Author: নিমাই দে

  • ISSF World Cup: শ্যুটিং বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বাঙালি কন্যা তিলোত্তমার, সোনা জয় ঐশ্বরীর, পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    ISSF World Cup: শ্যুটিং বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বাঙালি কন্যা তিলোত্তমার, সোনা জয় ঐশ্বরীর, পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাঙালি ক্রীড়াবিদের জয়জয়কার বিদেশের মাটিতে। কায়রোতে চলছে আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপ। আর সেই বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিল ১৪ বছরের তিলোত্তমা সেন। জানা গিয়েছে, কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রুমিতা এবং নর্মদা নামে আরও দুই ভারতীয় শ্যুটার ছিল। কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করেন তিলোত্তমা এবং রমিতা। আর এই দুজনের মধ্যে তিলোত্তমা শেষ পর্যন্ত ২৬২ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে। অন্যদিকে আইএসএসএফ বিশ্বকাপে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা চারটি স্বর্ণ পদক ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছে দেশকে।

    বিশ্ব মঞ্চে বাঙালির জয়গান!

    ইজিপ্টের রাজধানী কায়রোতে বসেছে এই শ্যুটিং বিশ্বকাপের আসর। সেখানেই তার পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে সকলের নজর কাড়লেন এই তরুণী শ্যুটার। সূত্রের খবর, তিলোত্তমা বাঙালি হলেও সে বাংলায় থাকে না, থাকে বেঙ্গালুরুতে। তবে বাংলায় না থাকলেও তিলোত্তমা সেনের এই জয় কার্যত বাঙালিকে যে গর্বিত করে তুলেছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

    ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের সিওনেড ম্যাকিনটস। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন সুইজারল্যান্ডের নিনা ক্রিস্টেন। তিলোত্তমা ছাড়াও এই ইভেন্টে লড়াই করেছেন আরও দুই ভারতীয়। লড়াই করেছেন নর্মদা রাজু এবং রমিতা জিন্দাল। নর্মদা চলতি বিশ্বকাপে সপ্তম স্থানে ও রমিতা শেষ করেছেন চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে রমিতার থেকে সামান্য একটু বেশি স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন তিলোত্তমা‌। তিনি স্কোর করেছেন ২৬২ পয়েন্ট।

    সোনা জিতলেন ভারতীয় শ্যুটার ঐশ্বরী প্রতাপ সিং তোমার

    শ্যুটিং বিশ্বকাপে পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে সোনার পদক জিতে নিলেন ভারতের ঐশ্বরী প্রতাপ সিংহ তোমার। শ্যুটিং বিশ্বকাপ থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পদক জিতলেন ঐশ্বরী। ২০২১ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্ট থেকেই সোনা জিতেছিলেন ঐশ্বরী। সোনা জয়ের ম্যাচে তিনি হারিয়ে দেন আলেকজান্ডার স্কিমরিলকে। খেলার ফল ঐশ্বরীর পক্ষে ১৬-৬।

    আইএসএসএফ বিশ্বকাপে পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    মিশরের কায়রোতে ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন বিশ্বকাপে ভারত চারটি সোনা এবং তিনটি ব্রোঞ্জ নিয়ে মেডেল টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ঐশ্বরী প্রতাপ সিং তোমার পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে, রুদ্রাঙ্কশ বালাশেব পাটিল দুটি স্বর্ণ পদক, বরুণ তোমার এবং রিদিম সাংওয়ান জুটিতে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল জিতে চতুর্থ স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। আবার অনীশ ভানওয়ালা ২৫ মিটার দ্রুত ফায়ার পিস্তলে, বরুণ তোমার পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ও তিলোত্তমা সেন মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন।

    অন্যদিকে, মাত্র দুটি সোনা ও একটি রূপা পেয়ে হাঙ্গেরি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে। একটি সোনা ও একটি রূপা নিয়ে তৃতীয় হয়েছে ইতালি। পরবর্তী আইএসএসএফ বিশ্বকাপ ভারতের ভোপালে হতে চলেছে, যা ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত হবে।

  • Women T20 World Cup: নেওয়া হল না প্রতিশোধ! অজিদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ভারতের

    Women T20 World Cup: নেওয়া হল না প্রতিশোধ! অজিদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মহিলা টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে জয়ের স্বপ্ন শেষপর্যন্ত অধরাই থেকে গেল। আজ, বৃহস্পতিবার কেপটাউনে সেমিফাইনালে অজিদের কাছে ৫ রানে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল টিম ইন্ডিয়া। গত টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের মধুর প্রতিশোধ নিতে পারলেন না হরমনপ্রীতরা। হরমনপ্রীতদের হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল মেগ ল্যানিংয়ের অস্ট্রেলিয়া।

    তীরে এসে তরী ডুবল!

    সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ টস হেরে যান ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত। বল করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন বোলিং ভারতীয় বোলারদের। জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরে যান শেফালি ভার্মা। পরের ওভারে অ্যাশলি গার্ডনারের বলে ফেরেন টিম ইন্ডিয়ার বড় ভরসা স্মৃতি মান্ধানা, তিনি করেন ৫ বলে ২ রান। যশ্তিকা ভাটিয়াও তাড়াহুড়ো করে রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ২৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে হারের মুখে দাঁড়ায় ব্লু ব্রিগেড।

    এর পরে চতুর্থ উইকেটে কিছুটা হলেও জেতার স্বপ্ন দেখায় জেমাইমা ও টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হরমনপ্রীতের জুটি। দুজনে অজি বোলারদের পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটেন। দুজনে জুটি বেঁধে ৪১ বলে ৬৯ রান যোগ করেন। কিন্তু জেমাইমা ২৪ বলে ৪৩ আউট হতেই চাপে পড়ে যায় ভারত। দলকে জেতানোর দায়িত্ব এর পরে নিজের কাঁধে তুলে নেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ৩২ বলে নিজের জীবনের দশম অর্ধশতরানও পূর্ণ করেন। কিন্তু অর্ধশতরান করার পরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন তিনি। এদিন ৫২ রানের মাথায় রান আউট হন হরমনপ্রীত। এর পর ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২ বলে ৪০ রান। ১৪ রান করে আউট হন রিচা। শেষের দিকে স্নেহ রানা ও দীপ্তি শর্মা মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালান। কিন্তু অবশেষে শেষ রক্ষা আর হল না।

    অজিদের দুরন্ত ব্যাটিং ও বোলিং

    এদিকে অস্ট্রেলিয়া ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে নেয়। মেগ ল্যানিং অপরাজিত ৪৯ রান করেন। অ্যাশলে গার্ডনার মাত্র ১৮ বলে ৩১ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে সেমিফাইনালের মঞ্চে এক বিশাল রান করেই ফাইনালে উঠে যায় অস্ট্রেলিয়া। আর ভারতের হয়ে শিখা পাণ্ডে ২টি এবং দীপ্তি শর্মা ও রাধা যাদব ১টি করে উইকেট নেন।

  • Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের দায়িত্ব সামলাবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা! বৃহস্পতিবারে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেতৃত্বের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত করলেন মাস্টারকার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বর্তমান প্রধান ডেভিড ম্যালপাস ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেই জায়গায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসী অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথমবার মনোনীত ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর বাকি থাকতে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অনেক চিন্তার পরে আমি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কী কারণে মেয়াদ শেষের এক বছর আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি বিশ্ব ব্যাঙ্কের পদত্যাগী শীর্ষ কর্তা।

    ফলে এর পর এই পদের জন্য ইন্দো-আমেরিকান ব্যবসায়ী অজয় বাঙ্গার উপরই ভরসা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাধারণত বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি পদে আমেরিকান কাউকেই বসানো হয়। কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হলেন। ফলে অজয় বাঙ্গা এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, ম্যালপাস ক্ষমতা থেকে সরে আসার পর থেকেই এই মনোনয়নের কাজ চলছিল। ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন চলবে।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা

    ৬৩ বছর বয়সী অজয় বাঙ্গা বর্তমানে ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে এক বেসরকারি শেয়ার লেনদেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আগে তিনি মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ছিলেন। ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল বাঙ্গাকে।

    বাঙ্গার জন্ম ভারতের পুণেতে। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতির স্নাতক। পরে আমদাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন। ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয় বাঙ্গার। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাঙ্কেও। ১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। এর পর ধীরে ধীরে ওই সংস্থার সিইও-সহ একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন ও পরে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হন। আর এবারে এক ইতিহাস গড়ার পথে তিনি।

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটার পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে চান। পাশাপাশি, হাতির হানা রুখতে বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার্থে আসরে নামে বন-দফতর। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রকাশ করা হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    এদিন সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই হাতির হামলায় মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির মহারাজঘাটের বাসিন্দা এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এর পরেই বন দফতর থেকে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হল। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য নেওয়া হল ব্যবস্থা।

    যে সমস্ত এলাকায় হাতির হানার প্রকোপ বেশি, সেই এলাকায় পুলিশ ও বনকর্মীদের পাহারায় জোর দেওয়া হল।

    এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে ক্রমাগত মাইকে প্রচার করা হবে।

    পরীক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য আলাদা লক গেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    বিশেষ গাড়ি ‘ঐরাবতি’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই থাকবে ব্যবস্থা।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বন দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

    যতদিন না পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে, এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে কিনা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিল ছাত্রটি। তখন জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় এক দাঁতালের সামনে পড়ে যায় তাঁরা। সেখান থেকে ভয়ে পালানোর মুহূর্তেই হাতি পা দিয়ে পিষে মারল ছাত্রটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন দাস।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরবাইকে করে ছেলেকে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বাবা বিষ্ণু দাস। হঠাৎ করেই মোটরবাইকের সামনে চলে আসে হাতিটি। মোটরবাইক দেখে তেড়ে আসে হাতিটি। অর্জুনকে ধরে ফেলে হাতি। সেখানেই শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। তারপর পা দিয়ে পিষে যান। আশঙ্কাজনক ছাত্রটির বাবাও। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজা ঘাটের বাসিন্দা অর্জুন। সে জলপাইগুড়ির পাচিরাম নাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্জুনের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাল এই ছাত্র।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মিল্টন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “প্রতি বছর হাতির হামলা হলেও বনদফতর কোনও দায়িত্ব নেয় না। এই ভাবে কারও মৃত্যু হওয়ার পর চাকরি দিলেই কি সান্ত্বনা পাওয়া যায়?”

    হাতির পদপিষ্ট হয়ে অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। সেখানে পৌঁছেছেন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। নিহত ছাত্রটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

  • Manik Bhattacharya: লন্ডনে রয়েছে বাড়ি, দুর্নীতির টাকায় বিদেশ ভ্রমণ মানিক পরিবারের! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: লন্ডনে রয়েছে বাড়ি, দুর্নীতির টাকায় বিদেশ ভ্রমণ মানিক পরিবারের! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের বাড়ি রয়েছে লন্ডনে! এমনই দাবি করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরই তদন্তে জড়িয়ে যায় তাঁর ছেলে ও স্ত্রীর নাম। চার্জশিটেও উঠে আসে সৌভিক ও শতরূপার নাম। এরপর আদালত সমন করলে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরা দুজনেই। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে ছিল সেই আত্মসমর্পণ ও জামিনের আবেদনের শুনানি। এদিন দুজনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল ইডি। ইডির দাবি, লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে সৌভিকের এবং তার জন্যই বারবার বিদেশ সফর করেছেন মানিক পুত্র। এ প্রসঙ্গে আদালতে টেনে আনা হয় শেক্সপিয়ারের হ্যামলেট প্রসঙ্গও।

    ইডির কী দাবি?

    এদিন আদালতে ইডি দাবি করেছে, ‘এই মামলায় ড্রামাটিক ডেভেলপমেন্ট (নাটকীয় মোড়) সামনে এসেছে।’ শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের উপমা টেনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে ইডির আইনজীবী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কোথাও একটা পচন ধরেছে। এই দুর্নীতির প্রধান নায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য। মানিকের দুর্নীতিতে তাঁর স্ত্রীরও সক্রিয় ভূমিকা আছে, তিনি সব জানতেন।” এদিন ইডি-র তরফে আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ও ফিরোজ এডুলজি জানান, ২০১৭-তে সৌভিক ইউকে গিয়েছিলেন। ইডি সব নথি খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে ওই বছরে দুবার বিদেশে গিয়েছিলেন মানিক-পুত্র। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য গিয়েছিলেন বলেই দাবি করে ইডি। তাঁদের এই বিদেশ যাত্রা নিয়ে কোনও তথ্য দেয়নি বলে জানায় ইডি। ওই দু’বারই আবাসিক ভিসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন সৌভিক।

    ইডি আদালতে আরও জানিয়েছে, শুধুমাত্র লন্ডন ভ্রমণ নয়, ২০১২ সাল থেকে মানিক ভট্টাচার্য সপরিবারে অন্তত ২০ বার বিদেশযাত্রা করেছেন। চিন, মলদ্বীপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউকে, ইউরোপ, মালয়েশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন তিনি। এইসব সফরে ৫ কোটি টাকার মত খরচ হয়েছে বলেও জানান মানিক। এই ৫ কোটি টাকা কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তোলা হয়নি, ফলে ইডির সন্দেহ এই টাকা দুর্নীতিরই।

    সৌভিকের সাফাই

    আদালত সূত্রে খবর, এদিন কাঠগড়ায় তোলা হলে মানিক পুত্র বলেন, “২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে আমি প্রথম লন্ডনে গিয়েছিলাম। পড়াশোনার জন্যই ভিসার আবেদন করেছিলাম। বায়োমেট্রিক রেসিডেন্ট পারমিট দেওয়া হয়েছিল সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। আমার কোনও বাড়ি নেই। আমি লন্ডনের বোর্ডিংয়ে থাকতাম। ২০১৭ সালে আমি কোনও ভিসার আবেদন করিনি।”

    বিচারক কী বললেন?

    এদিন ইডির একাধিক দাবি শোনার পরই বিচারকের প্রশ্ন, “এত তথ্য থাকার পরেও কেন তদন্তকারী অফিসাররা মানিকের স্ত্রী বা পুত্রকে গ্রেফতার করলেন না?” এই জবাবে ইডি-র আইনজীবী বলেন, “আমরা গ্রেফতার করিনি, কারণ সেই পর্যায়ে প্রয়োজন ছিল না। আমরা কাস্টডিয়াল ট্রায়াল করতে চাই।” এছাড়াও বিচারক ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছেন, “সৌভিক ভট্টাচার্যের বাড়ি রয়েছে তা কী ভাবে প্রমাণিত হচ্ছে?  পালটা ইডির আইনজীবী জানান, আবাসিক ভিসার আবেদন জানিয়েছিলেন সৌভিক। এর থেকেই প্রমাণিত তিনি তথ্য গোপন করছেন।

    বিদেশমন্ত্রককে চিঠি ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, মানিকের লন্ডনে সম্পত্তি আছে কিনা জানতে বিদেশমন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে অভিবাসন দফতরেও। অভিবাসন দফতরের সাহায্য নিয়ে সৌভিকের লন্ডন যাত্রার খতিয়ান বের করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    মানিকের স্ত্রী ও ছেলেকে ধমক বিচারকের

    মানিকের ছেলে ও স্ত্রীর আইনজীবী ও ইডি-র আইনজীবীর মধ্যে যখন সওয়াল-জবাব চলছে, তখন কোর্টরুমের মধ্যে মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্য ও স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্কে কথা বলতে দেখা যায়। এই দৃশ্য দেখেই কার্যত ধমক দেন বিচারক। বিচারক বলেন, “আপনারা কাস্টডিতে আছেন। জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনারা স্বাধীন নয়। এমন কোনও আচরণ করবেন না যাতে কোর্ট কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এভাবে কথা বললে কলকাতা পুলিশকে ডেকে লকআপে পাঠাতে বলব।”

  • Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    Partha Chatterjee: জেলের ভিতরেই পার্থকে তাড়া জঙ্গি মুসার! পড়ে গিয়ে পেলেন চোট, কেমন আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ঘটল এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড! জেলের ভিতরে পড়ে গিয়ে চোট পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠোঁটে চোট পেয়েছেন পার্থ। এর পর আজ, বুধবার এসএসকেম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম দেখেও আসেন তাঁকে। ফলে জানা গিয়েছেস তাঁর শরীর ঠিকঠাকই আছে এখন। তবে কীভাবে পড়ে গেলেন, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জেলের মধ্যেই তাড়া খেয়েছেন জঙ্গি মুসার। সেই তাড়া খেয়ে জেলের ভিতরেই পড়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারারক্ষীদের সামনেই এমন ঘটনা ঘটায় অবাক সকলেই।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ঠিক কী ঘটেছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ। ওই একই জেলে রয়েছেন বিচারাধীন বন্দি, কুখ্যাত জঙ্গি মুসা। সেই মুসার তাড়া খেয়েই নাকি জেলের ভিতরে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। সে সময়ে বারবার পার্থকে অনুরোধ করা হয়, ভিতরে ঢুকতে। কিন্তু পার্থ নাকি ঢুকতে বিলম্ব করছিলেন। তখনই আচমকা জঙ্গি মুসা পার্থর দিকে তেড়ে গিয়ে মগ ছুড়ে দেন। তখন ভারী শরীর নিয়ে তড়িঘড়ি যেতে গিয়ে পড়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠোঁটে চোট পান। তখন সবাই তাঁকে ধরে তোলেন। বড় বিপদ না ঘটলেও ঠোঁটে আঘাত পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এর পর এসএসকেএম থেকে একটি টিম এসে দেখে যান তাঁকে। তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পরে মুসাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ।

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আর এই দুজনকে নিয়েই ঘটে নাটকীয় কাণ্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    Calcutta High Court: উপনির্বাচনের আগে কংগ্রেস শিবিরে স্বস্তি! হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন সাইদুর রহমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমান। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, কংগ্রেস নেতাকে সপ্তাহে ৩ দিন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে হবে। সব ছবি ও ফুটেজ দিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি, সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুরকে পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। দেড় দশকের পুরনো ধর্ষণ ও প্রতারণায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল সাইদুর রহমানকে। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে কংগ্রস ও বামেরা। এরপর বুধবার সাইদুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী ঘটেছিল?

    ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন, তার আগেই ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে সাগরদিঘি ব্লকের প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরই দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে তারা। কংগ্রেসের দাবি, ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সাগরদিঘির কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানকে।

    কংগ্রেসের কী দাবি?

    কংগ্রেসের তরফে দ্রুত জামিনের আর্জি জানানো হয়। অধীর চৌধুরীর দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে। কংগ্রেসের বক্তব্য, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে সাইদুরকে জেলে ঢোকানো হয়েছিল। পুলিশ চেষ্টা করছে এভাবে উপনির্বাচনের আগে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, কংগ্রেস বৃহত্তর আন্দোলনের সামিল হবে বলে জানিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এর পর আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হয়।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ

    উপনির্বাচনের আগে সাগরদিঘিতে কংগ্রেস নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন প্রাথমিক তদন্ত করা হল না?

    অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সওয়াল করেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের হল, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ফলে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন সাইদুর রহমানকে।

  • Sania Mirza: ক্রীড়া জগতকে বিদায় সানিয়ার, জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসা হল না

    Sania Mirza: ক্রীড়া জগতকে বিদায় সানিয়ার, জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের হাসি হাসা হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের জলেই টেনিস কোর্টকে বিদায় জানালেন সানিয়া মির্জা (Sania Mirza)। জীবনের শেষ ম্যাচে জয়ের মুকুট পরা হল না টেনিস সুন্দরীর। টেনিস জীবনকে বিদায় জানালেন চিরতরে। আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আগেই। এবার বিদায় জানালেন ডাবলসকেও। মঙ্গলবার দুবাই ওপেনের ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে পরাজিত হন সানিয়া। 

    ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে আমেরিকার ম্যাডিসনকে নিয়ে কোর্টে নামেন সানিয়া। রুশ জুটি ভেরোনিকা কুদেরমেতোভা ও লিউদমিলা স্যামসোনোভা এক ঘণ্টার লড়াইয়ে সানিয়াদের (৪-৬, ০-৬) হারিয়ে দেন। ইতি হল এক বর্ণময় কেরিয়ারের। জলে ভেজা চোখ নিয়ে নিঃশব্দে টেনিস কোর্ট ছাড়লেন ৩৬ বছরের এই টেনিস তারকা।

    গত জানুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক টেনিসকে আলবিদা জানিয়েছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে উঠেও ফাইনাল হার্ডল আর পার করা হয়নি তাঁর (Sania Mirza)। সেই সময় জুটি বেঁধেছিলেন রোহন বোপান্নার সঙ্গে। ৬-৭, ২-৬ ব্যবধানে তাঁরা পরাজিত হন ব্রাজিলিয়ান জুটি লুসিয়া স্টেফানি ও রাফায়েল ম্যাটোসের কাছে। ছ’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মেলবোর্নের মাটিতেই ইতি টেনেছিলেন গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ারের। টেনিসকে বিদায় জানালেও ক্রীড়া জগতেই থাকছেন সানিয়া। এবার তিনি ক্রিকেটের মাঠে। অবাক হচ্ছেন? তাহলে শুনুন। আসন্ন উইমেন’স প্রিমিয়র লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মেন্টর সানিয়া মির্জা।

    আরও পড়ুন: কমেছে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী, সিলেবাসে বদল আনার পরামর্শ বিচারপতি বসুর

    ফিরে  দেখা সানিয়ার ঝকঝকে কেরিয়ার 

    ২০০৩ সালে প্রো হয়েছিলেন সানিয়া। সুইস সুন্দরী মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলসে তিনবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাবও জিতে নেন (Sania Mirza)। সানিয়া কেরিয়ারে তিনটি মিক্সড ডাবলসের মধ্যে দু’বারই (২০০৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ২০১২ ফরাসি ওপেন) জিতেছেন মহেশ ভূপতির সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জেতেন ব্রুনো সোরেসের সঙ্গে জুটি বেঁধে। সানিয়ার টেনিস থেকে সরে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্তের সঙ্গেই শেষ হল এক অধ্যায়। শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বের টেনিস ইতিহাসে সানিয়ার নাম লেখা হবে স্বর্ণাক্ষরে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share