Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • NIFT: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    NIFT: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজির (NIFT)  ২০২৩ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন পর্ব শুরু হচ্ছে আজ অর্থাৎ ১ লা নভেম্বর থেকে চলবে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২ অবধি‌। আগ্রহী প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন এই ওয়েবসাইটে গিয়ে nift.ac.in,  খুঁটিনাটি সমস্ত কিছু তথ্য এখানেই পাওয়া যাবে ।

    যোগ্যতা: আবেদনকারীকে যেকোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে ১০+২ পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। 

    আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২৪ বছরের নিচে হতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণীর প্রার্থীরা অর্থাৎ তপশিলি জাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরা পাঁচ বছর অবধি বয়সের ছাড় পাবেন। 

    প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীরা ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি তে।

    বিষয়গুলি হলো:

    1)Accessory Design, 

    2)Fashion Communication 

    3) Fashion Design, 

    4)Knitwear Design, 

    5)Leather Design and Textile Design

    পরবর্তীকালে এখান থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ রয়েছে। বিষয় গুলি হলো

    1)Master of Fashion Management (MFM)

    2) Master of Fashion Technology

    সাধারণ ক্যাটাগরির জন্য পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০০ টাকা এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ১০০০ টাকা।

    ২০২৩ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লেট ফাইন দিয়ে আবেদন করা যাবে ।সেক্ষেত্রে লেট ফাইন দিতে হবে ৫০০০ টাকা। পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ২০২৩ এর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে দেওয়া হবে। পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করা হয়েছে ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chennai: চিকিৎসা করাতে এসে প্রণয়, মানসিক হাসপাতালেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ২ রোগী

    Chennai: চিকিৎসা করাতে এসে প্রণয়, মানসিক হাসপাতালেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ২ রোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন জুড়েছিল আগেই। এবার তা পেল সামাজিক স্বীকৃতি। চেন্নাইয়ের (Chennai) মানসিক হাসপাতালের ২২৮ বছরের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। বিয়ে হল দুই মানসিক রোগীর। হাসপাতালের এই দুই রোগীকে প্রায়ই দেখা যেত ফাঁকা করিডোরে দাঁড়িয়ে গল্প করতে। ৩৬ বছরের দীপা (Deepa) আর ৪২ এর মহেন্দ্রনকে (Mahendran) ক্যাফেটেরিয়াতেও আড্ডা জমাতে দেখা যেত। অবাক হয়েছিলেন হাসপাতালের কর্মীরা। নালিশ গিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁদের একে অপরের থেকে দূরে রাখার চেষ্টাতেও কোনও কসুর করেনি হাসপাতালের কর্মীরা। কিন্তু সেই সব চেষ্টাতে জল ঢেলে শুক্রবার সেই দুজনই পাশাপাশি বসলেন বর-কনে হিসেবে। তাঁদের বিয়েতে উপস্থিত থেকে আশীর্বাদ দিলেন সেই হাসপাতালের কর্মীরাই, যারা একদিন এই সম্পর্কের বিরোধীতা করেছিলেন। বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএ সুব্রামনিয়ান। তিনি নব বিবাহিত দম্পতিকে উপহার ভর্তি একটি থালা এবং পবিত্র সুতো উপহার দেন। এদিন অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেখর বাবু এবং সাংসদ দয়ানিধি মারান। 

    বিয়ের পর তাঁদের নতুন ঠিকানা হবে ভাড়ায় নেওয়া একটি বাড়ি। অ্যাঁর মানসিক হাসপাতাল নয়, নতুন সেই বাড়িতেই নিজেদের মতো করে জগৎ গড়বেন দীপা-মহেন্দ্রন। মহেন্দ্রনকে সরকারি চাকরিও দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল(IMH)  হেলথে শর্ত সাপেক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড পারদ-পতন কলকাতায়! অক্টোবরেই তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রির নীচে  

    পরিবার সাথ ছেড়েছিল অনেক আগেই। দু বছর আগে মানসিক রোগের চিকিৎসা করতে চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ  হাসপাতালে এসেছিলেন দীপা এবং মহেন্দ্রন। তাঁরা নিজেরাও ভাবেননি মনের অসুখের চিকিৎসা করাতে করাতে পেয়ে যাবেন মনের মানুষ। দীপা বলেন, “মহেন্দ্রন যখন আমাকে বিয়ের কথা বলেছিলেন, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। উত্তরও দিইনি। ওর প্রস্তাব শোনার পরও বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার পর আবার হাসপাতালেই ফিরতে হল। আমি বুঝতে পারছিলাম, জীবনটা যদি অর্থবহ হয় তবে এই মানুষটার জন্যই হতে পারে। না হলে নয়।” দীপা যখন সংবাদমাধ্যমকে এই কথাগুলো বলছিলেন তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মহেন্দ্রন। গুনগুন করে গাইছিলেন এসপি বালাসুব্রহ্মণ্যমের গান। গান শেষ করে বলেন, “আমরা একটা নতুন জীবন শুরু করতে চলেছি। কিন্তু তোমাকে মনে রাখতে হবে, আমি যদি রেগে যাই বা কখনও বকাবকি করি, তা হলে সেটা তোমার ভালর জন্যই করছি।” মহেন্দ্রন জানান, দীপার মধ্যেই তিনি খুঁজে পেয়েছেন গোটা একটা পরিবার। মা, বোন, প্রিয় বন্ধু মহেন্দ্রনের কাছে সবটাই আজ দীপা।  

    চেন্নাইয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথে তাঁরা যখন ভর্তি হন, তখন কেউ কাউকে চিনতেন না। কিন্তু পরবর্তী ২ বছর ধরে একটু একটু করে বদল ঘটতে থাকে তাঁদের আচরণে। দুজনের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। মহেন্দ্রনের পারিবারিক সম্পত্তিগত কারণে আত্মীয়দের মধ্যে বিবাদ লাগে। তারপরেই ওলটপালট হয়ে যায় তাঁর জীবন। বাবার মৃত্যুশোক গভীরভাবে আঘাত করে দীপাকে। মা ও ছোট বোন থাকা সত্ত্বেও নিজেকে তিনি একা মনে করতে শুরু করেন। আজ আর দুজনেরই ফেরার কোনও জায়গা নেই। গোটা পৃথিবীতে তাঁদের একমাত্র ঠিকানা মানসিক হাসপাতাল। তবে, একে অপরের মধ্যে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন দীপা-মহেন্দ্রন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    Nakasipara Accident: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা, দুই শিশুসহ মৃত পাঁচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাকাশিপাড়ায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা (Nakashipara Accident)। লরি এবং মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলা, দুই শিশুসহ মোট পাঁচ জন। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল প্লাজা থেকে একটু দূরেই ঘটেছে ঘটনাটি। 

    জানা গিয়েছে, টোল প্লাজা থেকে কিছুটা দূরে একটি মারুতি আসছিল ৷ তখনই উলটো দিক থেকে যাচ্ছিল একটি ১০ চাকার লরি । দুটি গাড়িরই গতিবেগ বেশি থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে সামনাসামনি ধাক্কা মারে। কার্যত পিষে যায় ওই মারুতিটি। এমনকি এভাবে বেশ কিছুটা রাস্তা মারুতিটিকে টেনে নিয়ে যায় লরিটি ৷ যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মারুতিতে থাকা পাঁচজনের৷ 

    আরও পড়ুন: ফের দুর্দান্ত ইনিংস কোহলির, ৫৬ রানে নেদারল্যান্ডকে হারাল ভারত  

    খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ (Nakashipara Police Station) ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দুই শিশু, এক মহিলা এবং দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তারপর সেখান থেকে  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদের সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেই কারণে কখনও টু ওয়ে থেকে ওয়ান ওয়ে রাস্তা পারাপারের সময় অরহরহ লেগেই রয়েছে দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার কারণও সেটাই ৷    

    সকালে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সময় লেগে যায়। পথচারীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ-সহ মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দুটি গাড়ির সংঘর্ষে রাস্তার ধারের একটি গর্তে গিয়ে ছিটকে পড়ে ছোট গাড়িটি। সাত সকালে প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ছোট গাড়ির যাত্রীরা আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। স্থানীয় নাকাশিপাড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পাঁচ জনকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BCCI: ঘুচল বেতন-বৈষম্য, এখন থেকে সমান পারিশ্রমিক পাবেন রোহিত-হরমনপ্রীতরা, ঘোষণা বিসিসিআই- এর

    BCCI: ঘুচল বেতন-বৈষম্য, এখন থেকে সমান পারিশ্রমিক পাবেন রোহিত-হরমনপ্রীতরা, ঘোষণা বিসিসিআই- এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। আর থাকবে না মহিলা ও পরুষদের বেতনের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য। দুই দলের ক্রিকেটাররাই প্রতি ম্যাচে সমান টাকা পাবেন। এমনই ঘোষণা করলেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) সচিব জয় শাহ (Jay Shah)।  

    সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি করেছেন জয় শাহ। তিনি জানিয়েছেন, “এখন থেকে মহিলারাও পুরুষদের সমান ম্যাচ ফি পাবেন।” উল্লেখ্য, এখন টেস্ট ক্রিকেটে একটি ম্যাচের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পান রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। যেখানে একদিনের আন্তর্জাতিকে একটি ম্যাচের জন্য তাঁরা পান ৬ লক্ষ টাকা। 

    আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    জয় শাহ লিখেছেন, “এখন লিঙ্গ সমতার যুগ। তাই এখন থেকে পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্রিকেটারের জন্য সমান ম্যাচ ফি থাকবে। বিসিসিআই এই বৈষম্য দূর করতে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে আনন্দিত। আমরা আমাদের চুক্তিবদ্ধ মহিলা ক্রিকেটারদের জন্য সমতা নীতি বাস্তবায়ন করছি।” এই মুহূর্তে পুরুষ ক্রিকেটাররা একটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার জন্য ৩ লক্ষ টাকা পান। এখন মহিলা ক্রিকেটারদেরও সেই পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। তিনি আরও লেখেন, “বেতনসাম্যের ব্যাপারে আমরা মহিলা ক্রিকেটারদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। সমর্থনের জন্য অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সব সদস্যকে ধন্যবাদ।”

     কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বিসিসিআইকে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে এরকম যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
     


    এই সিদ্ধান্তের জন্যে জয় শাহ এবং বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কর। 

     

    উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে নিউজ়িল্যান্ড জানিয়ে দেয়, মহিলা এবং পুরুষ ক্রিকেটারদের সমান বেতন দিতে চলেছে তারা। অস্ট্রেলিয়াও একই ঘোষণা করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমান বেতন কার্যকর করতে পারেনি তারা। ভারতই সে ক্ষেত্রে প্রথম। এছাড়া আগামী বছর থেকে মহিলা ক্রিকেটেও আইপিএলের আয়োজন করা হবে। বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভাতেই সে বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়।  সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই বোর্ড সভাপতি থাকাকালীন এই ঘোষণা করে গিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার জোগানই সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ। রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বৈঠকে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে শুক্রবার শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী (UN Terror Meet) কমিটির বৈঠক। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল দিকগুলির মধ্যে অন্যতম হল, এর টাকার জোগানকে দমন করা। কারণ এই মূলধনই হল সন্ত্রাসবাদের প্রাণ। বাস্তব এটাই যে, সন্ত্রাসবাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রয়েছে। ক্রমেই তা প্রসারিত হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্নিহিত ছবি তুলে ধরছে। এর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থান পাচ্ছে।” 

    রাষ্ট্রসংঘে ‘স্থানীয় প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ ও তার অর্থায়ন মোকাবিলা’ শীর্ষক বৈঠকে এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অপরাধীদের আনার কাজ অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে। আর তার কারণ একটাই। এই ভয়ঙ্কর হামলার মূল চক্রীরা সুরক্ষিত অবস্থায় লুকিয়ে আছে।” তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু সন্ত্রাসবাদীকে নিরাপত্তা পরিষদ নিষিদ্ধ করতে পারেনি।  

    পাকিস্তানের নাম না করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসে জড়িতদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জ এখনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ২৬/১১ হামলা শুধু মুম্বাইয়ের উপর ছিল না। ছিল বিশ্ববাসীর উপর। তাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখতে সময় এসেছে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার।” 

    এস জয়শঙ্কর বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে একজনকে জীবিত ধরা হয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে বিচার হয়েছিল এবং দোষী সব্যস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক বিষয় হল, নিরাপত্তা পরিষদ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসবাদীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারেনি।”

    জয়শঙ্কর রাষ্ট্রসংঘ কমিটির বিবেচনার জন্য পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের কথাও উল্লেখ করেছেন। এই সংগঠন সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের ধূসর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    পাঁচটি পয়েন্টে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 

    ১. সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এফএটিএফ-এর মতো অন্যান্য ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

    ২. শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে যাতে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত অকার্যকর না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। 

    ৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলগুলিকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। এভাবে সন্ত্রাসবাদী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

    ৪. অস্ত্র এবং অবৈধ মাদক পাচারের মত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র এখন বেশ স্পষ্ট ও প্রমাণিত। এটি চিহ্নিত করতে হবে।  

    ৫. সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে বিভিন্ন সূত্র অর্থ সাহায্য করছে। সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহৃত নতুন প্রযুক্তির মোকাবিলায় আমাদের কাছে উন্নত সমাধান থাকা প্রয়োজন।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    Partha Chatterjee: ভার্চুয়াল নয়, কাঠগড়াতেই দাঁড়াতে হবে পার্থকে, শুনানি পেছালেন ক্ষুব্ধ বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিছিয়ে গেল পার্থ মামলার শুনানি। শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও হাজিরা এড়িয়ে যান। ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তাতে সম্মতি দেন নি বিচারক। বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা উল্লেখ করেছে,দুর্নীতির মূিলি. হোতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত আইন মেনেই নির্দেশ দিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেমন আছে তা আদালত দেখতে চাইতেই পারেন। 

    আরও পড়ুন: ১০,০০০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ শুভেন্দুর

    শুক্রবার সকাল থেকেই শুনানি নিয়ে এই শুরু হয় জটিলতা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে পাঠায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। পরিবর্তে নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয় আদালতে। এরপরে শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন আজ সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা হয়নি। ১৪ দিন আগে যখন শেষবার শুনানি হয় তখন আদালত নির্দেশ দেয় যাতে পরের দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ বাকি সকল অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের অর্ডারে এই নির্দেশ লেখা ছিল। 

    পার্থর আইনজীবী সেলিম আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানানোর আছে, তাই দ্রুত শুনানি করতে হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী সোমবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে পার্থকে। আজ শুনানির ঠিক আগে, শেষ মুহূর্তে বিচারক জানতে পারেন, জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পার্থর ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকায়, তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    এর আগে জেল থেকে ইডির মামলায় ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন পার্থ। প্রথম দিকে প্রাক্তনমন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হয়েছিল কয়েকবার। পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা ভেবে সশরীরে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না। এরপর থেকেই ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে শুরু করেন পার্থ। তবে সিবিআই-এর মামলায় আগে ভার্চুয়াল শুনানি হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     
  • JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    JU Finanacial Crisis: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সাহায্য চেয়ে পোস্ট ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের শিক্ষা পরিষ্ঠানের আর্থিক সংকটের (JU Financial Crisis) কথা জানতে পেরে ফেসবুকে আর্থিক সাহায্যের অনুরোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ বছর বয়সী প্রাক্তনী স্যানফ্রান্সিস্কোর বাসিন্দা রমেন চক্রবর্তী (Ramen Chakrabarti)। ১৯৫৪ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক হন রমেন বাবু। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে তিনি জানতে পারেন ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

    গ্লোবাল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি অ্যালুমনাই ফাউন্ডেশনের পেজে তিনি ২৩ অক্টোবর একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “সংবাদমাধ্যম থেকে আমি জানতে পারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটারি রক্ষণাবেক্ষণের টাকা নেই। শুধু শিক্ষকদের মায়নে দেওয়ার মতো সামর্থটুকু আছে। আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমার বিশ্ববিদ্যালয় এটা ভেবে কান্না পাচ্ছে।” 

    তিনি আরও লেখেন। “এরকমটা কেন হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের কত ছাত্র-ছাত্রী গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা নিজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন। আমি যাদবপুরের সব ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনুরোধ করতে চাই সবাই নিজের সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ান। আমার দেখা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর অন্যতম। যাদবপুর আপনাদের দুহাত ভরে দিয়েছে, এবার আপনাদের পালা।” 

    আর দু’মাস পরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন সভা (Jadavpur University Convocation) অনুষ্ঠিত হবে। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যে আর্থিক সংকটের (Extreme fund crunch) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাতে সভার আয়োজন নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকেও চিঠি লিখেছে কর্তৃপক্ষ। অতিমারির জেরে গত দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ডিসেম্বর মাসে আবার হতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। তবে ধাপে ধাপে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বরাদ্দ। ব্যাপক আর্থিক সংকটের মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরে বার্ষিক সমাবর্তন হলেও হবে না বিশেষ বা সাম্মানিক সমাবর্তন। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো এ বারে সমাবর্তন সভা বড় পরিসরে করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে অধ্যাপকদের মনে। ২০১৭ সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে আর্থিক অনুদান । এরপর করোনা সংক্রমণের জেরে সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ আরও হ্রাস পায়। এর ফলে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ। শুধু তাই নয়, করোনা কালে যখন একটানা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়, তখন আর্থিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও।

    আরও পড়ুন: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। চলতি বছরে দুই ধাপে ১২ কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ধাপের টাকা এলে এই সংখ্যাটা ১৮ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। তাই এই আর্থিক সংকটের মধ্যে কত ভালো ভাবে সমাবর্তন সভা করা যাবে, সেই বিষয়টা নিয়েও আমাদের মনে একটা আশংকা রয়েছে। কারণ গত দুবছর করোনা কালের সমাবর্তন সভা করা যায়নি ৷ স্বাভাবিকভাবেই এই বছর যাতে খুব ভালো করে এই সমাবর্তন সভা করা যায় সেটাই আমাদের ইচ্ছা।” 
      
    তিনি আরও বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোড রয়েছে, তাদের বৈঠকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে যেন আটকে থাকা বরাদ্দ টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত বিভাগ হচ্ছে এই কোড যেখানে প্রতিটি দফতরের প্রধানরা থাকেন।”

    চলতি বছরে বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ ২৩ শতাংশ কমেছে । গবেষণার খাতেও টাকা বন্ধ হয়েছে। ডিএসটির মতো প্রজেক্টের ক্ষেত্রে শর্ত চাপানো হয়েছে । জানানো হয়েছে যে, বাজেটের ২৫ ভাগ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই আমাদের আবেদনে সাড়া দেবে সরকার।” প্রসঙ্গত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনের দুটি ভাগ থাকে। একটি হল স্পেশাল বা বিশেষ সমাবর্তন । আরেকটি হল সাধারণ সমাবর্তন। এ বছর বিশেষ সমাবর্তন করা হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রক্তনীদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অ্যালুমনি সেল তৈরি করা হয়েছিল ৷

     ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গবেষণার ক্ষেত্রে উপরের তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সংকটে ভুগছে। ফলে কীভাবে এই র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাধারণত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্তনীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত প্রক্তনীদের কাছ থেকে পরিকল্পিতভাবে আর্থিক সাহায্য চায়নি। তবে আর্থিক সংকট মেটাতে এখন পরিকল্পিতভাবেই সেই পথে এগোতে চাইছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘প্রাক্তনীরা বিভিন্নভাবে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন। মুম্বই, সিঙ্গাপুর আমেরিকায় থাকা প্রাক্তনীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন।’ উপাচার্যের আশায় এভাবে প্রক্তনীদের সহায়তায় যাদবপুর এগিয়ে যাবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sun Weidong: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    Sun Weidong: “আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত”, বললেন চিনা রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ানে সংঘর্ষের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভারতে নিযুক্ত সেই চিনা রাষ্ট্রদূত সান উইদং (Sun Weidong) বিদায় নেওয়ার আগে  বুধবার দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে। সেখানে সান বলেন, ‘‘দু’দেশের গুরুতর কোনও মতপার্থক্য না থাকলেও সীমান্তে উত্তেজনা স্বাভাবিক ঘটনা। আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত।’’ 

    ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেওয়ার আগে মঙ্গলবার বিদায়ী বক্তৃতায় সান বলেছিলন, ‘‘কিছু মতপার্থক্য থাকলেও ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।’’ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সাউথ ব্লকে বিদায়ী চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “সীমান্তে শান্তি ফিরলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, এবং তা এশিয়া এবং গোটা বিশ্বের জন্যে মঙ্গল।” 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ভালো-খারাপ হয় না, মুম্বাইয়ে রাষ্টসংঘের বৈঠকের আগে বলল ভারত

    প্রসঙ্গত, ২০২০-র জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সেনার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সে সময় সান নয়াদিল্লিকে বলেছিলেন,  “পড়শি দেশকে শত্রু ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তিক্ততা ভুলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কী ভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে দুই দেশকে।” তাঁর ওই বিবৃতির পরেই সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছিল।  

    লাদাখ সীমান্তের ঘটনার পর নয়াদিল্লি-বেজিং আর্থিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব পরে। সে সময় একাধিক চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। সে প্রসঙ্গে সান সেই সময় বলেছিলেন, ‘‘সংঘাতের পরিস্থিতিতেও ভারতকে নিয়ে চিনের মত বদলায়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও ছেদ পড়েনি। গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনও দেশের পক্ষেই আত্মনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বায়নের যুগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ যত বাড়বে, ততই মঙ্গল। তবেই উন্নতিসাধন সম্ভব।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • J&K Encounter: কাশ্মীরে একের পর এক এনকাউন্টারে খতম একাধিক লস্কর জঙ্গি

    J&K Encounter: কাশ্মীরে একের পর এক এনকাউন্টারে খতম একাধিক লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারমুল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হল লস্কর  ই তৈবা জঙ্গি। বারামুল্লার (Baramulla) ওয়ানসিরান তরিপোরা এলাকায় সেনা এবং জঙ্গিদের মধ্যে বহুক্ষণ বন্দুক যুদ্ধ চলে। 

    কাশ্মীর জোন পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে, বারমুল্লার ওয়ানসিরান তারিপোরা এলাকায় এনকাউন্টার (Encounter) শুরু হয়েছে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।” 
     
    এর আগে পুলিশ মঙ্গলবার এবং বুধবার মাঝরাতে কাশ্মীরের কুপওয়ারার (Kupwara) তাংধর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এক সন্ত্রাসবাদী দলের অনুপ্রবেশের চেষ্টা বানচাল করেছে। সেখানেও সেনার হাতে খতম হয় এক লস্কর জঙ্গি। 

    আরও পড়ুন: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার রাজু সাহানির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, আজই তোলা হবে আদালতে 

    তাংধরে যুদ্ধ সামগ্রী এবং মাদক চোরাচালানের সম্পর্কে আগেই খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে একটি যৌথ অভিযান, চালায় সেনা এবং কাশ্মীর পুলিশ। একজন লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করা হলেও, অন্য একজন অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) অঞ্চলে পালিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: সুরজকুণ্ডে অমিত শাহের ডাকে চিন্তন বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, কেন? 

    প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা  বানচাল করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযান চলাকালীন এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারিত 

    বিড বানচাল হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে, কাশ্মীরে “ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদ চালানোর প্রচেষ্টা” এবং “যুদ্ধবিরতি সমঝোতার বিপরীতে গিয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার” জন্য পাকিস্তানকে পাল্টা দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী।” 

    শ্রীনগরের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল এমরন মুসাভি এবিষয়ে বলেন “সুদপুরা তাংধরে একটি যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল। জম্মু এবং কাশ্মীর  পুলিশের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয় এই অভিযান। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও সেই তথ্য নিশ্চিত করে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • DDLJ: কিং খানের জন্মদিনে ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে

    DDLJ: কিং খানের জন্মদিনে ফের মুক্তি পাচ্ছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। রাত পোহালেই বলিউডের বাদসার জন্মদিন। আর তার একদিন কিং খানের ভক্তদের জন্যে বড় ঘোষণা করল যশ রাজ ফিল্মস (Yash Raj Films)। শাহরুখের (Shah Rukh Khan) জন্মদিন উপলক্ষে দেশজুড়ে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে শাহরুখ খান অভিনীত কাল্ট ক্লাসিক ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ (Dilwale Dulhania Le Jayenge)। ডিডিএলজে ফের মুক্তি পাচ্ছে সিনেমা হলে। 

    ২ নভেম্বর ৫৭ বছর বয়সে পা দিতে চলেছেন শাহরুখ। সেই উপলক্ষ্যেই ওই দিন অভিনেতার কালজয়ী ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ফের প্রেক্ষাগৃহে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিনেমা প্রযোজনা সংস্থা। মঙ্গলবার, সংস্থার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একটি পোস্টে জানানো হয়েছে, যে রাজ-সিমরনের প্রেম কাহিনি দেখানো হবে ‘পিভিআর’, ‘আইনক্স’ ও ‘সিনেপলিস’-এর সব সিনেমা হলে।

     

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Yash Raj Films (@yrf)

    ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও একটুও ভাটা পরেনি রাজ-সিমরনের জনপ্রিয়তায়। আজও অমর এই সিনেমার প্রতিটি গান। আজও প্রেমের গান মানেই সেই ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’। শাহরুখ-কাজলের ম্যাজিক, সংগীত পরিচালক জুটি যতীন-ললিতের প্রেমের সুর। সব মিলিয়ে ‘ডিডিএলজে’ মাইলস্টোন। এই প্রজন্মের কাছে সেই ম্যাজিককেই ফিরিয়ে আনতে যশরাজ ব্যানার পর্দায় ফের নিয়ে আসছে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’। ২ নভেম্বর শাহরুখ খানের জন্মদিন উপলক্ষে ফের মুক্তি পাচ্ছে এই বলিউড ব্লক বাস্টার।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত ভারতের ‘স্টিল ম্যান’ জে জে ইরানি  

    দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, কানপুর, আহমেদাবাদ, লখনউ, পুনে এবং সুরাটে ২ নভেম্বর দেখানো হবে ডিডিএলজে, শুরু হয়ে গিয়েছে অগ্রিম বুকিম। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি হিন্দি ছবির সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল সেই সময়ে। সেই নস্ট্যালজিয়াই বাদশাহের জন্মদিনে শাহরুখভক্তদের উপহার দিচ্ছে পিভিআর।
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 
     

     

     

LinkedIn
Share