Author: নিমাই দে

  • Dadasaheb Phalke Award 2023: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ঝুলিতে দাদাসাহেব ফালকে! দেখুন বিজয়ীদের পুরো তালিকা

    Dadasaheb Phalke Award 2023: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর ঝুলিতে দাদাসাহেব ফালকে! দেখুন বিজয়ীদের পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মুকুটে জুড়ল ফের নয়া পালক। তুমুল বিতর্কের মধ্যেও সম্মানিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এবার দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির শিরোপা পেল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এর আগেও একাধিক পুরস্কার জিতেছিল ছবিটি। ফের পুরস্কারে সম্মানিত হল এই সিনেমা। শুধু তাই নয়, এই চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন অনুপম খের। যিনি এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সব মিলিয়ে সাফল্য ও পুরস্কার জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ টিম। বিবেক নিজেই তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে পুরস্কার নেওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন।

    ‘দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার ২০২৩’

    সোমবার অনুষ্ঠিত হয় ‘দাদাসাহেব ফালকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার ২০২৩’। রেড কার্পেটে দেখা যায় বিনোদন দুনিয়ার একাধিক তারকার। আলিয়া ভাট থেকে বরুণ ধবন, তেজস্বী প্রকাশ থেকে রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন রেখাও। চলতি বছরে দাদাসাহেব ফালকে অন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর সেরা অভিনেতার খেতাব গিয়েছে রণবীর কাপুরের ঝুলিতে, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির জন্যে। অন্যদিকে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ ছবির জন্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

    ২০২৩ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার বিজেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা

    সেরা চলচ্চিত্র: দ্য কাশ্মীর ফাইলস

    সেরা পরিচালক: আর বাল্কি, (চুপ: রিভেঞ্জ অফ দ্য আর্টিস্ট)

    সেরা অভিনেতা: রণবীর কাপুর (ব্রহ্মাস্ত্র)

    সেরা অভিনেত্রী: আলিয়া ভাট (গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি)

    মোস্ট প্রমিসিং অভিনেতা: ঋষভ শেট্টি (কান্তারা)

    ক্রিটিক্স চয়েস সেরা অভিনেতা: বরুণ ধবন (ভেড়িয়া)

    ফিল্ম অফ দ্য ইয়ার: আর আর আর

    টেলিভিশন সিরিজ অফ দ্য ইয়ার: অনুপমা

    মোস্ট ভার্সেটাইল অভিনেতা: অনুপম খের (দ্য কাশ্মীর ফাইলস)

    সেরা সহ অভিনেতা: মণীশ পাল (যুগ যুগ জিও)

    ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান: রেখা

    সেরা ওয়েব সিরিজ: রুদ্র: দ্য এজ অফ ডার্কনেস

    সেরা টেলিভিশন সিরিজ অভিনেতা: জৈন ইমাম (ফনাহ- ইশক মে মরজাওয়ান)

    সেরা টেলিভিশন সিরিজ অভিনেত্রী: তেজস্বী প্রকাশ (নাগিন)

    সেরা গায়ক: সচেত টন্ডন (মাইয়া ম্যায়নু)

    সেরা গায়িকা: নীতি মোহন (মেরি জান)

    সেরা সিনেম্যাটোগ্রাফার: পি এস বিনোদ (বিক্রম বেদা)

    সঙ্গীত জগতে অবদান: হরিহরণ

  • SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    SSC Scam: কোটি কোটি টাকার লেনদেন! এবারে এসএসসির প্রাক্তন কর্মী শ্যামল কুমার সেনকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাঁকেই এবারে চলতি সপ্তাহে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হল। আনতে বলা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি এসএসসি-র প্রাক্তন আধিকারিক। সিবিআই আধিকারিকদের অভিযোগ, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসএসসির প্রাক্তন আধিকারিক শ্যামল সেনের সম্পত্তি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আকস্মিকভাবে এই সম্পত্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটি মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফলে এবারে তাঁকে তলব করল সিবিআই।

    সিবিআই কী তথ্য পেল?

    সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল তাঁর বরানগরের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযানের পর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ যা থেকে স্পষ্ট ভাবে তাঁরা বুঝতে পারছেন যে, এই প্রাক্তন আধিকারিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত ও অনেক তথ্যও জানেন তিনি। অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত লেনদেনও হয়েছে, তার তথ্য-প্রমাণ ইতিমধ্যেই তাঁদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।

    আরও পড়ুন: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    কাদের সঙ্গে এবং কেনই বা এই কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছেন একজন সরকারি আধিকারিক? সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট হয়নি তদন্তকারীদের কাছে। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চলতি সপ্তাহে শ্যামল সেনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।

    এসপি সিনহার কাজ করতেন শ্যামল সেন!

    তদন্তে উঠে এসেছে যে, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ধৃত এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি সিনহার হয়ে একাধিক কাজ করতেন এই শ্যামল কুমার সেন। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা তুলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন শ্যামল। উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান এসপি সিনহার কাছ থেকে তার বদলে ‘কমিশন’ও পেতেন তিনি। ফলে এসএসসি-র এই প্রাক্তন আধিকারিক সরাসরি দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। ফলে এই পরিস্থিতিতে শ্যামল সেনকে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি এই সপ্তাহে হাজিরা দেন কিনা, সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হন কিনা, এটাই এখন দেখার।

  • Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা  বিচারকের

    Recruitment Scam: “চন্দনকে গ্রেফতার করতে ন’মাস লাগল?”, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারকের। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন বাগদার ‘রঞ্জন’ চন্দন মণ্ডল। বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারক। চন্দন মণ্ডল যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত, তা হলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে ৯ মাস সময় লাগল? সিবিআই আইনজীবীকে প্রশ্ন আলিপুরের দেওয়ানি এবং দায়রা আদালতের বিচারক রানা দামের।

    সিবিআইের তরফে কী বলা হল?

    এদিন চন্দনের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল চাকরি দেওয়ার নামে মোট ১৬ কোটি টাকা তুলেছিলেন। আদালতে আজ এমনই জানিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে চন্দনের ভূমিকা আছে। চন্দন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলে নিজের অ্যাকাউন্টে রাখতেন। সেখান থেকে টাকা তুলে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দিতেন। চন্দন কার থেকে টাকা নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন, সেগুলো এখনও জানা দরকার। তাই চন্দনের হেফাজত গুরুত্বপূর্ণ।” গ্রেফতারির আগে চন্দন অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রি করে ১৬ কোটি টাকা! চন্দনকে জেরা করে নয়া তথ্য সিবিআই-এর হাতে

    বিচারকের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করলে বিচারক রাণা দাম প্রশ্ন করেন, “আপনারা চন্দন মণ্ডলকে হেফাজতে নিতে চান না, তাহলে জামিন দিলে কী সমস্যা? এখন কান্নাকাটি করছেন জামিন দেবেন না, তাহলে এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন কেন?” এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেন, এতদিন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা। ফের বিচারকের প্রশ্ন, “৪ মাস ধরে চন্দনকে বাইরে রেখেছিলেন। বলেছেন, ও তদন্তে সহযোগিতা করেছে। তখন জানতেন না যে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন? বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ৯ মাস সময় লাগল চন্দনকে দোষী প্রমাণ করতে?”

    বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হঠাৎ করে এমন কী হল যে চন্দন দোষী হয়ে গেল? এখন বলছেন উনি সহযোগিতা করছেন না। তাহলে এত প্রমাণ পেলেন কীভাবে? আপনারা যা বলছেন সেটা আপনাদের কথায় প্রকাশ পাচ্ছে না।” সিবিআইয়ের দাবি, “চন্দন অনেক কিছু চাপা দিতে চাইছেন। সম্পূর্ণটা বলছেন না। মিডলম্যানের কাছ থেকে ৫-১৫ কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে।” ফের বিচারপতি বলেন, “চারটে নোটিস পাঠিয়েছেন। ওনাকে বাইরে থাকতে দিয়েছেন আপনারাই। হঠাৎ করে আপনাদের মনে হল একে জেলে পুড়তে হবে।”

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের, চন্দন এত গুরুত্বপূর্ণ হলে কেন তাঁর জন্য শুধু জেল হেফাজত চাওয়া হচ্ছে? কেন পুলিশ হেফাজত চাওয়া হচ্ছে না? এর পাশাপাশি, চন্দন যে সব ধরনের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন, তার উল্লেখও চার্জশিটে নেই বলে বিচারকের পর্যবেক্ষণ। ফলে এদিন চন্দন মণ্ডলের মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন বিচারক।  এখন এটাই দেখার, চন্দন মণ্ডলের থেকে আর কোনও তথ্য সিবিআইয়ের হাতে উঠে আসে কিনা।

  • Kolkata Metro: রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো লাইনে সম্প্রসারণ! এবারে দক্ষিণেশ্বর থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবেন বেলেঘাটায়

    Kolkata Metro: রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো লাইনে সম্প্রসারণ! এবারে দক্ষিণেশ্বর থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবেন বেলেঘাটায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার মেট্রো রেলযাত্রীদের জন্য ফের সুখবর! আগেই জানা গিয়েছিল যে, ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা। চলতি মাসেই পরিষেবা শুরুর জন্য রেলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে এই অনুমতি মিলেছে। আর এখন জানা যাচ্ছে, সেই লাইন দ্রুতই বেলেঘাটা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। ফলে এই লাইনে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলে দক্ষিণেশ্বর থেকে মেট্রো করেই যাওয়া যাবে বেলেঘাটা।

    রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো লাইনে সম্প্রসারণ

    কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনে কবি সুভাষ বা নিউ গড়িয়া থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন বা রুবি পর্যন্ত পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য প্রায় প্রস্তুত। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা পেতে চলেছে চতুর্থ মেট্রো লাইন। নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত চলবে এই মেট্রো। তবে এখন রুবি থেকে আরও ৪ কিমি রুট সম্প্রসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া রুটে প্রাথমিক ভাবে একটি মেট্রোই চলবে। এই লাইনটি চালু হয়ে গেলে যাত্রীদের ব্যাপক সুবিধা হবে। উল্লেখ্য, মেট্রোর দুটি লাইন অর্থাৎ ব্লু লাইন এবং অরেঞ্জ লাইনকে সংযুক্ত করবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন (নিউ গড়িয়া)। কিন্তু এই রুট নিয়ে নতুন পরিকল্পনা নেওয়ায় শহরবাসীর যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    কবে থেকে শুরু হবে বেলেঘাটা মেট্রো পরিষেবা?

    নিউ গড়িয়া-রুবি রুটের সম্প্রসারণ করে বেলেঘাটা পর্যন্ত করা হলে এই রুটের প্রাসঙ্গিকতা আরও বাড়বে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে, পুজোর আগেই এই সুবিধা পেতে পারেন শহরবাসী। যখন রুট আর বাড়ানোর পরিকল্পনা যখন সম্পূর্ণ হবে, তখন দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ স্টেশন (নিউ গড়িয়া) হয়ে বেলেঘাটা পর্যন্ত ৪১ কিমি দীর্ঘ টানা লাইন তৈরি হবে। এবং এক টোকেনেই নিউ গড়িয়া হয়ে মেট্রো চেপে দক্ষিণেশ্বর থেকে বাইপাসে পৌঁছে যাওয়া যাবে।

    মেট্রো সূত্রের খবর, আপাতত আট ঘণ্টার পরিষেবা দেওয়া যাবে এই অরেঞ্জ লাইনে। মেট্রো সূত্রের খবর, জোকা-তারাতলা মেট্রোর ধাঁচেই এই পরিষেবা শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিষেবা খোলা থাকবে। তবে আগামীতে পরিষেবার সময়কাল এবং মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানো হবে।  

  • Adenovirus: ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিলিত রূপ ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’! এর ফলেই কী ভয়াবহ পরিস্থিতি?

    Adenovirus: ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিলিত রূপ ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’! এর ফলেই কী ভয়াবহ পরিস্থিতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর এবারে নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কলকাতা সহ একাধিক জেলাতেও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ অতিরিক্ত মাত্রায় ছড়াচ্ছে। এই ভাইরাস মূলত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী, কিন্তু এখন করোনার মতই রূপ বদলে আরও বেশি সংক্রামক ও ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে। এখনও অবধি রাজ্যে তিনশোর বেশি আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি বহু। তবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কী কারণ তা নিয়েই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’

    জানা যাচ্ছে, মিউটেশন হয়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু দু’টি স্ট্রেন বা সেরোটাইপের মিশ্রণের ফলে তৈরি হয়েছে ‘রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস’। এ বারের ভয়াবহ পরিস্থিতির নেপথ্যে এই ভাইরাস কতটা দায়ী, তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, পরিচিত অ্যাডিনো ভাইরাস কেন এতটা ভোগাচ্ছে, তা জানতে ৪০টির মত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছিল নাইসেড। সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভাইরাসের দু’টি স্ট্রেন ‘অ্যাডিনো ৭’ এবং ‘অ্যাডিনো ৩’-এর মিশে থাকার বিষয়টি। নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেন, “আগেও রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু তখন সংখ্যায় কম থাকলেও এ বার অধিকাংশই তাতে আক্রান্ত। এই রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাসের মধ্যে অ্যাডিনো-৭ সেরোটাইপ আগেও ছিল। এর সঙ্গে মিশেছে অন্য সেরোটাইপ।” তিনি জানান, দু’টি সেরোটাইপ মিশ্রিত ভাইরাস কতটা ভয়াবহ, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

    এক ভাইরোলজিস্টের মতে, মানুষের অ্যাডিনো ভাইরাসের সাতটি প্রজাতি রয়েছে। যার মধ্যে ৬৮ প্রকার (সেরোটাইপ বা স্ট্রেন) অ্যাডিনো ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। আরও জানা গিয়েছে, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ মূলত ঘটায় অ্যাডিনো ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৭ সেরোটাইপ। এছাড়াও অ্যাডিনোভাইরাস শ্বাসনালি তথা ফুসফুসের সংক্রমণ, প্রদাহ ছাড়াও পরিপাকতন্ত্র, মূত্রনালি তথা রেচনতন্ত্র এবং চোখের কনজাংটিভা-র সংক্রমণ ও প্রদাহেও পটু।

    আরও পড়ুন: খুদেদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাডিনো-সংক্রমণ! হাসপাতাল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    বিশেষ নির্দেশিকা জারি পুরসভার

    এই নতুন ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হলে গতকাল কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক করা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডে যে সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে এবং সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সব-কটিতেই অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে।

    কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, কলকাতায় বাড়িতে বাড়িতে বাচ্চাদের জ্বর কেমন রয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করবেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। জ্বর-সর্দিকাশি হলেই শিশুদের হাসপাতালে বা  নার্সিং হোমে ভর্তি করতে বলা হয়েছে। শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যায় না, তাই কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে কোনও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। যাদের সমস্যা বেশি রয়েছে, তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের কাছে যাতে বড়রা দূরে থাকেন বা মাস্ক পরেন, তাদের সংস্পর্শে থাকেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।

  • NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযানে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। এবারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ দেশের ৭২টি জায়গায় মঙ্গলবার একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    আটটি রাজ্যে এনআইএ অভিযান

    এনআইএ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে তল্লাশির সময় একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁদের জেরা করেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার হদিশ পেয়েছিল এনআইএ। আর তার পরই আজ, মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

    এদিন সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এনআইএ অভিযান শুরু করে। পাঞ্জাবের অন্তত ৩০ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের গিদ্দারবাহায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগসাজশের মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বার অভিযানে নামল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির এক সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

    এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার এবং মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ লক্ষ্য করে দেশের পাঁচটি রাজ্যের ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। এনআইএর তরফে তখনই জানানো হয়েছিল যে, এই নেটওয়ার্ক যত দিন না ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

  • Kolkata Weather: মার্চেই ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে শহরের তাপমাত্রা! এদিন এক ধাক্কায় পারদ চড়ল ৫ ডিগ্রি

    Kolkata Weather: মার্চেই ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে শহরের তাপমাত্রা! এদিন এক ধাক্কায় পারদ চড়ল ৫ ডিগ্রি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেব্রুয়ারি মাস শেষ না হতেই শহর থেকে উধাও শীত। ক্রমশই বেড়ে চলেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। নতুন করে ঠান্ডা পরার সম্ভাবনা খুবই কম, আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ফেব্রুয়ারিতেই গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। জেলায় জেলায় তাপমাত্রার পারদ পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। আজ শহরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪-৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে, দেশজুড়েও ঊর্ধ্বমুখী পারদ। ৫৪ বছর পর রেকর্ড গরম দিল্লিতে। ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজধানীতে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার দিনের আকাশ রৌদ্রোজ্জ্বল থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩২ এবং ২১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।

    মার্চেই ৪০ ডিগ্রি হতে পারে তাপমাত্রা!

    আবহাওয়াবিদদের মতে, মার্চেই শহরের তাপমাত্রা পৌঁছে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রির কোঠায়। এ প্রসঙ্গে এক আবহাওয়াবিদ বলেন, “ফেব্রুয়ারির শেষেই বঙ্গের তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মার্চেও ভ্যাপসা গরম পড়বে রাজ্যে। তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে রাজ্যের আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে। উল্লেখযোগ্যভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে চলতি বছর।”

    এছাড়াও জানা গিয়েছে, এবছর রাজ্য জুড়ে ব্যাপক গরম পড়বে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, তার প্রভাব পড়তে পারে ফসল উৎপাদনেও। এমনকী খরাও দেখা দিতে পারে। আবহাওয়াবিদের অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে একটা মারাত্মক খরা সৃষ্টি হবে। রাজ্যের গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ জলের মাত্রা অনেকটাই নীচে নেমে যাবে। দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আর্সেনিকের প্রভাব পড়বে। কৃষিকাজেও ব্যাপক ক্ষতি হবে বাংলায়। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়বে না ফলে দিল্লির মতই এবার কলকাতাও শুষ্ক হবে।

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। রাতের তাপমাত্রা বা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একই রকম থাকলেও দিনের তাপমাত্রা আগামী দু-তিন দিনে সামান্য বাড়বে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

  • Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এল এক নয়া মোড়। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগেও বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে, আর সেই তদন্তেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডানলপের একটি ফ্ল্যটে হানা দিল সিবিআই। এদিন বরানগর বারুইপাড়া লেনে অভিযান চালাল সিবিআই-এর বিশেষ দল। সূত্রের খবর, যার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। সিবিআই সূত্রে খবর, মালদহ থেকে ধৃত তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেককে জেরা করেই বরানগরের এই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তাঁর কাছে অবৈধ নিয়োগের কমিশন আসত বলে তদন্তকারীদের দাবি। এই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। চলেছে জেরাও।

    ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন বরানগরের বাসিন্দা শ্যামল কুমার সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শ্যামল কুমার সেন পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তল্লাশি চালানোর পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। দু’ঘণ্টা ধরে শ্যামল সেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও চালান সিবিআইয়ের দল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি যাচাই করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্যামল কুমার সেন নবম-দশমে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগেই বেশ কয়েকজন সাব-এজেন্টকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। দফায় দফায় জেরা শেষে অন্তত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে। এর পর আজ সোমবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম এসএসসি দুর্নীতিতে তদন্তে এসেছে। এর আগেও এসেছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি এসেছিল। এখানে এখন সব সিল করে দিয়ে গিয়েছে।” জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী শ্যামল বর্তমানে ব্যবসা করেন। এর আগেও একবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার ফের চলে তল্লাশি। ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি।

    জেল হেফাজতে তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার উত্তরবঙ্গেও থাবা বসিয়েছে সিবিআই। মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুল খালেক নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন তিনি। স্কুলের সাধারণ শিক্ষাকর্মী হলেও তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। মালদহে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের একাধিক বড় নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এমনকী কলকাতাতেও তাঁর টাকা যেত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পর তাঁকে জেরা করেই ডানলপ বরানগরের ওই ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে এই প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কত টাকা কমিশন পেতেনে, কার কার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল, তা জানতে জেরা করছে সিবিআই। উল্লেখ্য, এদিন আব্দুল খালেককে ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

  • Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    Assam: স্বামী-শাশুড়িকে খুন করে দেহাংশ ফ্রিজে! বয়ফ্রেন্ড-বন্ধু সহ গ্রেফতার অসমের মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকর, নিক্কি যাদবের ঘটনার আঁচ নিভতে না নিভতেই ফের এক নারকীয় খুনের ঘটনা সামনে এল। খুনের ধরণও সেই একরকমের। এবারে স্বামী, শাশুড়িকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হল অসমের এক মহিলা। শুধু টুকরো টুকরো করে খুনই করেনি, স্বামী এবং শাশুড়ির দেহাংশ পরে মেঘালয়ের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার যা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুয়াহাটিতে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কথা সোমবার জানিয়েছে পুলিশ।

    কী ঘটেছে?

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনা ঘটে গুয়াহাটির নুনমাটি এলাকায়। ধৃত মহিলার নাম বন্দনা কলিতা। এছাড়াও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বয়ফ্রেন্ড ধনজিৎ ডেকা এবং তাঁর বন্ধু অরূপ দাসকে। জানা যাচ্ছে, ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার, তার জেরেই খুন কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামী অমরজ্যোতি দে এবং শাশুড়ি শঙ্করীকে খুন করেছে বন্দনা কলিতা। এর পর সেই দেহাংশ তিনদিন ফ্রিজে রেখে দেয়। তারপর গাড়িতে করে পার্শ্বর্বর্তী রাজ্য মেঘালয়ের দুটি জায়গায় দেহাংশ ফেলে দেয় বন্দনারা।

    কীভাবে পুরো বিষয়টি সামনে এল?

    পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর অগাস্টে বন্দনা অসমের নুনমাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বন্দনা। সে দাবি করে যে স্বামী এবং শাশুড়ির খোঁজ মিলছে না। তারপর ফের একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগপত্রে বন্দনা দাবি করে, শাশুড়ির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যাচ্ছে। এর কিছুকাল পরে অমরজ্যোতির তুতোভাইও নিখোঁজের অভিযোগ করেন৷ তার পরেই তদন্ত পূর্ণমাত্রায় শুরু হয়৷ পুলিশ আন্দাজ করে, ঘটনায় বন্দনার কোনও ভূমিকা রয়েছে৷ তার পর থেকে পূর্ণমাত্রায় তদন্ত চালিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেহ উদ্ধার করা হয়৷ এর পর শুক্রবার বন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে যে, শাশুড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই টাকা তুলেছিল ওই মহিলা। এটিএম কার্ড ব্যবহার করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা তুলেছে বন্দনা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বন্দনা স্বীকার করে, স্বামী এবং শাশুড়িকে খুন করেছে সে। ঘটনায় বন্দনার বয়ফ্রেন্ড এবং তার বন্ধু অরূপের নাম উঠে আসে। তারপর ধনজিৎ এবং অরূপকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, রবিবার তল্লাশি চালিয়ে দেহের কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। অমরেন্দ্র এবং তাঁর মায়ের বাকি দেহাংশগুলি উদ্ধার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

  • Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: দুই হয়ে গেল চার লক্ষ! জেলবন্দি মানিককে দ্বিগুণ জরিমানা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য! দু’লক্ষ নয়, মোট চার লক্ষ জরিমানা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-র ফল ঘোষণা না করায় এক চাকরীপ্রার্থীর অভিযোগে মানিককে জরিমানা হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দিতে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন দু’লক্ষের পরিবর্তে চার লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন মালারানী পাল। কিন্তু ওই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কি না, পর্ষদ তা জানায়নি বলে অভিযোগ। আর সেসময় পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মামলকারীর বক্তব্য, টেটের ফল জানতে না পারায় ২০১৬ এবং ২০২০ সালের দু’টি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মালারানী। এর ফলে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, “পরীক্ষা দিয়ে ফল জানার অধিকার প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের শীর্ষ পদে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিককে দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মানিক এখনও ওই জরিমানা জমা দেননি। উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরীক্ষার ফল(২০১৪ টেট) প্রকাশ হলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মায়ারানী পাল।

    বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা

    জরিমানা দেওয়ার পরিবর্তে সেই নির্দেশ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মানিক। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হলেও তার শুনানি না হওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন করেন মানিকের আইনজীবী। মানিকের আইনজীবী জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়ায় আপাতত জরিমানা টাকা দেওয়ার নির্দেশ মুলতবি রাখুক একক বেঞ্চ। মানিকের আইনজীবী আরও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের কোনও ভুলের জন্য সভাপতি জরিমানার জন্য দায়বদ্ধ নয়।

    কিন্তু এমন আবেদন ফিরিয়ে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, “৭ দিনের মধ্যে জরিমানা টাকা দিতে হবে মানিককে। হাইকোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে টাকা দিতেই হবে মানিককে। সেই টাকা শর্ট টার্ম ডিপোজিটে গচ্ছিত থাকবে। ডিভিশন বেঞ্চে মামলার ফল মানিকের পক্ষে গেলে সুদসহ টাকা ফেরত পাবেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি।”

    ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এর পর আজও মানিকের আইনজীবী জরিমানা নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে আরও ২ লক্ষ টাকার জরিমানা নির্দেশ দেন। তাই এখন সর্বমোট ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই টাকা জমা দিতে হবে।

LinkedIn
Share