Author: নিমাই দে

  • Russia-America: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান জেট ও মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষ, ‘বেপরোয়া’ বলে তোপ আমেরিকার

    Russia-America: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান জেট ও মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষ, ‘বেপরোয়া’ বলে তোপ আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে রাশিয়ান ফাইটার জেট ও আমেরিকান ড্রোনের সংঘর্ষ (Russia-America)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দেশে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মেয়াদ একবছরের বেশি হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তা থামার নাম নেই। আবার ইউক্রেনকে একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপকূলে কৃষ্ণসাগরের উপরে মাঝ আকাশে আক্রান্ত আমেরিকা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার পর কি আরও তিক্ত হয়ে উঠবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক?

    আমেরিকার কী বক্তব্য?

    সূত্রের খবর, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, কৃষ্ণসাগরের উপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন (মার্কিন স্পাই ড্রোন) চালানো হচ্ছিল। ওই ড্রোনকে ‘ইন্টারসেপ্ট’ করে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। এরপর সকাল ৬ টা ৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী) ড্রোনের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সুখোই যুদ্ধবিমানের ধাক্কা লাগে। আরও দাবি করা হয়েছে, মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে এমকিউ-৯-এর উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান৷ এরপর একটি যুদ্ধবিমান এমকিউ-৯-এর প্রপেলারে ধাক্কা মারে৷ এতে মার্কিন সেনাবাহিনী তড়িঘড়ি ড্রোনটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়৷

    আরও পড়ুন: জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভ, স্লোগান! ইমরানের গ্রেফতারি ঘিরে রণক্ষেত্র লাহোর

    যদিও, এই দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া। তবে এই সংঘর্ষ ঠিক দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত, তা এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না৷ তবে দু’পক্ষই স্বীকার করেছে, রাশিয়ার এয়ারক্রাফ্ট মার্কিন ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ মার্কিন সেনা এই ঘটনাকে রাশিয়ার ‘চরম বেপরোয়া’ বলে নিন্দা করেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাস থেকে তলব করা হয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে।

    রাশিয়ার দাবি

    রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে চলে এসেছিল (Russia-America)৷ ক্রিমিয়ার ওই এলাকার আকাশে কোনও বিমানের ওড়া নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া৷ অথচ সেই জায়গায় অনুপ্রবেশ করেছে মার্কিন নজরদারি ড্রোন এমকিউ-৯৷ তাদের দাবি, মার্কিন ড্রোনটিকে বাধা দিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে৷ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচের দিকে নেমে যাচ্ছিল এবং জলে পড়ে যায়৷

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Recruitment Scam: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    Recruitment Scam: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের (Recruitment Scam) রহস্য ভেদে এবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে দুই তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে যেমন ইডি কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে তলব করেছে, আবার অন্যদিকে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন সুজয় ভদ্র। অন্যদিকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ।

    কুন্তলের স্ত্রীকে তলব ইডির

    ইতিমধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুন্তল ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও দলের মুখপাত্র শশী পাঁজা। এরপরেই স্ত্রীকে তলব ইডির। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আরও বিপাকে পড়ল কুন্তল। কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষের কাছে কুন্তলের সম্পত্তির হিসেব রয়েছে বলে অনুমান ইডির। জয়শ্রীকে জেরা করেই কুন্তল ঘোষের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁর সঙ্গে কয়েকটি নথি আনতেও বলা হয়েছে। তাপস মণ্ডলকে তাঁদের ফ্ল্যাটে থাকতে দিয়েছিলেন কেন?‌ তাপসের সঙ্গে কুন্তলের সম্পর্ক কী তা নিয়েও জানতে চাওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি অফিসে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষ। জয়শ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ইডি অফিসাররা (Recruitment Scam)।

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    নিজাম প্যালেসে ‘কালীঘাটের কাকু’

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবার ‘কালীঘাটের কাকু’কে তলব করেছিল সিবিআই। আর তলব পেয়েই বুধবার সকাল ১১টার কিছু আগেই নিজাম প্যালেসে হাজির হয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। প্রায় আড়াই ঘন্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সুজয়কৃষ্ণ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। শুধু জানিয়েছেন, তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত দুই যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতেন। তবে সবটাই রাজনৈতিক কারণে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ‘কালীঘাটের কাকু’র বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর রেকর্ড করা বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল, শান্তনু, তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতির বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Anubrata Mondal:  দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে হাজিরা এড়ালেন কেষ্ট কন্যা! চিঠি দিলেন ইডিকে, কী জানালেন সুকন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal) সুকন্যা মণ্ডল। ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু সমস্যা ও পূর্ব নির্ধারিত কাজ থাকায় আজ যেতে পারছেন না তিনি। তাঁকে সময় দেওয়া হোক। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত-কন্যাকে ফের তলব করা হবে। গতকাল অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জেরা করার পরেই গ্রেফতার করা হয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কাতেই ইডির তলব এড়িয়ে গেলেন সুকন্যা?

    ইডি দফতরে যাচ্ছেন না সুকন্যা

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার ইডির মুখোমুখি হবেন না সুকন্যা। আইনজীবী মারফত ই-মেল করে আজ দিল্লিতে ইডি অফিসে অনুপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন সুকন্যা। যদিও ঠিক কী কারণে বুধবার হাজিরা দিতে পারবেন না সুকন্যা বা ইমেল-এ ঠিক কী উল্লেখ করেছেন তিনি, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন করলেন না পার্থ-অর্পিতা, জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়াল আদালত

    গরু পাচার মামলায় আজ ইডির দফতরে তলব করা হয়েছিল সুকন্যাকে। ঠিক ছিল, আজ বাবা-মেয়ে অর্থাৎ কেষ্ট-সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। আবার ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছিল, সুকন্যা মণ্ডল, মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), এই তিনজনকেই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এদিকে আপাতত আদালতের নির্দেশে ইডি হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে নিয়মিত জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা।

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি। আজ তাঁকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করবে ইডি। মণীশ কোঠারির গ্রেফতারির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল যে, এবারে কি তবে আজ সুকন্যাকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হবে? কিন্তু আজ কেষ্ট কন্যা হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় এখনও কোনও কিছুই স্পষ্ট নয়। ইডি সূত্রে খবর, ফের তলব করা হবে সুকন্যাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
  • Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    Cattle Smuggling Case: গ্রেফতার কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, এবার কি সুকন্যার পালা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) এবার ইডি-র জালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মণীশকে। এরপর সন্ধ্যার দিকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে খবর, মণীশের বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে। সে কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। অভিযোগ, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। উঠেছে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ।

    মোট ১২ জনকে অনুব্রতের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা ইডির!

    সূত্রের খবর, এর আগে অনুব্রতকে হেফাজতে চাওয়ার সময় আদালতে ইডি জানিয়েছিল, অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি-সহ ১২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। ইডি সূত্রে খবর, ওই তালিকায় সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক-ও রয়েছেন। এছাড়া অনুব্রতর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েক জন রয়েছেন। তার মধ্যে মঙ্গলবার মণীশকে প্রথমে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: রামনবমীতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে বাংলা, জানালেন শুভেন্দু

    গ্রেফতার মণীশ কোঠারি

    গতকাল সকাল ১১ টায় শুরু হয় জেরা। চলে একটানা রাত ৮ টা পর্যন্ত।  প্রায় ৯ ঘন্টা ‘ম্যারাথন’ জেরার পরই নয়াদিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের বিশ্বস্ত হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি। বুধবার কোর্টে পেশ করা হবে মণীশ কোঠারিকে। এর আগেও ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, অনুব্রত, তাঁর স্ত্রী, কন্যা, আত্মীয়, ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল সম্পত্তি, একাধিক রাইস মিল, কোটি কোটি টাকার লেনদেন— এই সব নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। আর এবারে তাঁর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মণীশকে।

    সুকন্যাকেও গ্রেফতারির পথে ইডি!

    আজ, বুধবার আবার তলব করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে চায় ইডি। আবার প্রয়োজন পড়লে, অনুব্রত, তাঁর কন্য়া সুকন্য়া ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি তিন জনকে একসঙ্গে বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর প্রয়াত মা ছবিরানী মণ্ডলের নামে ৩৪ কোটি টাকার বিপুল সম্পত্তির যে হিসেব রয়েছে ইডির কাছে সেই বিষয়টি নিয়েই সুকন্যা এবং অনুব্রতকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছেন ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা, এমনটাই দাবি সূত্রের। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলে গ্রেফতার হলেন মণীশ, বুধে কী অপেক্ষা করছে সুকন্যার জন্য? বাবা ও বাবার হিসাবরক্ষক এবং দেহরক্ষীর পরে কী তবে এবার তাঁকেও গ্রেফতার করতে পারে ইডি?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bonny Sengupta: “ওসব আমার টাকা, অন্য কারোর নয়”, ইডির জেরা শেষে বললেন বনি

    Bonny Sengupta: “ওসব আমার টাকা, অন্য কারোর নয়”, ইডির জেরা শেষে বললেন বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা ফেরত দেওয়ার প্রশ্নই নেই, এমনটাই বলতে শোনা গেল বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta)। মঙ্গলবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন টলি অভিনেতা। এদিন মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই বেরিয়ে এলেন তিনি। আগের দিন জিজ্ঞাসাবাদের পরেই বনিকে তাঁর কথার প্রমাণ হিসাবে নানা নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। আজ সকালে সেই সব নথি নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি তিনি। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সব প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। টাকা তিনি ফেরত দেবেন কি না, বিদেশযাত্রার অর্থ কুন্তলের কি না, এইসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “ওই সব টাকা আমার দাদা, আর কারও নয়।”

    সংবাদমাধ্যমে আর কী বললেন বনি?

    রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছিলেন বনি। সেই লেনদেনের সূত্রেই তাঁকে আজ তলব করেছিল ইডি। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন বনি। ইডি দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি এই অভিনেতা। এরপর বেলা ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর থেকে বেরোন বনি (Bonny Sengupta)।

    আরও পড়ুন: ‘‘একমাত্র বিপরীত লিঙ্গেই সম্ভব’’, সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থানকেই সমর্থন সঙ্ঘের

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Bonny Sengupta) বলেন, “আমার কাছে যে যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, আমার যা যা জমা দেওয়ার ছিল সব জমা দিয়েছি। আশা করি আমাকে আর আসতে হবে না। তবে কী কী তথ্য জমা দিয়েছি সেটা বলা যাবে না। এবার যা বলার ইডি বলবে। আশা করি আমায় আর ডাকা হবে না। আমায় আর এ ভাবে হেনস্থা করবেন না।” আবার মিডিয়াকে সাফ বলে দেন যে, “আমি টাকা ফেরত দেব না। ওসব আমার টাকা। ওসব অন্য কারও না।”

    নিয়োগ দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদের আবহে বনির (Bonny Sengupta) বিদেশ সফরে অর্থের উৎস নিয়েও চর্চা চলেছে। সেই প্রসঙ্গেও বনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে, সবই তাঁর টাকায় হয়েছে। এখন এটাই দেখার যে, ইডির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • OMR Sheet: ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! কোন পরীক্ষার এগুলো?

    OMR Sheet: ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! কোন পরীক্ষার এগুলো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ কি কাণ্ড! ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, রাঘব-বোয়ালদের ধরতে যখন তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এবং তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক সে সময় দোকানে মিলল ওএমআর শিটে মোড়া কেক৷ যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য বোলপুরে৷ এতদিন ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে, আর এবারে এই ওএমআর শিট চায়ের দোকানে কেকের মোড়কে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হন্যে হয়ে আসরে নেমেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সোমবারে বোলপুরে সামনে এল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বীরভূম জেলার বোলপুরে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে দেখা মিলল ওএমআর কেকের। একটি বেকারি কেক সংস্থার তৈরি কেকের মোড়ক তৈরি হয়েছে সরকারি পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেটে। সেই প্রস্তুতকারক কেক সংস্থার থেকে কেকগুলিকে পাঠানো হয়েছে এবং যথারীতি বিক্রিও করা হচ্ছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চায়ের দোকানদার বা কোন ব্যক্তি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

    ব়্যাপ করা ওএমআর শিটগুলির কোনওটায় লেখা ২০১৪, কোনওটায় লাল-কালো কালিতে উত্তর টিক দেওয়া, কোনওটায় ওএমআর নম্বর লেখা আবার কোনওটায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা৷ তবে কত সালের কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট এগুলি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    এগুলো কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট?

    সূত্রের খবর, ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet) কোন পরীক্ষার তা এখনও জানা যায়নি। তা আদৌ রাজ্য সরকারের কোনও পরীক্ষার কিনা তার উত্তরও স্পষ্টভাবে মেলেনি। তবে সূত্রের দাবি, ওএমআর-এর একাংশ দেখে মনে হচ্ছে সেটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নেওয়া কোনও পরীক্ষার।

    বোলপুরে ওএমআর শিট দিয়ে কেকের মোড়ক তৈরির প্রসঙ্গে বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, “আমি বিষয়টা খবরে দেখলাম। কেকগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোনও একটি কাগজে মোড়া ছিল। আমি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানাব।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বেকার শিক্ষিত যুবকেরা যে চাকরি পায়নি সেই চাকরি বিক্রি হয়েছে এবং এই বিক্রি হওয়া চাকরি তৃণমূলের নেতারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে বিক্রি করেছে। সেই চাকরি বিক্রির রেজাল্ট আজ বোলপুর এর চায়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা হতবাক এবং বিস্মিত তবে আমাদের আইনের প্রতি ভরসা আছে আশা করছি আইন নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক বিচার দেবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Banerjee: ‘মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল, টাকা সরাচ্ছে অন্য রাজ্যে’, বিস্ফোরক দাবি শান্তনুর

    Shantanu Banerjee: ‘মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল, টাকা সরাচ্ছে অন্য রাজ্যে’, বিস্ফোরক দাবি শান্তনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ কুন্তল ঘোষই। মিথ্যা অভিযোগ করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। কুন্তল টাকা অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন দুপুরে বলাগড়ের যুব নেতাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময়েই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। আর তখনই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি।

    অবশেষে মুখ খুললেন শান্তনু

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) ৬ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তলব করা হয়েছিল। জেরার সম্মুখীনও হয়ে কখনই এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে মুখ খোলেননি শান্তনু। গ্রেফতারির পর প্রথম দিন তিনি দাবি করেছিলেন, “আমি টাকা নিই নি, আমি কাউকে টাকা দিইনি।” কিন্তু আজ ইডি হেফাজত শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলার আগেই এমন দাবি করলেন।

    এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শান্তনু (Shantanu Banerjee) বলেন, “এই কেসের মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। ও ডাইভার্ট করানোর জন্য এসব করছে। কুন্তল লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে। টাকা সরাচ্ছে। অন্য রাজ্যে টাকা পাচার করছে ওর লোকজন। কয়েক’শ এজেন্টের কাছ থেকে কয়েক’শ কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল।” এর সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, “আমার সব কিছু লিগাল। আগামীদিনে প্রমাণ হবে।”

    আরও পড়ুন:শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, শর্তসাপেক্ষে মিলল আদালতের অনুমতি

    অন্য রাজ্যে টাকা সরাচ্ছে কুন্তল!

    প্রসঙ্গত, কুন্তল সেই জানুয়ারি মাস থেকে ইডি হেফাজতের পর জেল হেফাজতে রয়েছে। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, কুন্তলের আরও কত টাকা রয়েছে যা তিনি জেলের ভিতর থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছেন? শান্তনুর (Shantanu Banerjee) দাবি কতটা সত্যি, তাও তদন্তের বিষয়। তবে এই দাবি যে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এক নয়া মোড় এনে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের মোটামুটি সবারই জানা, শান্তনু-কুন্তলের সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের। কুন্তলকে ভাই বলেই জনসমক্ষে ডাকতেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। আর সেই দাদা শান্তনুই এখন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। উল্লেখ্য, আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে শান্তনুকে পেশ করে আবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাবে ইডি। কিন্তু আদালত কী নির্দেশ দেয় এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ-সি চাকরিহারাদের

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ-সি চাকরিহারাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন গ্রুপ সি-এর সদ্য চাকরি হারানো প্রার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ৮৪২ জন প্রার্থী। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই মর্মে শনিবার তালিকা প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 

    সদ্য চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ সি-এর ৮৪২ জন

    নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতির ফলে এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পেয়েছিলেন ২০৩৭ জন। আর এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করা ও সুপারিশ পত্র ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে এমন অভিযোগেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর পাশাপাশি গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে, এনারা যেন কোনওভাবেই স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন। কিন্তু তারপরেই আজ এই চাকরি হারানো প্রার্থীরা বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সোমবার এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    উল্লেখ্য, এই ৮৪২ জনের তালিকায় নাম ছিল একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজনের। মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল থেকে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা টুম্পা মেটের নাম ছিল ৮৪২ জনের তালিকায়।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগেও অনেক ক্ষেত্রে চাকরি হারানো প্রার্থীরা একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) গিয়েছেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তাঁরা। ফলে এক্ষেত্রেও গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতদের ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয়, তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফের একবার বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনআইএ (NIA Raid)। দেশে এক সন্ত্রাসবাদের পর্দা ফাঁস করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, দেশে সন্ত্রাসের জাল পেতে চলেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (Islamic State-Khorasan Province) বা আইএসকেপি। ফলে গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত শনিবার মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ (NIA Raid)। রবিবার এনআইএ-র তরফে বিবৃতি জারি করে এই তল্লাশি অভিযানের কথা জানানো হয়েছে।

    এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান

    একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এনআইএ (NIA Raid) জানিয়েছে যে, তদন্তকারীরা শনিবার মধ্যপ্রদেশের সেওনির চারটি স্থানে এবং পুণেতে একটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তথ্যের ভিত্তিতে, এনআইএ টিম সন্দেহভাজনদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। পুণেতে তালহা খান ও মধ্য প্রদেশের সেওনিতে আক্রম খান নামক দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালান এআইএ-র আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে খবর, দেশজুড়ে আইএসকেপির গতিবিধি ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রচেষ্টার তথ্য জানতে পেরেই শনিবার মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    আইএসকেপির সদস্য গ্রেফতার

    সম্প্রতি আইএসকেপির সঙ্গে যুক্ত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির ওখলা থেকে জাহনসিব সামি ওয়ানি ও তাঁর স্ত্রী হিনা বসির বেগ নামক ওই কাশ্মীরী দম্পতিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এনআইএ বলেছে, “এই দম্পতিকে আইএসকেপি-র সঙ্গে যুক্ত বলে পাওয়া গেছে।” এছাড়াও তদন্তে জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহ বাসিথ নামক আরও এক ব্যক্তি আইএসকেপি-র সঙ্গে যুক্ত। যদিও এনআইএ-র তদন্তাধীন অন্য একটি মামলায় বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি ওই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    শিবমোগা আইএস ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযান

    জানা গিয়েছে, ওই দিনেই শিবমোগা আইএস ষড়যন্ত্র মামলায় সেওনির আরও তিনটি স্থানে তল্লাশি চালায় এনআইএ। সেদিন আব্দুল আজিজ সালাফি ও শেওব খান নামক অপর দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শিবমোগা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মোহাম্মদ শারিক, মাজ মুনির খান, ইয়াসিন এবং অন্যান্যরা তাদের হ্যান্ডলারের নির্দেশের ভিত্তিতে, মদের দোকান, হার্ডওয়্যারের মত সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে লক্ষ্যবস্তু করে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সদস্যদের মালিকানাধীন দোকান, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মত ২৫ টিরও বেশি ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকী তারা আইইডিও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, এই সমস্ত সন্ত্রাস সংগঠনকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আর্থিক মদত দেওয়া হত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব করা হল ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। ইডি-র দাবি, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়েছিল এই প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও শান্তনুর এই বিশাল সম্পত্তির উৎসের হদিশ পেতে প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ২ দফা তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, সই তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। চলতি সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কে এই প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    সূত্রের খবর, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় কোবড়ো হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বলাগড় উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে বিজয়কৃষ্ণ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। স্নাতক পাশের ডিগ্রি নেওযার পরে প্রিয়াঙ্কা বিএড পাশ করেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা খুব ভাল আঁকতে পারেন। স্থানীয় স্কুলে আঁকাও শেখাতেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর একটি বুটিকও রয়েছে। ২০০৫ সালে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    প্রিয়াঙ্কার নামেও সম্পত্তির হদিশ

    ইডি সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কার নামেও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই একাধিক কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর পদে রেখেছিলেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, এমনই একটি সংস্থা ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও ইডি সূত্রে খবর, বলাগড়ের রেস্তরাঁ শান্তনুর হলেও খাতায় কলমে কর্ত্রী প্রিয়াঙ্কাই। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এমনকী প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া সম্পত্তি এবং আয়করের হিসাবেও অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফলে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক তিনি ও তাঁর স্বামী কী ভাবে হলেন, প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে চায় ইডি। এ সপ্তাহেই নথিপত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে এটাই এখন দেখার যে, এবারেও কি ইডির তলব এড়িয়ে যাবেন নাকি হাজিরা দেবেন প্রিয়াঙ্কা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share