Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Supreme Court: হিজাব মামলায় আবেদনকারীদের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, সরকারকে নোটিস

    Supreme Court: হিজাব মামলায় আবেদনকারীদের ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, সরকারকে নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্ক (Hijab Row) নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল কর্নাটক (Karnataka Hijab Row) তথা গোটা দেশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের নিষেধাজ্ঞার পক্ষেই রায় দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka HC)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন দায়ের করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। আর কিছু মামলা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। এই মামলায় কর্নাটক সরকারকে জবাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অপরদিকে, মামলাকারীদের মামলায় স্থগিতাদেশের আর্জিতে কড়া বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ আবেদনকারীদের দাবি মেনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি। আদালত স্থগিতাদেশ জারির আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, আদালত ‘ফোরাম শপিং’ (মঞ্চ কেনাকাটা)- এর জায়গা নয়। ৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৩০ ঘণ্টার অভিযানে হারিয়ে যাওয়া হাঙ্গেরি ট্রেকারকে উদ্ধার ভারতীয় সেনার       

    কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন দাখিল হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। কেবল অপরিহার্য ধর্মীয় আচরণই সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষা পেতে পারে। সেই ভিত্তিতেই কর্নাটক হাইকোর্ট সেই রাজ্যের মুসলিম পড়ুয়াদের ক্লাসে হিজাব পরার আবেদন খারিজ করে দেয়।    

    কিছুদিন আগেই হিজাব বিতর্কে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা কর্নাটক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মুসলিম পড়ুয়ারা। সেই অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। এমনকী দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। পুলিশের সঙ্গেও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বহু পড়ুয়া। বিক্ষোভ ঠেকাতে বহু ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। এই বিক্ষোভের মাঝেই ১৫ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব পড়ায় নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকে বহাল রেখেই রায় দেয় হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: ফের বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত সত্যজিত রায়ের ‘সোমনাথ’
     
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত বলে দাবি করেন সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা। যা নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলে। সেই মামলাতেই শেষ পর্যন্ত কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারিতে উদুপির সরকারি পিইউ কলেজে হিজাব পরা ছয়জন মেয়েকে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় বিতর্ক দানা বাধে। এর পরেই কলেজের বাইরে ছাত্রীরা বিক্ষোভে বসেন। আর সেই বিক্ষোভ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মামলার তদন্তে সিবিআই? দুই অভিযুক্তের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মামলার তদন্তে সিবিআই? দুই অভিযুক্তের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে সোনালি হত্যা মামলায় (Sonali Phogat Death Case) তদন্তের ভার নেবে সিবিআই (CBI)। রবিবার নিশ্চিত করলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত (Pramod Sawant)। যত দিন যাচ্ছে ততই সোনালি ফোগাট মামলায় ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে এই সিনেমা। সোনালি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে গোয়া পুলিশ। সেই তদন্তে নাখুশ সোনালির পরিবার। তাই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে শনিবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের (Manohar Lal Khattar) বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তদন্ত যাতে ঠিক ভাবে হয়, তার জন্য সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: সোনালিকে জোর করে খাওয়ানো হয়েছিল মাদক, চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়া পুলিশের
      
    খট্টরের অনুরোধেই রবিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত সোনালি-হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রমোদের কথায়,“সিবিআই দায়িত্ব গ্রহণ করুক। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমাদের দিক থেকে সব চেষ্টা করব। পরে প্রয়োজনে মামলা সিবিআই- এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।”

    গোয়ায় ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেত্রী তথা টিকটক স্টার সোনালি ফোগাটের। প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ লেখা হলেও খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে একে একে চাঞ্চল্যকর বিষয় জানতে পারে পুলিশ। জোর করে মাদক খাওয়ানো, তিন বছর ধরে ক্রমাগত ধর্ষণ, শরীরে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের মতো ভয়ঙ্কর বিষয় সামনে আসে। ময়না তদন্তের রিপোর্টেও প্রায় একই দাবি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: সোনালি ফোগাটের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘনীভূত রহস্য, গ্রেফতার দুই সহকারী

    রবিবার হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাচক্রে, এই ব্যক্তিও এক জন মাদক পাচারকারী। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়া পুলিশ। রেস্তোরাঁর মালিক এবং মাদক পাচারকারীকে ৫ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেনি আদালত।

     

    বৃহস্পতিবারের পর থেকে সোনালির মৃত্যুর ঘটনায় এই নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। এর মধ্যে তিন জনই মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত স। এদের মধ্যে দুজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে এক জন গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তোরাঁ তথা পাব ‘কার্লিজ শ্যাক’-এর মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ। অন্য জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মাদক পাচারকারী। ওই গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় মাদক পাচারকারীকে। সূত্রের খবর, এই তৃতীয় মাদক পাচারকারী সোনালির সহকর্মীদের মাদক এনে দিয়েছিলেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • JEE Advanced 2022: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত 

    JEE Advanced 2022: ১১ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সডের ফল প্রকাশ করবে আইআইটি বম্বে, জানুন বিস্তারিত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২৮শে অগাস্ট জেইই অ্যাডভান্সড (JEE Advanced 2022)- এর পরীক্ষা নিয়েছে আইআইটি বম্বে (IIT Bombay)। এবার পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল তারাই। ১ সেপ্টেম্বর রেসপন্স শিট প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে আইআইটি বম্বে। উত্তরপত্র প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ। লগইন আইডি দিয়ে লগইন করে ডাউনলোড করতে হবে উত্তরপত্র। 

    গত ২৮ অগাস্ট তিন ঘণ্টার দুটি পর্বে হয়েছে জেইই অ্যাডভান্সড ২০২২ পরীক্ষা। প্রথম পত্র সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পত্র দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: গেট ২০২৩- এর বিজ্ঞপ্তি জারি আইআইটি কানপুরের

    সব কিছু ঠিকঠাক চললে জেইই অ্যাডভান্সড ২০২২-এর ফলাফল ১১ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে।

    কী করে দেখবেন ফলাফল? 

    ১. প্রথমেই যেতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট jeeadv.ac.in-এ।

    ২. হোমপেজে, রেজাল্ট-এর লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। 

    ৩. আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং মোবাইল নম্বর লিখুন।

    ৪. আপনার স্কোর কার্ড স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। 

    ৫. এখান থেকেই ডাউনলোড করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রিন্ট আউট করে নিন।

    আরও পড়ুন: পড়ুয়ারা পড়বে দেশের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান

    এরপরেই ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এএটির (AAT) রেজিস্ট্রেশন।  jeeadv.ac.in – এই লিঙ্কে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন প্রার্থীরা। ১২ সেপ্টেম্বর অবধি চলবে এই রেজিস্ট্রেশন। ১৪ সেপ্টেম্বর জেইই অ্যাডভান্সড- এর পরীক্ষা নেবে আইআইটি বম্বে। 

    টাই ব্রেকিং রুল কী?

    একের বেশি পরীক্ষার্থী যদি একই নম্বর পান, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ‘টাই ব্রেকিং রুল’ প্রয়োগ করা হবে। 

    কী করে করা হবে এই পার্থক্য?

    যেই পরীক্ষার্থীর বেশি পজিটিভি নম্বর পাবেন, তিনিই আগে বিবেচ্য হবেন।

    তারপরেও যদি নম্বর এক হয়, তাহলে যে অঙ্কে বেশি নম্বর পাবেন, তাঁকে বেশি নম্বর দেওয়া হবে। 

    তারপরেও এই সমস্যার সমাধান হলে, দুই পরীক্ষার্থীকেই একই র‍্যাঙ্ক দেওয়া হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Mikhail Gorbachev: প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ, বয়স হয়েছিল ৯১ বছর

    Mikhail Gorbachev: প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ, বয়স হয়েছিল ৯১ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের (Soviet Union) শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ (Mikhail Gorbachev)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন এই নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সোভিয়েত নেতা।  রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ককে মস্কোর নোভোদেভিচি কবরস্থানে তাঁর স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে।  তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!
     
    ১৯৩১ সালে জন্ম হয় মিখাইল গর্বা্চেভের। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ অবধি ক্ষমতায় ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ। তাঁর আমলেই সোভেয়েত-মার্কিন (Soviet Union-USA) শীতল যুদ্ধের ইতি হয়। ১৯৮৪ সালে ৫৩ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হন গর্বাচেভ। তাঁর আমলেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের পতন ঘটেছিল। একদিকে যেমন অসংখ্য সোভিয়েত নাগরিকের কাছে স্বাধীনতা প্রদানকারী নেতা হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্যেও দায়ী করা হয় তাঁকে।  

    আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এই রাষ্ট্র নায়ককে প্রায়শই শীতল যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি ও জার্মান পুনর্মিলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে পূর্ব জার্মানরা এখনও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। আটের দশকে গর্বাচেভের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুগান্তকারী চুক্তি করে।  

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি
     
    ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন গর্বাচেভ। অল্প দিনেই সোভিয়েত ইউনিয়নের যে ব্যাপক অর্থনৈতিক উত্থান ঘটেছিল তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ভেঙে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। জন্ম হয় নতুন ১৫টি দেশের। এই ঘটনাতেই ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যান গর্বাচেভ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। রাশিয়ার এক বড় অংশ আজও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্যে গর্বাচেভকেই দায়ী করে। ভক্ত যেমন ছিল, তেমনই ছিল সমালোচক। রাজনীতিবিদ হিসেবে সবসময় মিশ্র প্রতিক্রিয়াই পেয়ে এসেছেন এই রাষ্ট্রনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    Assam: কেজরিওয়ালকে সপাটে জবাব বিশ্বশর্মার, অসমে স্কুল উন্নয়নের জন্যে বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলির (School) পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্যে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তাহলে কি এবার কেজরিওয়াল-বিশ্বশর্মা (Arvind Kejriwal) ট্যুইট যুদ্ধে যবনিকা পতন? মুখ বন্ধ হবে কেজরিওয়ালের? 

    একটা নয় দেশে যদি আমরা ৫টি রাজধানী পেতাম…! এ কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    কিছুদিন আগেই ৩৪ টি সরকারি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল বিজেপি পরিচালিত অসম সরকার। স্কুলগুলিতে শিক্ষার অবস্থা শোচনীয় হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। জানা গিয়েছে, এই ৩৪টি স্কুল থেকে এ বছর দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় কোনও পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারপরেই সে রাজ্যের সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা। চাঁচাছোলা বাক্যবাণে আসাম সরকারের এই সিদ্ধন্তের তীব্র সমালোচনা করেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইটে লেখেন, “স্কুল বন্ধ করে দেওয়া কখনওই সমাধান হতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন দেশজুড়ে আরও নতুন স্কুল তৈরি করা এবং স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার পরিবর্তে সেগুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থার মান আরও উন্নত করা।” 

    এরপর শুরু হয় দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ট্যুইট যুদ্ধ। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর পাল্টা ট্যুইটে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে শিক্ষা ব্যবস্থার কী উন্নতি হয়েছে তা দেখতে তিনি সেই রাজ্যে আসবেন। আর তারপরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।

    আরও পড়ুন: অসমে ফের আলকায়দা জঙ্গির খোঁজ! যোগ মধ্যপ্রদেশ, বাংলার সঙ্গেও

    জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় বিশ্বশর্মা বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের স্কুলগুলিকে উন্নত করতে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করব। এর ফলে বেসরকারি স্কুলগুলির থেকেও দেখতে ভালো হবে রাজ্য সরকারের স্কুলগুলি। আমরা স্কুলগুলির পরিকাঠামোগত মানও উন্নত করব। এভাবেই রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার আসবে।”

    এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়েই কি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জবাব দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা? এরপর কী প্রতিক্রিয়া আসবে কেজরিওয়ালের তরফ থেকে? এবার সেদিকেই অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছে নেট মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

     
     

     

     

  • CJI UU Lalit: আড়াই ঘণ্টায় ৬০টি মামলার শুনানি, দায়িত্বের প্রথম দিনেই রেকর্ড তৈরি প্রধান বিচারপতির?

    CJI UU Lalit: আড়াই ঘণ্টায় ৬০টি মামলার শুনানি, দায়িত্বের প্রথম দিনেই রেকর্ড তৈরি প্রধান বিচারপতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) হিসাবে উদয় উমেশ ললিত (Uday Umesh Lalit) যোগদান করার প্রথম দিনই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে  প্রায় ৬০০ টি মামলার শুনানি হয়। অনেকেই মনে করছেন এক নতুন পথের দিশা দেখাবেন জাস্টিস ললিত। 

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত ৯০০ টি মামলার মধ্যে ৫৯২ টিরই কাল প্রথমবার শুনানি হয়। গত কয়েক বছরের মধ্যে দায়ের হয়েছে মামলাগুলি।

    আরও পড়ুন: স্বস্তিতে সরকার! রাফাল চুক্তি নিয়ে নতুন মামলার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

    এই মামলাগুলির মধ্যে বিশেষ কিছু মামলাও ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অধিকার, রাফায়েল দুর্নীতির মতো হাইপ্রোফাইল মামলাও এদিন তালিকাভুক্ত ছিল। 

    প্রধান বিভচারপতি হিসাবে যোগদানের পর বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে বেঞ্চে প্রায় আড়াই ঘন্টার মধ্যে ৬০টি মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চে থাকাকালীন, নতুন আইনজীবীদের জানান যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জরুরি মামলাগুলি চিহ্নিত করার জন্য একটি নতুন প্রক্রিয়া চালু হবে এবং তার আগে পর্যন্ত অ্যাড-হক পদ্ধতির মাধ্যমে জরুরি মামলা চিহ্নিত করা হবে।

    আরও পড়ুন: লিভ-ইন বা সমকামী সম্পর্কও পরিবারের আওতায় পড়ে, জানাল শীর্ষ আদালত
     
    সিজেআই ইউইউ ললিত আশ্বাস দিয়েছেন যে সমস্ত নতুন মামলা তালিকাভুক্ত হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুনানি হবে। পুরনো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির পরিকল্পনা করছেন নতুন প্রধান বিচারপতি।  

    ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় মামলার মুলতুবি থাকার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) সুপ্রিম কোর্টে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, “দ্রুত বিচার প্রদানে কেন বিলম্ব হচ্ছে তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন করা হয়, আমি সবসময় উত্তর দিতে পারি না। আসলে আমাদের দেশ অনন্য এবং আমাদের প্রতিকূলতাগুলিও বিরল।”    

    মন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত যেই সমস্যার মোকাবিলা করে অন্যান্য দেশগুলিকে করতে হয় না। আইন ব্যাবস্থাকেও অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। ভারত এই মুহূর্তে যেই জায়গায় রয়েছে তা ধরে রাখা খুব সহজ কাজ নয়।”

    আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি পদে শপথ ললিতের, লক্ষ্য, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার ফেয়ারওয়েলের অনুষ্ঠানে ইউইউ ললিত বলেন, “আমার সময়কালে আমি যত সম্ভব মামলাকে শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করা চেষ্টা করব। মামলাগুলিকে যতটা সম্ভব স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করব। জরুরি মামলাগুলিকে দ্রুত তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া বের করব। যাতে যেকোনও আদালতে জরুরি মামলা দ্রুত চিহ্নিত হতে পারে।”

    প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে শীর্ষ আদালতের কাজ আইনকে স্পষ্ট ভাষায় উপস্থাপন করা যাতে সাধারণ মানুষ আইনের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হয়। আমরা সারা বছর ধরে একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মান রাষ্ট্রদূত (German ambassador) ফিলিপ অ্যাকারম্যান (Philipp Ackermann) মঙ্গলবার বলেন, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) উপর চিনের (China) দাবি ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং চিনের ভারতের উত্তর সীমান্ত লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।    

    এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাকারম্যান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয় ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে অ্যাকারম্যান বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) ইস্যুতে ভারত এবং ইউরোপ সবসময় একমত না হলেও, এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।”

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের উত্তরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওয়াকি বহাল। চিন দাবি করছে অরুণাচল প্রদেশ চিনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এটা ঔদ্ধত্য। আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং এসব মেনে নেওয়া যায় না।”  

    রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে, ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন অ্যাকারম্যান। 

    তিনি বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যেই ব্যবহার করছে, সেই একই রকম ব্যবহার চিন ভারতের সঙ্গে করছে। এটা আশা করি ভারতও স্বীকার করবে।”

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফরেও সময়ও আমরা বলেছিলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নিজেদের মতামত রেখেছে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি ভারত আন্তর্জাতিক আইন এবং তার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। তবে সব ক্ষেত্রে আমরা এক মত হতে পারি না একথাও সত্যি।”

    তিনি বলেন, “একে অপরের সীমান্ত রেখাকে সম্মান করবে সেটাই আন্তর্জাতিক আইনের দস্তুর।”  

    অ্যাকারম্যান তাইওয়ানের পরিস্থিতিসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি জার্মানির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়েও এদিন কথা বলেন। মোদির দুবারে জার্মানি সফরে ভারত-জার্মান সম্পর্কের যে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এদিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    Saigal Hossain: আদালতের কাজকর্ম স্থগিত, ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে সায়গল হোসেন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। আজ বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তাঁকে পেশ করা হলেও হয়নি মামলার শুনানি। এক আইনজীবীর মৃত্যুতে আদালতের সমস্ত কাজকর্ম স্থগিত রয়েছে। শুনানি না হওয়ায় সায়গলকে আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই- এর বিশেষ আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর ফের তাঁকে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় এবার সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর

    গত ৯ জুন সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই (CBI)। প্রথমে তাঁকে সিবিআই হেফাজত এবং পরে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। গত ১৮ অগাস্ট আদালতে তোলা হয়েছিল তাঁকে। সে দিন তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেইমতো আজ তাঁকে সিবিআই আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আজ মামলার শুনানি না হওয়ায় ফের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে সায়গলকে।

    আরও পড়ুন: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন আসানসোল আদালতে তাঁর মামলার শুনানি ছিল। এই মামলার শুনানির দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। সকলকে হতাশ করে পিছিয়ে গিয়েছে মামলার শুনানি। সায়গলের আইনজীবীর তরফ থেকে এদিন জামিনের আবেদন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আদালতে মামলার শুনানি না হওয়ায় জামিনের আবেদন করাও সম্ভব হল না। বিনা শুনানিতেই সিবিআই- এর বিশেষ আদালতের নির্দেশে ফের সেই জেলেই ঠাঁই হল সায়গলের। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ডোমকল থেকে বোলপুর, তাঁর একাধিক বাড়ি-জমির হদিশও পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনারে বন্দি সায়গল। সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় কেষ্ট মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। টানা বেশ কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতের পর অনুব্রতর বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। অর্থাৎ ফের একই জায়গায় মালিক এবং দেহরক্ষী। শোনা যায়, অনুব্রত জেলে আসার পরই তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলেন সায়গল। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে এদিন জামিনের আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন মেলেনি। তাই জেলেই ফিরে গেলেন সায়গল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলা বা নাশকতার সংখ্যার দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু নাশকতার সংখ্যা কমলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কমছে না বাংলাদেশে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের একটি গবেষণায়।   

    আরও পড়ুন: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    ব্রাসেলে (Brussel) সাউথ এশিয়া ডেমোক্রাটিক ফোরামের (South Asia Democratic Forum) একটি আলোচনা সভায় সংস্থার গবেষণা সংক্রান্ত নির্দেশক  ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওলফ (Dr. Siegfried O Wolf) জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সমস্যা। ‘হেফাজত-ই-ইসলাম এবং বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের সমস্যা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে,  হেফাজত-ই-ইসলাম (Hefazat-e-Islam) এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  সবথেকে বড় সক্রিয় ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দল।   

    গবেষণায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,  নাশকতার সংখ্যা না বাড়ালেও এই সন্ত্রাসবাদী দল বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তা ভাবনার বিকাশকে ব্যাহত করছে। উগ্র ধর্মীয়বাদকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে  দিচ্ছে এই সংগঠন। 
    হেফাজত-ই-ইসলাম,  নিজেদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই দল তুলে ধরলেও অবিলম্বে এই দলকে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ সরকারের।  

    সাউথ এশিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোরাম  দক্ষিণ এশিয়ার  বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কের ওঠানামা এই সংস্থার আলোচনার মূল বিষয়। ব্রাসেলকে কেন্দ্র করে এই গবেষণা দল কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    গবেষক ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওল্ফ বলেন, “গত এক দশকে বিভিন্ন অশান্তির পর বাংলাদেশ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করেছে। অনেকেই মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থান বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয়বাদী দলকে নেতৃত্বকে সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু এই ভাবে ভাবলে সমস্যাকে খুবই ছোট করে দেখা হবে। বাংলাদেশে হেফাজত-ই-ইসলামের মতো দল আর্থ-সামাজিক সংগঠনের মোড়কে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ জারি রেখেছে৷ যা নিয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share