Tag: bangla news

bangla news

  • FEMA Act: এবার বাইজুর অফিসে হানা ইডির, বাজেয়াপ্ত নথি, ডিজিটাল তথ্যও

    FEMA Act: এবার বাইজুর অফিসে হানা ইডির, বাজেয়াপ্ত নথি, ডিজিটাল তথ্যও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনলাইন শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বাইজুর (Byju) বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) অফিসে হানা দিল ইডি (ED)। শনিবার দুপুরে বাইজুর ওই অফিসে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে (FEMA Act)।

    দ্য ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে (FEMA Act) অভিযোগ দায়ের…

    এদিন বেঙ্গালুরুর একটি বাসস্থান ও দুটি অফিসে অভিযান চালিয়েছে ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু কাগজপত্র ও নথি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু ডিজিটাল তথ্যও। ইডির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেমার অধীনে ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সংস্থা প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ নিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই সংস্থা ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই এই বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, বাইজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে অর্থনৈতিক বিবৃতি তৈরি করেনি বাইজু। অ্যাকাউন্টের অডিটও করানো হয়নি। অথচ এটা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুুন: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, প্রতিবারই বাইজুর (FEMA Act) প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রন সমন এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি ইডির সামনে হাজিরাও দেননি। বাইজুর আইনি মুখপাত্র জানান, ইডির এই অভিযান ফেমার অধীনে নিয়মিত তদন্তের অংশ। এদিন বাইজুর তরফেও জারি করা হয়েছে বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, আমরা পুরোপুরি স্বচ্ছ। কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে যা তথ্য চেয়েছেন, আমরা সেগুলি দিয়ে দিয়েছি। আমরা নৈতিকতা ও নিয়মানুবর্তিতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মান তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    প্রসঙ্গত, হুরুন গ্লোবাল রিট লিস্ট ২০২৩ অনুযায়ী রবীন্দ্রন বিশ্বের শিক্ষা খাতে দ্বিতীয় ধনী উদ্যোক্তা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১১ সালে গড়ে ওঠে সংস্থাটি (FEMA Act)। লার্নিং অ্যাপ চালু করে ২০১৫ সালে। করোনা অতিমারির সময় এদের ব্যবসা তুঙ্গে ওঠে। পরে স্কুল খুলতে শুরু করলে অ্যাপের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমতে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: সরেছে ২টি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে কোন কোন মামলা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দুটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একটি সৌমেন নন্দী ও অন্যটি রমেশ মালির করা। প্রশ্ন হল, তাহলে এবার কোন কোন মামলা থাকল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে? জানা গিয়েছে, সন্দীপ প্রসাদের করা এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। টাকার বিনিময়ে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়। ২০২১ সালে সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) এজলাসে চলছে এই মামলা…

    প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলাও চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলা করেছিলেন রাহুল চক্রবর্তী ও শান্তনু সিট। ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলায়। মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এসএসসির নবম দশম মামলা। মামলাকারী সেতাবউদ্দিন। এসএসসির নবম দশম নিয়োগ সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারী আবদুল গনি আনসারি। এসএসসি গ্রুপ সি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী সাবিনা ইয়াসমিন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।

    এসএসসি গ্রুপ ডি সংক্রান্ত আরও একটি মামলা। মামলাকারীর নাম লক্ষ্মী তুঙ্গা। বেআইনিভাবে নিয়োগ (Justice Abhijit Ganguly) হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের লক্ষ্মী। নবম দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। মামলাকারী অনিন্দিতা বেরা। এই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মেধাতালিকার বাইরে থেকে নিয়োগ হয়েছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ববিতা সরকারের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত একটি মামলাও রয়েছে তাঁর এজলাসে। প্রায় ৪৪ হাজার চাকরি প্রাপকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক নয়, এই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়েছিল। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা নস্কর।

    আরও পড়ুুন: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে। একটা ডিসিপ্লিন আছে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত। সেটা মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, আরও যেসব দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলোও হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে। আজ যে গ্রাউন্ডে গিয়েছে, সেগুলো সরে যাবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এই মামলা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে শুরু করিনি। তাই আমার কাছে রইল কী কার কাছে গেল, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই। তিনি যে সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন, এদিন তাও জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে খুইয়েছেন চাকরি। এঁদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এমন ১০ জন ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন গ্রুপ সি কর্মীকে নিজাম (Recruitment Scam) প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়ই ওই দশজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে বিভিন্ন দিনে একে একে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র সহ হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় জেরা…

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত চলাকালীন টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছে অনেক প্রাথমিক এবং হাইস্কুল শিক্ষকের। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বরখাস্তও হয়েছেন অনেক গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী। এঁদের মধ্যে থেকেই ১০ জনকে তলব করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। চাকরি পেতে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তাঁদের সঙ্গেই বা কেউ যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছিল এবং কেউ মধ্যস্থতা করেছিলেন কিনা, সে ব্যাপারেও তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে। এঁদের সকলেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে। চাকরি হারানো (Recruitment Scam) প্রাক্তন ওই ১০ সরকারি কর্মীর দেওয়া টাকা কোন নিয়োগকর্তার কাছে পৌঁছেছে, কার মাধ্যমে নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করানো হয় চাকরিপ্রার্থীদের। এসবও জানতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।  

    আরও পড়ুুন: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্যালুট, ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’, বললেন শুভেন্দু

    পিছনের দরজা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই দালাল ধরেছিলেন বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বারাসতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডল, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীলও। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ানোয় (Recruitment Scam) বিতর্কও কম হয়নি। কারও চাকরি চলে যাক, তা চাননি বলে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নিজেই সেকথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন চাকরি হারানো সরকারি কর্মীরা। তাঁদের পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই মুকুল রোহতগিই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, যাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের কথা শোনা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • John Barla: অভিষেকের তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    John Barla: অভিষেকের তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল দলটাই চোর লুটেরায় ভরে গিয়েছে। মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে তা বুঝতে পারছেন। আলিপুরদুয়ারে এসে একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla)। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়করা জেলে যাচ্ছেন। এখনও অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তৃণমূল এখন চোরেদের দলে পরিণত হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করবে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla) কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই আলিপুরদুয়ারে এসে তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগ করুক না কেন, কোনও লাভ হবে না। ওরা (তৃণমূল) বলছে টাকা নেই, আর এদিকে উৎসব চলছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে যেভাবে প্যান্ডেল করা হয়েছে, ওই টাকা যদি গরিব মানুষদের মধ্যে বিলি করা হত, তাহলে বুঝতাম যুবরাজ জনগণের মানুষ। সাধারণের বাড়িতে রাত কাটালে বুঝতাম ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে লোক আছে। যুবরাজের তো আবার এসি লাগবে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লার (Jhon Barla) সমালোচনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কেন উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় কমিটি আনতে পারেননি? যদিও অভিষেকের সেই অভিযোগকে কটাক্ষ করে জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, রাজ্য সরকার এমনকী জেলা প্রশাসন আমাদের কোনওরকমভাবে সহযোগিতা করছে না। জেলার উন্নয়ন করতে হলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সমন্বয় দরকার। কেন্দ্রের ইচ্ছা থাকলেও রাজ্যের অসহযোগিতায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ এই এলাকার মানুষের জন্য করা যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য রাজ্যগুলো এগিয়ে আসছে। আমাদের রাজ্য এক সময় দেশের মধ্যে সব দিক থেকেই শীর্ষে ছিল, সেই রাজ্য আজকে অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে পড়ছে।  

    চা শ্রমিকদের নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla)?

    জন বার্লা বলেন, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদিবাসীরা চা বাগানে রয়েছেন। কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করলেও তারা চা বাগানের এক ইঞ্চি জমিতে বাড়ি বানাতে পারছেন না, রাজ্য সরকার জমির পাট্টা দেয়নি। আমি তো জোর করে বাড়ি বানিয়েছি। আমার চার পুরুষ ওই জমিতে বসবাস করছে, আমি কেন বাড়ি বানাতে পারবো না? আমাকে দেখে সবাই বাড়ি বানাবেন, এই জমি আমরা ছাড়তে পারবো না, পারলে আমাকে উঠিয়ে দিক। ১৫০ বছর হয়ে গেছে আমরা জমির অধিকার পাইনি। রোহিঙ্গারা এসে জমি বাড়ি পেয়ে যাবে, আমরা এই দেশের আদিবাসী বাসিন্দা হয়ে কেন জমি বাড়ি পাব না?

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ এতদিন তাঁকে খুঁজে পাননি। তাই নিজেকে বাঁচাতে তিনি ওইসব আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিচ্ছে। চা সুন্দরীর ঘর করে দিচ্ছে। তিনি ওই সব উন্নয়নের কাজ দেখতেও পান না, শুনতেও পান না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্যালুট, ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’, বললেন শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্যালুট, ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’, বললেন শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যা করেছেন, তাঁকে স্যালুট। ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’। শুক্রবার বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসের সাহসপুরে এক জনসভায় এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরেছে কয়েকটি মামলা। এদিনের সভায় সেই প্রসঙ্গই তোলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    তিনি বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কারণে অনেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার পাওয়ার আশা দেখছিলেন। এদিনের রায়ে তাঁরা খানিকটা আশাহত হয়েছেন। তবুও আমি বলব, আগে সুপ্রিম কোর্টের সমগ্র অর্ডারটা আপলোডের জন্য অপেক্ষা করুন। তার ওপর বিচার বিশ্লেষণ হবে। তিনি বলেন, তবে আমার মনে হয় একটি টিভি চ্যানেলে ওঁর সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করেই মহামান্য বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়া নিজের মতোই চলবে। যেমন অভিজিৎবাবুর কাছে মামলাটা এসেছে। উনি তো ইচ্ছা অনুযায়ী নেননি। এগুলো আদালতের অ্যাসাইনমেন্ট থাকে। শুভেন্দু বলেন, তিনি (বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়) এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার দরজা খুলেছেন। লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজ্য অন্য বেঞ্চে গেলেও সেই রায় বহাল থেকেছে। কোনও আদালতই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয়নি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আমাদের বিশ্বাস, বিচারব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার মূল কারিগর। তাদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। তারা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে যাতে চোরেরা জেলে যাবে, মেধাবিরা চাকরি পাবে। শুভেন্দু বলেন, এত বিচলিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি।

    আরও পড়ুুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কোন কোন মামলা সরল, জানেন?

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্দেশ দেয় নিয়োগ দুর্নীতির  মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরানোর। তবে ঠিক কতগুলি মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরেছে, তা স্পষ্ট হবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি সামনে আসার পরই। এদিন রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেন শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্টিকার সরকার বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্প নিজেদের নামে চালায়। যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারেন, তার জন্য ইংরেজিতে প্রকল্পের নাম লেখে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: মুখ থুবড়ে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘জলস্বপ্ন প্রকল্প’! গরমে জল সংকটে ভুগছেন বাসিন্দারা

    Drinking Water: মুখ থুবড়ে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘জলস্বপ্ন প্রকল্প’! গরমে জল সংকটে ভুগছেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম পড়তেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের (Drinking Water) সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও রাস্তার ট্যাপকল আছে, তাতে ঠিকমতো জল পড়ে না, আবার কোথাও জল আসে অনিয়মিত। উখড়া পাঠকপাড়া, চ্যাটার্জীপাড়া এবং রুইদাসপাড়াতে সপ্তাহখানেক ধরে ট্যাপকলে জল পড়ছে না বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার উখড়া-মাধাইগঞ্জ রোডের আনন্দমোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়। ঘণ্টা দুয়েক পর অবরোধ ওঠে। কিন্তু, সেই অবরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি। ফলে, ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে এই এলাকায় কয়েক বছর আগে রাস্তার ধারে প্রায় ৭ হাজার ট্যাপ বসানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার নতুন করে পানীয় জলের (Drinking Water) সংযোগ দেওয়া হয়। তবে, মেন লাইনের সঙ্গে এখনও সংযোগ না দেওয়ার কারণে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ শুরু হয়নি। আর রাস্তায় যে সাত হাজার ট্যাপ রয়েছে, সেখান দিয়ে ঠিকমতো জল সরবরাহ হচ্ছে না বলেও এলাকাবাসীর ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গরমে পর্যাপ্ত পানীয় জলের (Drinking Water) পরিষেবা না থাকার কারণে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করার কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। বহুবার এই বিষয়ে পঞ্চায়েতে আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। তাই, এলাকার মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিল। এখন পঞ্চায়েত কী উদ্যোগ নেয় সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

    কী বললেন উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান?

    অবরোধের পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। রাজুবাবু বলেন, সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় প্রতিদিন পানীয় জলের (Drinking Water) ট্যাঙ্ক পাঠানো হবে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, পাইপ লাইনের কাজ অনেক বাকি রয়েছে। ঠিকাদার কেন পাইপ লাইনের কাজ বাকি রেখেছে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কারণ, এই ঠিকাদারের জন্যই হাজার হাজার বাসিন্দাকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে ঠিকাদার উদ্যোগ না নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: খনি এলাকায় বাড়ছে ফাটল! নতুন করে ধসের আতঙ্কে এলাকাবাসী

    ECL: খনি এলাকায় বাড়ছে ফাটল! নতুন করে ধসের আতঙ্কে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েকদিনে খনি অঞ্চলে অণ্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই পাণ্ডবেশ্বরের অণ্ডাল থানার পড়াশকোল এলাকায় বহুলা – কাজোড়া যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর একাধিক জায়গায় বিশাল আকারে ফাটলের জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এমনকী আতঙ্কে অনেকে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। সেই জের মিটতে না মিটতেই ই সি এল (ECL) এর কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনি চত্বরে একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গত তিন-চারদিন ধরেই ফাটল ক্রমশ বাড়ছে। আর এতেই আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এক লরির চালক বলেন, ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আচমকা এলাকাটা কেঁপে ওঠে। প্রথমে ভূমিকম্প ভেবেছিলাম। সকাল হতেই নজরে আসে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় গভীর ফাটল। খবর দেওয়া হয় ই সি এলের (ECL) আধিকারিকদের। পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অণ্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ। সুরক্ষার খাতিরে সেই মুহূর্তে খনির কাজ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু, দুদিন কাজ বন্ধ রাখার পর ফের বিপদের ঝুঁকি নিয়েই শুরু হয় খনির কাজ। শুক্রবার আবার কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনি এলাকায় ফের ফাটল শুরু হয়। শনিবার সেই পুরানো ফাটল বড় আকার নেওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় খনি চত্ত্বর এবং আশেপাশের গ্রামেও। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ফাটলের কারণে এলাকায় যেকোনও সময় ধস নামতে পারে। খনি এলাকার ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে দুটি গ্রাম। যেভাবে দিনে দিনে খনি চত্ত্বর জুড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে, তাতে আগামীদিনে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সব দেখেও উদাসীন ই সি এল (ECL) কর্তৃপক্ষ। সিঁদুলি থেকে শীতলপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তার দু’পাশেই দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। খনির চত্বর থেকে ৩০০ মিটার দূরে রয়েছে দিঘির বাগান নামক একটা জনবসতি। দিঘির বাগান এলাকার বাসিন্দা আরশাদ হোসেন বলেন, যেভাবে ধীরে ধীরে ফাটল বাড়ছে এবং আশেপাশের মাঠ ধীরে ধীরে বসছে তাতে আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক। আর এখন মেঘলা আবহাওয়া। বৃষ্টি নামলেই এই ফাটলই বড় ধসের আকার নেবে। এই নিয়ে ই সি এল (ECL) কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। অবিলম্বে ফাটল প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কোন কোন মামলা সরল, জানেন?

    Abhijit Ganguly: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কোন কোন মামলা সরল, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) হাতে থাকা সব মামলাই কি সরিয়ে নেওয়া হবে? শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক নির্দেশের পরে পাক খাচ্ছিল এই জল্পনাই। শেষমেশ ইতি পড়ল এই জল্পনায়। এদিন সন্ধে ৭টা নাগাদ মিলল সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশ।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)…

    সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে এই মর্মে নির্দেশ দেন যে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা শুনছিলেন, সেটি শোনার জন্য অন্য বিচারপতি নিয়োগ করা হোক। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি আসার পর জানা যাচ্ছে, দেশের শীর্ষ আদালত প্রকৃতপক্ষে দুটি মামলার শুনানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাস থেকে সরাতে বলেছে। একটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সৌমেন নন্দী এবং অন্যটি কুন্তল ঘোষ বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    আরও পড়ুুন: উদাসীন রাজ্য, জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা থেকে সরতেই হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এসেছে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে। তবে তিনি চাইলে, এ সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনের শুনানিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে পারেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট লিখিত নির্দেশে বলেছে, সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি দেখার পরে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ওই মামলার বাকি শুনানি অন্য কোনও বিচারপতির হাতে দেবেন। এই সংক্রান্ত অন্যান্য আবেদনও অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া হল।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অভিযোগ উঠেছিল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শোনার সময় সেই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। যা শুনে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও বিচারপতিকে দায়িত্ব দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ নিয়ে কত মামলা দায়ের, রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ঘৃণা ভাষণ নিয়ে কত মামলা দায়ের, রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘৃণা ভাষণ (Hate Speeches) নিয়ে কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে, সে ব্যাপারে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, ঘৃণা ভাষণের ঘটনা ঘটলে কোনও অভিযোগ জমা না পড়লেও, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর করতে হবে। যাঁরা ঘৃণা ভাষণ দেবেন, ধর্ম নির্বিশেষে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। সংবিধান বর্ণিত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রাখতেই এটা করা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ, ঘৃণা ভাষণ নিয়ে মামলা নথিভুক্ত করতে দেরি হলে, তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে ঘৃণা ভাষণ। এটি একটি গুরুতর অপরাধ বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মন্তব্য…

    প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সাফ জানিয়েছিল, ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনায় প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করা হবে। ঘৃণা ভাষণ সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতিরা মন্তব্য করেছিলেন, আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছি আমরা? এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নর বেঞ্চ তাঁদের রায়ে জানিয়েছেন, আমরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এই ধরনের পদক্ষেপের সময় যেন কোন ধর্মের মানুষ এই ভাষণ দিচ্ছেন, তা দেখা না হয়। সেই সঙ্গে বেঞ্চ এও জানিয়েছে, বিচারপতিরা অরাজনৈতিক।

    আরও পড়ুুন: উদাসীন রাজ্য, জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    কোনও পার্টি এ বা পার্টি বি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন। একমাত্র ভারতীয় সংবিধানকেই মাথায় রাখা হয়। মার্চ মাসে বেঞ্চ জানিয়েছিল, ঘৃণাভাষণ সংক্রামক ব্যাধির মতো। যে মুহূর্তে রাজনীতি আর ধর্ম পরস্পরের ঘেরাটোপমুক্ত হবে, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণের প্রবণতারও ইতি হবে। যে মুহূর্তে রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনবেন না, সেই মুহূর্তে ঘৃণা ভাষণ বন্ধ হবে। এর আগের এক শুনানিতে বেঞ্চের (Supreme Court) মন্তব্য ছিল, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে ঘৃণা ভাষণের মতো ঘটনা অবিশ্বাস্য। তা আটকানোর দায়িত্ব আমাদেরই। আমরা যদি সেই দায়িত্ব পালন না করি, তা হলে কর্তব্যে গাফিলতি হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একটা বড় অংশ পানীয় জল সংকটে ভুগছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আমলাতন্ত্র, বিশেষ করে উচ্চস্তরের আমলাতন্ত্রের একটি অংশ গ্রামের দরিদ্র মানুষের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ফলে যাঁরা হর ঘর জলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। সেখানে জল নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    হর ঘর নলসে জল…

    ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ‘হর ঘর নলসে জল’ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে ৩.৮ কোটি পরিবার। প্রতি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে (Suvendu Adhikari) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩.৮ কোটি পরিবারের জন্য বিপুল বরাদ্দ করা হল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন সাধনে সব রকমভাবে নজর দিয়েছে সরকার। এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস এবং পানীয় জলের পরিষেবা প্রদান করেছে। প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সফলতা এসেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে রাস্তা ও পানীয় জলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও, তা দিয়ে জল (Suvendu Adhikari) পড়ে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যেহেতু আমার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তাই এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share