Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • India Air Force Day: মহিলা অগ্নিবীরদেরও নিয়োগ করা হবে বায়ুসেনায়, ঘোষণা প্রধান এয়ার চিফ মার্শালের

    India Air Force Day: মহিলা অগ্নিবীরদেরও নিয়োগ করা হবে বায়ুসেনায়, ঘোষণা প্রধান এয়ার চিফ মার্শালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর থেকে মহিলা অগ্নিবীরদের নিয়োগ করা হবে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force)। ৯০তম বায়ুসেনা দিবস (India Air Force Day) উপলক্ষে চণ্ডীগড়ে এমনটাই ঘোষণা করলেন বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী (IAF chief Air Chief Marshal Vivek Ram Chaudhari)। তিনি বলেন, “ভারতীয় বায়ুসেনায় অগ্নিবীরের মাধ্যমে যোদ্ধা নিয়োগের বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জের। তবে ভবিষ্যতের সেনাদের যোগ্যতা বোঝার জন্যে এটা একটা বড় সুযোগ।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের অপারেশনাল ট্রেনিং পদ্ধতিতে বদল। এই বছরের ডিসেম্বরে, আমরা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের জন্য তিন হাজার অগ্নিবীর বায়ুকে নিয়োগ করব। আগামী বছরগুলিতে এই সংখ্যা বাড়বে।” 

    আরও পড়ুন: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    প্রসঙ্গত, ২৪ জুন থেকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনায় (India Air Force Day) নিয়োগ শুরু হয়। প্রতিটি ব্যাচ থেকে সামরিক বাহিনীর ‘রেগুলার ক্যাডারে’ ২৫ শতাংশ ‘অগ্নিবীর’-কে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে চারবছর পর ‘সেবা নিধি প্যাকেজ’-র আওতায় করমুক্ত ১১.৭১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।  

    শনিবার এয়ার চিফ মার্শাল বিবেক রাম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, বায়ুসেনা (India Air Force Day) অফিসারদের জন্য একটি অস্ত্র সিস্টেম শাখা তৈরির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাহিনীর কোনও নতুন অপারেশনাল শাখা তৈরি করা হল। এই নয়া শাখার দায়িত্বেই থাকবে বায়ুসেনার যাবতীয় অত্যাধুনিক অস্ত্র। এর ফলে ৩৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছেন, এয়ার চিফ মার্শাল। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে ভবিষ্যতের লড়াই আমরা অতীতের মানসিকতা নিয়ে লড়তে পারব না।”    

     

    এদিন বায়ুসেনার (India Air Force Day) নয়া যুদ্ধকালীন পোশাকও প্রকাশ করা হয়। সেখানেই এই নয়া পোশাক প্রকাশ করা হয়। আজকের অনুষ্ঠানে এক মহিলা অফিসার সহ মোট পাঁচজন অফিসার এই নয়া পোশাক পরে মার্চপাস্ট করেন। এই নয়া পোশাকের ডিজাইনে কেমোফ্ল্যাজ রয়েছে। পোশাকটি হাল্কা কাপড় দিয়ে তৈরি। কাশ্মীরের পাহাড় থেকে রাজস্থানের মরুভূমি। সব জায়গায় পরা যাবে এই পোশাক। বায়ুসেনা যোদ্ধাদের জন্য‘কমব্যাট টি-শার্ট’ও প্রকাশ করা হয় এদিন। এই নয়া পোশাক ডিজাইন করেছেস্ট্যান্ডিং ড্রেস কমিটি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।  

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে।

    ২০১৯-এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৭৪৩ জন। এবছর এখনই সেই সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর এখনও পর্যন্ত গত সপ্তাহে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি  আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৮৬ এবং ১৪,৬৪৭। ২০২০ ও ২০২১-এ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২১৭৬ জন। এই দুবছরে করোনার কারণে ডেঙ্গির সংক্রমণ কম ছিল।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর 

    আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৩ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  এবছরে আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। হাওড়ায় গত সপ্তাহের আক্রান্তের  সংখ্যা ছিল ৬৩৬। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬৬। কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০০। এই  বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ জেলার ১২ টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জেলার যে ১২ টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ দমদম ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া এবং উত্তরপাড়া।   

    কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সাময়িক তৎপরতা দেখালেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বাসিন্দাদের কাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    Anubrata Mondal: কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির রহস্য কী? উত্তর মিলবে ব্যাংক কর্মীদের বয়ানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি টালমাটাল হলেও, ফুলে ফেঁপে উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোষাগার। বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির ব্যবসাপত্রে এত লেনদেন বাড়ল কী করে, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআই (CBI) গোয়েন্দাদের। এর উত্তর একমাত্র দিতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীরা। এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: কেষ্টহীন কালী পুজো কেমন হবে বোলপুরে? নজর সিবিআইয়ের 

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশ বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী-আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal), প্রয়াত স্ত্রী ছবি-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের নামে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ি, বোলপুর, কলকাতার সল্টলেক এবং বাগমারি শাখায় মোট ১৩টি অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে। ১৩টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে রয়েছে ওই চালকল এবং সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টও। ১১ অগাস্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অ্যাকাউন্টগুলিতে সমস্ত লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

    চার্জশিটে বলা হয়েছে, এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের বোলপুরের শাখায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ এক জনের অ্যাকাউন্টে ২০১১ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ১০৫ বারে এক কোটিরও বেশি টাকা জমা পড়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের সিউড়ির শাখায় একটি চালকলের অ্যাকাউন্টে ৬৬ বারে প্রায় এক কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা, ওই ব্যাঙ্কের বোলপুর শাখায় ওই চালকলেরই অ্যাকাউন্টে ২৪ বারে প্রায় এক কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা, আবার একটি ‘ভুয়ো’ সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৭৮ বারে প্রায় এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।  গত কয়েক বছরে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা পড়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। বোলপুরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতেই ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বেশি। ওই শাখায় দুজনেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ থেকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদায় অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের নামে মোট ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। কখনও একলপ্তে জমা করা হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। কখনও বা ৬০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ধাক্কায় ১ কোটি ৪০ টাকা স্থায়ী আমানত তথা ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) করা হয় সেখানে। এছাড়াও সুকন্যা ও অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট ছিল সল্টলেকের স্টেট ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। সেখানে পাঁচ দফায় ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটিতে সুকন্যার নামে রয়েছে। একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে অনুব্রতর নামে। এক একবারে সেখানে ১ কোটি টাকার বেশি করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও মেয়ে মিলিয়ে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা।   
     
    চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারের মূল কাণ্ডারি এনামুল হকের থেকে নেওয়া টাকাই মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা পড়েছে। কিছু ব্যাংক কর্মীই এই কাজে অনুব্রতকে সাহায্য করতেন বলেও জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নেতার বাড়ি বয়ে এসেও টাকা নিয়ে যেতেন। এই কর্মীদের সাক্ষী মামলায় নতুন মোড় আনবে বলে বিশ্বাস গোয়েন্দাদের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    Dengue: ডেঙ্গি হানায় চিন্তা বাড়াচ্ছে জেলা, ৪১ তম সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী আক্রান্তের পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কলকাতা। কিন্তু টনক নড়েনি প্রশাসনের। পরিস্থিতি এখন বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গির (Dengue) ভয়াবহতার পারদ কলকাতার থেকেও বেশি জেলায়। জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির ভিড় দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তিনি নিজেই জানান, গ্রামে যে হারে ডেঙ্গি প্রকোপ ছড়াচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে।

    স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরের ৪০ সপ্তাহ থেকে ৪১ তম সপ্তাহে কয়েক গুণ ডেঙ্গি বেড়ে গিয়েছে। পজিটিভিটি রেট ও অনেক বেশি। অক্টোবরের শুরুতেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মূল চিন্তা ছিল কলকাতাকে নিয়েই। কিন্তু গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার পাশপাশি চিন্তা জেলাকে নিয়েও। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ, এই কয়েকটি জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

    আরও পড়ুন: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে প্রথমেই আছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। বছরের ৪১ তম সপ্তাহে এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ১২৫৩ জন। যেখানে আগের সপ্তাহে অর্থাৎ, ৪০তম সপ্তাহে সংখ্যা ছিল ৯৯২ জন। তালিকায় এরপরেই রয়েছে হাওড়া। বছরের শুরু থেকেই কিন্তু হাওড়ার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুরসভার কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। যদিও অভিযোগ, তারপরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। আর সেই অভিযোগেই কার্যত সিলমোহর দিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য বলছে, হাওড়ায় বছরের ৪১ তম সপ্তাহে অর্থাৎ, অক্টোবরের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৬ জন। এরপরে তালিকায় আছে কলকাতা। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৬ জন। হুগলির পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। সেখানে এই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৮ জন। মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪৫২ জন।

     স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে ২৪৫৪ জনকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৯৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাশপাশি ব্লক স্তরে ও ডেঙ্গি আক্রান্তের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। গত এক সপ্তাহে ৩৭৫ জন গ্রামীণ বা ব্লক স্তরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মহকুমা বা স্টেট জেনারেল স্তরের হাসপাতালে ১০১৪ জন ভর্তি হয়েছেন। অর্থাৎ, শহরের পাশপাশি জেলা ও চিন্তা বাড়াচ্ছে।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশপাশি উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও বেশ ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ১৯০ জন শেষ সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। জেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির নিরিখে শিলিগুড়িই প্রথমে রয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করে দেয় উত্তরবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রিপোর্ট দেরিতে আসার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে ও দেরি হচ্ছে। ফলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, গ্রামাঞ্চলে কতখানি ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ হয়েছে, সে নিয়ে সংশয় হচ্ছে। কারণ, জ্বরে তিন-চারদিন ভুগলেও অনেকে ডেঙ্গি পরীক্ষা করছেন না। ওষুধের দোকান থেকে প্যারাসিটামল কিনে খাচ্ছেন। প্লেটলেট কমছে কিনা, তা বোঝাও যাচ্ছে না। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারপরে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাই অনেকটাই সময় অপচয় হচ্ছে।

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ এই বছর তা আরও আরেকবার প্রমাণিত হলো। অথচ, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সময় মতো সমস্ত বিভাগ একযোগে কাজ করলে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় হয়তো পৌছতো না বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ডেঙ্গিতে প্রত্যেক বছর লোক মারা যায়। প্লেটলেট পাওয়া যায় না। তারপরেও সরকারের হুঁশ ফেরে না। শীত পড়লেই প্রশাসন ও শীত ঘুমে চলে যায়। বছর ভর সমস্ত বিভাগ একযোগে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ চালিয়ে যাবে, এই সদিচ্ছার বড় অভাব। আর তার জন্য রাজ্যবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19: ফের দীপাবলিতে মাথা চাড়া দেবে করোনার নতুন ঢেউ?

    Covid 19: ফের দীপাবলিতে মাথা চাড়া দেবে করোনার নতুন ঢেউ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে মেতে রয়েছে গোটা দেশ। সদ্য শেষ হয়ে দুর্গা পুজো। সামনেই আসছে দীপাবলি বা কালী পুজো। কিন্তু করোনার (Covid 19) ভয়ভীতি এক্কেবারে বিদায় নিয়েছে সকলের মন থেকে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত আরও একটি দুঃসংবাদ সামনে এসেছে। ওমিক্রনের (Omicron) নতুন দুটি সাবভ্যারিয়েন্টে সামনে উঠে আসছে-BF.7 এবং BA.5.1.7। আর এই দুই ভাইরাস সামনে আসার পরই ভয় বাড়ছে বিজ্ঞানী মহলে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে  BF.7 – এই সাবভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ভারতেই। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুটি সাবভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষজ্ঞরাও এই স্টেনগুলিকে খুবই সংক্রামক (Highly Infectious) বলে দাবি করায় চিন্তা আরও বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিনের মেনল্যান্ড এলাকায় প্রথম এই সংক্রামক স্ট্রেনের খবর পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টটিকে খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি। মনেই শীতকাল। এই সময়ে করোনা যে অনেকটাই বাড়তে পারে, এটা বুঝে নিতে হবে।” বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বেশি করে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    চিকিৎসকচিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের BF.7 এবং BA.5.1.7 প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    সামনেই দীপাবলি, তার পরেই ভাইফোঁটা। প্রসাশনের তরফে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধে কড়াকড়ি না থাকলেও, নিজেদের স্বার্থে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতেই হবে এবং সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক মানুষ, শিশু, ক্যানসারে আক্রান্তরা আছেন, তাঁরা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    আরও পড়ুন : বিদায় নিচ্ছে বর্ষা? রাজ্যজুড়ে কমল তাপমাত্রা

    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০১ জন। গতকালও সংখ্যাটা কমবেশি একইরকম ছিল। তবে সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। দেশের সক্রিয় করোনা রোগী বর্তমানে ২৬ হাজার ৬২৫ জন। আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি অ্যাকটিভ কেস। 

    ভারতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯৫ জন। মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিকভাবে দেশের পরিসংখ্যানে স্বস্তি মিলেছে। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। যা আগের দিন ছিল ১৬৬। অর্থাৎ সংক্রমণ খানিকটা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১, ১৬, ৮৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মোট মৃত্যু ২১, ৫১৬। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    Dr. Dilip Mahalanabis: প্রয়াত ওআরএস- এর জনক চিকিৎসক দিলীপ মহলানবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ওআরএস- এর উদ্ভাবক ডা. দিলীপ মহলানাবিশ (Dr. Dilip Mahalanabis)। শনিবার রাতে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। শনিবার রাতে, কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

    ১৯৭১ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অন্তত ৭ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে তাঁর তৈরি ওআরএস। বেশিরভাগই শিশু। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ কলেরা মহামারি দেখা দেয়। সেই সময় এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা ছিল স্যালাইন দেওয়া। কিন্তু স্যালাইনের ভয়ঙ্কর ঘাটতি দেখা যায়। উপায় না দেখে, জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সহায়তায়, ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা ওআরএস তৈরি করেছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী ডা. দিলীপ মহলানাবিশ।

    আরও পড়ুন : বলিউডের পর আবার টলিউডেও ‘মি টু’ ঝড়, অভিযুক্ত উঠতি পরিচালক  

    পরে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ডা. দিলীপ মহলানবিশ বলেছিলেন, “বনগাঁ হাসপাতালের দুটি ঘরের মেঝেতে গুরুতর অসুস্থ কলেরা রোগীরা পড়েছিলেন। এদের ইন্ট্রাভেনাস স্যালাইন দিয়ে চিকিত্সা করার জন্য আক্ষরিক অর্থে তাদের মল, মূত্র এবং বমির মধ্যে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে হয়েছিল। সেখানে পৌঁছানোর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা যুদ্ধে হেরে যাচ্ছি। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত স্যালাইন ছিল না। আমার দলের মাত্র দুই সদস্যকে আইভি তরল দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।” 

    ওআরএস ব্যবহারের ফলে দু সপ্তাহের মধ্যে সেই শিবিরগুলিতে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ থেকে ৩.৬ শতাংশে নেমে আসে। কীভাবে লবণ এবং গ্লুকোজ মিশিয়ে ওআরএস তৈরি করা হয়, তার বর্ণনা একটি গোপন বাংলাদেশী রেডিও স্টেশনে সম্প্রচার করা হয়েছিল। 

    চিকিৎসা শাস্ত্রে তাঁর অবদানের জন্য, ১৯৯৪ সালে, রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. মহলানবিশ। ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোলিন পুরস্কার, ২০০৬ সালে থাইল্যান্ড সরকারের কাছ থেকে প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে, তাঁর উপার্জিত অর্থের একটা বড় অংশ তুলে দেন পার্ক সার্কাসের ইন্সস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথের হাতে। সেখানেই গবেষক-চিকিৎসক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল তাঁর। গবেষণার বেশিরভাগটাই তিনি করেছিলেন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের একটি ঘরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ২৭ অক্টোবর ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতর বাড়ি থেকে পাওয়া নথি এবং সায়গলকে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন : দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতি! বিহারে বন্দুকের মুখে সব হারালেন যাত্রীরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, গরুপাচার মামলার টাকা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রতকন্যাও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বোলপুরের বাড়িতে দেখা করতে গেলেও তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। এর মাঝেই সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করায় জল্পনা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যে নেই কেষ্ট-কন্যা। ব্যক্তিগত কাজে অনুব্রতের মেয়ে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে চেন্নাই গিয়েছেন সুকন্যা।  

    আরও পড়ুন : নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? 

    এই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা চেয়েছিলেন, দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু আদালত অনুমতি দেয়নি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু উচ্চ আদালতও ইডির আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কী প্রয়োজন? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই?  

    এবার প্রশ্ন সুকন্যা কি আদেও ইডির ডাকে সারা দিয়ে দিল্লি যাবেন? নাকি নিজের বাবার পথে হেঁটেই  গোয়েন্দাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তলবে সাড়া দেবেন না। এখন সবার নজর সেই দিকেই। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও এখন সিবিআই স্ক্যানারে। সুকন্যার আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও সঙ্গতি নেই বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলে মনে করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    Kolkata Dengue: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আগে থেকেই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue Situation)! পুজোর পর আরও উদবেগজনক চেহারা নিয়েছে পরিস্থিতি। চলতি মরশুমে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি ডেঙ্গি (Kolkata Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা! মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলগাছিয়ার সরকারি আবাসনের বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে।  

    সোমবার সন্ধেয় ৪০ বছর বয়সী ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। 

    এদিকে উত্তরবঙ্গেও চিন্তা বাড়াচ্ছে এই রোগ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শিলিগুড়ির পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। 

    আরও পড়ুন: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতার অভিযোগে মশারি নিয়ে মিছিল করল বিজেপি যুব মোর্চা। সিএমওএইচ দফতরে বিক্ষোভ দেখায় তারা। আজ উত্তরকন্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য দফতরের  ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কিছু গাফিলতি রয়েছে, তা দ্রুত কাটিয়ে তুলতে হবে। সেইসঙ্গে সার্ভের জন্যে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমে অতিরিক্ত ৫০০ জন নিয়োগ করতে হবে।” 

    ডেঙ্গির সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়াও। গত ৪-৫ দিনে কলকাতা পুরসভার শুধু ৩ নম্বর বরোতেই ১০-১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫! এই পরিস্থিতিতে বুধবার এলাকায় ডেঙ্গি দমন অভিযানে নামে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই তা ২৫ হাজার পার করেছে। গত সোমবার রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৬২ জন। এবার কি ডেঙ্গির সঙ্গে রয়েছে ম্যালেরিয়া। কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া দেখা গিয়েছে। পুজোর পর শুধুমাত্র ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোজ গড়ে ৩ জন করে ডেঙ্গি ও ৩ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    World Arthritis Day: আর্থ্রাইটিসের এই লক্ষণগুলি দেখলেই সাবধান হয়ে যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১২ অক্টোবর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস (World Arthritis Day)। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আরথ্রাইটিস ডে’ পালন করে আসছে আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল। বহু প্রাচীনকাল থেকে এই রোগটির অস্তিত্ব থাকলেও ৪৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকেই এটি নথিভুক্ত হওয়া শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের দিকে রোগটিকে‘আর্থ্রাইটিস’ নামকরণ করা হয়।  

    আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন, আটল্যান্টার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মানুষের অক্ষমতার প্রথম এবং প্রধান কারণ হলো আর্থ্রাইটিস। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আমাদের দেশে প্রায় পঁচিশ শতাংশ মানুষ জটিল বাতরোগে আক্রান্ত।   

    আর্থ্রাইটিস বলতে সাধারণত অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যাথাকেই বোঝানো হয়। এটি নির্দিষ্ট একটি রোগ নয়। সবচেয়ে বেশি হয় অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।  

    কাদের হয় এই রোগ?  

    • যাদের বয়স বেশি, যেমন বয়স ৬৫-র বেশি হলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। 
    • ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ৪৫ পরবর্তী নারীদের এটি বেশি হয়। 
    • অস্থিসন্ধিতে যেকোনও ধরনের আঘাত পেলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া যারা পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন বা আঘাতের ঝুঁকিতে থাকেন তাদের ঝুঁকি বেশি।   
    • যাদের ওজন বেশি, অস্টিওআর্থ্রাইটিস তাদের বেশি হয়। সাধারণ স্থূল শরীরের মানুষের হাঁটুতে রোগটি বেশি দেখা দেয়।
    • কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও অস্টিওআর্থ্রাইটিস হতে দেখা যায়।

    রোগ নির্ণয়

    রোগের ইতিহাস ও রোগের ধরন দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। যেমন এক্স-রে, জয়েন্ট অ্যাসপিরেশন ইত্যাদি। 

    রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কী? 

    এটি অটোইমিউন অসুখ। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অস্থিসন্ধির বহিরাবরণীতে প্রদাহ হয়। এ কারণে অস্থিসন্ধি ও এর আশপাশে ব্যথা হয়, জড়তা তৈরি হয়, ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। এতে অস্থিসন্ধির আকারের বিকৃতিও ঘটে। সময়ের সঙ্গে এটি তীব্র হতে থাকে। মাঝেমধ্যে ব্যথা ও ফোলা আপনিতেই কমে যায়, আবার বাড়ে।

    লক্ষণ 

    • ঘুম থেকে ওঠার পর অস্থিসন্ধিসহ শরীরের কিছু অংশে ব্যথা ও জড়তা থাকে।
    • হাতের আঙুল, কনুই, কাঁধ, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ের পাতায় বেশি সমস্যা হয়।
    • সাধারণত শরীরের উভয় পাশ একসঙ্গে আক্রান্ত হয়। যেমন- হাতে হলে দুই হাতের জয়েন্টই একসঙ্গে ব্যথা করে, ফুলে যায় ইত্যাদি।
    • শরীর দুর্বল লাগে, জ্বরজ্বর অনুভূতি হয়। ম্যাজম্যাজ করে।
    • কারও ক্ষেত্রে ত্বকের নিচে এক ধরনের গুটি দেখা যায়, যা ধরলে ব্যথা পাওয়া যায় না।

    প্রতিরোধের উপায় 

    • শারীরিক তৎপরতা বাড়ানো। যেমন- বহুতল ভবনে ওঠার সময় মাঝেমধ্যেই লিফট ব্যবহার না করে সিড়ি ব্যবহার করা এবং যানবাহনে ওঠার আগে অন্তত ৫০০ মিটার পথ পায়ে হেঁটে যাওয়া।
    • মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
    • মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন করা।
    • শরীরের জয়েন্টগুলোকে নতুনভাবে জখম হতে না দেওয়া এবং ইতিমধ্যেই জখমে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তা দ্রুত সারিয়ে তোলা।
    • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ জল খাওয়া। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। ভিটামিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া। 
    • যে কোনও ছোটখাটো জখমের চিকিৎসা করানো। 
    • ধূমপান বা মদ্যপান না করা। কারণ মদ হাড়ের স্বাস্থ্য ও কাঠামো দূর্বল করে দেয়।
    • নিয়মিত দুধ পান করুন। তবে ল্যাকটোজ জাতীয় খাদ্য উপাদান হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম ও ব্রোকোলি জাতীয় খাবার বেশি খান।
    • মেনোপোজ পরবর্তী নারীদের জন্য হরমোন প্রতিস্থাপন, অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    • সঠিক সাইজের ও নরম জুতা পরতে হবে।
    • প্রদাহসৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রায়ই দেখা যায় যে, লবন, চিনি, মিষ্টি, মদ, ক্যাফেইন, প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস, সাধারণ রান্নার তেল, ট্রান্স ফ্যাট ও লাল মাংস ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ অসংখ্য রোগের জন্ম দেয়।
    • ঠান্ডায় আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও সমস্যা বেড়ে যায়, তাই ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। উষ্ণ গরম জলের সেঁক ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী। উষ্ণ গরম জলে স্নানও করতে পারেন। 
  • Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: সকলের বোধগম্য হোক, আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখার পক্ষে সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইন লেখা হোক আঞ্চলিক ভাষায় (Law in Regional Language)। মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিচার পেতে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি আইনের অস্পষ্টতাকেই দেখেন। তিনি বলেন, “অনেকেই আইন বোঝেন না। সকলের আইন বোঝা প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইন আঞ্চলিক ভাষাগুলোতেও লেখা উচিৎ। যাতে দরিদ্র মানুষরা বুঝতে পারেন।”                   

    গুজরাটের ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-এর কাছে কেভাদিয়ার একতা নগরে দু’দিনের ‘অল ইন্ডিয়া কনফারেন্স অফ ল মিনিস্টার অ্যান্ড ল সেক্রেটারি’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “আইনের অস্পষ্টতার কারণে বিচার বিলম্বিত  হচ্ছে। আইনগুলো আরও স্পষ্ট করা প্রয়োজন। দরিদ্র মানুষেরা যাতে আইন বুঝতে পারে, সেই কারণে আঞ্চলিক ভাষায় আইন লেখা প্রয়োজন।” প্রসঙ্গত, গত আট বছরে ১,৫০০টির বেশি অপ্রচলিত আইন বাতিল করেছে। তারমধ্যে অনেক আইন ব্রিটিশ আমলেও ব্যবহার করা হত। 

    আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “দ্রুত বিচার দেওয়া আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের বিচার বিভাগ এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনের ভাষা অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন না। আইনের ভাষা সহজ হলে, বিচার পেতে সুবিধা হবে। 

    আইন লেখার ক্ষেত্রে দুটি পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে। বেশিরভাগ দেশে আইনি ভাষায় লেখা হয় আইন। অন্য একটি পদ্ধতি  হল সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারে, সেই ভাষায় আইন লেখা হয়। যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। ভারতের বেশিরভাগ নাগরিকের কাছে আইন স্পষ্ট নয়। ভারতের ক্ষেত্রেও দ্বিতীয় পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দেন মোদি। তিনি বলেন, “আইন এমন ভাষায় লেখা উচিৎ, যাতে দরীদ্র থেকে দরীদ্রতম মানুষও বুঝতে পারেন।” আইনি ভাষা যাতে নাগরিকদের জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজ্যকে এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ সমাজকে তাদের মাতৃভাষায় আইনের শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share