Author: subhra-katwa

  • Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মোট ১৬ জন কট্টরপন্থী জঙ্গিকে। জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, ১১টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), প্রচুর গুলি এবং যুদ্ধসামগ্রী। এই অভিযানগুলি চালানো হয়েছে মণিপুরের পাঁচটি জেলাজুড়ে— কাংপোকপি, বিষ্ণুপুর, তেঙ্গনৌপাল, ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে। কাংপোকপির পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইনসাস রাইফেল, পয়েন্ট ৩০৩, বোল্ট অ্যাকশন, পুল মেক ও একাধিক ইম্প্রোভাইজড মর্টার (Manipur News)।

    ধৃত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের সদস্য (Manipur)

    এই অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনীর ‘স্পিয়ার কর্পস’ এবং অসম রাইফেলস, সহযোগিতা করেছে মণিপুর (Manipur News) পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও আইটিবিপি। বিস্ফোরক শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা কুকুর। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর, থৌবল এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আরও ছয় জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। ধৃতরা কেওয়াইকেএল, কেসিপি ও পিএলএ-র সক্রিয় সদস্য। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, দুই চাকার গাড়ি ও নানান গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সবকিছু হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের হাতে।

    গুজব থেকে দূরে থাকতে বলল প্রশাসন

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ে যুক্ত ছিল এবং সংগঠনে নতুন সদস্য নিয়োগেও ভূমিকা রাখছিল। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান এবং এলাকা নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি, নাগরিকদের (Manipur) উদ্দেশে পুলিশ বার্তা দিয়েছে— যেন কেউ ভুয়ো ভিডিও বা গুজবে বিশ্বাস না করেন। কোনও অডিও-ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, এবং এমন কাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কারও কাছে লুন্ঠিত অস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকলে তা দ্রুত স্থানীয় থানায় অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দিতে (Manipur)।

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশ থেকে মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন শুভাংশুদের, প্রশান্ত মহাসাগরে নামল ড্রাগন ক্যাপসুল

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশ থেকে মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন শুভাংশুদের, প্রশান্ত মহাসাগরে নামল ড্রাগন ক্যাপসুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত এল! ভারতীয় সময় দুপুর ৩টা ১ মিনিটে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করল স্পেসএক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এই যানে ছিলেন শুভাংশু শুক্ল-সহ আরও তিন নভশ্চর। মঙ্গলবার দুপুরে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী, পৃথিবীতে ফিরে এলেন শুভাংশুরা (Shubhanshu Shukla)। তখন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো উপকূলে রাতের সময়। নির্ধারিত সময়মতো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুল। এই সময় যেকোনও মহাকাশযান প্রচণ্ড তাপ ও ঘর্ষণের মুখোমুখি হয়। ক্যাপসুলটি তখন ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল, যা ধীরে ধীরে কমে ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারে নেমে আসে। এরপর একে একে খুলে যায় চারটি প্যারাশুট, আর ধীরে ধীরে সমুদ্রে নামে ক্যাপসুলটি।

    প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী জাহাজ ও টিম

    প্রশান্ত মহাসাগরে আগে থেকেই অবস্থান করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী জাহাজ ও টিম। অবতরণের পরপরই তারা ক্যাপসুলের কাছে পৌঁছে যায় এবং সেটিকে জাহাজে তুলে নেয়। কিছু সময় পর ক্যাপসুলের হ্যাচ খোলা হয় এবং একে একে চার মহাকাশচারীকে বাইরে আনা হয়। এরপর তাদের উপর শুরু হয় বিভিন্ন মেডিক্যাল পরীক্ষা (Shubhanshu Shukla)।

    “ঘরের ছেলে”র ঘরে ফেরা (Shubhanshu Shukla)

    শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) শহর লখনউয়ে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার। বাবা শম্ভুদয়াল শুক্ল এবং মা আশা শুক্ল জানিয়েছেন, ছেলের এই কৃতিত্বে তারা গর্বিত। শুভাংশুর মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমাদের ছেলে ফিরে এসেছে—এটাই সবচেয়ে বড় কথা। সবাইকে ধন্যবাদ। গোটা পৃথিবী এই মুহূর্তটি দেখেছে। আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এত দিন পর ছেলেকে দেখে আবেগ সংবরণ করা কঠিন—স্বাভাবিকভাবেই কান্না এসে যাচ্ছে।”

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট

    এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ লিখেছেন, “ঐতিহাসিক অভিযানের শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লকে অভিনন্দন জানাই! আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অসীম নিষ্ঠা, সাহস এবং উদ্যমের নিদর্শন দিয়েছেন। কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন। এই অভিযান আমাদের নিজস্ব গগনযান মিশনের পথে আর একটি বড় পদক্ষেপ।”

    ২৫ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু

    গত ২৫ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের অংশ হিসেবে আইএসএসের (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন) উদ্দেশে যাত্রা করেন শুভাংশুরা (International Space Station)। এই মিশনে ছিলেন চারজন মহাকাশচারী—মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, স্পেসক্র্যাফ্টের পাইলট হিসেবে ভারতের শুভাংশু শুক্ল, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে পোল্যান্ডের মহাকাশ বিজ্ঞানী স্লাওস উজনানস্কি-উইশনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা

    আইএসএসে ১৮ দিন কাটানোর পর সোমবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তাদের যান এবং শুরু হয় দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা। অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করে ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুল। প্রসঙ্গত মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় ২৮ ঘণ্টা।

    আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুহূর্ত

    মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রতিটি ধাপে নজর ছিল আন্তর্জাতিক মহলে। সোমবার ‘আনডকিং’ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় স্পেসএক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে মহাকাশযানে প্রবেশ করতে দেখা যায় মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন পাইলট শুভাংশু ‘শুক’ শুক্লা এবং দুই মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানানস্কি-উইজনিউস্কি ও টিবর কাপুকে।

    পরীক্ষার নমুনা ও মালপত্র নিয়ে প্রত্যাবর্তন

    এই অভিযানে ফেরার সময় ড্রাগন ক্যাপসুলে প্রায় ২৫০ কেজি মালপত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মহাকাশচারীরা। এর মধ্যে ছিল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নমুনা এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যা মহাকাশে সম্পন্ন হওয়া গবেষণার ফলস্বরূপ।

    বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ ও গতি নিয়ন্ত্রণ

    ড্রাগন ক্যাপসুল যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তার গতি ছিল প্রায় ঘণ্টায় ২৮,০০০ কিলোমিটার। তবে সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঘর্ষণ এবং তাপের সৃষ্টি। এই পর্যায়ে, রেট্রো রকেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে ক্যাপসুলের গতি ধীরে ধীরে কমানো হয়, যাতে তা নিরাপদে অবতরণ করতে পারে। শেষ পর্যায়ে, স্প্ল্যাশডাউন প্রক্রিয়ায় ড্রাগনের গতি কমে দাঁড়ায় ঘণ্টায় মাত্র ২৩ কিলোমিটারে। কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ড্রাগন ক্যাপসুল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে ওঠে। সেখানে অপেক্ষা করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী দল এবং রিকভারি ভেহিকল।

    ফিরেও শুরু নতুন অধ্যায়

    সোমবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পথে যাত্রা শুরু করেন শুভাংশুরা। টানা সাড়ে ২২ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করেন তাঁরা। তবে মাটিতে পা রাখলেও আপাতত বাড়ি ফেরা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে নির্ধারিত নিয়ম মেনে তাঁদের কিছুদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। মহাকর্ষণহীন পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকার কারণে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে। সে কারণেই পৃথিবীর আবহাওয়ায় শরীরকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এই সময় তাঁদের রাখা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষণে, চলবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং অভিযোজনমূলক প্রশিক্ষণ। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে তবেই তাঁরা পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন।

  • DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিসিএ (DGCA) বোয়িং এবং ম্যাকডোনাল্ড ডগলাস নির্মিত নির্দিষ্ট বিমান মডেলগুলোর জন্য একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। বোয়িং ৭১৭, ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৮৭ এবং এমডি-১১ ও এমডি-৯০ মডেলগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং মেকানিজম ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এই পরীক্ষা শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে মার্কিন FAA এসব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে সমস্যা থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (DGCA)

    গত মাসের ১২ তারিখে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানে কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিসহ বিমানে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে যায় যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ছাদ থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিমানের দুটি ইঞ্জিনে আচমকাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়িং নির্মিত বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে থাকা কথোপথন

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে (DGCA) আরেকজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” — যার জবাবে বলা হয়, “আমি বন্ধ করিনি।” এই কথোপকথনের পরপরই পাইলট “মে ডে, মে ডে” বলে কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি বার্তা পাঠান, তবে উত্তর আসার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) বোয়িং বিমান পরিচালনায় (Boeing Aircrafts) নিযুক্ত সকল এয়ারলাইনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ জারি করেছে।

  • Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) কোনও ধর্মীয় কাজে দান করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয়সঙ্কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কথা বলার জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ২) বন্ধুরা আপনার পাশে দাঁড়াবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) শুভ কাজে বাধা পাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম,  ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):
    “হ্যা গা, ছোট নরেন এসেছে। আশা করছে, বাড়িতে গিয়ে কিছু বলবে। খুব শুদ্ধ ছেলে— মেয়েদের সঙ্গ সে করে না।”

    মাস্টার: “আর খোলটা খুব বড়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “হ্যাঁ। আবার বলি, ঈশ্বরের কথা একবার শুনলে আমার মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ‘ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না?’ ”

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

  • Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    Ashim Ghosh: হরিয়ানার রাজ্যপাল পদে বাঙালি, রাষ্ট্রপতি মনোনীত করলেন অসীম ঘোষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার রাজ্যপাল হিসেবে মনোনীত হলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অসীম ঘোষ (Ashim Ghosh)। সোমবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মনোনয়নের কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও শিক্ষাবিষয়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই বর্ষীয়ান নেতার রাজ্যপাল পদে মনোনয়নের খবর আসতেই খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তিনি বর্তমান রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন (Governor Of Hariyana)।

    ১৯৪৪ সালে জন্ম অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh)

    ১৯৪৪ সালে হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন অসীম ঘোষ (Governor Of Hariyana)। পড়াশোনা করেন হাওড়ার বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউশনে, এরপর কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ৩৮ বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেন তিনি। রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৯১ সালে, বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে।

    বঙ্গ বিজেপির পরিচিত মুখ অসীম (Ashim Ghosh)

    বিজেপির রাজনীতিতে অসীম ঘোষের (Ashim Ghosh) অবদান দীর্ঘ ও উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক হন। ১৯৯৮ সালে রাজ্য সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি। ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও, ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্ম সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য বুদ্ধিজীবী সেলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা তাঁকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।

    নতুন রাজ্যপাল গোয়ায়, লাদাখে নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    হরিয়ানার পাশাপাশি গোয়া এবং লাদাখেও নতুন রাজ্যপাল ও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোয়ার নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন পুষ্পতি অশোক গজপতি। তিনি তেলুগু দেশম পার্টির দীর্ঘদিনের নেতা এবং সাতবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে বিজয়নগরম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বেও ছিলেন প্রায় চার বছর। লাদাখের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন কোভিন্দর গুপ্তা। তিনি বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও আরএসএসের দীর্ঘদিনের সদস্য। জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের সময় তিনি উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন।

  • BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (khejuri) দুই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির ডাকা বন‍্ধে খেজুরিতে ব্য়াপক প্রভাব পড়ে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় খেজুরি। একাধিক জায়গায় রাস্তায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সব মিলিয়ে সোমবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শনিবারই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি ছিল, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।” সেসময়ই তিনি সোমবার বন‍্ধের কথা ঘোষণা করেন।

    সোমবারের বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি

    বিজেপির ডাকা সোমবারের বন‍্ধ (khejuri) ঘিরে সকাল থেকেই খেজুরিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাধিক এলাকায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন সমর্থকরা। হেঁড়িয়া, বাসগোড়া, কলাগাছিয়া, রসুলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। বহু যানবাহন আটকানো হয়, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কড়া অবস্থান নেয়, গ্রেফতার করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীকে। পাশাপাশি, রসুলপুর নদীর ফেরিঘাট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    শুভেন্দুর মিছিল, পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ

    সোমবার সকালে বিজেপির ডাকে বন‍্ধ (khejuri) সফল করতে খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলে ছিল ব্যাপক জনসমাগম। মিছিল শেষে এক সভায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হচ্ছে, আর পুলিশ তার গল্প সাজিয়ে তা লুকোচ্ছে। বিজেপি এর প্রতিবাদে রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “যে লাঠিতে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা লাগানো হয়েছে, সেগুলোকে আরও মজবুত করতে হবে। সেই লাঠিগুলোতে তেল মাখাতে হবে, কারণ এখন লড়াইটা কঠিন।”

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি

    ঘটনার পরপরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেছিলেন, “এই মৃত্যু রহস্যজনক নয়, এটি নির্মম খুন। পরিকল্পনা করে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বলে চালাতে চাইছে।” তিনি সেসময় অভিযোগ তোলেন, পুলিশের তরফ থেকে দেহ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার তিনি দাবি করেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে প্রভাবিত করা হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, উপর মহলের নির্দেশেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট লেখা হয়েছ। এদিন তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি ঘরে বসে হয় না, রাস্তায় নামতে হয়। আমরা ২০১১ সালেও এইভাবেই পরিবর্তন এনেছিলাম। আজও পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে।” সোমবার (khejuri) সকাল থেকেই নিহতদের পরিবারের হাহাকার খেজুরিকে যেন আরও নিস্তব্ধ করে দেয়। এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা চড়ছে।

    জলসায় গিয়ে রহস্য মৃত্যু (khejuri)

    গত শুক্রবার খেজুরির জনকার ভাঙনবাড়ী গ্রামে একটি  জলসার আয়োজন করা হয়। সেই জলসায় অন্যান্যদের মতো উপস্থিত ছিলেন ২৩ বছর বয়সি যুবক সুজিত দাস এবং ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ সুধীরচন্দ্র পাইক। এখানেই রহস্যমৃত্যু হয় দুজনের। এই মৃত্যু ঘিরে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, দেহে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নিছক দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেয় না বরং এটি একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলেই তাঁরা  বিশ্বাস করেন। মৃত সুজিত দাসের বাড়ি পূর্ব ভাঙনবাড়ীপুর গ্রামে এবং সুধীরচন্দ্র পাইকের বাড়ি ছিল ঝাঁটি হাটি গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের না জানিয়ে মৃতদেহ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অনুমান, এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে যা প্রশাসনের একটি অংশ আড়াল করতে চাইছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে শাসক দলের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা থাকতে পারে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্যে হিন্দুদের লক্ষ্য করে হামলা বাড়ছে এবং প্রশাসন এসব ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে চাপা দিতে চাইছে।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

  • Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে, যা বর্তমানে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে (Rain Forecast)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখাও। এই দুটি আবহাওয়াগত সিস্টেমের মিলিত প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির দাপট বাড়বে।

    দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    বর্ষা সক্রিয় থাকার কারণে (Low Pressure) রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে। কলকাতাতেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, কখনও ঝিরঝিরে তো কখনও দাপুটে বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনাতেও। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় (Rain Forecast)। বিশেষভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সোমবার অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত চলবে। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আপাতত নতুন করে কোনও আবহাওয়া সতর্কতা নেই।

    উত্তাল সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা

    রবিবার বিকেলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে (Rain Forecast) একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭.৬ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত। এর প্রভাবে উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে সমুদ্র হতে পারে অত্যন্ত উত্তাল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত চলবে। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর দিনাজপুর ও মালদা জেলায়। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও সপ্তাহান্তে (শনিবার ও রবিবার) আবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

  • Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের এক নবজাগরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে (Indonesia)। বিশেষ করে দেশটির বালি দ্বীপ, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জজুড়ে মোট ১২টি বিখ্যাত মন্দিরের পুনঃসংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে দেশের ৮৭ শতাংশের বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দু জনসংখ্যার হার এক শতাংশের সামান্য বেশি, সই দেশে পরপর মন্দির সংস্কারের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    এক হাজার মন্দির তৈরি (Hindu Temples)

    সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) হিন্দু সম্প্রদায় এক পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম “এক হাজার চান্দি নুয়াসান”। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল— গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে এক হাজার নতুন মন্দির নির্মাণ করা। “চান্দি” শব্দটি ইন্দোনেশিয়ান সংস্কৃতিতে মন্দির বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের উপাসনাস্থল হিসেবে বিবেচিত।

    চলছে প্রচার (Hindu Temples)

    এই কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে এক ব্যাপক প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি তুলে ধরা হচ্ছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। গোটা দ্বীপপুঞ্জে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক যুবক হিন্দু এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে (Indonesia)। অনেকে একে ‘হিন্দু সংস্কৃতির নতুন জোয়ার’ হিসেবেও অভিহিত করছেন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) হিন্দু ধর্মের প্রসার ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এর ফলে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক চিরকালই গভীর এবং এই কর্মসূচি সেই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্দির

    সংস্কার চলছে এমন মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেদুলান মন্দির, যা ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে নির্মিত। এই মন্দিরটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং বর্তমানে এর সংস্কারকাজ জোরকদমে চলছে। এছাড়া রয়েছে কালাসান মন্দির, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়। এটিও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং বর্তমানে এটি সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। লাউসান মন্দির নামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, যার স্থাপত্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় শৈলী লক্ষ করা যায়, সেটিও পুনঃসংস্কারের আওতায় এসেছে। এ ছাড়া সুকুয়া মন্দির, যা মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত, সেখানেও সংস্কারকাজ চলছে পুরোদমে।

LinkedIn
Share