Author: subhra-katwa

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশ অপরাধের স্বর্গরাজ্য, বলছে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারের (Yunus Government) আমলে বাংলাদেশে (Bangladesh) ব্যাপকভাবে বেড়েছে অপরাধ। নৃশংস হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, গণপিটুনি, তোলাবাজি এবং জমি দখলের মতো ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ।

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান ভয়াবহ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে (Bangladesh) ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৬১০টি, খুনের ঘটনা ৩,৫৫৪টি, দাঙ্গা হয়েছে ৯৭টি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪,১০৫টি। অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ১২,৭২৬টি এবং অপহরণ হয়েছে ৮১৯টি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ৪৭৯টি এবং চুরির মামলা হয়েছে ২,৩০৪টি। অন্যান্য অপরাধে মামলা হয়েছে ৬৮,৬৮০টি। অস্ত্র আইনে দায়ের হয়েছে ১,৪৩৬টি মামলা, প্রতারণার মামলা ৫০০টি, মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা ৩৮,১৭৬টি এবং পাচারের মামলা হয়েছে ১,৭৩০টি। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায়, ইউনূসের শাসনামলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা অবনত হয়েছে।

    ভালুকায় মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামি লিগের প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লিগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সেখানে পুলিশ উদ্ধার করে এক মা ও তার দুই সন্তানের গলাকাটা মৃতদেহ। এই নৃশংস ঘটনায় গোটা দেশের মানুষ স্তম্ভিত। অথচ, এই পরিস্থিতির মধ্যেও ইউনূস (Yunus Government) দাবি করে যাচ্ছেন যে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার কোনও অবনতি ঘটেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের নানা প্রান্তে বেড়েই চলেছে খুন, ধর্ষণ, জমি দখলসহ নানান অপরাধ। এতে করে সাধারণ মানুষ প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন (Bangladesh)।

    প্রথম আলোর তথ্য এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা

    ‘প্রথম আলো’-এর প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিমাসে খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। জানুয়ারিতে খুনের মামলা হয়েছে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি, এপ্রিল মাসে ৩৩৮টি, মে মাসে ৩৪১টি এবং জুনে ৩৪৪টি। এছাড়া, মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে যে সম্প্রতি বিএনপির একদল কর্মী ‘লালচাঁদ’ নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে এবং তারপর তাঁর মরদেহের উপর নাচতে থাকে। অন্যদিকে, কুমিল্লায় বিএনপির এক নেতা একটি হিন্দু পরিবারে ঢুকে এক মহিলাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে, যা নিয়ে দেশজুড়ে চরম ক্ষোভ ছড়ায়। তবে এসব ঘটনার (Bangladesh) পরও ইউনূস সরকার কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে—বাংলাদেশকে অপরাধমুক্ত করতে এই সরকার আদৌ কতটা আন্তরিক?

  • Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    Odisha Government: পুরীর জগন্নাথ ধামের আচার-অনুষ্ঠানের কপিরাইট নিতে চলেছে ওড়িশা সরকার! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি নিয়ে কপিরাইট নেওয়ার ভাবনা চিন্তা করছে ওড়িশা সরকার (Odisha Government)। বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং পুরীর সম্মানীয় রাজা ও জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব। তাঁর বক্তব্য, মূল উদ্দেশ্য হল পুরীর (Puri Temple) ঐতিহ্যবাহী পুজো-পদ্ধতি ও আচার-অনুষ্ঠানকে নিরাপদ রাখা এবং তা যাতে বেহাত না হয়, তা নিশ্চিত করা। এখনই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন কেন দেখা দিল? সাধারণত কপিরাইট ব্যবহার করা হয় কোনও কিছুর নকল রোধ করতে। তাহলে কি পুরীর মন্দির বা তার ধর্মীয় রীতিনীতির নকল হওয়া শুরু হয়েছে? এখানেই দুটি বিতর্ক সামনে এসেছে (Odisha Government)। একটি দিঘার জগন্নাথ মন্দির। অপরটি রথযাত্রার নির্দিষ্ট দিনের বদলে বিদেশে অন্যদিনে ইসকনের রথযাত্রা পালন।

    দিঘার জগন্নাথ ধাম বিতর্ক

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মন্দিরের নাম তিনি ‘জগন্নাথ ধাম’ দেন। এতে তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। সাধু-সন্ত থেকে আরম্ভ করে ধর্মবিশেষজ্ঞরা জানান যে, জগন্নাথ ধাম সারা পৃথিবীতে একটি আছে এবং তা পুরীতে। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন পুরীর (Odisha Government) গোবর্ধন পীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং জগন্নাথ ভক্তদের বড় অংশ।

    ইসকন বিতর্ক

    অন্যদিকে, ইসকনের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে যে, এই সংগঠন বিদেশে অন্য একটি তারিখে রথযাত্রা উৎসব আয়োজন করেছে, যা জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার সঙ্গে মেলেনি। এখানেই আপত্তি জানিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং তারা এই ধরনের কাজকে ধর্মগ্রন্থ ও প্রাচীন ঐতিহ্যের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে (Odisha Government)।

    কী বললেন গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব

    এ নিয়েই পুরীর রাজা এবং ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রথম সেবক গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব বলেন যে, ভারতে ইসকন জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার জন্য নির্ধারিত তারিখ মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। আমরা মায়াপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং আলোচনা এখনও চলছে। এই নিয়েই তিনি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের মায়াপুরের কথা বলেন। প্রসঙ্গত এই মায়াপুরই (Puri Temple) হল ইসকনের সদর দফতর, যা বিশ্বব্যাপী তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনকে তত্ত্বাবধান করে (Odisha Government)।

  • Daily Horoscope 16 July 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 16 July 2025: বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    Ramakrishna 410: অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

    অপরাহ্নে ভক্তসংঘে অবতারবাদ ও শ্রীরামকৃষ্ণ

    স্কুলের ছুটির পর মাস্টার আসিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বলরামের বৈঠকখানায় ভক্তের মজলিস করিয়া বসিয়া আছেন। ঠাকুরের মুখে মধুর হাসি, সেই হাসি ভক্তদের মুখে প্রতিবিম্বিত হইতেছে। মাস্টারকে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া, তিনি প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাকে তাহার কাছে আসিয়া বসিতে ইঙ্গিত করিলেন।

    শ্রীযুক্ত গিরিশ ঘোষ, মিত্র, বলরাম, লাডু, চুনিলাল ইত্যাদি ভক্ত উপস্থিত আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশের প্রতি): “তুমি একবার নরেন্দ্রের সঙ্গে বিচার করে দেখো, সে কি বলে।”

    গিরিশ: “স্বাচ্ছন্দ্যে—নরেন্দ্র বলে, ঈশ্বর অনন্ত। যা কিছু আমরা দেখি, শুনি—জিনিসটি কি, ব্যক্তিটি কি—সবই তাঁর অংশ। এপর্যন্ত আমাদের বলবার জো নাই।
    অনন্ত আকাশ, তার আবার অংশ কী? অংশ হয় না।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ঈশ্বর অনন্ত, হোন আর যত বড়—তিনি ইচ্ছা করলে তাঁর ভিতরের সারবস্তু মানুষের ভিতর দিয়ে আসতে পারেন, ও আসেন। তিনি অবতার হয়ে থাকেন। এটি উপমা দিয়ে বুঝানো যায় না, অনুভব হওয়া চাই, প্রত্যক্ষ হওয়া চাই।
    উপমার দ্বারা কতটা আভাস পাওয়া যায়। গরুর মধ্যে সিমটা যদি ছোঁয়াও, গরুকে ছোঁয়া হলো। পা-টা বা লেজটা ছুঁলেও গরুটাকে ছোঁয়া হলো।
    কিন্তু আমাদের পক্ষে গরুর ভিতরের সারপদার্থ হচ্ছে দুধ। সেই দুধ বাটিতে দিয়ে আসে।
    সেইরূপ, প্রেমেও ভক্ত শেখাবার জন্য ঈশ্বর মানুষ-দেহ ধারণ করে, সময়ে সময়ে অবতীর্ণ হন।”

  • India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমামনে ভারত (India Energy) দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ এখন আসছে অজীবাশ্ম জ্বালানির উৎস (non-fossil fuel) থেকে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৩০ সাল। তবে পাঁচ বছর আগেই, ২০২৫ সালেই ভারত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী

    এই উপলক্ষে নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি ঘটনাটিকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দেন এবং এর কৃতিত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, ভারতে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৪৮৪.৮ গিগাওয়াট, যার মধ্যে ২৪২.৮ গিগাওয়াট অজীবাশ্ম জ্বালানি উৎস (non-fossil fuel) থেকে আসে। এর মধ্যে ১৮৪.৬ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস (সৌর, বায়ু, জৈব শক্তি প্রভৃতি) থেকে। ৪৯.২ গিগাওয়াট বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে, এবং ৮.৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক শক্তি থেকে আসে।

    প্রধানমন্ত্রী কুসুম এবং পিএম সূর্য ঘর

    মন্ত্রী জানান, ভারতের বিদ্যুৎ (India Energy) খাতে অজীবাশ্ম জ্বালানির অংশ বৃদ্ধির পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ‘প্রধানমন্ত্রী কুসুম’ (PM-KUSUM) এবং ‘পিএম সূর্য ঘর’ (PM Surya Ghar) প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এবং কৃষকদের জন্য সৌরশক্তি সহজলভ্য হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও সৌর পাম্পের ব্যবহার যেমন সেচ খরচ কমিয়েছে, তেমনই নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, গ্রামীণ ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন—উভয়ই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি সৌর পার্ক, জৈব শক্তি এবং ভবিষ্যতে কৃত্রিম মেধা (AI)-র প্রয়োগ জ্বালানির পরিকাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইন্টেলিজেন্ট এনার্জি মার্কেটপ্লেস, স্মার্ট মিটার, এবং ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট সম্ভব হচ্ছে। তবে, প্রহ্লাদ জোশি সতর্ক করে দিয়েছেন, এ সব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে (India Energy) সাইবার নিরাপত্তাকে। কারণ ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থার ডিজিটাল নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়বে।

  • Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    Manipur: মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি, উদ্ধার ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) সেনাবাহিনী, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মোট ১৬ জন কট্টরপন্থী জঙ্গিকে। জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন উদ্ধার করা হয়েছে ৮৬টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, ১১টি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), প্রচুর গুলি এবং যুদ্ধসামগ্রী। এই অভিযানগুলি চালানো হয়েছে মণিপুরের পাঁচটি জেলাজুড়ে— কাংপোকপি, বিষ্ণুপুর, তেঙ্গনৌপাল, ইম্ফল পূর্ব ও পশ্চিমে। কাংপোকপির পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইনসাস রাইফেল, পয়েন্ট ৩০৩, বোল্ট অ্যাকশন, পুল মেক ও একাধিক ইম্প্রোভাইজড মর্টার (Manipur News)।

    ধৃত জঙ্গিরা কোন সংগঠনের সদস্য (Manipur)

    এই অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনীর ‘স্পিয়ার কর্পস’ এবং অসম রাইফেলস, সহযোগিতা করেছে মণিপুর (Manipur News) পুলিশ, সিআরপিএফ, বিএসএফ ও আইটিবিপি। বিস্ফোরক শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষিত সেনা কুকুর। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর, থৌবল এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় আরও ছয় জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। ধৃতরা কেওয়াইকেএল, কেসিপি ও পিএলএ-র সক্রিয় সদস্য। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র, মোবাইল ফোন, আধার কার্ড, দুই চাকার গাড়ি ও নানান গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সবকিছু হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের হাতে।

    গুজব থেকে দূরে থাকতে বলল প্রশাসন

    পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ে যুক্ত ছিল এবং সংগঠনে নতুন সদস্য নিয়োগেও ভূমিকা রাখছিল। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান এবং এলাকা নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পাশাপাশি, নাগরিকদের (Manipur) উদ্দেশে পুলিশ বার্তা দিয়েছে— যেন কেউ ভুয়ো ভিডিও বা গুজবে বিশ্বাস না করেন। কোনও অডিও-ভিডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। সামাজিক মাধ্যমে ভুয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, এবং এমন কাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে, কারও কাছে লুন্ঠিত অস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকলে তা দ্রুত স্থানীয় থানায় অথবা নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে জমা দিতে (Manipur)।

  • Shubhanshu Shukla: মহাকাশ থেকে মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন শুভাংশুদের, প্রশান্ত মহাসাগরে নামল ড্রাগন ক্যাপসুল

    Shubhanshu Shukla: মহাকাশ থেকে মর্ত্যে প্রত্যাবর্তন শুভাংশুদের, প্রশান্ত মহাসাগরে নামল ড্রাগন ক্যাপসুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত এল! ভারতীয় সময় দুপুর ৩টা ১ মিনিটে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করল স্পেসএক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এই যানে ছিলেন শুভাংশু শুক্ল-সহ আরও তিন নভশ্চর। মঙ্গলবার দুপুরে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী, পৃথিবীতে ফিরে এলেন শুভাংশুরা (Shubhanshu Shukla)। তখন আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো উপকূলে রাতের সময়। নির্ধারিত সময়মতো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুল। এই সময় যেকোনও মহাকাশযান প্রচণ্ড তাপ ও ঘর্ষণের মুখোমুখি হয়। ক্যাপসুলটি তখন ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল, যা ধীরে ধীরে কমে ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারে নেমে আসে। এরপর একে একে খুলে যায় চারটি প্যারাশুট, আর ধীরে ধীরে সমুদ্রে নামে ক্যাপসুলটি।

    প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী জাহাজ ও টিম

    প্রশান্ত মহাসাগরে আগে থেকেই অবস্থান করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী জাহাজ ও টিম। অবতরণের পরপরই তারা ক্যাপসুলের কাছে পৌঁছে যায় এবং সেটিকে জাহাজে তুলে নেয়। কিছু সময় পর ক্যাপসুলের হ্যাচ খোলা হয় এবং একে একে চার মহাকাশচারীকে বাইরে আনা হয়। এরপর তাদের উপর শুরু হয় বিভিন্ন মেডিক্যাল পরীক্ষা (Shubhanshu Shukla)।

    “ঘরের ছেলে”র ঘরে ফেরা (Shubhanshu Shukla)

    শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) শহর লখনউয়ে ইতিমধ্যেই ছড়িয়েছে উচ্ছ্বাসের জোয়ার। বাবা শম্ভুদয়াল শুক্ল এবং মা আশা শুক্ল জানিয়েছেন, ছেলের এই কৃতিত্বে তারা গর্বিত। শুভাংশুর মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমাদের ছেলে ফিরে এসেছে—এটাই সবচেয়ে বড় কথা। সবাইকে ধন্যবাদ। গোটা পৃথিবী এই মুহূর্তটি দেখেছে। আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এত দিন পর ছেলেকে দেখে আবেগ সংবরণ করা কঠিন—স্বাভাবিকভাবেই কান্না এসে যাচ্ছে।”

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট

    এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ লিখেছেন, “ঐতিহাসিক অভিযানের শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসা গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লকে অভিনন্দন জানাই! আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ভারতের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে তিনি অসীম নিষ্ঠা, সাহস এবং উদ্যমের নিদর্শন দিয়েছেন। কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন। এই অভিযান আমাদের নিজস্ব গগনযান মিশনের পথে আর একটি বড় পদক্ষেপ।”

    ২৫ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু

    গত ২৫ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের অংশ হিসেবে আইএসএসের (আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন) উদ্দেশে যাত্রা করেন শুভাংশুরা (International Space Station)। এই মিশনে ছিলেন চারজন মহাকাশচারী—মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, স্পেসক্র্যাফ্টের পাইলট হিসেবে ভারতের শুভাংশু শুক্ল, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পক্ষ থেকে পোল্যান্ডের মহাকাশ বিজ্ঞানী স্লাওস উজনানস্কি-উইশনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা

    আইএসএসে ১৮ দিন কাটানোর পর সোমবার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) মহাকাশ স্টেশন (International Space Station) থেকে বিচ্ছিন্ন হয় তাদের যান এবং শুরু হয় দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টার ফিরতি যাত্রা। অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করে ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুল। প্রসঙ্গত মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় ২৮ ঘণ্টা।

    আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুহূর্ত

    মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রতিটি ধাপে নজর ছিল আন্তর্জাতিক মহলে। সোমবার ‘আনডকিং’ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় স্পেসএক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে মহাকাশযানে প্রবেশ করতে দেখা যায় মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন পাইলট শুভাংশু ‘শুক’ শুক্লা এবং দুই মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানানস্কি-উইজনিউস্কি ও টিবর কাপুকে।

    পরীক্ষার নমুনা ও মালপত্র নিয়ে প্রত্যাবর্তন

    এই অভিযানে ফেরার সময় ড্রাগন ক্যাপসুলে প্রায় ২৫০ কেজি মালপত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসেন মহাকাশচারীরা। এর মধ্যে ছিল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নমুনা এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, যা মহাকাশে সম্পন্ন হওয়া গবেষণার ফলস্বরূপ।

    বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ ও গতি নিয়ন্ত্রণ

    ড্রাগন ক্যাপসুল যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তার গতি ছিল প্রায় ঘণ্টায় ২৮,০০০ কিলোমিটার। তবে সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঘর্ষণ এবং তাপের সৃষ্টি। এই পর্যায়ে, রেট্রো রকেট ইঞ্জিনের মাধ্যমে ক্যাপসুলের গতি ধীরে ধীরে কমানো হয়, যাতে তা নিরাপদে অবতরণ করতে পারে। শেষ পর্যায়ে, স্প্ল্যাশডাউন প্রক্রিয়ায় ড্রাগনের গতি কমে দাঁড়ায় ঘণ্টায় মাত্র ২৩ কিলোমিটারে। কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ড্রাগন ক্যাপসুল ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে ভেসে ওঠে। সেখানে অপেক্ষা করছিল স্পেসএক্সের উদ্ধারকারী দল এবং রিকভারি ভেহিকল।

    ফিরেও শুরু নতুন অধ্যায়

    সোমবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পথে যাত্রা শুরু করেন শুভাংশুরা। টানা সাড়ে ২২ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করেন তাঁরা। তবে মাটিতে পা রাখলেও আপাতত বাড়ি ফেরা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে নির্ধারিত নিয়ম মেনে তাঁদের কিছুদিন কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। মহাকর্ষণহীন পরিবেশে দীর্ঘদিন থাকার কারণে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে থাকে। সে কারণেই পৃথিবীর আবহাওয়ায় শরীরকে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এই সময় তাঁদের রাখা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষণে, চলবে স্বাস্থ্যপরীক্ষা এবং অভিযোজনমূলক প্রশিক্ষণ। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে তবেই তাঁরা পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন।

  • DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    DGCA: ডিজিসিএ-র কড়া পদক্ষেপ, সব বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করতে বিমান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিসিএ (DGCA) বোয়িং এবং ম্যাকডোনাল্ড ডগলাস নির্মিত নির্দিষ্ট বিমান মডেলগুলোর জন্য একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। বোয়িং ৭১৭, ৭৩৭, ৭৪৭, ৭৫৭, ৭৬৭, ৭৮৭ এবং এমডি-১১ ও এমডি-৯০ মডেলগুলোতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং মেকানিজম ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এই পরীক্ষা শুরু করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৮ সালে মার্কিন FAA এসব বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে সমস্যা থাকার সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছিল।

    আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (DGCA)

    গত মাসের ১২ তারিখে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ানে কিছুক্ষণ পরেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং বিমান একটি মেডিক্যাল কলেজ ভবনের উপর ভেঙে পড়ে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিসহ বিমানে থাকা ২৬০ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। দুর্ঘটনার ফলে বিমানে আগুন ধরে যায় এবং অধিকাংশ দেহ এতটাই পুড়ে যায় যে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকারী দল মেডিক্যাল কলেজ ভবনের ছাদ থেকে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিমানের দুটি ইঞ্জিনে আচমকাই জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বোয়িং নির্মিত বিমানগুলোর প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে থাকা কথোপথন

    ককপিটের ভয়েস রেকর্ডারে এক পাইলটকে (DGCA) আরেকজনকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, “কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” — যার জবাবে বলা হয়, “আমি বন্ধ করিনি।” এই কথোপকথনের পরপরই পাইলট “মে ডে, মে ডে” বলে কন্ট্রোল টাওয়ারে জরুরি বার্তা পাঠান, তবে উত্তর আসার আগেই বিমানটি ভেঙে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) বোয়িং বিমান পরিচালনায় (Boeing Aircrafts) নিযুক্ত সকল এয়ারলাইনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ জারি করেছে।

  • Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 15 July 2025: গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুর কোপ থেকে মুক্তিলাভ।

    ২) কোনও ধর্মীয় কাজে দান করতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয়সঙ্কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    কর্কট

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত কথা বলার জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ২) বন্ধুরা আপনার পাশে দাঁড়াবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) জেদের কারণে কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) শুভ কাজে বাধা পাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম,  ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    Ramakrishna 410: ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না

    মাস্টার ব্যস্ত হয়ে একে একে সমস্ত কাজ করতে লাগলেন—তিনি ঠাকুরের পায়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন, গামছা নিংড়াচ্ছেন, জামা শুকোতে দিচ্ছেন। এর মধ্যেই শ্রীরামকৃষ্ণ নানা কথা বলছেন, উপদেশ দিচ্ছেন।

    ঠাকুর- “এই যে মাস্টার, আমার হ্যাঁগা অস্বস্তিকর যন্ত্রণা কদিন ধরে হচ্ছে। বল তো, কেন হচ্ছে? এখন আর কোনও ধাতব জিনিসে হাত দিতে পারি না। একবার একটা ধাতব বাটিতে হাত দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে মনে হল চিংড়ি মাছের কাঁটা ফুটল যেন—কনকন করতে লাগল। তখন ভাবলাম গামছা দিয়ে ঢাকা দিয়ে তুলতে পারি কিনা। কিন্তু যাই হাতে দিই, অমনি হাতটা ঝনঝন করতে থাকে, খুব বেদনাও হয়।”

    “শেষে মাকে প্রার্থনা করলাম, ‘মা, আর এমন কর্ম করব না। মা, এবার মাফ করো।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে):
    “হ্যা গা, ছোট নরেন এসেছে। আশা করছে, বাড়িতে গিয়ে কিছু বলবে। খুব শুদ্ধ ছেলে— মেয়েদের সঙ্গ সে করে না।”

    মাস্টার: “আর খোলটা খুব বড়।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “হ্যাঁ। আবার বলি, ঈশ্বরের কথা একবার শুনলে আমার মনে থেকে যায়। ছোটবেলায় আমি কাঁদতাম, ‘ঈশ্বর কেন দেখা দিচ্ছেন না?’ ”

    মাস্টারের সঙ্গে তখন ছোট নরেন সম্বন্ধে অনেক কথা হচ্ছিল। এমন সময় উপস্থিত ভক্তদের একজন বললেন— “মাস্টার মহাশয়, আপনি কি আজ স্কুলে যাবেন না?”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “ক’টা বাজে?”

    ভক্ত: “একটা বাজতে দশ মিনিট বাকি।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি): “তুমি যাও, তোমার দেরি হচ্ছে। একে তো কাজ ফেলে এসেছো।”

    (লাটুর প্রতি): “রাখাল কোথায়?”

    ভক্ত: “লাটু তো বাড়ি চলে গেছে।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ: “আমার সঙ্গে দেখা না করে?”

LinkedIn
Share