Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Mosambi Juice: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের

    Mosambi Juice: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্লাজমার বদলে ডেঙ্গুর রোগীকে মুসম্বির রস (Mosambi Juice) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুও হয়। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এবার প্রয়াগরাজের ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল যোগী সরকার। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একটি নোটিস জারি করে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালটিকে। 

    আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গুগলকে ফের জরিমানা করল সিসিআই

    প্রয়াগরাজের বেসরকারি হাসপাতাল গ্লোবাল হসপিটালে ৩২ বছরের এক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে প্লেটলেটের বদলে মুসম্বির রস দেওয়া হয়। এরপরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। মৃত যুবকের শ্যালক দাবি করেন, “প্লেটলেটের বদলে মোসাম্বির রস দেওয়া হয়েছিল তাঁর ভগ্নিপতিকে। পাঁচ নম্বর প্যাকেটে ফলের রস ছিল। পরে হাসপাতালের আধিকারিকদের সেটা দেখিয়ে পুরো বিষয়টা জানাই।” যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আসতেই দেশজুড়ে প্রতিবাদ গড়ে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। কর্তৃপক্ষকে কড়া নোটিস ধরিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নোটিস বলা হয়েছে, পুরসভার কোনওরকম অনুমতি ছাড়া বেআইনি ভাবে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে সেটিকে ফাঁকা করতে হবে। প্রসঙ্গত মুসম্বি বিতর্কের পরেই সিল করে দেওয়া হয় হাসপাতালটিকে। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ ‘বুলডোজার নোটিস’ জারি করল প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। 

    প্রয়াগরাজের সিএমও নানক সরণ বলেন, “তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগে তিন ইউনিট প্লেটলেট রোগীকে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তার পর হাসপাতালের কারও মারফত তাঁরা আরও প্লেটলেট জোগাড় করেন। তাতে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরের দিন রোগীর মৃত্যু হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Diwali 2022: ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav, পৌঁছল ২৩০ কোটি মানুষের কাছে

    Diwali 2022: ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav, পৌঁছল ২৩০ কোটি মানুষের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার অযোধ্যায় দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav) উদযাপিত হয় জন্য সরযূ নদীর তীরে। আর সেই উপলক্ষে ১৫ লাখের বেশি মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। আর এতে আরও একবার রামনগরীর নাম উঠল একবার গিনেস বুকস অফ ওয়ার্ল্ডরেকর্ডে। এর আগে গত বছর অযোধ্যাতেই দীপোৎসবের আয়োজন করেছিল যোগী সরকার। সেখানে জ্বালানো হইয়েছিল ১২ লক্ষ মাটির প্রদীপ। তাতে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। তার পরে উজ্জয়নীতে সেই রেকর্ড ভাঙা হয়েছিল। এবছর ফের অযোধ্যা রেকর্ড গড়ল। 

    আরও পড়ুন: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    আর একই সঙ্গে ট্যুইটারে ট্রেন্ড করল #AyodhyaDeepotsav। এই হ্যাশট্যগ পৌঁছে যায় বিশ্বব্যাপী ২৩০ কোটি মানুষের কাছে। ২ লক্ষের বেশি মানুষ ট্যুইটারে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনেকে ভিডিও, ফটো শেয়ার করেন, কেউ কোট ট্যুইট করেন, কেউ রিট্যুইট করেন। কেউ আবার কমেন্টে এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন। 

    গতকাল ১৫ লক্ষ ৭৬ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল। ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই কাজ করেন। প্রত্যেকে ২৫৬টি করে প্রদীপ জ্বালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী দীপোৎসবের সূচনা করেন। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এর আগে শ্রী রামলালার দর্শন ও পুজো করেন মোদি। পরে রামমন্দির নির্মাণের কাজ পরিদর্সন করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সাফল্যের পর, প্রধানমন্ত্রী  যোগী আদিত্যনাথের ভূয়সী প্রশংসা করেন। গ্র্যান্ড ফেস্টিভ্যালে রেকর্ড করার সময় ঘাটটিতে প্রায় ৫০ হাজারেও বেশি মানুষ ভিড় করেছিল বলে জানা গিয়েছে। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ৩৭টি ঘাটে আলো জ্বালানো শুরু হয়। গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের এক আধিকারিক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, পাঁচ মিনিটের জন্য কতগুলি প্রজীপ জ্বলবে, সেগুলিই একমাত্র গণনা করা হবে। পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করার জন্য রাখা হয়েছিল ড্রোন।  রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত ঘোষণা করার আগে এই ড্রোন পরীক্ষা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Diwali 2022: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    Diwali 2022: ‘বন্দেমাতরম’ গাইলেন নরেন্দ্র মোদি, শেয়ার করলেন এ আর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবারের মতো এবছরও সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কার্গিলে সেনা জওয়ানদের নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়েছেন, দীপাবলির আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন। সকলের সঙ্গে এদিন বন্দেমাতরম গাইতেও শোনা যায় তাঁকে।

    আরও পড়ুন: সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন সিডিএস  

    এদিনে কার্গিলে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। কার্গিলে মোদিকে দেখেই চলতে থাকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনি। এরপর আয়োজিত হয় সঙ্গীতের আসর। সেনা জওয়ানরা বন্দুক ছেড়ে হাতে তুলে নেন বন্দুক। তারপরেই শুরু হয়, ‘বন্দেমাতরম’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দাঁড়িয়েছিলেন মঞ্চে। হাতে তাল দিতে দিতে প্রধানমন্ত্রীকেও ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে দেখা গেল। 

    এই ভিডিও ট্যুইটারে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কার্গিলে দীপাবলির উচ্ছাস।” 

     


    প্রধানমন্ত্রীর এই ট্যুইট কোট ট্যুইট করে সুর সম্রাট এ আর রহমান (A R Rahman) তামিল ভাষায় ‘বন্দেমাতরম’- এর লিরিক্স লেখেন। 


    প্রসঙ্গত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই গান দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের স্বাধীনতার এতদিন পরেও বন্দমাতরম গানের আবেগ আজও একই রকম। পরবর্তীকালে বিভিন্নভাবে এই সুর দেশবাসীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। একটা সময় সঙ্গীত পরিচালক এআর রহমান এই গানকে নতুন রূপ দেন। এআর রহমানের সুর করা সেই গানই কার্গিলে সেনা জওয়ানরা গেয়েছিলেন। সেইসময় গলা মেলান প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন কার্গিলের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সন্ত্রাস দমন করার ক্ষেত্রে কার্গিল দেখিয়েছে অনন্য উদাহরণ।” উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে মে থেকে জুলাই মাসে কার্গিলে পাকিস্তানি অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখে দিয়ে ভারত সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়। সেই ঘটনা দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে একটি বড় অধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

        

  • Raju Bista: তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট, বৈঠক প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা

    Raju Bista: তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট, বৈঠক প্রসঙ্গে রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর (Ashok Bhattacharya) বাড়িতে সোমবার কালীপুজোর সন্ধ্যায় যান বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই সাক্ষাতের একটি ছবি সামনে এনে তৃণমূল তাদের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, অশোক ভট্টাচার্যকে বাড়িতে গিয়ে বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক বলে এসেছেন, “সরকার ফেলে দেব। সঙ্গে থাকুন।” এই চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও এই দাবিকে ‘ঠুনকো’ বলে অভিহিত করেছেন অশোক ভট্টাচার্য।   

    এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। একটি প্রেস রিলিজে তিনি বলেন, “তৃণমূলের জমানায় যেখানে সাধারণ সৌজন্য বিরল, সেখানে তৃণমূলের কর্মীরা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র, প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে গতকাল আমার দীপাবলির শুভেচ্ছে বিনিময় হয়েছে। তৃণমূলের মুখপত্রে আমাদের এই বৈঠককে ‘নতুন সেট আপ’ প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। এ থেকেই তৃণমূলের হতাশা এবং নিরাপত্তাহীনতা স্পষ্ট। তৃণমূল হয়তো ভুলে গিয়েছে প্রবীণদের সম্মান করা এবং উত্সবের সময় তাদের আশীর্বাদ চাওয়া আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ।” 

    আরও পড়ুন: দৈনিক ৫ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোচ্ছেন? নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো! 
     
    তিনি আরও বলেন, “যখন আমাদের দেশ এবং বিশ্বজুড়ে মানুষরা দীপাবলি এবং কালীপুজো উদযাপন করছে, তখন অনেক তৃণমূল নেতা জেল খাটতে বাধ্য হয়েছেন। আরও অনেকেই সেই পথেই হাঁটছেন। কেউ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায়, কেউ গরু চোরাচালান মামলায়, কেউ কয়লাপাচার মামলায়, কেউ ধর্ষণ ও কেউ হত্যা মামলায় জড়িত থাকার কারণে জেলে রয়েছেন। তৃণমূল নেতা- কর্মীদের ব্যাপক দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়ানোর মধ্যে দিয়েই তৃণমূল দলটির নীতি ও আদর্শ প্রতিফলিত হয়। আর এই কারণেই তৃণমূল নেতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য সর্বদা ক্ষমতায় থাকা এবং জনসাধারণের তহবিল লুটপাট করা। আজ ওরা নিজের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন। এমনকি তাঁরা জানে, তাদের দুর্নীতি এবং অত্যাচারী শাসনের অবসান হতে চলেছে। জনসাধারণের তহবিল লুটপাট এবং নিরপরাধদের  হত্যা করে গড়া তাসের ঘরটি ভেঙে চুরমার হতে চলেছে। আর সেই কারণে তারা সবকিছুকে রাজনৈতিক রঙে রাঙিয়ে  দিতে মরিয়া। সবকিছুতে রাজনীতি না দেখে, কেন এমন শুভ উৎসবের সময়ও কেউ তাদের নেতাদের ডাকেনি সে সম্পর্কে তাদের ভাবা উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন?

    Dengue: ডেঙ্গিতে কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৮০ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬২৭ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হুগলি। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭৬। কলকাতায় এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯৬ জন। তারপর রয়েছে হাওড়া। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭২ জন।

    আরও পড়ুন: ২২ অক্টোবর শুরু হচ্ছে রোজগার মেলা, জানুন বিস্তারিত

    ডেঙ্গিতে নিজে বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে কীভাবে বাড়িতে থেকেই শরীরের যত্ন নেবেন? 

    প্রবল জ্বর, মাথাব‍্যথা, পেশিতে ব‍্যথা— ডেঙ্গির এই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করিয়ে নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে ঠান্ডা জল দিয়ে স্পঞ্জ করতে পারেন। 

    ডেঙ্গির কী কী লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন? 

    ১) প্রস্রাব কম হওয়া।

    ২) জিভ, ঠোঁট এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া।

    ৩) হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যাওয়া।

    ৪) হাতের আঙুল এবং গোড়ালি ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

    এই লক্ষণগুলো দেখলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হয়ে যান। 

    এই লক্ষণগুলো দেখলে কী করবেন বলে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ‘‘এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে স‍্যালাইন দেওয়া যেতে পারে। জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হব। গলাব‍্যথা থাকলে জল হালকা গরম করে নিয়ে খাওয়াই ভাল। উপকার পাবেন। তবে জল খাওয়া কমিয়ে দিলে কোনও মতেই চলবে না।’’

    ডেঙ্গি ছোঁয়াচে না হলেও, রোগীকে যেন মশা না কামড়ায়, সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। আক্রান্তকে কামড়ানো মশা অন‍্য কাউকে কামড়ালে তখন ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই রোগীকে সবসময় মশারীর মধ্যে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোগীকে সারা ক্ষণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ভারী কোনও কাজ করা যাবে না। বাইরের খাবার না খাওয়াই ভালো। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

       

  • Whatsapp new feature: নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হোয়াটস্যাপ, চ্যাটে থেকেই দেখা যাবে স্টেটাস

    Whatsapp new feature: নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হোয়াটস্যাপ, চ্যাটে থেকেই দেখা যাবে স্টেটাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় নিয়মিতই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে মেসেজিং অ্যাপ  হোয়াটসঅ্যাপ। এবার আবারও একটি নতুন ফিচার নিয়ে হাজির তারা। হোয়াটসঅ্যাপের এই ফিচারটি আগেই দেখা গিয়েছে ফেসবুক এবং ইস্টাগ্রামে।  বিটা ভার্সানেও দেখা গিয়েছে এই ফিচার। এতদিন যেমন হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দেখার জন্য একটি আলাদা অপশন পাওয়া যেত, এখন থেকে ব্যবহারকারীদের চ্যাটে থেকেও দেখা যাবে স্টেটাস। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ব্যবহারকারীর জন্যই এর আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে। এই আপডেটে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল ফটোতে স্টেটাস সাইনও দেখতে পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    প্রোফাইল ফটোতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার স্ক্রিনে সেই ব্যবহারকারীর স্টেটাস ভেসে উঠবে। যে ব্যবহারকারী স্টেটাস আপডেট  করেছেন তাঁর প্রোফাইল ফটোর চারপাশে একটি সবুজ বৃত্ত দেখা যাবে। এই ফিচারটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিটা সংস্করণে পরীক্ষা চলছিল। এছাড়াও আরও অনেক নতুন ফিচার আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ কলিং লিঙ্ক এবং স্ট্যাটাস ইমোজি রিপ্লাই। অ্যাপল আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য স্টেটাস রিঅ্যাক্টের ক্ষেত্রে একটি নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে হাইড অনলাইন স্ট্যাটাস অপশন এসেছে। এর সাহায্যে আপনি আপনার অনলাইন স্টেটাস লুকোতে পারবেন।

    এছাড়াও ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু নতুন ফিচার যোগ হতে চলেছে অ্যাপটিতে। এমনই একটি ফিচার হল হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ এডিট। এই ফিচারের সাহায্যে আপনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো মেসেজ এডিট করতে পারবেন। বর্তমানে, এই ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। এছাড়াও, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে ১০২৪ হতে চলেছে। বর্তমানে একটি গ্রুপে ৫১২ জন ব্যবহারকারীকে যুক্ত করা যায়। এছাড়া খুব শীগগির ক্যাপশন সহ ডকুমেন্ট শেয়ার করার অপশও আসতে চলেছে। ভিউ ওয়ানষ মোডে পাঠানো ছবির স্ক্রিনশট ব্লক করার অপশনেও কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এই ফিচার এলে কেউ আর ভিউ ওয়ানস মোডে পাঠানো ছবির স্ক্রিনশট নিতে পারবেন না। সাইবার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    Dirty Bomb: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের সঙ্গে কথা রাশিয়ার, গণতান্ত্রিক উপায়ে সমাধানের পরামর্শ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ডার্টি বম্ব’ প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে রাশিয়া। এমনটাই জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুর (Sergey Shoigu)। রাশিয়ার তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যেকোনও মুহূর্তে তেজক্রিয় বোমা ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন। আর সেই আশঙ্কা থেকেই গত রবিবার থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ন্য়াটো দেশভুক্ত দেশগুলির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু করেছেন। যদিও ইউক্রেন এবং তার বন্ধু দেশগুলি পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের রাশিয়ার এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: প্লাজমার বদলে মুসাম্বির রস, অভিযুক্ত হাসপাতালকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের 

    ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার অনুরোধে ২৬ অক্টোবর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। দুপক্ষের সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়েছে। ডার্টি বোম্ব ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেন, সেব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এনিয়ে ইউক্রেন উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনা ও গণতান্ত্রিক পথে এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউ যেন পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে না পারে  সেব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তেজস্ক্রিয় অস্ত্র ব্যবহৃত হলে মানব সভ্যতার ভয়ঙ্কর ক্ষতি হবে।”   

    বেশ কিছুদিন ধরেই ডার্টি বম্ব প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন শোইগু। সবার সঙ্গেই ডার্টি বম্ব নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, পুতিনদের পরাস্ত্র করতে এই বিশেষ ধরনের বোমা ছোঁড়ার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। এই দাবিকে যদিও একেবারে ‘অবাস্তব’ বলে উড়িয়ে দেয় পশ্চিমের তিন দেশ। ইউক্রেনের  বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা এ বিষয়ে বলেন, “আসলে ডার্টি বম্ব ফেলার পরিকল্পনা করছে রাশিয়াই। সেই জন্য আগে থেকে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছে।”   

    কিন্তু তবুও নিজেদের অভিযোগ থেকে সরে আসেনি রাশিয়া। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও একই অভিযোগ তোলে রাশিয়া। ডার্টি বম্ব মেরে আক্রমণ করবে ইউক্রেন, এই অভিযোগ এনে ১৫ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই দুই সংস্থাকে ডার্টি বম্ব তৈরির বরাত দিয়েছে ইউক্রেন। যদিও এখন অবধি এই দাবির ষপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুতিনের দেশ। সেই কারণেই রাশিয়ার এই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bhoot Chaturdashi: দীপাবলিতে ১৪ শাক, ১৪ প্রদীপ কেন ? কী কী থাকে ১৪ শাকে?

    Bhoot Chaturdashi: দীপাবলিতে ১৪ শাক, ১৪ প্রদীপ কেন ? কী কী থাকে ১৪ শাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী পুজোর এক রাত আগে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী। বাংলার ঘরে ঘরে ভূত চতুর্দশীর দিনে ১৪ শাক খাওয়ার ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে। উল্লেখ্য, ভূত চতুর্দশী চোদ্দ পুরুষকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ভূত চতুর্দশীর দিনে যে ১৪টি শাক খাওয়া হয়, সেগুলি হল, ওল, নটে, বেথুয়া, সরষে, কালকাসুন্দে, জয়ন্তী, নিম, হেলেঞ্চা, সজনে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা, শুলফা ও শুষণী শাক। এই শাক খেয়ে এবং সন্ধেবেলা ১৪ প্রদীপ জ্বালিয়ে দুরাত্মা ও অন্ধকার দূর করার রীতি প্রচলিত আছে। 

    শাস্ত্রমতে, মৃত্যুর পর মানুষের শরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়। অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মারা শান্তি পায়। যে জল দিয়ে ১৪ শাক ধোয়া হয়, সেই জল আবার অনেকে বাড়িতেও ছেটান। মনে করা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।  

    আরও পড়ুন: এই বছর একই দিনে ভূত চতুর্দশী ও দীপাবলি, এই তিথির মাহাত্ম্য জানেন?

    দুপুরে ১৪ শাক খাওয়ার পর সন্ধেবেলা জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। ১৪ পুরুষের উদ্দেশ্যে এই ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। এই ১৪ পুরুষ হলেন, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, মাতা, পিতামহী, প্রপিতামহী, মাতামহ, প্রমাতামহ, বৃদ্ধপ্রমাতামহ, মাতামহী, প্রমাতামহী ও বৃদ্ধপ্রমাতামহী। এ ছাড়াও শ্বশুর-শাশুড়ি। অশুভ আত্মাদের হাত থেকে বাঁচতে ভূত চতুর্দশীর দিনে যে মন্ত্র জপ করা হয়, তা হল ‘শীতলঞ্চ সমাযুক্ত সকণ্টক দলান্বিত। হরপাপ সপামার্গে ভ্রাম্যমাণঃ পুনঃ পুনঃ’। এই মন্ত্র পাঠের ফলে অশুভ আত্মার ভয় কেটে যায়।  

    হিন্দুমতে মনে করা হয়, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত রাজা বলি ও তাঁর অনুচরেরা মর্ত্যে পুজো নিতে আসেন। চতুর্দশী তিথির ভরা অমাবস্যার অন্ধকারে রাজা বলির অনুচরেরা যাতে পথ ভুলে বাড়িতে ঢুকে না-পড়েন, তাই এই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি প্রচলিত আছে। আবার অন্য একটি প্রথা অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় পিতৃপুরুষদের মর্ত্যে আগমন হয়। এই চতুর্দশী তিথিতেই তাঁরা ফিরে যান। সে সময় অন্ধকারে পথ দেখানোর জন্য ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Uttarakhand chopper crash: “মেয়ের খেয়াল রেখ”, চপার দুর্ঘটনার আগে পাইলটের শেষ কল স্ত্রীকে

    Uttarakhand chopper crash: “মেয়ের খেয়াল রেখ”, চপার দুর্ঘটনার আগে পাইলটের শেষ কল স্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মেয়ের খেয়াল রেখ৷ ওর শরীর ভাল নেই”-এই ছিল পাইলট অনিল সিংয়ের স্ত্রীর সঙ্গে শেষ কথা৷ পরের দিন মঙ্গলবারই ৬ জন তীর্থযাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল চপার বেল ৪০৭ (ভিটি-আরপিএন)৷ কম দৃশ্যমানতার জন্য উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ছয় আসনের এই চপার৷ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৫৭ বছর বয়সি পাইলট অনিল সিংও৷ আগের দিনই স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল অনিলের৷ জানতে চেয়েছিলেন মেয়ের কথা৷

    আরও পড়ুন: মুম্বাই হামলায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সচিব

     


      
    কেদারনাথে আসার আগেই দেখে এসেছিলেন মেয়ের শরীর ভালো নেই৷ মেয়ের কাছে আর কখনও ফেরা হবে না বাবা অনিলের৷ স্ত্রী শিরিন আনন্দিতা এবং মেয়ে ফিরোজা সিংকে নিয়ে মুম্বাইয়ের অন্ধেরীর অভিজাত আবাসনে থাকতেন অনিল৷ আদতে পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা অনিল সপরিবার গত ১৫ বছর ধরে এই আবাসনের বাসিন্দা৷   

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটি মূলত আরিয়ান অ্যাভিয়েশন৷ কেদারনাথ মন্দির থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে এই চপার উড়ে যাচ্ছিল গুপ্তকাশী৷ সকাল ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় গরুড় চটি এলাকায় দেব দর্শিনীতে হেলিকপ্টারটি দৃশ্যমানতার অভাবে ভেঙে পড়ে কম৷   

    অপরদিকে দুই যুগলের অবসর নেওয়ার পরের ভ্রমণ দুঃস্বপ্নে পরিণত হল। চারজনের মধ্যে আজ তিনজনই চপার দুর্ঘটনায় মৃত। প্রেম কুমার (৬৩), স্ত্রী সুজাতা (৫৬), সুজাতার বোন কালাই (৬০)। কালাইয়ের স্বামী রমেশ পাহাড় বেয়ে গুপ্তকাশী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাই তিনি আজ জীবিত। তিরুমঙ্গলামে থাকতেন সুজাতা এবং তাঁর স্বামী। দুই ছেলে মেয়েই বিদেশে থাকেন। উচ্চপদস্থ চাকুরে প্রেমকুমার সদ্য অবসর নিয়েছিলেন। রমেশও কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছিলেন। ধর্মপ্রাণ যুগলদের এটাই ছিল অবসরের পর প্রথম ভ্রমণ। আর ফেরা হল না কাছের মানুষের কাছে।  

    জানা গিয়েছে, কেদরনাথ থেকে ওড়ার পরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগে যায়। এরপরই গরুড় চটির কাছে হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। কেদারনাথ ধামের থেকে গরুড় চটির দূরত্ব মাত্র দুই কিমি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Agitation: “এই সরকারকে একটাও ভোট না”, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

    TET Agitation: “এই সরকারকে একটাও ভোট না”, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন চাকরিপ্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল করুণাময়ী। অনশন আন্দোলনের (TET Agitation) মাঝেই চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিশ। ৬১ ঘণ্টার অনশন ভেঙে দিল ১৫ মিনিটেই! প্রতিবাদে সরব আন্দোলনকারীরা। তিনটি বাসে ঠাসাঠাসি করে তোলা হল চাকরিপ্রার্থীদের। আটক করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়। প্রায় ছয় ঘণ্টার বাক্য বিনিময়। তারপর অবশেষে জোর করে অনশন আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ। পাঁজাকোলা করে যখন পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। আর সেই সময়ই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারীরা।

    আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “মেয়েদেরকে মেরেছে, এটা অমানবিক আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম, এই সরকারকে আর একটাও ভোট দেব না।” অন্য আরেকজন অভিযোগ করেন, “পুলিশ নাকে ঘুষি মেরেছে।” অপরজন বলেন, “এই সরকারের সব কাজ রাতের অন্ধকারে হয়। রাত্রে প্রার্থীদের তোলা হয়। রাত্রে রেজাল্ট বের করা হয়। রাত্রে নিয়োগ হয়।” আন্দোলনকারীদের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এদিন। এক মহিলা টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, “অচিন্ত্য ধারা, অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ, এই তিন জনের কোনও ট্রেস আমরা পাচ্ছি না। এই তিন জনের গায়ে যদি একটাও আঁচড় লাগে, কলকাতার রাজপথে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এখানে চাকরিপ্রার্থীদের লাশ দেখবেন।” এক আন্দোলনকারীর আক্ষেপ, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী একজন মহিলা৷ তাঁর নির্দেশ ছাড়া এসব হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী এতটা নির্মম হবেন, ভাবতে পারিনি৷”  আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ

    ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেয়। তবে এত কিছুর পরেও আজ ভোরেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের একাংশ শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ফিরে যান ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান মঞ্চে। আন্দোলনকারী মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশ কীভাবে মহিলা আন্দোলনকারীদের ভোররাতে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিল? তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। 

    এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?”

     


    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে লেখেন, “হিটলারের বাহিনীর মতো মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনরত ২০১৪-র টেট  উত্তীর্ণদের তুলে দিয়েছে। যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে আইন মেনেই অবস্থান করছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share