Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Multan Pakistan: পাকিস্তানের এক হাসপাতালের ছাদ থেকে উদ্ধার প্রায় ৫০০ পচাগলা মানবদেহ

    Multan Pakistan: পাকিস্তানের এক হাসপাতালের ছাদ থেকে উদ্ধার প্রায় ৫০০ পচাগলা মানবদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার পাকিস্তানের মুলতান (Multan Pakistan) শহরের এক হাসপাতালের (Nishtar Hospital) ছাদ থেকে উদ্ধার হল শত শত পচাগলা মৃত দেহ (Decomposed Dead Bodies)। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃত দেহের সংখ্যা ৫০০- ও ছাড়িয়ে যেতে পারে। জানা গিয়েছে, মুলতানে নিশতার হাসপাতালের মর্গের ছাদ থেকে শত শত দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটতার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 

    বিষয়টি নিয়ে আপাতত উত্তাল সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে, মুলতানের নিশতার হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত ছাদে পড়ে রয়েছে শত শত মৃতের দেহাংশ। 

     

    আরও পড়ুন: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    সূত্রের খবর, হাসপতালের ছাদে একটি নির্মিত ঘরেই দেহ গুলি পড়েছিল। মৃতের সংখ্যা নিয়ে সরকার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, খবর আসে হাসপাতালের ছাদে রয়েছে পচা গলা দেহ। তারপরই তিনি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তখনই তাঁকে এক ব্যক্তি মর্গে যেতে বলেন। তিনি অভিযোগ করে জানান, প্রথমে তাঁকে মর্গে ঢুকতে দিতে রাজি হয়নি হাসপাতালের কর্মীরা। জোর করে মর্গে ঢুকে ছাদ থেকে দেহগুলি উদ্ধার করেন। দেহগুলিকে চিল-শকুনে ছিড়ে খাচ্ছিল। বেশ কিছু দেহতে পোকাও লেগে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। সেখানে নারী ও পুরুষদের দেহ উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। দেহগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল কিনা তাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ জানতে চান ওই সরকারি আধিকারিক। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়, মেডিক্যাল ছাত্রদের কাজে লাগে দেহগুলি। 

    প্রসঙ্গত, মানুষ নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে শীর্ষে পাকিস্তান। প্রতি বছরই গড়ে ২ হাজারের ওপর মানুষ নিখোঁজ হয় সেখানে। ২০২১ সালে প্রায় ৮ হাজার মানুষ হারিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন। বেসরকারি হিসেব অনুযায়ী ৬৫০০ বালোচ ও ৫ হাজার পাশতুন নিখোঁজ হয়েছে গত এক বছরে। মৃতদেহগুলি বালোচ বা পাশতুনদেরও হতে পারে বলে অনুমান। কারণ পাকিস্তান নিরাপত্তারক্ষীরা বালোচ এবং পাশতুনদের গুম করছে বলে অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই। জানা গিয়েছে, দেহগুলির গঠন অনেকটা পাহাড়ি মানুষের মত হওয়ায় সন্দেহ বেড়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করার আশ্বাস দিয়েছে পাক প্রশাসন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    Terrorism: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘুর রক্তে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা (Terrorism)। সন্ত্রাসবাদীদের হাতে আবার খুন হলেন কাশ্মীরি (Jammu and Kashmir) পন্ডিত (Kashmiri Pandit)। মৃত ব্যক্তির নাম পুরণ কৃষাণ ভাট। এই ঘটনার পরই সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনায় উত্তাল জম্মু কাশ্মীর। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। কাশ্মীর পুলিশ ট্যুইটারে জানিয়েছে, “সোপিয়ানের চৌদারি গুণ্ড এলাকায় বাগিচায় যাচ্ছিলেন পুরাণকৃষাণ। তখন ওই সংখ্যালঘুকে নিশানা করে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু চলছে।”  

     


          
    দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধরি গুন্ড এলাকায় পুরন ভাটের বাড়ির সামনেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। গুলি লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সোপিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুটি সন্তান রয়েছে ভাটের। একজন সপ্তম শ্রেণি ও অন্যজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বাইরে যেত না পুরণ। ঘরেই থাকত। সন্ত্রস্ত পরিবারের সবাই। 

    পন্ডিত খুনের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার’। ডিআইজি সুজিত কুমার বলেন, ” কাশ্মীর ফ্রিডাম ফাইটার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সেই মুহূর্তে সেখানে এক নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষী ওই এলাকায় একজনকেই দেখেছেন। অন্য কেউ লুকিয়ে থাকলে তাঁকে দেখা যায়নি। স্কুটারে করে এসেছিল খুনিরা। দুজন ছিল। নিরাপত্তারক্ষীর সামনে ঘটনাটি ঘটলে নিরাপত্তারক্ষীসহ ওই এলাকার কর্মরত সব আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 
     
    প্রসঙ্গত, এ বছর এর আগে একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করা হয়েছে। মে মাসেই বুদগামে তেহসিলদারের অফিসে ঢুকে ৩৬ বছর বয়সী রাহুল ভাটকে খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। তারপরই শয়ে শয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায়। গত বছর অক্টোবর থেকেই কাশ্মীরে এইরকম একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়ে আসছে। ফের সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ গেল আরেক কাশ্মীরি পণ্ডিতের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের সঙ্গে গরুপাচারের যোগ? এবার প্রসন্নর স্ত্রী-ভাইকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝে সামনে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য। এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) ভাই ও স্ত্রীকে গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় তলব করল সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। আর এতেই দুয়ে দুয়ে চার করে ফেলেছেন অনেকেই। অনেকেই মনে করছেন, এসএসি দুর্নীতি ও গরু পাচারের নিবিড় যোগ রয়েছে। 

    সিবিআই জানিয়েছে, প্রসন্নকে গ্রেফতার করার পর বেশ কিছু শেল কোম্পানির হদিশ মিলেছে। যেগুলির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এসএসসির টাকা এদিক-ওদিক হয়েছে। আবার গরু পাচার মামলাতেও এমন বেশ কিছু শেল কোম্পানি সিবিআই- এর নজরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন প্রসন্নর স্ত্রী ও ভাই। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, প্রসন্নর কাজটাই ছিল প্রভাবশালীদের টাকা শেল কোম্পানির মাধ্যমে ঘুরিয়ে এদিক ওদিক করা। গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতি সব টাকাই প্রসন্নগর পরিবারের ঘাতে কোনও না কোনও সময় এসেছে।   

    আরও পড়ুন : শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির 

    প্রসন্নকে ২ মাস আগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে চাকরি বিক্রির দালাল প্রসন্ন রায় ও তার সহযোগী প্রদীপ সিং- কে। একদা রঙের ছোট ঠিকাদার প্রসন্ন যে ভাবে গত সাত-আট বছরে ধন কুবের হয়ে উঠেছে তাতে অবাক হয়েছেন অনেকেই। নিউটাউন সল্টলেকে একাধিক সম্পত্তি, লাটাগুড়িতে রিসর্ট। প্রসন্ন হঠাতই রাজা হয়ে উঠেছিলেন। এসএসসি দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রসন্নর ভাই ও স্ত্রীকে এবার গরু পাচার মামলায় ডাকল সিবিআই।   

    গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বিধাননগরে একটি ছোট্ট অফিস থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন প্রসন্ন। সেই অফিসেই চাকরিও বিক্রি করা হত। উত্তর ২৪ পরগনার প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা আদায়ের দায়িত্ব ছিল প্রসন্নর ওপর। নিজের অফিসে বসেই ভুয়ো প্রার্থীদের তালিকা বানাত সে। তার পর তা প্রদীপ সিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে। মূলত প্রদীপকে সামনে রেখেই নথিপত্র এবং টাকার লেনদেন করত প্রসন্ন। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের যাবতীয় মেল প্রসন্নর সল্টলেকের কার রেন্টাল অফিসের কম্পিউটার থেকে করা হত। এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Neet Counselling 2022: ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে নীট ইউজি কাউন্সেলিং- এর রেজিস্ট্রেশন, কী করে করবেন ফর্ম ফিলআপ?

    Neet Counselling 2022: ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে নীট ইউজি কাউন্সেলিং- এর রেজিস্ট্রেশন, কী করে করবেন ফর্ম ফিলআপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১১ অক্টোবর থেকে নীট ইউজি-র কাউন্সেলিং (Neet Counselling 2022)- এর রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। এমনটাই জানিয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সেলিং কমিটি (MCC)। এই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বভারতীয় কোটার ১৫ শতাংশ আসনে, সমস্ত ডিমড/ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইএসআইসি/ এএফএমএস প্রতিষ্ঠানগুলিতে, এইমস ও জিপমার কলেজগুলিতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তি নেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: এবার থেকে ফের একটি টার্মেই পরীক্ষা নেবে সিবিএসই, জানুন এই নিয়মগুলি

    এই বিষয়ে জেনে রাখুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

    • নীট এর সর্বভারতীয় কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া এই বছর চারটি পর্যায়ে হবে। প্রথম রাউন্ডের কাউন্সেলিং (Neet Counselling 2022) শুরু হবে ১১ অক্টোবর। প্রার্থীরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন ১৭ অক্টোবর সকাল ১১টা পর্যন্ত। প্রথম রাউন্ডের আসন বরাদ্দের ফল ঘোষণা করা হবে আগামী ২১ অক্টোবর।
    • নীট ইউজি-র কাউন্সেলিং (Neet Counselling 2022) প্রক্রিয়াতে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা, টাকা জমা দেওয়া, বিকল্প বাছাই ও নিশ্চিত করা, বরাদ্দ আসনের ফল দেখা, বরাদ্দ করা কলেজগুলিতে রিপোর্টিং করা-এই সমস্ত ধাপগুলি ঠিকঠাক সম্পূর্ণ করতে হবে।  
    • এমসিসি সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে সর্বভারতীয় আসনের ১৫ শতাংশ আসন ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার আয়োজন করে। এ ছাড়াও, ডিমড ও সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের, ইএসআইসি/ এএফএমএস এর সমস্ত প্রতিষ্ঠানের, এইমস, জিপমার ও বিএসসি নার্সিং প্রোগ্রামের ১০০ শতাংশ আসনের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার আয়োজন করে।
    • মোট চারটি রাউন্ডে কাউন্সেলিং হবে। প্রথম দুটি রাউন্ড ছাড়া, মপ-আপ রাউন্ড ও স্ট্রে ভ্যাকেন্সি রাউন্ডে কাউন্সেলিং করা হবে ।
    • নীট ইউজি কাউন্সেলিং (Neet Counselling 2022) প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য অসংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের ৫০ পার্সেন্টাইল নম্বর এবং এসসি/ এসটি/ ওবিসি প্রার্থীদের ৪০ পার্সেন্টাইল নম্বর পেতে হবে। নীট-এর রেজাল্টের উপর করেই এনটিএ সর্বভারতীয় ১৫ শতাংশ সংরক্ষিত আসনের মেধাতালিকা প্রকাশ করে। 
    • নীটের কাউন্সেলিংয়ে (Neet Counselling 2022) অংশগ্রহণ করতে, যে নথিগুলি নিয়ে যেতে হবে, সেগুলি হল-  নীটের ২০২১ এর রেজাল্ট বা যে স্থান অধিকার করেছিলেন তার চিঠি, দশম শ্রেণির রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, দ্বাদশ শ্রেণির রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, একটি সরকার প্রদত্ত সচিত্র প্রমাণপত্র, ৬-৮টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে), বিশেষ ভাবে সক্ষমতার সার্টিফিকেট (যদি থাকে), প্রভিশনাল অ্যালটমেন্টের চিঠি। প্রার্থীদের নথিগুলি আসল ও ফটোকপি করে কাউন্সেলিংয়ের সময় নিয়ে যেতে হবে।

    কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?

    প্রথমে mcc.nic.in– এই ওয়েবসাইটটিতে যান। 

    হোমপেজে  ‘UG Medical Counselling’ – এই লিঙ্কটিকে ক্লিক করুন। 

    একটি রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক দেখতে পাবেন। তাতে ক্লিক করুন। 

    লগইন করুন।

    আবেদন পত্রটি ফিলআপ করে, নথি আপলোড করুন।

    আবেদন ফি জমা দিন। 

    ফর্মটি সাবমিট করে দিন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইউরোপীয় জোট ন্যাটোতে যোগ দিলেই ইউক্রেন-রাশিয়া (Ukraine-Russia) সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) আকার নেবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক আধিকারিক। গণভোটের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia)। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের ১৮% নিজেদের দখলে নেওয়া ঘোষণা করেছেন পুতিন। এরপর থেকেই তীব্রতা বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের।  ক্রাইমিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইউক্রেন। এর জেরে বেশ বিপাকে পড়েছে পুতিনের দেশ। এরপরেই রাশিয়ার এই হুশিয়ারি সামনে এল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাস নিউজে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেন্ডেডিক্টোভ (Alexander Venediktov) বলেছেন, “ইউক্রেন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হলে তার ফল হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।” এই ন্য়াটো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করা নিয়েই রাশিয়ার যাবতীয় রোষ ছিল।  

    আরও পড়ুন : ভারত-সহ ৩৫টি দেশ সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে।

    ভেন্ডেডিক্টোভ আরও বলেন, “কিয়েভ খুব ভাল করে জানে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবেই। অবশ্য ওরা সেটাই চাইছে। সমস্যা তৈরি করে নিজেদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আমি মনে করি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার পরিকল্পনার পরিণতি পশ্চিম বুঝতে পেরেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ যে আত্মঘাতী তা ন্যাটোর সদস্যদের বোঝা উচিৎ।” ইউক্রেনের ন্যাটো সংযুক্তিকরণ নিয়ে বার বার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বারবার ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। বিশেষ করে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার মতো প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের জন্য তার বেশি আপত্তি। কারণ রাশিয়া আজও এই দেশদুটিকে নিজের অংশ মনে করে।     

    গত মাসেই পুতিন পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।” এর উত্তরে ন্যাটোর সাধারণ সচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “পুতিন তাঁর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।”

    নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এভাবেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। এর আগেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে পুতিন বেশ কয়েকবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকট থেকেই শেষ পারমানবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। সে কারণেই আগামী সপ্তাহে ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামে বার্ষিক পরমাণু প্রস্তুতি মহড়া চালাবে ন্যাটো।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। তারা বিশ্বের প্রায় ৯০% পারমাণবিক ওয়ারহেড নিয়ন্ত্রণ করে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    Primary TET: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে (Primary TET Notification) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা। মামলাকারীদের দাবি, বিএড উত্তীর্ণদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া যাবে না। সোমবার হবে মামলার শুনানি।

    গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ডিএলএড, বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে পারবেন ডিএলএডের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও। ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আবেদনের শেষ তারিখ ২১ অক্টোবর।

    আরও পড়ুন: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির 

    মামলাকারীদের দাবি, বিএড ডিগ্রি থাকলে প্রাথমিক টেটে আবেদন করা যাবে পর্ষদের বিজ্ঞপ্তির এই অংশ বাতিল করতে হবে। মামলাটি উঠেছে বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনি মামলা দেখে বলেন, “এতো মহা মুশকিল। পর্ষদের বিরুদ্ধে শুধু মামলা হচ্ছে।” 

    নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা না হলেও তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়। আগামী ১১ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 

    মামলাকারীরা তাঁদের সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, রাজস্থান হাইকোর্টেও প্রাথমিক নিয়োগে একই ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে স্থগিত করে দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলার এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

    অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির নীচে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না-অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে নারাজ হাইকোর্ট। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী ২ মাসের জন্য ধর্না চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য। গত ৬ সেপ্টেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়ে নতুন করে পুলিশের কাছে আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। ১৩ সেপ্টেম্বর অনুমতি দেয় পুলিশ। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচদিনের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০১৪-র প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু বিক্ষোভের সময়সীমা বাড়ানোর আনেদন মঞ্জুর করল না আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

       

  • NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    NCB Raid: মুম্বইয়ের গুদাম থেকে ১২০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এনসিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের একটি গুদাম থেকে উদ্ধার ১২০ কোটি টাকার মাদক (Drug) উদ্ধার করল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। মোট ৬০ কেজি মেফোড্রন উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছিল কারবারিরা। ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রাক্তন বিমানচালককে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাছাড়াও ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।      

    এনসিবি জানিয়েছে, ধৃত প্রাক্তন বিমানচালকের নাম সোহেল গাফফার মাহিদা। এর আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিমানচালক হিসাবে এয়ার ইন্ডিয়ায় কাজ করেন। পরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। এছাড়া মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামে চারজনকে মুম্বই থেকে এবং ভাস্কর ভি নামক একজনকে গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০০১ সালে অন্য এক মাদক মামলাতেও পিচাইদাসের নাম জড়িয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে জামিনে মুক্ত আছে সে।

    আরও পড়ুন: কমলা বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার করা হল ১৪৭৬ কোটি টাকার কোকেন!     

    এর আগে চলতি বছরের অগস্ট মাসে ভদোদরা থেকে ২০০ কেজি মেফোড্রন বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। এপ্রিল মাসে কান্দলা থেকে উদ্ধার হয় ২৬০ কেজি মাদক। এই মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এই চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ২২৫ কেজি মাদক বাজারে বিক্রি করেছে এই চক্র। 

    এনসিবির তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনীর গেয়েন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এই আবহে গুজরাট থেকে ১০.৫ কেজি মাদক অন্য রাজ্যে পাচার করার সময় ৩ অক্টোবর বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। সেই সময় ভাস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল পিচাইদাস, মুথু পিচাইদাস, এসএম চৌধুরী, গাফফার মাহিদাকে। এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পান তদন্তকারীরা। এরপর বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এক গোডাউন থেকে ৫০ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং এমআই আলি এবং এমএফ চিস্তি নামক দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    Manik Bhattacharya: ‘কিংপিন’ মানিকের আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি, চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন ‘কিংপিন’ মানিক ভট্টচার্য (Manik Bhattacharya)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের  অভিযোগ, তাঁর আমলেই ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি হয়েছে। জুলাই মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেই সেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। আদালতে হেফাজত পাওয়ার পর রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে মানিককে নিয়ে। 

    আরও পড়ুন: মহিষবাথানে মানিক ভট্টাচার্যের গোপন অফিসের খোঁজ! কী হত সেখানে?

    সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। রাতভর ম্যারাথন জেরা চালানোর পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হিসাবে নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগসাজশ, তাঁকে সুপারিশের মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি নিয়োগ হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেআইনি নিয়োগ। বিশেষ করে ২০১১ সালের পর থেকে ৫৮ হাজারের বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি পুরো কেলেঙ্কারির ‘কিংপিন’ মানিক বলেও দাবি করা হয়েছে। কি কবে, কোথায় টাকা দিতে হবে সবকিছুই নাকি নিয়ন্ত্রণ করতেন ততকৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদেরর সভাপতিই।  তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টেও প্রচুর টাকা জমা রয়েছে।

    আদালতে ইডি-র আরও জানায়, গত ২৭ জুলাই মানিকের বাড়ি থেকে যে সমস্ত নথি ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, সেটি পরীক্ষা করে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঘুষের টাকা একাধিক প্রভাবশালীকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপে যুক্ত থাকার সরাসরি প্রমাণ মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।

    তদন্তে এখন ইডির হাতিয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তদন্তকারীদের নজরে মানিক ভট্টাচার্যর ফোন কল এবং মেসেজ ডিটেলসও। মানিকের মোবাইল ফোনে মেলা সন্দেহজনক দুটি নাম DD ও RK-র পরিচয় সম্পর্কেও জানতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    Climate Change in Mars: শুধু পৃথিবীই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার মঙ্গলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাল গ্রহেও এক সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। সম্প্রতি একথা নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই বিষয়ে গবেষণারত ফরাসী বিজ্ঞানীদের এক দল জানিয়েছে, বহু বছর আগে মঙ্গল (Mars) গ্রহে (Climate Change in Mars) পৃথিবীর মতো পরিবেশ ছিল। মাইক্রোস্কোপিক জীব বেঁচে থাকতে পারত সেই পরিবেশে। তবে এই ছোট জীবগুলির সেই গ্রহের জন্যে ক্ষতিকারক হয়ে পড়ে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা।  

    ফরাসি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই জীবাণুগুলি মঙ্গল গ্রহে বরফ যুগের সূচনা করেছিল। যার ফলে গ্রহের (Climate Change in Mars) বায়ুমণ্ডলে একটি বড় পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের কিছু চিহ্ন এখনও মঙ্গলে রয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, জলবায়ুর পরিবর্তন গ্রহকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, লক্ষাধিক বছর পরেও এই গ্রহের মাটি অনুর্বর থেকে গিয়েছে।  

    গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহে জল ছিল। আজকের তুলনায় সেই সময় মঙ্গলে প্রাণের বিকাশ ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। গ্রহের (Climate Change in Mars) মাটিতে অনুর আকারে যে জীব ছিল, সেগুলি অনেক বেশি মাত্রায় মিথেন তৈরি করত। আগের মঙ্গল গ্রহে আর্দ্র, উষ্ণ জলবায়ু ছিল। পরে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে জীবের মৃত্যু হয়। 

    আরও পড়ুন: কীভাবে পোকামাকড় গাছের ক্ষতি করে?

    এই গবেষণার মুখ্য গবেষক বরিস সাওটেরে বলেন, “মাইক্রোস্কোপিক জীবগুলি নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের কারণ হয়েছে।” গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে মঙ্গলে (Climate Change in Mars) বরফের স্তরও প্রাণের সঞ্চার না ঘটার অন্যতম বড় কারণ।  

    আরও পড়ুন: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২ 

    তবে মঙ্গলের বেশ কিছু অংশে এখনও বিজ্ঞানীরা পৌঁছতে পারেননি। বিশেষত মঙ্গলের (Climate Change in Mars) উত্তর পশ্চিম প্রান্ত এখনও বিজ্ঞানীদের অজানা। তবে নাসার রোভার মঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর ও মাটি সংগ্রহের কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে যে, এই লাল গ্রহ সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবে মানুষ।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Reproductive Choice: সন্তানের জন্ম দিতে স্ত্রীকে চাপ দিতে পারেন না স্বামী, যুগান্তকারী রায় বম্বে হাইকোর্টের

    Reproductive Choice: সন্তানের জন্ম দিতে স্ত্রীকে চাপ দিতে পারেন না স্বামী, যুগান্তকারী রায় বম্বে হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য স্ত্রীর ওপর কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করতে পারবেন না তাঁর স্বামী। সন্তানের জন্ম দিতে চান কি না সেই সিদ্ধান্ত (Reproductive Choice) স্ত্রী নিতে পারবেন। এক মামলায় এমনই যুগান্তকারী রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। 

    সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টে এক মামলার শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন ওঠে, একজন নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়াই যদি গর্ভপাত (Reproductive Choice) করান, তাহলে হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে কি না। ওই মামলায় বিচারপতি অতুল চন্দুরকর এবং উর্মিলা জোশী-ফালকের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, একজন নারীকে সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্যে বাধ্য করা যায় না। 

    আদালত জানিয়েছে, ওই নারীর স্বামীর আবেদন আদালতে গৃহীত হলেও জন্মদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত (Reproductive Choice) নেওয়ার সম্পূর্ন অধিকার রয়েছে একজন মহিলার। ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ অনুযায়ী বিষয়টি নারীদের ব্যক্তিস্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত। এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছেন, বিয়ের পর একজন নারী যদি কর্মক্ষেত্রে যুক্ত থাকতে চান, তা কখনোই অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। পরিবার আদালত ওই মহিলার পক্ষে রায় দিলে পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তার স্বামী। মুম্বাই হাইকোর্টও স্বামীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮ 

    পেশায় শিক্ষিকা ওই মহিলা। ৪৭ বছর বয়সী শিক্ষক স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গর্ভপাতের (Reproductive Choice) অভিযোগ তুলে বিচ্ছেদের আবেদন জানান। তাঁর অভিযোগ, ২০০১ সালে বিয়ের পরেও স্বামীর অমতে চাকরি করেছেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হলে স্বামীকে না জানিয়েই গর্ভপাত করিয়েছেন। এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তির দাবি, ২০০৪ সালে তাকে না জানিয়েই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। আর ফিরে আসেননি।   
     
    স্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, মহিলা স্বামীর কথা মেনে (Reproductive Choice) নিয়েই প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অসুস্থতার জন্য গর্ভপাত করাতে বাধ্য হয়েছিলেন। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেও ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তাকে ফেরানোর স্বামী কোনো চেষ্টাই করেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা।    

    এমনকি সন্তানের লালন পালনের জন্যে ব্যয়ভারও বহন করেননি স্বামী। মহিলার (Reproductive Choice) আইনজীবী আরও জানান, তার মক্কেলকে সন্দেহ করতেন স্বামী ও তাঁর বোন। তাই স্বামীকে ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।  
     
    আদালতের বক্তব্য, একজন নারী সন্তান জন্ম দেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্তের (Reproductive Choice) জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলা যায় না। স্ত্রীর বাড়ি ছাড়ার প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও নারীকে সন্দেহ করা হলে তার পক্ষে শ্বশুরবাড়িতে থাকা খুবই কঠিন। এর পরেই স্বামীর অভিযোগ খারিজের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনও নাকচ করে দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share