Blog

  • Daily Horoscope 07 December 2025: বাণীতে সংযম জরুরি এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 December 2025: বাণীতে সংযম জরুরি এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    Bangladeshi Hindu Rights Activist: রাষ্ট্রসংঘে হিন্দুদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন হিন্দু অধিকার কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাপক আন্দোলনের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladeshi Hindu Rights Activist) ছাড়তে বাধ্য হন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। এই অন্ধকার দিনটি একইসঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার অবসানেরও সংকেত দেয়। কারণ উগ্র ইসলামপন্থীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হিন্দুদের হত্যা করে (Islamist Atrocities)। নির্বিচারে চালায় লুটপাট-ধর্ষণ। ভাঙচুর করার পাশাপাশি অপবিত্র করা হয় তাঁদের মন্দির এবং বিগ্রহ।

    হিন্দু অধিকার কর্মীর বক্তব্য (Bangladeshi Hindu Rights Activist)

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত “সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামের অষ্টাদশ অধিবেশনে” বক্তৃতা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু অধিকার কর্মী দীপন মিত্র ইসলামপন্থীদের হাতে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর সংঘটিত নির্যাতন ও নৃশংসতার ঘটনাগুলির কথা তুলে ধরেন। ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার ব্যুরোর সভাপতি দীপন  বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং আদিবাসী সম্প্রদায়গুলি রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনের একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া চলছেই।” বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ইসলামপন্থীদের অপরাধগুলির পরিসংখ্যান দিয়ে দীপন বলেন, “গত এক বছরে ১৮৩ জনেরও বেশি হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ২১৯ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত বছর হাজার হাজার হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে। করা হয়েছে অগ্নিসংযোগও। হিন্দু ও বৌদ্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৭৮ জন কিশোরীকে জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।”

    ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

    তিনি বলেন, “ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের ওপর হামলা, হিন্দু মঠ ও মন্দির দখল – এসব এখন বাংলাদেশে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও তোলাবাজি ব্যাপক হারে বাড়ছে। একদিনও যায় না যখন হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করা হয় না, বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় না (Islamist Atrocities)।” প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্টেই ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিম দাঙ্গাবাজরা হামলা চালিয়েছিল একাধিক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে। সেই সময় ইসলামো-বামপন্থী গণমাধ্যম যেমন আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমস ইত্যাদি এই হিংসাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। ওই গণমাধ্যমগুলির দাবি, যে এই সব ঘটনা আওয়ামি লিগকে সমর্থনের জন্য করা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ। বাস্তবে, যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাঙ্গাবাজরা আওয়ামি লিগের হিন্দু নেতাদের লক্ষ্য করেছিল, তবুও হামলা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিশোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।

    হিন্দুদের দোকান ভাঙচুর

    নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালির কালাপাড়া, শরিয়তপুর, ফরিদপুরের মন্দির এবং যশোর, নোয়াখালি, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় হিন্দুদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছিল (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল হাসিনা দেশান্তিরিত হওয়ার পরপরই। মহম্মদ ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন থেকেই ইসলামপন্থীরা অকল্পনীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর ঘৃণা, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপন হিন্দু আধিকারিক ও শিক্ষকদের চাকরি থেকে বহিষ্কারের জন্য চালানো একটি পরিকল্পিত প্রচারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তম কুমার দাস, প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার (Islamist Atrocities), কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস সেক্রেটারি রঞ্জন সেন, কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর অর্পণা রানি পাল—এদের বরখাস্ত করা হয়েছে।”

    হিন্দুদের চাকরি থেকে বরখাস্ত

    তিনি জানান, গত বছর অন্তত ১৭৬ জন হিন্দু শিক্ষক বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন (Bangladeshi Hindu Rights Activist)। দীপন বলেন, “শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ পুলিশ থেকেও হিন্দুদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শতাধিক পুলিশ কর্তা বরখাস্ত হয়েছেন, যার মধ্যে কৃষ্ণপদ রায়ও রয়েছেন। ২০২৪ সালে রাজশাহি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে চূড়ান্ত নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের জন্য সুপারিশ করা ২৫২ জন সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) মধ্যে ২৫২ জনকেই ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ২৫২ জনের মধ্যে ৯৯ জন হিন্দু, দু’জন বৌদ্ধ এবং একজন খ্রিস্টানও ছিলেন।” হিন্দু অধিকারকর্মী আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মহম্মদ ইউনূসের অধীনে, আইজিপি বাহারুল আলমকে নির্দেশ দিয়েছে যেন বাংলাদেশ পুলিশে কোনও হিন্দুকে নিয়োগ করা না হয় (Bangladeshi Hindu Rights Activist)।

  • Gita Path: গীতা পাঠের আসরে ভক্তের ভিড় সামলাতে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের

    Gita Path: গীতা পাঠের আসরে ভক্তের ভিড় সামলাতে ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবিবার, ৭ ডিসেম্বর। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের (Gita Path) আসর। আয়োজক সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। বছর দুয়েক আগেও লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন হয়েছিল অতিকায় এই মাঠেই (Railways)। এই কর্মসূচি উপলক্ষে বহু মানুষের সমাগম হতে পারে ব্রিগেডে। এই অনুষ্ঠানে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে। কলকাতার ময়দানে গীতা পাঠের এই আসরে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, ত্রিপুরা, দিল্লি, বিহার এবং ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু মানুষ যোগ দেবেন। নেপাল এবং বাংলাদেশ থেকেও বেশ কিছু বিশিষ্ট মানুষ এবং গীতাপ্রেমীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    আয়োজকদের দাবি (Gita Path)

    আয়োজকদের দাবি, এটি নিছকই একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য ২৫টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। পুরো মঞ্চ সাজানো হয়েছে অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারে। অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে পবিত্র গীতা। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বেশ কয়েক লাখ মানুষ ব্রিগেডে ভিড় জমাবেন বলে আশা উদ্যোক্তাদের। স্বাভাবিকভাবেই রবিবার ছুটির দিনে ভিড় সামলাতে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। জানা গিয়েছে, শিয়ালদা এবং হাওড়া শাখায় এদিন সব মিলিয়ে মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। শিয়ালদা শাখার মধ্যে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং ক্যানিং থেকে চলবে বিশেষ ইএমইউ ট্রেন।

    বিশেষ ইএমইউ ট্রেন

    কৃষ্ণনগর–শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি কৃষ্ণনগর থেকে সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে (Gita Path) শিয়ালদায় পৌঁছবে ৮টা ১০ মিনিটে। শিয়ালদা–কৃষ্ণনগর ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে ছাড়বে বিকেল ৪টেয়, কৃষ্ণনগর পৌঁছবে ৬টা ২৭ মিনিটে।শান্তিপুর–শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শান্তিপুর থেকে ৫টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে শিয়ালদায় পৌঁছবে ৭টা ২৫ মিনিটে। শিয়ালদা–শান্তিপুর ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে বিকেল ৩টে ২০ মিনিটে ছেড়ে শান্তিপুরে পৌঁছবে ৫টা ৫০ মিনিটে। বনগাঁ–শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি বনগাঁ থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে শিয়ালদায় পৌঁছবে ৮টায়। শিয়ালদা–বনগাঁ ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি ফিরতি পথে শিয়ালদা ছাড়বে (Railways) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে। বনগাঁ পৌঁছবে ৭ টায়। হাসনাবাদ-শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি হাসনাবাদ থেকে সকাল ৬ টায় ছেড়ে শিয়ালদা পৌঁছবে ৮টা ২৫ মিনিটে। শিয়ালদা-হাসনাবাদ ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিটে ছেড়ে হাসনাবাদ পৌঁছবে ৭টা ৪০ মিনিটে।

    স্পেশাল ট্রেন

    শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে বিকেল ৪টে ৫ মিনিটে ছেড়ে লক্ষ্মীকান্তপুরে পৌঁছবে ৫টা ৪০ মিনিটে। লক্ষ্মীকান্তপুর-বালিগঞ্জ ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বালিগঞ্জে পৌঁছবে ৭টা ১৫ মিনিটে।  ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি ডায়মন্ড হারবার ছাড়বে (Gita Path) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে, শিয়ালদায় পৌঁছবে ৮টা ৪৫ মিনিটে। শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে ছেড়ে ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছবে ৫টা ৫৫ মিনিটে। ক্যানিং–শিয়ালদা ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি ক্যানিং থেকে ৭টা ৫ মিনিটে ছেড়ে শিয়ালদায় পৌঁছবে ৮টা ২২ মিনিটে। শিয়ালদা–ক্যানিং ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি শিয়ালদা থেকে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে ক্যানিং পৌঁছবে ৬টা ৪৫ মিনিটে টায়।

    মেমু স্পেশাল

    রামপুরহাট–হাওড়া মেমু স্পেশাল ট্রেন ভায়া আহমেদপুর-কাটোয়া ট্রেনটি রামপুরহাট থেকে ভোর ৪টায় ছেড়ে হাওড়ায় পৌঁছবে ৯টা ৫০ মিনিটে। হাওড়া – রামপুরহাট মেমু স্পেশাল ভায়া আহমেদপুর-কাটোয়া হাওড়া থেকে বিকেল ৪টে ৪০ মিনিটে ছেড়ে রামপুরহাটে পৌঁছবে ১০টা ২০ মিনিটে। বর্ধমান–হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন ভায়া ডানকুনি বর্ধমান থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে হাওড়ায় ৮টা ৪০ মিনিটে পৌঁছবে। হাওড়া–বর্ধমান ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন ভায়া ডানকুনি হাওড়া থেকে সকাল ৬ টায় ছেড়ে (Gita Path) ৮টা ১০ মিনিটে বর্ধমানে পৌঁছবে।
    আরামবাগ-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল ট্রেনটি ভায়া শেওড়াফুলি আরামবাগ থেকে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে ছেড়ে হাওড়ায় পৌঁছবে ৮টা ৫০ মিনিটে (Railways)। হাওড়া-আরামবাগ ইএমইউ স্পেশাল ভায়া শেওড়াফুলি হাওড়া থেকে বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে ছেড়ে আরামবাগে পৌঁছবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

  • Gita Path: রবিবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান, তুঙ্গে প্রস্তুতি, থাকবেন কারা কারা?

    Gita Path: রবিবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান, তুঙ্গে প্রস্তুতি, থাকবেন কারা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ফের ব্রিগেডে (Brigade) হতে চলেছে সমবেত কণ্ঠে গীতা পাঠের (Gita Path) অনুষ্ঠান। এবার গীতা পাঠ করবেন ৫ লাখ মানুষ। অনুষ্ঠানের জন্য তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিতে বসবেন ১৫০ জন সাধুসন্ত। গীতা পাঠ করতে আসা লোকজনের ঢোকা-বেরনোর জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৮টি গেট। এর আগেও লাখো কণ্ঠে গীতা পাঠের সাক্ষী হয়েছে ব্রিগেড। সেটা ২০২৪ সালে। তার পর ফের এবার। পাঠকের সংখ্যা বেড়ে হবে ৫ লাখ। জানা গিয়েছে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্ঞানানন্দ মহারাজজি। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, পদ্মভূষণ স্বাধ্বী ঋতম্ভরাজি এবং যোগগুরু রামদেব। গীতা পাঠ শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। চলবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (Gita Path)।

    কার্তিক মহারাজের বক্তব্য (Gita Path)

    সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি কার্তিক মহারাজ বলেন, “ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। ভোট তো সারা বছরই থাকে। গীতার সৃষ্টি মোক্ষদা একাদশীতে। এটি অগ্রহায়ণ মাসের শুক্ল পক্ষের একাদশী। তাই তিথিটা তো আসবেই। সেই জন্যই ভোটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই অনুষ্ঠানের কথা আমরা বিভিন্ন মসজিদেও জানিয়েছি। এটা আমাদের ধর্মের কাজ। কোনও রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন নয়। সাধু-সন্ন্যাসীদের শক্তি প্রদর্শনও নয়। আমরা প্রত্যেকের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এলে আমাদের বিশেষ আনন্দ হবে। এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে।” মহারাজ বলেন, “বস্তুতই আমাদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে ভোট-রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সমাজে যে অবক্ষয় তৈরি হয়েছে, তা কাটাতে আত্মিক চর্চাই প্রয়োজন। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সেই পথেই (Brigade) একটি সামান্য প্রয়াস।”

    মহাযজ্ঞের আয়োজন

    তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বহু যুগ ধরেই আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক পরম্পরার কেন্দ্র। সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে মঠ-মন্দির, আশ্রম, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়েই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।” উদ্যোক্তাদের আশা, গীতাপাঠের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি, স্থিতি এবং আধ্যাত্মিকতার নয়া বার্তা পৌঁছে যাবে। স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, “সমাজে বিভাজনের আবহে আধ্যাত্মিক অনুশীলন মানুষকে স্থির রাখে, পথ দেখায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের হাজার হাজার গীতা অনুরাগী এই উদ্যোগে যোগদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন (Gita Path)।”

    ঐতিহাসিকভাবে গীতা পাঠ

    সনাতন সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক নির্গুণানন্দ মহারাজ বলেন, “২০২৫ সালে ৫ লাখ কণ্ঠে ঐতিহাসিকভাবে গীতা পাঠ হবে। সাধু-সন্তরা আসবেন, তাঁরা মঞ্চের পিছন দিকে যে গেট তৈরি করা হয়েছে, সেখান দিয়ে তাঁরা আসবেন। কোন মঞ্চে কোন সাধু-সন্ত বসবেন, সেটা আমরা ঠিক করেছি। সেই অনুযায়ী তাঁদের বসার ব্যবস্থা করেছি। সেই রকম ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই আমরা এবার গীতা জয়ন্তীর ব্যবস্থা করেছি। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গীতা পাঠ চলবে। তারপর বিশিষ্ট বক্তারা প্রবচন করবেন।” এদিকে, শুক্রবার রেলের তরফে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক আয়োজিত গীতা পাঠের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক প্রত্যাশিত ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের সুবিধার্থে, পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ এবং হাওড়া শাখায় ৭ ডিসেম্বর ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Brigade)।

    বিশেষ ট্রেন

    এই ট্রেনগুলি হল কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, শান্তিপুর-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, বনগাঁ শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন, হাসনাবাদ-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল, শিয়ালদহ-লক্ষ্মীকান্তপুর ইএমইউ স্পেশাল, ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল এবং ক্যানিং-শিয়ালদহ ইএমইউ স্পেশাল (Gita Path)। হাওড়া শাখায়ও বিভিন্ন রুটে চালানো হবে ৬টি বিশেষ ট্রেন। এর মধ্যে রয়েছে রামপুরহাট-হাওড়া মেমু স্পেশাল ভায়া আহমেদপুর-কাটোয়া, বর্ধমান-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল ভায়া ডানকুনি, এবং শেওড়াফুলি হয়ে আরামবাগ-হাওড়া ইএমইউ স্পেশাল। রবিবার গীতা পাঠের আগে হয়েছে ভূমি পূজন। তার পরেই শুরু হয়েছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। মঞ্চের কাজ প্রায় শেষের পথে।

    গীতা পাঠ

    প্রসঙ্গত, গীতা কেবলমাত্র একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতির জন্য এক বাস্তব নির্দেশিকাও, যা মানুষকে আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক উভয় ক্ষেত্রেই পথ দেখায়। এই গীতাই শেখায় প্রতিটি জীবের মধ্যে একটি অমরা আত্মা রয়েছে। রয়েছে পরমাত্মাও। ফলের আশা না করে নিজের কর্তব্য করে যাওয়াও গীতার একটি বাণী। আত্মজ্ঞান লাভ করলে যে অজ্ঞতা দূর হয়, সেই শিক্ষাও মেলে গীতায়। ঈশ্বরকে ভালোবাসা, তাঁর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করা এবং তাঁর শরণ নেওয়াও গীতার একটি শিক্ষা। নিয়মিত গীতা পাঠ করলে মানসিক শান্তি আসে, জীবন পরিচালিত হয় মহৎ উদ্দেশ্যে (Brigade) এবং পথ দেখায় জীবনের কঠিনতম মুহূর্তেও (Gita Path)।

  • Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    Assam Tea: ‘বন্ধু’ পুতিনকে গুচ্ছ উপহার মোদির, কী কী দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের সুস্বাদু ব্ল্যাক টি (Assam Tea), কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রূপোর ঘোড়ার মূর্তি, নকশাদার টি-সেট এবং ভগবদ্‌ গীতার রুশ ভাষার সংস্করণ – এইসব উপহার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘বন্ধু’ ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে তুলে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    পুতিনকে উপহার (Assam Tea)

    শ্রীমদ্‌ ভগবদ্‌ গীতা হল এমন একটি গ্রন্থ, যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় অর্জুনকে তাঁর কর্তব্য, চিরন্তন আত্মা এবং আত্মিক মুক্তি সম্পর্কে উপদেশ দেন। এর চিরন্তন জ্ঞান নৈতিক জীবনযাপন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরের শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। বিভিন্ন অনুবাদের মাধ্যমে এটি আজ বিশ্বের আধুনিক পাঠকদের কাছেও সহজলভ্য হয়েছে (PM Modi)। উর্বর ব্রহ্মপুত্র সমভূমিতে উৎপাদিত অসম ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি স্বাদ, উজ্জ্বল রঙ এবং ‘অসমিকা’ জাতের ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত, এটি ভূমি, জলবায়ু ও কারুশিল্পের দ্বারা গঠিত সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক।

    সমৃদ্ধ শিল্পকলা

    জটিল নকশা ও খোদাই করে নির্মিত মুর্শিদাবাদের সুসজ্জিত রুপোর চা-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ শিল্পকলা এবং ভারত ও রাশিয়ার চা সংস্কৃতির গভীর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আধিকারিকরা জানান, ভালোবাসা ও স্নেহের নিদর্শন হিসেবে উপহার দেওয়া এই সেট ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব ও চায়ের চিরন্তন অনুষঙ্গকে উদযাপন করে। সূক্ষ্ম শিল্পকৌশলে সজ্জিত মহারাষ্ট্রের হাতে তৈরি রৌপ্য ঘোড়াটি ভারতের ধাতু কারুশিল্পের উৎকর্ষতা প্রমাণ করে। হাতে তৈরি ঘোড়ার ঠাঁট-ঠমকপূর্ণ, সামনের দিকে এগিয়ে চলার ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এবং নিরন্তর অগ্রগতির রূপক। আগ্রায় হাতে তৈরি মার্বেল পাথরের দাবা সেট সূক্ষ্ম কারুশিল্প ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের সমন্বয়, যা ‘ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট’ (ODOP) উদ্যোগের অধীনে এ অঞ্চলের পাথরের শিল্পঐতিহ্যকে তুলে ধরে (Assam Tea)।

    কাশ্মীরি জাফরান, স্থানীয়ভাবে ‘কোং’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত, কাশ্মীরের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাদিত হয়। রঙ, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য এটি বিখ্যাত (PM Modi)। গভীর সাংস্কৃতিক ও রন্ধনপ্রণালীগত গুরুত্বও বহন করে কাশ্মীরি জাফরান।

  • Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Donald Trump: নাকের বদলে নরুন! প্রথম ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কার না পাওয়ার আফশোস কি যাচ্ছেই না ডোনাল্ড ট্রাম্পের? নোবেল শান্তি পুরস্কার তিনি পাননি, এটা কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না? তাই কি ফিফাকে সামনে রেখে নিজেই নিজেকে শান্তি পুরস্কারে পুরস্কৃত করলেন ট্রাম্প?

    ফিফা শান্তি পুরস্কার পেলেন ট্রাম্প

    শুক্রবার আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। এই অনুষ্ঠানের আগে থেকেই ওয়াশিংটনে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। বিশ্বকাপে খেলতে চলা দেশগুলির সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আমেরিকার জাতীয় ফুটবল লিগ এবং বাস্কেটবল লিগের তারকারা এসেছিলেন। ব্রাজিলের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, আমেরিকার কোচ মৌরিসিয়ো পোচেত্তিনো-সহ বিভিন্ন দেশের কোচকে দেখা গিয়েছে। তবে আগ্রহ ছিল একজনকে নিয়েই। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্টিনোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা অজানা নয়। শোনা যাচ্ছিল, এ বার থেকে ফিফা যে শান্তি পুরস্কার চালু করেছে, তার প্রথম প্রাপক ট্রাম্পই। সেটাই হয়েছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার না পেলেও ফিফার পুরস্কার পেয়ে গেলেন ট্রাম্প। ইনফ্যান্টিনো জানান, বিশ্বজুড়ে থাকা ফুটবলপ্রেমী মানুষের তরফে এই পুরস্কার ট্রাম্পের হাতে তুলে দেওয়া হল। যদিও ট্রাম্পের জন্যই যে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়েছে এবং তিনিই যে প্রথম প্রাপক তা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। অর্থাৎ, নাকের বদলে নরুন। বলা যেতেই পারে, ফিফাকে সামনে রেখে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে এই পুরস্কার দেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।

    মনে নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস!

    একটি ভিডিওয় দেখানো হয় কী ভাবে বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি সামলেছেন ট্রাম্প। সেই ভিডিয়োয় ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট একাধিক বার দাবি করেছেন তিনি সারা বিশ্বে মোট আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধও। ফিফার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প আরও একবার বলেন, “সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি আমরা। কঙ্গোয় এক কোটি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছিল তাতে আরও এক কোটি মানুষ মারা যেতেন। ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও আমরা ওই দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তা থামিয়ে দিয়েছি।” ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি যে তাঁর জন্যই সম্ভব হয়েছে, তা ট্রাম্প আগে বহু বার দাবি করেছেন। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক বার ট্রাম্পের এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। মোদি নিজে ট্রাম্পকে ফোন করে স্পষ্ট করে সে কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু ফিফার শান্তি পুরস্কার পেয়ে আবার একই দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল যে, যতই তিনি ফিফা শান্তি পুরস্কার পান না কেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার না মেলার আফশোস রয়েই গিয়েছে। তাই তিনি বারবার দুই পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামানোর দাবি করেই চলেছেন।

  • FIFA World Cup 2026: চূড়ান্ত ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কে কার বিরুদ্ধে খেলবে আগামী বছর?

    FIFA World Cup 2026: চূড়ান্ত ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল কে কার বিরুদ্ধে খেলবে আগামী বছর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত হয়ে গেল ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২৬ সালের সব গ্রুপ। শুক্রবার আমেরিকার ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে হয়ে গেল বিশ্বকাপের গ্রুপবিন্যাস। এই প্রথমবারের মত ৪৮টি দলের টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পর্তুগাল, ফ্রান্সের মতো দেশ জেনে গেল তাদের প্রতিপক্ষের নাম। চারটি দলের ১২টি গ্রুপ রয়েছে। তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। ফ্রান্স একটু কঠিন গ্রুপে। গ্রুপ পর্বেই দেখা যাবে কিলিয়ান এমবাপে বনাম আর্লিং হালান্ডের লড়াই। পর্তুগালেরও লড়াই তেমন কঠিন নয়। আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।

    গ্রুপ অফ ডেথ নেই বললেই চলে

    পরের বছরই প্রথম বার ৪৮টি দেশ নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ড্র সহজ হতে পারে, এমন অনুমান আগেই করা হয়েছিল। আদপে হলও তাই। ১২টি গ্রুপের কোনওটিকেই সে ভাবে ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ বা মারণগ্রুপ বলা যায় না। তিনটি শক্তিশালী দেশ রয়েছে, এমন গ্রুপ হয়ইনি। গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠানে তিনটি পট থেকে প্রথম তিনটি বল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোস্ট মেক্সিকো ‘এ’ গ্রুপে, কানাডা ‘বি’ এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘ডি’ গ্রুপে থাকবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। এদিনই প্রকাশ্যে আসে ২০২৬ বিশ্বকাপের থিম সং ‘ডিজায়ার’। সেই গান পরিবেশন করেন ব্রুস স্প্রিংস্টিন এবং নিকোল শারজিঙ্গার।

    কোন গ্রুপে কোন দল রয়েছে

    গ্রুপ এ : মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ ডি জয়ী দল

    গ্রুপ বি : কানাডা, কাতার, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ এ জয়ী দল

    গ্রুপ সি : ব্রাজিল, মরক্কো, হাইতি, স্কটল্যান্ড

    গ্রুপ ডি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্যারাগুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ সি জয়ী দল

    গ্রুপ ই : জার্মানি, কুরাসাও, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েডর

    গ্রুপ এফ : নেদারল্যান্ডস, জাপান, তিউনিশিয়া, ইউরোপিয়ান প্লে-অফ বি জয়ী দল

    গ্রুপ জি : বেলজিয়াম, মিশর, ইরান, নিউজিল্যান্ড

    গ্রুপ এইচ : স্পেন, কেপ ভার্দে, সৌদি আরব, উরুগুয়ে

    গ্রুপ আই : ফ্রান্স, সেনেগাল, নরওয়ে, ফিফা প্লে-অফ ২ জয়ী দল

    গ্রুপ জে : আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, জর্ডান

    গ্রুপ কে : পর্তুগাল, উজবেকিস্তান, কলম্বিয়া, ফিফা প্লে-অফ ১ জয়ী দল

    গ্রুপ এল : ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ঘানা, পানামা।

  • Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    Vladimir Putin India Visit: সময় পরীক্ষিত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! অর্থনীতি–প্রতিরক্ষা–পর্যটন–শিক্ষাসহ নানা চুক্তি ভারত-রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফর শেষ করে শুক্রবার রাতেই দেশ ছাড়লেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President, Vladimir Putin)। ২৮ ঘণ্টার ব্যস্ত সূচি শেষে বিদায়বেলায় পুতিনকে এগিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা, ব্যাঙ্কোয়েট হলে মোদি (PM Narendra Modi)–পুতিনের পাশাপাশি বসা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্য—সব মিলিয়ে বৈঠকের গাম্ভীর্য থেকে জোরদার বার্তা পাঠাল দুই দেশ। শুরু হল দিল্লি–মস্কো (Vladimir Putin India Visit) সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়। বাণিজ্য থেকে জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি থেকে প্রতিরক্ষা—প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করে ফেলল দুই দেশ।

    জ্বালানি ও বাণিজ্যে গভীরতর সম্পর্ক

    দিল্লি-মস্কো ঠিক করে ফেলল আগামী ছয় বছরের বাণিজ্যিক পথনকশা। লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যেই ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। বৈঠক শেষে রাশিয়ার স্পষ্ট বার্তা, “ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে তেল সরবরাহ করতে প্রস্তুত মস্কো।” জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি—সব খাতেই যৌথ উন্নয়নে এগোবে দুই দেশ। জ্বালানি নিরাপত্তাকে ভারত–রাশিয়া অংশীদারিত্বের মূল স্তম্ভ বলে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, নাগরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দুই দেশের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি লক্ষ্যের প্রতি অঙ্গীকারকে আরও জোরদার করছে। দুই দেশই রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি, জি-২০, ব্রিকস, এসসিওর মতো ফোরামে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিরক্ষায় যৌথ উৎপাদন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এদিন রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারত ও রাশিয়ার লেনদেন পৌঁছে গিয়েছে ৬৪ বিলিয়ন ডলারে। শীঘ্রই এই অঙ্কটা পৌঁছে যাবে ১০০ বিলিয়ন ডলারে।” একইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট জানা এই বাণিজ্যের ৯৬ শতাংশই হয়েছে দেশীয় মুদ্রায় অর্থাৎ ভারতের টাকা ও রাশিয়ার রুবেলে মাধ্যমে। অর্থাৎ ডলারকে পাশ কাটিয়ে দেশীয় মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে জোয়ার এনেছে দুই দেশ। যা আমেরিকার ডলার অস্ত্রকে কড়া জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।

    রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন

    সম্মেলনের পর এক্স-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, “২৩তম ভারত–রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার নানান দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক সহযোগিতা কর্মসূচিতে সম্মত হয়েছি। সংযোগ বৃদ্ধি, জাহাজ নির্মাণ, দক্ষতা উন্নয়ন, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বহু ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো হবে।” রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারত আবারও জানিয়েছে—ভারত শান্তির পক্ষেই। মোদি জোর দিয়ে বলেছেন, স্থায়ী শান্তিই ভারতের লক্ষ্য, এবং অচলাবস্থা নিরসনে শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরি। শুক্রবার যৌথ প্রেস বৈঠক থেকে রাশিয়ায় দু’টি নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি বলেন, ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকটাই হল উভয় দেশের সংস্কৃতি ও জনসাধারণ।’ আর সেই সংস্কৃতি ও জনসাধারণের মেলবন্ধনকে বজায় রাখতে রাশিয়ার কাজান এবং ইয়েকাতেরিনবুর্গে দু’টি ভারতীয় দূতাবাস খুলেছে নয়াদিল্লি। যার উদ্বোধন হল শুক্রবার।

    কুড়ানকুলামের দায়িত্ব নিলেন পুতিন

    ভারতের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কুড়ানকুলামে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে রাশিয়া। তামিলনাড়ুর এই পারমাণবিক কেন্দ্রে ছয়টি চুল্লির মধ্য়ে দু’টি ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি চারটি এখনও নির্মীয়মান। সেগুলির দায়িত্ব নিতে চায় রাশিয়া, জানিয়েছেন খোদ পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করব আমরা।’ দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, “আগামী দিনে আমাদের এই বন্ধুত্ব বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি দেবে এবং এই বিশ্বাস আমাদের যৌথ ভবিষ্যৎ আরও সমৃদ্ধ করবে।” মোদি এদিন ভারত–রাশিয়া বন্ধুত্বকে “ধ্রুবতারা” বলে অভিহিত করেন—যা বহু ভূরাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও অটুট থেকেছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে দ্রুত এফটিএ (FTA) সম্পাদনের আহ্বান জানায় ভারত-রাশিয়া। দুই নেতা দ্রুত ইএইউ (Eurasian Economic Union)-এর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে মতৈক্যে আসেন।

    ২৩তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যে প্রধান সমঝোতাগুলিতে সই হয়েছে—

    ভারত–রাশিয়া কৌশলগত সহযোগিতা কর্মসূচি (২০২৩–২০৩০)—বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জাহাজ নির্মাণ, শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ইত্যাদিতে সহযোগিতা বিস্তারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ চুক্তি।

    দুই দেশের নাগরিকদের অস্থায়ী শ্রম কার্যক্রম সংক্রান্ত চুক্তি

    অবৈধ অভিবাসন দমনে সহযোগিতা

    উভয় দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা

    খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা

    মেরু জলে পরিচালিত জাহাজের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণে সহযোগিতা

    রাসায়নিক সার খাতে সহযোগিতা

    পণ্য ও যানবাহনের প্রি-অ্যারাইভাল তথ্য বিনিময়

    দুই দেশের ডাক ও যোগাযোগ বিভাগে চুক্তি

    মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় ও লোমোনোসভ মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা

    তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে প্রসার ভারতী ও রাশিয়ার বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার মধ্যে একাধিক চুক্তি

    ভারত নেতৃত্বাধীন ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্সে (IBCA) রাশিয়ার যোগদানের জন্য কাঠামোগত চুক্তি

    “ইন্ডিয়া ফেব্রিক অফ টাইম” (India, Fabric of Time) প্রদর্শনীর আয়োজন

    রুশ নাগরিকদের জন্য ৩০ দিনের ই-ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

    রুশ পর্যটকদের জন্য গ্রুপ ট্যুরিস্ট ভিসা বিনামূল্যে প্রদান

  • Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    Winter Weather Update: মরসুমের শীতলতম দিন! কলকাতার তাপমাত্রা এক রাতেই নামল আড়াই ডিগ্রি, আরও পড়বে পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের শুরুতেই জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে। প্রথমবার ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল কলকাতার পারদ। আজ, শনিবার মরসুমের শীতলতম দিন৷ কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পারদ নামল ১৪ ডিগ্রির ঘরে৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি কম। শুক্রবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে, এক রাতেই তাপমাত্রা কমল আড়াই ডিগ্রি! আলিপুরের পূর্বাভাস, এখন সবে শুরু! আরও নামবে পারদ।

    কী বলছে আবহাওয়া দফতর?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর এই মুহূর্তে আর তেমন কোনও নিম্নচাপ অঞ্চল নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী সাত দিন শুষ্কই থাকবে আবহাওয়া৷ বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে উত্তুরে হাওয়ার পথেও কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে শীত আরও বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গে আরও অন্তত দু’ডিগ্রি কমতে পারে রাতের তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে কনকনে শীতের অনুভূতি বজায় থাকবে জেলায় জেলায়।

    দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই শীতের আমেজ। দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়ায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। সপ্তাহান্তে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেকটা কমছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে একধাক্কায় তাপমাত্রা পতন হয়েছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে শীতলতম স্থান ছিল শ্রীনিকেতন৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনি ও রবিবার রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কুয়াশা থাকবে ভোরের দিকে।

    উত্তরবঙ্গের পূর্বাভাস

    অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকছে। পাহাড়েও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সপ্তাহান্তে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যাবে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই কুয়াশার দাপট থাকবে। ফলে দৃশ্যমানতার অভাব থাকবে। কুয়াশার প্রভাবে সতর্কতা জারি রয়েছে উত্তরে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সমতল অঞ্চলে শীতলতম স্থান ছিল আলিপুরদুয়ার৷ তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদায় তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে। ওপরের পাঁচটি জেলার মধ্যে দার্জিলিংয়ে পারদ নেমেছে ৪.৫ পাঁচ ডিগ্রিতে৷ আগামী সাত দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন নেই৷

  • Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    Orange Eating Benefits: শীতে প্রতিদিন শিশুদের ব্রেকফাস্টে থাকুক একটা কমলালেবু, কতখানি উপকারি এই ফল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ নামতেই বাজারে হাজির কমলালেবু! বাঙালির শীতকালের সঙ্গে কমলালেবুর সম্পর্ক চিরকালীন। সকালের প্রাতঃরাশের থালায় হোক, কিংবা স্কুলের টিফিন বাক্সে, কমলালেবুর উপস্থিতি জানান দেয় শীতের দাপট! তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাদে ও গন্ধে শুধু নয়, কমলালেবু স্বাস্থ্য গুনেও ভরপুর! তবে কিছুক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকার পাওয়া যাবে।

    নিয়মিত বাচ্চাকে কমলালেবু দিলে কী হয়?

    রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। শিশুরা শীতের সময়ে অনেকেই নানান সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাস ঘটিত জ্বর-কাশি-সর্দিতে শিশুদের ভোগান্তি বাড়ে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে এই ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমবে। ভোগান্তিও কম হবে।

    হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে!

    শীত মানেই নানান উৎসবের মরশুম। পিকনিক হোক কিংবা পারিবারিক উৎসব, নানান অনুষ্ঠান চলে। তাই খানাপিনাও দেদার চলে। বিশেষত প্রাণীজ প্রোটিনের নানান পদ খাওয়া বেশি হয়। এই সময়ে অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের মরশুমে শিশুদের বমি কিংবা পেটের সমস্যার মতো নানান ভোগান্তি বাড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, হজমের অসুবিধার জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কমলালেবু খেলে শিশুদের হজম শক্তি বাড়ে। তাঁদের পরামর্শ, জলখাবারের পরে কিংবা স্কুলের টিফিন শেষে নিয়মিত কমলালেবু খেলে হজম শক্তি বাড়বে।

    ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ক্লান্তি দূর করতে কমলালেবু বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুরা দিনভর নানান কাজ করে। ছোটাছুটিও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা বেশি করে। তাই তাদের বাড়তি এনার্জি প্রয়োজন। শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এবং এনার্জির চাহিদা পূরণ করতে কমলালেবু খুব উপকারি। কমলালেবুতে একাধিক ভিটামিন রয়েছে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি হয় না।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    ভারতীয় শিশুরা স্থুলতার সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত ওজন পরবর্তীতে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কমলালেবু ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অতিরিক্ত খাওয়া বা ‘ওভার ইটিং’-র প্রবণতা কমবে।

    হাড়ের রোগের ঝুঁকি কমবে!

    বয়ঃসন্ধিকালে থাকা সময় থেকেই বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। বহু স্কুল পড়ুয়া ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। যা দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, স্কুলের টিফিনে শীতকাল জুড়ে থাকুক কমলালেবু। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুতে নানান রকম ভিটামিন থাকার পাশপাশি থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো নানান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ। এই উপাদান হাড় মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই কমলালেবু নিয়মিত খেলে হাড়ের মজবুত হবে।

    বড়দের জন্যও সমান ভাবেই উপকারি

    শিশুদের পাশপাশি বড়দের জন্যও কমলালেবু সমান ভাবেই উপকারি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কমলালেবু ত্বকের সমস্যা মেটাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় জেরবার হন। ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুলকানির মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার ধরে রাখতেও সাহায্য করে। পাশপাশি কমলালেবু হার্টের রোগের ঝুঁকিও কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষত শীতকালে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ে। তাই এই সময়ে আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতনতা থাকা প্রয়োজন। তাঁদের পরামর্শ নিয়মিত কমলালেবু খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমলালেবুতে থাকা পটাশিয়াম সহ একাধিক খনিজ সম্পদ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    তবে, খেয়াল রাখতে হবে…

    তবে কমলালেবুর উপকার পাওয়ার জন্য এই ফল খাওয়ার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কমলালেবু খালি পেটে খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ভারি খাবার খাওয়ার পরে তবেই কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে দিনে দুটোর বেশি কমলালেবু খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে অন্যান্য সমস্যা দেখা যেতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের দিনে একাধিক কমলালেবু না দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share