Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    Nashik Maharashtra: মহারাষ্ট্রে চলন্ত বাসে আগুন, মৃত ১২, আহত ৩৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলন্ত বাসে ভয়াবহ আগুন। প্রাণ গেল ১২ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ । মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাসিকে। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আহতদের চিকিত্‍সার দায়িত্ব নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। 

    মহারাষ্ট্রের ইয়াবতমাল (Yavatmal) থেকে মুম্বই (Mumbai) যাচ্ছিল স্লিপার বাসটি। নাসিকের ঔরঙ্গাবাদ রোডে (Aurangabad Road) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ধুলে থেকে আসা মুম্বইগামী ট্রেলারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। যাত্রীদের অনেকেই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে জ্বলন্ত বাসে পুড়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১২ জনের। নাসিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমল তোম্বে জানিয়েছেন, “দুর্ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” ঠিক কী কারণে বাসে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। পরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।          
     
    নাসিকের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন তিনি।  

     


    আরও পড়ুন: এদিন বায়ুসেনার নয়া যুদ্ধকালীন পোশাকও প্রকাশ করা হয়।

    এক আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাসটি মুহূর্তে জ্বলে ওঠে। মানুষকে বেরনোর সময়ও দেয়নি। জানলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন যাত্রীরা। এভাবে বহু যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন৷ আহত যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। নাসিক পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৫.১৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • CBSE Board Exam: এবার থেকে ফের একটি টার্মেই পরীক্ষা নেবে সিবিএসই, জানুন এই নিয়মগুলি

    CBSE Board Exam: এবার থেকে ফের একটি টার্মেই পরীক্ষা নেবে সিবিএসই, জানুন এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সিবিএসই বোর্ডের (CBSE Board Exam) ২০২২-২৩ বর্ষের পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। ২০২৩ সালে একটিই পরীক্ষা হবে। করোনার অতিমারি থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বছর একদিনেই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভেবেছে বোর্ড।  সঙ্গে রয়েছে আরও কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর যারা পরীক্ষায় বসবেন, তাঁদের এই বিষয়গুলি জেনে নেওয়া অতি আবশ্যক। 

    চলতি বছর দুটি টার্মে পরীক্ষা নিয়েছিল সিবিএসই। প্রথম টার্ম থেকে ৩০% এবং দ্বিতীয় টার্ম থেকে ৭০% ওয়েটেজ ধরা হয়েছিল। প্র্যাকটিকালের ক্ষেত্রে দুটি টার্মেই সমান ওয়েটেজ ধরা হয়েছে। কিন্তু আগামী বছর সেরকম কিছুই হচ্ছে না। কারণ বোর্ড জানিয়েছে আগামী বছর একটিই পরীক্ষা নেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুন: প্রকাশিত হয়েছে সিবিএসই দশম শ্রেণির কম্পার্টমেন্ট ফল, দেখবেন কী করে? 

    একটি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই পড়ুয়াদের ওপর চাপ কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ৩০% সিলেবাস কমাবে বলে জানিয়েছে বোর্ড। cbseacademic.nic.in – এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারবেন সেই সিলেবাস।

    যেসব পড়ুয়ারা আগামী বছর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় বসবেন, তাঁরা cbseacademic.nic.in – এই লিঙ্কে গিয়ে স্টাডি মেটেরিয়াল ডাউনলোড করতে পারেন। সেখানে রয়েছে স্যাম্পেল প্রশ্নপত্র, মার্কিং স্কিম, ক্যুয়েশ্চন ব্যাঙ্ক ইত্যাদি। কোর্স শুরু হলেই স্টাডি মেটেরিয়াল প্রকাশিত হবে ওয়েবসাইটে। এই প্রশ্নপত্রগুলো দেখলেই আগামী বছরের পরীক্ষা সম্পর্কে বিশদে ধারণা পাবেন পড়ুয়ারা। 

    করোনা (Covid) মহামারীর আগে সিবিএসই একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করত। তবে এই বছর দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা দুটি ভাগে হয়।

    ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই দুটি ভাগে বোর্ড পরীক্ষা (Board Exam) চালু করেছিল সেই মতো গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টার্ম ১ পরীক্ষা। টার্ম ২ পরীক্ষা ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়।  

    এর আগে কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। তারপরই দুই ভাগে বোর্ড পরীক্ষা করানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে পরীক্ষা বাতিলের জেরে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন হয়েছিল অ্যাসাইনমেন্ট, প্র্যাক্টিকাল মার্কসের উপর ভিত্তি করে। তবে এখন কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড পূর্ববর্তী একটি নিয়ম ফেরাতে চলেছে সিবিএসই।    

  • Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পরে এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা (Thailand Daycare Shooting)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অবধি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। পালিয়েছে হামলাবাজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে থাইল্যান্ড পুলিশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।        

    বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের নং বুয়া লামফু অঞ্চলের একটি চাইল্ড সেন্টারে এই হামলা চলে। বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ব্যাংকক লাইসেন্স প্লেটসহ একটি সাদা পিকআপ গাড়িতে পালিয়ে যায়। গাড়ির নম্বর  ৪৯৯। পুলিশের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, কেউ যদি ওই নম্বরের পিকআপ ভ্যান দেখেন তাহলে যেন ১৯২ নম্বরে ফোন করে তা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩৪ জনকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত তার সন্তান ও স্ত্রীকেও গুলি করে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে আততায়ী। তবে এর পরেও ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন। 
     
    সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, আততায়ী একজন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, অপরাধীকে খুঁজে বের করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে পুলিশকে। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশ,থাইল্যান্ডে লাইসেন্সকৃত বন্দুকের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানেও বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। 

    ঠিক কী কারণে বন্দুকবাজের হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। কারণ গত কয়েকদিন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। আর এরপরেই এই ঘটনা। ফলে বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।  

    এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার এক সেনা গুলি করে  ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Durga Puja 2022: মহাসপ্তমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা কালরাত্রির অসুর বধের পৌরাণিক কথা

    Durga Puja 2022: মহাসপ্তমীর মাহাত্ম্য: জানুন মাতা কালরাত্রির অসুর বধের পৌরাণিক কথা

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: নবরাত্রির সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি (Devi Kalratri)। বাংলাতে প্রচলিত দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর (Maha Saptami) দেবী তিনি। মাতা কালরাত্রি ভীষণ দর্শনা। এলোকেশী। তাঁর চারটি হাত। ওপরের ডান হাতে আশীর্বাদ, নীচের ডান হাতে অভয় মুদ্রা। বাঁ দিকে ওপরের হাতে খড়গ এবং নীচের বাম হাতে রয়েছে লোহার কাঁটা। দেবী ত্রিনয়নী এবং তাঁর চোখগুলি গোলাকার। দেবীর গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। এই দেবীর বাহন গাধা এবং তাঁর নিশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ংকর অগ্নিশিখা নির্গত হয় বলে কথিত আছে। দেবী কালরাত্রি সম্পর্কে অজস্র পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে, তিনি চন্ড মুন্ড নামের দুই অসুর কে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর অপর নাম তাই “চামুণ্ডা”। দেবী মাহাত্ম্য তে উল্লেখ রয়েছে – শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দানব ছিল। তারা প্রজাপতি ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করলেন । খুশি হয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মা বর দিতে আবির্ভূত হলেন । দুই দানব বর চাইলো যে , কোন পুরুষ যেনো তাদের বধ করতে না পারে । ব্রহ্মা তাদের কাঙ্ক্ষিত বর প্রদান করলেন। দুই অসুর চরম অত্যাচার শুরু করলো দেবতাদের উপর। এই দুজনের সাথে যোগ দিল চন্ড মুন্ড নামের আরও দুই অসুর। তাঁদের সাথে এলো রক্তবীজ। যার প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়লে দ্বিতীয় রক্তবীজ তৈরী হবে। এমনটাই বরদান ছিল তার উপর প্রজাপতি ব্রহ্মার । এইসমস্ত অসুরদের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। অসুরদের উপর ব্রহ্মার বরদান সম্পর্কেও দেবতারা অবগত ছিলেন। মুনি ঋষি দের যজ্ঞ পন্ড করা, ঋষি কন্যাদের নানা ভাবে লাঞ্ছিত করা এসব কাজ তো চলছিলই। অসুরদের এমন আক্রমণে দেবতারা অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলো। নিজেদের স্বর্গরাজ্য থেকে তারা বিতাড়িত হলো। দেবতারা হিমালয়ের কোলে শুরু করলেন দেবীর স্তব। দেবী মাহাত্ম্য তে এই স্তব সম্পূর্ণ ভাবে উল্লেখ রয়েছে‌ । কিছুটা অংশ সংযোজিত করা  হলো , কমবেশি এই স্তব সকলেই আমরা জানি।

    যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমাযেতি শব্দিতা 
    নমস্তস্যৈ
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীযতে
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা 
    নমস্তস্যৈনমস্তস্যৈ  নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা .
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ 

    পুরাণে কথিত রয়েছে –  এমন সময় সেখান দিয়ে শিব জায়া দেবী পার্বতী গঙ্গা স্নানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন । দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন – “ হে দেব বৃন্দ , আপনারা এখানে কার স্তব করছেন ? ”

    সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে একই রকম দেখতে আর এক জন দেবী বেরিয়ে এলেন । আবির্ভূত হয়ে নব দেবী জানালেন – “ দেবতারা আমার স্তব করছেন ।” এই দেবীই আদ্যাশক্তি জগত মাতা অম্বিকা মহামায়া । তিনি দেবী পার্বতীর কোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছেন বলে তার এক নাম কৌষিকী । কথিত আছে এর পর নাকি দেবী পার্বতী কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান ।যাঁকে আমরা কালরাত্রি বলি। ইনি মাতা কালিকা নামেও পরিচিত। পুরাণে আরো  উল্লেখিত আছে, দেবী একদিন হিমালয়ে সিংহ পৃষ্ঠে বসে মধু পান করছিলেন,  এমন সময় চণ্ড আর মুণ্ড নামক দুই দানব দেবীকে দেখতে পেলেন । চন্ড মুন্ড একথা গিয়ে শুম্ভ নিশুম্ভ কে জানাল । শুম্ভ , নিশুম্ভ সেই দেবীর রুপ বর্ণনা শুনে দেবীকে লাভ করার জন্য আকুল হল । সুগ্রীব নামক এক অসুর  দেবীর কাছে গেল শুম্ভ নিশুম্ভের দূত হিসেবে। সুগ্রীব হিমালয়ে সেই পর্বত চূড়ায় গিয়ে দেবীকে শুম্ভ নিশুম্ভের পরাক্রম , ঐশ্বর্য এর কথা বলে বিবাহের প্রস্তাব দিল । দেবী একথা শুনে হেসে বললেন – “ আমার প্রতিজ্ঞাটি শোন – যিনি আমাকে যুদ্ধে জয় করবেন , তিনিই আমার স্বামী হবেন”। এরপর শুম্ভ নিশুম্ভের সেনাপতি ধুম্রলোচন ষাট হাজার সেনা নিয়ে গেলেন দেবীকে পরাজিত করতে। দেবীর তেজে ধুম্রলোচন ভস্মীভূত হলো। দেবীর সিংহ বাহিনী অসুর সেনাকে ধ্বংস করে দিল।শুম্ভ নিশুম্ভ এরপর  চণ্ড ও মুন্ড কে পাঠালো । চন্ড ও মুণ্ড বহু সেনা , অশ্ব , রথ , হাতি নিয়ে যুদ্ধে এলো‌ তারা হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকা কে দেখতে পেল । দেবী চন্ডিকা তাদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন । ক্রোধে তাঁর মুখ মণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হল ।তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন । সেই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি । অতি ভীষনা, ভয়ঙ্করী , কোটর গতা , আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ংকরা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন । কত গুলি অসুরকে দেবী তার চরণ ভারে পিষে বধ করলেন । কোন কোন অসুর দেবীর খড়গের আঘাতে মারা গেল । যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুর দের ধ্বংস করে ফেললেন । এরপর দেবী তার খড়গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চন্ডের দিকে ধেয়ে গেল । দেবী চন্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন । চন্ড অসুর বধ হল। চন্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুন্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেলো । দেবী তার রক্তাক্ত খড়গ দিয়ে আর এক কোপে মুন্ড এর শিরোচ্ছেদ করলেন । এভাবে মুণ্ড বধ হল। চন্ড মুন্ড বধ হতে দেখেই  দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। দেবী মাহাত্ম্য অনুযায়ী, চন্ড আর মুণ্ড এর ছিন্ন মস্তক নিয়ে দেবী, মহামায়ার কাছে এসে বিকট  হেসে বললেন – “ এই যুদ্ধরূপ যজ্ঞে আমি আপনাকে চন্ড ও মুন্ড নামে দুই মহাপশুর মস্তক উপহার দিলাম । এখন আপনি নিজেই শুম্ভ ও নিশুম্ভ কে বধ করবেন ।”দেবী অম্বিকা তখন বললেন – “ হে দেবী , যেহেতু তুমি চন্ড ও মুণ্ডের বধ করে মাথা দুটি আমার নিকট নিয়ে এসেছো , সেজন্য আজ থেকে তুমি জগতে ‘চামুন্ডা’ নামে বিখ্যাত হবে ।” পন্ডিত মহলের মতে মাতা কালরাত্রির অপর নাম তাই “চামুণ্ডা”।

    মাতা কালরাত্রি শুভফলের দেবী বলেও অনেকে মনে করেন। তাই মাতার  আরেক নাম হলো “শুভঙ্করী”। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার নৈবেদ্য তে গুড় নিবেদন করলে তিনি প্রসন্না হন বলে ভক্তদের ধারণা‌।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    SBI: ঋণ রেট ৫০ বিপিএস বাড়িয়েছে এসবিআই, বাড়তে পারে হোম লোন খরচও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India)। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের একাধিক ব্যাংকও নিজেদের ঋণদানের সুদের হার বাড়িয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও (State Bank Of India) ঋণে সুদ বাড়িয়েছে। এছাড়া আরও অনেক ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার রেপোরেটে ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।  

    আরও পড়ুন: ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক, কত হল জানেন?

    এসবিআই (SBI) ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক্সটার্নাল বেঞ্চমার্ক ল্যান্ডিং রেট ইবিএলআর (EBLR) এবং রেপোরেট এর সঙ্গে সম্পর্কিত আরএলএলআর (RLLR) ৫০ বেসিস পয়েন্টে বাড়ানো হয়েছে। এই বৃদ্ধির পরে ইবিএলআর ৮.৫৫ শতাংশ হয়ে গিয়েছে এবং আরএলএলআর ৮.১৫ শতাংশতে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে নতুন রেট লাগু হয়েছে। 

    ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (BOI) আরবিএলআর বাড়িয়ে ৮.৭৫ শতাংশ করেছে। আইসিআইসিআই  ব্যাংকও (ICICI) নিজেদের ইবিএলএলআর বাড়িয়েছে। তা বাড়িয়ে ৯.৬০ শতাংশ করে দিয়েছে। ঋণে সুদের হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাসিক কিস্তির রেটও বাড়বে। যারা ইবিএলআর এবং আরএলএলআর এর উপর লোন নিয়েছিলেন তাদেরকে দিতে হবে এই বাড়তি টাকা। এইচডিএফসি (HDFC) হোম লোনের সুদের হারের ০.৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন রেট ১ অক্টোবর থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হোম-লোনে ইএমআইও বাড়তে পারে। ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলে প্রায় ৩ হাজার টাকা বার্ষিক খরচ বাড়তে পারে।  
     
    মূল্যবৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক এ বছর মে মাস থেকে শুরু করে চারবার রেপোরেট বৃদ্ধি করেছে। রিজার্ভ ব্যাংক শুক্রবার, চতুর্থবার রিপোর্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে রেপো রেট। আরবিআই এই বৃদ্ধির পরে রেপো রেট ৫.৯০ শতাংশতে পৌছে গিয়েছে। এই দরেই আরবিআই ব্যাংকগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Umar Ahmed Ilyasi: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

    Umar Ahmed Ilyasi: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat) ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন অখিল ভারত ইমাম সংগঠন প্রধান উমর আহমেদ ইলিয়াসী (Umar Ahmed Ilyasi)। আর এরপর থেকেন খুনের হুমকি আসছে তাঁর কাছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন খোদ ইমাম প্রধান। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। 

    কিছুদিন আগেই দিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে একটি মসজিদে উমর আহমেদ ইলিয়াসীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। এরপর একটি মাদ্রাসাতেও যান তিনি। এই সাক্ষাতের পরেই মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলে সম্মোধন করেন  ইলিয়াসী। 

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতের সঙ্গে মুসলিম সম্প্রদায়ের আলোচনা কতটা তাৎপর্যের? 

    ইলিয়াসী বলেন, “মোহন ভাগবত যে সকল কাজ করে চলেছেন, তা প্রশংসনীয়। আমাদের সমাজে তাঁর কাজ ভালো বার্তা দেবে। প্রত্যেকের ভগবানের প্রতি উপাসনা আলাদা। তবে আমার মনে হয়, সবচেয়ে বড় ধর্ম হলো মানবতার। দেশ সবার আগে।”   

    আরও পড়ুন: নিশানা ছিল আরএসএস হেডকোয়ার্টার! আত্মঘাতী জঙ্গি নিয়োগ করেছিল পিএফআই? 

    অভিযোগ গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড থেকে একটি হুমকি ফোন আসে ইলিয়াসীর কাছে। সেই ফোনে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলার কারণেই এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইলিয়াসী।

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিজেপি-আরএসএস কর্মীদের ওপর পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১১

    তিনি বলেন, “ইংল্যান্ড থেকে একটি হুমকি ফোন আসে, যেখানে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পরবর্তীতে প্রাণের হুমকি দেওয়া হয়। আসলে কিছু মানুষ দেশের শান্তি পছন্দ করে না। সেই জন্য এই সব করা হচ্ছে। তবে এহেন হুমকির কাছে আমি কখনোই মাথা নত করব না। আমি আমার বক্তব্যে অনড়।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে জিএসটি (GST) থেকে সরকারের আয় ১,৪৭,৬৮৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে এমনটাই জানানো হল। গত বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছর সংগৃহীত জিএসটি-র পরিমাণ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার ছয় মাস জিএসটি থেকে মাসিক আয় ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে। মন্ত্রকের মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোট সংগৃহীত জিএসটির মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি (CGST) ছিল ২৫,২৭১ কোটি টাকা ৷ রাজ্য জিএসটি (SGST) ৩১,৮১৩ কোটি টাকা এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি (IGST) ৮০,৪৬৪ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৮৫৬ কোটি টাকা) এবং সেজ ১০,১৩৭ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৪১,২১৫ কোটি টাকা)। অগাস্টে মোট জিএসটি (gst) রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে জিএসটির কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে।    

    আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ  

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    এখন হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হয়। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হয়। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল।   

    আরও পড়ুন: নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভাড়াটের জিএসটির রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে তাঁকে ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল সরকার। পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত হত্যা মামলায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। কিন্তু সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    ২০১১ সালের ৬ মে গুলিতে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৩ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম জড়ায়। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এক দশক কেটে গেলেও এই ঘটনায় কোনও সুবিচার হয়নি। অভিযুক্তরা আজও শাস্তি পায়নি। এতদিন এই তদন্তের ভার ছিল সিআইডির ওপর। রাজ্য সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, শুভেন্দুর চিঠি নির্মলাকে, আরটিআই পত্রবোমা রাজ্যকেও

    শুরুতে তপন দত্ত খুনের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অরূপ রায় সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ৮ জনের নাম বাদ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।  

    সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিআইডি তদন্তে কেন আটজনের নাম বাদ দেওয়া হল? মামলাকারীর সিআইডি তদন্তের প্রতি অনাস্থা অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল আদালতের। তাই  সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

    এরপর ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন ও রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে তাতেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই  তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Jasprit Bumrah: টি২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না বুমরাহ, ‘খলনায়ক’ স্ট্রেস ফ্র্যাকচার 

    Jasprit Bumrah: টি২০ বিশ্বকাপ খেলছেন না বুমরাহ, ‘খলনায়ক’ স্ট্রেস ফ্র্যাকচার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি২০ বিশ্বকাপের দল (T20 World Cup 2022) থেকে ছিটকে গেলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah)। এমনটাই খবর বিসিসিআই সূত্রে। যদিও বিসিসিআই-এর (BCCI) তরফে এখনও কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি।  

    আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর ভারত বনাম পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ! ইসিবি-র প্রস্তাবে কী জানাল বিসিসিআই?

    মুলত পিঠের চোটের কারণেই দল থেকে সরে দাঁড়াতে হল বুমরাহকে। এশিয়া কাপেও (Asia Cup) পিঠের চোটে ভুগেছেন এই খেলোয়াড়। আবারও পিঠের চোট বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এর আগে এই চোটের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম টি২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি বুমরাহ। চোট সারিয়ে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের জন্য দলে ফেরেন বুমরাহ। তবে সেই কামব্যাক বেশিদিন স্থায়ী হল না। ফের ছিটকে গেলেন দলের এক নম্বর বোলার। টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই, এর আগে বুমরাহর চোটের জেরে বিপদে টিম ইন্ডিয়া (Team India)।   

     

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের ২টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামেন জসপ্রীত। নাগপুরের ৮ ওভারের ম্যাচে বুমরাহ ২ ওভার বল করেন। ২৩ রানে ১টি উইকেট নেন তিনি। পরে হায়দরাবাদে ৪ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়েও কোনও উইকেট নিতে পারেননি তিনি।

    চোট সারিয়ে ফেরার পরেও বুমরাহ পিঠে ব্যাথা অনুভব করায় চিন্তায় ছিল ভারতীয় ক্রিকেটমহল। সত্যি হল সেই আশঙ্কাই। বোর্ডের তরফে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, বুমরাহর পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার রয়েছে। তাই বিশ্বকাপে তাঁর মাঠে নামা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “এটা নিশ্চিত যে, বুমরাহর পক্ষে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব নয়। ওর পিঠের অবস্থা বেশ গুরুতর। ওর স্ট্রেস ফ্র্যাকচার রয়েছে। ফলে অন্তত ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে জসপ্রীতকে।” 

    দলের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার পর চোটের জন্যে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লেন ভারতের আরও এক তারকা ক্রিকেটার।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

    Dengue: পুজোর আগে কাটছে না ‘ডেঙ্গি বিপদ’, তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর রাজ্যের নয়া আতঙ্ক ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা কমলেও উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গি সংক্রমণ এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১২ জন।

    আরও পড়ুন: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী? 

    বর্তমানে সব মিলিয়ে ৬১০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট ৮,১১৭ জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে। রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৭। সূত্রের খবর, এখনও অবধি রাজ্যে ২৯ জন ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়লেও আনন্দে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে এই রোগ। 

    স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রের খবর, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দার্জিলিঙের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। গত মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছিল প্রায় ১,৪০০। সেই তুলনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।  

    প্রতি বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতির সাপ্তাহিক রিপোর্ট প্রকাশ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের ৩৮তম সপ্তাহের রিপোর্ট। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্যে দেখা গিয়েছে, ৩৭তম সপ্তাহের চেয়ে ৪২২৪ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮তম সপ্তাহে। অর্থাৎ, এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচশোর বেশি মানুষ মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। সেখানে ৮৫৮ জন আক্রান্ত হয়ে, এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৩৯। পরিস্থিতি সামগ্রিক ভাবে উদ্বেগজনক হলেও আগামী বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রিপোর্টে ডেঙ্গি সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
LinkedIn
Share