Author: subhra-katwa

  • Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ মে গাজার খান ইউনিস হাসপাতালের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন হামাস প্রধান মহম্মদ সিনোয়ার ও মহম্মদ সাবানেহ। সমেত ২৮ জন জঙ্গি (Hamas Chief)। ইজরায়েলের হানায় তারা প্রত্যেকেই নিহত হয়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (Israel News) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং যেখানে তারা জানিয়েছে, কীভাবে নির্ভুলভাবে হামলা চালানো হয়েছিল।

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি (Israel News)

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি। হাসপাতালকে ওপরে রেখে রোগীদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ওই ভূ-গর্ভস্ত ঘাঁটি ছিল খুবই জটিল এবং এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র তাদের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। গোয়েন্দারা এক্ষেত্রে খুব ভালো সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, ইজরায়েলের সেনা আরও বলেছে, হামলায় হাসপাতালে যে কার্যকারিতা তা কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধুমাত্র মহম্মদ সিনওয়ার (Hamas Chief) ও মহম্মদ সাবানেহকে খতম করা হয়। এই দুজনকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। ইজরায়েলের সেনা (Israel News) আরও জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করার জন্যই হামাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা গাজার অসামরিক নাগরিকদের নিষ্ঠুরভাবে (Israel News) ব্যবহার করে চলেছে।

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি

    মহম্মদ সিনওয়ার ছাড়াও হামাসের রাফা ব্রিগ্রেডের কম্যান্ডার মহম্মদ সাবানা ও দক্ষিণ খান ইউনূস ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার মাহদি কোয়ারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবারই সংসদ অধিবেশনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন  ‘আমরা মহম্মদ সিনওয়ারকে নিকেশ করে দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খতম হওয়া জঙ্গি নেতা মহম্মদ আসলে জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহা সিনওয়ারের ভাই ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলা চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল সেই ইয়াহা। ২০২৪ সালেই তাকে খতম করে দেয় ইজরায়েল। এরপর গাজায় হামাসের শীর্ষপদে বসেছিল তার ভাই মহম্মদ। আর এবার তাকেও খতম করে দিল ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী।

  • BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    BJP: নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী আশিস ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ জুন রয়েছে নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন। শনিবারই এই আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের তরফে এই আসনে লড়বেন প্রার্থী আশিস ঘোষ। নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই সাংবাদিকদের আশিস ঘোষ বলেন, জয়ের বিষয়ে তিনি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী।

    বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষের সংক্ষিপ্ত পরিচয় (BJP)

    জানা গিয়েছে,নদিয়ার কালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত দেবগ্রামে আশিস ঘোষের বাড়ি। তিনি বহুদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয় রয়েছেন। ২০০৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আশিস ঘোষ। নিজের এলাকায় বেশ ভালোই জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। বর্তমানে কালীগঞ্জ বিধানসভার কনভেনারের দায়িত্বে (Assembly By Election) রয়েছেন এই বিজেপি নেতা (BJP)। জানা যাচ্ছে, আশিস বাবুর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ-মাধ্যমিক। কৃষক পরিবারের জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলেই জানিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কী বলছেন এই বিজেপি নেতা?

    শনিবার দলের প্রার্থী হওয়ার পরই দলীয় কর্মীরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ দিন বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমি জেতার ব্যাপার একশো শতাংশ আশাবাদী (Assembly By Election)। মূলত সনাতনী ভোটকে প্রাধান্য দিয়েই লড়াইয়ে নামতে চলেছি। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে দুর্নীতি করেছে। সেই দুর্নীতির বিপক্ষে মানুষ রায় দেবে।”

    কেন হচ্ছে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন?

    উল্লেখ্য,  ওই কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) মৃত্যুর পরেই ওই বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। শাসকদলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে আলিফা আহমেদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তার ঠিক দু’দিন পর বিজেপি (BJP) আশিস ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল। কালীগঞ্জে লড়াই মূলত বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যেই হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। লড়াইয়ের ময়দানে কংগ্রেস-সিপিএমকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।

  • Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    Attacks on Hindus: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে ভারত-বাংলাদেশে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসব গুলিতে আক্রমণ, মন্দির ভাঙচুর (Attacks on Hindus)। এমনটাই দাবি হিন্দু পোস্ট পত্রিকার। তাদের প্রতিবেদনে গত ২৫ মে থেকে ১ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।

    হিন্দু পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এবং বাংলাদেশে যে হিন্দুদের উপর আক্রমণের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল-

    ভারতে ঘটা ঘটনা (Attacks on Hindus)

    অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হালিশহরে একটি হিন্দু মন্দিরের আক্রমণ চালায় এবং শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।

    পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলাতে এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাপ্পা মিয়ার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গুজরাটের জামনগর থেকে যৌন নির্যাতনের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে আম-আদমি পার্টির সক্রিয় কর্মী মহম্মদ আক্রামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ করে ও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করে।

    শনিবার ২৪ মে অন্ধপ্রদেশের কাডাপা জেলায় রহমত উল্লাহ নামে এক ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিন বছর বয়সি এক দলিত মেয়েকে ধর্ষণ করে সে।

    উত্তরপ্রদেশে জোর জবরদস্তি করে ইসলামিক ধর্মীয় রীতিনীতি মানতে বাধ্য করা হয় এক ব্যক্তিকে। এর পাশাপাশি তার হিন্দু পরিচয় (Attacks on Hindus) সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কুলদীপ কুমার। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালেই তিনি আলফিয়া নামে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তারপর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপ দিতে থাকে। ২০২৫ সালেই তাঁর নাম রশিদ রাখতে বাধ্য করে তারা।

    মধ্যপ্রদেশের বালুদা নামের একটি গ্রামে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং হিন্দু মহিলাকে যৌন নির্যাতনের জন্য সে রাজ্যের পুলিশ মোবারক মন্ত্রী নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

    অন্যদিকে একই চিত্র ধরা পড়ছে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশেও

    সম্প্রতি, মানিকগঞ্জ জেলায় একটি মন্দিরকে ভাঙচুর করে উগ্র মৌলবাদীরা। অভিযোগ দেবদেবীর মূর্তিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। মানিকগঞ্জ জেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত মন্দিরটি। বাংলাদেশের গবেষক আবুল বারাকত জানাচ্ছেন, যে ধরনের অত্যাচার শুরু হয়েছে হিন্দুদের ওপর তাতে ২০৫০ সালের মধ্যে, বাংলাদেশ আর কোনও হিন্দু থাকবে না (Hindu Dharma)।

  • Waste Workers: বাঁশি বাজিয়ে আসেন তাঁরা রোজ সকালে, সাফাই কর্মীদের কাজকে সহজ করবেন কীভাবে?

    Waste Workers: বাঁশি বাজিয়ে আসেন তাঁরা রোজ সকালে, সাফাই কর্মীদের কাজকে সহজ করবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজ সকালে বাঁশি বাজিয়ে সাফাই কর্মীরা আসেন আপনার বাড়ির সামনে (Waste Workers)। তাঁরা নিয়ে যান বর্জ্য পদার্থ। আমরা ঘরে বসেই এমন কিছু কাজ করতে পারি যা এই সাফাই কর্মীদের পরিচ্ছন্নতার কাজকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করে তুলতে পারে। মনে রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতাই পবিত্রতা। এনিয়েই আমাদের আজকের প্রতিবেদন।

    ১. বর্জ্য পদার্থ পৃথকীকরণ (Waste Workers)

    ভেজা বর্জ্য: সবজি এবং ফলের খোসা, অবশিষ্ট খাবার, চা পাতা, ডিমের খোসা এবং কফির গুঁড়ো এগুলোকে আলাদা প্যাকেটে রাখুন।

    শুকনো বর্জ্য: কাগজ, পিচবোর্ড, প্লাস্টিকের পাত্র এবং কাচের বোতল এগুলিকে আলাদা করুন।

    বিপজ্জনক বর্জ্য: এই ধরনের বর্জ্যের মধ্যে পড়ে স্যানিটারি প্যাড, ন্যাপি, মাস্ক, পুরানো ওষুধ, ব্যাটারি, ভাঙা কাচ এবং রাসায়নিক পাত্রের মতো জিনিসপত্র। এগুলোকে আলাদা রাখতে হবে। এগুলি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয়।

    ২. ধারালো বর্জ্যের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধানতা বজায় রাখতে হবে

    ভাঙা কাচ, পুরাতন রেজার, বা মরিচা পড়া লোহা এগুলিকে কাগজে মুড়িয়ে রাখুন।

    মোড়ানো প্যাকেজটি স্পষ্টভাবে লেবেল করতে হবে। সেখানে লেখা থাকবে সাবধান, ধারাল বস্তু আছে (Waste)।

    ৩. ই-বর্জ্য এবং ব্যাটারি আলাদা বাস্কে ভরে ফেলুন

    ইলেকট্রনিক বর্জ্য (ই-বর্জ্য) এবং ব্যাটারিতে সীসা, পারদ এবং অ্যাসিডের মতো ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। এগুলির ক্ষেত্রে-

    বাড়িতে একটি ছোট বাক্স আলাদা করে রাখুন। সেখানে ই-বর্জ্য, পুরাতন চার্জার, ইয়ারফোন, ফোনের ব্যাটারি, ভাঙা খেলনা, রিমোট কন্ট্রোল এগুলিকে রাখুন।

    ৪. ফেলার আগে কিছু বর্জ্য জল গিয়ে ধুয়ে ফেলুন (Waste)

    পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র (Waste Workers) যেমন, প্লাস্টিকের পাত্র, দুধের কার্টন, টিনের ক্যান এবং কাচের বোতলে প্রায়শই অবশিষ্ট খাবার বা তরল থেকে যায়। এর ফলে এগুলো পুনর্ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে।

    আপনি যা করতে পারেন তা হল:

    জার, বোতল এবং পাত্রগুলিকে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন।

    পরে এগুলি শুকাতে দিন এবং তারপর শুকনো বর্জ্য হিসেবে প্যাকেটে মুড়িয়ে দিন।

    ৫. বর্জ্য কমিয়ে দেওয়া (Waste Workers)

    বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হল বর্জ্য কমিয়ে দেওয়া।

    বর্জ্য কমানোর কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল:

    প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করুন।

    সাবান, শ্যাম্পু এবং পণ্যের জন্য রিফিলযোগ্য পাত্র বেছে নিতে হবে।

    খাবার অর্ডার করার সময় একবার ব্যবহারযোগ্য কাটলারি, স্ট্র বা প্যাকেজিংকে না নেওয়া।

    বাড়িতে কাচের জার, প্লাস্টিকের পাত্র এবং কাগজের ব্যাগ পুনঃব্যবহার করুন।

    সম্ভব হলে আপনার বাড়ির রান্নাঘরের বর্জ্য কম্পোস্ট করুন।

    ৬. এটিকে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা করুন (Waste Workers)

    বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি যৌথ প্রচেষ্টা। সবাইকে একই কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে।

    প্রতিবেশী, পরিবার বা হাউজিং সোসাইটিকে পৃথকীকরণের নিয়ম মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।

    স্থানীয় বর্জ্য কর্মী বা এনজিওগুলির সঙ্গে আলোচনা করুন।

    এনিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করতে পারেন।

    নিজেরাই সাফাই কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করুন।

  • Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    Amit Shah: শনিবার রাতে কলকাতায় পা রাখলেন শাহ, আজ যোগ দেবেন একাধিক কর্মসূচিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির পরে বঙ্গ সফরে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শনিবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানেই তাঁকে স্বাগ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ (West Bengal)। আজ রবিবার একাধিক কর্মসূচিতে রয়েছে তাঁর। এনিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পরে প্রথম রাজ্যে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শাহের কনভয় কয়েক মিনিট থামে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত সকল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে কয়েক মুহূর্ত থেকে আবার ফের গাড়িতে ওঠেন শাহ। তার পরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় বাইপাসের ধারের এক হোটেলে।

    পাখির চোখ বিধানসভা নির্বাচন

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, রবিবার তিনটি কর্মসূচি রয়েছে শাহের। এরমধ্যে সাংগঠনিক বৈঠকও করবেন তিনি। ওই বৈঠকে বিধানসভার রণকৌশল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিশা দেখাবেন তিনি (Amit Shah)। বিজেপির পাখির চোখ যে পশ্চিমবঙ্গ তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রধানমন্ত্রীর পর এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর সেই ইঙ্গিতই করছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিউটাউনের বৈঠকে ছাব্বিশের ভোটের (West Bengal) রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বিস্তারিতভাবেই।

    কলকাতার উদ্দেশে বিজেপি পদাধিকারীরা (Amit Shah)

    ইতিমধ্যে রাজ্যের অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতিদের নামও ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির (Amit Shah)। তাঁরা প্রত্যেকেই নেতাজি ইন্ডোরে শাহি সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির পদাধিকারীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছেন কলকাতায়। এই সভায় বাংলার সাংসদ, বিধায়করাও হাজির থাকবেন। রবিবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি পদাধিকারীরা যাচ্ছেন কলকাতার উদ্দেশে।বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি। একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে কোনঠাসা শাসক দল।বিজেপি সূত্রে খবর, নেতাজি ইন্ডোরের কর্মসূচির আগে অবশ্য রাজাহাটের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে সিএফএসএলের নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পর সেখান থেকেই তিনি যাবেন নেতাজি ইন্ডোরে। সাংগঠনিক সভা শেষে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেটি আয়োজিত হবে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটেয়।

  • Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন! আর সেই উৎসবের তালিকায় অন্যতম হলো জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। বাঙালির আর পাঁচটা উৎসবের মতোই এই উৎসবেও থাকে দেদার খানাপিনা! ভুরিভোজ বাদ দিয়ে বাঙালির কোনো উৎসবের উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে সুস্থ শরীরের জন্য খাবারে বিশেষ রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে পরিমাণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উৎসব উপভোগ সম্ভব।

    জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন দিকে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    পরিমাণে বাড়তি রাশ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বারবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, যত সুস্বাদু খাবার থাকুক না কেন, একসঙ্গে না খেয়ে, সারাদিনে ভাগ করে খেলেই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে।

    কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বাঙালির ভুরিভোজে লুচি, পোলাও, ভাত আর আলুর দম, এগুলো‌ বাদ দেওয়া খুব মুশকিল (Jamai Sasthi)। বেশিরভাগ বাঙালির পছন্দের এই খাবার কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা এই তিন সমস্যা এখন প্রায় দেখা যায়। তাই খাদ্যাভাস নিয়ে মানুষের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, ডায়েবেটিস এবং স্থুলতার মতো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই লুচি, ভাত কিংবা পোলাওয়ের মতো‌ খাবার একসঙ্গে একেবারেই খাওয়া চলবে না বলে‌ই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের দিনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যেকোনও একটি পদ অত্যন্ত কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

    প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে নজরদারি জরুরি!

    হরেক পদের মাছ কিংবা মাংস ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া অসম্পূর্ণ! তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জামাইষষ্ঠীর মেনুতে ইলিশ (Jamai Sasthi), চিংড়ির মতো মাছের পাশপাশি মটন কারির মতো পদ রাখেন। আর এর জেরেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার মটনে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট (Jamai Sasthi Special)। একসঙ্গে এত রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পরিমিত পরিমাণে যেকোনও এক রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। তবে কখনোই যথেচ্ছ নয়।

    মিষ্টির ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন! (Jamai Sasthi)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। ডায়বেটিস এবং স্থুলতার মতো রোগ রুখতে নিয়মিত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি। বাঙালির ভুরিভোজে মিষ্টি থাকেই। শেষ পাতে মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা, সন্দেশের নানান পদ। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে, মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তবে ডায়বেটিস না থাকলেও‌ মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়বেটিস। তাই কমবেশি সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    স্বাস্থ্যকর কোন পদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারেও উৎসব উদযাপন সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) নানান রকমের পদ তৈরি করে সাজিয়ে খাবার দেওয়ার রেওয়াজ জারি থাকুক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাঁদের পরামর্শ, নানান রকমের মিষ্টিতে প্লেট সাজানোর পরিবর্তে, নানান রকমের ফল দেওয়া যেতে পারে। আপেল, আম, বেদানা, জামের মতো নানান রঙের ফল একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে, দেখতেও ভালো লাগবে আবার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। ফলে সমস্যা হবে না।
    দুপুরের ভুরিভোজে ময়দার তৈরি লুচির পরিবর্তে বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাগি, মিলেট কিংবা বাজরার তৈরি রুটির ভিতরে বিভিন্ন সব্জির পুর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নানান স্বাদ এবং রঙের খাবার হবে। এগুলো স্বাস্থ্যকর। শরীরে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। বরং এই সব দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা পরোটা শরীরের জন্য উপকারি। পেশি মজবুত করতে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার রকমারি পদ ও হবে।
    মটন কিংবা চিকেনের অতিরিক্ত মশলা দেওয়া পদের পরিবর্তে গ্রিলড‌ কিংবা বেকড করা পদ‌ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে তেল ও মশলা কম লাগবে। আবার প্রাণীজ প্রোটিনের গুণ শরীরে পৌঁছবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে।

  • Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 01 June 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভাল সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) দাম্পত্য জীবন ভালো কাটবে।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ২) নিজের অজান্তেই কোনও কাজের সুবাদে সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) সারা দিন সাবধানতা অবলম্বন করে চলুন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) অর্থ রোজগার ভালোই হবে।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় কাজের দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায় অশান্তি বাড়তে পারে।

    ২) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে সবাই আপনার নাম করবে।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক সমস্যার জন্য ব্যবসায় সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির সময়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে শুভ সময় কাটাবেন।

    মীন

    ১) চিকিৎসার জন্য খরচ বৃদ্ধি।

    ২) কোনও বন্ধুর সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না

     

     

  • Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    Ramakrishna 367: জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা

    গিরিশ মন্দিরে জ্ঞান ভক্তি সমন্বয় কথা প্রসঙ্গ (Ramakrishna )

    ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ গিরিশ ঘোষের বসুপাড়ার বাটিতে ভক্ত সঙ্গে বসিয়া ঈশ্বরীয় কথা কবিতেছেন। বেলা তিনটা বাজে। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। আজ বুধবার ১৫ ফাল্গুন শুক্লা একাদশী, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। গত রবিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম মহোৎসব হইয়া গিয়াছে। আজ ঠাকুর গিরিশের বাড়ি হইয়া স্টার থিয়েটারে বিষকেতুর অভিনয়ে দর্শন করিতে যাইবেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গিরিশ প্রভৃতি ভক্তদের প্রতি)- জাগ্রত, স্বপ্ন, সুষুপ্তি- জীবের এই তিন অবস্থা। যারা জ্ঞান বিচার করে তারা তিন অবস্থাই উড়িয়ে দেয়। তারা বলে যে ব্রহ্ম তিন অবস্থারই পার। সত্ত্ব রজ তম তিন গুণের পার। সমস্তই মায়া। যেমন আয়নাতে প্রতিবিম্ব পড়েছে। প্রতিবিম্ব কিন্তু বস্তু নয়।
    ব্রহ্ম জ্ঞানীরা আরও বলে দেহাত্মবোধ থাকলেই দুটো দেখায়। প্রতিবিম্ব টাও সত্য বলে বোধ হয়। ওই বুদ্ধি চলে গেলে সোহম। আমিই সেই ব্রহ্ম। এই অনুভূতি হয়।

    একজন ভক্ত- তাহলে কি আমরা সব বিচার করব (Ramakrishna )

    শ্রীরামকৃষ্ণ- বিচার পথ আছে (Ramakrishna )। বেদান্তবাদীদের পথ। আরেকটি পথ আছে ভক্তি পথ। ভক্ত যদি ব্যাকুল হয়ে কাঁদে, ব্রহ্মজ্ঞানের জন্য সে তাও পায়। জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগ- দুই পথ দিয়েই ব্রহ্ম জ্ঞান হতে পারে। কেউ কেউ ব্রহ্ম জ্ঞানের পরেও ভক্তি নিয়ে থাকে। লোক শিক্ষার জন্য। যেমন অবতারাদি। দেহাত্মবুদ্ধি কিন্তু সহজে যায় না, তাঁর কৃপায় সমাধিস্থলে সমাধিস্থ হলে যায়। নির্বিকল্প সমাধি, জড় সমাধি।

  • Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    Ahilyabai: ৩১ মে তাঁর জন্মদিন, নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক লোকমাতা অহল্যা বাঈ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মে জন্মদিন লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai)। ৩০০ বছর আগে ১৭২৫ সালে আজকের দিনেই জন্ম নেন লোকমাতা অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণের কারণে তাঁর শাসন ব্যবস্থা ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। লোকমাতা অহল্যা বাঈয়ের শাসন ছিল ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। এভাবেই তাঁর রাজত্বে প্রতিধ্বনিত হত প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর শাসনব্যবস্থা শুধুমাত্র একটি সুশাসন ছিল না, উপরন্ত একটি পবিত্র জনকল্যাণমূলক পরিষেবা ছিল। যার ভিত্তি ছিল প্রাচীন ভারতের আধ্যাত্মিকতা। প্রতিদিন ভোর ৪টেতে উঠতেন রানি। শৈব, বৈষ্ণব এই দুই মতে সারতেন পুজো। তারপর বসতেন নিজের দরবারে।

    আদর্শ রানি লোকমাতা অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    নারী ক্ষমতায়নের দিক থেকে তিনি একটি আদর্শ উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছিলেন তিনি। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যদি ভারতীয় সভ্যতার তুলনা টানা হয় মধ্যযুগের নারী সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে, সেখানে লোকমাতা অহল্যা বাঈ নয়া অধ্যায় লিখতে পেরেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার জন্মগ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের এক অখ্যাত গ্রাম নাম চন্ডীতে। জন্মের পরেই পারিবারিকভাবে তিনি ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করেননি। বর্তমান দিনের পাশ্চাত্যের যে আধুনিক ফেমিনিজম, সেটিকে দূরে সরিয়ে, বিপরীতে হেঁটে রানি পদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন অহল্যা বাঈ।

    নারী ক্ষমতায়ন ও সশক্তিকরণের প্রতীক অহল্যা বাঈ (Ahilyabai)

    প্রাচীন ভারতে এবং মধ্যযুগে নারীদের নাকি কোনও ক্ষমতাই ছিল না এবং তাঁদেরকে নাকি পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতে হত। প্রচলিত এই মিথ-কে একেবারেই ভেঙে তছনছ করে দিয়েছেন অহল্যা বাঈ। সুশাসন, জনকল্যাণ মূলক কাজ, মন্দির প্রতিষ্ঠা- এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন যে মধ্যযুগেও এই ভারতবর্ষের নারী শক্তি কতটা এগিয়েছিল। একজন বিধবা নারী যাঁকে হয়তো ঘরের ভিতরেই থাকতে হত। কিন্তু তাঁর ভাগ্য, তাঁর জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করেছিল। তাঁর শ্বশুর ছিলেন অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মালহার হোলকার। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন অগ্রণী সেনা নায়ক। অহল্যা বাঈ তাঁর কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সুশাসনের এবং কূটনীতির। সামরিক অভিযানে স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর মালহার, হোলকার সাম্রাজ্যকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে শুরু করেন।

    রাজধানী ছিল মাহেশ্বর (Ahilyabai)

    অহল্যা বাঈ হোলকারের রাজধানী ছিল মাহেশ্বর। এই জনপদকেই তিনি সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা এবং সুশাসনের কেন্দ্র ভূমিতে পরিণত করেন। তাঁর রাজত্বে ছিল সুবিচার, জনকল্যাণ ও অহিংসা- এই সমস্ত কিছুরই প্রাণকেন্দ্র। অহল্যা বাঈকে জানতে গেলে আগে বুঝতে হবে, তাঁর মাহেশ্বর সাম্রাজ্যকে। কীভাবে তিনি তাঁর এই রাজধানীকে গড়ে তুলেছিলেন নর্মদা নদীর ধারে। এটি পরিণত হয়েছিল একটি কর্মভূমিতে। যেখানে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা প্রতিধ্বনিত হত। সহাবস্থান করত প্রাচীন ভারতীয় নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতা। তাঁর দরবারে ছিলেন বিদ্বান, জ্ঞানী, পণ্ডিত, শিল্পী, সাধু সন্তরা এবং কূটনীতিকরা।

    জনগণ তাঁর দরবারে আসতে উৎসাগহিতবোধ করত

    তাঁর প্রতিদিনকার শাসনের মধ্যে থাকত তন্ত্র চুক্তি এবং রাজধর্ম। এই দুই নীতির উপর ভিত্তি করেই তিনি রাজত্ব চালাতেন। যেটি তিনি অর্থশাস্ত্রের মতো গ্রন্থগুলি থেকে নিয়েছিলেন। রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা এবং নাগরিকদের জীবনোন্নয়নের মানকে তিনি অনেক ওপরে তুলতে পেরেছিলেন। তাঁর দরবারে আসতে জনগণ উৎসাহিত বোধ করত। কারণ তারা জানত এখানেই মিলবে সুবিচার। এখানেই মিলবে সুশাসন। তিনি তাঁর মন্ত্রীদের বলতেন যে প্রত্যেকটি প্রশাসনিক পদক্ষেপে যেন নৈতিকতা এবং সুবিচারের আবরণ থাকে। অহল্যাবাঈ সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদিন গণ শুনানির ব্যবস্থা করতেন। তাঁর রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি কারও আপত্তি থাকলে, অহল্যাবাঈ ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতেন।

    সংস্কারমূলক কাজ

    অহল্যা বাঈয়ের (Ahilyabai Holkar) শাসন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কার। যেসময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হচ্ছে এবং ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে প্রবেশ করছে। আফগান আক্রমণ হচ্ছে ও মারাঠা সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ছে। সেই সময় তিনি নতুনভাবে এই ভারতবর্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাঁথার কাজ শুরু করেছিলেন। অহল্যা বাঈ হোলকার সাধু মহাত্মাদের জন্য আশ্রম তৈরি করে দিতেন। ভগ্ন মন্দির তিনি প্রতিষ্ঠা করতেন। যে মন্দিরগুলিকে ইসলামিক আক্রমণকারীরা বারবার হামলা করে ভেঙে দিয়ছিল। এর পাশাপাশি তিনি অনেক বাণিজ্য পথ তৈরি করেছিলেন, মধ্য ভারতের ওপর দিয়ে। অহল্যা বাঈয়ের আগে যেভাবে ভারতবর্ষ শাসন হয়েছে, সেখানে ইসলামিক আমলে মধ্যযুগের শুধুমাত্র ধ্বংস এবং হিংসার রাজনীতির দেখা দিয়েছে।

    আগ্রাসনে বিশ্বাস রাখতেন না

    দেশীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে তিনি কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন। শুধু তাই নয়, সেখানে তিনি দূত নিয়োগও করতেন। তিনি কখনও আগ্রাসনকারীর ভূমিকা নেননি। পাশ্চাত্যের রাজনৈতিক তত্ত্বগুলিতে যে ধরনের কূটনীতি দেখা যায়, অহল্যা বাঈ হোলকার (Ahilyabai Holkar) সম্পূর্ণ তার বিপরীত পথে হেঁটেছিলেন এবং তাঁর কূটনীতিতে একেবারেই ব্রাত্য ছিল আগ্রাসন।

  • Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: মোদির পরেই শাহ, আজ রাজ্যে পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবারই বঙ্গ সফরে অমিত শাহ। ২ দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ৩১ মে থেকে ১ জুন রাজ্যে কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। কলকাতায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ। ১ জুন নেতাজি ইনডোরে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেবেন তিনি। একইসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতেও যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে সাধু-সন্তদের সঙ্গে একটি বৈঠক করতে পারেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি (BJP) সূত্রে।

    মোদির পরেই শাহ (Amit Shah)

    প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, ২ দিন আগে রাজ্যে এসে বিজেপির প্রচারের সুর বেঁধে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে কলকাতার এক হোটেলে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

    কী কী কর্মসূচি

    এরপর রবিবার রাজারহাটে সিএফএসএলের সরকারি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, সকালে ওই সরকারি কর্মসূচি সমাপ্ত করে বাইপাসের ধারে হোটেলে ফিরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ (Amit Shah)। এরপর, হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছবেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করবেন তিনি। সেই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন অমিত শাহ। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। থাকবেন জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতিরা। এর পাশাপাশি থাকার কথা মণ্ডল পদাধিকারী-সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের। থাকবেন মোর্চাগুলির পদাধিকারীরাও। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে ১৩০০ মণ্ডল রয়েছে পদ্ম শিবিরের। ইতিমধ্যে কয়েকটি ছাড়া সব জায়গাতেই নতুন মণ্ডল কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মণ্ডলে সভাপতির পদে আনা হয়েছে নতুনদের। অন্যদিকে, ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে ২৮ জন নতুন সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

LinkedIn
Share