Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়- এর পর এবার সিবিআইয়ের (CBI) কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির অভিযোগ, ইচ্ছে করে তদন্তে দেরি করছে সিবিআই। মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বসু জানান, সিবিআইয়ের ভূমিকাকে তিনি সন্দেহের চোখেই দেখছেন।    

    মঙ্গলবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বসুর (CBI) এজলাসে। সেখানে তিনি সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, আপনারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিদের জায়গা করে দিতে হবে।’’  

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের হয়ে আইনজীবী যে সওয়াল করছেন, তার সঙ্গে ওই রিপোর্টের কোনও মিল নেই বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি বসু আরও বলেন, ‘‘দেশের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থার কাছে এমন ভুল আশা করা যায় না। সিবিআইয়ের রিপোর্টের সঙ্গে আইনজীবীর দেওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই। এমনটা হল কী করে?’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনাদের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে। কাগজপত্র-সহ সমস্ত তথ্য তিন বার যাচাই করে পাঠানো উচিত।’’ আগামী বৃহস্পতিবার ফের সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অমর্ত্যর বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মমতা দেখাচ্ছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক, সাফ জানালেন উপাচার্য     

    এদিন এসএসসির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এসএসসি- র বিচারপতি বসু বলেন, ‘‘সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনারা যে ভাবে যুক্তি দিচ্ছেন, তাতে মনে হচ্ছে কেউ ঠকিয়ে চলে গেলেও, চুপ করে বসে থাকবেন। চুপ থাকবেন তো? এত ভয় কেন? যা হয়েছে, মুছে এগিয়ে চলুন। নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে বলুন, অযোগ্যদের বরখাস্ত করে যোগ্যদের চাকরি দিতে।’’ 

    মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের (CBI) এক আধিকারিককে তদন্ত থেকে বাদ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এমনও নির্দেশ দেন যে, ওই তদন্তকারী কর্তা যেন কোনও তদন্তের ফাইল স্পর্শ করতে না পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Adani: ক্ষতির মুখে আদানি গোষ্ঠী, তিন দিনেই হাওয়া ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা

    Adani: ক্ষতির মুখে আদানি গোষ্ঠী, তিন দিনেই হাওয়া ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে গৌতম আদানির সংস্থা (Adani)। আদানি গ্রুপকে নিয়ে হিনডেনবার্গ রিসার্চের একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে। রিপোর্ট প্রকাশের পরই  সংস্থাটির অধীন তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারমূল্য তিন দিনে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে। 

    ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকায় গৌতম আদানি (Adani) তিন থেকে আটে নেমে এসেছেন। এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে নিউইয়্ররকের শর্ট–সেলার হিনডেনবার্গ। এই রিপোর্টে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘কর্পোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জালিয়াতির’‌ অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আদানি গ্রুপের ঋণের পরিমাণ ও তাদের ট্যাক্স হেভেন ব্যবহার নিয়েও এই রিপোর্টে কিছু বিশেষ তথ্য দেওয়া হয়েছে।   

    রবিবার এক বিবৃতি জারি করে আদানি (Adani) গ্রুপ হিনডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারত ও তার প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণের অভিযোগ এনেছে। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে আদানি  গ্রুপ জানায়, স্থানীয় আইন মেনেই সবকিছু করেছে সংস্থা। আইন অনুযায়ী যেসব তথ্য প্রকাশ করার, তা করেছে।

    আরও পড়ুন: ‘৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল…, আমার সরকার নির্ভীক সরকার’, বললেন রাষ্ট্রপতি  

    এরপরেই আদানি (Adani) গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারমূল্য সোমবার ২০ শতাংশ পড়ে যায়। এছাড়া আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারের মূল্য ১৬ শতাংশ কমেছে।

    ‘লাইভ মিন্ট’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু সোমবারই আদানি গ্রুপের ছ’টি শেয়ারে ১.৫৩ লক্ষ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি শেয়ারই ওপরের দিকে উঠেছে।

    এক নজরে কোন শেয়ারের কত পতন?

    • আদামি উইলমার: সোমবার বিএসইতে (বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ) পাঁচ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে। প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ৪৯১.৪৫ টাকা। 
    • আদানি টোটাল গ্যাস: সোমবার বিএসইতে ২০ শতাংশ (প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫৮৬.৯ টাকা) পতনের মুখে পড়েছে আদানি টোটাল গ্যাস। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়ছে ২,৩৪৭.৬৫ টাকা।
    • আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড: আজ বিএসইতে ১৯.৯৯ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছে আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড। আজ বাজার বন্ধের সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকেছে ১,১৮৭.৭ টাকা। আজই ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল।
    • আদানি ট্রান্সমিশন: সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ১৪.৯১ শতাংশ পতন হয়েছে। সকালের দিকে তো ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল (প্রতিটি শেয়ারের দাম ১,৬০৭.৮ টাকা)। তারপর কিছুটা উত্থান হয়ে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৭১০.১ টাকা।
    • আদানি পাওয়ার: আজ পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম। আপাতত প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠেকেছে ২৩৫.৬৫ টাকায়।
    • আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেডের শেয়ার: শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের রক্তক্ষরণের মধ্যে দিনের শুরুতে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনস লিমিটেডের শেয়ার। ছুঁয়ে ফেলেছিল আপার সার্কিট। কিন্তু বাজার বন্ধের সময় সেটিও ‘লাল’ জোনে চলে গিয়েছে। ০.২৯ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৯৬.৮৫ টাকা।
    • আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার: আদানি গ্রুপের দুর্দশার মধ্যে একমাত্র মুখরক্ষা করেছে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার। প্রতিটি শেয়ারের দাম ৪.২১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৮৭৮.৫ টাকা। একটা সময় ‘আপার সার্কিট’ ছুঁলে ফেলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    Mid Day Meal: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে ৭ কিলো চাল! স্কুল পরিদর্শনে এসে অবাক কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮১ জন পড়ুয়ার জন্যে মাত্র ৭ কিলো চাল। রাজারহাটের বনমালিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Mid Day Meal) পরিদর্শনে এসে হতবাক কেন্দ্রীয় দল। সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্কুলে এসে পৌঁছন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। স্কুলে পৌঁছেই কথা বলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে। এরপর ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরেই সোজা রান্নাঘরে ঢুকে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ঘুরে দেখেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি। রান্নায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম খতিয়ে দেখেন তাঁরা। 

    কী জানতে চায় কেন্দ্রীয় দল? 

    রান্নার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা (Mid Day Meal) সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নও করেন তাঁরা। কর্মীদের জিজ্ঞেস করেন, কবে তৈরি হয়েছে রান্নাঘর? কতজন কর্মী রান্না করেন? কী কী রান্না হয়? কী তেল ব্যবহার হয় রান্নার জন্য? রান্নার জল কোথা থেকে আনা হয়? আদৌ গ্লাভস পড়া হয় কী না, ইত্যাদি ইত্যাদি। চাল- মশলাও হাতে নিয়ে দেখেন তাঁরা।

    রাজ্যে মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে (Mid Day Meal) দেখতে এসে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনায় যায়। জেলার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখার কথা তাঁদের। তার আগে দলটি বিকাশ ভবনে একটি বৈঠক করে। ৯ জনের দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন উত্তরাখণ্ডের জিবি পন্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা অনুরাধা দত্ত।

    জেলায় পরিদর্শনে বেরোনোর (Mid Day Meal) আগে অনুরাধা দত্ত জানান, এটি রুটিন পরিদর্শন। দেশের প্রতিটি রাজ্যেই মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল। তিনি আরও জানান, মিড ডে মিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে ৩২টি সূচক আছে, সেগুলির ভিত্তিতেই সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়। 

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা প্রশ্ন (Mid Day Meal) করেন, “৮১ জন বাচ্চার জন্য মাত্র ৭ কেজি চাল কেন?” উত্তরে রাঁধুনি বলেন, “বাচ্চারা ১০০ গ্রাম ভাতও খেতে পারে না। নষ্ট করে। তাই অল্প করে রান্না করা হয়।” তুলনায় আলুর পরিমাণ বেশি থাকা নিয়ে রাঁধুনি জানান, পড়ুয়ারা আলু খেতে ভালবাসে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার কুন্তল-শান্তনুর ফোনের ডিলিট করা চ্যাট, জেরা করতে ফের ইডির তলব যুব তৃণমূল নেতাকে

    কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই রাজ্য (Mid Day Meal) প্রশাসনের তরফে মিড ডে মিল রান্নায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের নতুন অ্যাপ্রন, গ্লাভস দেওয়া হয়। এ বিষয়ে পরিদর্শক দলের প্রশ্ন, “সব দিন কি এগুলো পরে থাকেন?” কর্মীরা উত্তরে বলেন, “গ্লাভস পরলেও বাকিগুলো সব সময় পরা হয় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

     

  • Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    Sisir Adhikari: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক ছেলেকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন সাংসদ বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। বললেন, “বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।” কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ সংলগ্ন ময়দানে নাতি দেবদীপ অধিকারীর ক্লাব ‘আন্তরিকের’ সরস্বতী পুজো প্যাণ্ডেলের উদ্বোধন করতে এসে পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। অনুষ্ঠানে শিশির ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস এবং করে কাঁথি পৌরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। 

    সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, “রামচন্দ্র পণ্ডা এখন রাষ্ট্র নেতা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টে মামলা হবে। গত দেড় বছর ধরে কাঁথি শহরে পুলিশকে স্যালুট করে চলতে হয়। পুলিশের বড়ো বাবুটা ভালো কাজ করছেন। কেউ কোথাও অন্য পার্টি করলে তাকে ডেকে আনছেন থানায়। হাজিরা দিতে হচ্ছে। পয়সার তো একবারে বন্যা বইছে। কত টাকা ঘুষ নিয়েছেন? এরকম জিনিস কোথাও শুনিনি। আমি আগে কখনও দেখিনি। কিছু মানুষ টাকা দিচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তাঁকে লন্ডন থেকে এক সাংবাদিক ফোন করছিলেন। কলকাতার একটি জনপ্রিয় পেপারে কাঁথির ইতিহাস বেরিয়েছে। বুকটা ফেটে যায়৷ পবিত্র কাঁথি৷ শুভেন্দুকে কাঁথি জন্ম দিয়েছে। এখান থেকে গিয়ে বাংলার মানুষকে গণতান্ত্রিকভাবে আলো দেখাচ্ছে শুভেন্দু।”

    কে এই রামচন্দ্র? 

    কাকে ‘রামচন্দ্র’ বললেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ?‌ নানা দুর্নীতির অভিযোগে শুভেন্দু–সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও মামলা করেছে পুলিশ। সরাসরি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিকে রামচন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “‌রামচন্দ্র এখন রাষ্ট্রনেতা হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর (Sisir Adhikari) নামে যদি ২৮টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০টি মামলা হয়, তাহলে রামের নামে ৪টি মামলা হয়।”‌

    আরও পড়ুন: ২০৪৭ সালের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চাইছে ভারত

    এতদিন অবধি খাতায় কলমে তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে গেরুয়া শিবিরেই ঝুঁকেছেন শিশির এবং তাঁর বাকি ছেলেরা। যদিও বাবা শিশির এবং ছেলে দিব্যেন্দু বারবার দাবি করে এসেছেন এখনও তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তাহলে কী এবার পাকাপাকিভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শিশির? জল্পনা এখন তা নিয়েই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    Gorkhaland: ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হতে চলেছে পাহাড়! এবার ভূমিকায় ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘পাহাড় হাসছে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্লোগান অনেকের মনকেই ভরিয়েছিল৷ আশায় বুক বেঁধেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু পাহাড় কী সত্যিই হাসছে? মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শাসনকালে বার বার রণক্ষেত্রের চেহারা ধারণ করেছে পাহাড়। বার বার রক্তাক্ত হয়েছে শৈলরানি দার্জিলিং। আবার ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং- এর একাংশ। একদিকে, জিটিএ’র ত্রিপাক্ষিক চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে জিটিএ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং৷ অন্যদিকে, পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ সমিতি নামে কমিটিকে সামনে রেখে রীতিমতো পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে প্রচারে নামতে চলেছেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। শুধু পাহাড়ই নয়, পাহাড়-সহ তরাই, ডুয়ার্স এমনকি সমতলের কিছু অংশেও ওই মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। আর ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই তা নিয়ে সমগ্র পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স ও সমতলে প্রচার – আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এতেই অশনি সংকেত দেখছে রাজনৈতিক মহল। ফের পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তপ্ত হবে দার্জিলিং? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে।  

    কী জানা গেল?  

    দিল্লিতে সেমিনারের পর দুদিন ধরে কালিম্পংয়ের ১০ মাইলে মারোয়ারী ভবনে পৃথক রাজ্যের উপর আলোচনা সভা ডেকেছিলেন বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ড ও বিনয় তামাংরা। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি ছাড়াও পাহাড়ের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই সভায় যোগদান করেছে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই সভাতেই বিমল গুরুং ঘোষণা করেছেন জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেকে এবং গোর্খা (Gorkhaland) জনমুক্তি মোর্চাকে সরিয়ে আনবেন। বাতিল করবেন জিটিএ চুক্তি। আর বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে পাহাড়ের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও। এই সভাতে সিদ্ধান্ত হয় ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামবে দলগুলি। আর সেই দাবি জানিয়েই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের জিটিএ চুক্তি বাতিলের জন্য চিঠি পাঠাবেন বিমল গুরুং।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় অংশ নিতে চায় ৩৮ লক্ষ শিক্ষার্থী!  

    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাহাড়কে শান্ত করতে জিটিএ চুক্তি (Gorkhaland) করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সেই সময় বিমলের সঙ্গে একপ্রকার সমঝোতার রাস্তায় গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অধীনেই জিটিএ চুক্তিতে সায় দিয়েছিল কেন্দ্র। ফলে কেন্দ্র, রাজ্যর সহমতে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করা হয়। এরপর থেকে পাহাড়ের দায়িত্বে ছিলেন বিমলই। কিন্তু পৃথক রাজ্যর দাবিতে ফের বিমল গুরুং সক্রিয় হতেই বদলে যায় সমীকরণ। ২০১৭ সালের আন্দোলনের পর বিমলের হাত থেকে ক্ষমতা নিয়ে পাহাড়ের রাশ অনিত থাপার হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর এরপরেই জিটিএ চুক্তিকে হাতিয়ার করেন বিমল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে যদি একপক্ষ অর্থাৎ বিমল গুরুং নিজেকে প্রত্যাহার করে তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। নতুন করে চুক্তি করতেও হতে পারে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে সমস্যার মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IND vs NZ: ফের কিউইদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত, শুভমন-রোহিতের জোড়া শতরানে বাজিমাৎ

    IND vs NZ: ফের কিউইদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত, শুভমন-রোহিতের জোড়া শতরানে বাজিমাৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কিউইদের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে শেষ হাসিটি হাসল ভারতই। ভারতের বেঁধে দেওয়া টার্গেট যে নিউজিল্যান্ড চেজ করতে পারবে না, তা আগে থেকেই জানা ছিল। আর হলও ঠিক তাই। কিউইদের ২৯৫ রানে অল আউট করল মেন ইন ব্লু। আর এরই সঙ্গে আইসিসি একদিনের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে চলে গেল ভারত। প্রথমে শুভমন গিল-রোহিত শর্মার জোড়া সেঞ্চুরির পর, শার্দূল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদবের আগ্রাসী বোলিং জয়কে আরও সহজ করে তোলে। আর এই দুই বোলারকে সঙ্গ দেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং উমরান মালিক। চার বোলারের দাপুটে বোলিং- এর সামনে ছিটকে গেল টম ল্যাথামের দল। ৯০ রানে ভারতের কাছে হেরে গেল নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ের সেঞ্চুরিতেও শেষ রক্ষা হল না।

    আগ্রাসী মেজাজে ভারত    

    চলতি বছর নিউজিল্যান্ডের আগে শ্রীলঙ্কাকেও (IND vs NZ) এভাবেই চুনকাম করেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কিন্তু খানিকটা হলেও অনিশ্চয়তা এনে দিয়েছে। বিস্ফোরক মেজাজে প্রথম উইকেটে ২১২ রান তুলে দেন রোহিত ও শুভমন। মনে করা হয়েছিল ফের একবার স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হল ভারতের তারকাখচিত মিডল অর্ডার। ফলে শেষ ১৭৩ রান তুলতে ৮ উইকেট হারায় ভারতীয় দল। শেষে রুখে দাঁড়ান হার্দিক। আর তাই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান তুলতে পারল নীল জার্সি।     

    কিউইদের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে আগেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচেও ঝড়ের বেগে ব্যাট করলেন রোহিত ও শুভমন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ্বিশতরান হাঁকানোর পরে আবারও চেনা ছন্দে শুভমান। শেষ চারটি ম্যাচের তিনটিতেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। সেই সঙ্গে বিরাট কোহলির নজির ভাঙলেন শুভমন। তবে সামান্য সময়ের ব্যবধানে আউট হয়ে যান দুই ব্যাটারই।

    আরও পড়ুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!   

    মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট (IND vs NZ) করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজ ব্যাটিং শুরু করেন রোহিতরা। ২০২০ সালে শেষবার শতরান করেছিলেন রোহিত। আর এবার  তিন বছর ও ১৬ ইনিংস পর ফের ৫০ ওভারের ফরম্যাটে শতরান করলেন তিনি। মাত্র ৮৪ বলে শতরান করেন তিনি। এই নিয়ে রোহিতের ঝুলিতে এল ৩০তম শতরান। কিন্তু তারপরেই তাল কাটল। ৮৫ বলে ১০১ রানে আউট হন রোহিত। ৩০তম শতরানে ছুঁলেন রিকি পন্টিং- এর রেকর্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Delhi Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও

    Delhi Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Delhi Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-সহ উত্তরভারতের বেশ কিছু এলাকা। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে কম্পন অনুভূত হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুন, পিথোরাগড় ও আলমোড়াও আজ দুপুরের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। কম্পন এতটাই জোড়ালো ছিল যে অনেকেই ভয়ে বাড়ি এবং অফিসের বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রায় ২৫ সেকেন্ড অনুভূত হয় কম্পন। এখনও অবধি ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর আসেনি।   

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, মঙ্গলবার দুপুর ২.২৮ মিনিটে ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপালের ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।

     


      

    সম্প্রতি বার বার কেঁপেছে ভারত 

    এর আগে ৫ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে বেশ জোড়ালো ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। সেই সময় জম্মু-কাশ্মীরও কেঁপে ওঠে। তখন ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৯। সেই সময় ভূমিকম্পের উৎস ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল।   

    বছরের প্রথম দিনেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প (Delhi Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। পয়লা জানুয়ারি রাত ১১টা ২৮ মিনিটে, মেঘালয়ের নংপোহে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নংপোহ ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। এর আগে বছরের শেষে ২৭-২৮ ডিসম্বর রাতে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী থেকে নেপাল পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথম কম্পন অনুভূত হয় নেপালের বাগলুং জেলায়। এরপর দ্বিতীয় কম্পন অনুভূত হয় খুঙ্গার আশেপাশে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩।

    আরও পড়ুন: যখন বিশ্বজুড়ে চলছে ছাঁটাই, তখনই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জোম্যাটোর     

    প্রসঙ্গত, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (BIS) ভূমিকম্পের (Delhi Earthquake) ভিত্তিতে গোটা দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করেছে। দেশের ৫৯ শতাংশই ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। পঞ্চম জোনটি ভূমিকম্পের জন্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং সক্রিয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই জোনের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলিতে ধ্বংসের সম্ভাবনা সর্বাধিক। পঞ্চম জোনের মধ্যে রয়েছে দেশের ১১ শতাংশ। চতুর্থ জোনে রয়েছে ১৮ শতাংশ। তৃতীয় ও দ্বিতীয় জোনে ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকি প্রবণ হল চতুর্থ ও পঞ্চম জোনের এলাকাগুলি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Under 19 Women T20 WC: ব্রিটিশ কন্যাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় তরুণীরা

    Under 19 Women T20 WC: ব্রিটিশ কন্যাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় তরুণীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে (Under 19 Women T20 WC) জয়ের পতাকা ওড়াল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে ভারত ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। ভারতীয় বোলারদের বিধ্বংসী বোলিং- এর সামনে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন ইংলিশ ব্যাটাররা। মাত্র ৬৮ রানে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় ইংল্যান্ড। প্রথম ওভার থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে  উইকেট পড়তে শুরু করে। ইংল্যান্ডের মাত্র চারজন ব্যাটারই দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছে। ভারতের হয়ে তিতাস সাধু, পার্শ্ববী চোপড়া এবং অর্চনা দেবী দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। উল্টোদিকে মাত্র ১৪ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারতীয় দল।  

    এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন শেফালি ভার্মা। আজ জন্মদিন তাঁর। জন্মদিনের উপহার হিসেবে চেয়েছিলেন কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে। সেই স্বপ্নপূরণ হল তাঁর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Maan ki Baat: কাস্মীর স্নো ক্রিকেট এবং উইন্টার গেমসকে ‘খেলো ইন্ডিয়ার’- সম্প্রসারিত অংশ বলে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর

    Maan ki Baat: কাস্মীর স্নো ক্রিকেট এবং উইন্টার গেমসকে ‘খেলো ইন্ডিয়ার’- সম্প্রসারিত অংশ বলে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম মন কি বাত (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৯৭ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হতে চলা স্নো ক্রিকেটকে কেন্দ্রীয় সরকারের খেলো ইন্ডিয়ার বিশেষ উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন শ্রোতাদের এই সময় কাশ্মীর ভ্রমণের আবেদনও জানান তিনি। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের সায়েদাবাদে Winter Games এর আয়োজন করা হয়েছিল। এই গেমসের থিম ছিল- স্নো ক্রিকেট! আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে স্নো ক্রিকেট তো বেশ রোমাঞ্চকর খেলা হবে। আপনি একদম ঠিক ভাবছেন। তরুণ কাশ্মিরী যুবকরা বরফের মধ্যে ক্রিকেটকে আরও অদ্ভুত সুন্দর করে তোলে। এর মধ্যে দিয়েই কাশ্মীরে এমন তরুণ খেলোয়াড়দের খোঁজ করা হচ্ছে, যারা পরবর্তী সময়ে টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা করে নিতে পারে। এটাও একধরনের খেলো ইন্ডিয়া মুভমেন্টের সম্প্রসারিত অংশ। কাশ্মীরে, যুবকদের মধ্যে, খেলাধুলা নিয়ে উৎসাহ বেড়েই চলেছে। আগামী দিনে এই যুবকদের মধ্যে অনেকেই দেশের জন্য পদক জিতবে জাতীয় পতাকা ওড়াবে। এই সময় কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন। এই ধরনের আয়োজন দেখার জন্যও সময় রাখুন। এই  অভিজ্ঞতা আপনার ভ্রমণকে আরও বেশি স্মরণীয় করে তুলবে।”

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী? 

    এদিন শুরুতেইই পদ্ম সম্মান প্রাপকদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Maan ki Baat)। এটাই ছিল বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠান। প্রতি মাসের চতুর্থ রবিবার মনকি বাত অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে বার্তা দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠানে ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ সম্মোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রক্তে, সংস্কৃতিতে মিশে রয়েছে গণতন্ত্র। বহু শতাব্ধী ধরেই এটি আমাদের জীবনের, সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসানে রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে থাকি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, গণতন্ত্রের জননী ভারত।” সেই সঙ্গে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। 

    ২০২৩- এর জানুয়ারি মাসও প্রায় শেষ হতে চলল। প্রতিমাসের মত এই মাসেরও শেষ রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat)। সবার প্রথমে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। এই বছর প্রথম কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হয়েছে। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। বর্ণাঢ্য সেই প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশের শক্তি প্রদর্শণ করা হয়েছে। তাই বছরের প্রথম মন কি বাতেই প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। 

    পদ্ম পুরস্কার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) বলেন, “এবারের পদ্ম পুরস্কার দেশের সেই কোনাগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে, যা অতীতে নকশাল অধ্যুষিত ছিল। নকশাল অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুব প্রজন্মকে যারা সঠিক পথ দেখিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়েছেন, তাদের পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।”

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এবারের পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাদেরও, যারা প্রাচীন, ঐতিহ্যশালী বাদ্য়, যেমন সন্তুর, বামহুম, দোতারা বাজিয়ে সুর ছড়িয়ে দিয়েছেন।”

    মিলেটের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালকে মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে গণ্য করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মিলেট দিয়ে নানা খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কাঠগড়ায় খোদ পুলিশই

    প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) আরও বলেন, “আগামিদিনে নতুন বিপ্লব আসতে চলেছে। সাধারণ মানুষ যেভাবে বিশাল হারে যোগাসন ও শরীরচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে, একইভাবে মিলেটকেও ব্যাপক হারে গ্রহণ করে তা জনপ্রিয় করে তোলা হবে। ভারতের প্রস্তাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক যোগাসন দিবস ও আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষের ঘোষণা করেছে। যোগাসন যেমন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, একইভাবে মিলেটও স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

     

  • Anti Ageing: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    Anti Ageing: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি অ্যান্টি-এজিং (Anti Ageing) জিন হৃৎপিণ্ডের জৈবিক বয়স দশ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে। এমনটাই বলছে এক সাম্প্রতিক গবেষণা। ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি এবং ইতালির মাল্টিমেডিকা গ্রুপের শিক্ষাবিদদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা সম্প্রতি কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণাটিতে মূলত হার্ট ফেইলিওরের কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

    কী বলছে গবেষণা? 

    যারা এই গ্রহের নীলাঞ্চলে বসবাস করেন, তারা সুস্থ মিউট্যান্ট জিনের (Anti Ageing) বাহক। এই অঞ্চলের মানুষরা ব্যতিক্রমীভাবে, ১০০ বা তার বেশি বছর সুস্থভাবে বেঁচে থাকেন। এই ব্যক্তিদের কার্ডিওভাসকুলার জটিলতা প্রবণতা কম। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীদের মতে, এই জিনটি তাদের হৃৎপিণ্ডকে তরুণ রাখতে সাহায্য করে। তাদের হার্ট ফেইলিওরের মতো বার্ধক্যজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে। এই নতুন গবেষণায়, গবেষকরা দেখিয়েছেন যে এই স্বাস্থ্যকর মিউট্যান্ট জিনগুলির মধ্যে একটি, শতবর্ষী ব্যক্তিদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই জিনটির হৃদযন্ত্রকে বিকল হওয়া থেকে বিরত রাখার ক্ষমতা রয়েছে।       

    প্রফেসর পাওলো মাদেদ্দুর নেতৃত্বে ব্রিস্টলের (Anti Ageing) গবেষক দলটি লক্ষ্য করেছে, মিউট্যান্ট অ্যান্টি-এজিং জিনটি মধ্যবয়সী ইঁদুরের হৃদযন্ত্রের ক্ষয় বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি আরও লক্ষ্য করার মতো বিষয় হল, এই বয়স্ক ইঁদুরগুলির হৃৎপিণ্ড বয়স্ক রোগীদের হৃৎপিণ্ডের মতোই আচরণ করে। পরিলক্ষিত হয়েছে যে, জিনটি হৃৎপিণ্ডের জৈবিক বয়সকে দশ বছরেরও বেশি কমিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লির মাটি, কাঁপল উত্তরাখণ্ডও  

    ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিস্টল হার্ট ইনস্টিটিউটের (Anti Ageing) পরীক্ষামূলক কার্ডিওভাসকুলার মেডিসিনের অধ্যাপক এবং গবেষণার অন্যতম লেখক অধ্যাপক মাদ্দেদু বলেন, “আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্ট এবং রক্তনালীগুলির কার্যকারিতা হ্রাস পায়৷ ধূমপান, অ্যালকোহল এবং বসে থাকা বার্ধক্যকে তরান্বিত করে। একইভাবে ভাল খাওয়া এবং ব্যায়াম করা হার্টের বার্ধক্যকে  বিলম্বিত করে। এছাড়া, বাবা-মার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ভাল জিনগুলি তরুণ এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারে। জিন হল অক্ষরক্রম যা প্রোটিনকে এনকোড করে। এই অক্ষরগুলির মধ্যে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। মিউটেশন জিনের কাজকে আরও খারাপ বা ভাল করে তুলতে পারে। যেমন মিউট্যান্ট অ্যান্টি-এজিং জিনের জন্য আমরা এখানে মানব কোষ এবং বয়স্ক ইঁদুরের উপর গবেষণা করেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share