Author: নিমাই দে

  • World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    World Heart Rhythm Week: জানুন , কেন পালন করা হয় ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অ্যারিথমিয়া (Arrhythmia)সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও হৃদস্পন্দন (Heart beat) মানব শরীরে স্বাভাবিক আছে কিনা এই সতর্কবার্তা দিতে বিশ্বব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট হৃদম উইক’ ৬ ই জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত পালন করা হয়।   কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কী এই অ্যারিথমিয়া। নীচে এই বিষয়েই বিস্তারিত বলা হল-

    অ্যারিথমিয়া কী?

    এককথায় বলতে গেলে, অ্যারিথমিয়া হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যা। অর্থাৎ নানা কারণে আমাদের হৃদস্পন্দর অনিয়মিত হয়। কখনও দ্রুত হৃদস্পন্দন চলে। কখনও আবার খুব ধীরে চলে। অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সমস্যাকেই অ্যারিথমিয়া বলা হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি মিনিটে সাধারণ হৃদস্পন্দন ৬০-১০০ বিট। স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন বেশী হলে একে বলা হয় ট্যাচিকার্ডিয়া(Tachycardia) ও স্বাভাবিকের চেয়ে হৃদস্পন্দন কম হলে একে বলা হয় ব্যাডিকার্ডিয়া (Bradycardia)। তবে কখনও কখনও এই সমস্যা আমাদের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। আবার কখনও কখনও স্ট্রোক, ব্ল্যাকআউট কিংবা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অ্যারিথমিয়া।

    আরও পড়ুন: কার্ডিওভাস্কুলার সহনশীলতা কী? কোন ব্যায়ামগুলি আপনার হার্টের পক্ষে ভালো?

    হৃদস্পন্দন অনিয়মতার কারণ কী?

    বুক ধড়ফড় করলে হৃদস্পন্দনে অনিয়মতা দেখা যায়। হৃদস্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটলেই বুকে ধড়ফড়ানি শুরু হয় ও ফলে অ্যারিথমিয়া রোগটি দেখা যায়। এর ফলে অনেকসময় কার্ডিওভাসকুলার ডিসওর্ডার দেখা যায়।

    এটির প্রধান লক্ষ্মণগুলো কী কী?

    অ্যারিথমিয়ার প্রধান উপসর্গগুলো হল-

    • বুক ধড়ফড় করা
    • ক্লান্তিভাব
    • বুক ব্যথা
    • শ্বাসকষ্ট
    • মাথা ঘোরা

    এই রোগটি কীভাবে ধরা যায়?

    এই রোগ ইসিজি (electrocardiogram )-র মাধ্যমে বোঝা যায়। এটির মাধ্যমে কোনও ব্যক্তির হৃদস্পন্দন সম্পর্কে জানা যায়।

    আরও পড়ুন: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চান? রোজ পাতে রাখুন এই খাবারগুলো

    হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে কী কী করণীয়?

    প্রথমেই যা করণীয় তা হল আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়াম করা, মদ, কফি সেবন না করা। এছাড়াও আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা মেনে চলা উচিত। নিয়মিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো দরকার। আবার হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করাও দরকার। তবে যদি প্রায়শই এমন সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

  • Instagram New Feature: এবার ইনস্টাগ্রাম রিলস হবে আরও মজাদার, আসতে চলেছে একাধিক নতুন ফিচার

    Instagram New Feature: এবার ইনস্টাগ্রাম রিলস হবে আরও মজাদার, আসতে চলেছে একাধিক নতুন ফিচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছবি এবং ভিডিও শেয়ারের জন্যই বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম (Instagram)। আর যতদিন যাচ্ছে ততদিন ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এবার এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের (Social Media) একটি ফিচার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেটি হল ইনস্টাগ্রাম রিলস (Instagram Reels)। চিনা অ্যাপ টিকটক ব্যানের পর থেকেই এই তরুণ প্রজন্ম ইনস্টাগ্রামের রিলসেই মেতে উঠেছেন। এবার তাই এই রিলসকে আর বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুর ফিচার আনতে চলেছে ইনস্টাগ্রাম। রিলস পোস্টের ক্ষেত্রে আরও বেশি সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা, এমনটাই জানানো হয়েছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষের তরফে।

    আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামের ‘মেকওভার’! লোগো পরিবর্তন! জেনে নিন কী কী পরিবর্তন এসেছে ইনস্টাগ্রামে..

    এবারে কোনও ব্যক্তির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট যদি পাবলিক হয়, তবে সেই পাবলিক অ্যাকাউন্টের ছবি অন্য কোনও ব্যক্তি তাঁর রিলসে ব্যবহার করতে পারবেন। রিলস রিমিক্স করার জন্য সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধুমাত্র ছবি নয়, পাবলিক অ্যাকাউন্টের ভিডিও অন্য কেউ তাঁর রিলসে ব্যবহার করতে পারবে। ফলে একজনের রিলসের সঙ্গে অন্যজনের রিলসের রিমিক্স করা সহজ হবে। তবে, এই রিলসের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সুতরাং যারা এই নতুন ফিচারে খুশী নন, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুখবর। কারণ আপনি যদি না চান যে আপনার ছবি বা ভিডিও অন্য কেউ ব্যবহার করুক, তার জন্য আপনি অ্যাকাউন্ট সেটিং এ গিয়ে রিমিক্স করার অপশনটি বন্ধ করে রাখতে পারেন। ফলে আপনার ইচ্ছে ছাড়া কেউই আপনার কোনও ছবি বা রিলস অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

    আরও পড়ুন: নম্বর সেভ না করেই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো যায় মেসেজ? জেনে নিন পদ্ধতি

    তবে এখানেই শেষ নয়, আরও একটি ফিচার আসতে চলেছে ইনস্টাগ্রামে। সেটি হল, এখন থেকে ১৫ মিনিটের কম সময়ের যেকোনও ভিডিও ইনস্টাগ্রামে রিলস হিসেবে আপলোড করা যাবে। খুব শীঘ্রই এই নতুন পরিবর্তন ইনস্টাগ্রামে দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত বর্তমানে ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত ভিডিও রিলস হিসেবে আপলোড করা যায় এই প্ল্যাটফর্মে। কিন্তু এবার এই অ্যাপটির তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ মিনিটের কম যে সমস্ত ভিডিও ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা হয়, তা এবার সরাসরি শেয়ার করা যাবে রিলসেও। ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে এরকমই অনেক নতুন নতুন ফিচার ইনস্টাগ্রাম রিলসে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

     

  • Partha Chatterjee: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির

    Partha Chatterjee: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব। হাসপাতালে পার্থ ডনের মত আচরন করছেন। ইডিকে ধমকাচ্ছেন। সওয়াল ইডির আইনজীবীর। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে সরাতে চেয়ে ইডির আর্জি, শুনানি শুরুতেই কলকাতা হাই কোর্টে ইডি আইনজীবীর সওয়াল। এসএসকেএম হাসপাতালে গেলে ইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না ইডির সঙ্গে।

    শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁকে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ইডি সূত্রের খবর, পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার যে নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত, তাতে তারা ‘অসন্তুষ্ট’। নিয়ম মেনে শুনানি হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই দিন রাতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। রবিবার সকালে শুরু হয় শুনানি। 

    ইডির দাবি, আইনজীবী সওয়াল করেন স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশেই তদন্ত হচ্ছে। দু’দিন আগে ২১ কোটির বেশি টাকা এবং ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। নিম্ন আদালতে জামিন বাতিল হয়েছে। সোমবার ফের আদালতে তোলা হবে মামলা। এই নির্দেশের পর এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ হয়। সেখানে ইডির কথা শোনাই হয়নি। অথচ, নিম্ন আদালতে তাঁকে তোলার আগে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেয়। তারপরও চিকিৎসায় বাধা দেয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু বার বার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালেই কেন? এই হাসপাতালে চিকিৎসার নামে দুর্নীতি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।’’ 

    মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ বলে জানিয়েছে আদালত। ইডির দাবি, “…নিজের পছন্দমাফিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক্তিয়ার এই মুহূর্তে তাঁর নেই। আসলে, অসুস্থ হওয়ার নাটক করছেন পার্থ।”

    এসএসকেএম রাজ্যের প্রভাবশালীদের জন্য সেফ জোন। মদন-অনুব্রতর উদাহরণ টেনে মন্তব্য বিচারপতির। মন্ত্রী পার্থের আইনজীবীকে এমনই বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। পার্থর আইনজীবী দেবাশিস রায়ের দাবি, ইডি আইনজীবী আদালতকে সঠিক তথ্য দেয়নি। ইডি হাসপাতাল পরিবর্তন নিয়ে আলাদা আবেদন জানিয়েছিল। সেটা আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক শুনানির জন্য রেখেছেন।

    এসএসসি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে গ্রেফতারির পর সেই এসএসকেএমেই ভর্তি হন পার্থ। যা নিয়ে বাদানুবাদে জড়ালেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘ওঁকে (পার্থ) সর্বোত্তম হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি আমরা। এমস কল্যাণীতে নিয়ে যাব। সঠিক পরীক্ষা হবে।’’ তাঁর আগে, শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী শ্রীরাজুকে বিচারপতি চৌধুরী বলেন, ‘‘কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি ও জেনারেল মেডিসিন দিল্লির এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে করানো হোক।’’ পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘দিল্লি কেন, কল্যাণী এমসেও হতে পারে।’’

    ইডি আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপতি চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘কল্যাণী এমসের উপর আমার ভরসা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আপনি ভুবনেশ্বর এমসে থেকে দেখুন।’’ যার পরে ইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তাহলে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন ইডির। 

    বিচারপতি জানান, আমি বলতে পারি না তাই এইমসের ডাক্তার বলবে। কাল দুটোর মধ্যে ব্যবস্থা করুন। নির্দেশ কোর্টের। তাদের পরীক্ষার ফল এসএসকেএম এর রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আপনারা কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ব্যবস্থা করতেই পারেন।  পরীক্ষা করে বেলা তিনটের সময় ফিরিয়ে দেব। সওয়াল ইডির। তবু ডাক্তারকে আনতে পারবেন না। কটাক্ষ পার্থর আইনজীবীর। 
    শেষে বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি কোথাও নিয়ে যেতে দেব না। সেখানকার চিকিৎসকেরা এখানে আসুন। আপনিও কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে বলুন।’’ খবর লেখা পর্যন্ত, রায়দান সাময়িক স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।

LinkedIn
Share