Author: subhra-katwa

  • Daily Horoscope 09 April 2025: সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 09 April 2025: সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) প্রতিকূল দিন।

    বৃষ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

     

    মিথুন

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

     

     

    কর্কট

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

     

    ১) আপনার ব্যবহারের কারণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

     

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মকর

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় কর্মচারীদের নিয়ে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হওয়ায় উপকার পাবেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    Ram Mandir: ফের বড় উৎসব অযোধ্যায়, আগামী মাসেই রাজা হবেন রাম, প্রতিষ্ঠা পাবে তাঁর দরবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দিরে উদ্বোধন হয় ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি। তারপর থেকে অনেক জল গড়িয়েছে সরযূ নদী বেয়ে। এক বছর পরে উদযাপিত হয়েছে রামলালার অভিষেকের প্রথম বর্ষপূর্তি। সদ্য উদযাপিত হয়েছে রামনবমীও। এবার আগামী মাসেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভগবান রামকে অযোধ্যার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এর পাশাপাশি রাম মন্দিরের (Ram Mandir) প্রথম তলায় রাম দরবার বা রাজ দরবারের উদ্বোধন হবে। অর্থাৎ আগামী মাসেই রামের রাজত্ব অযোধ্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে একথা বলাই যায়।

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসবের মতো অতটা জমকালো হবে না অনুষ্ঠান

    তবে এই অনুষ্ঠান রাম মন্দিরে (Ram Mandir) রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মতো অতটা জাঁকজমকপূর্ণ বা জমকালো হবে না বলেই জানিয়েছেন রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সদস্যরা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট নিজেদের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি যে ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল রাম মন্দির প্রাঙ্গণে। এই অনুষ্ঠান অতটাও জমকালো হবে না। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আট হাজার লোকের উপস্থিতি ছিল। তবে রাম দরবার প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান ছোটখাটোভাবে সুন্দর করে করা হবে বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনাও তুঙ্গে।

    রাম দরবার (Ram Mandir) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমেই কাজ সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দিরের

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল যে সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সময় লাগবে। রামকে রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মধ্যে দিয়েই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রাম মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে নির্মাণ কাজ শুরু হয় রাম মন্দিরের। এরপরে ২০২৪ সালেই উদ্বোধন করা হয় রাম মন্দির (Ayodhya)। রাম মন্দিরের বর্তমানে নির্মাণ কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। নৃপেন্দ্র মিশ্র একসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন সচিবও ছিলেন।

    কী বলছেন নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র

    নৃপেন্দ্র মিশ্র সম্প্রতি জানিয়েছেন, মন্দির কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ এই মাসের (এপ্রিল) শেষের দিকে সম্পূর্ণ হবে। মন্দির প্রাঙ্গণে যে প্রাচীরের অবশিষ্ট কাজ রয়েছে সেগুলি ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। এ নিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মন্দিরে (Ram Mandir) এখনও কুড়ি হাজার ঘনফুট পাথর স্থাপন করা হয়নি। মন্দিরে নির্মাণ কাজ আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। মন্দিরের প্রাচীরের বাইরে এবং ভিতরের সমস্ত মূর্তি ৩০ এপ্রিলের মধ্যে স্থাপন করা হবে।’’ এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজ। ৫১ ইঞ্চি লম্বা মূর্তি স্থাপিত রয়েছে গর্ভগৃহে। অন্যদিক, রাম দরবারে ব্যবহৃত পাথরের খোদাইয়ের কাজ করছেন জয়পুরের ২০ জন দক্ষ শিল্পী।

    গড়া হয়েছে সন্ত তুলসী দাসের বিরাট মূর্তি

    একইসঙ্গে, রাম মন্দির (Ram Mandir) চত্বরে রামচরিত মানসের রচনাকার সন্ত তুলসী দাসের একটি বিশাল মূর্তিও প্রাজ্ঞণে স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম মন্দিরের কুড়ি একর জমিকেই ব্যাপকভাবে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার রাম মন্দির তৈরি হয়েছে নাগরীতে রীতিতে। প্রসঙ্গত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা যখন সম্পন্ন হয় তখন শুধুমাত্র গর্ভগৃহ এবং প্রথম তলাটি সম্পূর্ণ হয়েছিল।

    গড়ে তোলা হয়েছে রামকথা জাদুঘর

    অযোধ্যায় রামের মূল মন্দির থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রামকথা জাদুকর। এখানেই ভগবান রাম যেন আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। রামায়ণের বিভিন্ন ঘটনাবলীও এখানে লিপিবদ্ধ হয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি রাম মন্দির আন্দোলনের ২০০ বছরের ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে এই জাদুঘরে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে যে সমস্ত জিনিসগুলি উদ্ধার হয়েছে সেগুলিও এখানে সংরক্ষিত করা হয়েছে রামভক্তদের জন্য।

  • Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    Ajit Doval: পাক-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না দিল্লি! ব্যাংককে ইউনূসের প্রতিনিধিকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শেষের দিকে ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে ৩৮ মিনিটের কথা হয়। তবে মোদি-ইউনূসের এই বৈঠক ছিল এককথায় সৌজন্যমূলক। তবে ওই সম্মেলনেই অন্য বৈঠকে অজিত ডোভাল তুলোধনা করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিকে। ডোভাল (Ajit Doval) কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘেঁষাঘেঁষি ভারত ভালো চোখে দেখছে না। কোনও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য নয় বরং সোজা কড়া সত্য কথা বলে বাংলাদেশকে তুলোধনা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

    ঢাকাকে সীমারেখা টেনে দেন ডোভাল (Ajit Doval)

    প্রসঙ্গত, অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি খলিলুর রহমানের সঙ্গে। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নৈশভোজের সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, এখানেই নয়াদিল্লি ঢাকাকে একেবারে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন যে কোনও পদক্ষেপে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর হবে না। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশকে বেশ কতগুলো সীমারেখাও টেনে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউনূসদের দেশকে সতর্ক করা হয়েছে, এই রেখা যদি অতিক্রম করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না।

    ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে

    স্বরাজ্য পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানের সঙ্গে একেবারে খোলামেলা স্তরে আলোচনা করেছেন। এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বিদেশ মন্ত্রকের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশে হওয়া ভারতবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কেও খলিলুর রহমানকে সতর্ক করেন অজিত ডোভাল। এর পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ বাংলাদেশ করা হচ্ছে বলে রহমানকে সতর্ক করেন ডোভাল।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন ডোভাল

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উঠে আসে ওই আলোচনাতে। অজিত ডোভাল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, ভারতের স্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে যে কোনও কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। রহমানের উদ্দেশ্যে ডোভাল বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় তা ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ।’’ জানা যাচ্ছে, এই সময়ই খলিলুর রহমান অজিত ডোভালকে আশ্বস্ত করতে যান। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের কোনও স্বার্থহানি ঘটাবে না। অজিত ডোভাল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আইএসআই অতীতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মিলিত হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে এমন রিপোর্ট রয়েছে।’’

    ভারতে অশান্তি পাকানোর ব্যবস্থা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

    এই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া দিল্লির তরফ থেকে ঢাকাকে বলা হয়, ‘‘ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য কোনও সংগঠন যদি দায়ী থাকে তাহলে সেই সংগঠন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, এরপরেই খলিলুর রহমান ডোভালের কথায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, ‘‘ঢাকা সর্বদাই ভারতের কথা মনে রাখবে এবং কখনও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’’

    উগ্র মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে ইউনূস সরকার, বৈঠকে বলেন ডোভাল

    এই বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) জানিয়ে দেন, বাংলাদেশের নতুন সরকার উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে উৎসাহিত করছে। সরকার স্বাধীনতা প্রদান করেছে ইসলামিক সংগঠনগুলিকে। এই সংগঠনগুলি ভারত-বিরোধী। তারা ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেখা যায় যে সে দেশের মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠনের একাধিক নেতাকে ইউনূস সরকার মুক্তি দিয়েছে এবং তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশে।

    ভারত বিরোধী কার্যকলাপ, ঢাকা যেন দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল একাধিক উদাহরণ তুলে ধরেন যে বাংলাদেশে কীভাবে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এই কাজে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান ডোভাল। এ প্রসঙ্গে অজিত ডোভাল জামায়াতে ইসলাম, ইসলামি ঐক্য জোট এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলির ভারত-বিরোধী কার্যকলাপকে তুলে ধরেন। খলিলুর রহমানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অজিত ডোভাল আরও বলেন, ‘‘উগ্র মৌলবাদীদের এমন ভারত-বিরোধী বক্তব্য একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি দেখা যায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি এই ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করছে, তাহলে বাংলাদেশ যেন ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আশা না করে।’’

    হিন্দু নির্যাতন নিয়েও সরব হন ডোভাল

    খলিলুর রহমানের সঙ্গে এই বৈঠকে অজিত ডোভাল বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন। তবে ডোভালের বক্তব্যকে রহমান খণ্ডন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু নির্যাতন নিয়ে যে ধরনের খবর রটছে তা অতিরঞ্জিত।’’ রহমানের মুখে এমন কথা শুনে অজিত ডোভাল হিন্দুদের আক্রমণের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদীরা খুবই শক্তিশালী। তাদের লাগাম টেনে ধরা উচিত। উগ্র মৌলবাদীরা যদি এদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং ভারত-বিরোধী প্ররোচনা দেয়, তাহলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকতে পারে না।

    কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, হুঁশিয়ারি দিল্লির

    ভারতের সঙ্গে সীমানা নিয়েও অজিত ডোভাল এবং খলিলুর রহমানের মধ্যে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি চোরাকারবারি, পাচারকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিএসএফের পদক্ষেপকে তুলে ধরেন অজিত ডোভাল। বাংলাদেশকে ডোভাল জানান, কেউ যদি এভাবে সীমান্ত লঙ্ঘন করতে চায়, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। বিএসএফ কেবল আত্মরক্ষার জন্যই অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালায়। একইসঙ্গে অজিত ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংস্থাগুলি যেন এটা নিশ্চিত করে যে তাদের দেশের কেউ যেন অবৈধভাবে ভারতের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা না করে।

    চিন সফরে ইউনূসের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান ডোভাল

    একইসঙ্গে ডোভাল খলিলুর রহমানকে জানিয়েছেন যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে যে সমস্ত ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলি বাংলাদেশের পালন করা উচিত। সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সেখানেই তাঁর একটি বিবৃতি নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। নিজের বক্তব্যে ইউনূস উত্তর-পূর্ব ভারতকে একটি স্থলবেষ্টিত আলাদা দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। খলিলুরে সামনে এই বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেন অজিত ডোভাল।

  • Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    Science News: ১২ হাজার বছর আগে হয়েছিল বিলুপ্ত, ফের পৃথিবীতে ফিরে এল ডায়ারউলফ! কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রস্তর যুগ থেকে তুষার-যুগ পর্যন্ত তারা পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়াত। অন্তত সাড়ে ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এই প্রাগৈতিহাসিক ভয়ঙ্কর নেকড়ে। যা পরিচিত ছিল ডায়ারউলফ (Science News) নামে। কিন্তু, ফের তাকে ফিরিয়ে আনা হল পৃথিবীতে। তবে কোনও হলিউডের সিনেমার মাধ্যমে নয়। একেবারে বাস্তবে। গবেষণাগারে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনলেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা ডায়ারউলফের জীবাশ্ম থেকে সংগৃহীত নমুনা দিয়ে তিনটি নেকড়ে ছানার প্রজনন করিয়েছেন, যাদের শরীরে ডায়ারউল্ফের ডিএনএ এবং বৈশিষ্ট্য প্রামান্য পরিমাণে রয়েছে। প্রসঙ্গত, এ সংক্রান্ত গবেষণাটি চালিয়েছিল কলোসাল বায়োসায়েন্সস নামের একটি সংস্থা। ওই সংস্থা তাদের গবেষণা বিষয়ে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট নিজেদের এক্স মাধ্যমেও করেছে।

    এক্স মাধ্যমের পোস্টে কী জানাল গবেষক সংস্থা (Science News)

    নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে কলোসাল বায়োসায়েন্সেস লিখছে, ‘‘দশ হাজার বছর পরে আমরা আবার ডায়ারউলফকে (Dire Wolves) ফিরে পেয়েছি।’’ এরপরেই নিজেদের ওই পোস্টে ওই সংস্থা আরও লেখে, ‘‘আপনারা পরিচিত হন রোমুলাস এবং রেমাসের এর সঙ্গে। এদের শরীরেই রয়েছে ডায়ারউলফের (Science News) ডিএনএ।’’ প্রসঙ্গত, এই নেকড়ে ছানা দুটি জন্মগ্রহণ করে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর। খালেসি নামের তৃতীয় শাবকটির জন্ম হয় কয়েক সপ্তাহ পর।  সে কথাও নিজেদের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লিখেছে ওই সংস্থা। বর্তমানে, উত্তর আমেরিকার একটি গোপন গবেষণাগার ও সংরক্ষিত বনে তারা বেড়ে উঠছে। তাদের পর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে গরু, হরিণ ও ঘোড়ার মাংস। এরসঙ্গে চলছে শুকনো খাবার।

    ডায়ারউলফগুলি একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত

    জানা গিয়েছে, ডায়ারউলফগুলি (Science News) একদা উত্তর আমেরিকাতে ঘোরাফেরা করত। সেসময় তারা বাইসন ও ভল্লুক শিকার করতে বলে জানা যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস সংস্থার মতে, এই ডায়ারউলফগুলির ছিল অনেক চওড়া মাথা ও তীক্ষ্ণ দাঁত। উত্তর আমেরিকার অত্যন্ত ভয়ঙ্কর শিকারি হিসাবেই তারা পরিচিত ছিল। এই ডায়ারউলফগুলি ১২,৫০০ বছর আগেও পৃথিবীতে ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই তারা বিলুপ্ত হয়ে যায়। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এই গবেষণার কাজ শুরু করে বিলুপ্ত হওয়া এই প্রাণীর জীবাশ্মের নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে। ওই সংস্থা, ওহায়ো ও আইডাহো শহর থেকে প্রাপ্ত দুটি ডায়ারউলফের জীবাশ্মের নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করে। কলোসাল জানিয়েছে, ১২ হাজার বছর আগের একটি দাঁতের জীবাশ্ম ও ৭৩ হাজার বছর আগের একটি কানের হাড়ের জীবাশ্ম থেকে এই ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়। তারপরে ওই ডিএনএকে ব্যবহার করে একটি মাদী গ্রে উলফের (বর্তমান প্রজাতি) ডিম্বানুতে এই ডায়ারউলফের জিনের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে তিন শাবকের জন্ম দেওয়ানো হয়।

  • Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Waqf Amendment Act: নতুন ওয়াকফ আইনে রয়েছে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’ সংস্থান, কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সংসদে দুই পক্ষের পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Act)। পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষর করায় তা এখন আইনে পরিণত। এই আইনের একটা সংস্থান হল জমি বা সম্পত্তি দানে ‘৫ বছরের অপেক্ষা’। কী এটা? নতুন আইন অনুযায়ী, ইসলাম ধর্ম পাঁচ বছর ধরে পালন করলে, তারপরেই ওয়াকফ দান করা যাবে।

    কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

    অতীতে ওয়াকফ দান ঘিরে একাধিক দুর্নীতি এবং অনিয়মের ছবি সামনে এসেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, হিন্দুদের জমি জোর করে দখল করা হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ওই হিন্দুকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে, তিনি ওই জমি ওয়াকফ হিসেবে দান করেছেন। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ উঠেছে যে, বহু হিন্দু ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে স্রেফ তাঁর জমি দখল করার দুরভিসন্ধি নিয়ে। কিন্তু নতুন নিয়ম তার প্রতিকার দেওয়া রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে পালন করলে তবেই ওয়াকফ দান করা যাবে। অর্থাৎ যারা ধর্মান্তরিত হচ্ছেন তাঁরাও আগে পাঁচ বছর ধরে ইসলামকে পালন করুক। ইসলামকে বুঝুক। তার পর যদি তাঁদের মনে হয়, ওয়াকফে দান করবেন, তখন তাঁরা জমি দান (Waqf Amendment Act) করতে পারবেন।

    কেন এই সংস্থান তাৎপর্যপূর্ণ?

    এ নিয়েই একজন বিজেপি সাংসদ যিনি জেপিসি-র সদস্যও বটে, তিনি বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হল, ধর্মান্তরিতরা যাতে না প্রতারিন হন, তা নিশ্চিত করা। আর পাঁচ বছর সময়সীমা রাখা হয়েছে, কারণ, এটা বাস্তবসম্মত। কোনও নতুন বিষয়কে বোঝার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার। তিনি এও জানান, এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না যাঁরা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করছেন তাঁদের ক্ষেত্রে। এটা প্রযোজ্য যাঁদেরকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে ইসলাম ধর্মে তাঁদের ক্ষেত্রেই। কারণ তাঁদেরকে বুঝতে সময় দেওয়া উচিত যে তাঁরা যেটা করছেন সেটা ঠিক কি! এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানিয়েছিলেন যে ১৯১৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ড মিলিতভাবে ১৮ লক্ষ একর জমির মালিক ছিল। কিন্তু বিগত ১২ বছরে তারা অতিরিক্ত ২১ লক্ষ একর জমির মালিকানা (Waqf Amendment Act 2025) দাবি করছে।

    কীভাবে করা যাবে চিহ্নিত?

    কিন্তু সরকার কীভাবে সেই সমস্ত মুসলিমদেরকে চিহ্নিত করবে যারা পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্মকে (Waqf Amendment Act) পালন করছে! এমন প্রশ্নই সংসদে করেছিলেন আসাউদ্দিন ওয়েসি এবং সৈয়দ নাসির হোসেন। এ নিয়ে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজেজু নিজের উত্তরে বলেন, ‘‘নতুন ওয়াকফ আইন যখন বাস্তবায়িত হবে, সেখানেই এনিয়ে বিস্তৃত লেখা থাকবে। কে মুসলিম কে অমুসলিম সেটা বাছাই করা হবে প্রামাণ্য নথি দিয়েই।’’

  • Daily Horoscope 08 April 2025: সমাজে খ্যাতি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 April 2025: সমাজে খ্যাতি বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    কর্কট

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

     

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    Mangal Pandey: তিনিই জ্বালিয়েছিলেন সিপাহী বিদ্রোহের মশাল, ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডের তিরোধান দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজকের দিনেই ফাঁসি হয়েছিল দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে পরিচিত মঙ্গল পাণ্ডের (Mangal Pandey)। ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল ফাঁসি হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, ১৮২৭ সালে উত্তরপ্রদেশের এক ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন মঙ্গল পাণ্ডে। ২২ বছর বয়সে এই বীর সিপাহী পদে চাকুরি নিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীনে। ভারতে সিপাহী বিদ্রোহ (Sepoy Mutiny Of 1857) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৮৫৭ সালের মে মাসে। এই আন্দোলন এককথায় শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে। সেটা ছিল ১৮৫৭ সালের মার্চ মাস। এরপর এপ্রিলেই তাঁর ফাঁসি হয়।

    ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ বিদ্রোহ শুরু করেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    ব্রিটিশ সরকারের চোখে মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey) একজন বিশ্বাসঘাতক। তবে দেশের মানুষের চোখে আজও তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের (Indian Revolutionary) এক অন্যতম মহানায়ক। ইতিহাসবিদরা বলছেন, তাঁর হাত ধরেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। দিনটি ছিল ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ। ওই দিন রবিবার ছিল বলে জানা যায়। ব্রিটিশদের জন্য দিনটি ছিল ছুটির দিন। তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ঘরে। কলকাতার বারাকপুরের পঞ্চম ব্যাটেলিয়ন বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য মঙ্গল পাণ্ডে ঘুরছিলেন বারাকপুর প্যারেড গ্রাউন্ডের আশেপাশেই। সেদিন সিপাহীদের প্যারেড ময়দানে প্রথম ইংরেজ বিরোধী এক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন মঙ্গল পাণ্ডে।

    খবর পৌঁছায় ব্রিটিশ সেনা আধিকারিকদের কাছে

    জানা যায়, ওই দিন বিকেলের মধ্যেই ইংরেজদের কাছে এই খবর পৌঁছে যায়। খবর যায়, বেঙ্গল নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সেনাপতির সহকারী লেফটেন্যান্ট বাও (Lieutenant Baugh) এর কাছে। তিনি জানতে পারেন যে বারাকপুরে বেশ কয়েকজন সিপাহী বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। তিনি আরও জানতে পারেন যে মঙ্গল পাণ্ডে নামের এক সিপাহী গাদা বন্দুক-সহ প্যারেড ময়দানে সেনাবাহিনীর প্রহরী কক্ষের সামনে রয়েছেন। এই ব্যক্তিই ডাক দিয়েছেন সিপাহী বিদ্রোহের।

    ইংরেজ অফিসার বাও-এর সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের লড়াই

    এ কথা জানার পরেই বাও অস্ত্র হাতে ঘোড়ায় চড়ে সেখানে উপস্থিত হন। তখনও সেখানে হাজির ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। এরপর মঙ্গল পাণ্ডে ৩৪তম কোয়ার্টার-গার্ডের সামনে থাকা স্টেশন বন্দুকের পিছনে অবস্থান নেন। তারপরে বাওকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। মঙ্গল পাণ্ডের লক্ষ্য সঠিকভাবে আঘাত হাতে পারেনি। বাওয়ের ঘোড়াকে আঘাত করে মঙ্গল পাণ্ডের গুলি। এরপরেই বাও মাটিতে পড়ে যান। বাও দ্রুত নিজেকে রক্ষার্থে মঙ্গল পাণ্ডের দিকে গুলি করতে করতে এগিয়ে যান। এবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হন বাও নিজেও। এরপর বাও নিজের তলোয়ার বের করার আগেই মঙ্গল পাণ্ডে তাঁর ওপর তলোয়ারের আঘাত হানেন। তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপরে হিউসন নামের এক ব্রিটিশ সেনা বাওকে সেখানে থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।

    মৃত্যুদণ্ডের কথা জানতে পেরেও শান্ত ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে

    এইভাবে বিদ্রোহ চলাকালীনই ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন মঙ্গল পাণ্ডে। তিনি সেই মুহূর্তে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন বলে জানা যায়। তখনই মারাত্মক আহত হয়ে পড়েন তিনি। তবে তিনি সুস্থ হতে না হতেই মাত্র এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়। বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে এ কথা জেনেও বীরত্ব দেখিয়েছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)। কেউ কি তাঁকে বিদ্রোহ করতে প্ররোচনা দিয়েছিল? এর উত্তরে মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, তিনি নিজেই বিদ্রোহ করেছেন এবং তাঁকে অন্য কোনও ব্যক্তি এই কাজ করতে উৎসাহিত করেনি। অবশেষে ১৮৫৭ সালের ৮ এপ্রিল মঙ্গল পাণ্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

    ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র এবং সিপাহী বিপ্লবের সূচনা

    জানা যায়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের যুবকরাই কাজ করতেন। এমন সময় ১৮৫৩ সালে ক্যালিবার এনফিল্ড ৫৫৭ (পি/৫৩) নামে একটি রাইফেল আমদানি করে ব্রিটিশ সরকার। উল্লেখ্য এই রাইফেলের কার্তুজ লোড করতে হলে তা প্রথমে দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে নিতে হত। এই সময়ই গুজব রটে যায় যে কার্তুজগুলো তৈরি করা হত গরু ও শূকরের চর্বি দিয়ে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে গরুর চর্বি এবং মুসলিমদের শূকরের চর্বিতে ছিল নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে ভারতীয় সৈন্যরা সরাসরি এর বিরোধিতা শুরু করে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষকে তারা সাফ জানায়, বন্দুক ব্যবহার তারা কোনওভাবেই করতে পারবে না।

    দীর্ঘদিনের অত্যাচার ক্ষোভের সঞ্চার করে ভারতবাসীর মনে, এগিয়ে আসেন মঙ্গল পাণ্ডে (Mangal Pandey)

    প্রবল চাপের মুখে এই বন্দুক প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু গড়িমসি চলতেই থাকে। এর ফলে সিপাহীদের মধ্যে জন্মাতে থাকে প্রবল বিদ্রোহ, যা পরিবর্তিত হয় সিপাহী বিদ্রোহে। ভারতবাসীর ওপর দীর্ঘদিনের অত্যাচার, নিপীড়নের ফলে ভেতরে ভেতরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। সেই পূঞ্জীভূত ক্ষোভই ঘটিয়ে দেয় মহাবিদ্রোহ। যে বিদ্রোহের সঙ্গে মঙ্গল পাণ্ডের নাম জড়িয়ে। ১৮৫৭ সালে প্রথমবারের জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন যে যুবক তিনি মঙ্গল পাণ্ডে।

    বৃথা যায়নি মঙ্গল পাণ্ডের আত্মবলিদান

    প্রসঙ্গত, মঙ্গল পাণ্ডের এই আত্ম বলিদান বৃথা যায়নি। যে বিদ্রোহের সূচনা তিনি করেছিলেন করেছিলেন, তা স্ফূলিঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের মিরাট, দিল্লি সহ বিভিন্ন অংশে। এদিকে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, পাবনা, দিনাজপুরে এর ব্যাপক প্রভাব পরে যায়। বিদ্রোহীরা ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্রাগার লুট করে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে অত্যাচারী ব্রিটিশ পুলিশ আধিকারিকদের হত্যাও করতে থাকে বিদ্রোহীরা। পরবর্তীতে এই বিদ্রোহ দিল্লি পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং বেশ কিছুদিনের জন্য স্থায়ী হয়। তবে এই বিদ্রোহকে দমন করতে সমর্থ হয় ব্রিটিশরা।

    মঙ্গল পাণ্ডেকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাও

    মঙ্গল পাণ্ডের বীরত্বকে স্মরণ করে ভারতে নির্মিত হয়েছে সিনেমাও। ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং’ নামক সিনেমাটিতে অভিনয় করেন আমির খান। মঙ্গল পাণ্ডের জীবনের ওপর নির্মিত এই সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, বীর সাভারকর সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। মঙ্গল পাণ্ডের নাম ভারতের ইতিহাসে চিরকাল থেকে যাবে। কারণ, দেশের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ তিনিই শুরু করেছিলেন। তাঁর সূচনা করা বিদ্রোহ ব্রিটিশদের ভিত নাড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছিল।

  • PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্যই সম্পদ- এ কথাই ফের একবার চর্চিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে। এদিন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে শোনা গেল ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রীকেও। ভালো স্বাস্থ্য গড়ে তুলতে কী কী করণীয়, সে উপায়ও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানালেন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ঠিক কতটা।  তাঁর মতে, ‘‘আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য।’’  অর্থাৎ ভালো স্বাস্থ্যই হল প্রকৃত সৌভাগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নিজের এক্স মাধ্যমে এ নিয়ে লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সংকল্প নিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব আমরা তৈরি করতে পারি।’’

    ভালো স্বাস্থ্য যেকোনও সমাজের ভিত মনে করেন মোদি

    প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে (World Health Day) উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ১০ বছরে চালু হয়েছে অসংখ্য প্রকল্প। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি তাঁর সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলেও নিজের পোস্টে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সরকারের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ করা।’’ ভালো স্বাস্থ্য যে কোনও সমাজের ভিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    কমাতে হবে রান্নার তেলের পরিমাণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় আহ্বান মোদির

    একইসঙ্গে নিজের এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি সেখানে লেখেন (PM Modi), ‘‘ওবেসিটি বা স্থূলত্ব হল বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’ এনিয়ে জনগণের কাছে তিনি আবেদনও জানান। মোদির মতে, বর্তমানে গৃহস্থের বাড়িতে যে পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। তার ১০ শতাংশ যেন কম খরচ করেন তাঁরা। এর পরেই তিনি লেখেন, ‘‘আরোগ্যম পরম ভাগ্যম।’’ অর্থাৎ আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি লাইফ স্টাইল রোগগুলির ওপরেও বলেন। বিশেষত তাঁর বক্তব্য উঠে আসে স্থূলত্ব নিয়ে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা বিশ্বের কাছে স্থূলত্ব একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি রিপোর্টে বলছে ২০৫০ সালে সারা পৃথিবীতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন।’’

    উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে, জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে। আমাদের প্রতিদিনের যে জীবন যাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন। এত সংখ্যা সত্যিই আশঙ্কার। আমাদেরকে এর উপর কাজ করতে হবে। যে পরিমাণ রান্নার তেল আমরা ব্যবহার করি তা কমাতে হবে। এর সঙ্গে প্রতিদিন আমাদের শারীরিক অনুশীলনও করতে হবে। এতেই সুস্থভাবে বাঁচতে পরারব আমরা। নিজেকে ফিট রাখতে হবে আমাদের। যাতে বিকশিত ভারতের উন্নতির জন্য আমরা অবদান রাখতে পারি।’’ দেশের মানুষের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নতির জন্য সদা পদক্ষেপ করছে মোদি (PM Modi) সরকার। যেমন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন দেশজুড়ে অসংখ্য মানুষ। এর পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাতেও অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    চলতি বছরে হু-এর থিম ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO) থিম রেখেছে ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সচেতনতা ছড়ানো হয় স্বাস্থ্যের গুরুত্বর ওপর। এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি। ভালো স্বাস্থ্য রাখতে কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ের ওপরেও আলোকপাত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে, স্বাস্থ্যের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ কী কী রয়েছে সে নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৫০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ৭ এপ্রিলকে ঘোষণা করে। বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং নানা গোষ্ঠী এই দিনটি পালন করে থাকে।এদিনই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি বিবৃতি সামনে এসেছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) ভারতের জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উদ্যোগগুলি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • New Pamban Bridge: দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সি-ব্রিজ! জানুন মোদির হাতে উদ্বোধন হওয়া পাম্বান রেলসেতুর বৈশিষ্ট্য

    New Pamban Bridge: দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সি-ব্রিজ! জানুন মোদির হাতে উদ্বোধন হওয়া পাম্বান রেলসেতুর বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে সমুদ্রে অবস্থিত ভারতের প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু পাম্বান ব্রিজের (New Pamban Bridge) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মান্নান উপসাগরের অবস্থিত আগের সেতু পুরনো হয়ে যাওয়াতেই নয়া ব্রিজ তৈরি করা হয়। উদ্বোধনের আগে রেল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘‘অতীতের সেতু, নতুনকে তুলে ধরছে, অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাম্বান। এই রামনবমীতে ভারতের প্রথম ভার্টিকাল লিফট রেলওয়ে সি ব্রিজের (প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু) সাক্ষী থাকুন।’’

    ১৭ মিটার উঠে যাবে পাম্বান ব্রিজের উলম্ব অংশ (New Pamban Bridge)

    প্রসঙ্গত নয়া যে পাম্বান ব্রিজ (New Pamban Bridge) তৈরি করা হয়েছে, তা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরমকে যুক্ত করেছে। রেলের তরফে জানানো ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, নয়া পাম্বান ব্রিজের দৈর্ঘ্য হল প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার। দু’প্রান্তের প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে এই সেতুকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জাহাজ এলেই সরে যাবে সেতু। সেজন্য পাম্বান সেতুর মাঝ বরাবর ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশ আছে, যা ১৭ মিটার পর্যন্ত উঠে যাবে। সেতু উঠে যাওয়ার সময় যাতে রেললাইনের সংযোগ এবং ওভারহেড তারের সংযোগ কোনওভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়, সেজন্য বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেতু সরে যেতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে। এর ফলে জাহাজ চলাচল করতে পারে। রেলের (Vertical Lift Railway Sea Bridge) তরফে দাবি করা হয়েছে, নয়া পাম্বান সেতুর ফলে একদিকে যেমন সহজেই বড় জাহাজ চলাচল করত পারবে, তেমনই ট্রেন পরিষেবা আরও ভালো হবে।

    খরচ হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা

    জানা যায়, রামেশ্বরমকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ১৯১৪ সালে পাম্বান ব্রিজ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। নয়া ব্রিজ (New Pamban Bridge) নির্মাণ করতে ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ব্রিজের ক্ষেত্রে স্টেনলেস স্টিল এবং বিশেষ রং ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭৫ কিমি বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের নকশায় আধুনিক প্রযুক্তিতে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

LinkedIn
Share