Author: নিমাই দে

  • Indians On Marriage: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    Indians On Marriage: অবিবাহিত থাকতেই বেশি পছন্দ করেন ভারতীয়রা! সমীক্ষায় উঠে এল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ নিয়ে ভারতীয়দের কি মতামত তা নিয়ে এক আশ্চর্যজনক তথ্য উঠে এসেছে। সরকার দ্বারা একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতীয়রা বিয়ে করার থেকে না করাকেই বেশি মত দিয়েছেন। সমীক্ষায় এমনও ধরা পড়েছে যে, গত কয়েক বছরের থেকে বর্তমানে বিবাহিতের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে অনেক কম। বেশিরভাগ ভারতীয়রাই এখন অবিবাহিত থাকতেই পছন্দ করছেন।

    সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অবিবাহিতের সংখ্যা ১৭.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশে পরিত হয়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের (National Statistical Office) রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে অবিবাহিত যুবকদের সংখ্যা ২০.৮ শতাংশ থেকে ২৬.১ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ও অবিবাহিত মেয়েদের সংখ্যা ১৩.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯.৯ শতাংশ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৫ বছরেই মেয়ের বিয়ে! মুসলিম আইন অনুযায়ী সম্মতি আদালতের

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী দেখা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। এরপরেই উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি ও পাঞ্জাবের অবস্থান। যেসব জায়গায় অবিবাহিতের সংখ্যা কম রয়েছে, সেগুলো হল- কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ।

    অবিবাহিতের সংখ্যা তো ক্রমশ কমেই চলেছে। তবে রিপোর্টে এও দেখা গিয়েছে যে, কম বসয়েই বা তাড়াতাড়ি বিয়ে করার প্রবণতাও এখন কমে এসেছে। কম বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা অনেকটাই কমে এসেছে ভারতীয়দের মধ্যে। এছাড়াও ভারতে পুরুষরা মহিলাদের থেকে বেশি বয়সেই বিয়ে করে থাকে।

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?

    তবে এর ফলে সমাজে এক ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে। কারণ ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সালে ১৮ বয়সের আগে বিয়ে করার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে কম বয়সে গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতাও কমে এসেছে। এর হার কমে ১৬ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গিয়েছে।

  • Gandhi Statue Vandalized: ফের ভাঙা হল গান্ধীজির মূর্তি, তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    Gandhi Statue Vandalized: ফের ভাঙা হল গান্ধীজির মূর্তি, তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে গান্ধী মূর্তি ভাঙার চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল। এবার কানাডার (Canada) ওন্টারিও (Ontario’)-এর রিচমন্ড হিলে (Richmond Hill ) মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) একটি মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা। কানাডায় গান্ধী মূর্তির অবমাননার এই ঘটনায় বুধবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত (India)। গতকালের এই ঘৃণ্য ঘটনার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত।

    ভারতের হাই কমিশন (Indian High Commission) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্যুইট করে লেখেন, ‘এই ঘৃ্ণ্য কাজ করে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত আনার জন্যে আমরা ক্ষুব্ধ। এই অপরাধটি ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়েছে। আমরা কানাডা সরকারকে এই ঘটনার তদন্তের জন্য এবং অপরাধীদের যথাযোগ্য বিচারের জন্য দাবি জানিয়েছি।’

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    ইয়র্ক স্থানীয় পুলিশের (York Regional Police) মুখপাত্র কনস্টেবল অ্যামি বউড্রিউ (Const. Amy Boudreau) জানিয়েছেন, এটি একটি ঘৃণ্য ঘটনা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘যারা জাতি, ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, বয়স, পরিচয়ের ভিত্তিতে অন্যদের আঘাত করেছে, তাদের যথাযোগ্য সাজা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ইয়র্ক স্থানীয় পুলিশ কোনও ধরনের ঘৃণ্য অপরাধকে বরদাস্ত করে না।‘

    প্রসঙ্গত, প্রায় ৩০ বছর আগে ওই গান্ধি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এদিন কানাডার ভারতীয় দূতাবাসও ট্যুইট করে লেখে, ‘রিচমন্ড হিলের কাছে বিষ্ণু মন্দিরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির অবমাননায় আমরা ক্ষুব্ধ। এই অপরাধমূলক, ঘৃণ্য ভাঙচুরের ঘটনা কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের আবেগে গভীরভাবে আঘাত করেছে। এই কাজের তদন্তের জন্য আমরা কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

    আরও পড়ুন: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, গান্ধী মূর্তি ভাঙচুরের এটি নতুন ঘটনা নয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে ভাঙা হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর ব্রোঞ্জের মূর্তি। 

  • Sri Lanka Crisis: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?

    Sri Lanka Crisis: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। বিক্ষোভকারীদের জন্যে ঘর-ছাড়া খোদ শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি। অন্যদিকে প্রবল গণ-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রনিল বিক্রমসিংঘে (Ranil Wickremesinghe)। শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে তিনি পদত্যাগ করেন। কিন্তু পদ ছেড়েও স্বস্তিতে নেই প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ১৯৪৮ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের (Economic Crisis) মধ্যে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যেই  শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা (Sri Lankan Protesters) রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ (Mansion) থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেছে, উদ্ধার হওয়া অর্থ নিরাপত্তা ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার সকালেই বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksha) সরকারি বাসভবন বা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবনের দখল নিয়েছে। এমনকি সুইমিং পুল ও রান্নাঘরের দখল নিয়েও সেখানকার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু তারপরই রাজাপক্ষের দেশ ছাড়ার একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার নৌ বাহিনীর বিশেষ জাহাজে করেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কলম্বো বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জাহাজে তিন জন বড় বড় সুটকেস তুলছে। যেগুলি রাজাপক্ষের বলে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কলম্বো বন্দরের (Colombo Port) হারবার মাস্টার (Harbour Master) বলেছেন, একটি দল এসএলএনএস সিন্দুরালা (SLNS Sindurala) ও এসএলএনএস গজবাহুতে (SLNS Gajabahu) চড়ে বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তিনি এখন কোথায় গিয়েছেন তার হদিশ মেলেনি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বিক্ষোভ চলাকালীন তিনি শ্রীলঙ্কা সেনা হেডকোয়ার্টারে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমানে কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।

    [tw]


    [/tw]

    এই বিক্ষোভে পথে নেমেছেন শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya) ও রোশন মহানামা (Roshan Mahanama)। তাঁরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নিয়ে সরব হয়েছেন। ট্যুইটারে #gohomegota লিখে প্রতিবাদ করছেন ও শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিিতির জন্য অনেকটাই চিন দায়ী। ২০১০ সাল থেকেই শ্রীলঙ্কায় আর্থিক দুর্দশা দেখা যায় এরপর ২০১৯ সালে তা চরম সঙ্কটের মুখে পড়ে। কলম্বো ও হাম্বানটোটা বন্দরকে ১০০ বছরের জন্যে চিনের কাছে লিজে রেখেছিল শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে চিন এই দেশকে ঋণ কূটনীতির ফাঁদে (Debt Trap Diplomacy) ফেলেছে যাতে শ্রীলঙ্কার ওপর পুরো কন্ট্রোল নেওয়া যায়। চিন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম ঋণদাতা (Lender)। আর এই দ্বীপ রাষ্ট্রের মোট ঋণের ১০ শতাংশ এসেছে বেজিংয়ের থেকে। এই ঋণে ভারসাম্য না-থাকার কারণেই সঙ্কট মারাত্মক আকার নিয়েছে। সমস্যা মেটানোর জন্য বিদেশি সাহায্য চাইতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর ফলে চিনের উপর দেশটির নির্ভরতা বেড়েছে, যে কারণে ঋণের বোঝাও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। আর পরিস্থিতিও খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছে। চিনের ঋণ ফাঁদ ছাড়াও সরকার চালানোয় অক্ষমতা, স্পষ্টতার অভাব ইত্যাদির কারণে শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। চিনের কাছে শ্রীলঙ্কার মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি ডলার, যা তার মোট বৈদেশিক ঋণ ৪৫০০ কোটি ডলারের প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ। এই বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে চিনের পাওনা প্রায় ১৫০ কোটি থেকে ২০০ কোটি ডলার। ভারত শ্রীলঙ্কাকে ঋণের থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহায়তা করে থাকলেও শ্রীলঙ্কা এমনই ঋণ ফাঁদে পড়েছিল যে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরেও এই দেশের অবস্থা ঠিক করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন যে, চিন নিজেই শ্রীলঙ্কাকে ঋণের ফাঁদে ফেলে পরে সাহায্য করতে আসলেও তা সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করছে। ‘ঋণ কূটনীতি’ ব্যবহার করেই বিশ্ব জুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে তাদের উপর আরও নির্ভরশীল করে তুলছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। সুতরাং অনেক দেশেরই এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, চিন কীভাবে শ্রীলঙ্কাকে ঋণ ফাঁদের জালে ফেলে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে।

  • Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    Father-Daughter: পিতা-কন্যার যুগলবন্দী! ভারতীয় বায়ুসেনায় একসঙ্গে যুদ্ধবিমান চালিয়ে গড়ে তুললেন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবাকে আদর্শ করে তাঁর দেখানো পথে হাঁটতে পৃথিবীর সব মেয়েই চান। আবার বাবার পেশাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার স্বপ্ন অনেকেই দেখে থাকেন। তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে খুব সংখ্যক কেই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতীয় বায়ুসেনায় একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ালেন বাবা-মেয়ে। আকাশে বিমান ওড়ানোর এই ঘটনাটি বর্তমানে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আর বাবা-মেয়ের যুগলবন্দীতে বিমান ওড়ানোর মুহূর্তটি ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। একই ফাইটার জেট আকাশে ওড়ালেন বাবা-মেয়ের জুটি। প্রথমবার এমন নজির দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force)।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় আধিকারিক পদে রয়েছেন সঞ্জয় শর্মা (Sanjay Sharma)। আর মেয়ে অনন্যা শর্মা (Ananya Sharma) ফাইটার পাইলট হিসেবে ২০২১ সালে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। এবার অনন্যা শর্মা ও তাঁর বাবা ভারতীয় বিমান বাহিনীতে এক ইতিহাস তৈরি করেছেন। বাবা এবং ছেলের একসঙ্গে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর দৃশ্য আগে অনেকবার দেখা গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনায়। কিন্তু বাবা আর মেয়ের জুটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি৷ আর এবার সেই শূন্যতাই পূরণ করলেন বায়ুসেনা আধিকারিক সঞ্জয় শর্মা এবং ফ্লাইং অফিসার অনন্যা শর্মা।

    ছোট থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে দেখেছেন ভারতীয় বায়ুসেনায় বিমান চালাতে। আর সেই থেকেই তাঁর মনেও একইরকম হওয়ার ইচ্ছে ছিল। এমনকি এই পেশা ছাড়া অন্য কোনও পেশার কথা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি। এমনটিই জানিয়েছেন অনন্যা। কিন্তু তাঁর এই পথ এতটাও সহজ ছিল না। কারণ আগে মেয়েদের জন্য বিমান ওড়ানোর অনুমতি ছিল না। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথম মেয়েদের ফাইটার পাইলট হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশনে অনন্যা বি টেক সম্পন্ন করে আইএএফ-এর ফ্লাইং শাখার প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। এরপরেই তিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একজন ফাইটার পাইলট হিসেবে নিযুক্ত হন। অন্যদিকে ১৯৮৯ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনাতে কর্মরত আছেন তাঁর বাবা সঞ্জয় শর্মা ।  

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রথম তিনদিনেই জমা ৫৬,৯৬০টি আবেদন!

    চলতি বছরের ৩০মে এই পিতা-কন্যার যুগলবন্দীতে যুদ্ধ বিমান চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন এই জুটি।

     

  • Health Tips: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    Health Tips: ব্যায়াম শুরুর আগে ব্যাস এক চিমটে নুন, তাতেই কেল্লা ফতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জানেন কি ওজন (weight) কমানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লবণ বা নুন (salt)। দেহের অতিরিক্ত ওজনের ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। ফলে ওজন কমাতে লবণ বিশেষ উপকারী। অতিরিক্ত ওজন কমাতে পরিমাণমতো লবণ খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ শুধুমাত্র ওজন কমানোর ক্ষেত্রেই নয় এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে জল ধরে রাখার পক্ষেও সহায়ক। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকলে অনেকক্ষণ এনার্জিও ধরে রাখা যায়। ক্লান্তি আসে না সহজে। ফলে অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করা যেতে পারে ।

    তবে এখন প্রশ্ন হলো– কতটুকু লবণ খাবেন বা কখন খাবেন? বিশেষজ্ঞদের মতে,  ব্যায়াম করার আগে একচিমটে লবণ বা লবণ মিশ্রিত জল খেলে তা বেশী কার্যকর। ব্যায়াম করার আগে লবণ খাওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ হল-

    আরও পড়ুন: ভাত খেয়েও ওজন কমাতে চান? জেনে নিন এই পাঁচটি টিপস

    ১) যেহেতু লবণ শরীরে লবণ ধরে রাখতে পারে তার জন্য ব্যায়াম করার সময়ে ঘাম ঝড়লেও শরীরে জলের শূন্যতা হয় না।

    ২) লবণ শরীরে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। ফলে ব্যায়াম করার সময়ে হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

    ৩) ব্যায়াম করার সময়ে পেশীতে ব্যথা হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়।

    ৪) লবণ শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে এনার্জি থাকার ফলে অনেক সময় ধরে ব্যায়াম করা যায়। 

    ৫) লবণ যেহেতু রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে জল ধরে রাখার পক্ষেও সহায়ক, সেই কারণে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

    ৬) ব্যায়াম করার সময়ে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রন রাখতে সাহায্য করে লবণ ফলে ব্যায়াম করার সময়ে এনার্জির কমতি হয় না।

    ৭) রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকায় হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকে। ব্যায়াম করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

    ৮) লবণ খাওয়ার ফলে ব্যায়াম করার সময় ক্লান্তি কম হয়, তাই দেহের ধৈর্যশক্তিও বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেকক্ষণ ধরে ব্যায়াম করা যায় ও ওজনও কমানো যায়।

    আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের এই ৫ ফল যা খেলে কমতে পারে ওজন, দেখুন

     

  • Sara Ali Khan: লন্ডন যাপন সারার, সঙ্গে পরিবার

    Sara Ali Khan: লন্ডন যাপন সারার, সঙ্গে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরো বলিউড (Bollywood) পৌঁছে গিয়েছে লন্ডনে (London)। এর মধ্যে ব্যতিক্রম নন সারা-সইফ-করিনাও। তাঁরাও পৌঁছে গিয়েছেন ছুটি কাটাতে। সইফ কন্যা সারা আলি খান (Sara Ali Khan) গতকালই তাঁর বাবা ও ভাইদের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। দারুণ ফুরফুরে মেজাজে ছুটি কাটাচ্ছেন তাঁরা। সারা, তাঁর বাবা ও ভাইদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হতে শুরু করেছে।

    তৈমুরের সঙ্গে সারার সম্পর্ক বেশ ভালোই। মাঝে মধ্যেই তাঁদের নানা পোস্ট দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। কিন্তু এবার তৈমুরকে নিয়ে নয়, তাঁদের সবচেয়ে ছোট ভাই জেহ খানের (Jeh Ali Khan) সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন সারা। এবার শুধু সারাই নেই তাঁর ভাই ইব্রাহিম আলিও (Ibrahim Ali) রয়েছেন সঙ্গে। সারা ছবির ক্যাপশনে ‘পাটৌদি’ (Pataudis) বংশের কথাও উল্লেখ করেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CftkR2vo5YG/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    প্রথমে একটি ছবিতে দেখা যায়, করিনা ও সইফের পুত্র জেহ আলি খানের দিকে সারা ও তাঁর ভাই ইব্রাহিম। কোলে একরত্তিকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে জেহও তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করছেন। এই ছবিটি তোলা হয়েছে লন্ডনের গ্রোসভেনর স্কোয়ার (Grosvenor Square) পার্কে। আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সারা ও ইব্রাহিম তাঁদের বাবা সইফের সঙ্গেও ছবি তুলেছেন। এর থেকেই বোঝা যায়, লন্ডনের ওই পার্কে বাবা ও তাঁর তিন ছেলে মেয়ে খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছিলেন। সইফের বোন সাবা পাটৌদিও (Saba Pataudi) তাঁর ইনস্টাগ্রামে তাঁদের ছবি শেয়ার করেছেন।

    সারা, ইব্রাহিম ও অন্যদিকে সইফ, করিনা বিগত কয়েকদিন ধরেই লন্ডনে রয়েছেন ও তাঁদের ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সারা একদিকে ইব্রাহিমের সঙ্গে লন্ডনের রাস্তায় ছবি তুলে সেটি শেয়ার করেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfoE6q-orgw/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    অন্যদিকে লন্ডনে খোলা আকাশের নীচে এক ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটাচ্ছিলেন করিনা-জেহ। আকাশে রামধনু উঠেছে। ছেলে জেহকে কোলে নিয়ে রামধনুর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি।

    [insta]https://www.instagram.com/p/CfgXx-lIYr_/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta] 

     

  • R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    R Madhavan: চরিত্রের প্রয়োজনে ভেঙেছিলেন নিজের চোয়াল! খোলসা করলেন আর মাধবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি কখনো  ইসরোর(ISRO) বৈজ্ঞানিক নাম্বি নারায়নের (Nambi Narayan) নাম শুনেছেন, যাঁকে গুপ্তচরবৃত্তির মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল?‌ আপনি না জেনে থাকলেও এবার জানতে পারবেন কারণ বলিউড অভিনেতা আর মাধবন (R Madhavan) তাঁরই গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। কারণ আর মাধবন ‘‌রকেট্রি:‌ দ্য নাম্বি এফেক্ট’ (Rocketry: The Nambi Effect) ‌-এর  মাধ্যমে নাম্বি নারায়নের জীবনকাহিনী তুলে ধরবেন। মাধবন এই ছবির মাধ্যমেই তাঁর পরিচালনার প্রথম কাজ শুরু করতে চলেছেন ও এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতাও তিনি। পরিচালনা ও অভিনয় ছাড়াও তিনি সিনেমার গল্প ও গান লিখেছেন।

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে মুক্তি পেল ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর ট্রেলার

    তবে আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিনেমার জন্য মাধবন কী কী করেছেন। মাধবন এক সংবাদ মাধ্যমে নিজেকে নাম্বি নারায়ণ  গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন। তিনি এই সিনেমায় নাম্বি নারায়ণের মত লুকস আনার জন্যে নিজের চোয়াল পর্যন্ত ভাঙতে রাজি হয়েছেন। মাধবনের দাঁতও যাতে  নাম্বি নারায়ণের মত দেখতে হয় তার জন্য তিনি এই কাজ করেছেন। তাঁর এটি করতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর লেগেছে। তবে আর মাধবনের এটিই প্রথম ও শেষ পরিচালনা। কারণ তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবেই দেখতে চান। 

    আরও পড়ুন: বলিউড মাদক মামলায় এনসিবির খসড়া চার্জশিটে উঠল রিয়া, সৌভিকের নাম

    তিনি আরও জানিয়েছেন যে  এই সিনেমা পরিচালনার জন্য অন্য পরিচালক ছিল। কিন্তু সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার এক মাস আগে পরিচালক এই সিনেমা পরিচালনা করতে না পারায়, শেষপর্যন্ত তাঁকেই এই দায়িত্ব নিতে হয়। এবং এই সিনেমাটি করে তিনি দৃঢ়বিশ্বাসী যে তিনি ছবিতে নাম্বির জীবনকাহিনী কে ঠিক পথেই তুলে ধরতে পেরেছেন। তিনি কখনোই নিজেকে পরিচালক পদের জন্য যোগ্য, এই বিষয়টি প্রমাণ করতে চাননি। প্রথম থেকেই তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নাম্বি নারায়ণের জীবনের গল্পকে ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরা।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমাটি। হিন্দির পাশাপাশি তেলুগু, কন্নড় এবং মালায়ালম ভাষাতেও দেখা যাবে ছবিটি। 

  • Mobile Price: সুখবর! এবছরের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম

    Mobile Price: সুখবর! এবছরের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  যাদের মোবাইল ফোনের অনেক শখ বা যারা এর মধ্যেই নতুন মোবাইল ফোন কিনতে চলেছেন তাঁদের জন্য সুখবর। কারণ এবারের উৎসবের মরশুমে কমতে চলেছে মোবাইল ফোনের দাম। আর সবচেয়ে খুশীর বিষয় হল মোবাইলের দাম অনলাইন ও অফলাইন, উভয় জায়গা তেই কমতে চলেছে, বাজারের বিশ্লেষকেরা এমনটাই বলছেন। কারণ, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং তার জেরে স্মার্টফোনের চাহিদা কমে গিয়েছে যার জন্যে প্রতিটি ফোন তৈরি করার কোম্পানিরই ফোনের স্টক বেড়ে গিয়েছে। তাই সেই স্টক ফাঁকা করার জন্যই মোবাইল ফোনের দাম কমতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যায় পতন, কোন সংস্থা কত লোকসানে?

    এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ২০২২-এর উৎসবের মরশুমে ভারতীয় বাজারে মোবাইল ফোনের জন্য ধামাকাদার ছাড় আসতে চলেছে। এমনকি অনলাইনে ডিসকাউন্টের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হবে।

    একটি তথ্যে জানা যায়, ভারতের দ্বিতীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা Samsung-এরই প্রায় ৫০ বিলিয়ন স্মার্টফোন স্টকে  রয়েছে। যদিও সংস্থার তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। চলতি বছরের প্রথমের দিকে মুদ্রাস্ফীতি-সহ আর্থিক অবনতির কারণে মোবাইল ফোনের তেমন বিক্রি হয়নি । এবার সেই ঘাটতিই পূরণের চেষ্টা করে চলেছে মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি।  ডিসকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন ও অফলাইনে ইএমআই-এ স্মার্চফোন কেনার সুযোগ করেছে কোম্পানীগুলো। 

    আরও পড়ুন: সাধের ফোনটিকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? এই রইল উপায়

    এক বিশেষজ্ঞ জানান, চাইনিজ ফোনেরও তেমন বিক্রি হয়নি এখনও পর্যন্ত। ফলে তারও স্টক আছে। অনুমান করা হচ্ছে যে, প্রায় ৫০ থেকে ৮০ মিলিয়ন হ্যান্ডসেট অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে চাইনিজ ফোনের একটা বড় স্টক ভারতের বাজারে আসতে পারে। তবে এটাও ঠিক, ভারতীয় বাজারে অবিক্রিত স্মার্টফোনের পুরোটাই বিক্রি হবে না। যদিও আর্থিক পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের প্রথমার্ধে তেমন বিক্রি হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে যে,  বিভিন্ন ডিসকাউন্টের জন্য এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোনের চাহিদা ও বিক্রি  দুইই বৃদ্ধি  পেতে পারে।

  • GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    GSAT-24 Satellite: ফরাসি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি ভারতীয় GSAT-24 উপগ্রহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হল দেশীয় জিস্যাট-২৪ (GSAT-24) কৃত্রিম উপগ্রহকে। বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানায় (French Guyana) অবস্থিত কুরু (Kourou) উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে ফরাসি সংস্থা আরিয়ানস্পেসের (Arianespace) আরিয়ান-৫ (Ariane-5) রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিস্যাট-২৪।

    ভারত সরকারের মহাকাশ দফতরের অধীনস্থ সংস্থা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের (NSIL) জন্য এই উপগ্রহ তৈরি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো (ISRO)। জানা গিয়েছে, এই উপগ্রহের সমগ্র ক্ষমতা বা টাটা প্লে-কে (Tata Play) লিজ দেওয়া হয়েছে। ইসরো-র দাবি, এর ফলে, ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হবে।

    আরও পড়ুন: আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    কী এই জিএসএটি (GSAT)?

    GSAT-এর পুরো নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট (Geosynchronous Satellite)। GSAT-24 একটি 24-Ku ব্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বা যোগাযোগ উপগ্রহ যার ওজন ৪ হাজার ১৮০ কেজি। সারা ভারতে ডিটিএইচ (DTH) অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটানোর জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই উপগ্রহটি সাধারণত বিভিন্ন তথ্য, অডিও, ভিডিও ব্রডকাস্টিং-এর জন্য ব্যবহার করা হবে। এই জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর (Earth) উচ্চ কক্ষপথে (High Orbit) স্থাপন করানো হয়েছে যাতে, উপগ্রহটি পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

    কীভাবে এই স্যাটেলাইটটি কমিউনিকেশনকে প্রভাবিত করবে?

    নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড থেকে জানানো হয়েছে যে, GSAT-24  বেশি পরিমাণে ডিটিএইচ চ্যানেলগুলি সরবরাহ করবে ফলে টিভি দেখা অনেক বেশি ভালো হবে। এছাড়াও ডিজিটালে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধে হবে, ডিজিটাল সিনেমা, তথ্য ট্রান্সফারের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি দেখা যাবে। ডিটিএইচ অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মেটাতে এই স্যাটেলাইটটি সাহায্য করবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদ ও মঙ্গলের পর এবার শুক্রগ্রহে অভিযান চালাবে ইসরো

    NSIL-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর (CMD) রাধাকৃষ্ণন দুরাইরাজ (Radhakrishnan Durairaj) জানান, এই স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্ত খরচ এনএসআইএল থেকে দেওয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট, লঞ্চ, পরিবহন, লঞ্চ ক্যাম্পেইন ইত্যাদির যাবতীয় খরচ NSIL বহন করেছে।

  • Arunachal Landslide Tragedy: মর্মান্তিক ঘটনা! অরুণাচলে ভূমিধসে মৃত্যু ১৬ বছরের কিশোরের

    Arunachal Landslide Tragedy: মর্মান্তিক ঘটনা! অরুণাচলে ভূমিধসে মৃত্যু ১৬ বছরের কিশোরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে অসম (Assam) ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। অসমের নগাঁও (Naogaon) জেলার কামপুর (Kampur) এলাকায় বন্যা(flood) পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়েছে। সেখানে অনেক গ্রাম জলের তলায়। এদিকে অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিধস (landslide) নামায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বহু মানুষ। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী ছেলেটির মৃত্যু মর্মান্তিক।

    আরও পড়ুন:বানভাসি আসাম, ৭ জেলা ভাসছে জলে

    খবরসূত্রে জানা যায়, ছেলেটির নাম রেজ হিল্লি (Rage Hilli) ও অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) পশ্চিম সিয়াং(West Siang) জেলার কেয়াক(Keyak) গ্রামের বাসিন্দা। বক্সিং ট্রায়ালের বাছাই পর্বে  যাওয়ার পথে সুদ (Sood) নামক গ্রামের কাছে ধস নামায় সেখানেই জীবন্ত অবস্থায় মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তার দেহ উদ্ধার করেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। প্রবল বৃষ্টির জেরেই সেখানে ধস নামায় এই পরিস্থিতার সৃষ্টি হয়েছে।

    পুলিশসূত্রে জানা যায়, রেজ হিল্লি ও তার বন্ধু তাই আবু (Tai Abu) রাজিব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়(Rajiv Gandhi University) থেকে তারা বক্সিং ট্রায়ালে যাওয়ার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। তখন মৃতের বন্ধু নিজে বেঁচে গেলেও তার বন্ধুকে বাঁচাতে পারেনি ও মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে আসামসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

    এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা কুন্ডু (Pema Kundu) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে লিখেছেন, ১৬ বছর বয়সী বক্সার(Boxer) রেজ হিল্লির মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত। হিল্লি নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল ও পরে দেশসেবার কাজে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিল। তিনি নিহতের পরিবারের জন্য শোকাহত ও এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে রয়েছেন। এর পাশাপাশি, অন্যান্যদের বৃষ্টির জন্যে সতর্ক থাকতে বলেছেন ও যেখানে ধস নামতে পারে এমন জায়গা এড়িয়ে যেতে বলেছেন।

LinkedIn
Share