Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • AU Bank: আমির-কিয়ারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক

    AU Bank: আমির-কিয়ারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আমির-কিয়ারার বিজ্জাপন তুলে নিল এইউ ব্যাংক (AU Bank)। বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না বলিউডের মিস্টার পারফেক্টশানিস্ট আমির খানের (Amir Khan)। সম্প্রতি ফের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে আমিরের বিরুদ্ধে। এক ব্যাংকিং সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসাবে আমির-কিয়ারার (Kiara Ad একটি বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত হয়। আর সেই বিজ্ঞাপনকে ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। নতুন বর-কনের বেশে দুর্দান্ত মানিয়েছে আমির-কিয়ারাকে। কিন্তু এরপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ দুই অভিনেতার বিরুদ্ধে।  

    ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, বিদাই হওয়ার পর নতুন বউ কিয়ারাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন আমির খান। আমিরকে বলতে শোনা গেল, “এই প্রথম দেখালাম, বিদাই হয়ে গেল অথচ নতুন বউ কাঁদছে না।” তখন কিয়ারা উত্তরে বলেন, “তুমিও তো কাঁদছ না।” পরের দৃশ্যেই বাড়ি পৌঁছে নতুন বউকে আমির বলেন, “এই ঘরে প্রথম পদক্ষেপ কে রাখবে?” কিয়ারার পাল্টা প্রশ্ন, “এই ঘরে নতুন কে?”, আমিরের উত্তর, “আমিই তো নতুন। মানে..” ঠিক তখনই কিয়ারা হাতের ইশারায় আমিরকে ঘরে পা রাখতে বলেন। আমিরও সেই মতো পা রাখেন। অপরদিক থেকে বিজ্ঞাপনে কিয়ারার মাকে বলতে শোনা গেল, “নুতুন জামাইকে স্বাগত।” কিয়ারাও আমিরকে ধন্যবাদ জানান, এতবড় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। অপরদিকে তখন হুইল চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় আরও এক প্রবীণ ব্যক্তিকে। এরপরেই ব্যাকগ্রাউন্ডে আমির খানের ভয়েস ওভারে শোনা যায়, “দীর্ঘদিন ধরে যে প্রথা চলছে, সেটাই চলতে থাকে। কেন এমনটা হয়? আর সেকারণেই ব্যাংকিং সেক্টরের সমস্ত প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলব। যাতে আপনারা সেরা পরিষেবাটাই পান।”

    আরও পড়ুন : মুদ্রাস্ফীতির দিকে চোখ রেখে তৈরি হবে আগামী বাজেট, জানালেন সীতারমন

    এই বিজ্ঞাপন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। তিনি বলেন, “ভারতের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের বিজ্ঞাপনে কাজ করা উচিৎ নয় আমির-কিয়ারার মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের। কারও আবেগে আঘাত করার অধিকার নেই তাঁদের।”   

     

    এই ভিডিও পোস্ট করে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন ছবি নির্মাতা বিবেক অগ্নিহোত্রী।  তিনি লিখেছিলেন, “আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না, ব্যাঙ্ক কবে থেকে সমাজ এবং ধর্মীয় প্রথাকে বদলানোর দায়িত্ব নিল? আমার মনে হয় কিছু করতে হলে @aubankindia-র উচিত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় যে দূর্নীতি রয়েছে তা দূর করা। এধরনের ভুলভাল কথা বলেন, আর তারপর বলবেন হিন্দুরা ট্রোল করছে। মূর্খ।” 

    বিজ্ঞাপনটি ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। #BoycottAUSmallFinanceBank এবং #BoycottAamirKhan হ্যাশট্যাগও ভাইরাল হয়। তারপরেই বিজ্ঞাপনটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এইউ ব্যাংক। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Solicitor General: অযোধ্যা মামলার রায়ে উপসনাস্থল আইন কভার করা হয়নি, জানালেন সলিসিটর জেনারেল

    Solicitor General: অযোধ্যা মামলার রায়ে উপসনাস্থল আইন কভার করা হয়নি, জানালেন সলিসিটর জেনারেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালেই মিটে গিয়েছে বহু বিতর্কিত অযোধ্যা মামলা। কিন্তু সেই রায়ে কি ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনে বৈধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব মিলেছে? প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এমনই প্রশ্ন রেখেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে। তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে জানাল, উপাসনাস্থল আইনে বৈধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব কভার করা হয়নি অযোধ্যা মামলার রায়ে। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের সভাপতিত্বে একটি বেঞ্চ ১৫ আগস্ট, ১৯৪৭-এ প্রচলিত উপসনাস্থল আইন সম্পর্কে তুষার মেহতাকে এই প্রশ্নটি করে।   

    বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং অজয় ​​রাস্তোগির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁকে প্রশ্ন করে, “অযোধ্যা রায় কি ১৯৯১ সালের উপাসনা আইন কভার করে? আপনার ব্যক্তিগত মতামত কী?” মেহতা জবাব দেন, “না কভার করে না।” 

    আরও পড়ুন: ফের আইনি গেরোয় প্রাথমিকে নিয়োগ, বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা 

    প্রসঙ্গত, উপাসনাস্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী উপাধ্যায়ের যুক্তি, উপাসনাস্থল আইন বৈষম্যমূলক। এর ফলে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আবেদনকারী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের পক্ষে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেছেন অযোধ্যা রায়ে করা মন্তব্যগুলি নিছক ‘নির্দেশ’ এবং এতে আইনের বল নেই। এদিকে আবেদনকারী বিশ্ব ভদ্র পূজারি পুরোহিত মহাসঙ্ঘের পক্ষে উপস্থিত হওয়া অ্যাডভোকেট পিবি সুরেশ, বিপিন নায়ার এবং বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেছেন, “অযোধ্যা মামলায় সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতার বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি।”   

    দ্বিবেদী বলেন, “১৯৯১ সালের আইনটি কোনও আলোচনা ছাড়াই পাশ করা হয়েছিল। জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আদালতের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।” 

    আদালত মেহতাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, পিটিশনগুলির প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন্দ্র কত সময় নেবে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টির সংবেদনশীলতা বিচার করে সরকারের আরও দু সপ্তাহ সময় লাগবে।” তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে বেঞ্চ ১৪ ​​নভেম্বর বিষয়টি বিবেচনার জন্য ধার্য করেছে।  

    এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ে বলা হয়, “১৯৯১ সালের আইনটি আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের কথা বলে। জনসাধারণের উপাসনার স্থানগুলির চরিত্র সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে আইনে। তবে অতীতে কোথায় কী ছিল, তা ভেবে ফের মন্দির বা মসজিদের চরিত্র বদল না করাটা ধর্মনিরপেক্ষতার মূলমন্ত্র। সে কারণে এই আইন তৈরি হয়েছে।” উল্লেখ্য, রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে আইনি বিবাদের চলাকালীন ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন অনুমোদন করেছিল সংসদ। উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আইনে এও বলা হয়েছিল, এ নিয়ে কোনও মামলা করা যাবে না। অযোধ্যার বিবাদই একমাত্র ব্যতিক্রম থাকবে এই ক্ষেত্রে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

       

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) আসানসোলের সংশোধনাগারে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। কলকাতা হাইকোর্টে সে বিষয়ে আবেদনও করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ইডির অফিসাররা আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলের (Saigal Hossain) সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই দীর্ঘ চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তদন্তে সহযোগীতা না করার অভিযোগে সংশোধনাগারেই সায়গলকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। ইডির সায়গলকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি মঞ্জুর হলেও, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয় আসানসোলের সিজেএম আদালত। তারপর আরও কয়েক দফায় এই একই আবেদন করলেও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি। তদন্তের স্বার্থে সায়গলকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যেতে চান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: জেলের ভেতরেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার ইডির, চাপ বাড়ল কেষ্টর?

    ইডির দাবি, বিপুল সম্পত্তির নথি পাওয়া গেলেও, সম্পত্তির উৎস কী তা নিয়ে মুখ খুলছেন না সায়গল। তাই নয়াদিল্লি নিয়ে গেলে বাড়তি চাপ দেওয়া যাবে। শুক্রবার গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) জেরা করতে ইডির ছয়জনের দল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে যায়। সকাল ১০ টা ১৫ নাগাদ তাঁরা সংশোধনাগারে পৌঁছন তাঁরা। ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা-সহ তিনজন ভিতরে ঢোকেন। যেভাবে আদালতের কাছে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই ইডি আধিকারিকরা আসেন। ৩৫ টি প্রশ্নমালা সাজানো হয়েছিল সায়গলের জন্য। টানা চার ঘণ্টা চলে জেরা। তারপর সায়গলকে হেফাজতে নেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁকে জেরা করতে দিল্লি থেকে উড়ে এসেছিলেন অফিসাররা। 

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। কিন্তু সঠিক উত্তর না পাওয়াতেই গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা প্রশাসনের সামনে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছে ভারত। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এমনটাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের পাশে বসে একথা বলেছেন জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Swaminarayan Mandir) বেড়েছে। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী।   

    এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন এস জয়শঙ্কর। এটি তাঁর চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও গিয়েছিলেন মেলবোর্ন-এ চর্তুদেশীয় অক্ষ বা কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দিতে।

    কিছুদিন আগেই কানাডার টরোন্টোর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। খালিস্তানের দাবিতে একদল দুষ্কৃতি গ্রাফিটি দিয়ে মন্দিরটিকে বিকৃত করে। মন্দিরে গায়ে নানান জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে খালিস্তানকে কেন্দ্রে করে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারের কাছে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই এর নিন্দায় সরব হয় ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারও এই ঘটনাযর তীব্র নিন্দা করেছে ।   

    জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় বলেন, “সব সময় আমরা কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। যা আসলে সহিংসতা, সহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। মৌলবাদী শক্তি যেন এর অপব্যবহার না করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটা দেশের এটা বোঝা উচিৎ, নিজের ঘরে গণতন্ত্র বজায় রাখলেই শুধু চলবে না। এক গণতন্ত্রের অন্য গণতন্ত্রের প্রতিও দায়িত্ব থাকে।”

    আরও পড়ুন: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন বিবৃতি করে জনিয়েছে “আমরা টরন্টোতে অবস্থিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের ক্ষতি এবং মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কানাডা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।” 

    কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সজাগ করে বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। এই ধরণের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। তাই কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও শিক্ষার্থী এবং যাঁরা ভ্রমণের জন্যে কানাডা যাচ্ছেন তাঁরা সজাগ থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।” 

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মিত্র দেশে যেভাবে চরমপন্থীদের এমন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপ করতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ভারত কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে সমানে চাপ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Solar Power Village: ভবিষ্যতে গুজরাটেই তৈরি হবে বিমান, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতে গুজরাটেই বিমান উৎপাদন করা হবে। রবিবার মোধেরায় এমনই আশার কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার গুজরাটের (Gujarat) মেহসানা জেলার (Mehsana District) মোধেরাকে দেশের প্রথম সৌরশক্তি চালিত গ্রাম (Solar Power Village) ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। মোধেরার সূর্য মন্দিরে একটি লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে এই মুহূর্তে নিজের রাজ্য গুজরাটে রয়েছেন মোদি। সেখানেই মোদি বলেন, “ভবিষ্যতে গুজরাটই প্লেন উৎপাদন করবে। ভুলে গেলে চলবে না, আগে এই রাজ্যে সাইকেলও তৈরি হত না। সুজুকি কোম্পানি গুজরাটে গাড়ি তৈরি করছে। তারা যদি জাপানেও গাড়ি চায়, গুজরাট থেকে আমদানি করতে হয়। সাম্প্রতিক অতীতে দেশ গুজরাটকে এভাবেই এগোতে দেখেছে। লিথিয়াম ব্যাটারিও তৈরি হবে এই রাজ্যে।”  

    আরও পড়ুন: দেশের প্রথম সৌরশক্তির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে গুজরাটের সূর্য মন্দিরের গ্রাম!

    প্রসঙ্গত, মোধেরা সূর্য মন্দির থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে সুজনপুরায় একটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১,৩০০ সোলার সিস্টেম (Rooftop Solar Systems) গড়ে তোলা হয়েছে এই প্রকল্পে। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে এই গ্রামে দেশের অন্যতম বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প (Solar Power Project) গড়ে তোলা হয়েছে। সৌরশক্তির সাহায্যে গোটা গ্রামে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যু়ৎ পাওয়া যাবে। এই প্রকল্পে দুই ধাপে রাজ্য এবং কেন্দ্র পঞ্চাশ শতাংশ করে ৮০.৬৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।    

    এদিন মোদি বলেন, “সূর্য মন্দিরের জন্য পরিচিত মোধেরা এবার সৌরশক্তিতে অগ্রগতির জন্য পরিচিত হবে। মোধেরার জন্য ঐতিহাসিক দিন আজ। কারণ এই দিনে সৌরশক্তি ব্যবহারে বড় পদক্ষেপ করল মোধেরা।” তিনি আরও জানান, এবার থেকে মোধেরার বাসিন্দারা বিদ্যুতের জন্য আর পয়সা দেবে না, বরং বিদ্যুৎ বিক্রি করে তারা উপার্জন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগে পর্যন্ত সরকার নাগরিকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করত। এখন নাগরিকরা তাদের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন।”    

    এদিকে জানা গিয়েছে, তিন দিনের গুজরাট সফরে সোমবার ভারুচ, আহমেদাবাদ এবং জামনগর সফর করবেন মোদি। ভারুচে ৮,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন। পরদিন আহমেদাবাদের হাসপাতালে নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এইসঙ্গে গুজরাটের মোধেশ্বরী মাতা মন্দির এবং সূর্য মন্দির পরিদর্শন করবেন। প্রতিবেশী রাজ্য মধ্যপ্রদেশের শ্রী মহাকালেশ্বর মন্দিরও দর্শন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    Indian Navy: এনসিবি, এটিএসের বড় সাফল্য, প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিবি শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরাট সাফল্য পায়। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করে। একটি ইরানি মাছ ধরার জাহাজ আটক করা হয়েছে. সেখান থেকেই ২০০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়। সঞ্জয় কুমার সিং আরও জানান, ৬ ইরানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হেরোইন-সহ নৌকাটি মাত্তানচেরির ঘাটে আনা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    তিনি আরও বলেন, এই চক্রকে গ্রেফতার করে তাদের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান যোগ পাওয়া গিয়েছে। ড্রাগ কার্টেলের অনন্য চিহ্ন ও প্যাকিং বিশেষত্ব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা গিয়েছে ওই ড্রাগ আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছিল। তা পরিবহন করা হয়েছিল পাকিস্তান গিয়ে। পাকিস্তান উপকূল থেকে শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজ ভারতীয় জলসীমায় আসার পর তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    এনসিবি জানাচ্ছে, ওই আফগান হেরোইনের (Afghan Heroin) বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। তাই দামও আকাশছোঁয়া। মাদকগুলি যাতে নষ্ট হয়ে না যায় সে জন্য ওয়াটারপ্রুফ মোড়কে খুব ভালভাবে প্যাকিং করা হয়েছিল। সাত মোড়কের প্য়াকেটে সেগুলিকে রাখা হয়েছিল। প্রত্যেকটি প্যাকেটের উপর আলাদা চিহ্ন ছিল, যা মূলত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মাদকচক্রেই ব্যবহৃত হয়। কয়েকটি প্যাকেটের ওপর কাঁকড়া বিছের চিহ্ন আঁকা ছিল, কিছু প্যাকেটে আবার ছিল ড্রাগনের চিহ্ন।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় হেরোইন উৎপাদক দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৮০-৯০ শতাংশ এই দেশ থেকেই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এই মাদকের উৎপাদন বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গত ৯ মাসে পাক জেলে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভারতীয়ের, ক্ষুব্ধ বিদেশমন্ত্রক 

    এদিকে এটিএসের অভিযানেও বড় সাফল্য এসেছে। আজ, শনিবার আবার গুজরাতের সমুদ্র উপকূল থেকে ৫০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করে গুজরাত এটিএস ও উপকূল রক্ষা বাহিনী। যার বাজারমূল্য ৩৫০ কোটি টাকা। জাকুয়া বন্দর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাকিস্তানের দিক থেকে ছয়জন ব্যক্তি নৌকা করে ভারতে এই বিপুল সংখ্যক হেরোইন নিয়ে প্রবেশ করছিল। তখনই উপকূল রক্ষা বাহিনীর হাতে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার হন ওই ছয় ব্যক্তি। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে গুজরাত পুলিশ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • DU Merit List: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজ এবং প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছেন, দেখে নিন

    DU Merit List: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজ এবং প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছেন, দেখে নিন

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে উচ্চ শিক্ষার পড়ুয়া নিজেদের কলেজ, পছন্দের বিষয় বাছতে ব্যস্ত। কলেজ এবং বিষয় ঠিক করে বাছাটা অত্যন্ত জরুরি। তাদের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়ার এই পছন্দ তালিকার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। কারণ প্রার্থীদের জন্য আসন বরাদ্দ করা হবে তাদের তালিকাভুক্ত পছন্দের ভিত্তিতে এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (Delhi University) তাদের কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট-এর (CUET) ভিত্তিতে যে মেধা তালিকা প্রকাশ করবে তার ভিত্তিতে। মেধা তালিকায় তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে, একজন প্রার্থীকে তাদের তালিকায় সর্বোচ্চ সম্ভাব্য পছন্দ বরাদ্দ করা হবে।
     
    এই পছন্দ তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াটি ১০ ​​অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। কোন কলেজ এবং কোন প্রোগ্রামে সবথেকে বেশি আবেদন করেছেন পড়ুয়ারা এখানে তালিকা রয়েছে। এখানে ৫০টি কলেজ এবং প্রোগ্রামের একটি তালিকা (DU Merit List) রয়েছে যা এখন পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক প্রার্থী তাদের পছন্দ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছেন। এই তালিকায় দেখা যাবে, মোট কতবার একটি প্রোগ্রামকে পছন্দ করেছেন পড়ুয়ারা।    

    1 Ramjas College B.Com 35295
    2 Kirori Mal College B.Com 35246
    3 Sri Venketeswara College B.Com 33634
    4 Delhi College of Arts and Commerce B.Com 33044
    5 Shaheed Bhagat Singh College B.Com 31279
    6 Hans Raj College B.Com (Hons.) 31033
    7 Shri Ram College of Commerce B.Com (Hons.) 30928
    8 Hindu College B.Com (Hons.) 30795
    9 Hindu College B.A. (Hons.) English 30630
    10 Atma Ram Sanatan Dharma College B.Com 30625
    11 Hans Raj College B.A. (Hons.) English 30320
    12 Sri Guru Gobind Singh College of Commerce B.Com 29844
    13 Dyal Singh College B.Com 29753
    14 St. Stephen’s College B.A. (Hons.) English 29562
    15 Ramjas College B.Com (Hons.) 29165
    16 Kirori Mal College B.Com (Hons.) 29127
    17 Sri Guru Tegh Bahadur Khalsa College B.Com 29110
    18 Motilal Nehru College B.Com 28908
    19 Aryabhatta College B.Com 28715
    20 Sri Venketeswara College B.Com (Hons.) 28224
    21 Kirori Mal College B.A. (Hons.) English 28220
    22 Hindu College B.A. (Hons.) Political Science 27915
    23 Ramanujan College B.Com 27831
    24 Ramjas College B.A. (Hons.) English 27303
    25 Dr. Bhim Rao Ambedkar College B.Com 26910
    26 Delhi College of Arts and Commerce B.Com (Hons.) 26754
    27 Shivaji College B.Com 26371
    28 Ram Lal Anand College B.Com 26191
    29 Kirori Mal College B.A. (Hons.) Political Science 26178
    30 Ramjas College B.A. (Hons.) Political Science 25806
    31 Sri Venketeswara College B.A. (Hons.) English 25756
    32 Shaheed Bhagat Singh College B.Com (Hons.) 25727
    33 Satyawati College B.Com 25567
    34 Sri Aurobindo College (Day) B.Com 25454
    35 Sri Guru Gobind Singh College of Commerce B.Com (Hons.) 25048
    36 Atma Ram Sanatan Dharma College B.Com (Hons.) 25006
    37 Zakir Husain Delhi College B.Com 24839
    38 P.G.D.A.V. College B.Com 24806
    39 Shyam Lal College B.Com 24672
    40 Sri Guru Nanak Dev Khalsa College B.Com 24430
    41 Sri Venketeswara College B.A. (Hons.) Political Science 24375
    42 Deen Dayal Upadhyaya College B.Com (Hons.) 24053
    43 Delhi College of Arts and Commerce B.A. (Hons.) English 23853
    44 Sri Guru Tegh Bahadur Khalsa College B.Com (Hons.) 23780
    45 Dyal Singh College B.Com (Hons.) 23445
    46 Hindu College B.A. (Hons.) History 23375
    47 Hans Raj College B.A. (Hons.) History 22998
    48 Motilal Nehru College B.Com (Hons.) 22984
    49 Atma Ram Sanatan Dharma College B.A. (Hons.) English 22938
    50 Delhi College of Arts and Commerce B.A. (Hons.) Political Science 22794

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মাসেই ১৬ অক্টোবর চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) ২০তম (20th CCP Congress) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজনীতিতে পার্টি কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই সম্মেলনেই সিসিপি- র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এই সম্মেলনে যে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন তিনিই ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে, সে দেশের সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।

    চিনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) এবার আবারও সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হলে আগামী বছর তিনিই পিপলস কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনুমোদন পাবেন। জিনপিং ইতিমধ্যে দু দফায় ১০ বছর দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। আগে এই পদে দু দফার বেশি থাকা যেত না। ২০১৮ সালে জিনপিং সেই আইন পাল্টে নেন। এ থেকে অনেকে মনে করছেন তৃতীয় দফাতেও রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন তিনি। যদি জিনপিং আরও এক দফা চিনের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তিনি হবেন মাও সে তুংয়ের পর দীর্ঘ সময় পদে থাকা সিসিপি প্রধান।

    আরও পড়ুন: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত    

    তাঁকে মাওয়ের সম উচ্চতায় দেখানোর চেষ্টাও করতে পারে সিসিপি। শি জিনপিং- এর নামের সঙ্গে ইদানীং ‘দলের মূল নেতা’ কথাটা বার বার বলা হয়। ‘শি জিনপিং- এর চিন্তাধারা’ এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়। যা আগে মাও  সেতুং- এর সময়ও বলা হত। জিনপিং- কে নিয়ে পার্টির কী পরিকল্পনা তা জানতে চায় সারা পৃথিবী। 
     
    তাই এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিনপিং- এর মেয়াদ বাড়বে কি না সেদিকেই লক্ষ্য সবার। জিনপিং- এর ক্ষমতায় থাকা- না থাকা ছাড়াও সিসিপি কীভাবে আগামীতে বিশ্বের দরবারে চিনকে তুলে ধরতে চাইছে, তারও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাবে কংগ্রেসে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই সম্মেলন।

    পরবর্তী একশো বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করা হবে এই সম্মেলনে। এই সম্মেলনে থেকেই উঠে আসবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দেশের প্রধান লক্ষ্য, উন্নয়ন সবটাই। এই সম্মেলনেই বুঝে নেওয়া হবে চিনের উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, জনগণের চাহিদাই বা ঠিক কী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    Ashok Gehlot: গেহলটের সঙ্গে আদানির ছবি, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য দিয়ে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বড় শিল্পপতিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে বরাবরই কংগ্রেসের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বিজেপিকে। বিশেষ করে দুই শিল্পপতির নাম উল্লেখ করে বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়েছে নাম নিয়ে বরাবরই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছে এই প্রধান বিরোধী দল। কংগ্রেস বছরের পর বছর দাবি করে এসেছে, গরিবের চোখের জলের বিনিময়ে আদানি-আম্বানিকে ধনকুবের করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সেই দাবিকে উদ্ধৃত করেই কংগ্রেসকে (Ashok Gehlot) নিশানা করল বিজেপি। 

    রাজস্থান বিনিয়োগ সম্মেলনে রাজ্য সরকার আম্বানি এবং আদানিকে (Gautam Adani) বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উভয় উদ্যোক্তার কোম্পানিই মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করছে সেই রাজ্যে। শুক্রবার গৌতম আদানি এবং অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বৈঠক নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সেই বৈঠকের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন অমিত মালব্য।

     

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডক্টর সতীশ পুনিয়া বলেন “গতকাল পর্যন্ত যে প্রতিপক্ষ ছিল, আজ সে বন্ধু, টাকার লোভে বদলে গেল আদর্শ।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়াও ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, রাহুল গান্ধী বলেছেন, “ভারতে যাই ঘটুক না কেন, আদানি জিকে সেখানে দেখা যায়।” জয়পুরে একটি  সমাবেশে রাহুল গান্ধীর দেওয়া বক্তৃতার একটি অংশও ভিডিওতে রয়েছে, সেখানে তিনি বলছেন, “যেখানেই দেখবেন, সেখানেই দুজন মানুষকে দেখতে পাবেন। আদানি জি  এবং আম্বানি জি।” সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দেওয়া উত্তরটিও ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এতে তিনি বলেছেন যে “অশোক গেহলট (Ashok Gehlot), যিনি জনসভায় আম্বানি-আদানির বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন, পরের দিনই তাঁদের সঙ্গে মৌ  স্বাক্ষর করলেন।”    

     



     
    রাজস্থানে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২২-এর প্রথম দিনে আদানি গ্রুপ ৬০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের জন্য একটি মৌ স্বাক্ষর করেছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এই ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও (Ashok Gehlot) গৌতম আদানির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। শীর্ষ সম্মেলনে বিনিয়োগকারী শিল্পপতিদের থাকার জন্য রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ তারা হোটেলও বুক করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা     
     
    বিরোধী দলের নেতা রাজেন্দ্র রাঠোড় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের দাবি করছেন কিন্তু ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ আসবে না। সরকার নিজেই অনিশ্চয়তায় রয়েছে। রাজস্থানে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই।” রাঠোড় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিনিয়োগ সামিটের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করার অভিযোগও করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

      

  • India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের জিনজিয়াং (Xinjiang) অঞ্চলে উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এই অভিযোগ বহুদিন ধরেই ছিল। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিতর্কের প্রস্তাব দেয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। চিন (China) বিরোধী এই খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে নিজেকে দূরে রাখল ভারত। ৪৭ সদস্যের পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৭ টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় চিন-সহ ১৯টি দেশ। অন্যদিকে, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ইউক্রেন-সহ ১১টি দেশ এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকল। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পশ্চিম চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ করে আসছে। খসড়া প্রস্তাবটি পেশ করেছিল কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলির সম্মিলিত গ্রুপ। তুরস্ক-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রস্তাবটির সহ-প্রস্তাবক ছিল। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ ছিল, শিক্ষাদানের নামে বেজিং জিনজিয়াং অঞ্চলে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করেছে চিন প্রশাসন। সেই ক্যাম্পে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্তত ১০ লক্ষ উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে আটক করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    এর আগে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেও এক ভয়ঙ্কর দাবি করা হয়। ৪৯ পাতার সেই রিপোর্টে বলা হয়, “জিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের।”

    এই দিনের ভোটাভুটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চাইনার ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসন। তিনি বলেন, “ইতিহাসে এই প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব বিবেচনা করল। যদিও প্রস্তাবটি গ্রহণ করেনি কাউন্সিল। তবে, এই ভোটাভুটি থেকে স্পষ্ট চিনের ব্যাপক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক দেশের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।”     

    সোফি রিচার্ডসন আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনেই চিনের অত্যাচারের কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। নয়া হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার জন্য এবং চিনকে এই অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চায়না।   

LinkedIn
Share