Author: নিমাই দে

  • Gaming App Scam: গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ফের টাকার হদিশ! প্রায় ১৩ কোটির ক্রিপটো ফ্রিজ করল ইডি

    Gaming App Scam: গেমিং অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে ফের টাকার হদিশ! প্রায় ১৩ কোটির ক্রিপটো ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপুল পরিমাণ টাকার সন্ধান! কলকাতা পুলিশের পর এবারে ই-নাগেটস অ্যাপ (E-Nuggets App) প্রতারণায় অভিযুক্ত আমির খানের আরও বিনিয়োগের খোঁজ পেল ইডি (ED)। এবারে গতকাল আমিরের ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং বিটকয়েন হিসেবে ব্যবহৃত ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। আর এই টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়। ইডির গোয়েন্দারা বুধবার কলকাতায় ৩ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ১২.৮৩ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আরও পড়ুন: খাটের তলায় মিলেছিল ১৭ কোটি, গাজিয়াবাদ থেকে ধৃত গার্ডেনরিচের আমির

    বুধবার দুপুর ১.৩০ মিনিট নাগাদ বিকে পাল অ্যাভিনিউয়ের জগদ্ধাত্রী ভিলায় যান ইডির ৭ আধিকারিক। তার মধ্যে ব্যাংকের আধিকারিকরাও ছিলেন। এরপর ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের ক্রিপটোকারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। এই ই-নাগেটস(E-Nuggets)  নামক একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ দিয়ে লোক ঠকানোর কারবারে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। ফলে শুধু  নগদ টাকা উদ্ধারই নয়, এই প্রতারণার সম্পত্তি আরও কোথায় কোথায় রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ইডির গোয়েন্দারা।

    প্রসঙ্গত, ১০ সেপ্টেম্বর, কলকাতার গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। সেই বাড়িতে খাটের তলা থেকে নোটের গাদা উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেদিন মোট ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা। ফলে এবারে উদ্ধার হওয়া টাকা ব্যবসায়ীর ছেলে আমির খানের প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৪ কোটিরও বেশি টাকা। তবে গোয়েন্দারা অনুমান করেছেন যে, এই প্রতারণা চক্রে আরও অনেক টাকা উদ্ধার করা যেতে পারে। ফলে এই প্রতারণার বিপুল টাকা আর কোথায় কোথায় রাখা আছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, এই চক্রে অভিযুক্ত আমির খান উত্তরপ্রদেশ থেকে ধরা পড়েছেন। শুক্রবার রাতে গাজিয়াবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

  • Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    Belur Math Durga Puja: মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো, ভোর থেকেই ভক্তদের ভিড় বেলুড় মঠে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (Mahashasthi)। শারোৎসবে মেতে উঠেছে পুরো বিশ্ববাসী, বিশেষ করে বাংলার মানুষ। আর এরই মধ্যে বেলুড় মঠেও শুরু হয়ে গেল দুর্গা পুজো (Belur Math Durga Puja)। মহাষষ্ঠীর পুণ্য লগ্নে ভোরবেলায় মণ্ডপে শুরু হয় নারায়ণ পুজো এবং ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ। ভোরবেলায় গঙ্গাজলে দেবীর ঘট ধুয়ে তা স্থাপন করা হয়। দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান হবে সন্ধ্যাবেলায়। সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিটে মহাষষ্ঠীর পুজো।

    বিগত দুবছর তেমন জাঁকজমকভাবে পুজো করা হয়নি। দর্শনার্থীদের প্রবেশেও বাধা ছিল বেলুড় মঠে (Belur Math)। তবে এবার আর প্রবেশে নিষেধ না থাকায় ফের আগের ছন্দে ফিরে এসেছে বাংলার মানুষ। ফলে এবছরের পুজোর উন্মাদনাই এক অন্য পর্যায়ে। তাই আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অগণতি দর্শনার্থী আসতে শুরু করেছে। আর এর ফলেই মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে বেলুড় মঠে।

    আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী কী রীতি পালিত হয় দুর্গা পুজোয়? রইল পুরো তালিকা

    বেলুড় মঠে রীতিমতো জন্মাষ্টমী থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়। কারণ প্রথা মেনে প্রতি বছর জন্মাষ্টমীর তিথিতে কাঠামো পুজো হয় বেলুড় মঠে। প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় প্রতিমা বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে রাখা হয় এবং পরের বছর পুজো শুরুর আগে সেই কাঠামোই পুজো করা হয়। আর ওই দিন থেকেই মঠে দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে যায়। আর সেই সময় থেকেই মঠ প্রাঙ্গণে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজও শুরু হয়ে যায়। ফলে এবারও তেমনটাই হয়েছিল।

    তবে এবারে করোনার (Corona) জন্য অত বিধি-নিষেধ না থাকলেও বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। আবার এর পাশাপাশি রয়েছে ডেঙ্গিরও (Dengue) আতঙ্ক। ফলে বেলা যত বাড়বে, দর্শনার্থীদের ভিড়ও তত বাড়বে। আগের দুবছর করোনার প্রকোপের জন্য দুর্গাপুজোর সময় মঠে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে এবার পুজোয় দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বেলুড় মঠ। তাই ভিড় বাড়লে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল। তাই উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকমহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    Mars Orbiter Mission: ৮ বছর পর থামল ইসরোর মঙ্গলযান, কতটা প্রাপ্তি হল ভারতের মহাকাশ গবেষণায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট বছর পর সফর শেষ হল ইসরোর মঙ্গলযানের (Mars Orbiter Mission)। যদিও এই মঙ্গলযানটিকে মাত্র ছয়মাসের জন্য বানানো হয়েছিল। অর্থাৎ এর আয়ু ছিল মাত্র ছয় মাস। কিন্তু সেখানে এটি প্রায় আট বছর অতিক্রম করে দিয়েছে। মহাকাশে। জানা গিয়েছে, এর পাশাপাশি, মঙ্গলযানে থাকা জ্বালানি ও ব্যাটারি ইতিমধ্যেই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আর এর ফলেই মঙ্গলযান অর্থাৎ মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission-MOM)-এর আট বছর আট দিনের যাত্রা শেষ হল।

    উল্লেখ্য যে, এই মিশনটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। পাশাপাশি, এটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছে যায়। মূলত, এই মিশনের মাধ্যমে, ভারত প্রথম পদক্ষেপেই সরাসরি মঙ্গল গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বিশ্বের আর অন্য কোনও দেশের কাছে এই নজির নেই। মঙ্গলযান বানাতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার। ইসরো থেকে জানানো হয়েছে, যে এই যানটিকে তৈরি করা হয়েছিল মাত্র ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথে চলার প্রদক্ষিণ করার জন্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের যে আশা ছিল, তাকেও ছাপিয়ে ছয়মাসের পরিবর্তে টানা আট বছর কাজ করেছে গিয়েছে ভারতের এই মঙ্গলযান।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    ইসরো (ISRO) থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় মঙ্গলযানটিতে আর কোনও জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। স্যাটেলাইটের ব্যাটারিও শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে মঙ্গলযানের ব্যাটারিকে ফের জাগিয়ে তোলা যাচ্ছে না। এমনকি ইসরোর সঙ্গে মহাকাশযানটির সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, মহাকাশযানটি মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথের মাত্র ছয় মাস ধরে চলার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। সেই জায়গায় এটি আট বছরেরও বেশি সময় ধরে তার কাজ করে গিয়েছে। তাই এটি ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৩ সালে মঙ্গলযানটিকে একটি পিএসএলভি-সি২৫ রকেটের মাধ্যমে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। এটিই ছিল ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহের মহাকাশ অভিযান (Mars Orbiter Mission)।

    এটিকে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতও যে অন্য গ্রহে পাড়ি দিতে পারে, তা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই মঙ্গলযান তৈরি করা হয়েছিল (Mars Orbiter Mission)। এটির সাহায্য লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের বৈশিষ্ট্য, বায়ুমণ্ডল এবং এক্সোস্ফিয়ার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও গ্রহের ধূলিকণা সম্পর্কে ধারণা করতে, মঙ্গল গ্রহে ভূমিধস অধ্যয়ন করতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করেছে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশযানটিকে আর কোনওভাবেই পুনরুদ্ধার করা যাবে না। তবে এই মার্স অরবিটার মিশনটি পুরো বিশ্বে এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (Mars Orbiter Mission)। তবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরেকটি অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে ভারত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan 2) পাঠাতে চলেছে ইসরো।

     

  • Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    Enforcement Directorate: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় কয়েক মাস ধরেই ইডি-র (ED) কিছু আধিকারিকরা রাজ্যের অনেক দুর্নীতি কাণ্ডে তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আটজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে (ED Extension)। বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে ইডির দাপট ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে। এই আধিকারিকরা বিশেষ করে কয়লা, গরু পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তের সঙ্গে যুক্ত আছেন। এবং তাঁদের দৌরাত্মেই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গতি এসেছে। ফলে ইডির এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    ইডি-র যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে মোট আটজন আধিকারিকের নাম ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাঙ্গ, যোগেশ শর্মা, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরান। এই আটজনের মধ্যে অধিকাংশই কয়লা (Coal Scam), গরুপাচার (Cattle Sumggling Case) এবং এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC recruitment Scam) তদন্তে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এই আট আধিকারিকের কারও দু’বছর, কারও তিন বছর কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছে ইডি। আগামী দিনে ওই মামলাগুলির তদন্ত যে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছবে, তা এই মেয়াদ বৃদ্ধি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এছাড়াও তদন্তে আরও বেশি গতি বাড়াতেই এই মেয়াদ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    তাছাড়াও এই অফিসারদের অভিযানের ফলেই দুনীর্তি কাণ্ডে বিপুল পরিমাণ টাকা, সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এছাড়াও কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতেও প্রয়োজন, তার ফলেও ইডির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়েছে।

    এছাড়াও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত আধিকারিকরা তদন্তের সঙ্গে সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে যুক্ত। এই মুহূর্তে মামলাগুলির তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে প্রথম থেকে যাঁরা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের হাতেই বিষয়টি রেখে দেওয়াই ভালো হবে। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ওই আটজনের কার্যকাল আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

  • Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    Modi-Zelenskyy: “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে…”, জেলেনস্কিকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ফের কথা বললেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা বলেন তাঁরা (Modi-Zelenskyy)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে পারমাণবিক শক্তির তত্ত্ব উঠে আসছে, সেই নিয়ে মূলত দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়েছে। এর আগেও মোদি পুতিনকে (Vladimir Putin) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার কথা বলেছিলেন, এবং আজও জেলেনস্কিকে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ফলে আজ আবার তাঁদের মধ্যের আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ায় যুক্ত করতে চলেছেন পুতিন?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি ফোনে কথা বলার সময় বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণুকেন্দ্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুদূর প্রসারী ক্ষতি হতে পারে। নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। তিনি এদিন আরও জানান, শান্তি বজায় রাখার জন্য যে কোনও ধরণের প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে ভারত পুরোপুরি প্রস্তুত।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থেকে কোনও সমাধান আসে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি আবারও রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা এবং কূটনীতির পথ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এছাড়াও আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মানের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া – ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে রয়েছে…’, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ঘোষণা করলেন বিদেশমন্ত্রী

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    Attorney General: ভারতের পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পরবর্তী নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General of India) হচ্ছেন সিনিয়র আইনজীবী আর ভেঙ্কটরামানি (Senior advocate R Venkataramani)। তিনি তিন বছরের জন্য এই পদে নিযুক্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রকের আইন বিষয়ক বিভাগের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

    চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালের মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই পদে নিয়োজিত হয়েছিলেন তিনি। এনার আগে মোদি জমানাতেই ২০১৪-১৭ অ্যাটর্নি জেনারেল পদে ছিলেন রোহতগি। পরে কেন্দ্র সরকার থেকে তাঁকে ফের এই পদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নেন। আর তারপরেই ২০১৭ সালে স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন কে কে ভেনুগোপাল।

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

    ভেঙ্কটরামানির নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করে, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অফিসের তরফে গতকাল একটি ট্যুইট করা হয়েছে, যেখানে লেখা আছে, “মাননীয় রাষ্ট্রপতি ভারতের সিনিয়র আইনজীবী শ্রী আর ভেঙ্কটরামানিকে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করতে পেরে আনন্দিত।”

    ১৯৫০ সালের ১৩ এপ্রিল পন্ডিচেরিতে জন্মগ্রহণ করেন আর ভেঙ্কটরামানি। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ও তামিলনাড়ুর বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৭৯ সালে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। ১৯৯৭ সালে, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত করে। এছাড়াও তিনি তাঁর সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের মেয়াদের আগে কেন্দ্র সরকার, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক সেক্টর সংস্থায় আইন পরামর্শদাতার কাজ করেছেন। আবার তিনি ২০১০ এবং ২০১৩ সালে ভারতের আইন কমিশনের সদস্য হিসাবেও কাজ করেছিলেন। সুতরাং আইনজীবী হিসেবে চার দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে আর ভেঙ্কটরামানির। 

  • Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বৈবাহিক ধর্ষণ ও গর্ভপাত নিয়ে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital rape) ও গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গর্ভপাত নিয়ে এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়েছে, বিবাহিত বা অ-বিবাহিত, দেশের সকল মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার আছে। এছাড়াও এই প্রসঙ্গে বলার আগে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিনা সম্মতিতে যৌন সংসর্গও ধর্ষণ। আর এর ফলেই মহিলারা জোর করে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

    সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলেছে, একজন মহিলা বিবাহিত না অ-বিবাহিত এর সঙ্গে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে কোনও আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এমনকি অবিবাহিত মহিলাদেরও ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করার অধিকার রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত, এমনও বলেছে যে, কোনও অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অধিকার না দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের সমান।

    আরও পড়ুন: “স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া স্বামীর কর্তব্য…”, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি আইন সংক্রান্ত মামলায় এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, “এমটিপি আইনে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। কিন্তু দেশের গর্ভপাত আইনের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতের কোনও প্রভেদ করা উচিত নয়।” আবার এই প্রসঙ্গে বলার পাশাপাশি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, বিবাহিত মহিলারাও যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন। সম্মতি ছাড়া স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে এক জন মহিলা সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়তে পারেন।

    প্রসঙ্গত, বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত। এছাড়া ধর্ষণের শিকার, বিশেষভাবে সক্ষম বা নাবালিকা, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে সহবাসের পর কোনও অবিবাহিত মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে-এইসব বিশেষ ক্ষেত্রে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত করা যেত। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে যে, গর্ভপাতের ক্ষেত্রে এমন কেন ভেদাভেদ করা হবে? এরপরেই আজ, বৃহস্পতিবারে এই নিয়েই এই দৃষ্টান্তমূলক ও যুগান্তকারী রায়টি দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।

  • World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    World Heart Day: প্রতি বছর ১৫ লাখ ভারতীয় হৃদরোগে মারা যাচ্ছেন, কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেড মিলে দৌড়নোর সময়ে আচমকা জ্ঞান হারান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Saurav Ganguly)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাক্তন খেলোয়াড় স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখেন, তিনি স্থুল নন। তারপরেও তার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় হতবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও স্টেন বসিয়ে আপাতত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন বাঙালির আইকন।

    তবে, সৌরভের মতো হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগও পাননি অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। বিগ বস ১৩ বিজয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লার বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ বছর। নিয়মিত জিমে যেতেন। স্বাস্থ্য চর্চা করতেন। কিন্তু বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বছর পঞ্চাশের অভিনেতা।

    ভারতে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ১৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ হাসপাতালে যাওয়ার সুযোগ ও পান না।

    আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে (World Heart Day)। হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখতে তাই আজ বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞেরা।

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্যস্ত জীবন যাপন, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুডে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়াই বিপদ বাড়াচ্ছে। তার উপরে বাড়ছে হাইপারটেনশন, অবসাদের মতো মানসিক রোগ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই তিরিশের কোঠায় পৌঁছলেই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হৃদরোগের বংশানুক্রমিক ইতিহাস থাকলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিবারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। তাই যাদের পরিবারে আগেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তারা বাড়তি সতর্ক হন।

    আরও পড়ুন: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    খাদ্যাভাসে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততার জেরে অনেকেই নির্দিষ্ট সময় খাবার খান না। দীর্ঘদিন খাওয়ার অনিয়ম হৃদরোগ ডেকে আনে। সকালের জলখাবার কখনওই বাদ দেওয়া যাবে না। তাদের পরামর্শ, সকালে ভারি জলখাবার জরুরি। দুপুরে হালকা খাবার। সন্ধ্যায় একটু ভারি খাবার। রাতের মেনু অবশ্যই হালকা হতে হবে। অনেক রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেলে হজমে অসুবিধা হয়। দিনের পর দিন অসময়ে খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

    সময় মতো খাবার খাওয়ার পাশপাশি কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর দেওয়াও অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার একেবারেই তালিকায় রাখা উচিত নয়। তাছাড়া চর্বি জাতীয় খাবার ও কম খাওয়া দরকার। তেলমশলা যুক্ত চর্বি জাতীয় খাবার দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর স্থুলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পাশপাশি, বিরিয়ানি, চপ-কাটলেট, বার্গার, পিৎজার মতো খাবারগুলোকে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের তালিকা থেকে বাদ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোর পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো ওবেসিটি ডেকে আনে।

    তবে, খাবারের পাশপাশি নিয়মিত শারীরিক কসরত জরুরি। তবে, শারীরিক কসরত বলতে শুধুই জিমে যাওয়া বোঝাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞ মহল। তারা জানাচ্ছেন, নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো অভ্যাস। শরীর ওজন বাড়তে দেয় না। হজমে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ফি-দিন অন্তত তিরিশ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

    তবে, শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, মানসিক চাপ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভারতে অবসাদ ও হাইপারটেনশন মহামারির আকার ধারণ করছে। অধিকাংশ মানুষ মানসিক চাপের শিকার। তাই নিয়মিত সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা জরুরি।

    চিকিৎসকেরা পরামর্শ, সতর্ক থাকার পাশপাশি দরকার নিয়মিত চেক আপ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। যদি উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। নিয়ম মাফিক ওষুধ ও খেতে হবে। তবেই হৃদরোগের বড় বিপদ এড়ানো যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    Afghan Sikh Refugees: চোখেমুখে তালিব-সন্ত্রাসের আতঙ্ক, ভারতে এলেন ৫৫ আফগান শিখ শরণার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হল ৫৫ জন হিন্দু ও শিখ। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক। এছাড়া রয়েছে ১৪ জন কিশোর-কিশোরী এবং ৩টি শিশু। রবিবার বিকেলে একটি বিশেষ বিমানে করে নয়াদিল্লির (New Delhi) ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছোয় তাঁরা। আফগান সংখ্যালঘুদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় ওয়ার্ল্ড ফোরাম এবং ভারত সরকারের সমন্বয়ে তৈরি অমৃতসরের শিরোমণি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছিল।

    তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে চরম দুর্দশার মধ্যে সংখ্যালঘু শিখদের দিন কাটছে। ফলে সেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে পৌঁছে অনেকেই তাই স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন। পাঞ্জাবের সাংসদ বিক্রমজিৎ সিং সাহনি গতকাল বলেন, “কাবুল, জালালাবাদে আটকে পড়া ৫৫টি পরিবার আজ দিল্লিতে নিরাপদে পৌঁছেছে। ই-ভিসা সহজতর করার জন্য আমি ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ।” তিনি একটি প্রোগাম শুরু করেছেন, যার নাম “আমার পরিবার আমার দায়িত্ব” (“My family My responsibility” ), যার অধীনে ৫৪৩ জন আফগান শিখ এবং হিন্দু পরিবারকে পশ্চিম দিল্লিতে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই ৫৪৩ পরিবারকে মাসিক গৃহস্থলি খরচ, বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে পুনর্বাসন করছি এবং এই লোকদের পুনর্বাসন এই কর্মসূচিরই একটি অংশ।”

    আরও পড়ুন: আজ আবার আদালতে সুবীরেশ! ফের তাঁকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই?

    অন্যদিকে জরুরী ই-ভিসা প্রদান এবং তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানিয়েছেন আফগান শরণার্থীরা। এক আফগান শরণার্থী বলজিৎ সিং বলেন, “আফগানিস্তানে অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমি চার মাস জেলে ছিলাম। আমি ভারতে এবং আমাদের ধর্মে ফিরে আসতে পেরে কৃতজ্ঞ এবং খুশি। আমি আশা করি যে ১১-১২ জন সেখানেই রয়ে গেছে, তাঁরা শীঘ্রই ফিরে আসবেন”। আর এক আফগান শরণার্থী সুখবীর সিং খালসা বলেছেন, “আমাদের জরুরি ভিসা দেওয়ার জন্য এবং এখানে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের অনেকের পরিবার এখনও আফগানিস্তানে। প্রায় ৩০-৩৫ জন সেখানে আটকা পড়ে আছে।”

    প্রসঙ্গত, জুন মাসে কাবুলের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে হামলার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৮ জন আফগান হিন্দু ও শিখ এদেশে এসেছেন। এছাড়াও ৩ অগাস্ট, শিশু সহ কমপক্ষে ৩০ জন আফগান শিখ, কাবুল থেকে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছিল। আবার ১৪ জুলাই ২১১ জন আফগান শিখকে কাবুল থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়।

  • WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে গুগল মিটের মতো সুবিধা

    WhatsApp New Feature: হোয়াটসঅ্যাপে গুগল মিটের মতো সুবিধা

    নয়া ফিচার হোয়াটসঅ্যাপে (WhatsApp New Feature)

    WhatsApp New Feature -এ এবার গুগলের মতোই একটি বিশেষ সুবিধা নিয়ে এল জুকারবার্গের সংস্থা মেটা । এই নয়া ফিচারের কারণে এবার WhatsApp-এ যুক্ত হল কললিঙ্ক।

    WhatsApp New Feature – কললিঙ্ক

    হোয়াটসঅ্যাপে এই নতুন ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধাও এনে দেবে বলে দাবি জুকারবার্গের সংস্থার। গতকাল মেটার (META) মালিকাধীন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) ঘোষণা করেছেন যে তারা একটি নতুন ফিচার (Whatsapp New Feature) লঞ্চ করতে চলেছে, যার নাম ‘কল লিঙ্ক’ (Call Link)। বন্ধু বা পরিচিতদের সহজে ভিডিও কলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে ‘কল লিঙ্ক’ সুবিধা চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ।

    এভাবেই কাজ করবে WhatsApp New Feature – কললিঙ্ক

    এই নতুন ফিচার (WhatsApp New Feature)-এর ফলে ইউজাররা গ্রুপ অডিও ও ভিডিও কল করতে চাইলে, আগেই একটি লিঙ্ক তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর এই লিঙ্কটি মেসেজের মাধ্যমে আপনার বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। ঠিক যেমন আপনারা গুগল মিট-এ (Google Meet) করে থাকেন। তাঁরা ওই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলেই মুহূর্তের মধ্যে ওই গ্রুপ কলে যোগ দিতে পারবেন। বলাই বাহুল্য, এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার ইউজারদের জন্য সুবিধার হতে চলেছে। কারণ যদি কোনও ব্যক্তি গ্রুপ কলে জয়েন করতে দেরি করে ফেলে, তবে তিনি পরে ওই লিঙ্কের মাধ্যমেই গ্রুপে খুব সহজেই জয়েন করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপের কল ট্যাবেই এই কল লিঙ্ক অপশনটি দেখা যাবে। আর এই অপশন থেকেই গ্রুপ কল লিঙ্ক তৈরি করতে হবে। অনুমান করা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের এই নয়া ফিচার অ্যান্ড্রয়েড (Android) ও আইওএস (iOS) – উভয়তেই আসতে চলেছে। জুকারবার্গ জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই এই ফিচারটির রোলআউট করা শুরু হবে।

    সিইও মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) আরও জানিয়েছেন, এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার (Whatsapp New Feature) ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ৩২ জনের জন্য সুরক্ষিত এবং এনক্রিপ্ট করা গ্রুপ ভিডিও কলের ওপর কাজ করা শুরু করেছে। ফলে এই ফিচারটি আসলে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ ভিডিও কলে ৩২ জন পর্যন্ত ইউজার যুক্ত হতে পারবেন।

    বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ কলিং-এ এখন পর্যন্ত আটজন ব্যক্তিদের একে অপরের সঙ্গে ভিডিও কল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা যাতে বাড়ানো যায়, তাই নিয়েই কাজ চলছে। এই ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুটিতেই খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে। তাই এই নয়া হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার (Whatsapp New Feature) ‘কল লিঙ্ক’ (Call Link)-এর সাথে আরও একাধিক নতুন সুবিধা পেতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

LinkedIn
Share