Author: নিমাই দে

  • Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    Dengue: আপনি কি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন? কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গি হয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা  হলেই আপনারা সাধারণ জ্বরের ওষুধ খেয়ে নেন ও তখন জ্বর কমে গেলে আপনিও মনে করেন যে, হয়তো সব সমস্যা চলে গিয়েছে, কিন্তু অনেক সময় তা নাও হতে পারে। কারণ পরীক্ষা করে দেখা গেল আপনি ডেঙ্গি আক্রান্ত। ফলে জ্বর হলেই ভাববেন না যে তা সাধারণ জ্বর। অনেকে সাধারণ জ্বর ও ডেঙ্গি জ্বরের মধ্যে অনেকেই তফাত করতে পারেন না, আবার দ্বিতীয়বারের জন্য ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়া যায় কিনা, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকে অনেকের।

    কজন ব্যক্তি একবারের বেশি ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে?

    ডেঙ্গি (Dengue) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। এ ক্ষেত্রে এডিস ইজিপ্টাই (Aedes Aegypti) মশা মানুষের শরীরে ভাইরাসের প্রবেশ ঘটিয়ে প্লেটলেট নষ্ট করে দেয়। ফলে যেহেতু এটি ভাইরাস ঘটিত রোগ, ফলে একাধিকবার আপনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এবং একবারের বেশি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে তা তুলনামূকভাবে বেশি বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এই ধরণের মশা সাধারণত ভোরবেলা বা সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। ডেঙ্গু জ্বর ‘ব্রেক-বোন ফিভার’ নামেও পরিচিত, কারণ এটির কারণে শরীরে ব্যথা ও তীব্র জ্বর হয়।

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী!

    তবে একটু সতর্ক হলেই ভেক্টরের বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেতে পারে। সাধারণত জমা জলেই জন্ম নেয় ডেঙ্গির লার্ভা। বিশেষত বর্ষাকালে এডিস মশার প্রকোপ বাড়ে। ফলে আশেপাশে জল জমা হতে দেবেন না। মশা নিরোধক, মশারি, মশার প্রজনন স্থল নির্মূল করা; এবং কীটনাশক ব্যবহার সবই ডেঙ্গি প্রতিরোধে কার্যকর।

    ডেঙ্গির লক্ষণ ও কীভাবে বুঝবেন আপনি কোভিড নাকি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত?

    সাধারণত, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, পেশী ব্যথা, হাড়ের ব্যথা এবং জয়েন্টে ব্যথা দেখা যায়। ত্বকে ক্ষত, এবং নাক বা মাড়ি থেকে রক্তপাতও দেখা যেতে পারে। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর প্রস্রাব ও মলের সঙ্গেও রক্তপাত হতে পারে। ডেঙ্গির সংক্রমণ হলে রক্তে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে শুরু করে। আর এই কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে হেমারেজ অর্থাৎ রক্তক্ষরণ হয়। প্রায়শই ত্বকে ফুসকুড়িও দেখা যেতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণগুলি প্রতিটি রোগীর মধ্যে উপস্থিত নাও হতে পারে এবং এই লক্ষণগুলি হয় হালকা বা গুরুতর হতে পারে। জ্বর সাধারণত ২-৭ দিন স্থায়ী হয়। এই সময়ে ক্রমাগত বমি, পেটে ব্যথাও দেখা যায়। তাই কারোর জ্বর আসলেই এবং এই লক্ষণগুলি দেখা গেলেই তাদের সতর্ক থাকতে হবে। ডেঙ্গির কিছু উপসর্গ কোভিডের সঙ্গে মিলে গেলেও যদি হাঁচি এবং নাক দিয়ে জল পড়ে, তবে বোঝা যাবে ডেঙ্গির আশঙ্কা কম।

  • Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    Cheetah in India: চিতাদের পাহারায় একজোড়া হাতি! কী খাচ্ছে আগত অতিথিরা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছে আটটি চিতা (Cheetah)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে এই চিতাগুলো ভারতের মাটিতে পা রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে চিতাগুলোকে খাঁচামুক্ত করেছে তাঁর জন্মদিনে। ভারতে আসার মাত্র কয়েকদিন হলেও ভালোই খোশমেজাজে রয়েছে চিতাগুলো, বলে জানা যায়। এবার এই চিতাগুলোকেই পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ২টি হাতিকে। একজনের নাম লক্ষ্মী আর একজনের নাম সিদ্ধনাথ।

    সূত্রে খবর অনুযায়ী, নর্মদাপুরমের সাতপুরা টাইগার রিজার্ভ থেকে তাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে নিয়ে আসা হয়েছিল গত মাসেই। চিতাগুলিকে পাহারা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষ্মী, সিদ্ধনাথকে। জঙ্গলে যে জায়গায় চিতাগুলোকে রাখার জন্য যে বিশেষ জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই জায়গার পাশেই এই হাতি দুটি কড়া নজর রাখছে। সিদ্ধনাথ এবং লক্ষ্মী বন কর্মীদের সঙ্গে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে, যাতে অন্য কোনও বন্যপ্রাণী চিতাগুলোর আশেপাশে না আসে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চিতার বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা নেবে ‘আশা’, বাকিদের নাম কী রাখা হল জানেন?

    উল্লেখ্য, কুনোতে নতুন চিতাদের জন্য যে বিশেষ জায়গা নির্দিষ্ট করা হয়েছিল, সেখানে কিছু দিন আগে পাঁচটি চিতাবাঘ ঢুকে পড়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে তাড়ানোর কাজেও সহযোগিতা করেছিল এই দুই হাতি। কুনো ন্যাশনাল পার্কের ডিএফও প্রকাশ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, সিদ্ধনাথের বয়স ৩০ বছর। বিভিন্ন এলাকায় বাঘ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে থাকে সে। তবে মাঝেমধ্যে সিদ্ধনাথের মেজাজ বিগড়ে যায় বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। ২০১০ সালে তার আক্রমণে দু’জন মাহুতের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে ২৫ বছরের লক্ষ্মী স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তার কাজে দক্ষ।

    এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমানে আইসোলেশনে রেখেছে চিতাগুলোকে। সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছে তাদের খাবার। জানা গিয়েছে, তাদের নামিবিয়া থেকে আনার সময় এক বিশেষ উদ্দেশে খালি পেটে আনা হয়েছিল। আর তাদের এখন মহিষের মাংস খেতে দেওয়া হচ্ছে। এও জানা গিয়েছে যে, আইসোলেশনে থাকাকালীন আগামী এক মাস তাদের মহিষের মাংসই খেতে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে চিতাগুলোকে শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ তাদের প্রত্যেককে তিন কেজি করে মাংস খেতে দেওয়া হয়েছিল। 

  • Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    Rear Seat Belt Alarm: সাইরাস-কাণ্ডের জের! বাধ্যতামূলক হতে চলেছে গাড়ির পিছনের সিটবেল্ট অ্যালার্মও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাড়িতে সিট বেল্ট (Seat Belt) পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করতে চলেছে কেন্দ্র। আগে শুধুমাত্র চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু এখন থেকে গাড়িতে বসা পিছনের যাত্রীকেও সিট বেল্ট পরতে হবে। তাই এর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে একটি খসড়া প্রস্তাব জারি করা হল, যেখানে বলা আছে, গাড়ির পেছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। এই খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে সাধারণ জনগণ নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর। এ কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)।

    টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির মৃত্যুর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছিল, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। কিন্তু সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরার কারণেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন ও তাঁর মৃত্যু হয়। আর তারপরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরেই নিতিন গড়করি ও কেন্দ্র সরকারের তরফে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অ্যামাজনকে সিট বেল্ট অ্যালার্ম বন্ধ করার ক্লিপ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের

    অন্যদিকে এই মাসের শুরুতেই, ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম (Seat Belt Alarm) অচল করার ডিভাইস বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তিনি আরও জানিয়েছেন, এবছরই সমস্ত গাড়িতে বাধ্যতামূলক ছয়টি এয়ারব্যাগের জন্য খসড়া তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত সবাই জানতেন যে, শুধুমাত্র গাড়িতে সামনে বসা চালক এবং তাঁর পাশের সিটের যাত্রীর জন্যই সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক ছিল ও নিয়ম না মানলে জরিমানাও দিতে হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় মোটরযান আইনের ১৩৮(৩) ধারা অনুযায়ী পিছনের সিটে বসা যাত্রী সিট বেল্ট না পরলে তাঁকেও জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। এই আইনেই বলা হয়েছে, “চালক, চালকের পাশের সিটে বসা যাত্রীকে অবশ্যই সিট বেল্ট পরতে হবে। নয়তো ১ হাজার টাকা অবধি জরিমানা করা হতে পারে।” কিন্তু আইনটি থাকলেও, এই আইনের কথা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও তা মেনে চলেন না। এমনকি ট্রাফিক পুলিশরাও এই নিয়ম মানেন না ও যাত্রীদের থেকে জরিমানাও নেন না।

    উল্লেখ্য, একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়। সড়ক মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিট বেল্ট না পরার কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৫ হাজার ১৪৬ জনের। আহত হন ৩৯ হাজার ১০২ জন।

  • Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    Raju Srivastava: নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিতাভ বচ্চন, ‘কমেডি-কিং’ রাজুর অনুরাগী ছিলেন সকলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তবের (Raju Srivastava) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। তাঁর প্রয়াণে বলিউড থেকে রাজনৈতিক মহল, সর্বত্রই শোকের ছায়া। প্রায় দেড় মাসের লড়াই শেষে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন তিনি। তাঁর রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। তাঁর শারীরিক অবস্থার খারাপ হওয়ার পর থেকেই তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা তাঁর জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে জানেন কী, এই বিখ্যাত ‘কমেডি কিং’-এর অনুরাগীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও বলিউডের বিগ বি (Big B)।

    আগের এক সাক্ষাৎকারে রাজু জানিয়েছিলেন, তিনি অমিতাভ বচ্চনের সবচেয়ে বড় ভক্ত। তিনি সবার সামনে স্বীকার করেছিলেন যে কীভাবে তিনি তাঁর শৈশবের দিনগুলিতে বিগ বিকে অনুকরণ করতেন। তিনি সেই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ (Deewar) দেখার পর থেকে মিমিক্রি এবং কমেডির ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাঁর পোস্টার কিনে আমার বাড়িতে লাগাতাম। আমি তাঁর মত চুলের স্টাইল করে তাঁকে অনুকরণ করতে শুরু করেছিলাম। তখন লোকেরা আমাকে বিগ বি বলে সম্বোধন করত।”

    তবে শুধুমাত্র রাজু বিগ বি-এর ভক্ত ছিলেন না। অমিতাভ বচ্চনও রাজুর অনুরাগী ছিলেন। ফলে তাঁরা একে অপরের ভালো বন্ধুও হয়ে উঠেছিলেন।। জানা যায়, রাজু যখন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন, তখন রাজুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তাঁকে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বিগ বি। রাজুকে পাঠানো ভয়েস মেসেজে তিনি বলেছিলেন, “রাজু এবার তো ওঠো। এখনও অনেক কাজ করতে হবে।”

    আরও পড়ুন: থেমে গেল হাসি, প্রয়াত জনপ্রিয় কমেডিয়ান-অভিনেতা রাজু শ্রীবাস্তব, শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    শুধুমাত্র বলিউড অভিনেতাদের কাছে নয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও ব্যাপকভাবে প্রিয় ছিলেন রাজু। ২০১৭ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাঁর অনুকরণ উপভোগ করেন। রাজু জানিয়েছিলেন, মোদিজি নিজে চেয়েছিলেন তাঁর অনুকরণ যাতে তিনি করেন। কারণ মোদিজি মনে করেন, কাউকে অনুকরণ করাও একটি শিল্প।

    ১৯৬৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর কানপুরে জন্ম হয় রাজু শ্রীবাস্তবের। বাবা রমেশচন্দ্র শ্রীবাস্তব ছিলেন কানপুরের প্রখ্যাত কবি। ছেলের নাম তিনি রেখেছিলেন সত্যপ্রকাশ শ্রীবাস্তব। কিন্তু রাজু নামেই সকলে ডাকতেন। ছোটবেলা থেকেই চেনা মানুষজনের নকল করতে পারতেন। তবে রাজু শ্রীবাস্তবের এত অনুরাগী থাকলেও তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই কাজকে আত্মীয়রা ভালো চোখে দেখেনি। কিন্তু তিনি সব কটুক্তি, বাধাকে সম্মুখীন করে তাঁর নিজের লক্ষ্যের জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। পরে তিনি আমদানি আটানি খরচা রুপাইয়া, ম্যায়নে পেয়ার কিয়া-সহ বেশ কিছু বলিউড ছবিতে কাজ করেন। এমনকি ‘বিগবস’ থেকে শুরু করে ‘কপিল শর্মা’র শো– এ সবেই নিজের অবদান রেখেছেন রাজু। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’জ লাফটার চ্যাম্পিয়ন’-এ বিশেষ অতিথি হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

  • West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    West Bengal: ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ পাওয়া যায় না, জীবনদায়ী ওষুধ চুরি হয় হাসপাতাল থেকে, ওষুধ কিনতে হিমশিম সাধারণ মানুষ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল: কৃষ্ণনগর থেকে ক্যানসারের (Cancer) চিকিৎসা করাতে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন স্বপন চৌধুরী। বছর পঞ্চাশের স্বপন বাবুর পেটে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। নিয়মিত রেডিওথেরাপি করানোর পাশাপাশি প্রয়োজন ওষুধের। কিন্তু হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের দোকানে অধিকাংশ সময়েই ক্যানসারের ওষুধ পাওয়া যায় না। তাই রেডিওথেরাপি হয়ে গেলে হাসপাতাল চত্বরের গাছ তলায় স্বপন বাবুকে বসিয়ে রেখে স্ত্রী যান ওষুধ কিনতে। স্বপন বাবু বলেন, “এক সঙ্গে সব ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সবচেয়ে কম দামের ওষুধ কিনতেই অন্তত দু’হাজার টাকা খরচ হয়। নামেই ফ্রি। হাসপাতালে কোনও ওষুধ পাওয়া যায় না।” স্বপন বাবুর স্ত্রী বলেন, “তিন বার এলাম। এক বার ও একটাও ওষুধ পেলাম না। এত বড় দোকান হাসপাতালের ভিতরে কেন করেছে, জানি না। এত খরচ সামলাবো কীভাবে! ক্যানসারের ট্রিটমেন্ট তো একদিনের ব্যাপার না। “

    এসএসকেএম হাসপাতালে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে সোদপুর থেকে যান বছর পয়ষট্টির অনিকেত রায়। চিকিৎসক ফ্রি-তে পরিষেবা দিলেও নগদ টাকায় ওষুধ কিনতে হয়। কারণ, অধিকাংশ সময়েই ন্যায্য মূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। অনিকেত বাবু বলেন, “ওষুধ অধিকাংশ সময়েই বাইরের দোকান থেকে কিনে নিই। ন্যায্যমূল্যের দোকানে ওষুধ থাকে না। বাইরের ওষুধ দোকানে তো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চলবে না। তাই নগদ টাকাতেই ওষুধ কিনতে হয়।” ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগে ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। অনিকেত বাবু বলেন, “বয়স্ক মানুষদের এই সব ক্রনিক রোগের ওষুধ যদি কখনোই সরকারি দোকানে পাওয়া না যায়, তাহলে আর সবকিছু বিনামূল্যে বলে লাভ কি! “

    শুধুমাত্র ধারাবাহিক রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নয়, জরুরি চিকিৎসার ওষুধ ও অধিকাংশ সময় পাওয়া যায় না। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে দিন কয়েক আগে এক মহিলা ভর্তি হয়েছিলেন। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে যে পাঁচটি ওষুধ প্রয়োজন বলে প্রেসক্রিপশনে লেখা হয়েছিল, তার চারটিই ন্যায্যমূল্যের দোকানে পাওয়া যায়নি।

    এই ঘটনাগুলো ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ছবিটা এরকমই।

    ক্যানসারের জীবনদায়ী ওষুধ, ডায়বেটিসের মতো ক্রনিক রোগের ওষুধ কিংবা করোনার মতো মহামারি ঠেকানোর ইঞ্জেকশন, সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকানে হয়রানিই যেন নিত্য সঙ্গী।

    এসএসকেএম-র মতো রাজ্যের প্রথম সারির সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হোক কিংবা যে কোনও জেলা হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল চত্বরে থাকা, ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে অধিকাংশ সময়েই ওষুধ পাওয়া যায় না। পরিজনকে হাসপাতালে রেখেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছোটেন আত্মীয়রা। নগদ টাকায় হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে হয়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও ওষুধের দোকানে তো সেই কার্ডের পরিষেবা পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন: নবান্নে CMO তে অভিযোগের পাহাড়! কাজই করছে না বহু দফতর?

    সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় সমস্ত পরিষেবাই পাওয়া যাবে। অন্তত এমনটাই বারবার বলে রাজ্য সরকার। শহর থেকে জেলা, সব রাস্তায় পশ্চিমবঙ্গে নিখরচায় চিকিৎসার বিজ্ঞাপনে মোড়া। কিন্তু বাস্তবের ছবি অনেকটাই আলাদা। চিকিৎসার প্রথম ও প্রধান শর্ত ওষুধ, পেতেই হিমশিম অবস্থা সাধারণ মানুষের।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান তৈরি হয়েছিল। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এই দোকানগুলো থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাবেন সাধারণ মানুষ। নিখরচায় চিকিৎসার এই ছিল প্রথম শর্ত। কিন্তু বাস্তবে এই দোকানগুলো থেকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই জুটছে না।

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধ নিয়ে দুর্নীতি দীর্ঘদিনের। সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ঠিকমতো স্টোর থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছয়না। অসাধু চক্রের বাসা জাকিয়ে বসেছে প্রত্যেক হাসপাতালে।

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “এই সব অসাধু চক্র শেষ না করলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে না। তবে, এই সব চক্র শেষ করা কঠিন। কারণ, এই সব অসাধু চক্রের মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। সরকারের কাছকাছি থাকা নেতাদের অঙ্গুলি হেলনেই সব চলছে। “

    প্রসঙ্গত গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিধায়ক চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। ওই ইঞ্জেকশনের বাজারে মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছিল, অবৈধভাবে ওই ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে বাইরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পরে রাজ্য সরকারের তদন্ত কমিটি নির্মল বাবুকে ক্লিনচিট দিয়ে দেয়।

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের মতে, প্রত্যেক হাসপাতালের ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকানে নজরদারি জরুরি। তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি সদিচ্ছার। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সদিচ্ছা থাকলে তবেই ওষুধ নিয়ে অসাধু চক্র ভাঙা যাবে। তারপরে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। না হলে, এই ভোগান্তির শেষ কোথায়, সেই উত্তর পাওয়া কঠিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম বাংলার শ্রমিক হত্যাকারী দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক বড়সড় সাফল্য পেল কাশ্মীর পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল রাতে শ্রীনগর পুলিশের গুলিতে নিহত হল ২ সন্ত্রাসবাদি। জানা গিয়েছে, বুধবার শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় এনকাউন্টারের ফলে পুলিশের গুলিতে খতম হয় দুই জঙ্গি। কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, দুই জঙ্গি যুক্ত ছিল সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠী আনসার গাজওয়াত উল হিন্দের (Ansar Ghazwat-ul-Hind) সঙ্গে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই পুলওয়ামাতে বাঙালি শ্রমিককে মেরে ফেলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই দুই জঙ্গি। এই দুই নিহত জঙ্গির নাম আইজাজ রসুল নাজার এবং শহিদ আহমেদ ওরফে আবু হামজা ও এরা পুলওয়ামার বাসিন্দা। ট্যুইট থেকে জানা যায়, মৃত দুই জঙ্গি, ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুনির উল ইসলাম নামে এক বহিরাগত শ্রমিকের উপর সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাশ্মীর পুলিশ ও সেনা বাহিনী যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে এই জঙ্গিদের খুঁজে পান ও এরপরেই শুরু হয় জঙ্গি ও পুলিশের গুলির লড়াই।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাশ্মীর! জঙ্গিদের গুলিতে খুন বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

    বুধবার রাত ৮:২৭ নাগাদ কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয় যে, শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। এরপর আরও জানানো হয় যে দুই জঙ্গির মধ্যে একজন রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে ও অন্যজন ৯টা ১৩ মিনিটে নিকেশ করা হয়।

    মঙ্গলবারেও কাশ্মীর পুলিশের তরফ থেকে এনকাউন্টারে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছিল। যদিও সেই জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এই এনকাউন্টারে পুলিশের তরফ থেকেও একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কার্যত এই জঙ্গি নিকেশ কাশ্মীর পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

  • Cheetah in India: নামিবিয়া থেকে ভারতে এল আটটি চিতা! তার আগেই ভাইরাল অতিথিদের ভিডিও

    Cheetah in India: নামিবিয়া থেকে ভারতে এল আটটি চিতা! তার আগেই ভাইরাল অতিথিদের ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে এল আটটি চিতা (Eight cheetahs)। নামিবিয়া থেকে আজ সকালে ভারতে  আসে এই চিতাগুলি। বিশেষ চার্টার্ড কার্গো বোয়িং 747 (Special chartered cargo plane) বিমানে চিতাগুলি ভারতে এসে পৌঁছল ৷ গোয়ালিয়রের ভারতীয় বিমান বাহিনী স্টেশনে বিমানটি অবতরণ করে। মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) এই চিতাদের রাখা হবে। ভারতে পৌঁছনোর আগেই চিতার ভিডিও গতকাল এএনআই থেকে ট্যুইটে শেয়ার করা হয়েছে। এই ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনটি চিতাকে দেখা যায়। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, এক বিশেষ কার্গো বিমানে করে আনা হয়েছে এই চিতাগুলোকে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল যে, নামিবিয়া থেকে প্রথেমে ওই বিমান জয়পুরে নামানো হবে ও তারপরে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। কারণ জানানো হয়েছে, এতে সময় বেশি লাগবে বলে তা বাতিল করা হয়েছে। তাই এই কার্গো বিমানটি সরাসরি মধ্যপ্রদেশের গোয়লিয়রেই নামবে এবং এদিনই চিতাদের ওই জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই বিশেষ বিমানটিকেও বাঘের মুখের মত রং করা হয়েছে। আর এর ভেতরেও চিতাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে।

    আরও পড়ুন: বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    কেন্দ্র সরকারের এক আধিকারিক এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “চিতাদের নিয়ে আসা বিশেষ কার্গো বিমানটি সকাল ৬টা নাগাদ গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে নামবে। এবং সেখানে কাস্টমসের কিছু নিয়ম পূরণের পর চিতাদের নিয়ে যাওয়া হবে কুনো জাতীয় উদ্যানে। একটি চপারে করে বিমানবন্দর থেকে জাতীয় উদ্যানে নিয়ে যাওয়া হবে।” আরও জানানো হয়েছে যে, বিশেষ কাঠের খাঁচা, যাতে বায়ু চলাচলের সুবিধা রয়েছে, এমন ধরণের বিমান চিতা আনার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

    আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও (PM Modi birthday)। ফলে এদিনই চিতাগুলিকে ওই পার্কে ছেড়ে দিয়ে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করবেন। ভারতে চিতাদের বাসস্থান ফের গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিশেষ পদক্ষেপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Brahmastra: শাহরুখের ‘বানরাস্ত্র’-এর চরিত্র নিয়ে তৈরি করা হবে আলাদা ছবি! ইঙ্গিত দিলেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ পরিচালক

    Brahmastra: শাহরুখের ‘বানরাস্ত্র’-এর চরিত্র নিয়ে তৈরি করা হবে আলাদা ছবি! ইঙ্গিত দিলেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ পরিচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে অয়ন মুখোপাধ্যায় (Ayan Mukerji) পরিচালিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (Brahmastra)। আর ছবির প্রথম পার্ট ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। তবে এই ছবির প্রধান অভিনেতা রনবীর কাপুর (Ranbir Kapoor) হলেও, মূল আকর্ষণ ছিল কিং খানের (Shah Rukh Khan) ক্যামিও। মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য তাঁকে এই ছবিতে দেখা গেলেও শাহরুখ অনুরাগীদের মনে ঝড় তুলেছে তিনি। তাঁকে অল্প সময়ের জন্য দেখে শাহরুখ ভক্তদের মন ভরেনি। তাই এবারে বাদশাহ-র ভক্তরা এক আলাদাই দাবি করে পরিচালক অয়ন মুখার্জির কাছে।

    এই ছবিতে এক বিজ্ঞানীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। যাঁর নাম মোহন ভার্গব, যিনি ‘বানরাস্ত্র’ (Vanarastra)-এর অধিকারী। আর এই চরিত্রে তাঁকে দর্শকরা আরও দেখতে চান। তাই শাহরুখ অনুরাগীদের দাবি, এবার ডা. মোহন ভার্গব চরিত্র নিয়েই তৈরি হোক পূর্ণদৈর্ঘের একটি সিনেমা। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন ছবির সিক্যোয়েল নয়, প্রিক্যোয়েল তৈরি হোক। যেখানে মোহন ভার্গবের ‘বানরাস্ত্র’-এর শক্তি পাওয়ার আগের জীবনের গল্প বলা হবে। আর এই নিয়েই নতুন ট্রেন্ডে ভরেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে ‘সুপারহিট’ ব্রহ্মাস্ত্র, প্রথম দিনের আয় ছাপিয়ে গেল সঞ্জয়ের ‘সঞ্জু’-র রেকর্ড

    আর শাহরুখ ভক্তদের এই দাবি হয়তো মেনে নিতে চলেছেন পরিচালক নিজেই। কারণ তিনি সংবাদমাধ্যমে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শাহরুখ খানের চরিত্রটি প্রথম অংশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এবং সুপারস্টার অবশ্যই ফিরে আসবেন। তিনি বলেছেন, “অনুরাগীরা বলার আগেই আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছিলাম। ২০১৯-এ যখন শাহরুখের দৃশ্যটির শ্যুট হচ্ছিল, তখনই আমরা ভেবেছিলাম। আমার সহকারীরাও আমার সঙ্গে একমত। তাই আমরা স্পিন অফ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছি। ফলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পরিকল্পনা করছি।“

    প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। বক্স অফিসে ব্যবসা ভালো করলেও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে দর্শকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অনেকেই ছবির ভিএফএক্স নিয়ে প্রশংসা করলেও গল্পকে নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। এখনও পর্যন্ত ভারতে ছবিটি ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। তবে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে এই মনে করা হচ্ছে যে, এই ছবিতে অনেক বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রীরা থাকলেও শাহরুখ খানের চরিত্রই দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পেরেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Asteroid: আজই ধেয়ে আসছে বিমানের আকারের সমান গ্রহাণু ‘২২ আরকিউ’, সতর্ক করল নাসা

    Asteroid: আজই ধেয়ে আসছে বিমানের আকারের সমান গ্রহাণু ‘২২ আরকিউ’, সতর্ক করল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু ধেয়ে আসছে গ্রহাণু (Asteroid)। গ্রহাণুটির নাম Asteroid 22 RQ। সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) প্রকাশ করেছে যে একটি বিশাল গ্রহাণু, যা প্রায় একটি বিমানের আকারের সমান, আজ পৃথিবীর দিকে আসছে। গ্রহাণু ২২ আরকিউ ইতিমধ্যেই পৃথিবীর দিকে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪৯,৫৩৬ কিলোমিটর গতিতে এগিয়ে চলছে।

    নাসা থেকে জানানো হয়েছে যে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের প্রায় ৩৭ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর একেবারে পাশ কেটে চলে যাবে। তবে, নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে, গ্রহাণু ২২ আরকিউ প্রায় ৮৪ ফুট চওড়া এবং এটি একটি বিমানের আকারের প্রায় সমান। তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে। জানা গিয়েছে, সূর্য থেকে গ্রহাণুটির দূরতম বিন্দু ৩২৮ মিলিয়ন কিলোমিটার, এবং সূর্যের নিকটতম বিন্দুটি ১১০ মিলিয়ন কিলোমিটার। গ্রহাণু 2022 RQ-এর  সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ৬৪৮ দিন সময় লাগে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রহাণুটি প্রাথমিকভাবে ১ সেপ্টেম্বর, ২০০-এ আবিষ্কার করা হয়েছিল। এটি প্রধানত অ্যাপোলো গ্রহাণু গোষ্ঠীর সদস্য৷ এই গ্রহাণুটিকে নাসার নিওওয়াইজ টেলিস্কোপের দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটিকে ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার একটি সমীক্ষায় টেলিস্কোপ হিসাবে ব্যবহার করে। এটি পৃথিবীর কাছাকাছি অবজেক্টের অনুসন্ধান করতে, বেশিরভাগ গ্রহাণুর পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। গ্রহাণু, উল্কা এবং বিভিন্ন ধরনের ধূমকেতুকে একত্রে নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট (NEO) বলা হয়।

    গ্রহাণুর টুকরো, ধূমকেতু এবং উল্কাপিণ্ড যেগুলোর আকার সাধারণত ৩ ফুটেরও কম হয় তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত করে এবং এটিকে তখন জ্বলতে দেখা যায়। এই ঘটনাটি কার্যত প্রতিদিন ঘটে। প্রসঙ্গত, নাসা  গত বছর ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (DART) প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্যই হল এমন ধরণের গ্রহাণুর থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো। আর কিছুদিন পরেই, ২৬ সেপ্টেম্বর, নাসার ডার্ট মিশনের মহাকাশযানকে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে ও সেই বিরল দৃশ্য লাইফ স্ট্রিমও করা হবে।  

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

  • Apple: আইফোন ১৪ ছাড়া কী কী লঞ্চ হল অ্যাপেল ইভেন্টে, জানেন?

    Apple: আইফোন ১৪ ছাড়া কী কী লঞ্চ হল অ্যাপেল ইভেন্টে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ জেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে লঞ্চ হল আইফোন ১৪ সিরিজ (iPhone 14 Series)। বহুদিন ধরে অ্যাপেল ইভেন্টের জন্য আশায় বসেছিলেন ‘আইফোন লাভার’। গতকাল, ৭ সেপ্টেম্বর অ্যাপেল ইভেন্টের আয়োজন করেছিল। অনেকদিন ধরেই আইফোন ১৪ সিরিজ নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে এদিন শুধুমাত্র স্মার্টফোন নয়, আইফোনের পাশাপাশি আরও অনেক গ্যাজেট লঞ্চ করেছে। তবে গতকালের এই ইভেন্টে মূল আকর্ষণ ছিল আইফোন ১৪ সিরিজ। ফলে আইফোন প্রেমীদের উৎসাহের কোনও শেষ ছিল না।

    এই ইভেন্টে অ্যাপেল ৪টি মডেলের আইফোন লঞ্চ করেছে। এগুলো হল- আইফোন ১৪ (iPhone 14) এবং আইফোন ১৪ প্লাস (iPhone 14 Plus), আইফোন ১৪ প্রো (iPhone 14 Pro), আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স (iPhone 14 Pro Max)। এর পাশাপাশি লঞ্চ হয়েছে অ্যাপেল ওয়াচ ৮ (Apple watch 8) , অ্যাপেল ওয়াচ এসই (Apple watch SE), অ্যাপেল ওয়াচ আলট্রা (Apple watch Ultra), এয়ারপড প্রো ২ (Airpods Pro 2)।

    অ্যাপেল এই গ্যাজেটগুলোতে কী কী নতুন ফিচার এনেছে, তা বিস্তারিত দেখে নিন-

    আইফোন ১৪

    এই ফোনটিতে আইফোন ১৩ থেকে খুব একটা তফাত নেই। তবে এর মূল্য ৭৯৯ ডলার। প্রায় ৬৩,৭০০ টাকা। এতে A 15 সিস্টেমের চিপ ব্যবহার করা হয়েছে এবং এতে ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। আইফোন ১৪ মডেলে ৬.১ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকতে পারে।

    আইফোন ১৪ প্লাস

    আইফোন ১৪ -এর বড় ভার্সনই হল আইউোন ১৪ প্লাস, এতে ৬.৭ ইঞ্চার ডিসপ্লে রয়েছে। তাছাড়া বাকি সব ফিচার আইফোন ১৪ -এর মতই। iPhone 14 Plus-এর দাম ৮৯৯ ডলার (প্রায় ৭১,৬০০ টাকা) থেকে শুরু হয়েছে।

    আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স

    আইফোন ১৪ প্রো ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স – একটি নতুন ডায়নামিক আইল্যান্ড নচ ডিজাইন নিয়ে এসেছে। আইফোন ১৪ প্রো তে ৬.১-ইঞ্চি ডিসপ্লে ও আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সে ৬.৭-ইঞ্চি ডিসপ্লের থাকবে। উভয়ই অ্যাপল ফোনেই A16 বায়োনিক চিপসেট রয়েছে। এছাড়াও ৪৮ মেগাপিক্সেলের মেন ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ফোনে। আইফোন ১৪ প্রো -এর দাম শুরু হচ্ছে ৯৯৯ ডলার (প্রায় ৭৯,৬০০ টাকা), যেখানে আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স এর দাম শুরু হচ্ছে ১০৯৯ ডলার (প্রায় ৮৭,৬০০ টাকা)।

    আরও পড়ুন: নিলাম হল ২০০৭ সালের প্রথম প্রজন্মের আইফোন! দাম শুনলে অবাক হবেন…

    অ্যাপেল ওয়াচ ৮

    এই ওয়াচে থাকবে অল ডে ব্যাটারি লাইফ।  এর দাম শুরু হবে  ৩৯৯ ডলার (প্রায় ৩১,৮০০ টাকা) থেকে। কেবল GPS  ফিচার এই দামে পাওয়া যাবে। এছাড়াও স্লিপ ট্র্যাকিং, ইসিজি, ব্লাড অক্সিজেন ট্র্যাকিং ছাড়াও টেমপারেচার ট্র্যাকিং থাকছে এই ওয়াচ সিরিজে। মহিলাদের পিরিয়ড সাইকেলের বিষয়েও সতর্ক করবে এই স্মার্টওয়াচ।

    অ্যাপেল ওয়াচ এসই

    সিরিজ ৮-এর মতো একই মোশন সেন্সর, ক্র্যাশ ডিটেকটর বৈশিষ্ট্যগুলিও রয়েছে৷ GPS -এর জন্য এটির দাম ২৪৯ ডলার অর্থাৎ প্রায় ১৯,৯০০ টাকা।

    অ্যাপেল ওয়াচ আলট্রা

    অ্যাপলের দাবি, সবথেকে টেকসই স্মার্টওয়াচ হতে চলেছে আল্ট্রা। এর দাম শুরু হচ্ছে ৭৯৯ ডলার (প্রায় ৬৩,৭০০ টাকা) থেকে।

    এয়ারপডস প্রো ২

    অ্যাপেল সংস্থা তাদের লঞ্চ ইভেন্টে নতুন এয়ারপডস প্রো ২ লঞ্চ করেছে। এতে স্প্যাশিয়াল অডিও এবং আরও ভাল নয়েজ ক্যানসেলেশনের প্রযুক্তি ছাড়াও আরও অনেক বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়েছে। AirPods Pro 2-এর দাম রাখা হয়েছে ২৪৯ ডলার (প্রায় ১৯,৯০০ টাকা)। এটির ৬ ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share