Author: subhra-katwa

  • Haryana: হরিয়ানার খুন ২২ বছরের মহিলা কংগ্রেস কর্মী, ‘দলের লোকেরাই করেছে’, দাবি নিহতের মায়ের

    Haryana: হরিয়ানার খুন ২২ বছরের মহিলা কংগ্রেস কর্মী, ‘দলের লোকেরাই করেছে’, দাবি নিহতের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানায় (Haryana) খুন ২২ বছরের মহিলা কংগ্রেস কর্মী। গতকাল শনিবার রোহতক-দিল্লি হাইওয়ের সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি স্যুটকেসে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন নিহতের মা। তাঁর দাবি, দলের লোকেরাই এই কাজ করেছে। জানা যায়, মৃত মহিলা হরিয়ানা সোনিপতের কাঠুরা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নাম হিমানী নারওয়াল। কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এর পাশাপাশি রোহতকের সাংসদ দীপেন্দর হুডার সঙ্গেও নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। কংগ্রেসের বিভিন্ন সমাবেশ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে হরিয়ানার লোকশিল্পীদের সঙ্গে পারফর্ম করতেও দেখা যেত হিমানীকে।

    কী বলছেন নিহতের মা (Haryana)?

    নিহতের মা সবিতা নারওয়াল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। আমার মেয়ে কংগ্রেসের জন্য অনেক আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। দলের সদস্যরা আমাদের বাড়িতে প্রায়ই আসতেন। দলের কিছু লোক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে, কারণ হিমানির দ্রুত উত্থানে তারা ভীত ছিল।’’

    পরিত্যক্ত একটি স্যুটকেস লক্ষ্য করেন বেশ কয়েকজন বাসযাত্রী

    রিপোর্ট অনুযায়ী, হরিয়ানার (Haryana) সাম্পলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে পরিত্যক্ত একটি স্যুটকেস লক্ষ্য করেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তখনই বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে। রোহতক পুলিশের অন্যতম কর্তা সানি লৌরা বলেন, ‘‘স্যুটকেস খোলার পরেই কর্মকর্তারা হিমানী নারওয়ালের দেহটি দেখতে পান। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। যা থেকে বোঝা যায় যে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’’

    সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Haryana)

    অন্যদিকে সাম্পলা থানার এসএইচও বিজেন্দর সিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দলকে ডাকা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ধারণা, তাঁর লাশ স্যুটকেসে ভরে এখানে ফেলে দেওয়ার আগে তাঁকে অন্যত্র হত্যা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে, কখন স্যুটকেসটি ঘটনাস্থলে ফেলে রাখা হয়েছিল।’’

  • NASA: ইসরোর সাফল্য থেকে এলিয়েন অস্তিত্ব, কী বলছেন নাসার বাঙালি বিজ্ঞানী গৌতম?

    NASA: ইসরোর সাফল্য থেকে এলিয়েন অস্তিত্ব, কী বলছেন নাসার বাঙালি বিজ্ঞানী গৌতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুনীতা ইউলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফেরা, চন্দ্রাভিযানে ইসরো সাফল্য সহ এলিয়নদের অস্তিত্ব নিয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন নাসার নাসার (NASA) সিনিয়র বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় (Goutam Chattopadhyay)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহাকাশ গবেষণার খুঁটিনাটি নানা দিক নিয়ে আলোচনা করলেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী।

    কোন্নগরের নবগ্রাম বিদ্যাপীঠে শুরু পড়াশোনা (NASA)

    ছোট থেকেই মেধাবী গৌতমবাবুর জন্ম কোন্নগরের নবগ্রামে। সেখানেই কেটেছে শৈশব। নবগ্রাম বিদ্যাপীঠে শুরু পড়াশোনা। শিবপুর বিই কলেজে ইলেকট্রনিক্স নিয়ে স্নাতকোত্তর, তারপর বেঙ্গালুরু হয়ে পাড়ি দেন আমেরিকায়। মর্কিন দেশে করেন ডক্টরেট করতে। বিগত ১৪ বছর ধরে তিনি কর্মরত রয়েছেন নাসা’তে (NASA)। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা প্রতিবছর মহাকাশ বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে সম্মানিত করে থাকে। ২০২৩ সালে তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে নাসার পিপলস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন গৌতমবাবু।

    নাসার (NASA) আসল কাজ বিজ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া

    বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় একাধিক আবিষ্কার করেছেন বলে জানা যায়। তাঁর মতে, নাসার (NASA) আসল কাজ হচ্ছে বিজ্ঞানের নানা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জল ও প্রাণ কোথা থেকে এল। ধুমকেতু কি পৃথিবীতে জল এনেছে ? পৃথিবীতে জল কোথা থেকে এল বা প্রাণের সন্ধান কিভাবে এল? সেটার সন্ধান করলেই মঙ্গল গ্রহ বা অন্যান্য গ্রহে জল বা প্রাণ আছে কি না, সেটার অনেকটা উত্তর পাওয়া যাবে। এই সব খোঁজার জন্যই আমি একটা যন্ত্র তৈরি করেছি, যার নাম হোয়াটস আপ।’’

    মঙ্গল গ্রহে প্রাণ নিয়ে কী বললেন?

    গৌতম বাবু বলেন, ‘‘মঙ্গল গ্রহের ক্ষেত্রে আমরা যেটা করছি, মঙ্গলে কি প্রাণ আছে বা কখনও ছিল সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। নাসার (NASA) তরফে মঙ্গল গ্রহে একাধিক ছোট-বড় রোভার পাঠানো হয়েছে। তাতে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি লাগানো হচ্ছে। ২০২০ সালে নাসা থেকে রোভার গিয়েছিল। যে জায়গায় রোভারটি ল্যান্ড করেছিল, সেখানে আগে একটি লেক ছিল। যদিও নাসা এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণের সন্ধান পায়নি।’’ এলিয়েন নিয়ে তাঁর মত হল, ‘‘পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়নি তবে বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হয় এলিয়েন আছে, তার সম্ভাবনাও আছে। যদিও তা এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’

    প্রসঙ্গ সুনীতা ইউলিয়ামসদের পৃথিবীতে ফেরা

    নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও সুনীতার এখনও পৃথিবীতে ফেরেননি। এই প্রসঙ্গে নাসার (NASA) বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখান থেকে একটা ক্যাপসুলে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঝুঁকি না-নেওয়ার জন্যই এই বিলম্ব। এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৯ মার্চ অন্য একটি ক্যাপসুলে করে সুনীতা উইলিয়ামস ও অন্যান্যদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ওনারা সুস্থভাবেই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। এই ঘটনায় একদিক থেকে সুবিধাই হয়েছে। পরবর্তীকালে যদি মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানো হয়, তাহলে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক কি প্রতিক্রিয়া হবে তা দেখা গেল। কারণ মঙ্গলগ্রহে যেতে আসতে ১৪ মাস সময় লাগে। সুনীতা উইলিয়ামস বা অন্যান্যরা যখনই অভিযানে যান, তাঁরা এই ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকেন।’’

    ইসরোর সাফল্য

    বাঙালি বিজ্ঞানীর (Goutam Chattopadhyay) মতে, ‘‘ইসরো যেভাবে সফলতা পেয়েছে খুবই খুশির ব্যাপার। মহাকাশ গবেষণার জন্য বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেতে হবে। নাসার সঙ্গে ইসরোর কোলাবরেশন আছে। এ বছরই আমরা নিসার মিশনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছি। কোথাও যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, তারজন্য এই যন্ত্র সাহায্য করবে। ভারতীয় হিসেবে এটা গর্বের ব্যাপার।’’

  • Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    Israel: রমজানে দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধ বিরতির মার্কিন প্রস্তাব, সায় ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Gaza) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইজরায়েলের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে। এই প্রস্তাবের আওতায় পুরো রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকতে চলেছে। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, নতুন যুদ্ধবিরতি রমজান মাস এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার (Israel) উৎসব পর্যন্ত বহাল থাকবে।

    চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ

    এর আগে চুক্তির প্রথম ধাপে ৪২ দিন গাজায় বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবে হয়নি। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন বন্দিবিনিময় পর্ব সম্পন্ন হয় দুই দেশের মধ্যে। নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় (Israel) এখনও পর্যন্ত ২৭ জন জীবিত বন্দী আছে এবং ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

    যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত (Israel)

    যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা অন্যতম উদ্দেশ্য। বর্তমানে অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যেদিন ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই জীবিত ও মৃত বন্দীদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষে যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে বাকি বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি পরিকল্পনা, যা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দাবি ইজরায়েল সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে, তবে হামাস বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল যুদ্ধ।

  • UP Health Minister: মহাকুম্ভের স্নানে চর্মরোগের গুজব! প্রতিক্রিয়া দিলেন যোগী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    UP Health Minister: মহাকুম্ভের স্নানে চর্মরোগের গুজব! প্রতিক্রিয়া দিলেন যোগী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভের (Mahakumbh) স্নানে নাকি ছড়াচ্ছে চর্মরোগ! এমনই গুজব রটানো হয়। এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী (UP Health Minister) তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। শনিবারই এক সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রজেশ পাঠক জানান, মহাকুম্ভ চলাকালীন পবিত্র সঙ্গমে স্নান করার পর একজনও ব্যক্তির চর্মরোগের খবর পাওয়া যায়নি।

    শনিবারই লখনউতে একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন পাঠক

    শনিবারই লখনউতে একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রজেশ পাঠক (UP Health Minister)। সেখানেই তিনি সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব সহ বিরোধী নেতাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অখিলেশ যাদব মন্তব্য করেছিলেন সঙ্গমে স্নান করার পর বেশ কয়েকজন তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এনিয়েই ব্রজেশ পাঠক বলেন, ‘‘অনেক সংখ্যক তীর্থযাত্রী হাজির হয়েছিলেন কিন্তু চর্মরোগের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’ গঙ্গার জল যে সম্পূর্ণভাবে বিশুদ্ধ তাও জোর দিয়ে বলেন পাঠক (UP Health Minister)।

    মহাকুম্ভের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী (UP Health Minister) মহাকুম্ভের সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের উল্লেখ করে বলেন,  ‘‘ভারত এবং ভারতীয়ত্ববোধের একটি বিশ্বব্যাপী প্রতীক হল মহাকুম্ভ। এই উৎসব ধনী শিল্পপতি থেকে শুরু করে গ্রামবাসী পর্যন্ত সকল স্তরের মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছে। কোনও ভেদাভেদ ছাড়াই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের হিন্দু সংস্কৃতিতে মানুষকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়, এমনকি প্রাণী এবং গাছকেও আমাদের পরিবারের অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমগ্র সৃষ্টি আমাদের পরিবার, এবং এটিই সনাতনের সারমর্ম।’’

    ৬৬ কোটি ভক্তের অংশগ্রহণে মহাকুম্ভ গড়ল নয়া ইতিহাস, জেনে নিন খুঁটিনাটি

    – মহাকুম্ভ নগর তৈরি করা হয়েছিল ৪,০০০ হেক্টর অঞ্চলজুড়ে।
    – এর পাশাপাশি মহাকুম্ভকে ভাগ করা হয়েছিল ২৫টি সেক্টরে।
    – শুধু তাই নয় ১২ কিমি জুড়ে তৈরি করা হয়েছিল শুধু স্নানের ঘাট।
    – ১,৮৫০ হেক্টর জায়গা জুড়ে তৈরি ছিল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা।
    – এর পাশাপাশি মহাকুম্ভ নগরীজুড়ে ছিল ৬৭ হাজার স্ট্রিট লাইট।
    – দেড় লাখেরও বেশি টয়লেট গড়ে তোলা হয়েছিল।
    – ২৫ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী আবাস তৈরি করা হয়েছিল মানুষজনের থাকার জন্য।

  • Tibet: ভূমিকম্পের পরে হয়েছিল বন্ধ, তিব্বতের মাউন্ট কোমোলাংমা অংশ পর্যটকদের জন্য খুলল চিন

    Tibet: ভূমিকম্পের পরে হয়েছিল বন্ধ, তিব্বতের মাউন্ট কোমোলাংমা অংশ পর্যটকদের জন্য খুলল চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে পরপর ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় তিব্বত (Tibet)। গত জানুয়ারি মাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তিব্বত (Tibet) স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত মাউন্ট কোমোলাংমা। এই অঞ্চলের খ্যাতি রয়েছে মনোরম পরিবেশের জন্য। গতকাল শনিবারই মাউন্ট কোমোলাংমা অংশটি পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে চিন।

    তিব্বতি ভাষায় (Tibet) মাউন্ট এভারেস্টকে মাউন্ট কোমোলাংমা বলা হয়

    বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের (Mt Everest) ডিংরিতে ৬.৮ রিখটার স্কেলের তীব্র ভূমিকম্পের পর গত ৭ জানুয়ারি এই এলাকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, তিব্বতের (Tibet) এই ভূমিকম্পে ১২৬ জন নিহত হন। আহত হন ১৮৮ জন। ভূমিকম্পের পরেই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই মাউন্ট কোমোলাংমা অংশটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, তিব্বতি ভাষায়, মাউন্ট এভারেস্টকে মাউন্ট কোমোলাংমা বলা হয়। এই অংশটি চিন ও নেপালের সীমান্তের অংশ।

    কী বললেন প্রশাসনিক অধিকর্তা

    চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মাউন্ট কোমোলাংমা অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট কম্প্রিহেনসিভ অবজারভেশন অ্যান্ড রিসার্চ স্টেশন। এরই অধিকর্তা মা ওয়েইকিয়াং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই এলাকাটি ফের একবার জনগণের জন্য খুলে দিয়েছি আমরা। বর্তমানে এখানকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, গত ২২ জানুয়ারি স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়। এর পরে ৩৫ দিন ধরে চালানো হয় পর্যবেক্ষণ। পরে তা খোলা হল ১ মার্চ। পরিসংখ্যান বলছে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে এই অঞ্চলে এসেছিলেন ৫৪৭,৬০০ জনেরও বেশি পর্যটক। যার মধ্যে ১৩,৭০০ বিদেশী পর্যটক। এঁরা মূলত এসেছিলেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি ছিল মঙ্গলবার। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত। এর প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সে সময় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিব্বতের শিগাতসের এই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ।

  • Daily Horoscope 02 March 2025: নতুন ব্যবসা নিয়ে সংশয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 March 2025: নতুন ব্যবসা নিয়ে সংশয় বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় সুখবর আসতে পারে।

    ২) প্রেমের বাধা কেটে গিয়ে সুখের সময় আসতে চলেছে।

    ৩) দিনটি অনকূল।

    বৃষ

    ১) অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমন কিছু কাজ করতে হতে পারে, যা নিয়ে পরে অনুতাপ হবে।

    ২) ভালো কাজে সময় ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে।

    মিথুন

    ১) নতুন ব্যবসা নিয়ে সংশয় বাড়তে পারে।

    ২) সকাল থেকে কোনও জটিল সমস্যার ভিতর পড়তে হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    কর্কট

    ১) কোনও বন্ধুর উপকার করতে গিয়ে বিপদে পড়তে পারেন।

    ২) সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় শান্তির পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ আপনার কাজে আসবে।

    ৩) ধর্মস্থানে যাত্রা করতে পারেন।

    কন্যা

    ১) কোনও ভালো জিনিস আপনার হাতে নষ্ট হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমের মূল্য পাবেন না।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    তুলা

    ১) দুপুরের পরে কোনও ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) ব্যবসা ভালো চলবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায় চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে লাভও ভালো হবে।

    ২) সন্তানদের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) কাজে সাফল্য আসবে।

    ধনু

    ১) শুভকাজ থাকলে সেরে ফেলুন।

    ২) সতর্ক না থাকলে কর্মক্ষেত্রে সম্মানহানির যোগ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) শত্রুভয় কাজ করতে পারে।

    ২) গৃহনির্মাণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ৩) সবাই প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) নতুন বন্ধু হতে পারে।

    ২) চাকরির পদোন্নতিতে বিদেশযাত্রার যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সকালের দিকে ভ্রমণের ইচ্ছা বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছে অপদস্থ হতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভ গতি বাড়িয়েছে আধ্যাত্মিক পর্যটনের, ভক্তদের সুবিধায় যোগী সরকার গড়ছে ৫ করিডর

    Mahakumbh: মহাকুম্ভ গতি বাড়িয়েছে আধ্যাত্মিক পর্যটনের, ভক্তদের সুবিধায় যোগী সরকার গড়ছে ৫ করিডর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Mahakumbh) ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে যোগী রাজ্যের আধ্যাত্মিক পর্যটনকে। বিশ্বের বৃহত্তম উৎসবের কারণে আধ্যাত্মিক পর্যটনের মানচিত্রে উত্তরপ্রদেশ একেবারে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় ২০২৫ সালে। শুরু হয় গত ১৩ জানুয়ারি, সম্পন্ন হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রির দিন। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার পাঁচটি আধ্যাত্মিক করিডরকে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যার ফলে রাজ্যের আধ্যাত্মিক পর্যটন আরও নতুন মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই করিডর গুলির মাধ্যমে যোগী রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানগুলি দর্শন করা যাবে।

    ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজ সফর করেন যোগী

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের (Mahakumbh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই তিনি পুলিশকর্মী, সাফাই কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, নৌকোর মাঝি, সাংবাদিক এবং পরিবহণ বিভাগকে কৃতজ্ঞতা জানান। মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য। সেখানেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ৫ আধ্যাত্মিক করিডরের কথা বলেন।

    এই পাঁচটি করিডর কোনগুলি (Spiritual Tourism)

    প্রয়াগরাজ-বিন্ধ্যাঞ্চল-কাশী করিডর

    এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা প্রয়াগরাজ থেকে বিন্ধ্যাঞ্চলে দেবী ধাম এবং তারপরে কাশীর বিশ্বনাথ ধাম পর্যন্ত সফর করতে পারবেন। এটি একটি উল্লেখযোগ্য করিডর। কারণ এখানে শক্তি এবং শিব এই দুটি তীর্থ সম্পন্ন হবে।

    প্রয়াগরাজ-অযোধ্যা-গোরক্ষপুর করিডর

    এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে গোরক্ষপুর ধাম পর্যন্ত সফর করতে পারবেন। মাঝখানে (Spiritual Tourism) তাঁরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুবও দিতে পারবেন।

    প্রয়াগরাজ-লখনৌ-নৈমিষারণ্য করিডর

    এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা প্রয়াগরাজ থেকে নৈমিষারণ্য পর্যন্ত যেতে পারবেন ভায়া লখনউ হয়ে। প্রসঙ্গত, নৈমিষারণ্য ভারতবর্ষের ৮৮টি পবিত্র তীর্থস্থানের মধ্যে অন্যতম। এই তীর্থস্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু ধর্মের ভগবান ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর এবং দেবী সতীর কাহিনী।

    প্রয়াগরাজ-রাজাপুর-চিত্রকূট করিডর

    এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা তুলসী দাসের জন্মভূমি রাজাপুর থেকে চিত্রকূট ধাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গোস্বামী তুলসীদাস রামচরিত মানস সহ একাধিক হিন্দু শাস্ত্রের রচয়িতা।

    প্রয়াগরাজ-মথুরা-বৃন্দাবন-শুক করিডর (ভায়া বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে)

    এই করিডরের মাধ্যমে ভক্তরা বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে মথুরা বৃন্দাবন সহ শুক তীর্থ দর্শন করতে পারেন। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে শুক তীর্থ বিখ্যাত হয়ে রয়েছে মহর্ষি শুক্রাচার্যের ভূমি হিসেবে। অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থান হল মথুরা ও বৃন্দাবন।

  • Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    Weather Update: বসন্তেই তাপপ্রবাহ! মার্চেই কলকাতার পারদ ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি, পূর্বাভাস আবহবিদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার এক ধাক্কায় তাপমাত্রা (Weather Update) বাড়ল ৩ ডিগ্রি। হাওয়া অফিস ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে, এভাবেই আরও কয়েক ডিগ্রি করে নিয়মিতভাবে বাড়তে পারে পারদ। এর ফলে মার্চ মাসের মাঝামাঝিতেই কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) একজন অভিজ্ঞ আধিকারিকের। তাঁর কথায়, যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে আবহাওয়ার ওপর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।

    বাড়তেই থাকবে পারদ (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে। আজ শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৪ ডিগ্রি। কলকাতার আজকের তাপমাত্রা ৩১.২ ডিগ্রি। তবে তা অনুভূত হচ্ছে ৩৩ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ থেকে ৯১ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে আগামিকাল, রবিবার তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে আগামী সপ্তাহেই

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, রাজস্থানে সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। মরুরাজ্য থেকে আরব সাগর পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে। এর জেরেই অসম, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের মতে, ধীরে ধীরে গরম হচ্ছে হাওয়া। আগামী সপ্তাহের শুরুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে পৌঁছতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। কিন্তু বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে। আজ শনিবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে।

    ২ মার্চ ঢুকবে ঝঞ্ঝা, বৃষ্টি হবে দেশের একাধিক রাজ্যে (West Bengal)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, ২ মার্চ আরও একটি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করবে নতুন করে। যার প্রভাবে রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, কেরালা, তামিলনাডু, পুদুচেরি, অরুণাচল প্রদেশ ও লক্ষদ্বীপেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে কর্নাটকেও। মৌসুম ভবন জানিয়েছে, কঙ্কন, গোয়া, কেরালাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।

  • Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসেই পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রূপে দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Regime)। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা যেমন বাড়তে থাকে, একইভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে অস্বীকার করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপও করতে থাকে ইউনূস সরকার। এ নিয়ে ভারতেরই একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে খবর। ওই খবরগুলোতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে অবমূল্যায়ন করার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জাতীয় পাঠক্রমে যেভাবে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, সে দেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে অবদান সেটিকে অবমূল্যায়ন করা ও ভারতের সেনাবাহিনীকে খাটো করা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুলিয়ে দেওয়া, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানি সেনাকে পরাস্ত করতে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছিল ভারতের সেনা।

    ৪৪১টি বইতে পরিবর্তন, অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ভারতের ভূমিকা

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও সামনে এসেছে। তথ্য বলছে, গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকগুলিতে এ ধরনের পরিবর্তন করা হতে থাকে। প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে সিলেবাসের ৪৪১টি বইতে এই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে ভারতের ভূমিকাকে খাটো করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির একটি ইংরেজি বই ছিল। এই বইতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ২টি ছবি ছিল। এই দুটি ছবি ১৯৭২ সালের তোলা। ইউনূস সরকারের জমানায় এই ছবি দুটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল কলকাতার সমাবেশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মুজিবুর রহমানের একসঙ্গে তোলা ফটো। অপরটি ছিল ঢাকা বিমানবন্দরে ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুজিবুর রহমান, এমন একটি ছবি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সে দেশের শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে। তিনি স্পষ্টত স্বীকার করেন যে এই ছবিগুলি ২০২৩-২৪ সালের পাঠক্রমের অংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এনসিটিভির চেয়ারপার্সন একেএম রিয়াজুল হাসান এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “পুরোনো বইগুলিতে বলা হয়েছে যে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে ভারতই প্রথম বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে, আমরা জানি ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। চলতি বছরে সময় কম থাকায় আমরা এটি সংশোধন করতে পারিনি। আমরা পরের বছর এটি সংশোধন করব।” এখানেই থামেননি রিয়াজুল হাসান। আরও জানিয়েছেন যে, পাঠ্যপুস্তকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনাটাই রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত নিয়ে কিছু ছিল না। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ তোলেন যে এগুলি ভারত, বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁরা তা সংশোধন করছেন।

    ব্যাপক মিথ্যাচার! বঙ্গবন্ধু নয়, স্বাধীনতার ঘোষক নাকি জিয়াউর রহমান

    ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়ারদের জন্য নয়া পাঠ্য পুস্তকের প্রবর্তন করে। কিন্তু সেখানে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যদিও আসল সত্য হল যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গ্রেফতারের আগে তিনি একটি ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। ওই বার্তাতে বঙ্গবন্ধু বলেন, “এটিই আমার শেষ বার্তা হতে পারে, তবে আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করুন। পাকিস্তানের দখলদার সেনাবাহিনীর শেষ সৈনিককে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত আপনাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” এই বার্তাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের একটি অংশ। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দুবার সম্প্রচারিত হয়েছিল। জানা যায় সে সময়ে এ নিয়ে খবরও করেছিল ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। যেমন দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। আন্তর্জাতিক স্তরে খবর করে দ্য লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস। তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করে ইউনূস সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্য পুস্তক থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি জিয়াউর রহমানের নামে করে দেয়।

    স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক হিসেবে জিয়াউরের নাম পাওয়া যায়না

    প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ এমন কোনও ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান, এক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এটা নথিভুক্ত রয়েছে যে তার একদিন পরে জিয়াউর রহমান একটি ঘোষণা করেন। কালুরঘাট যা চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকে অবস্থিত সেখান থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর। কী বলেছিলেন ওই ঘোষণায়? ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি রেডিওতে ঘোষণা করেন, “আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে, এতদ্বারা ঘোষণা করছি যে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি সকল বাঙালিকে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আল্লাহর রহমতে, বিজয় আমাদের।”

    ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা

    অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে একদিকে যেমন ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও খাটো করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলারও এক ব্যাপক প্রয়াস বাংলাদেশ জুড়ে শুরু করেছে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। স্কুলের পাঠক্রমগুলিতে এভাবেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি স্থাপন করেন। বাংলাদেশের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জানা যায় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বাঙালি পরিচয়কে আগে রেখেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ইসলামের ওপর ভিত্তি করে একটি আলাদা পরিচয় প্রচার করেছিলেন। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন হন। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে বাংলাদেশে উগ্র ইসলামিক সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত বাড়তেই থাকে। এর পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পায়। ভারতে বাড়ে জঙ্গি কার্যকলাপ। বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের মানুষজনের ওপরে অসংখ্য হামলার অভিযোগ ওঠে।

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। দখল করা হয় গণভবন। তারপর থেকেই ভারতের সঙ্গে একেবারে শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ভারত সরকারকে সরাসরি হুমকি দেয়। ওই হুমকিতে বলা হয়, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ শুরু হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সার্জিস আলমকে। সারজিস আলম ওই সময় বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই যে, এটা গুজরাট নয় এটা বাংলাদেশ। গুজব ছড়িয়ে এবং মানুষ হত্যা করে আপনি এখানে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছিলেন সারজিস। এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে।

  • JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই ভারতবর্ষ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার, জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন নবম জাতীয় সম্মেলন সামিট অন গুড অ্যান্ড রেপ্লিকেবল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইনোভেশন-এ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়া সম্ভব।

    যক্ষ্মামুক্ত ভারত ২০২৫ সালেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘Sustainable development goals-এর কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারতবর্ষকে যক্ষ্মামুক্ত করার কথা ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমরা মনে করছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পূরণ করে নেব।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যদি নিজের বক্তব্যে সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ১৭.৭ শতাংশ টিবি বা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা রোগের সংখ্যা কমেছে ৮.৩ শতাংশ।’’ একথা জানিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে গড় তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমাতে পেরেছি। একথা উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘করোনা কালে সারা ভারত যখন লকডাউন আক্রান্ত ছিল, তখনও আমাদের যক্ষ্মা রোগীর নির্মূলের কর্মসূচি চলেছিল।’’

    ১০০ দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘বিগত ১০০ দিনে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করেছি। তাঁদের যথাযোগ্য চিকিৎসা চলছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযানও চলছে। ৪৫৫টি জেলাতে যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি এবং সেখানেও টিবি মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন দুদিন ধরেই চলবে এবং আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ও ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকেশ মাহালিং। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র যিনি পুরী লোকসভার সাংসদ।

    কমেছে ম্যালেরিয়াও

    এই সম্মেলনে বিভিন্ন গবেষকরা নিজেদের প্রদর্শনী দেখান এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণ করতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই সমস্ত নথিও তাঁরা দেখান। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তুলে ধরেন মোদি জমানায় ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলিকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। তিনি জানান যে বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেখানেও ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। এদেশে কমেছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা। মোদি জমানায় ২০১৪ সাল থেকে ভারত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ সালের কথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র নীতি অনুযায়ী আমরা প্রিভেন্টিভ প্রোমোটিভ ও কম্প্রিহেনসিভ পদ্ধতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছি।

    আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথাও উঠে আসে নাড্ডার বক্তব্যে

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই দায়বদ্ধ হয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে সকলকে একটি ভালো স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে দেশবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমেছে মোদি জমানায়।’’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আশা কর্মীদের কথা এবং একেবারে নিচুস্তরে যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন তাঁদের কথা তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। যে রোগগুলি সংক্রামিত নয় সেগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে আমাদেরকে জীবনশৈলীর বদল করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেন যে কীভাবে তাঁরা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও তিন ধরনের ক্যান্সার এর মোকাবিলা করছেন। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এদেশের প্রতিটি জেলাতে একটি করে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। আমরা লক্ষ্যমাত্রারে রেখেছি যে ২০০ জেলাকে এর আওতায় আনব।’’

LinkedIn
Share