Author: জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

  • ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    ISRO Spy Case: ইসরো গুপ্তচর মামলায় প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে কোচি বিমান বন্দরে আটকাল সিবিআই 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরো গুপ্তচর মামলায় (ISRO Spy Case) কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে (Kochi international airport) এক প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে (Former IB Officer) আটকাল বন্দর কর্তৃপক্ষ। শনিবার, ১৩ অগাস্ট স্ত্রীর সঙ্গে  লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল কেভি থমাসের (KV Thomas)। সেই মতো ব্যাগ চেক-ইন করাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু লন্ডন যাওয়া আর হল না। কারণ তার আগেই বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায় তাঁর নামে ‘লুক আউট’ নোটিস জারি করেছে সিবিআই (CBI)। প্রায় চার দশক আইবিতে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব সামলেছেন কেভি থমাস। অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান ওই প্রাক্তন গোয়েন্দা আধিকারিক। বলেন, ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আইনি সহয়তা নেবেন বলেও জানান তিনি। 

    তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে অনুরোধ করব যাতে আমার ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিতেও যাতে নজর দেওয়া হয়। আমরা আমাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। ও এখন লন্ডনে আছে। আমরা প্রতি টিকিটের জন্যে ৩ লক্ষ টাকা করে খরচ করেছি। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আগে এই উপহার পেলাম আমি।”

    ১৯৯৪ সালের ইসরো গুপ্তচর মামলায় তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কেভি থমাস। এই মামলাতেই বিজ্ঞানী এস নাম্বিনারায়ণন (S Nambinarayanan) গ্রেফতার হন। ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অর্থের বিনিময়ে অন্য দেশে পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১৯৯৫ সালে সিবিআই এই মামলা থেকে মুক্তি দেয় বিজ্ঞানীকে। তারপর থেকে নাম্বিনারায়ণন, যারা তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে লড়াই করতে থাকেন। গত বছর শীর্ষ আদালত তিন জনের একটি কমিটি গঠন করে। ইসরোর এই প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে কারা ফাঁসিয়েছিলেন, কোন সরকারি আধিকারিকরা জড়িত আছেন, সেই বিষয়ে তদন্ত পরিচালনার জন্যে। কমিটিটি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডিকে জৈনের নেতৃত্বে গঠিত হয়।   

    জাস্টিস ডিকে জৈনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শীর্ষ আদালত মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। ১৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে গোয়েন্দা সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছেন কেরলেন দুজন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তা। ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে। ১৯৯৪ সালে কেভি থমাস আইবি আধিকারিকের পদে মালাপ্পুরমে কর্মরত ছিলেন। আর এই মামলায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন।  

  • Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    Sukanya Mondal: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ কন্যার পরে এবার কেষ্ট কন্যা। শুধু সম্পত্তি নয়, এবার অনুব্রত কন্যার চাকরি নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সুকন্যা মণ্ডলের নিয়োগেও দুর্নীতি রয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। সেই মামলাতেই আজ হাইকোর্টে হাজিরা দেন সুকন্যা।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হাজিরা দিতে কলকাতা হাইকোর্টে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে পৌঁছন সুকন্যা মণ্ডল। জনতার রোষ থেকে বাঁচাতে হাইকোর্টের পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে ভিতরে ঢোকায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও এড়ানো যায়নি বিক্ষোভ। অনুব্রতর কন্যাকে দেখেই আদালত চত্বরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।

    আরও পড়ুন: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুরের বাড়ি থেকে রওনা দেন সুকন্যা। বেলা ১২টা নাগাদ চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে পৌঁছন তিনি। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর চলে যান কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে পুলিশি পাহারায় তাঁকে পিছনের গেট দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। তখনই তাঁকে ঘিরে ওঠে গরুচোর স্লোগান।  

    আদালত চত্বরে হাজির মানুষজন ‘গরুচোর’ ও ‘গরুচোরেরে মেয়ে গরুচোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তারই মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন অনুব্রতর কন্যা। এদিন আদালতে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি তিনি। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর

    সৌমেন নন্দী মামলায় সামনে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে (Anubrata Mondal Daughter) সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) চাকরি পাওয়া নিয়ে জটিলতা। টেট পাশ না করেও বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই অভিযোগ করেছেন মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। এমনকী এও দাবি করা হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পর তিনি একদিনও স্কুলে যাননি। স্কুলের রেজিস্ট্রার নিয়ে অন্যেরা অনুব্রতর বাড়িতে এসে সুকন্যাকে দিয়ে সই করিয়ে নিতেন। পৌঁছে যেত বেতন।  

    হাইকোর্টে দাখিল করা তালিকা অনুযায়ী শুধু সুকন্যাই নয়, আরও পাঁচ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টেট পাশ না করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সুকন্যা মণ্ডল সহ তালিকায় নাম থাকা বাকি ছয় আত্মীয়কে বৃহস্পতিবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল টেট পাশের সার্টিফিকেট সহ চাকরি পাওয়ার নথি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপে নেওয়া হবে বলেও আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। সেইমতোই হাজিরা দিতে এসেছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। 

  • Salman Rushdie: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    Salman Rushdie: ভালো নেই সলমন রুশদি, হারাতে পারেন একটি চোখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও আশঙ্কা কাটেনি সলমন রুশদির (Salman Rushdie)। শুক্রবার নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চেই ছুরিবিদ্ধ হন ৭৫ বছর বয়সী এই বিখ্যাত লেখক। মুহূর্তের মধ্যে তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে (Ventilation) রয়েছেন লেখক,  এমনটাই জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সুস্থ হয়ে গেলেও একটি চোখ হারাতে পারেন এই বুকারজয়ী সাহিত্যিক। এছাড়া তার হাতের স্নায়ু এবং যকৃৎ গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।হামলাকারীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এখন। 

    আরও পড়ুন: এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবসে পতাকা ‘উত্তোলন’ হবে না, নির্দেশ জারি করল কর্তৃপক্ষ  
     
    শুক্রবার, ১২ অগাস্ট নিউইয়র্কের (New York) শতকা ইনস্টিটিউশনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিলেন সলমন রুশদি। পরিচয় পর্ব শুরু হতেই, আচমকাই ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন এক ব্যক্তি। সোজা রুশদির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন, এলোপাথাড়ি ১০-১২ বার ছুরির (Stab) কোপ মারেন লেখককে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন লেখক। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন অনুষ্ঠানের আয়োজক ও প্যারামেডিকরা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে এয়ারলিফ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।    

    জানা গিয়েছে, ঘাড়ে ও পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে রুশদির। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কয়েক ঘণ্টা দীর্ঘ অস্ত্রপোচার করা হয়। কথা বলার ক্ষমতা হারিয়েছেন লেখক। সুস্থ হলেও হারাতে পারেন একটি চোখ। তাঁর বইয়ের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, “খবর খুব একটা ভাল নয়। সলমন হয়তো একটি চোখ খোয়াতে পারেন। তাঁর হাতের স্নায়ুও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যকৃতেও ছুরির আঘাত লাগায়, তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: এক এক করে আপনাদের হাতও ছাড়বেন মমতা, কার উদ্দেশ্যে বললেন মালব্য? 
     
    অনুষ্ঠানের স্থান থেকেই হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন আয়োজকরা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম হাদি মাতার। বয়স ২৪ বছর। নিউজার্সির ওই বাসিন্দার কাছে রুশদির অনুষ্ঠানের পাসও পাওয়া গিয়েছে। কী কারণে সে হামলা চালাল, তা এখনও জানা যায়নি। 

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত সলমন রুশদিকে বহু বছর ধরে কার্যত গা ঢাকা দিয়ে থাকতে হয়েছে। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ – এর জন্যে বহুদিন ধরেই মৌলবাদীদের বিষনজরে রয়েছেন তিনি। তাঁর নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ইরানের তৎকালীন নেতা আয়াতোল্লা রুহোল্লা খোমেইনি। ওই বইয়ের কারণেই নব্বইয়ের দশকেও ইতালির মিলানে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। গত ২০ বছর ধরে নিউ ইয়র্কেই থাকছেন ভারতীয় বংশদ্ভুত এই লেখক। তাঁর ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা হয়েছে বিশ্বজুড়ে।  

  • Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার বিপাকে পড়ল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানোর আগে এক কথায় সিআইডিকে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল আদালত। সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয় 

    সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

    এসএসসির ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। 

    তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে।  

    যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন।”  

  • GST on House Rent: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম 

    GST on House Rent: বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন? দিতে হতে পারে জিএসটি, জেনে নিন নিয়ম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত নিয়মে সম্প্রতি কিছু বদল এনেছে কেন্দ্র সরকার। এখন থেকে বাড়ি ভাড়াতেও দিতে হবে জিএসটি (GST)। ঘাবড়ে গেলেন? আগেই ঘাবড়ানোর কোনও কারণ নেই। সবাইকে এই নিয়মের আওতায় ফেলা হয়নি। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই বাড়ির ভাড়ার ওপর জিএসটি লাগু হবে। 

    গুডস এন্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স কাউন্সিলের সদ্য হওয়া বৈঠকে জিএসটি সংক্রান্ত অনেক নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যার মধ্যে বাড়ি ভাড়া (House Rent) সংক্রান্ত বেশ কিছু নতুন নিয়মও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বাড়ির ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটি নিয়মে, জেনে নিন

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভাড়াটের জিএসটির রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে তাঁকে ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে। 

    এ ক্ষেত্রে ভাড়াটে ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট-এর অধীনে জিএসটি বাবদ দেওয়া টাকা দাবি করলে, ফেরতও পেয়ে যাবেন। ১৮ জুলাই থেকেই কার্যকর হয়েছে এই নতুন নিয়ম। 

    আরও পড়ুন: ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    কী পরিবর্তন এল নতুন নিয়মে? 

    • নয়া নিয়ম অনুযায়ী, আপনি যদি চাকরি করেন এবং ভাড়া বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে ভাড়ার উপর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। 
    • নতুন নিয়মে, যদি কোনও জিএসটি রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ব্যক্তি, তাঁর ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি জিএসটি রেজিস্ট্রেশন আছে এমন কোনও ব্যক্তিকে ভাড়া দেন, তবে এই ভাড়ার উপর জিএসটি প্রযোজ্য হবে।
    • এক্ষেত্রে রিভার্স চার্জ মেকানিজমের অধীনে ভাড়াটেকে ভাড়ার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। তবে ভাড়াটের জিএসটি রেজিস্ট্রেশন না থাকলে এই কর প্রযোজ্য হবে না।
    • অন্যদিকে, যদি কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি তার আবাসিক সম্পত্তি কর্মচারীর বাসভবন, গেস্ট হাউস বা অফিস ব্যবহারের জন্য দেয়, তবে যে কর্মচারী বা সংস্থাটি সেই আবাসিক সম্পত্তি ভাড়ায় নিচ্ছেন তাকে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। 
    • যদি কোনও সংস্থা তার কর্মচারীর জন্য একটি আবাসিক ফ্ল্যাট নিয়ে থাকে এবং বাড়িওয়ালার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে, তাহলেও সংস্থাকে ভাড়ার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে।  
    • যদি বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটে উভয়েরই জিএসটি রেজিস্ট্রেশন না থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে ভাড়ার উপর জিএসটির নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। 
  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    Mumbai Attack: ফিরে আসবে ২৬/১১- র স্মৃতি? জঙ্গি হামলার হুমকি মুম্বইয়ে, জারি হাই অ্যালার্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ২৬/১১-এর সাক্ষী হবে মুম্বই (Mumbai)। বাণিজ্য নগরীতে চালানো হবে জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সম্প্রতি এমনই হুমকি (Threat) পেল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।  পাকিস্তানের একটি ফোন নম্বর থেকে মেসেজ আসে যেখানে ৬ জন জঙ্গি হামলা চালাতে পারে ভারতে। 

    আরও পড়ুন: মুম্বই বিমানবন্দর সংলগ্ন ৪৮টি বিল্ডিং ভেঙে ফেলার নির্দেশ বোম্বে হাই কোর্টের, জেনে নিন কী কারণ

    সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি বার্তায় বলা হয়েছে, “মুম্বইয়ে একটা হামলা চালানো হবে। এই হামলা ফিরিয়ে আনবে ২৬/১১- এর স্মৃতি। আমার ফোন নম্বর যদি খতিয়ে দেখা হয়, তা হলে লোকেশন হিসাবে ভারতই দেখাবে। বিস্ফোরণ ঘটাবে ছ জন। মুম্বই শহরে বিস্ফোরণ হবে। ওসামা বিন লাদেন, আজমল কাসব ও আয়মান আল-জওয়াহিরিকে হত্যা করা হয়েছে, এমন আরও অনেক কিছু ভবিষ্যতে ঘটবে।” কবে চালানো হবে এই হামলা সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। 

    আরও পড়ুন: ফোন ট্যাপিং কাণ্ডে গ্রেফতার মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার

    সম্প্রতি মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এমনই হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই হুমকি মেসেজে বলা হয় , “২৬/১১- হামলা, উদয়পুরে দরজি খুন বা পাঞ্জাবে সিধু মুসেওয়ালা খুনের মতোই ভয়ঙ্কর কিছু করা হবে। ছয় জঙ্গি ভারতে হামলা চালাবে। আর সেই হামলা হবে মুম্বইতেই।” প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। এই মেসেজ হালকাভাবে নিতে নারাজ প্রশাসন। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পওয়ার।  

    যে এই বার্তা পাঠিয়েছে, সে এই হামলার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ৭ ভারতীয়র নাম এবং ফোন নম্বরও পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে একটি ফোন নম্বর উত্তরপ্রদেশের আতঙ্কবাদ দমন শাখার এক আধিকারিকের। ওই আধিকারিকের নম্বর কেন উল্লেখ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    শনিবার এই নিয়ে সাবংবাদিক বৈঠক করেন মুম্বই পুলিশ কমিশনার বিবেক ফানশালকার। শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, সমস্তভাবে প্রস্তুত আতঙ্কবাদ দমন শাখা। 

    ইতিমধ্যেই হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে শহরজুড়ে। শুরু হয়েছে নাকা চেকিং। মহম্মদ আসিফ বলে এক সন্দেহভাজনকে জেরাও করছে পুলিশ। এই ব্যক্তি সম্প্রতি কাজের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বইয়ে এসেছেন। ওই তালিকায় এই ব্যক্তির ফোন নম্বরও রয়েছে। যদিও তিনি জানান, কী করে তাঁর নম্বর এল তা জানেন না তিনি। 

     

  • Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    Professor Bikini Controversy: ইনস্টাগ্রামে পুরনো বিকিনি-পোস্টের জেরে চাকরি গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের অধ্যাপিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ বিকিনি (Bikini) পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করা। আর এই কারণেই চাকরি গেল এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকার। যে সে বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার এক অত্যন্ত কুলীন বিশ্ববিদ্যালয়ে। নাম সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier’s University)। শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি এক ছাত্র দেখে ফেলায়, তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা (Professor)।

    আরও পড়ুন: কেন অনুব্রতর বাড়িতে ডাক্তার? হাসপাতাল সুপারকে ধমক স্বাস্থ্য কর্তার, দায় নেবে না নবান্ন  
     
    সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই প্রাক্তন অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের বাবা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান, এরপরই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।” সেন্ট জেভিয়ার্স যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে,স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছিলেন ওই অধ্যাপিকা। 

    ভাইরাল হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রের বাবার লেখা সেই চিঠি। চিঠিতে বি কে মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, “আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার বিকিনি পরা ছবি দেখতে পেয়েছে। ছবিগুলি অত্যন্ত কুরুচিকর, অশ্লীল,প্রায় নগ্ন বললেই চলে। ছবিগুলিতে শিক্ষিকা যৌন উত্তেজনামূলক পোশাক পরে রয়েছেন। শিক্ষিকার অন্তর্বাস পরা ছবি ছেলে দেখছে, বাবা হিসেবে আমার কাছে ভীষণ লজ্জার এই দৃশ্য। একজন ১৮ বছরের ছেলে তার অধ্যাপিকার স্বল্পাবাসের ছবি দেখছে, তাও আবার প্রকাশ্যে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে, এটি অত্যন্ত নিকৃষ্টমানের ও লজ্জাজনক ঘটনা।” 

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই  

     

    প্রাক্তন অধ্যাপিকার অভিযোগ, এর পরই তাঁকে ডেকে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠক চলাকালীন তাঁকে অভিভাবকের চিঠিটিও দেখানো হয়। তাঁকে চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়। গত ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ওই অধ্যাপিকা পুলিশে অভিযোগ জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে থাকতে পারে। কারণ তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট মোডে রয়েছে, কোনও ছবিই বাইরের কারও পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বও কী করে ওই ছাত্র ছবি দেখতে পেল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। 

    অধ্যাপিকার অভিযোগ একরকম জোড় করেই ইস্তফা দেওয়ানো হয় তাঁকে। যদিও সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন বলেই দাবি তাঁদের।  

  • RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    RBI on Loan App: লোন অ্যাপ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পকেটে টান পড়লেই আমরা অনেকেই ঋণ নেওয়ার পথে ঝুঁকি। আজকাল বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এবার সেই ঋণ অ্যাপগুলি সম্পর্কে সতর্ক করল দেশের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা (Guideline) জারি করেছে আরবিআই। সেখানে ডিজিটাল ঋণের (Digital Lender) বিষয়ে স্পষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।    

    আরবিআই – এর নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ডিজিটাল ঋণের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সুদের হার অত্যাধিক। তথ্যের গোপনীয়তার নিয়ম  লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ঋণের টাকা আদায়ের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রতারণার মতো ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত থাকে এই অ্যাপগুলির নাম। বাড়িতে বাড়িতে ইন্টারনেট পৌঁছানোয় সহজেই ঋণ অ্যাপগুলি মানুষের ফোনে জায়গা করে নিচ্ছে। এই থার্ড পার্টি ঋণ অ্যাপগুলি কোনও তথ্য যাচাই না করেই ঋণ দেয়। তৎক্ষণাৎ ঋণ দিতে গিয়ে বহু নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

    আরও পড়ুন: মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছে তামাম ভারত!

    রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ডিজিটাল ঋণদাতাদের মূলত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের সদস্যদের ডিজিটাল ঋণ দেওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই সংস্থাগুলিকে সাধারণত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। ঋণ প্রদানের জন্য আরবিআই তাদের অনুমোদন দিয়ে থাকে। আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলিই মূলত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। এই ধরনের ঋণপ্রদানকারী সংস্থাগুলি যাতে বন্ধ করা যায়, সেজন্য WGDL কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।    

    ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ‘Working group on Digital Lending Including Lending Through Online Platforms and Mobile Apps’ (WGDL) তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি WGDL রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে ডিজিটাল ঋণ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: ফের জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা, শহিদ তিন জওয়ান, নিকেশ দুই জঙ্গি

    আরবিআই গাইডলাইনে জানিয়েছে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির সঙ্গে সরাসরি ঋণগ্রহিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যোগ থাকতে হবে। এর মাঝে কোনও তৃতীয় পক্ষ থাকবে না। এর মধ্যে কোনওরকম ফি ঋণগ্রহিতাকে বহন করতে হবে না। সেটি আরবিআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ঋণপ্রদানকারী সংস্থা বহন করবে। বর্তমানে ঋণগ্রহিতার সম্মতি ছাড়া ক্রেডিট লাইন বাড়ানো নিষিদ্ধ। ঋণগ্রহিতার কোনও অভিযোগ যদি ৩০ দিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রিত সংস্থা সমাধান না করে, তা হলে Reserve Bank – Integrated Ombudsman Scheme (RB-IOS)-এর অধীনে অভিযোগ জানাতে পারবেন ঋণ গ্রহীতা।   

LinkedIn
Share