হিসাব করা হয়। কোনও বিল পাশ করার জন্য কমপক্ষে ১২০টি ভোটের প্রয়োজন কেন্দ্রের। লোকসভায় পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকলেও, রাজ্যসভায় বিজেপি শাসিত এনডিএ জোটের পর্যাপ্ত আসন সংখ্যা নেই। সেই কারণেই অন্যান্য দলের সমর্থনের প্রয়োজন। বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন পেয়ে এক্ষেত্রে আর বিল পাশ করতে কোনও সমস্যা রইল না। অন্যদিকে, লোকসভায় বিজেপির নিজস্ব ৩০৫ সদস্য রয়েছে, তাই বিল বা অনাস্থা প্রস্তাবে বিরোধীরা সরকারের জন্য কোনও সমস্যা তৈরি করতে পারবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) একটি বুথে পুনর্নির্বাচন না হওয়ার মামলায় হাইকোর্টে ধমক খেলেন সংশ্লিষ্ট বিডিও। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা উলুবেড়িয়ার বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। আপনি কি অন্যদের সঙ্গে সুবিচার করেছেন ? বিডিওকে প্রশ্ন করে আদালত। 

    বহরমপুরের বিডিও-কে  ধমক

    মঙ্গলবার বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের একটি বুথে পরাজিত (Panchayat Election 2023) সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর এজেন্টদের ভোটের দিন ও গণনার দিন মারধর করে বের কর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। এদিন শুনানির সময়, বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিডিও-র। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে! তাহলে সিসিটিভি রাখার উদ্দেশ্য কী? মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    উলুবেড়িয়ার বিডিও-কে ভর্ৎসনা 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মাঝে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে। প্রাক্তন বিচারপতির (Calcutta High Court) এক সদস্যের কমিশন সব তথ্য খতিয়ে দেখে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল। তাঁর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিডিও, এসডিওকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিলেন কমিশন। যার পরই নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন উলুবেড়িয়ার বিডিও। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু এদিন নীলাদ্রিশেখরের আইনজীবীর জবাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারপতি। মামলা ফেরত যায় বিচারপতি সিন্হার কাছেই। ৩ অগাস্ট বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে বসেই চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra)। অন্তত এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। সম্প্রতি দায়ের করা ইডির ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, কালীঘাটের পার্টি অফিস থেকে যে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তদন্তকারীদের জেরায় তা কবুল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ স্বয়ং।

    সুজয়কৃষ্ণের প্রতিপত্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল সুজয়কৃষ্ণের। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তকারীদের এও জানিয়েছেন যে, মূলত তাঁর সুপারিশেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছিলেন মানিক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিও মিলেছে সুজয়কৃষ্ণের কাছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে মানিককে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়ে অভিষেককে চিঠি লেখেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই চিঠি তাঁরা পাঠান সুজয়কৃষ্ণের কাছে। কেবল মানিক নন, জেলা পরিষদে তৃণমূলের জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও প্রার্থী করতে তদ্বির করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

    সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই হত চাকরি!

    ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ বলেছেন, তাঁর কাছে চাকরি প্রার্থীরা কেউ সরাসরি আসতেন, কেউ বা নেতার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা জানতেন সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কেমন। তাই তাঁরা সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হতেন সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra)। ইডির আরও অভিযোগ, কালীঘাটের তৃণমূল অফিসে বসেই বাঁকা পথে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কালীঘাটের ওই পার্টি অফিসে বসেই বৈঠকও করেছেন তিনি। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তল ও তাপসের মাধ্যমে ২০১২-১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা তিনিই পাঠিয়েছিলেন মানিককে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভয়েস-মেসেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এগুলি আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করতে গেলে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা প্রয়োজন। এই নমুনা দিতে রাজি হননি সুজয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কারণেই অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সময় নষ্ট করছেন কালীঘাটের কাকু। কেবল চাকরি বিক্রি নয়, ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেয়ারও তিনি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • OMG 2: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড ২’! কোন শর্তে জানুন

    OMG 2: সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড ২’! কোন শর্তে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘ওহ মাই গড’-২ (OMG 2) ‘এ’ শংসাপত্র পেল সেন্সর বোর্ডের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, ১২ বছরে এই প্রথম কোনও অক্ষয় কুমারের অভিনীত ছবি কে ‘ইউ/এ’ এর বদলে ‘এ’ শংসাপত্র দিল সেন্সর বোর্ড। তাঁর এবং জন আব্রাহামের অভিনীত ছবি ‘দেশি বয়েজ’ এর আগে ‘এ’ শংসাপত্র পেয়েছিল। ‘ওহ মাই গড’-২ ছবির (OMG 2) মুক্তি পাওয়ার কথা ঠিক ৯ দিন পরেই। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেন্সর বোর্ডের জাঁতাকলে আটকে ছিল এই ছবি। তার কারণ ছবির বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার কথা উঠেছে। 

    ‘ওহ মাই গড’-১ মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে

    ২০১২ সালে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি ‘ওহ মাই গড’ (OMG 2) বক্স অফিসে খুব ভাল সাড়া ফেলেছিল। ‘ওহ মাই গড’-১ ছবিতে পরেশ রাওয়াল কাঞ্জি ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং মানববেশী শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমারকে। ভূমিকম্পে কাঞ্জি ভাইয়ের দোকান ভেঙে পড়ে। সেই মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কাঞ্জি ভাইকে ইন্সুরেন্স সংস্থা বলে যে ভূমিকম্প ‘অ্যাক্ট অফ গড’-এর এক্তিয়ারভুক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে তাঁর দোকান ভেঙে পড়ার জন্য ভগবানকেই দায়ী করে বিমা সংস্থা।  ভগবানের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে মামলা ঠোকেন পরেশ রাওয়াল। পরবর্তীকালে কাঞ্জি ভাইকে সাহায্য করতে ধরাধামে মানববেশী শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অক্ষয় কুমার। এই নিয়েই ছিল ছবির গল্প। কীভাবে কাঞ্জি ভাই মামলা যেতেন ভগবানের বিরুদ্ধে!

    কেন সেন্সর বোর্ডের জাঁতাকলে পড়ল ‘ওহ মাই গড’-২

    অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড’-২ তে (OMG 2) তাঁকে দেবাদিদেব মহাদেবের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে। কিন্তু এখানেও দেবাদিদেব মহাদেব মানববেশী! তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে পারে এই ভেবে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানায়। এবং শিবের বদলে ঈশ্বরের দূত হিসেবে চরিত্রকে তুলে ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ছবিতে আরও বেশ কতগুলি দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলে সেন্সর বোর্ড। ছবির বেশকিছু দৃশ্য এবং সংলাপ ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানতে পারে, এই কথা ভেবে সেগুলোকে পরিবর্তন করা হয়েছে।  জানা গিয়েছে ‘ওহ মাই গড’-২ ছবিতে (OMG 2) সমকামিতা এবং দেহ ব্যবসার উল্লেখ নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে সেন্সর বোর্ড।  প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘আদিপুরুষ’ নিয়ে ব্যাপক বিতর্কে ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে। সইফ আলি খান সেখানে রাবণের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এবং তাঁকে কাঁচা মাংস খেতে দেখা গেছে। পাশাপাশি হনুমানের মুখে এমন কিছু সংলাপ দেওয়া হয়েছে যা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে মামলাও গড়ায় কোর্টে। মুখ থুবড়ে পড়ে ‘আদিপুরুষ’ ছবির ব্যবসা।  ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অক্ষয় কুমারের অভিনীত ‘ওহ মাই গড’-২ ছবিতে (OMG 2) ২৫ থেকে ২৭টি দৃশ্যে কাটাছেঁড়া করা হয়েছে।  ছবি ‘এ’ ছাড়পত্র পেয়েছে মানে এখন শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই এই ছবি দেখতে পারবেন। চলতি মাসের ১১ অগাস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘ওহ মাই গড’-২। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মেলায় এবার ছবির প্রচারে তোড়জোর শুরু করেছেন নির্মাতা থেকে অভিনেতা সকলেই। অক্ষয় কুমারও তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ছবির প্রচার শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Heavy Rain in Bengal: আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়! জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত

    Heavy Rain in Bengal: আজও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়! জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির (Heavy Rain in Bengal) পর বুধবার সকালেও আকাশের মুখ ভার। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ। যার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালের বৃষ্টিতে কলকাতার বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। গতকাল রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে গড়িয়ায় (৯১ মিলিমিটার)। সারারাত বৃষ্টির পর শিয়ালদা ও বিধাননগর স্টেশনের মাঝে কাঁকুড়গাছি রেল কেবিনের কাছে মেন লাইনের পাশে রেললাইনে ধস নামে।  জানা গিয়েছে, রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায় লাইনের ধারের মাটি।  এর জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় মেন লাইনে শিয়ালদা-নৈহাটি শাখায়।  কয়েকটি লোকাল ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।  বেশ কিছু ট্রেন অন্য লাইন দিয়ে চালানো হচ্ছে। 

    কোন জেলায় আবহাওয়া কীরকম

    গভীর নিম্নচাপের জেরে বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এই দুই জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে। এই সব জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে, জানাল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ অতি গভীর নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। কিছুটা দুর্বল হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর অবস্থান করছে। বুধবারও উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হালকা বাতাস বইবে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    শহরের নানা প্রান্তে বৃষ্টির পরিমাণ

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ এবং আগামী দু’দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Heavy Rain in Bengal) হবে। এর ফলে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। তারপর আবার পারদ ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। এর জেরে অস্বস্তি অনুভূত হবে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বেহালায় ৯০.৮ মিলিমিটার, বালিগঞ্জে ৮৭ মিলিমিটার, জোকায় ৭৬ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৭১ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৬০মিলিমিটার, মার্কুইস স্কোয়ারে ৫৯ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ৪৬.৬ মিলিমিটার, ধাপায় ৪৬ মিলিমিটার, মানিকতলায় ৪৩ মিলিমিটার, দত্তবাগানে ৪১.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির জেরে রয়েছে জল জমার সমস্যাও ( Water Logging Problem )। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কমবে, বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিডিও (BDO)! শুধু আত্মসাৎ করাই নয়, একেবারে টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক! এ সংক্রান্ত মামলায় জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায়ের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন সদস্য। আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তাঁরা। এই মামলার প্রেক্ষিতেই জেলাশাসককে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।

    বিডিও’র বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর

    আদালত সূত্রে খবর, নায়ারণগড় ব্লকে তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড খরচ করেছেন বিডিও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভুয়ো বিল বানিয়ে টাকা খরচ করা হয়েছে বলেও দেখিয়েছেন তিনি। আদালতে যাঁরা মামলা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন আয়নাল হক মোল্লাও। তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “বিষয়টি আগেই জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। জেলাশাসক কোনও পদক্ষেপ না করায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।” মঙ্গলবার এই মামলাই ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। জেলাশাসককে আদালতের নির্দেশ, যথাযথ তদন্ত করে আট সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্ত বিডিওকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    মামলাকারী কারা জানেন? 

    জানা গিয়েছে, বিডিওর বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু হয়েছিল ২০ জুলাই। প্রধান আবেদনকারী নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য বিদায়ী শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অনাদি বারিক। বাকিরা হলেন পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নমিতা সিংহ, সহকারী সভাপতি গণেশ মাইতি, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তথা নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুকুমার জানা, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ কাওসার আলি সহ সাতজন কর্মাধ্যক্ষ। বিদায়ী পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজনও রয়েছেন মামলায় (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের অভিযোগ— কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন বিডিও। ট্রেনিংয়ের টাকা সঠিক খাতে খরচ না করে ভুয়ো বিল বানিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। বিডিও অফিসের গাড়ি ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত কাজে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতের বিল নকল করেও টাকা আত্মসাৎ করেছেন অভিযুক্ত বিডিও। পরে, সেই টাকা বিদেশে পাচার করেছেন ওই বিডিও। 

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • India vs West Indies: শার্দুল-মুকেশের দুরন্ত বোলিং! ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০০ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের

    India vs West Indies: শার্দুল-মুকেশের দুরন্ত বোলিং! ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০০ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে (India vs West Indies) ২০০ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত। ৯২ বলে ৮৫ রান করে ম্যাচের সেরা হলেন শুভমান গিল। পর পর তিনটি একদিনের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকালেন ঈশান কিষান। সেই সুবাদে তিনি পেলেন সিরিজের সেরা পুরস্কার। 

    সিরিজ জয়ের ধারা অব্যাহত

    ২০০৬ সাল থেকে ভারত ওয়ান ডে ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) কাছে সিরিজ হারেনি। এই ধারা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতীয় দলের সামনে। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিলেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তবুও তিনি মঙ্গলবারের ম্যাচে খেলালননি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে। কিন্তু দুই তারকাকে ছাড়াই বড় ব্যাবধানে জিতল ভারত। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়া ৫ উইকেটে ৩৫১ রান তোলে। কম বেশি সবাই রান পেয়েছেন। ওপেনিং জুটিতে ঈশান ও গিল যোগ করেন ১৪৩ রান। ঈশানের সংগ্রহ ৭৭, গিল অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন (৮৫)। একমাত্র ঋতুরাজ গায়কোয়াড় (৮) সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। হাফ সেঞ্চুরি করেন সঞ্জু স্যামসন। ৫১ রানে আউট হন তিনি। শেষ ১০ ওভারে দ্রুত রান তোলে ভারত। তার নেপথ্যে অধিনায়ক হার্দিক। যিনি ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৫ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। 8 রানে অপারাজিত থাকেন জাদেজা।

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    মুকেশ-শার্দুলের বিধ্বংসী বোলিং

    ভারতের ৩৫১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (India vs West Indies) ১৫১ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারতীয় পেসারদের দাপটে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৮ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট। আলজারি জোসেফ (২৬) ও মতী (৩৯) কিছুটা লড়াই না করলে একশোর গণ্ডি হয়তো টপকাতে পারতো না  ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মুকেশ কুমার ৩টি ও শর্দুল ঠাকুর ৪টি উইকেট নেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব।” মঙ্গলবার বিধানসভায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আমরা কেন্দ্রের টাকা আটকাইনি। চুরি আটকেছি।” 

    কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ প্রতিনিয়তই তোলে রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপি নেতাদের জন্যই আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ। অভিযোগের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রকে দেওয়া শুভেন্দুর চিঠি। রাজ্যে কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই নিয়মিত বরাদ্দ আটকে থাকায় বিজেপি নেতাদের দুষছে রাজ্য সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গেই বিধানসভায় সরব হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, রাজ্যে আবাস প্রকল্পের কাজ ও একশো দিনের কাজের বেশ কিছু বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।

    ‘খরচ হয়নি ফান্ড’ 

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমার পাঠানো চিঠির উত্তরে ওঁর দফতর জানায় দুটি ছাড়া আমার করা সব অভিযোগ সত্য। এই মর্মে সেকশন ২৭ প্রয়োগ করা হল। সংশ্লিষ্ট বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে টাকা দেওয়া হবে না।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলা হয়েছে। একশো দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন খাতে যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাতে সমস্যার কথা আপনারা বলছেন। সমস্যা হচ্ছে একশো দিনের টাকা আর আবাস যোজনার শেয়ার অর্থ নিয়ে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় রাজ্যের ৯০ শতাংশ জিএসটি ফান্ড রিলিজ হয়েছে। বাকি টাকা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “শিক্ষা দফতরের ফান্ড ব্যবহার না হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জীবন মিশনে ফান্ড ব্যবহার হয়নি। ১৭৯১ কোটি টাকা ব্যবহার হয়নি। ৪ হাজার কোটি টাকা মাইনরিটি খাতে ব্যবহার হয়নি। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম আপনারা বদল করেছেন। ভারত সরকারের থেকে টাকা পেতে গেলে কেন্দ্রের স্কিমের নাম দিতে হবে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “সাগরদিঘি, নওদায় প্রধান নিজেই একাধিক বাড়ি নিয়েছেন। একাধিক জেলায় পুকুর কাটার টাকা তুলেছেন, অথচ পুকুর কাটেননি। টাকা না পাওয়ার জন্য আপনাদের কাজই দায়ী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে”, বিধানসভায় দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বিজেপি (BJP) যে তাঁদের পাশে রয়েছে, তা একাধিকবার দাবি করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। বাদল অধিবেশনে তাঁদের সেই দাবিতেই সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    ‘ডিএ দিতেই হবে’

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্য সরকারকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতেই হবে।” বিধানসভার বাইরেও ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। বলেন, “রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী ও পেনশনাররা বঞ্চিত। তাঁদের ডিএ এবং ডিআর দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের সংসারে টানাপোড়েন চলছে। আর সরকার চুপ করে বসে রয়েছে। এটা বরদাস্ত করা হবে না। ডিএ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই মামলা বারবার পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারি কর্মীদের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে রয়েছেন। আমরা বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই সরকার বারবার বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলে।”

    ‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের সরকারি কর্মীরা সরকারের দ্বারা অবহেলা, বঞ্চনার শিকার। কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতেই হবে। তাঁদের আর্থিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। আর তা যত দ্রুত সম্ভব।” তিনি বলেন, “মেধাবীরা রাস্তায় বসে রয়েছে। সরকার আলোচনা করে সমস্যা মেটাক। সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কষ্টে রয়েছেন। চাষিরা ফসলের দাম পাচ্ছেন না। ফড়েরা দালালি করছে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সম কাজে সম বেতন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমোদিত কয়েক লক্ষ পদ খালি থাকলেও, নিয়োগ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভায় পেশ দিল্লি পরিষেবা বিল, “ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান” ‘ইন্ডিয়া’কে জবাব শাহের

    শুভেন্দু বলেন, “ভিলেজ পুলিশদের বেতন কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করেনি সরকার। ৬ লক্ষ পদের বিলোপ ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডেটা এন্ট্রি অপারেটররা কেন ১০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করবেন? বাংলায় ২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে। এই সরকার অমানবিক, দুর্নীতিগ্রস্ত।” ডিএ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। এই মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের হয়ে বিধানসভায় কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এজন্য বিরোধী দলনেতার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। এটা আমাদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    Manipur: মণিপুরে অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢালছে চিন, পাকিস্তান! বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাস হতে চলল। এখনও নেভেনি উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুরের (Manipur) অশান্তির আগুন। এই অশান্তির আগুনে নিত্য ঘি ঢেলে চলেছে ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা দফতরের রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, এই দুই দেশ নেপালের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে অস্ত্র, জোগাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও।

    মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে অস্ত্র, অর্থ

    মায়ানমার সীমান্তে মাদক পাচারও নিয়ন্ত্রণ করছে ওই দুই দেশের ‘এজেন্ট’রা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, অশান্তির আগুনে ইন্ধন জোগাতে নেপালি ব্যবসায়ীদের কাজে লাগাচ্ছে চিন। এজন্য শি জিনপিংয়ের দেশ নিয়োগ করেছে সে দেশের সিক্রেট সার্ভিসকে। এরাই জোগাচ্ছে অর্থ। মণিপুরে সন্ত্রাসবাদী এবং অস্ত্র অনুপ্রবেশের কাজটিও সুচারুভাবে করতে পাকিস্তান ও চিন ব্যবহার করছে নেপালকে।

    ‘আর একটা কাশ্মীর’

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, মণিপুর (Manipur) থেকে উদ্ধার হয়েছে চিনা অস্ত্র। যার অর্থ, বেশ কিছুদিন ধরে মায়ানমারকে ভায়া করে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বেজিং। ২৬ জুলাই মোর্চ এলাকায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু বাড়িতে। এই ঘটনায় মায়ানমারের দুষ্কৃতীদের যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। এই এলাকায় মেইতেই ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রই চিনে তৈরি। মণিপুরকে ‘আর একটা কাশ্মীর’ বানাতে চেয়েছে ভারতের চির শত্রু ওই দুই দেশ।

    মণিপুরে অশান্তি জিইয়ে রাখার পিছনে চিন ও পাকিস্তানের অতি-সক্রিয়তার কারণ এই মণিপুর দিয়েই সাউথ এশিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। নিত্য অশান্তি লেগে থাকলে ভারত সরকার যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কোনও উন্নয়ন করেনি, তা ফলাও করে বলতে পারবে। যদিও তথ্য বলছে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মণিপুরে (Manipur) অশান্তির নেপথ্যে যে চিনের হাত রয়েছে, তা দাবি করেছেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানেও। তিনি বলেন, “অস্থিরতা সৃষ্টি করতে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় জড়িত একাধিক বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সাহায্য করছে বেজিং। সীমান্ত রাজ্যগুলিতে এই অস্থিরতা বৃদ্ধি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।” নারাভানে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে আসছে চিন। এখনও জারি রেখেছে সেই সাহায্য।” শান্তি ফেরাতে প্রশাসন তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share