Author: নিমাই দে

  • Ratnagiri: মহারাষ্ট্রে জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে খবর করে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন সাংবাদিক, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    Ratnagiri: মহারাষ্ট্রে জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে খবর করে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন সাংবাদিক, গ্রেফতার অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এক সাংবাদিক খুনের অভিযোগ উঠল। ওই সাংবাদিকের নাম শশীকান্ত ওয়ারিশে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি জেলার রাজাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির বিতর্কিত পেট্রো রসায়ন প্রকল্পের বিরুদ্ধে লেখায় ওই সাংবাদিককে গাড়িচাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল এক জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পান্ধারিনাথ আম্বেরকার নামে এক জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, রত্নগিরির পেট্রো রসায়নের অন্দরের খবর এবং এই প্রকল্প নিয়ে সংবাদপত্রে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন এই সাংবাদিক। সেখানে পান্ধারিনাথ সম্পর্কে বেশ কিছু গোপন তথ্য তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্থাৎ সোমবারে খুন হতে হয় সাংবাদিক শশীকান্ত ওয়ারিশেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রত্নগিরির একটি পেট্রোল পাম্পে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই সাংবাদিক। সেই সময় পান্ধারিনাথের একটি গাড়ি এসে শশীকান্ত ওয়ারিশেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কোলাপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মঙ্গলবার চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর পান্ধারিনাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আম্বেরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ এখন এফআইআর-এ ৩০২ ধারাও যুক্ত করেছে। স্থানীয় আদালত তাঁকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। খুনের প্রধান উদ্দেশ্য জানার জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    তদন্তের দাবি সংবাদমাধ্যমের

    জমি মাফিয়ার হাতে শশীকান্তের খুন হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে মারাঠি সাংবাদিক সংগঠন। শশীকান্তের মৃত্যুতে তদন্তের দাবি তুলেছে সংবাদমাধ্যমগুলি। মারাঠি সাংবাদিক সংঘ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিসকে একটি চিঠি দিয়ে সাংবাদিক ওয়ারিশের “জঘন্য হত্যাকাণ্ড”-এর যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় একটি বিবৃতিতে, মুম্বই প্রেস ক্লাব এই ঘটনাকে ‘নৃশংস হত্যা’ বলে উল্লেখ করেছে ও এই মামলায় রাজ্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপের দাবি করেছে৷ আবার এই ঘটনার পরই মারাঠি সাংবাদিকদের ফেডারেশন অখিল ভারতীয় মারাঠি সাংবাদিক পরিষদের সদস্যরা মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং ওয়ারিশের মৃত্যুর তদন্তের দাবি করেছেন।

  • Baby Shower: তামিলনাড়ুতে গর্ভবতী গাভির সাধভক্ষণ!  সাজানো হয় অলঙ্কারে, দেওয়া হয় ২৪ রকমের খাবার

    Baby Shower: তামিলনাড়ুতে গর্ভবতী গাভির সাধভক্ষণ! সাজানো হয় অলঙ্কারে, দেওয়া হয় ২৪ রকমের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুর সাধ! কথাটা শুনতে অনেকটা আশ্চর্যকর হলেও এটিই সত্যি। আমাদের দেশে গরুকে মাতা বা কন্যা হিসেবে পুজো করা হয়। তবে এবারের ঘটনাটি একেবারেই অন্যরকম। যে ভাবে এক জন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেই মতই ধুমধাম করে করা হয় এক গাভির সাধ অনুষ্ঠান। এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলাযর। সেখানে একটি গর্ভবতী গাভির জন্য সাধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রীতিমত বিভিন্ন পদের খাবার রান্না করে, গরুটিকে অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তাঁর সাধের অনুষ্ঠান ধুমধাম করে করা হয়।

    তামিলনাড়ুর এক গ্রামে গাভির সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান

    গর্ভবতী নারীকে সাধভক্ষণের রেওয়াজ আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই প্রচলিত। অনেক জায়গায় এটিকে ‘গোধ ভরাইও’ বলা হয়। মূলত নারীরাই নারীদের জন্য এই প্রথা পালন করেন। আর সেই রাজ্যের কাল্লাকুরিচি জেলার শঙ্করাপুরম গ্রামে আমশাভেনি নামে একটি গাভীকে কন্যা মনে করেই সাধ খাওয়ালেন গ্রামবাসীরা। এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ জন মহিলা এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, শঙ্করাপুরমের কাছে মেলাপাট্টু গ্রামে আরুলথারুম থিরুপুরসুন্দারিয়াম্মাই মন্দির ট্রাস্টের ট্রাস্টিরাই আমশাভেনিকে বড় করছিলেন ও তার যত্ন করেছেন।

    আরও পড়ুন: আজ সংকষ্টী চতুর্থী, এই ব্রতপালনে কী কী ফল মেলে জানেন?

    আমশাভেনিকে দেওয়া হয় ২৪ রকমের খাবার ও উপহার

    প্রথমেই গাভিটিকে স্নান করিয়ে নানা অলঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয়। তাকে ফুলের মালা, ঘণ্টা দিয়ে সাজানো হয়। প্রায় ৫০০ মহিলা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। গরুর সাধভক্ষণ বলে নিয়ম-কানুন পালনে কোনও ত্রুটি ছিল না। রীতিমত ২৪ পদ রান্না করে আমেশাভেনির সামনে রাখা হয়। ৪৮ রকমের জিনিস উপহার হিসাবে দেওয়া হয় গাভিটিকে, যার মধ্যে ছিল চুড়িও। ঠিক একজন নারীর সাধভক্ষণে যা যা করা হয়, যা যা দেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও তাই-ই অক্ষরে অক্ষরে মানা হয়েছিল।

    এই ভাবে জাঁকজমক করে গাভির সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান কখনও কেউ দেখেনি বলেই দাবি গ্রামবাসীর। ফলে এর সাধভক্ষণের অনুষ্ঠান নিয়ে তুমুল উদ্দীপনা চোখে পড়ে। অভিনব এই ঘটনা দেখতে ভিড় করেন অনেকেই। অনেকে আসেন আশীর্বাদ নিতে। তাঁরা গরুটির স্বাস্থ্য কামনায় ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন, গ্রামের সমৃদ্ধিও কামনা করেন।

  • Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    Calcutta High Court: কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! বিচারপতির নির্দেশে হাইকোর্টেই ইডির হাতে গ্রেফতার হাওড়ার দুই ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা। এজলাস থেকেই গ্রেফতার করা হল হাওড়ার দুই অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে। গত বছর অক্টোবর মাসে হাওড়ার দুই ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাট, অফিস, গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ টাকা। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি ইডিকে নির্দেশ দেন, ওই দুই ব্যবসায়ী শৈলেশ পান্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাসকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করতে হবে। হাওড়ার এই দুই ব্যবসায়ীকে জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু আজ তা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে ওই দুই ব্যবসায়ীকে। বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন যে, এই দুই ব্যবসায়ীকে বেলা তিনটের মধ্যে নিম্ন আদালতে পেশ করতে হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত বছর অক্টোবর মাসে শৈলেশ কুমার পান্ডে, প্রসেনজিৎ দাস নামে হাওড়ার শিবপুরের ওই ব্যবসায়ীর গাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৮ কোটি নগদ টাকা। সেই সঙ্গে সোনা, হীরের গয়নাও উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার লেনদেন নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ব্যাঙ্কের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর ওই অ্যাকাউন্টের দুই হোল্ডারকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তাঁদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি দেখেই শুরু হয় তদন্ত। এরপর কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান মেলে। ওই ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ পায় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    এখানেই থেমে নেই, পরের তদন্তে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর পর মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিলেন পান্ডে ব্রাদার্স অর্থাৎ শৈলেশ পান্ডে, তাঁর দাদা অরবিন্দ পান্ডে ও ভাই রোহিত পান্ডে ও প্রসেনজিৎ দাস। তবে পরে তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এর ফলেই ইডি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।

    বিচারপতির নির্দেশ

    দীর্ঘ শুনানির পর আজ, বৃহস্পতিবার ওই মামলায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তদের আদালত থেকেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই মত হাইকোর্ট থেকেই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ইডি। আবার বিচারপতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে অভিযুক্তদের নিম্ন আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Metro: চলতি বছরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো! চালু হবে আরও পাঁচটি নতুন রুট

    Kolkata Metro: চলতি বছরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো! চালু হবে আরও পাঁচটি নতুন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে কলকাতাবাসী জন্য আসছে আরও সুখবর। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই একাধিক মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। সম্প্রতি বাজেটে বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়েছে কলকাতার মেট্রো প্রকল্পের জন্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রোর জন্য ৩২২০.২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত বছরের বাজেট প্রস্তাবের তুলনায় ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হাওড়া ময়দানের সঙ্গে এসপ্ল্যানেড যুক্ত হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু এই একটি কাজই নয়, চলতি বছরে পাঁচটি বড় মেট্রো প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। কোন কোন মেট্রো শুরু হতে চলেছে দেখে নিন।

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বিমানবন্দর

    রাজারহাট মেট্রো প্রকল্প (কমলা লাইন) হয়ে নিউ গড়িয়ার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন বা রুবি ও নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথ ইতিমধ্যেই রেলওয়ে সেফটি কমিশনার পরীক্ষা করেছেন। খুব শীঘ্রই এই মেট্রো শুরু হতে চলেছে।

    নোয়াপাড়া-বারাসাত

    নোয়াপাড়া-বারাসত রুটেও নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা অক্টোবর মাসেই চালু করা যাবে বলে আশাবাদী কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে উত্তর শহরতলি মানুষদের কলকাতায় আসা আরও দ্রুত হয়ে যাবে। কলকাতা শহরের মূল কেন্দ্রে পৌঁছতে এই এলাকার যাত্রীদের বর্তমানে চরম যানজট, অত্যধিক সময়, এবং অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

    আরও পড়ুন: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে সেক্টর ২

    চলতি বছরের অক্টোবরেই সল্টলেক সেক্টর ২ থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরতরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।

    শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান

    বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ-হাওড়া ময়দান মেট্রো পরিষেবাও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এই রুট চালু হয়ে গেলে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এটিই দেশে প্রথম নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চলবে। শহরতলী থেকে আসা যাত্রীরা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ বা সল্টলেকের মত জায়গায় দ্রুত এবং খুব সহজেই পৌঁছতে পারবেন।

    জোকা থেকে মাঝেরহাট

    কিছুদিন আগেই জোকা-তারাতলা রুটের মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। ওই রুটের কাজ তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ হয়ে যাবে অক্টোবরের মাসের মধ্যেই।

  • Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Manik Bhattacharya: মিলল না জামিন, মানিকের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিনের আবেদন খারিজ। আরও ৩৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিককে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এদিন তিনি তাঁর জামিনের জন্য ফের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনও কিছুই কাজে দিল না। শেষপর্যন্ত আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। ১৪ মার্চের পরেই মানিক মামলার আবার শুনানি হবে আদালতে।

    জেলে বন্দি থাকায় আপত্তি মানিকের

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য জেলবন্দি। ফলে তাঁকে জেলে আটকে রাখা নিয়ে আজ আদালতে আপত্তি করেছেন তিনি। তিনি গতকালও বলেছিলেন, “আমি আর কত জ্বলব? আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ আনা হচ্ছে যার প্রমাণ আমি বাড়িতে থাকলে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো বন্দি!” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত। ইডির আইনজীবী গতকাল সওয়াল করেননি। তবে আজ, বুধবার বেলা ১১টার সময়ে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ ইডি আদালতে ফিরোজ এডুলজি মানিকের জামিনের বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। বুধবারও ব্যাঙ্কশাল আদালতে মানিকের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই তাঁর হয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে তা শোনেনি আদালত।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    ইডির বিস্ফোরক দাবি

    অন্যদিকে আজ ইডির আইনজীবী আদালতে কুন্তল ও মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতে জানান, পরীক্ষার ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র ব্যবহার করে বিশেষ ‘গুপ্ত সঙ্কেত’ পাঠানো হত দুর্নীতির জন্য। এর সঙ্গে হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষও যুক্ত ছিলেন। তবে, এসব সমস্ত কিছুই মানিকের নজরদারিতেই হত। ফলে এই সব দাবি করে ইডির আইনজীবী মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন। আর আদালতও আজ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মানিকের আবেদন খারিজ করে দেয় ও আর ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi Jacket: প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি জ্যাকেট পরে সংসদে হাজির প্রধানমন্ত্রী

    Narendra Modi Jacket: প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি জ্যাকেট পরে সংসদে হাজির প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোশাক নিয়ে সবসময়ই চর্চা করতে দেখা যায় দেশবাসীদের। তাঁর কোনও কোনও পোশাক তাক লাগিয়ে দেয় বিশ্ববাসীর। আজও ফের পোশাকের জন্য নজর কাড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে আকাশি নীল রংয়ের জ্যাকেট পরে দেখা গেল তাঁকে। তবে জানেন কি এই জ্যাকেট সাধারণ কোনও জ্যাকেট নয়! কারণ এই জ্যাকেট কাপড়ের নয়, প্লাস্টিক বোতলের তৈরি। প্রধানমন্ত্রীর এই জ্যাকেটের বিশেষত্বই হল, সেটি কাপড়ের তৈরি নয়, বরং ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলের রিসাইকেল ঘটিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আর এই নিয়েই এখন হইহই পড়ে গিয়েছে দেশে।

    মোদির পরনে প্লাস্টিকের বোতলের জ্যাকেট

    গত সোমবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ইন্ডিয়ান অয়েল-এর তরফে তাঁকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা একটি জ্যাকেট উপহার দেওয়া হয়। আর আজ, বুধবার লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তাঁর পরনে দেখা যায় এক বিশেষ ধরণের জ্যাকেট। পরিবেশ রক্ষার লড়াই করতে হবে সকলকে। এই বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদি আগেই দিয়েছিলেন। আর এবার তিনি আবার সেই বার্তাই দিলেন, তবে অন্যভাবে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    ‘আনবটলড ইনিশিয়েটিভ’

    ইন্ডিয়া অয়েল কর্পোরেশন তাদের পেট্রোল পাম্প এবং এলপিজি এজেন্সি-র কর্মীদের জন্য এই পোশাক তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করে পোশাক তৈরির এই উদ্যোগকে বলা হচ্ছে, ‘আনবটলড ইনিশিয়েটিভ’। ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি প্রেস রিলিজ অনুসারে, তেল কোম্পানির ফ্রন্টলাইন কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম প্রস্তুত করতে ২০ মিলিয়ন বাতিল পিইটি বোতল পুনর্ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষ ইন্ডিয়ান অয়েল ফুয়েল স্টেশন অ্যাটেনডেন্ট এবং ইন্ডেন এলপিজি গ্যাস ডেলিভারি কর্মীদের জন্য ইউনিফর্ম ডিজাইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

    এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, একটি ইউনিফর্ম তৈরি করতে মোট ২৮টি প্লাস্টিকের বোতল রিসাইকেল করা হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল প্রতি বছর ১০০ মিলিয়ন প্লাস্টিক বোতল রিসাইকেল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের এহেন উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সবুজের বৃদ্ধি এবং শক্তি পরিবর্তনে দেশের এই প্রচেষ্টা আমাদের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। আমাদের মূল্যবোধেই রয়েছে, রিডিউস, রিইউস এবং রিসাইকেল-এর মন্ত্র।”

    প্রসঙ্গত, পরিবেশ রক্ষার জন্যে ভারতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন’ চালু করা হয়েছে। বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯,৭০০ কোটি টাকা। যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে কার্বন নিঃসরণে লাগাম টানবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Border Gavaskar: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    Border Gavaskar: বর্ডার গাভাসকার সিরিজে নজির গড়তে পারেন কোহলি-পুজারা, ভেঙে যেতে পারে সচিন- দ্রাবিড়-কুম্বলেদের রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বর্ডার গাভাসকর টেস্ট সিরিজ। ৪ ম্যাচের এই সিরিজ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই সিরিজের মাধ্যমেই গড়তে পারে একের পর এক রেকর্ড। ৪ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজে মাইলস্টোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভারতের দুই তারকা রয়েছেন তাঁরা হলেন ব্যাটার বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পুজারা। তাঁদেরই এই ম্যাচে বেশি সংখ্যক রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও রেকর্ড গড়ার তালিকায় পিছিয়ে নেই। এই তালিকায় রয়েছেন স্টিভ স্মিথ ও লিয়নের মত ক্রিকেটাররা।

    বিরাটের নজির গড়ার সুযোগ

    আন্তর্জাতিক স্তরে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ২৫ হাজার রান পূর্ণ করার এক রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে এই ম্যাচে। তার জন্য বিরাটের দরকার মাত্র ৬৪ রান।

    আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। তার জন্য দরকার ১৫৩ রান। তা হলে দেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে চার হাজার রান পূর্ণ হবে বিরাটের। এখনও পর্যন্ত ভারতে ৪৬টি টেস্ট খেলে কোহলির সংগ্রহ ৩৮৪৭ রান।

    বর্ডার গাভাসকার সিরিজে কোহলি সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এখনও পর্যন্ত ৩৬টি ইনিংসে ১৬৮২ রান করেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও নিজের অবস্থান উন্নত করার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে সবথেকে বেশি রান স্কোরারের তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর (৩২৬২)।  বাকি পাঁচ জন ব্যাটার হলেন রিকি পন্টিং (২৫৫৫), ভিভিএস লক্ষ্ণণ (২৪৩৪), রাহুল দ্রাবিড় (২১৪৩), মাইকেল ক্লার্ক (২০৪৯) এবং চেতেশ্বর পুজারা (১৮৯৩)। ফলে বর্ডার গাভাসকর সিরিজে ২০০০ রানের ক্লাবে প্রবেশের খুব কাছে রয়েছেন বিরাট কোহলি। কোহলি করেছেন ১৬৮২ রান।

    নজির গড়তে পারেন পুজারাও

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে টেস্টে দু’হাজার রান পূর্ণ করার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। এখনও পর্যন্ত ২০টি ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৮৯৩ রান।

    আরও পড়ুন: নাগপুরে ঘূর্ণি উইকেটই চান দ্রাবিড়! কাল থেকেই শুরু ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট

    অন্যান্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের রেকর্ড গড়ার সুযোগ

    নজির গড়তে পারেন অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। একটি উইকেট পেলেই তিনি হবেন ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দ্রুততম ৪৫০টি টেস্ট উইকেটের মালিক। বর্ডার গাভাসকার সিরিজে অনিল কুম্বলের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও ভাঙতে পারেন অশ্বিন। এই সিরিজে কুম্বলের উইকেট সংখ্যা ১১১টি। অশ্বিনের এখনও পর্যন্ত সংগ্রহ ৮৯টি উইকেট।

    মাইল ফলক ছুঁতে পারেন রবীন্দ্র জাডেজাও। এখনও পর্যন্ত ৬০টি টেস্টে জাডেজা পেয়েছেন ২৪২টি উইকেট। টেস্টে ২৫০ উইকেটে মাইল ফলক স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সামনে।

    রেকর্ড গড়ার সামনে রয়েছেন বাংলার জোরে বোলার মহম্মদ শামিও। মাত্র একটি উইকেট পেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০০ উইকেট হবে শামির।

    অস্ট্রেলিয়ার একাধিক ক্রিকেটারও গড়তে পারেন নজির

    রেকর্ড গড়ার প্রথমেই রয়েছেন স্টিভ স্মিথ। তাঁর দরকার ৩৫৩ রান। তা হলেই টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ন’হাজার রান পূর্ণ করার রেকর্ড গড়বেন তিনি।

    বর্ডার গাভাসকার সিরিজে সব থেকে বেশি শতরানের মালিক হওয়ারও সুযোগ রয়েছে স্মিথের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক দু’দেশের টেস্টে করেছেন আটটি শতরান। তাঁর সামনে শুধু সচিনের ন’টি শতরান।

    রেকর্ড গড়তে পারেন অস্ট্রেলিয়ার নাথান লিয়নও। আর ছ’টি উইকেট পেলেই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন লিয়ন। অশ্বিনের মত বর্ডার গাভাসকার সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনেও। বরং অশ্বিনের থেকেও সুবিধাজনক জায়গায় আছেন অসি স্পিনার। কুম্বলকে ছাড়িয়ে যেতে তাঁর দরকার মাত্র ১৮টি উইকেট।

  • Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    Vande Bharat: আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে, শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে হাওড়া-জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই গতি বাড়তে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। এই মুহূর্তে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় আরও ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে। সেই কারণেই পরিকাঠামো ও রেলপথ সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার ড. জয়দীপ গুপ্তা। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতি বৃদ্ধি

    মঙ্গলবার মালদহ টাউন স্টেশন পরিদর্শনে আসেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার জয়দীপ গুপ্তা। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বর্তমানে ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। এই গতি বাড়িয়ে অন্তত ১৩০ কিলোমিটার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য রেলের মালদহ ডিভিশনে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাস তিনেকের মধ্যেই আরও বেশি গতিতে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের বিভিন্ন বিভাগ, ট্র্যাক, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ইত্যাদি নিজে পরিদর্শন করেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়দীপ গুপ্তা।

    গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মালদায় ডিভিশনের পদস্থ ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য রেল ট্র্যাক একেবারেই নিরাপদ। আমরা মালদহে সেই পরিকাঠামোও দেখেছি। খুব শীঘ্রই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চালানো হবে। বর্তমানে ১১০-এ চলছে। ধীরে ধীরে গতি বাড়িয়ে ১৬০ পর্যন্ত করা যাবে।”

    আরও পড়ুন: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    বন্দে ভারতের গতি বৃদ্ধি পেলে হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গ পৌঁছনোর সময় কমে যাবে। দ্রুত গতির এই ট্রেন হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে সঠিক সময়েই চলাচল করছে বলে জানিয়েছে রেল এবং তাতে খুশি রেলযাত্রীরাও। উল্লেখ্য, রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ছুটতে পারে। তবে তার জন্য রেলের রেক, বৈদ্যুতিকরণ, সিগন্যাল, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশকিছু অগ্রগতির প্রয়োজন রয়েছে। এজন্যই পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    Malda: মালদায় উদ্ধার ‘সোনার দুর্গা’ ঘিরে চলছে পুজো-অর্চনা, মূর্তি প্রশাসনকে দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে সোনার দুর্গা মূর্তি উদ্ধার হল মালদার মানিকচক থেকে। চাষের জমি থেকে পাওয়া ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ নিয়ে হুলস্থুল মালদহের মানিকচকের চৌকি মীরদাদপুরের রাজনগরের দামোদরপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। কুড়িয়ে পাওয়া মূর্তি নিয়ে চলছে পুজো-অর্চনা। ওই মূর্তি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অগণিত ভক্ত। বসে গিয়েছে মেলাও। এই মূর্তি উদ্ধারের খবর পুলিশে দেওয়া হলে জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে মূর্তি তুলে দিতে সাফ না করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ফলে খালি হাতেই ফিরতে হল তাঁদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল মালদায়?

    সূত্রের খবর, মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত কালিন্দ্রি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশু ঘোষ। তাঁর জমিতে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি মূর্তি খুঁজে পান তিনি। তাতে তিনি বেশ অবাক হয়ে যান। আর আশেপাশের লোকজনকে মূর্তির কথা বললে ভিড় জড়ো হয়। তাঁরা মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করেন। স্থানীয়রা অনেকেই এটাকে সোনার দুর্গা মূর্তি হিসাবে চিহ্নিত করেন। তবে প্রশাসনিকভাবে সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। ‘সোনার দুর্গা মূর্তি’ উদ্ধারের পর থেকেই গ্রামের মানুষ পূজো অর্চনায় মেতে উঠেছেন। ততক্ষণে মানিকচক থানার পুলিশ এসে যায় ঘটনাস্থলে। আর তদন্ত শুরু করে।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ, কলকাতায় পতাকা বিড়ির কারখানা, অফিসে আয়কর হানা, চলছে তল্লাশি

    ওই মূর্তি সোনার কি না তা পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। মূর্তিটিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু জেলার মহকুমা শাসক লাডেন লেপচার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলের হাতে ওই মূর্তি তুলে দিতে অস্বীকার করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই এলাকা ছাড়েন সরকারি আধিকারিকরা। গ্রামবাসীদের দাবি, মূর্তি নিয়ে যেতে হলে ফিরিয়ে দেওয়ার স্বীকারোক্তি দিতে হবে। এক গ্রামবাসী বলেন, “যদি মূর্তি নিয়েই যেতে হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূর্তি আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে, এই মর্মে লিখিত চাই আমাদের।”

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান

    কীভাবে এই মূর্তি উদ্ধার হল, তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করেছেন যে, সোনার মূর্তি পাচার করতে গিয়েই এখানে পড়ে যায়। কোনও ব্যক্তি একাধিক মূর্তে নিয়ে এখান দিয়ে যাচ্ছিল পাচারের উদ্দেশে। তখন একটি সোনার মূর্তি কোনভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনই বিশদে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মূর্তিটি কোথা থেকে এসেছে তা নিয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। তবে এটি সোনার কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মূর্তিটি নিয়ে যেতে এলেও খালি হাতেই ফিরতে হয় সরকারি আধিকারিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    Kolkata Metro: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাবাসীর জন্য ফের এক সুখবর! চলতি মাসেই কলকাতায় যাতায়াতের পথ আরও মসৃণ হতে চলেছে। ফেব্রুয়ারিতেই শুরু হচ্ছে রুবি-নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবা। চলতি মাসেই পরিষেবা শুরুর জন্য মঙ্গলবার রেলের সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফ থেকে মঙ্গলবারই অনুমতি মিলেছে। তার পরই ওই শাখায় মেট্রো পরিষেবা চালুর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। শীঘ্রই উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    রুবি-কবি সুভাষ মেট্রো

    গত মাসের ৩০ তারিখ কলকাতা মেট্রোর লাইন ৬ (অরেঞ্জ লাইন) এর প্রথম দফার অর্থাৎ কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় বা রুবি পর্যন্ত সেকশনের ইন্সপেকশন করেছিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার সার্কেলের কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি, শ্রী শুভময় মিত্রের নেতৃত্বে এই ইন্সপেকশন সংঘটিত হয়েছিল। কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি মোড়) মেট্রো স্টেশনের মধ্যে মোট ৫ টি স্টেশনকে চালু করা হতে চলেছে। প্রাথমিক দফায় আপাতত এই প্রথম সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রেলপথে কোনো সিগনালিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য জোকা তারাতলা লাইনের মতই “ওয়ান রেক সার্ভিস” চলবে। একটি রেকই যাতায়াত করবে রুবি থেকে কবি সুভাষের মধ্যে। একবার কবি সুভাষ থেকে ছেড়ে রুবি পৌঁছে ফের রুবি থেকে কবি সুভাষ ফিরবে ওই রেকটি।

    রুবি-নিউ গড়িয়ার মধ্যে ৫টি স্টেশন থাকবে। সত্যজিৎ রায় (হাইল্যান্ড পার্ক), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (মুকুন্দপুর) ও কবি সুকান্ত (কালিকাপুর)। আপাতত প্রান্তিক স্টেশনদুটি হল কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। এই শাখায় এখনও ভাড়া ঠিক করা হয়নি।

    নিউ গড়িয়া – রুবি মেট্রো ও দক্ষিণেশ্বর – নিউ গড়িয়া মেট্রোয় সংযুক্ত টোকেন পরিষেবা চালু করা হবে। অর্থাৎ কেউ রুবি থেকে দক্ষিণেশ্বর যেতে চাইলে তাঁকে নিউ গড়িয়ায় নেমে আর টোকেন সংগ্রহ করতে হবে না। রুবি থেকেই পাওয়া যাবে দক্ষিণেশ্বরের টোকেন। একই প্ল্যাটফর্মে ২ দিকে আসবে ২টি ট্রেন।

    রুবি – নিউ গড়িয়া মেট্রো পরিষেবার হাত ধরে এই প্রথম কলকাতা মেট্রোয় ‘ইন্টিগ্রেটড টিকেটিং সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে। এই প্রথম শহরের দু’টি আলাদা মেট্রোপথ একটি স্টেশনের মাধ্যমে কাছাকাছি আসবে। কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ (নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, যাকে ব্লু লাইন বলা হয়) মেট্রো এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো (অরেঞ্জ লাইন) জুড়ে যাবে নিউ গড়িয়া অর্থাৎ কবি সুভাষ স্টেশনের মাধ্যমে। ফলে এতে শহরবাসীর সময় বাঁচবে ও কোনও সমস্যাও হবে না। কলকাতার দক্ষিণের বাসিন্দারা এর ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share