Author: শুভ্র চট্টোপাধ্যায়

  • Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    Recruitment Scam: বিক্রি হয়েছে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও! নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির জেরায় স্বীকারোক্তি কুন্তলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়েছে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির (ED) হাতে। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সম্মতিক্রমেই বিক্রি হত প্রশ্নপত্র। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্রের খসড়া জেনে আগেভাগেই তা চাকরিপ্রার্থীদের জানিয়ে দিতেন ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তদন্তে নেমে ঠিক এমনই কিছু তথ্য এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে।

    পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নের মুখে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাথমিক টেটসহ একাধিক চাকরির পরীক্ষার খসড়া প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পৌঁছে যেত ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের কাছে। টাকার বিনিময়ে সেই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের বিক্রি করতেন কুন্তল। প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হচ্ছে সেকথা জানতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কুন্তলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে তাঁরা এই তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কুন্তলের ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন।

    আরও পড়ুন: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    ইডির দাবি, যাঁদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে, তাঁরা যাতে চাকরি পান, তার জন‌্য পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সাহায‌্য চেয়েছিলেন কুন্তল। পার্থর সঙ্গে কুন্তলের বেশ কিছু হোয়াটসঅ‌্যাপের চ‌্যাটে উঠে এসেছে এই তথ‌্য। কুন্তল যে স্কুলে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের খসড়া দেখেছেন, তা পার্থও জানতেন। এভাবে আগাম প্রশ্ন জেনে সেইমতো চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষার জন‌্য তৈরি হতে বলতেন কুন্তল। টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রির অভিযোগ সামনে আসার পর গোটা নিয়োপক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কেউ যদি প্রশ্নপত্র কিনে প্রস্তুত হয়ে এসে পরীক্ষা দিয়ে থাকেন সেটা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। কোন কোন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করেছেন কুন্তল, তা জানার চেষ্টা করছে ইডি।

    গোপালই টাকা সাদা করত

    সম্প্রতি জেরায় কুন্তল জানিয়েছিলেন তিনি নিজে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এরপরই হইহই পড়ে যায় সর্বত্র। কারণ কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম কেউ পার্থকে টাকা দিয়েছেন বলে মুখ খোলেন। কুন্তল জেরার মুখে বারবার  চিটফান্ড (Chitfund) কর্তা গোপাল দলপতির নাম নিয়েছেন। গোপাল নামে ওই ব‌্যক্তির কথা ইডিকে জানিয়েছিলেন তাপস মণ্ডলও। কুন্তল ও তাপসের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তোলার ঘটনায় মূল লিঙ্ক গোপাল। চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন গোপাল। কুন্তল ও তাপসের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে টাকা গিয়েছে গোপাল দলপতির কাছে। সেই বিপুল কালো টাকা সাদা করতে চিটফান্ড ও একাধিক বেসরকারি সংস্থায় লগ্নি করে গোপাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    Kuntal Ghosh: ফের কুন্তলকে জেরা ইডির! প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতেই কি বিভিন্ন নাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Fhosh)। প্রকৃত দোষীদের থেকে নজর ঘোরাতে নিয়োগ দুর্নীতিতে রোজ নতুন নতুন নাম আনছেন কুন্তল, দাবি ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে খবর, চিটফান্ড মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি গোপাল দলপতির কাছে কোটি কোটি টাকা যেত (Gopal Dalapati)। তার পর OSD মারফত সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে। শুক্রবার জেরার মুখে যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল নাকি এমনই দাবি করেছেন।

    কাকে আড়ালের চেষ্টা

    ইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি জেরার মুখে বারবার দুটো নাম করছেন কুন্তল। এক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়,  দুই গোপাল দলপতি। অত্য়ন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ বিষয় হল, যে দু-জনের নাম কৌশলে বারবার টাকা লেনদেনে তুলে ধরতে চাইছেন ধৃত যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক, তাঁরা দুজনেই কিন্তু অনেক আগে থেকে জেলবন্দী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। আর গোপাল দলপতি চিটফাণ্ড মামলায় ২০২১ থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অর্থাৎ কুন্তুলের এই চাঞ্চল্য়কর দাবি নিয়ে যে দু-জনেরই আপাতত মুখ খোলার কোনও সুযোগ নেই!

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও গোপালের কথা বললেও হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়পাধ্যায়কে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব কুন্তল ঘোষ। শান্তনু কত টাকা নিয়েছে জানতে চাইলে কুন্তল জানান, তিনি ঠিক বলতে পারবেন না। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যে লিস্টে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, রোল নম্বর, অ্য়াডমিটকার্ডের নম্বর সমস্ত বিশদে লেখা। শুধু নিজের জেলাই নয়, হুগলির যুব তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে পাওয়া তালিকায় নাম রয়েছে কলকাতা, বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলার চাকরিপ্রার্থীদের। ইডির অনুমান, জেনেবুঝেই শান্তনুর প্রসঙ্গে আড়াল করতে চাইছেন কুন্তল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ জারি করবে কেন্দ্র। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু ফের নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। এদিন অমর্ত্য সেন ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাস কেউ কথা বলবে মানা যায় না।”

    সিএএ ইস্যু

    বরিবার, মালদহের হবিবপুর ব্লকের ১১ মাইল এলাকায় অঞ্চল কর্মী সম্মেলন হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদা বিজেপির বিধায়ক গোপাল সাহা, উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কথা বলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।”

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গ

    অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে সমস্যা নিয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।” এদিন মালদায় দুটি সভা করার পর পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “টুয়েলভ পাশ ছেলে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মতো নোবেল লরিয়ট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে ৷ ওঁর এমবিএ ডিগ্রিটাও তো ভুয়ো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টানা ৭ ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কেন শান্তনুকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর যোগ ছিল কি না, সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। নিয়োগের নামে যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা শান্তনুর কাছে গিয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাপস মণ্ডলের মুখেও শান্তনুর নাম শোনা গিয়েছে। তাই দফায় দফায় তাঁকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কয়েকজন সুপারিশকারী বা মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু প্রথমে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই  এই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের তালিকা মিলেছে শান্তনুর বাড়ি থেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bank Locker: ব্যাঙ্কে লকার সংক্রান্ত চুক্তি পুনর্বীকরণ হয়নি! ভয় নেই, মেয়াদ বাড়াল আরবিআই

    Bank Locker: ব্যাঙ্কে লকার সংক্রান্ত চুক্তি পুনর্বীকরণ হয়নি! ভয় নেই, মেয়াদ বাড়াল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কে লকার ভাড়া নেওয়া গ্রাহকদের সঙ্গে সংশোধিত চুক্তি জমা দেওয়ার সময়সীমা বৃদ্ধি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য়ে ব্যাঙ্কগুলিকে গ্রাহকদের সঙ্গে লকার ভাড়া দেওয়া সংক্রান্ত চুক্তি পুনর্বীকরণের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে লকার পুনর্নবীকরণ চুক্তি শেষ করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহক নতুন চুক্তি রিনিউ না করার জন্য সময় সীমা আরও বাড়ানো হল ৷ 

    নতুন নির্দেশিকা

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী, কেউ নতুন চুক্তি স্বাক্ষর না করায় যদি ব্যাঙ্ক তাঁর লকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে সেটি  তুলে নেওয়া হবে। নতুন নির্দেশিকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ‘আরবিআই-এর নজরে এসেছে, এখনও প্রচুর সংখ্যক গ্রাহক সংশোধিত চুক্তিপত্র জমা দিতে পারেননি। বহু ক্ষেত্রেই ১ জানুয়ারির মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের কথা ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের জানাতেও পারেনি।’ নতুন নির্দেশিকায় ব্যাঙ্কগুলিকে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব গ্রাহককে লকার ভাড়া নিয়ে সংশোধিত চুক্তি জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে দিতে হবে।  এর পর আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে হবে।

    আরও পড়ুন: প্রযুক্তি বিশ্বে এগিয়ে চলেছে দেশ! ‘টেকনোলজি হাব’-এর জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ ভারতও

    এর আগে গত বছর আগস্ট মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি বয়ান জারি করে সেফ ডিপোজিট লকার, সেফ কাস্টোডি আর্টিক্যাল ফেসিলিটি নিয়ে নির্দেশ জারি করেছিল ৷ বলা হয়েছিল, ১ জানুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্য়ে লকার পুনর্নবীকরণ চুক্তি শেষ করতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে। কিন্তু বেশির ভাগ গ্রাহক সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষর না করায় সময় সীমা বাড়ানো হল ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৷ এবার যাতে সময়ের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা যায় তার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shooting in USA:  আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা! দেশবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    Shooting in USA: আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা! দেশবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ক্যালিফোর্নিয়ায় চিনা নববর্ষের উৎসবে হামলার পর আবার বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। এ বার আইওয়া প্রদেশের ডেস মোইনেস শহরের একটি স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালালেন দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। জখম স্কুলের এক শিক্ষক। আমেরিকার ওই যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সোমবার আচমকাই হানা দেন বন্দুকবাজেরা। স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম শিক্ষকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

    পরপর হামলা

    ডেস মোইনেস পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তাঁরা নাবালক কি না, স্পষ্ট নয় তা-ও। ঘটনার পর স্কুল থেকে পালিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। ওই বন্দুকবাজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের রাস্তায় একটি গাড়ি আটক করা হয়। সেখান থেকে তিন জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্কুলে হামলার পিছনে এদের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান। অন্য দিকে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে শহরে পৃথক দুটি হামলায় মৃত্যু হয়েছে মোট সাত জনের। আহত আরও অনেকে। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    দেশবাসীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে

    আমেরিকায় একের পর এক বন্দুকবাজের হামলার ঘটনায় দেশবাসীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। একদিন আগেই আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে পার্ক শহরে বন্দুকবাজের হামলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয় বলে খবর।  সেখানে চিনা নববর্ষ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ সেখানেই মেশিনগান নিয়ে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ।  ঢুকেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কমপক্ষে ১১ জন। আহত হন আরও ৯ জন। নিমেষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    এক রেস্তোরাঁ মালিক সিউং ওন চোই জানিয়েছেন, ‘‘তিন জন দৌড়ে আমার রেস্তোরাঁয় এসে ঢুকেই ভিতর থেকে সদর দরজা বন্ধ করে দেন। চিৎকার করে আমাকে বলেন, এক বন্দুকবাজ মেশিন গান নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে।’’ চোইয়ের আরও দাবি, বন্দুকবাজের কাছে বহু কার্তুজ রয়েছে। এক বার মেশিন গান ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার তাতে গুলি ভরে নিচ্ছেন এবং এলোপাথাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। পরে পুলিশ ঘিরে ফেললে নিজের শরীরে গুলি করে আত্মঘাতী হন অভিযুক্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Parakram Diwas: নেতাজিই আদর্শ! তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য সকাল। আর পাঁচটা দিনের তুলনায় চেনা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ একেবারেই অচেনা। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) কলকাতায় সভা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য আরএসএস কর্মীরা মুখিয়ে ছিলেন। সভার শুরুতে কুচকাআওাজ করেন আরএসএস কর্মীরা। সভা মঞ্চে ছিল নেতাজির বিশাল ছবি। বাংলায় লেখা, ‘নেতাজি লহ প্রণাম’।

    নেতাজিই আদর্শ

    পরাক্রম দিবসের (Parakram Diwas) অনুষ্ঠানে এদিন সকাল দশটায় মঞ্চে ওঠেন মোহন ভাগবত। নেতাজিকে আদর্শ করেই এগিয়ে চলার বার্তা দেন তিনি। তুলে ধরেন নেতাজির কর্মকাণ্ড, তাঁর পরিশ্রম ও দেশের প্রতি আনুগত্যের কাহিনী তুলে ধরেন মোহন ভাগবত। তিনি আরও বলেন, ‘মেধা তো অনেরকই থাকে। কিন্তু সেই মেধাকে কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়। তা দেখিয়েছিলেন নেতাজি। তিনি সমষ্টির জন্য ভাবতেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশকে স্বাধীন করতে। কখনও নিজের জন্য ভাবেননি। এই পথ আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত। ব্যক্তির উন্নতি নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের কথা ভাবতে হবে।’

    এখানেই থামেননি আরএসএস প্রধান। নেতাজির দেখানো পথেই সংঘ পরিবার যে এগিয়ে যাবে, সে কথাও বলেছেন ভাগবত। তাঁর কথায়, ‘সংঘের কাজকর্ম নেতাজির মতাদর্শে, তাঁর দেখানো পথেই চলছে। আমরাও সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। নেতাজি জীবনে অনেক ত্যাগ করেছেন। আমরাও তাই নির্বাচনে লড়ি না। আমাদের আলাদা কোনও পরিচিতি দরকার নেই। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে চলা, দেশকে আরও শক্তিশালী করা। নেতাজি ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। চাইলেই তিনি ইংরেজ সরকারের অধীনে মোটা মাইনের চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু সেই পথে তিনি যাননি। বরং বেছে নিয়েছিলেন কঠিন সংগ্রামের পথ। তিনি দেশ গঠনে ব্রতী হয়েছিলেন। দেশের জন্য তিনি সব কিছু ত্যাগ করেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের তপস্যা। নিজের নাম হবে ভেবে করেননি। বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংসারের মায়া ত্যাগ করে দেশের হয়ে কাজ করেছিলেন।’

    আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে, কেন জানেন?

    দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে নেতাজিকে পরতে পরতে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। পরাক্রম দিবসে (Parakram Diwas) সেই প্রসঙ্গ টেনে মোহন ভাগবত বলেন, ‘নেতাজি দেশের জন্য লড়তেন। তার জন্য তাঁকে কম বিরোধীতার মুখে পড়তে হয়নি। কিন্তু নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে কখনও তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। তাই তো কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দল গড়েছিলেন।’ উল্লেখ্য, শহীদ মিনারে আরএসএসের সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির একাধিক নেতাও। ছিলেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Sania Mirza: চোখের জলে বিদায়! টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার

    Sania Mirza: চোখের জলে বিদায়! টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না সানিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যেখানে শুরু, সেখানেই শেষ। এর থেকে ভাল মঞ্চ আর কী-ই বা হতে পারে? চাইলে আরও কিছুদিন খেলতে পারতেন, কিন্তু না! সেরা মঞ্চকেই ইতি টানার জন্য বাছলেন ভারতীয় টেনিসের রানি সানিয়া মির্জা। তবে টেনিস জীবনের শেষ বেলায় এসে জয়ের দোরগোড়ায় থামতে হল সানিয়াকে। সপ্তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা হল না তাঁর। রোহন বোপান্নাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মিক্সড ডাবলসে রানার্স-আপ হলেন তিনি। ফাইনালে ব্রাজিলের স্টেফানি-মাতোস জুটির কাছে সানিয়ারা হারলেন ৬-৭ (২-৭), ২-৬ গেমে। 

    চোখের জল ভিজল কোর্ট

    ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেলবোর্নের রড লেভার এরিনা থেকে নিজের যাত্রা শুরু করেছিলেন সানিয়া। তারপর কেটে গিয়েছে ১৮টি বসন্ত। সেদিনের তরুণী এখন ৩৬। সেই মেলবোর্নেই টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচটা খেলে ফেললেন সানিয়া। বিদায় বেলায় চোখের জল বাঁধ মানল না ভারতীয় টেনিস সুন্দরীর। নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগীকে। ভারতের একমাত্র মহিলা টেনিস খেলোয়ার হিসেবে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন সানিয়া। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিনটি ডাবলস ও তিনটি মিক্সড ডাবলস খেতাব।

    এদিন ফাইনালের পর সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশি অশ্রু। চোখের এই জল দুঃখের নয়। চাইলে আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। ২০০৫ সালে মেলবোর্ন থেকেই টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আমার কাছে নেই।’’

    আরও পড়ুন: ফের কিউইদের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত, শুভমন-রোহিতের জোড়া শতরানে বাজিমাৎ

    ফাইনালে কোর্টের পাশে স্বামী শোয়েব মালিক ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে ব্যস্ত। দু’জনের সম্পর্কও সেরকম নেই। কিন্তু মা-এর সঙ্গে ছিল ছেলে। চার বছরের ইজহান মির্জা মালিক কিন্তু মাকে ফাইনালে সারাক্ষণ উৎসাহিত করেছে। ম্যাচের পর সানিয়ার মুখে শোনা গিয়েছে ছেলের কথা। সানিয়া বলেছেন, ‘‘আমার পরিবারের সকলে এখানে রয়েছে। কখনও ভাবিনি ছেলের সামনে গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলতে পারব। সেটাও হল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Naatu Naatu: পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন ‘নাটু নাটু’র সুরকার এম এম কিরবানি

    Naatu Naatu: পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন ‘নাটু নাটু’র সুরকার এম এম কিরবানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী পাচ্ছেন এম এম কিরাবানি। একদিকে যখন ‘নাটু নাটু’ নিয়ে সারা পৃথিবী উত্তাল, ঠিক তখনই দেশের মাটিতেই বড় সম্মান পেলেন এই গানের সঙ্গীত পরিচালক। গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণের এই সুরকার বারবার শিরোনাম দখল করেছেন। এর আগেও যুগান্তকারী সুর দিয়েছেন, গান বানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এস এস রাজামৌলীর ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’র সৃষ্টির পর নড়েচড়ে বসেছে গোটা বিশ্ব। একের পর এক সম্মান পাচ্ছেন তিনি। সারা বিশ্বে তাঁর এই গান সকলের মন কেড়েছে।

    দেশেও সম্মানিত

    পুরো নাম কদুরি মরকঠমণি কিরবানি। ১৯৬১ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের কোভভুর শহরে  জন্ম এই শিল্পীর। সুরকার হিসাবে দীর্ঘ দিন দক্ষিণ ভারতের সিনেমায় কাজ করছেন তিনি। এর পাশাপাশি গায়কের ভূমিকাতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। সঙ্গীত রচয়িতা, প্লেব্যাক সিঙ্গার এবং গীতিকার যিনি প্রধানত তেলুগু সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে তিনি তামিল, মালয়ালাম, কন্নড় এবং হিন্দি সিনেমার জন্যও গান তৈরি করেছেন। প্রায় তিন দশকের পেশা জীবনে কিরাবাণী বিভিন্ন ভাষায় ১৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন।

     

    ২০১৫ সালে ‘বাহুবলী: দ্য বিগিনিং’ থেকে শুরু করে ২০১৭-র ‘বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন’ এবং ২০২২-এর ‘আরআরআর’-এ খুড়তুতো ভাই এস এস রাজামৌলীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সবথেকে বেশি স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। রাজামৌলীও এদিন ট্যুইট করে তাঁর এই সম্মানকে শ্রদ্ধা জানান। রাজামৌলীর স্ত্রী রামা রাজামৌলীর বোন শ্রীভল্লিকেই বিয়ে করেছেন কিরাবানি। শ্রীভল্লি নিজে একজন সফল প্রযোজক। তাঁদের ছেলে কালা ভৈরবও সঙ্গীত জগতেই পা রেখেছেন। কাজ করেছেন বাবার সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    কিরবানি ১৯৯৭ সালে তেলুগু চলচ্চিত্র ‘অন্নময়’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ১১টি নন্দী পুরস্কার, ১টি তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৮টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। ২০২৩ সালের পদ্মসম্মানের তালিকায় তিনি ছাড়াও রয়েছেন রবিনা ট্যান্ডন। তিনিও পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী জাকির হুসেন। তিনি পেয়েছেন পদ্ম বিভূষণ সম্মান। 

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share