Author: subhra-katwa

  • The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    The Bengal Files: কলকাতায় ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলসের’ ট্রেলার লঞ্চে বাধা, মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গে বাতিল হওয়ায় রাজ্যের মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন পরিচালক। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের পরে শনিবারেও বাধা দেওয়া হয় ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে। শুক্রবারই একটি ভিডিও শেয়ার করে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, কলকাতায় নির্ধারিত ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান একটি মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল বাতিল করে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা আমাদের টিম নিয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় একটি সিনেমা হলে ট্রেলার লঞ্চের পরিকল্পনা করেছিলাম। তাঁরা সব অনুমতিও দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎ করে তা বাতিল করা হয়।” পরিচালক আরও বলেন, “শুরুতে আমাদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় অনুমতি ছিল। সেই কারণে আমরা কলকাতায় এসেছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের জানানো হয়, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।”

    শনিবারেও বাধা, কেটে দেওয়া হয় তার (The Bengal Files)

    শুধু শুক্রবার নয়, শনিবারও ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর (The Bengal Files) ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়। একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে ট্রেলার দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথে পুলিশ এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। তার কেটে দেয় জায়ান্ট স্ক্রিনের। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী এবং প্রযোজক পল্লবী জোশীও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এই ছবি আটকাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।”

    ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে?

    বিবেক অগ্নিহোত্রী অভিযোগ করেন, সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেই তারা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে কি দুটি সংবিধান চলে? এক ভারতীয়দের জন্য, আরেকটা কি পশ্চিমবঙ্গের জন্য?” উল্লেখ্য, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ ছবির প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল ও পল্লবী জোশী। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার এবং পল্লবী জোশী। সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

    কেউ এই ছবির মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না

    পরিচালক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা দেরি করব না। খুব শীঘ্রই কলকাতাতেই ট্রেলার লঞ্চ করব।” শুক্রবার তিনি নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি বলেন, “কলকাতায় নামার পর জানতে পারলাম, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’-এর ট্রেলার লঞ্চের ভেন্যু বাতিল করা হয়েছে—আমাদের কণ্ঠ রোধ করতে। কিন্তু আমাকে থামানো যাবে না, কারণ সত্যকে চুপ করিয়ে রাখা যায় না। সব কলকাতাতেই হবে। দয়া করে এই ভিডিও শেয়ার করুন এবং বাকস্বাধীনতাকে সমর্থন করুন।” শুক্রবার সন্ধ্যায় বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে দেবীর দর্শনে যান। সেখানে তিনি বলেন, “আমি মায়ের আশীর্বাদ নিতে এসেছি। কেউ এই ছবি মুক্তি থেকে আটকাতে পারবে না।”

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশীর তোপ (The Bengal Files)

    সিনেমার প্রযোজক তথা অভিনেত্রী পল্লবী জোশী বলেন, “ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান ঘিরে যা হয়েছে তা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে না, বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা তৈরি হওয়া দরকার ছিল। দেখুন কী হচ্ছে বাংলায়। সেই কারণে এই ধরনের সিনেমা এখনকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই সিনেমার দেখার জন্য অনুরোধ করব৷ যাতে তারা বাংলার আসল রূপ দেখতে পারে৷” তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলব না৷ কিন্তু যেভাবে আমাদের সিনেমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে তা আমি মেনে নেব না৷ আমার বিষয়টা মোটেও ভালো লাগেনি৷ কোনও পরিচালক বা অভিনেতাদের সম্মান দেওয়া সেই রাজ্যের দায়িত্ব৷ আর এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে৷ এই রাজ্যে কি মত প্রকাশের কোনও স্বাধীনতা আছে? একজন অভিনেতা, নির্মাতা হিসাবে আমাদের সেই স্বাধীনতাটুকু নেই যে সেখানে ট্রেলার দেখানো যাবে৷ একটা সিনেমাকে কেন এত ভয় পাচ্ছে সরকার?”

    ট্রেলার না দেখাতে দেওয়া অনৈতিক, এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি

    পল্লবীর কথায়, “ট্রেলার না দেখাতে (The Bengal Files) দেওয়া অনৈতিক ৷ এমন ঘটনা কাশ্মীরেও হয়নি। আমরা তো কাশ্মীরে গিয়েও শুটিং করেছি৷ এখন তো মনে হচ্ছে কাশ্মীরের অবস্থা হয়তো বাংলার থেকেও ভালো৷ এই রাজ্যে কী এইভাবে চলতে হবে? আর আমার মনে হয়, এই কারণে দ্য বেঙ্গল ফাইলস গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি গোটা যুব সমাজকে আহ্বান জানাবো, এই সিনেমা দেখার জন্য ৷ বোঝার জন্য যে বাংলায় কী চলছে!”

    এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি, বললেন প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল

    প্রযোজক অভিষেক আগরওয়াল অভিযোগ করে বলেন, “এখানে অনুমতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ তাহলে কেন যখন টেস্টিং চলছিল, তখন বারণ করা হয়নি? এতবড় পাঁচতারা হোটেলে অনুমতি ছাড়া কী কোনও কাজ চলতে পারে? গতকাল রাত থেকে সেটআপ তৈরি করা হচ্ছিল ৷ আজ ট্রেলার লঞ্চ করার কথা ছিল৷ থিয়েটারে অনুমতি বাতিল করার পর হোটেল ব্য়বস্থা করা হয়।” তিনি আরও বলেন, “এমন সমস্যা তো কাশ্মীর ফাইলস মুক্তির সময়ও হয়নি। সেই সমস্যা অনেক কম ছিল। তবে বাংলার এসে এমন ঘটনার অভিজ্ঞতা প্রথম ৷ ট্রেলার চলতে চলতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ পরিচালক বিবেকের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ৷ একটা ট্রেলার লঞ্চ ঘিরে এত পুলিশ ৷ এত ভয় কেন?”

  • RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভয়ার বাবা-মায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে সাড়া দিল রাইসিনা হিলস (RG Kar Victim)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-এর সময় অভয়ার মাকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি চিঠি, যেখানে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে—কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতেও বলা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতিকে মেইল করেন অভয়ার বাবা (RG Kar Victim)

    গত ১৩ অগাস্ট, রাষ্ট্রপতিকে (Draupadi Murmu) মেইল করেন অভয়ার বাবা। তিনি লেখেন, “আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাঁচান (RG Kar Victim)। আমরা সব হারিয়েছি। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার আমরা মেইল করলাম। আমাদের অনুরোধ এবার উত্তর দিন।” ১৪ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে অভয়ার বাবার কাছে একটি ইমেইল পৌঁছায়, যেখানে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নিজে জানান, তাঁর আপ্তসহায়ক পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং যেসব সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে।

    চিঠিতে কী জানানো হল?

    চিঠিতে জানানো হয়েছে (RG Kar Victim), রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক শিগগিরই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের সমস্যাগুলির সমাধানে যথাযথ প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই ইমেল পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক অভয়ার বাবা-মা। অন্ধকারে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির এই সহযোগিতায় তাঁরা নতুন করে ন্যায়বিচারের আশা করছেন।

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯ অগাস্ট ছিল আরজি কর কাণ্ডের একবছর। সেই উপলক্ষে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা (RG Kar Victim)। অভিযানের মাঝপথেই অভয়ার মাকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ। ক্যামেরায় দেখা যায়, মারের চোটে তাঁর কপাল ফুলে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওই হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি ইমেইল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। তার পরেই এল রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্দেশ।

  • Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    Viksit Bharat Rozgar Yojana: বিকশিত ভারত রোজগার যোজনায় যুবকরা পাবেন ১৫ হাজার টাকা, কীভাবে করবেন আবেদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) কৃষক, পশুপালক, মহিলা এবং অন্যান্য শ্রেণির কল্যাণে একাধিক ঘোষণা করেন। যুবসমাজের উন্নতির লক্ষ্যে তিনি ১ লক্ষ কোটি টাকার একটি বৃহৎ প্রকল্প চালুর কথা জানান। সদ্য চালু হওয়া “প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা”-র আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমবার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা যুবকদের জন্য ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)।

    প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত

    এই প্রকল্পের অধীনে, যেসব সংস্থা অধিকসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে, তাদেরকেও সরকার অনুদান দেবে (Viksit Bharat Rozgar Yojana)। পাশাপাশি, সদ্য স্নাতক হওয়া যুবকদের যেসব কোম্পানি নিয়োগ করবে, সেসব কোম্পানি প্রতি কর্মীর জন্য ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাবে। মনে করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি যুবকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। এই প্রকল্পটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট-এর অংশ হিসেবে ঘোষিত হয় এবং ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

    বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    প্রথমে এর নাম ছিল Employment Linked Incentive, যা পরবর্তীতে বদলে রাখা হয় বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা। এই প্রকল্পের মেয়াদ ৩১ জুলাই ২০২৭ পর্যন্ত এবং এর জন্য মোট ৯৯,৪৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    দুই কিস্তিতে মিলবে টাকা

    এই আর্থিক সহায়তা দুই কিস্তিতে সংশ্লিষ্ট যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, সরকার এমন কোম্পানি ও ব্যবসাগুলোকেও ভর্তুকি দেবে, যারা সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। প্রত্যেক যুবক, যারা প্রথমবার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁরা মোট ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই অর্থ দুই ভাগে দেওয়া হবে—প্রথম কিস্তি মিলবে নিয়োগের ছয় মাস পর এবং দ্বিতীয় কিস্তি একটানা ১২ মাস চাকরিতে থাকার পর। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে অবশ্যই নিজের UAN (Universal Account Number) তৈরি করে তা সক্রিয় করতে হবে এবং ফেস অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

    এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য (Viksit Bharat Rozgar Yojana)

    ১. দেশের যুবসমাজকে কর্মসংস্থানের সাথে সংযুক্ত করা:

    এই যোজনার অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হল দেশের বিশাল যুব জনসংখ্যাকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলস্রোতে নিয়ে আসা। যারা সদ্য পড়াশোনা শেষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্য এই প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। প্রথমবার চাকরিতে প্রবেশ করা তরুণ-তরুণীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পথ তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে তারা কর্মজীবনের শুরুতেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে।

    ২. ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোগ, উৎপাদন, পরিষেবা ও প্রযুক্তি খাতকে উৎসাহিত করা:

    এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়, বরং নিয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা। বিশেষত যেসব সংস্থা অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম, যেমন—MSME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প), উৎপাদন খাত, পরিষেবা শিল্প এবং তরুণ প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগ (startups)—তাদের আর্থিক ভর্তুকি এবং প্রণোদনার মাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

    এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি দেশে উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে। প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন ও স্টার্টআপ সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে সরকার এদের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে।

    এই প্রকল্পের সুবিধা কে পাবেন?

    প্রথমবারের মতো EPFO-তে নাম নথিভুক্ত হয়েছে এমন তরুণ-তরুণীরা।

    যাদের মোট মাসিক বেতন ১ লক্ষ টাকা বা তার কম।

    কর্মচারীকে একটানা অন্তত ৬ মাস একই সংস্থায় কাজ করতে হবে।

    আর্থিক সহায়তা কত? (PM Modi)

    এই প্রকল্পের অধীনে কর্মচারীদের বেতনের ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। মাসিক বেতন যদি ১০,০০০ টাকার মধ্যে হয়, তাহলে ওই কর্মচারী ১,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাবেন। যাঁরা মাসে ১০,০০১ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে বেতন পান, তাঁদের জন্য সহায়তার পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে ২,০০০ টাকা। আর যাঁদের মাসিক বেতন ২০,০০১ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে, তাঁরা ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা লাভ করবেন। এই আর্থিক অনুদান সরাসরি কর্মচারীর অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে, এবং এতে যেমন কর্মীদের সুরক্ষা বাড়বে, তেমনি নিয়োগকর্তারা নতুন কর্মী নিয়োগে আরও উৎসাহিত হবেন।

  • Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    Subhangshu Shukla: অপেক্ষার শেষ, ভারতে ফিরছেন শুভাংশু শুক্লা, সোমবার দেখা করবেন মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে ফিরে আসার পর এবার দেশের মাটিতে ফিরতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla)। দীর্ঘ রিহ্যাবিলিটেশন পর্ব শেষ করে রবিবার তিনি ভারতের (India) মাটিতে পা রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অক্টোবরে হতে চলা গগনযান মিশনের প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। বিমানে বসে ছবিও পোস্ট করেছেন শুভাংশু। লিখেছেন, “ভারতে ফেরার জন্য এবং সকলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য তিনি আর অপেক্ষা করতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, শুভাংশু শুক্লার বাড়ি লখনউতে। সেখানেই থাকে তাঁর পরিবার। রবিবার তিনি সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী লিখলেন শুভাংশু (Subhangshu Shukla)

    নিজের পোস্টে শুভাংশু লেখেন, “ভারতে (India) ফেরার বিমানে বসে আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। মিশনের জন্য বিগত এক বছর ধরে যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, যারা আমার পরিবার, বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের ছেড়ে আসতে আমার কষ্ট হচ্ছে। আবার আমার বন্ধু, পরিবার ও দেশের সকলের সঙ্গে দেখা করতেও উৎসাহিত। এটাই হয়তো জীবন। গুডবাই বড় কঠিন, কিন্তু আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে হবে।” শেষে তিনি শাহরুখ খানের গানের দুটি পঙক্তিও লেখেন, “ইউ হি চলা চল রাহি, জীবন গাড়ি হ্যায় সময় পাহিয়া।”

    গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি

    গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা (Subhangshu Shukla) অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অন্তর্গত একটি অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে ১৮ দিন কাটিয়ে গত মাসেই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। মহাকাশ থেকে ফিরে শরীরকে আবার পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এতদিন তিনি রিহ্যাবে ছিলেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার তিনি ভারতে আসবেন এবং সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর ২৩ অগাস্ট ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’-এর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানা গিয়েছে (Subhangshu Shukla)।

  • Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    Atal Bihari Vajpayee: ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস, শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ অগাস্ট প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবস (Atal Bihari Vajpayee)। এই দিনেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিল্লিতে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে নির্মিত স্মৃতিসৌধে প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন এবং এ নিয়ে তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “সমগ্র দেশবাসীর তরফ থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীজিকে (Atal Bihari Vajpayee) তাঁর পুণ্যতিথিতে নমস্কার জানাচ্ছি। দেশের সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য তাঁর সমর্পণ, সেবাভাব ও বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে তাঁর অবদান আজও সকলকে প্রেরণা জোগায়।”

    শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং অন্যান্য সিনিয়র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও ‘সদৈব অটল’ — যা কিনা অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) সমাধিস্থল — সেখানে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর

    অটল বিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) জন্ম হয়েছিল ১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর। তিনি ছিলেন ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বাগ্মিতা, রাষ্ট্রদৃষ্টিভঙ্গি, দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা এবং নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের জন্য আজও তিনি দেশবাসীর হৃদয়ে অটল।

    প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে

    তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৯৬ সালে, যদিও সে দায়িত্ব ছিল স্বল্পকালীন। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর আমলেই ১৯৯৮ সালে পোখরানে ভারত সফলভাবে পরমাণু পরীক্ষা করে। তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভারতবর্ষকে সড়কপথে যুক্ত করার লক্ষ্যে ‘সোনালী চতুর্ভুজ’ প্রকল্প চালু করেন। দেশের প্রতি তাঁর এই অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’-এ ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালের ১৬ অগাস্ট অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpayee) প্রয়াত হন।

  • Ramakrishna 442: ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন

    Ramakrishna 442: ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন

    তাই বুঝি ঠাকুর বলেছিলেন— “মান কয়েলই তো কয়েলি, আমরাও তোর মানে আছি।” আত্মীয় হতে যিনি পরম আত্মীয়, তাঁর উপর অভিমান না করলে আর কাদের উপর করবেন?

    ধন্য নরেন্দ্রনাথ! তোমার উপর এই পুরুষোত্তমের (ঠাকুরের) এত ভালোবাসা! তোমাকে দেখেই এত সহজে ঈশ্বরচিন্তার উদ্দীপনা জাগে।

    এইরূপ ভাবনাচিন্তা করতে করতে গভীর রাত্রে, শ্রীরামকৃষ্ণকে স্মরণ করতে করতে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তন করছিলেন।

    ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল। স্থান: বলরাম মন্দির। সময়: দুপুর তিনটে। চৈত্র মাসের তীব্র রৌদ্র।

    শ্রীরামকৃষ্ণ বলরামের বৈঠকখানায় কয়েকজন অন্তরঙ্গ ভক্তের সঙ্গে বসিয়া আছেন। মাস্টারমশাই উপস্থিত। কথোপকথন চলছে। ভক্তির কথা ঘিরে। এই দিনটি—সোমবার, ১৮৮৫ সালের ৬ এপ্রিল, বাংলা ১২৯১ সালের চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তিথি। ঠাকুর তখন কলকাতার ভক্তমন্দিরে এসেছেন। সেখান থেকে পরে যাবেন ফণি গোস্বামীর গলির দেবেন্দ্রর বাড়িতে।

    সত্য কথা — শ্রী রামকৃষ্ণ (ছোট নরেন, বাবুরাম, পূর্ণ)

    ঠাকুর ঈশ্বরপ্রেমে দিবানিশি মাতোয়ারা হয়ে থাকেন। অনুক্ষণ ভাবাবিষ্ট, বহির্জগতের প্রতি তাঁর মনে আদৌ কোনও আকর্ষণ নেই। কেবল অন্তরঙ্গজনদের কথা ভাবেন। যতদিন না তাঁরা তাঁকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন, ততদিন তাঁদের জন্য তিনি ব্যাকুল থাকেন। যেমন বাবা-মা অক্ষম সন্তানের জন্য ব্যাকুল হয়ে ভাবেন—‘কী করে এরা মানুষ হবে?’ অথবা যেমন পাখি ব্যাকুল হয় তার শাবকদের লালন-পালনের জন্য।

    শ্রীরামকৃষ্ণ মাস্টারমশায়কে উদ্দেশ করে বললেন, “তিনটের সময় যাব, তাই আসছি, কিন্তু ভারী ধূপ।”

    মাস্টারমশায় বিনয়ভরে বলেন, “আজ্ঞে, হ্যাঁ, আপনার তো অনেক কষ্ট হয়েছে।”

  • Daily Horoscope 16 August 2025: বন্ধুদের সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 16 August 2025: বন্ধুদের সাহায্য পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মায়ের তরফ থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    Australia: অস্ট্রেলিয়াতে স্বাধীনতা দিবস পালনে বাধা খালিস্তানপন্থীদের, পিছু হটল ভারতীয়দের দাপটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মেলবোর্নে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেটে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপনের সময় খালিস্তানপন্থীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। শুক্রবার সকালে মেলবোর্নের প্রবাসী ভারতীয়রা কনস্যুলেটের সামনে জড়ো হয়েছিলেন স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য। কিন্তু সেই সময় আচমকাই বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তবে তাদের দেখে ভারতীয়রা স্লোগান তোলেন এবং দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন এবং সুশৃঙ্খলভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন।

    পিছু হটে খালিস্তানপন্থীরা (Australia)

    একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়রা যখন দেশাত্মবোধক গান গাইছেন, তখন খালিস্তানপন্থীরা হট্টগোল সৃষ্টি করছে। একটি অস্ট্রেলিয়ান (Australia) সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, মেলবোর্নে ভারতীয় কনস্যুলেটের বাইরে খালিস্তানি গুন্ডারা গোলমাল সৃষ্টি করে। তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং ভারতবিরোধী স্লোগান তুলতে থাকে। কিন্তু খালি গলায় তাদের সেই স্লোগান শোনা যায়নি, কারণ লাউডস্পিকারে ভারতীয়রা দেশাত্মবোধক গান গাইতে থাকেন। এরপরে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পিছু হটে এবং শেষে সঠিকভাবে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    ভারত মাতা কি জয় স্লোগান প্রবাসী ভারতীয়দের

    তিরঙ্গা উত্তোলনের সময় উপস্থিত ভারতীয়রা (Australia) “ভারত মাতা কি জয়”, “বন্দেমাতরম” প্রভৃতি ধ্বনি দেন। প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী খালিস্তানপন্থীদের (Khalistani) প্রভাব এবং তাদের কার্যকলাপ। সম্প্রতি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির এবং দুটি এশিয়ান রেস্তোরাঁতে ঘৃণামূলক গ্রাফিতি দেখা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অ্যাডিলেডে সামান্য গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ২৩ বছর বয়সি এক ভারতীয় যুবককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

    অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ছে খালিস্তানি কার্যকলাপ (Australia)

    শুধু তাই নয়, গত বছর যখন ভারতীয় ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল, সেই সময় ডিসেম্বর মাসে চলছিল চতুর্থ টেস্ট। তখনই খালিস্তানপন্থীরা ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ করে। জানা যায়, ওই খালিস্তান সমর্থকরা তখন টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসেও তারা একইরকম প্রয়াস চালায়। তবে উপস্থিত ভারতীয়দের সামনে তারা টিকতে পারেনি (Khalistani)।

  • PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানান, ভারতকে সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল দেশ হতে হলে আগে জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অনেক দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে গেলে, সর্বপ্রথম আমাদের জ্বালানি স্বাধীনতা (Energy Independence) অর্জন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানায় আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ব্যাপক সফল হয়েছে। দেশের তৈরি জিনিসপত্রের বিদেশে রফতানির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে অনেক কিছুই। এবার লালকেল্লা থেকে মোদি বললেন জ্বালানি স্বাধীনতার কথা। সেই লক্ষ্যে ঘোষণা করলেন ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনের।

    ১১ বছরে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উল্লেখ করেন, বিগত ১১ বছরে তাঁর শাসনকালে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি এবং ভারত এখন পারমাণবিক শক্তির ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই দিকটিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দশটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য হবে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা।

    ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন

    এদিন লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন-এর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। সমুদ্রের গভীরে খনন ও অনুসন্ধান প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।” এই মিশন মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের গভীর জলে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত যে পরিমাণ তেল বাইরে থেকে আমদানি করে, সেই নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং আগামী দশকে দেশের নিজস্ব উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে (PM Modi)।

  • Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    Operation Sindoor: “অপারেশন সিঁদুর ঐতিহাসিক”, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বললেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu) ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক ‘ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত’ হিসেবে বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, এই অপারেশন (Operation Sindoor) প্রমাণ করেছে যে দেশের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনও পরিস্থিতিতে দেশের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যে নৃশংস সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় প্রাণ হারান, তা ছিল এক কাপুরুষোচিত আঘাত। সেই ঘটনার পর ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘দৃঢ় ও সঠিক’—এমনটাই মন্তব্য করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি মানবতার পক্ষে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা। এই অভিযান ইতিহাসে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

    অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর গোটা দেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যে ঐক্য দেখিয়েছে, তা ভারতের শক্তির প্রমাণ। যারা আমাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করেছিল, তাদের এটাই ছিল উপযুক্ত উত্তর।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব এখন বুঝতে পেরেছে যে ভারত কখনও আগ্রাসী নয়, তবে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।” রাষ্ট্রপতির মতে, “অপারেশন সিঁদুর আসলে আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক (Operation Sindoor)।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “এই অভিযানের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।”

    পহেলগাঁওয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘটে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ৭ মে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে চালানো হয় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (Operation Sindoor)। ভারতীয় বায়ুসেনার নিখুঁত স্ট্রাইকে নিহত হয় একশোরও বেশি জঙ্গি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীরের নিরীহ নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালায় ড্রোন ও মিসাইল হামলা, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তা সফলভাবে প্রতিহত করে। শুধু তাই নয়, ভারত পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে। এই অভিযানে ভারতের স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির কার্যকারিতা বিশ্বের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ‘ব্রহ্মোস’-এর মতো অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা এই অভিযান (Operation Sindoor) সম্পন্ন করে।

LinkedIn
Share