Author: নিমাই দে

  • Swara Bhaskar: সাদামাটা বিয়ে সারলেন বলি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, কীভাবে প্রেমের শুরু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে?

    Swara Bhaskar: সাদামাটা বিয়ে সারলেন বলি অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, কীভাবে প্রেমের শুরু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক বলিউড অভিনেত্রীর বিয়ে! তবে নেই কোনও বলিউডি আয়োজন, নেই কোনও জাঁকজমক, এক্কেবারে সাদামাটা আয়োজনে সবাইকে চমকে দিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সেরে ফেললেন স্বরা ভাস্কর। পাত্র রাজনৈতিক নেতা। সমাজবাদী পার্টির রাজ্য যুব সভাপতি ফাহাদ আহমেদকে বিয়ে করেছেন স্বরা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তাঁরা আইনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু সে কথা ঘোষণা করলেন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ। আচমকাই ট্যুইটারে একটি  ভিডিও পোস্ট করে জানালেন, তাঁরা কোর্ট ম্যারেজ সেরে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের প্রেমের শুরুটাও হয়েছে একেবারে অন্যরকমভাবে। আর তারই ঝলক দেখা গেল কিছু ছবি ও ভিডিওর মন্তাজে।

    অভিনেত্রী ও রাজনৈতিক নেতার প্রেমের শুরু কীভাবে?

    সালটা ২০১৯। আন্দোলনেই প্রথম আলাপ। দু’টো জীবন এক হতে পারে, প্রথমে এমন ভাবনাই মাথায় আসেনি। কিন্তু একসময় বোঝেন, তাঁরা প্রেমে পড়েছেন। বাকিটা ইতিহাস। অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েটা সেরে ফেললেন স্বরা ভাস্কর। ফলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই প্রেমের যাত্রা শুরু, এমনটাই বোঝা যাচ্ছে। এর আগে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করে জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন স্বরা। এক পুরুষের বাহুডোরে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই হয়তো প্রেম’। কিন্তু পুরুষের মুখ স্পষ্ট ছিল না।

    কিন্তু অবশেষে গতকাল স্বরা জানিয়ে দিলেন, তিনি বিয়ে সেরে নিয়েছেন। সঙ্গে পোস্ট করেছেন একটি ভিডিও। সেই ভিডিও-র ক্যাপশনে লেখা, “অনেক সময় আমরা এমন কিছু খুঁজি যা চোখের সামনেই থাকে, কিন্তু আমরা দূরে খুঁজতে থাকি। আমরা ভালবাসা খুঁজছিলাম। কিন্তু খুঁজে পেলাম বন্ধুত্ব। তার পর একে অপরকে খুঁজে পেলাম। আমার মনে তোমাকে স্বাগত ফাহাদ। এখানে অনেক শোরগোল, কিন্তু এই মন তোমার।” স্বরার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট সেকশন অনুরাগীদের শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে উঠেছে।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির! তুমুল বিতর্কে মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলের নেতার মুখে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য! বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছেই না। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পর এবার দেশের প্রধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন মন্ত্ৰী অখিল গিরি। রামনগরের সভা থেকে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।” স্বভাবতই মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ফলে এই নিয়ে ক্ষমাও চাইতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    প্রধানমন্ত্রীর নামে অশালীন মন্তব্য অখিল গিরির

    গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আরএসএ ময়দানের মাঠে বিজেপির পালটা সভা করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি ও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে ছিল, ভালোবাসার দিবস, ছেলে-মেয়েরা প্রেম করে। গোলাপ ফুল দেওয়া-নেওয়া হয়। একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ ফুল দিয়ে ভালোবাসে। প্রধানমন্ত্রী গরুকে আঁকড়ে ভালোবাসা করতে গিয়েছিলেন। গরু গুঁতিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। পুরো পড়ে গিয়েছে। ভাগ্য ভালো ষাঁড়টাকে ধরেনি। না হলে গুঁতিয়ে দিত পেটে লেগে যেত…। গরু যদি নরেন্দ্র মোদিকে গুঁতিয়ে দেয় তাহলে আমি কি করব!” মন্ত্রী আরও বলেন, “১৪ তারিখ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে নরেন্দ্র মোদি গরুকে আঁকড়ে ধরেছেন, কী সুন্দর! আগামী ২৪-এ গুঁতো খাবে। যাতে উলটে পড়বে প্রধানমন্ত্রী মানুষ পার্লামেন্টের বাইরে পাঠিয়ে দেবে।”

    মন্ত্রী অখিল গিরিকে কড়া ভাষায় জবাব বঙ্গ বিজেপির

    প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতায় সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “একটা মোস্ট থার্ড ক্লাস দল। দুর্নীতি করতে করতে রাজ্যটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওদের কথায় কান দিয়ে আমাদের লাভ কী। ওদের মত আমাদের তো আর অভিনেতা দেখিয়ে লোক ডাকতে হয়নি। বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে তৃণমূলের নেতা- নেত্রীদের। তাই ভুল-ভাল কথা বলছেন।” আবার শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস! শুধু তাই নয়, এটাই তাঁদের সংস্কৃতি, ভাষা বলেও আক্রমণ বিজেপি নেতার। তাঁর মতে, তৃণমূলের নেত্রী তিনি নিজে এই ভাষায় কথা বলে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সেটাই প্রকাশ পায় বলে কটাক্ষ। এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এই সব বলে হাততালি কুড়োতে চায় বলে মন্তব্য বিজেপি নেতার। তবে মানুষ এর জবাব দেবে বলে মন্তব্য তাঁর।

  • Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    Nikki Haley: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি, বক্তব্যে ভারতের প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি নিজেই ঘোষণা করলেন যে, রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তিনি। তাঁর কথাতে পরিষ্কার,  ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথে বাধা হয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী হতে তৈরি তিনি। জেতার ব্যাপারে আশাবাদীও তিনি। তিনি নিজের প্রার্থীপদ ঘোষণার পর এই প্রথম কোনও জনসভায় সামনে এলেন। সেখানেও ঘোষণা করলেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    আগামী বছর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য রয়েছে, এমনটাই ঘোষণা করলেন রিপাবলিকান পার্টির নেত্রী নিক্কি হ্যালি। আমেরিকার নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মের আসার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন নিক্কি। তাতেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে নামার কথা জানিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেছেন, “এটা নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের সময়। আর্থিক দায়িত্ব থেকে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং দেশকে আরও মজবুত করা এটাই সময়।”

    অন্যদিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পও আগেই জানিয়েছিলেন যে, তিনি ফের নামবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড়ে। ফলে নিক্কি এই পরিস্থিতিতে নিজেকে ট্রাম্পের থেকে কমবয়সী এবং যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কারণ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ৭৬। নিক্কি হ্যালি ৫১ বছর বয়সী।

    নিজেকে ভারতীয় বলে গর্বিত নিক্কি

    সেই ভিডিও বার্তায় নিক্কি আরও বলেছেন যে, “আমি ভারতীয় অভিবাসীর গর্বিত সন্তান। আমি কালো নই, আমি সাদা নই। আমি আলাদা।” আবার নিজের মায়ের প্রসঙ্গ এনেও নিক্কি বলেছেন, “আমার মা বলতেন, পার্থক্যগুলোতে মনোযোগ দেওয়া তোমার কাজ নয়, মিলগুলিতে মনোযোগ দেওয়া কাজ।”

    নিক্কির পরিচয় ও রাজনৈতিক জীবন

    তাঁর পুরো নাম, নিম্রতা নিক্কি রণধাওয়া। ১৯৭২ সালে জন্ম। বাবার নাম রণজিত সিং রণধাওয়া, মায়ের নাম রাজ কউর রণধাওয়া। ষাটের দশকে তাঁরা পাঞ্জাব থেকে কানাডা হয়ে আমেরিকায় চলে গিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে মাইকেল হ্যালিকে বিবাহ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অভিবাসী ভারতীয় দম্পতির গর্বিত সন্তান।’

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় দক্ষিণ ক্যারোলাইনার গভর্নরের দুবার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও সামলেছেন ৫১ বছরের নিক্কি হ্যালি। রিপাবলিকান দলে ট্রাম্পের ঘোর সমালোচক হিসেবেই নিক্কি বেশি পরিচিত বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে ৩৯ বছর বয়সে গর্ভনর হয়েছিলেন নিক্কি হ্যালি। যা আমেরিকায় সবচেয়ে কমবয়সে গভর্নর হওয়ার নজির গড়েছিলেন তিনি। দক্ষিণ ক্যারোলাইনার প্রথম মহিলা গভর্নরও ইনি।

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মূল পর্বে পৌঁছনোর আগে নিক্কি হ্যালিকে জিততে হবে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি। সেটা হবে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ২০২৪ সালের নভেম্বরে। ফলে এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন নিকি হ্যালি। আগামী মাস থেকে প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে জেতার ব্যাপারেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

  • Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    Benefits of Moringa: ‘পুষ্টির পাওয়ার হাউস’ সজনে পাতা-ফুল-ডাঁটা, জানুন বসন্তের দিনে কেন খাবেন এটি…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানানোর সময় এসেছে। এই বিদায়বেলায় ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই আবহাওয়ায় সাধারণত বিভিন্ন রোগের ভয় থাকে। মরশুম বদলের এই সময় সাবধান থাকাটা সকলের জন্যই আবশ্যিক। এই সময়ে যে রোগটি বেশি দেখা যায় সেটি হল চিকেন পক্স বা বসন্ত রোগ। ফলে চিকেন পক্স থেকে বাঁচতে আপনি খেতে পারেন সজনে ফুল। সজনে ফুল এই বসন্তে ভীষণ উপকারি। এই ফুল বসন্ত- প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বসন্তে মরশুম বদলের সময় সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই সব কিছু থেকেও রক্ষা পেতে সজনে ফুল উপকারি।

    সজনে কেন উপকারি?

    সজনে পাতা, সজনে ডাঁটা, সজনে ফুল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। মোরিঙ্গা বা সজনে পাতা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এতে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। প্রধানত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ভিটামিন এ, ডি, সি সমৃদ্ধ সজনে পাতা, ফুল ও ডাঁটা। সজনে নিয়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি প্রকৃতপক্ষে পুষ্টির পাওয়ার হাউস।

    এতে কী কী গুণ রয়েছে?

    সহজে ঠান্ডা লাগবে না- এই মরশুমে সর্দি,কাশির থেকে দূরে থাকতে সজনে ফুল উপকারি।

    বাতের ব্যথায় উপকারি- সজনে ডাঁটা বা ফলে প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড আছে। বাতের রোগীদের পক্ষে দারুণ উপকারি। সজনের ডাঁটা থেকে বাতের তেল তৈরি হয়। যা বাত রোগীদের পক্ষে দারুন কার্যকরী।

    শক্তি বৃদ্ধি করে- শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ক্লান্তি ও অবসাদ থেকে মুক্তি দেয় সজনে পাতা। প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা শরীরের দুর্বলতা ও তন্দ্রা কমাতে সাহায্য করে।

    ডায়াবেটিসের জন্য ভালো– এই পাতায় শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে। এছাড়াও এটি কোলেস্টেরল, লিপিড এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রাও কমাতে পারে যা মানবদেহে ডায়াবেটিসের বিকাশে অবদান রাখতে পারে।

    স্বাস্থ্যকর চোখ- সজনে পাতা ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা সুস্থ চোখ, পরিষ্কার দৃষ্টিশক্তি এবং চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

    হার্টকে সুরক্ষিত রাখে- হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করতে ও কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে সজনে পাতা।

    লিভারকে সুস্থ রাখে- এই পাতায় পলিফেনলের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা লিভারকে যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

  • Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! শুভেন্দুর মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখনই কোনও ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির প্রক্রিয়ায় ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটের দিনক্ষণ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অনগ্রসর শ্রেণীর আসন পুনর্বিন্যাস এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে করা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিল আদালত।

    মামলাটি কী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত বছরের শেষ দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এবং আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে। মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। মামলাতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। এর পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। এরপরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হোক। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আসন পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়ে মামলা করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটমুখী বাজেট, কিন্তু কাঁচা কাজ হয়েছে’, রাজ্যের বাজেট নিয়ে তুমুল সমালোচনায় শুভেন্দু অধিকারী

    অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এরপরেই এই মামলার শুনানি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই সময় আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। কিন্তু ৯ জানুয়ারির পরিবর্তে আজ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়। আর এদিনই বেঞ্চ ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতাও জারি থাকল।

  • Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    Male Contraceptive Pill: এবার আসছে পুরুষদের কনট্রাসেপটিভ পিল! সাময়িক বন্ধ শুক্রাণু নির্গমন, নেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম্ভবকে সম্ভব করে তাক লাগানো এক আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এযেন যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের! এবারে তৈরি করা হল পুরুষের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল। সাধারণত মহিলাদের জন্যই এই গর্ভনিরোধক পিল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার থেকে বাজারে মিলবে পুরুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলও। বিজ্ঞানীদের মতে, এই আবিষ্কার একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে গোটা বিশ্বে।

    পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল

    নেচার কমিউনিকেশন জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা ও গবেষণা চালানো হয় এই বিষয়ের উপর, যে কীভাবে পুরুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না করে গর্ভনিরোধক পিল তৈরি করা যায়। অবশেষে সেই লক্ষ্য পূরণ হতে চলেছে। এই পিলের ফলে তাঁর সঙ্গীর গর্ভাবস্থা প্রতিরোধ করতে সফলভাবে সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে এই পিল বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল মডেলের উপরে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল ভালো আসায় পরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

    পুরুষদের জন্য এই সুখবরটি গতকাল বা ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতদিন শারীরিক সম্পর্কে নিরাপদ থাকতে পুরুষরা ব্যবহার করতেন কন্ডোম নয়ত ভ্যাসেকটমি। তবে এবার আরও বিকল্প হিসেবে বাজারে আসতে পারে যুগান্তকারী পুরুষ গর্ভনিরোধক পিল। যা গবেষণার বিভিন্ন স্তরে সাফল্য পেয়েছে। এই পিল শুক্রাণু নির্গমন বন্ধ করে দিয়েছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক হল, এই ওষুধের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

    ইঁদুরের উপর পিলের ট্রায়াল

    ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রিসার্চ টিমের অন্যতম লিডার ডঃ জোচেন বাক এবং ডাঃ লনি লেভিন দাবি করেছেন, এই আবিষ্কার যুগান্তকারী প্রমাণিত হবে ভবিষ্যতে। ২০০০ বছরেরও বেশ সময় ধরে পুরুষরা ব্যবহার করে আসছেন ভ্যাসেকটমি পদ্ধতি ও কন্ডোম। কিন্তু এই পিল পুরুষদের জন্য শুরু হয়ে গেলে এটি একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ পিলের ব্যবহার পুরুষের স্বাস্থ্য ক্ষতি না করে, সঙ্গীর গর্ভধারণ রোধ করতে পারে বলে গবেষকদের দাবি।  

    সূত্রের খবর, বিজ্ঞানীদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না এমন কোনও পিল বানানোর, কিন্তু হঠাৎই তাঁরা একদিন অ্যাডেনাইলাইল সাইক্লেস (sAC) নামক এনজাইম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ও এর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেলুলার সিগন্যালিং প্রোটিন বিচ্ছিন্ন করার জন্য চ্যালেঞ্জ নেন। এটিতে বিজ্ঞানী বাকের দুই বছর লেগেছিল। এর পর তাঁদের তৈরি করা পিলটি ট্রায়ালের সময় ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করা হয়। তখন দেখা যায় এটি শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা রাখে। দু থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত শুক্রাণু নিষ্ক্রিয় থাকে। আবার নির্দিষ্ট সময়ের পর তা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ডক্টর মেলানির মতে, গর্ভনিরোধকটি গ্রহণের ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে। ফলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এটি একবার বাজারে শুরু হলে পুরুষদের জন্য দারুণ সুখবর হবে।

  • Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    Recruitment Scam: এখনও চাকরি যায়নি ৬১৮ জন শিক্ষকের, সংশয় দূর করে সাফ জানাল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় শিক্ষকদের সংশয় অবশেষে দূর করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে কমিশনের দাবি, এখনও ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বহালই আছে। এদিন আদালতে এসএসসির দাবি, এই ব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক করা হবে। ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে এই শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল এসএসসি। আর এই নিয়েই অভিযোগ করে এই ৬১৮ জন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, যে বিষয়ের উপর স্থগিতাদেশ রয়েছে, সেখানে কী ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। আর আজ সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে কমিশন জানাল যে, তাঁদের চাকরি এখনও যায়নি। তাঁদের সুপারিশপত্র এখনই বাতিল হয়নি, কেবল সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এ ব্যাপারে এসএসসিকেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন তিনি। আদালতে বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বক্তব্য শোনে। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও রায়দান স্থগিত রাখেন। এর পর সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি।

    আরও পড়ুন:‘ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করছি না…’, ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি নিয়েই অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকদের

    বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন কী ভাবে এসএসসি প্রথম দফায় ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্রের সুপারিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল সেই বিষয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই শিক্ষকদের একাংশ। দাখিল করা হয়েছিল অতিরিক্ত হলফনামাও।

    এরপরেই আজ আদালতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সমস্ত সংশয় দূর করে জানিয়ে দেয় যে, তাঁদের চাকরি থেকে এখনই বরখাস্ত করা হচ্ছে না, কারণ এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে। তাই এদিন কমিশন জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল হয়ে যায়নি। সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে এখনই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করতে পারবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূল নেতা! হুমকি দিয়ে পোস্টার বাঁকুড়ায়

    Recruitment Scam: চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূল নেতা! হুমকি দিয়ে পোস্টার বাঁকুড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে যেমন দুর্নীতির সাহায্যে নিজে চাকরি পেয়েছেন, তেমনি অন্যকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকাও! এমনই অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা আদেশ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পাতালখুরি গ্রামে পড়েছে পোস্টার। সেই পোস্টারে আদেশ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করে লেখা হয়েছে চাকরি দেওয়ার নাম করে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। চাকরির আর দরকার নেই। দেওয়া টাকা অবিলম্বে ফেরৎ না দিলে মুখ খোলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই পোস্টারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

    আদেশেরও চাকরি হয়েছিল টাকা দিয়েই!

    সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার বিকনা ক্ষীরোদপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন আদেশ। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের নেতা আদেশ চট্টোপাধ্যায় নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে নিজে ‘গ্রুপ ডি’র চাকরি পেয়েছিলেন ও ও নিজের ভাই উত্তম চট্টোপাধ্যায়কেও চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি দুজনেই চাকরিও হারিয়েছেন। অভিযোগ ছিল, অন্যদের থেকেও টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর এবারে তাঁর নামে পোস্টার পরায় সেটাও প্রমাণ হয়ে গেল।

    উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে, এসএসসি-র গ্রুপ ডি পদ থেকে যে ১৯১১ জনের চাকরি গেছে। তার মধ্যে ছিলেন বাঁকুড়ার পাতালখুরি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি আদেশ চ্যাটার্জি ও তাঁর ভাই উত্তম। ২০১৬-র গ্রুপ ডি নিয়োগের মেধা তালিকায়, চার নম্বরে নাম ছিল আদেশের। কিন্তু তাঁর পরীক্ষার ওএমআর  শিটে দেখা যাচ্ছে, একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি চাকরি হারিয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিখোঁজ আদেশ ও তাঁর ভাই।

    তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে পোস্টার

    বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা আদেশ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে লালকালিতে লেখা পোস্টারে রীতিমত হুমকির সুর। সেটি দেখে এটিই প্রমাণিত হল যে, তিনি চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন। সেখানে লেখা, “চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে আদেশ চট্টোপাধ্যায়। চুরি করা চাকরি চাই না। টাকা ফেরত না হলে মুখ খুলতে বাধ্য হব।” তবে, এটি কে বা কারা দিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। নিচে কারও নামও উল্লেখ নেই। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার অন্য এক ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কারা দিল জানি না। পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “পোস্টার গ্রামে পড়েছে এবার তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পড়বে। যারা তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েছিল চাকরির জন্য তারা ফেরত চাইছে তারাই এই পোস্টার দিচ্ছে। ক্রমশ তা প্রকাশ্যে আসবে।”

     

  • Recruitment Scam: ফের অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! লুক আউট নোটিশ জারি ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে

    Recruitment Scam: ফের অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! লুক আউট নোটিশ জারি ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে জেলে। অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারির প্রক্রিয়া শুরু করল এনফ‌োর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম লুকআউট সার্কুলার নোটিশ জারি করা হল বলে খবর। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে যাতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য এই লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এয়ারপোর্ট অথরিটি, স্থল ও জলবন্দরের কর্তাদেরকেও পাঠানো হয়েছে মানিকপুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের নথি। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই নোটিশের প্রতিলিপি।

    কেন লুক আউট নোটিশ জারি?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমেই নাম উঠে আসে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের। তাঁকে আদালত তলবও করেছিল। তিনি আদালতে হাজিরা দেন। এরপর তদন্তের প্রয়োজনে তলব করা হলে বেশ কয়েকবার ইডির ডাক উপেক্ষা করে গরহাজির হয়েছেন মানিক-পুত্র। এর আগেও ইডির তরফে জানানো হয়েছিল সৌভিকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবারে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল ইডি। কোনওমতেই যাতে রাজ্য বা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে তার জন্য এই লুক আউটের নোটিশ জারি করল ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক-পুত্র সৌভিকের নাম

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম থেকেই নাম উঠে এসেছে মানিক-পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের। কারণ ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সৌভিকের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে। এছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ৭ ডিসেম্বর মানিকের বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি, সেই ১৬০ পাতার চার্জশিটের মানিক ছাড়াও আরও ৫ জনের নাম ছিল। এর মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ছাড়াও চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল ২টি সংস্থার নাম। আাবার সেই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, সৌভিক ভট্টাচার্য বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজে ট্রেনিং-এর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে নিতেন। এভাবে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, কোনও রকমের পরিষেবা দেওয়া হয়নি। ফলে এই সব বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই সৌভিককে জিজ্ঞসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। আবার আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন সৌভিক ভট্টাচার্য। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে। ফলে কেন, কীভাবে তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা এল, এ সব বিষয়েই তদন্ত করতে তাঁকে জেরা করা প্রয়োজনীয়।  

  • Allahabad: মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, সাফ জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট

    Allahabad: মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, সাফ জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র পুরুষ নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মত অপরাধে মামলা দায়ের করা যেতে পারে, এমনটাই জানাল এলাহবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের বেঞ্চ সোমবার একটি মামলায় এই রায় দিয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির আইন পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি যাদব জানিয়েছেন, একজন মহিলা কখনও ধর্ষণ করতে পারে না অন্য মহিলাকে। কিন্তু সেই মহিলা যদি গণধর্ষকদের কাজকে প্রশ্রয় দেয়, তবে সে-ও সমান অপরাধে অভিযুক্ত হবে, গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হতে পারে তার বিরুদ্ধেও।

    মামলাটি কী?

    সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের একটি এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। অভিযোগ, ১৫ বছরের এক মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তার বয়ান রেকর্ড করার পরে পুলিশ জানতে পারে, গোটা ঘটনায় এক মহিলাও জড়িত ছিল। তবে ঘটনার চার্জশিটে ওই মহিলার নাম ছিল না। তা সত্ত্বেও ৩৭৬ ডি ধারায় (ধর্ষণ-সহ যৌন অপরাধ) মামলার শুনানিতে ওই মহিলাকে তলব করা হয়।

    এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ওই মহিলা সুনীতা পাণ্ডের আইনজীবী সওয়াল করেন যে, তাঁর মক্কেলকে ভুল করে আদালতে তলব করা হয়েছে গণধর্ষণের মামলায়। তাঁর মক্কেল একজন মহিলা। তাঁর পক্ষে অন্য মহিলাকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়। ফলে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৬ ডি ধারায় কখনওই অভিযোগ আনা যায় না একজন মহিলার বিরুদ্ধে। তিনি আরও দাবি করেন, মহিলার পক্ষে যেহেতু ধর্ষণ করা সম্ভবই নয়, তাই গণধর্ষণের চার্জও আনা যায় না।

    বিচারপতির রায়

    অভিযুক্ত সুনীতার আইনজীবীকে পাল্টা জবাব দিতে সংবিধানের ৩৭৫ এবং ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৩৭৫ ধারায় স্পষ্ট করেই লেখা আছে, ধর্ষণ কেবল পুরুষরা করতে পারে, মহিলারা নয়। তবে ৩৭৬-ডি ধারা বলছে, কোনও মহিলা যদি গণধর্ষণে অভিযুক্তদের সাহায্য করেছে বলে জানা যায়, তবে সে-ও সমান দোষে দোষী। এরপরেই বিচারপতি বলেন, “কোনও মহিলা ধর্ষণ করতে পারেন না। তবে তিনি যদি এক দল লোকের সঙ্গে মিলে এই কাজটি (ধর্ষণ) করতে সহায়তা করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের মামলা হতে পারে।” তিনি রায় দেওয়ার সময়ে ‘ব্যক্তি’ শব্দের উপর জোর তিনি জানান, ব্যক্তি বলতে এ ক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণ ভাবে কেবল পুরুষদের বোঝানো হয়নি। ‘ব্যক্তি’ বলতে কোনও মহিলা বা যে কোনও সংঘবদ্ধ দলও বোঝাতে পারে।

    ফলে সব দিক বিচার করে বিচারপতি রায় দেন, এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলার বিরুদ্ধেও গণধর্ষণের সাজাই দেওয়া হবে, কারণ তিনি একদল ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ষণের কাজে সাহায্য করেছেন।

LinkedIn
Share