Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Agniveer Vayu Recruitment 2023: পুজোর পরেই অগ্নিবীর পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় বায়ুসেনা, জানুন বিস্তারিত

    Agniveer Vayu Recruitment 2023: পুজোর পরেই অগ্নিবীর পদে নিয়োগ করবে ভারতীয় বায়ুসেনা, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অগ্নীবির বায়ু (IAF Agniveer Recruitment 2023) পদে নিয়োগ করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ই এই পদে আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে অগ্নিবীর বায়ু পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে বিশদে জানতে https://agnipathvayu.cdac.in– এই ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: অগ্নিবীর নিয়োগের পরীক্ষার পাঠক্রম প্রকাশ বায়ুসেনার, জানুন বিস্তারিত

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনা এখনও ২০২৩ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেনি। কথা মতো চলতি বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদনের লিঙ্ক অ্যাকটিভেট করা হবে বায়ুসেনার পক্ষ থেকে। অনলাইনে আবেদন করতে হবে।  প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই আবেদনপত্র পেয়ে যাবেন। 

    আরও পড়ুন: “গণতন্ত্রে প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, তবে হিংসা বরদাস্ত নয়”, হুঁশিয়ারি ডোভালের

    ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নেওয়া হবে অনলাইন পরীক্ষা। নিশ্চিত করে কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে সে বিষয়েও এখনও কিছু জানায়নি বায়ুসেনা। 

    এই বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নিন:

    পদের নাম: অগ্নিবীরবায়ু

    কাজের স্থান: ভারত

    নির্বাচন পদ্ধতি: অনলাইন পরীক্ষা ও অন্যান্য

    আবেদন শুরু: নভেম্বর, ২০২২

    যোগ্যতা: ৫০% নম্বর নিয়ে দ্বাদশ পাস হতে হবে। এছাড়াও, ইংরেজিতে কমপক্ষে ৫০% নম্বর থাকতে হবে। এছাড়াও, প্রার্থীদের কমপক্ষে ৫০% নম্বর সহ প্রকৌশলে দুই বছরের ডিপ্লোমা (মেকানিক্যাল/ ইলেক্ট্রিক্যাল/ ইলেকট্রনিক্স/ অটোমোবাইল/ কম্পিউটার সায়েন্স/ অটোমোবাইল/ কম্পিউটার সায়েন্স/ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি/ আইটি) সম্পন্ন করতে হবে।  

    বয়স: আবেদনকারীর সর্বনিম্ন বয়স ১৭.৫ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে।

    কয়েক মাস আগেই অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর মাধ্যমে প্রত্যেক বছর দেশের বায়ু, স্থল এবং নৌসেনায় নিয়োগ করা হবে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    Uttarkashi Avalanche: উত্তরকাশী তুষারধস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, এখনও নিখোঁজ ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) সব মিলিয়ে এই অবধি ১৬ জনের মৃতদেহ (Death Toll) পাওয়া গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় নিখোঁজদের সন্ধানকাজ। শুক্রবার ফের সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। ৪ অক্টোবর ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং ৬ অক্টোবর ১২টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে ২জন শিক্ষক ও ১৪ জন প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী ছিলেন।  নিখোঁজ এখনও ১৩ জন। 
     
    উত্তরকাশীতে “দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২”- তে পর্বতারোহন প্রশিক্ষণের জন্য নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এর ৪১ জনের একটি দল যায়। এই দলে ছিলেন ৯ জন শিক্ষক ও বাকিরা প্রশিক্ষণরত পর্বতারোহী। জানা গিয়েছে এই দলে  দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, আসাম ও হরিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন। হঠাৎ তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) আটকে পড়েন তাঁরা। ঘটনার আকস্মিকতা সামলাতে না পেরে মৃত্যু হয় ১৬ জনের। রেসকিউ বুলেটিন প্রকাশ করে উদ্ধারকাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং।     
      
    দ্রৌপদী কি  ডান্ডা -২ শৃঙ্গটি ৫৬৭০ মিটার উঁচু। অঞ্চলটি আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ (Uttarkashi Avalanche) বলে পরিচিত। আর এই অঞ্চলের পাহাড়ি ঢালগুলি খাড়া হাওয়ায় ঢালের গা বেয়ে তুষারের স্তুপ ভেঙে পড়ে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ জারি রাখছে উত্তরাখণ্ডের  উদ্ধারকারী দল। স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (SDRF), ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF), ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ  (ITBP) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী (IAF) হেলিকপ্টার নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে।     

    এই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহকও ছিলেন বলে উত্তরাখণ্ড সরকার সূত্রে খবর। যাদের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁদের মধ্যে ছিলেন এভারেস্টজয়ী তথা নিমের প্রধান সবিতা কাঁসওয়াল। সবিতা কাঁসওয়াল  উত্তরকাশীর  লংথ্রু গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

    আরও পড়ুন: যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম…     
     
    উত্তরকাশীতে  কিছুদিন আগেও তুষারধসে (Uttarkashi Avalanche) মৃত্যু হয়েছিল  ১০ জনের।  তার দুদিন পর আবার এমন দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ট্রেকিং এর অনুমোদন দেওয়ার আগে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে। 

    রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং ভারতীয় বিমান বাহিনী নিখোঁজ পর্বতারোহীদের (Uttarkashi Avalanche) সনাক্ত করতে গতকাল একটি যৌথ অভিযান চালায়। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিকেল চারটের দিকে অভিযান বন্ধ করে দেয় সেই দল। ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী দক্ষ পর্বতারোহীদের দল পাঠিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা অভিযানের জন্য সারসাওয়া থেকে দুটি এবং বেরেলি থেকে একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    UTTARAKHAND AVALANCHE: দ্রৌপদী কা ডান্ডা পর্বতে তুষারপাতের বিভীষিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রুদ্ররূপ ধারণ করেছে উত্তরাখণ্ড। ফের তুষারধসের শিকার এই পাহাড়ি রাজ্য। দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২ (Draupadi ka Danda 2) পাহাড়ে ধস নামে। সেই সময় সেখানে বহু পর্বতারোহী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেসময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তুষারধসে (UTTARAKHAND AVALANCHE) একাধিক পর্বতারোহী আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই অনেকের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখনও অনেকে তুষার ধসের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসে চাপা পড়ে থাকা পর্বতারোহীদের উদ্ধার করে দেরাদুনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (NIM)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পর্বতারোহী দলের ২২ জন নিখোঁজ।   

    আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে মৃত অন্তত ১০, আটকে তিন বাঙালি পর্বতারোহী

    তুষার চাপা পড়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফেরা পর্বতারোহী রোহিত ভাট। 

    কী হয়েছিল সেদিন? কীভাবে মুহুর্তে চলে গেল এতগুলো প্রাণ? নিজের মুখেই শোনালেন মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। রোহিত বলেন, “আমাদের খাওয়ার কিছু ছিল না। কারণ আমরা যে জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম তা ভেসে গেছে। আমাদের যদি কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করার জন্য থাকত, তাহলে আমরা বাঁচাতে পারতাম আরও অনেককে। আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল সবটা হঠাৎ করেই হয়েছিল।” 
     
    রোহিত আরও বলেন “যদি আমরা ১০ সেকেন্ড সময়ও পেতাম, আমরা আরও জীবন বাঁচাতে পারতাম।”
     
    উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা রোহিত নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং-এ অ্যাডভান্স মাউন্টেনিয়ারিং কোর্সের পাঠরত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন “মঙ্গলবার ভোর তিনটে থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং সাতজন প্রশিক্ষক ছিলাম। আমরা যখন ৫৫০০ মিটারে পৌঁছেছিলাম তখন তুষারধসের কবলে পড়ি। যা আমাদের গন্তব্য থেকে মাত্র  ১০০-১৫০ মিটার দূরে ছিল। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে আটটা। তুষারপাত এতটাই প্রবল ছিল যে আমরা কিছু ভাবার সময়ও পাইনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই তুষারপাতের কারণে সবকিছু সাদা হয়ে যায়। আমাদের অনেক সহশিক্ষার্থী এবং প্রশিক্ষক ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়েন।”

    আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারধস! অল্পের জন্য রক্ষা পেল কেদারনাথ মন্দির 

    রোহিতের জানান, দুজন প্রশিক্ষণার্থী এবং কিছু প্রশিক্ষক একটি সামান্য উঁচু জায়গায় ছিলেন, অন্যান্য পর্বতারোহী এবং অন্যান্য প্রশিক্ষকরা তাঁদের অনুসরণ করেছিলেন। তুষারপাত পর্বতারোহীদের ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দেয়। তারা ৬০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। তাতে পড়ে যান রোহিতও। তবে বরফ কাটার যন্ত্র তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছিল।     

    রোহিত বলেন, “সেই দিন অনিল স্যার, নেগি স্যার, এসআই স্যার এবং আমি এভারেস্টার সাবিতা কানসওয়াল, নওমি রাওয়াত এবং দুই প্রশিক্ষণার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিলাম। আমরা তিনজন প্রশিক্ষণার্থী পর্বতারোহী এবং স্কিইং বিভাগের একজনকে তুষারধসের স্থান থেকে উদ্ধার করি।”

    তিনি জানান আহত পর্বতারোহীদের উদ্ধারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করে এনআইএম। তিনি বলেন, “পরের দিন সকালে, আইটিবিপি কর্মীরা আমাদের তাদের বেস ক্যাম্পে এয়ারলিফট করে এবং তারপরে আমাদের উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    Armenia: আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি ভারতের, রফতানি হবে পিনাকা রকেট লঞ্চারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে আবারও সম্মুখ সমরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আজারবাইজানের হামলার মোকাবিলা করতে এবার ভারত থেকে ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের অস্ত্র কিনছে আর্মেনিয়া। পিনাকা মিসাইল (Pinaka Launchers) থেকে শুরু করে বিপুল গোলাবারুদ আর্মেনিয়ায় (Armenia)  রফতানি করছে ভারত সরকার (India)। ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ারও বেশ কিছু দেশ আর্মেনিয়ায় অস্ত্র রফতানি করেছে। আজারবাইজানের সঙ্গে বিবাদের জেরেই আর্মেনিয়াকে এইধরনের বিপুল অস্ত্র ভারতের তরফে রফতানি করা হচ্ছ বলে জানা গিয়েছে।  

    আরও পড়ুন: দেশের নয়া সিডিএস হচ্ছেন অনিল চৌহান, জানেন তিনি কে?

    এ ব্যপারে দেশ দুটির মধ্যে চলতি মাসেই একাধিক চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পিনাকা ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কার্গিল যুদ্ধে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করা হয়। ট্রাকের ওপর বহন করা যায় এই রকেট লঞ্চার। ৯০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনের হামলা মোকাবিলায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। এই ‘মাল্টিপল রকেট লঞ্চার’ মাত্র ৪৪ সেকেন্ডে একসঙ্গে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। এই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আজারবাইজানের হানা ঠেকাতে আর্মেনিয়া ফৌজের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে বলে মনে করেছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।   

     



    এর আগেও এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছে। ২০২০ সালে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে লাগা যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই সময় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশে শান্তি ফেরে। কিন্তু এই মুহূর্তে পুতিনও মধ্যস্থতা করার অবস্থায় নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে দেশে তৈরি অস্ত্র যাতে আরও বেশি করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত যাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার দেশীয় অস্ত্র রফতানি করতে পারে, সে বিষয়ে নেওয়া হয়ছে বিশেষ উদ্যোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    Durga Puja 2022: জানুন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতিবছর মা দুর্গা বাপের বাড়িতে আসেন  সন্তানদের সাথে নিয়ে।  মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সাথে আসে তাঁদের বাহনগুলিও। গণেশের সঙ্গে ইঁদুর আসে, মা সরস্বতীর সঙ্গে আসে হাঁস, মা  লক্ষ্মীর সঙ্গে প্যাঁচা আসে, কার্তিকের সঙ্গে ময়ূর আসে এবং স্বয়ং মা দুর্গার সঙ্গে আসে সিংহ। বাহন গুলির পৌরাণিক কাহিনী তে যাওয়ার আগে বলা দরকার ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক আমল থেকেই। মাটি, অগ্নি, বায়ু নদী,গাছ সবকিছুই পূজিত হয় এই সভ্যতায়। নদী পুজোর এই মন্ত্রটি কমবেশি সকলেই শুনেছি।  

    গঙ্গে চ যমুনে চৈব
    গোদাবরী সরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য করা হয়। এই ধারণা থেকেই হয়তো বাহন হিসেবে তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনী গুলিতে ।

    মা দুর্গার বাহন কেন সিংহ?

    পুরাণ অনুযায়ী-  দেবী পার্বতী হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসাবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে পড়ে।

    সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি তাঁদের জন্য খাবার বানাবেন। এরমধ্যে বহু বছর কেটে যায়,কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল , তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সে। সিংহের এই কর্মকাণ্ডের জন্য দেবী পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য , পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুর দের ধ্বংসকারী মাতার বাহন তাই সিংহ । এটাই পন্ডিত মহলের মতামত।

    গণেশের বাহন ইঁদুর কেন? 

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। এক দিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন বামদেব। তিনি  ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষির অভিশাপ দেন কোনো দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ।  ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো ফল হয় না। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনো দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্ত্যলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন , কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে  শুরু করেন। এ দিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠে কুটিরবাসীরা।
     এক দিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছোন। জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা।  তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা  বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন করে নেন। 

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা কেন?

    পৌরাণিক গল্প অনুযায়ী যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেন, তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা  দেবতাদের ধন্যবাদ জানায় তাদের প্রাণী হিসেবে তৈরি করার জন্য। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দেবী লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এখান থেকে পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন। লক্ষ্মী মাতা ধানের দেবী, ইঁদুর ধান খেয়ে ফেলে। তাই এই ধারণা থেকেও লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা হতে পারে।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর কেন?

    তারকাসুর কে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ঐ ময়ূরটিই হলো কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন হাঁস কেন?

    হাঁস নাকি জল, স্থল , অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যা দানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন মা সরস্বতী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    Durga Puja 2022: “কলা বৌ” আসলে কার বৌ জানেন কি ?

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: মা দুর্গার বড় ছেলের পাশেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। লাল পাড়ের শাড়ি পরিয়ে নারী মূর্তির আদল দেওয়া হয় তাঁকে। আসলে তিনি যে বৃক্ষ। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন “কলা বৌ” (Kola Bou)। ঢাক ঢোল বাজিয়ে,  ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে “কলা বৌ” স্নান করানো হয়, তারপর তা’  স্থাপন করা হয় ঠিক গণেশের পাশে। বধূ বেশে, ঘোমটা টেনে গণেশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা “কলা বৌ” কি তবে গণেশের বৌ ? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে বাসা বাঁধে। আবার কেউ কেউ এই ধারণাটাই সঠিক মনে করেন। 

    পুরাণ অনুযায়ী, গণেশের দুটো বৌ। একজন ঋদ্ধি ও অপরজন সিদ্ধি। তাঁরা দুজনেই ব্রহ্মার মানস কন্যা। শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই দুজন গণেশের কাছে যান এবং কোনো কারণবশতঃ গণেশ রূষ্ট হয়ে তাঁদের দুজন কে অভিশাপ দিতে উদ্যত হলে ব্রহ্মা আবির্ভূত হন এবং গণেশের সাথেই দুজনের বিবাহ দেন।

    “কলা বৌ” তো তাহলে গণেশের বৌ নয়।  তবে “কলা বৌ” আসলে কার বৌ ? এককথায় উত্তর হবে – শিব জায়া অর্থাৎ শিবের বৌ। “কলা বৌ” আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে – “কলা বৌ” প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই “কলা বৌ” এর আসল নাম “নবপত্রিকা”। এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে –   

    রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ।
    অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা।

    রম্ভা (কলা ), কচ্চী (কচু ), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব( ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ‌। নবপত্রিকায়, একটি পাতা যুক্ত কলাগাছের সাথে অপর আটটি উদ্ভিদ কে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। কলা গাছটিকে কে নারী দেহের গঠন দেওয়ার জন্য বেল দুটিকে স্তনযুগলের মতো রাখা হয়।

    অতিপ্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পূজা ভারতীয় উপমহাদেশের রীতি। অগ্নি,জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সবকিছু তেই ঈশ্বর বিরাজমান – এ ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” এর পুজো‌। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্য শস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ঔষধ এসব কিছু তেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই  অধিষ্ঠাত্রী দেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদ গুলোতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান।নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত।

    মহাসপ্তমীর সকালে  “নবপত্রিকা” এর পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয় – 
    “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”  যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় – নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা ।
    এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক নবপত্রিকার ন’টি গাছ দেবী দুর্গার কোন কোন রূপের প্রতীক।

    ১. রম্ভা (কলা গাছ): কলা গাছ এর অধিষ্টাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী;
    ২.কচু : কচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কালিকা;
    ৩.হরিদ্রা (হলুদ গাছ): হরিদ্রা গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী উমা;
    ৪.জয়ন্তী: জয়ন্তী গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী কার্তিকী;
    ৫.বিল্ব (বেল গাছ): বিল্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শিবা;
    ৬.দাড়িম্ব (ডালিম/বেদানা গাছ): দাড়িম্ব গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা;
    ৭.অশোক: অশোক গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী শোকরহিতা;
    ৮.মানকচু: মানকচু গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী চামুণ্ডা;
    ৯.ধান: ধান গাছের অধিষ্টাত্রী দেবী লক্ষ্মী।

    হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি নীতি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের ” আকাডেমিক পুরস্কার ” প্রাপক গবেষক ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকা পুজো বিষয়ে তিনি তাঁর ” ভারতের শক্তি সাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের ” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন – ” বলাবাহুল্য এসবই হলো পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সাথে এই শস্য দেবীকে ( পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গা পুজোর ভিতরে এখনো সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো , অনেক খানি মিশিয়া আছে “।

    নবপত্রিকার সাথে দুর্গা পুজোর সম্পর্ক নিয়ে পন্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কন্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনো বিধান নেই, আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে , রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পন্ডিত দের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও একসময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ” পুজো হয়ে আসছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    Durga Puja 2022: ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয়না, জানেন কী পুজোতে ‘ঘট ‘ অপরিহার্য কেন ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেকোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনো পুজো হয় না। ঘট বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো, যে দেবতার উদ্দেশ্যে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হলো আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে , জেনে নেওয়া যাক ঘট এর প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল৷ এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসাবে এবং  নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল৷ মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সাথে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষ কে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরী করেছিলেন বিশ্বকর্মা । সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ির অর্থ হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক । এককথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশষ্য । এগুলি হলো, মানুষের পাঁচটা বৃত্তি- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য এর প্রতীক। ঘটের ভেতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর উপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘট কে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়, তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয় সবটাই ঘট’ এ রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হলো এখানে  দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায়না যখন ঘটের উপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হলো মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় ” মুখমন্ডল ” এর প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন ঘটে স্বয়ং দেব দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যেকোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচারগুলো –

    ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি, গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পন্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে, পবিত্র কোন পুকুরের মাটি লাগে।

    ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা। পাতা গুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    পন্ডিতদের মতে তেল ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের উপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের উপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা।

    চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠি গুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা।

  • Pakistan Supports PFI: নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    Pakistan Supports PFI: নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি কার্যকলাপের জন্য পাঁচ বছরের জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (PFI) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র (Centre Banned PFI)।  পিএফআইয়ের সমস্ত সহযোগী সংস্থা এবং অনুমোদিত সংস্থার উপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অবিলম্বেই কার্যকরী হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সরকার। বরাবরই এই সংগঠন পাকিস্তানের বিস্তর সমর্থন পেয়ে এসেছে (Pakistan Supports PFI)। এমনকি এই সংগঠনের কর্মীদের ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতেও শোনা যায়। এই সংগঠনকে যে পাকিস্তান হাওয়া দিচ্ছে সেই সন্দেহ আগে থেকেই ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই পিএফআই- এর ট্যুইটে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো হল ভ্যাঙ্কুবারের পাকিস্তানি দূতাবাসের (Pakistan Embassy) অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে। পিএফআই- এর ট্যুইটের কমেন্টবক্সে গিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনকে ট্যাগ করল পাকিস্তানের দূতাবাস। এমনই স্ক্রিন শট এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার যত্র-তত্র।  

    আরও পড়ুন: আইইডি তৈরির পাঠ চলছিল চুপিসাড়ে! জানুন কী কী করত নিষিদ্ধ সংগঠন পিএফআই? 



     
    কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “জনসমক্ষে পিএফআই ও সহযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান আর্থ-সামাজিক, শিক্ষাগত এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরলেও সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে উগ্রপন্থার বীজ বপন করে আসছে। যা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে ধ্বংস করা এবং দেশের সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ ও সাংবিধানিক কাঠামোকে চূড়ান্ত অবহেলা করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি কাজকর্ম আইনের তিন নম্বর ধারার এক উপচ্ছেদের আওতায় যে ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।”  

    এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার কয়েক ঘণ্টা পরে, পিএফআই নেতারা বুধবার তাঁদের সংগঠনটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো অন্যান্য সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএফআই-কে। সেই সঙ্গে এই দলের সঙ্গে যুক্ত নেতাদের অ্যাকাউন্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পিএফআই- এর সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘সিমি’- এর নেতাদের যোগ পেয়ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সে বিষয়ে তদন্ত জারি আছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেখানে পাকিস্তান বা চিন ১-২ দিনেই মার্কিন ভিসা (US Visa) পেয়ে যাচ্ছে, সেখানে ভারতীয়দের ৮০০- রও বেশি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে কেন? মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রশ্ন করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এর উত্তরে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে আশ্বস্ত করে বলেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট  অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ভারতীয়দের ভিসা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৮৪৮ দিন, বিশেষ ক্ষেত্রে সেই সময়কাল ৪০০ দিন। সেখানে পাকিস্তানকে ভিসা দেওয়া হয় ৪৫০ দিনে এবং চিনকে ২ দিনে। ভারতীয়দের স্টুডেন্ট ভিসার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় ৪৩০ দিন। পাকিস্তানিরা স্টুডেন্ট ভিসা এক দিনেই পেয়ে যায় এবং চিন পায় ২ দিনে। 

    আরও পড়ুন: স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা
     
    মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের এক আলোচনায় ভিসার সমস্যার বিষয়টি উঠে আসে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভিসা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলায় সব রকমের সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।    

    এ বিষয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। দ্রুত এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা মূলত অতিমারির কারণে হয়েছে।” ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনার সময় বিশ্বজুড়ে ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল এটি মূলত তারই ফল। ব্লিঙ্কেন এদিন আরও বলেন, “আমি ভিসা ইস্যুতে খুবই সংবেদনশীল। এই সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: একপেশে সংবাদ পরিবেশন! মার্কিন মিডিয়াকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর

    বিদেশের দক্ষ প্রযুক্তি কর্মীদের H-1B ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। এর মধ্যে ৭০%- ই পায় ভারতীয়রা। জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “কিছু সমস্যা ছিল তা নিয়ে আমি মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিত যে তাঁরা এই সমস্যাগুলির গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Literature Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো

    Literature Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (Literature Nobel Prize) পেলেন ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো (Annie Ernaux)৷ স্টকহোমে বৃহস্পতিবার এই পুরস্কারের ঘোষণা করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি৷ নোবেলজয়ী সাহিত্যিকের নাম প্রকাশ করে নোবেল পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে “যে সাহস এবং বিশ্লেষণধর্মী তীক্ষ্ণ চিন্তাধারা দিয়ে তিনি শিকড়ের উৎস, অতীতের তিক্ততা, নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিগত আবেগকে প্রকাশ করেছেন, তারই স্বীকৃতি এই পুরস্কার৷” ৮২ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন অ্যানি। মেডেলের পাশাপাশি অর্থও পাবেন তিনি, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা।  

    এরনোর লেখায় বার বার উঠে এসেছে লিঙ্গ, ভাষা ও শ্রেণীগত বৈষম্য৷ দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে নিজের লেখাকে একাত্ম করতে পেরেছেন এই লেখক৷ এক সুইডিশ সংবাদমাধ্যমে এরনো জানিয়েছেন, এই পুরস্কার তাঁর কাছে বড় সম্মান এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷ ২০ টিরও বেশি বই লিখেছেন তিনি৷ সেগুলির মধ্যে অনেকগুলিই কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্কুলে পড়ানো হয়৷ আধুনিক ফ্রান্সের সামাজিক জীবন সূক্ষ্ম ও নিখুঁত করে সাহিত্যের মাধ্যমে তুলে ধরাই তাঁর লক্ষ্য। 

     

    এর আগেও, বেশ কয়েকবার বার নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য অ্যানির নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। এবছর পুরষ্কার পেলেন তিনি। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন মহিলা সাহিত্য়ে নোবেল পুরস্কার পেলেন। ১৯০১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৯ জন নোবেল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।   

    আরও পড়ুন: রসায়নে নোবেল জয় বিজ্ঞানী ত্রয়ীর

    অ্যানির উপন্যাসগুলি মূলত আত্মজীবনীকেন্দ্রীক। যৌনতা, গর্ভপাত, অসুস্থতা, বাবা-মায়ের মৃত্যু, জীবনের সব পর্যায় বইয়ের পাতায় তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘লা প্লেস’ (আ ম্যান’স প্লেস)। এই উপন্যাসে বাবার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তুলে ধরেছেন তিনি। ‘লে আনিস’ (দ্য ইয়ার্স) বইয়ে আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে বর্তমান সময়ের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। নিজের জীবনকেই তুলে ধরেছেন।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share