Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Mohan Bhagwat: কলকাতায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: কলকাতায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের ১২৬তম জন্ম দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই দিন শহীদ মিনারের পাদদেশে সভা করবেন তিনি। নেতাজির জন্ম দিবসের অনুষ্ঠান সেখানেই পালন করবে আরএসএস। এদিনের সভায় নেতাজির আদর্শ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন ডঃ ভাগবত। গোটা রাজ্যের হাজার হাজার স্বেচ্ছা সেবক ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আরএসএস সূত্রে জানা গিয়েছে।  

    গত বুধবার কলকাতা এসে পৌঁছেছেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। আগামী ২৩ জানুয়ারি অবধি এই শহরেই থাকবেন তিনি। হাতে রয়েছে একগুচ্ছ কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। এই ছয় দিনের সফরে একদিকে যেমন বেশ কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জনসভা করবেন সঙ্ঘ প্রধান। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য বিজেপি নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে। এছাড়া ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি সংগঠনের কর্মীবৃন্দের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন আরএসএস প্রধান। সূত্রের খবর, মূলত কলকাতা এবং হাওড়ার কর্মীরাই এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

    আরও পড়ুন: ভাটপাড়া থেকে উদ্ধার অসংখ্য বোমা, ম্যাটাডোরে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ

    বঙ্গ সফরে নাড্ডাও 

    এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই বঙ্গ সফরে রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি এবারে মায়াপুর ইসকন মন্দিরেও যাবেন বিজেপি সভাপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই রাজ্যে আসছেন নাড্ডা। চলতি বছরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই ভোটকেই পাখির চোখ করে রাজ্যে পা রাখছেন নাড্ডা- মোহন ভাগবতরা (Mohan Bhagwat)। ইসকন মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি সভাপতির। সোম ও মঙ্গল দু’দিন দিল্লিতে বিজের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের শেষদিনেই দ্বিতীয়বারের জন্য দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেপি নাড্ডা। সেজন্য তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় দিল্লি আদালতও জামিন দিল না অনুব্রতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সেই জেলেই ফিরতে হল বীরভূম জেলা তৃণমূ্লের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আজও কেষ্টর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আগেই গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সেই পথ অনেকটাই প্রশস্থ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ইডির আর্জির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। এবার দিল্লি হাইকোর্টের মামলাও যদি অনুব্রত হেরে যান, তাহলে ইডির কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া আর আটকানো যাবে না।  

     

    কী জানা গেল? 

    ইতিমধ্যেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে আরও এক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। আপাতত তিনি সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন। কিন্তু পরে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে জেরা করার অনুমতি চায়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ইডির আবেদন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু অনুব্রত সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যান। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টেও ইডির মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে মামলা করেন। দিল্লিতে অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার এই জামিন মামলাটিই খারিজ করেছে দিল্লির আদালত। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা      

    দিল্লির আদালত অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জামিন খারিজ করলেও হাইকোর্টে মামলাটি এখনও বিচারাধীন। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই অনুব্রতকে দিল্লিতে এনে জেরা করা হবে। অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগলকে আগেই গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে নিয়ে এসে জেরা করেছে ইডি। এখন তাঁর ঠিকানা তিহার জেল। ইডি যদি অনুব্রতকে হেফাজতে পায়, তাহলে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে দিল্লিতে জেরা করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন অপেক্ষা দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Digvijay Singh: পুলওয়ামা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় দিগ্বিজয়কে থামালেন জয়রাম রমেশ

    Digvijay Singh: পুলওয়ামা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় দিগ্বিজয়কে থামালেন জয়রাম রমেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh)। সোমবার সাংবাদিকদের সামনে পুলওয়ামা আক্রমণ নিয়ে আরও বেফাঁস মন্তব্য করা থেকে দিগ্বিজয়কে আটকালেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ। সাংবাদিকরা দিগ্বিজয়ের মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে, সাংবাদিকদের ঠেলে দূরে সরিয়ে দেন জয়রাম রমেশ।

    কী ঘটেছে?  

    ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাংবাদিকরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং পুলওয়ামা হামলার বিষয়ে দিগ্বিজয়ের (Digvijay Singh) মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে, জয়রাম রমেশ পিছন থেকে দ্রুত এগিয়ে যান এবং সাংবাদিকের হাতে ধরে রাখা মাইকটিকে ধাক্কা দেন। যদিও এরপরেও নিজের বক্তব্য রাখেন দিগ্বিজয় সিং। 

    সোমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরে বিতর্কে জানান দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh)। সোমবার জম্মুতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় এসে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং বলেন, “আমাদের ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান পুলওয়ামায় শহীদ হয়েছিলেন। সিআরপিএফ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অনুরোধ করেছিলেন যে, কর্মীদের এয়ারলিফ্ট করা উচিত, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি রাজি হননি। কীভাবে এই ধরনের ত্রুটি ঘটল? আজ পর্যন্ত, পুলওয়ামা নিয়ে কোনও রিপোর্ট সংসদের সামনে রাখা হয়নি’। কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “তারা দাবি করে যে একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে, কিন্তু প্রমাণ দেখায়নি। তাঁরা শুধু মিথ্যা ছড়ায়।”  

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে জম্মুকাশ্মীরের উড়িতে সন্ত্রাসবাদী হামলার ১০ দিন পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত। উড়িতে সেনাবাহিনীর ১২ নম্বর ব্রিগেডের সদর দফতরে হামলা চালায় চার জন জঙ্গি। হামলায় মৃত্যু হয় ১৮ জন সেনার।

    এর আগে রবিবার দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh) বলেন, “প্রথমত, আমরা রাজৌরির ধাংরি এবং জম্মুর নারওয়ালে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানাই। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মুকাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে আসলে তা নয়। হত্যা এবং বোমা বিস্ফোরণ ফের শুরু হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মঙ্গলে কুন্তল-তাপসকে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা! নীলাদ্রির ‘পরিচয়’ মিলবে এদিনই?

    প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার ১২৯তম দিনে তাতে যোগ দেন দিগ্বিজয় সিং (Digvijay Singh), কে সি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ, জম্মুকাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান ভিকার রসুল ওয়ানি, কার্যকরী সভাপতি রমন ভাল্লা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তারিক হামিদ কাররা-র মতো নেতারা। গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। আগামী ৩০ জানুয়ারি তা শ্রীনগরে সমাপ্ত হওয়ার কথা। পদযাত্রার সমাপ্তি উপলক্ষে একটি মেগা র‍্যালিতে দলের সদর দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা রয়েছে রাহুল গান্ধীর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Layoffs: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    Layoffs: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএনএন থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট পর্যন্ত, কঠিন সময়ের মুখোমুখি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বছরের শুরুতেই একাধিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই- এর (Layoffs) ঘোষণা করেছে। ভক্স মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন এবং এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের ৭% কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে৷  সিএনএন, এনবিসি, এমএসএনবিসি, বাজফিড এবং অন্যান্য আউটলেটগুলিতে ইতিমধ্যেই বড় সংখ্যক ছাঁটাই হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার 

    শুক্রবার দ্য মেমোতে ভক্স মিডিয়ার সিইও জিম ব্যাঙ্কফ ঘোষণা করেছেন “আমাদের ব্যবসা এবং শিল্প কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিভিন্ন বিভাগে আমাদের প্রায় সাত শতাংশ কর্মীদের বাদ (Layoffs) দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

    দ্য মেমো এদিন বলে, “যারা বাদ যাচ্ছেন তাঁদের পরবর্তী ১৫ মিনিটের মধ্যে নোটিস দিয়ে দেওয়া হবে। ১৯০০ কর্মীর মধ্যে ১৩০ জনকে ছাঁটাই করা হচ্ছে।”

    কী বলছেন সাংবাদিকরা? 

    পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক মেগান ম্যাককারন, ভক্স মিডিয়ায় ন বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনিও শুক্রবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী থাকাকালীন তাঁকেও ছাঁটাই (Layoffs) করা হয়েছে। 
     
    তিনি লেখেন, “আমার সঙ্গী এবং আমি বাবা-মা হতে পেরে খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা যে পরিমাণ অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছি তাতে সত্যিই বুঝতে পারছি না কী করব।”

    ভক্সের একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন যে, কর্মচারীদের বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হবে। যারা গর্ভকালীন ছুটি নিয়েছেন তাঁদের অতিরিক্ত বেতনসহ এই প্যাকেজ দেওয়া হবে। 

    সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অন্যান্য সংস্থা থেকে ছাঁটাই করা সাংবাদিকরাও নতুন চাকরি (Layoffs) খুঁজতে শুরু করেছেন। ট্যুইটারে উগরে দিয়েছেন রাগ, হতাশা বা কৃতজ্ঞতা। 

    ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার এমিলি সিগেল পাঁচ বছর কাজ করেছেন এনবিসিতে (Layoffs)। তিনি ট্যুইটে লেখেন, “আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপটি খুঁজে বের করব। আমি একজন ডেটা রিপোর্টার কিন্তু আমি লিখি এবং খবর তৈরিও করি। আমি এই কাজটি চালিয়ে যেতে চাই। আমার (সরাসরি বার্তা) খোলা আছে।” 

    শুধু সংবাদমাধ্যমগুলিই নয়, সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাই- (Layoffs) এর পথে হেঁটেছে গুগল, মেটার মতো বড় বড় সংস্থা। মার্কিন অর্থনীতি যে চরম সংকটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, তা এই সংস্থাগুলির কর্মী ছাঁটাই- এর সিদ্ধান্তে অনেকটাই স্পষ্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Retail Policy: জাতীয় খুচরো নীতির বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা

    National Retail Policy: জাতীয় খুচরো নীতির বাস্তবায়ন চান বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারিজ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প এবং খুচরো ব্যাবসায়ীদের সমর্থনে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ভারতের সর্বোচ্চ সংস্থা-ইন্ডিয়া সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (National Retail Policy) রিটেল সংবাদের পঞ্চম সংস্করণের আয়োজন করেছিল। কনক্লেভটি ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং আইএমএফ- এর অর্থনীতিবিদ এবং প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক সুরজিত ভাল্লা অংশগ্রহণ করেন। 

    রিটেল সংবাদের আলোচনায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ (National Retail Policy) রাই বলেন, “ভারতের ছোট শহর ও গ্রামের খুচরো ব্যবসাই অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পিছনে চালিকা শক্তি। ভারতীয় খুচরো ব্যবসা দেশের যুবকদের সফলতা ও উন্নতির জন্য একটি বিশাল সুযোগ দেয়। এই খাতে দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকেরও ক্ষমতায়ন হয়েছে এবং এটি ভারতের  ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সত্যিকারের মেরুদণ্ড। ভারতে খুচরো ব্যবসাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে, আত্মনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে ভারত।”

    বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সুরজিৎ ভাল্লা (National Retail Policy) বলেন, “এই দশকটিকে ভবিষ্যতে ‘ভারতের দশক’ হিসাবে আখ্যা দেওয়া হবে। ভারত বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। আমরা অর্থনীতি এবং বিশ্বায়ন ২.০ -এর চূড়ায় রয়েছি। ২০১৪-এর পরে কার্যকরী অর্থনৈতিক সংস্কার হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পের ক্ষেত্রে, দেউলিয়া আইন, কৃষকদের কাছে নগদ হস্তান্তর, জিএসটি, স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে সামাজিক সংস্কার ভারতকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। যদিও নীতি সংস্কারগুলি ভাল হয়েছে, তবে তাদের বাস্তবায়ন আরও দ্রুত হওয়া উচিত। নীতি যত বেশি স্বচ্ছ হবে, বাস্তবায়ন ততই দ্রুত হবে। এছাড়াও, ভারতে অনেক নিয়মকানুন অপ্রয়োজনীয় এবং সেগুলি কমাতে হবে। ভারত বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতায় কম প্রভাবিত হবে, কারণ ভারতের আভ্যন্তরীণ উন্নতি অব্যহত থাকবে।”

    আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ভিত্তিহীন, দাবি ভারতের, সংবাদ সংস্থার সমালোচনা সুনাকেরও

    প্রথম প্যানেলের আলোচনার (National Retail Policy) বিষয় ছিল ‘ভারতীয় খুচরো সেক্টরের টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় নীতির বাস্তবায়ন’, যেখানে সেক্টর বিশেষজ্ঞরা নীতিগত হস্তক্ষেপ এবং আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক সুবিধাগুলিতে অ্যাক্সেস, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটালাইজেশনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    সম্মেলনে বক্তৃতা (National Retail Policy) দিতে গিয়ে, মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি ইন্ডিয়ার এমডি এবং সিইও অরবিন্দ মেদিরাত্তা বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পৃথক খুচরো মন্ত্রক তৈরির বিষয়টি ভীষণই প্রাসঙ্গিক। এই মন্ত্রক খুচরো ব্যবসায় আসা চ্যালেঞ্জগুলিকে একচেটিয়াভাবে মোকাবেলা করতে পারে৷ এই দেশে কৃষির পরে খুচরো ব্যবসাই দ্বিতীয় বৃহত্তম জীবিকা প্রদানকারী। সমস্ত দেশ জুড়ে জাতীয় খুচরো নীতির বাস্তবায়ন এবং সরলীকরণ প্রয়োজন। খুচরো নীতিতে এফডিআই, ব্যবসা করার সুবিধা, শ্রম আইনের মতো দিকগুলিকে কভার করতে হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই পাকিস্তানের উপনির্বাচন (Imran Khan)। উপনির্বাচনে ৩৩টি আসনেই লড়বেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের শীর্ষ নেতা ফওয়াদ চৌধুরি।

    গত ১৭ জানুয়ারি ফওয়াদ একটি ট্যুইটে জানান, উপনির্বাচনের (Imran Khan) ৩৩টি আসনেই তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী ইমরান খান। শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ১৬ মার্চ হবে পাকিস্তানের উপনির্বাচন।  

    দলের নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির বলেন, “১৬ মার্চ যে উপনির্বাচন (Imran Khan) হবে, তাতে ইমরানকে সকলে ভোট দেবেন বলে আশাবাদী আমি। ইমরানের উপর সকলের যে এখনও ভরসা রয়েছে, তা ভোটের মাধ্যমেই বোঝা যাবে।”

    কেন এই উপনির্বাচন? 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খান (Imran Khan) ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে গণ পদত্যাগ করেছিলেন পিটিআই- এর একাধিক সদস্য। স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে সে সময় পিটিআইয়ের ৩৫ জনেরও বেশি সদস্য ইস্তফা দেন। কিন্তু, আশরাফ মাত্র ১১টি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন যে বাকি সাংসদদের যাচাইয়ের জন্য পৃথকভাবে তলব করা হবে। আট মাস ধরে প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার পর, আশরাফ, আরও ৩৪ জন পিটিআই সাংসদ এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। মনে করা হচ্ছে দল আস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে ‘পরীক্ষা’ করবে।

    আরও পড়ুন: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    উল্লেখ্য, হায়দার আলী খান, সেলিম রেহমান, সাহেবজাদা সিবগাতুল্লাহ, মেহবুব শাহ, মহম্মদ বশির খান, জুনায়েদ আকবর, শের আকবর খান, আলী খান জাদুন, ইঞ্জিঃ উসমান খান তারাকাই এবং মুজাহিদ আলীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে (Imran Khan)। সংরক্ষিত আসন থেকে, আন্দালিব আব্বাস, আসমা কাদির, মালেকা আলী বোখারি এবং মুনাওয়ারা বিবি বালোচের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এই মুহূর্তে বহু আসন প্রার্থী শূন্য (Imran Khan)। তাই এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কুরেশি জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই ১৬ মার্চ উপনির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Odisha: হল না শেষরক্ষা, বুকে গুলি লেগে প্রয়াত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস

    Odisha: হল না শেষরক্ষা, বুকে গুলি লেগে প্রয়াত ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন ওড়িশার (Odisha) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব দাস। বুকে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এদিন দুপুরে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজরাজনগরের কাছে গান্ধী চকে রাজ্য পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি ছোঁড়েন। সেখানেই মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এয়ারলিফট করে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যাওয়া হয়। এত কিছুর পরেও হল না শেষরক্ষা। এদিকে হামলাকারী পুলিশকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে।

    আজ দুপুর একটার দিকে ঝাড়সুগুদা জেলার ব্রজনগরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন নব দাস (Odisha) । সেই সময় নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালায় ওড়িশা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। ব্রজরাজনগরের এসডিপিও গুপ্তেশ্বর ভোই জানিয়েছেন, হামলাকারী এএসআই-এর নাম গোপাল দাস। স্থানীয়রাই গোপাল দাসকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারপরে হামলাকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন গাড়ি থেকে নামার সময় গুলি চালানো হয়। গুলি চালানোর কারণ এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ কন্যাদের হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় তরুণীরা

    কী জানা গেল?

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঝাড়সুগুদা (Odisha) জেলার বজরঙ্গ নগরের গান্ধী চকে নতুন দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গাড়ির দরজা খুলে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। মন্ত্রীর বুকে দুটি গুলি লাগে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়সুগুদা বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। মন্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

    এদিকে, প্রথমে হামলাকারীর পরিচয় না জানা গেলেও, পরে জানা গিয়েছে যিনি গুলি চালিয়েছেন, তিনি পুলিশের এএসআই। তাঁর নাম গোপাল চন্দ্র দাস। সূত্রের খবর, ওই পুলিশ অফিসার গান্ধী চক পোস্টে (Odisha) ডিউটিতে ছিলেন। মন্ত্রী আসার খবর পেয়েই তিনি ওই দলীয় কার্যালয়ের কাছে যান। মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামতেই নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। মন্ত্রী লুটিয়ে পড়লে তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। ঘটনার জেরে ওড়িশা সরকারের তরফে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় ত্রুটি কীভাবে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মহারাষ্ট্রের একটি মন্দিরে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ কলস দান করে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে এসেছিলেন ওড়িশার (Odisha) এই মন্ত্রী। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা জানে না তাঁর দলও। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন”, বিবিসি-র (BBC) এই তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় এলাকার ফ্রেমন্টে প্রতিবাদ দেখালেন প্রবাসী ভারতীয়রা। “ভারতীয় প্রবাসী” এর ব্যানারে প্রায় ৫০ জন সদস্য স্লোগান দেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় মিছিলেও হাঁটেন। তাঁদের দাবি, বিবিসির অশুভ ও পক্ষপাতমূলক তথ্যচিত্র প্রত্যাখ্যান করা হোক। ফ্রেমন্টে মিছিল করার সময়, ভারতীয়রা “পক্ষপাতদুষ্ট বিবিসি” এবং “বর্ণবাদী বিবিসি” এর মতো স্লোগান তোলেন।

    ফ্রেমন্টে ভারতীয়দের মিছিলের (BBC) ব্যানারে লেখা ছিল, “বিবিসি একটি বোগাস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন” এবং “ভারতীয় প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিবিসির অশুভ এবং পক্ষপাতদুষ্ট ডকুমেন্টারি প্রত্যাখ্যান করেছে”, “বিবিসি ডকুমেন্টারি ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে”, “বিবিসি একটি ভুয়ো, দালাল সংবাদমাধ্যম”।  

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    বিশ্বজুড়ে বিতর্ক 

    এই সিরিজ় (BBC) নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা (BBC) নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Maan ki Baat: ১৪৫টি পেটেন্ট রয়েছে এই সংস্থার নামে, আইআইএসসি-র প্রশংসায় নরেন্দ্র মোদি

    Maan ki Baat: ১৪৫টি পেটেন্ট রয়েছে এই সংস্থার নামে, আইআইএসসি-র প্রশংসায় নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৭ তম ‘মন কি বাত’ (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরুর ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “দেশের সবথেকে পুরোনো বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, অর্থাৎ আইআইএসসি এক মহৎ দৃষ্টান্ত পেশ করছে। মন কি বাত-এ আমি আগে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই সংস্থা স্থাপনের নেপথ্যে ভারতের দুই মহান ব্যক্তিত্ব জামশেদজী টাটা ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা রয়েছে। এটা জেনে আমাদের সবার গর্ব হবে যে, ২০২২ সালে এই সংস্থার নামে ১৪৫ টি পেটেন্ট রয়েছে। এর অর্থ প্রতি পাঁচ দিনে দুটি পেটেন্ট। এই রেকর্ড আশ্চর্য! এই সফলতার জন্য আমি আইআইএসসির  টিম কে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। বন্ধুরা আজ পেটেন্ট ফিলিং-এ ভারতের স্থান সপ্তম আর ট্রেডমার্কে পঞ্চম। শুধুমাত্র পেটেণ্টের কথা বললে গত পাঁচ বছরে এখানে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।  গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সেও ভারতের র‍্যাঙ্কিং-এ উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে এবং এখন ভারত চল্লিশতম স্থানে রয়েছে। যেখানে ২০১৫-তে ভারতের স্থান ছিল আশিতম। আমি আরও একটি খুশির কথা আপনাদের বলতে চাই। ভারতে গত এগারো বছরে প্রথমবার ডোমেস্টিক পেটেন্ট ফিলিং-এর সংখ্যা ফরেন ফিলিং-এর থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। এটি ভারতের বর্ধিষ্ণু বৈজ্ঞানিক সামর্থ্যের পরিচয় দেয়।

    কী বলেন প্রধানমন্ত্রী?      

    বছরের প্রথম মন কি বাত (Maan ki Baat) অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন শুরুতেইই পদ্ম সম্মান প্রাপকদের অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এটাই ছিল বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠান। প্রতি মাসের চতুর্থ রবিবার মনকি বাত অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে বার্তা দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন বছরের প্রথম মনকি বাত অনুষ্ঠানে ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ সম্মোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রক্তে, সংস্কৃতিতে মিশে রয়েছে গণতন্ত্র। বহু শতাব্ধী ধরেই এটি আমাদের জীবনের, সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসানে রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে থাকি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, গণতন্ত্রের জননী ভারত।” সেই সঙ্গে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছাও জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) বলেন, “এবারের পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাদেরও, যারা প্রাচীন, ঐতিহ্যশালী বাদ্য়, যেমন সন্তুর, বামহুম, দোতারা বাজিয়ে সুর ছড়িয়ে দিয়েছেন।”

    মিলেটের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন (Maan ki Baat), ২০২৩ সালকে মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে গণ্য করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মিলেট দিয়ে নানা খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কাস্মীর স্নো ক্রিকেট এবং উইন্টার গেমসকে ‘খেলো ইন্ডিয়ার’- সম্প্রসারিত অংশ বলে উল্লেখ প্রধানমন্ত্রীর

    প্রধানমন্ত্রী (Maan ki Baat) আরও বলেন, “আগামিদিনে নতুন বিপ্লব আসতে চলেছে। সাধারণ মানুষ যেভাবে বিশাল হারে যোগাসন ও শরীরচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে, একইভাবে মিলেটকেও ব্যাপক হারে গ্রহণ করে তা জনপ্রিয় করে তোলা হবে। ভারতের প্রস্তাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক যোগাসন দিবস ও আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষের ঘোষণা করেছে। যোগাসন যেমন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, একইভাবে মিলেটও স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC TET: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    SSC TET: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC TET) আরও এক নাটকীয় মোড়। এবার দোষারোপের খেলা। বুধবার দুই অভিযুক্ত, তাপস মণ্ডল এবং কুন্তল ঘোষকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতে একই প্রশ্নে দু’জন আলাদা কথা বলেন । ইডি সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হলে কথা কাটাকাটি করেন তাপস এবং কুন্তল।   

    গতকাল, এই মামলায় হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। বুধবার রাত ১১টার পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন শান্তনু। পরে তাপসকেও ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

    কী জানা গিয়েছে?      

    বুধবার দুর্নীতি মামলায় তাপস (SSC TET) এবং কুন্তলকে ম্যারাথন জেরা চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন নথি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তাপসের কাছে। তবে তাপসের সন্তোষজনক উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে ইডি। একই ভাবে কুন্তলকেও বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়।

    আরও পড়ুন: সাধারণতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথে মোদির ‘আত্মনির্ভর’ ভারত, জানুন বিস্তারিত  

    উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত (SSC TET) সভাপতি মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্ক ছিল তাপস মণ্ডলের। চার্জশিটেও তাঁর নাম আছে। জেরার মুখে তাপস  হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তলের নাম উল্লেখ করেন। তাপস জানান, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছে থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। সূত্রের খবর, তাপস এ-ও দাবি করেন যে, পরিচিতেরা তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাঁদের কাছ থেকেও প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা তুলেছেন কুন্তল। সেই সংক্রান্ত নথিও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তাপস মণ্ডলl।    

    কুন্তলকে এর আগেও দুদফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই (SSC TET)। এর পর গত শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে তদন্তে নামে ইডি। কুন্তলের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি এও বলেন, তাঁর সন্তানকে অপহরণের হুমকি দিয়েছিলেন তাপস। তবে এই পুরো ঘটনা থেকে দলকে দূরে রাখার অনুরোধ করেন কুন্তল।    
     
    এর আগে মঙ্গলবারও তাপস এবং কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছে ইডি। তাপসের কাছে ইডির প্রশ্ন ছিল কুন্তল কী দুর্নীতিতে যুক্ত? এর জবাবে তাপস বলন, “যদি মনে করেন, তবে তাই ভেবে নেবেন। তা হলে আর কোনও উত্তর দেব না।’’  

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা কুন্তল (SSC TET) পেশাগত ভাবে ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, একাধিক বিএড কলেজ আছে তাঁর। তবে সেই কলেজের মালিক একাধিক। এই সূত্র ধরে তাপসের সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় বলে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
LinkedIn
Share