Author: subhra-katwa

  • Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    Bhangar News: ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভাঙড়ে খুন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানায় ভালো নেই সংখ্যালঘুরা। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমান। এ যেন ফের দেখা গেল ভাঙড়ে (Bhangar News)। খুন হল তৃণমূলের মুসলিম নেতা, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও মুসলিম সম্প্রদায়ের। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি। ঘটনাটি ঘটে ভাঙড় থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া এলাকায়। অভিযোগ, বাড়ির অদূরে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় এবং পরে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল নেতা রেজ্জাক খাঁ-কে।
    এই ঘটনায় তৃণমূলের (Trinamool Leader) পক্ষ থেকে আইএসএফ-কে দায়ী করা হয়েছে।

    শওকত ঘনিষ্ঠ নেতা (Bhangar News)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়গঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকায় রেজ্জাক খাঁ-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
    পুলিশ ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তে নেমেছে (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ ছিলেন তৃণমূলের সক্রিয় নেতা এবং ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
    ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামেন।

    কী বলছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার

    এদিকে, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এই খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের আগে রেজ্জাক খাঁ-কে ফোন করে বাইরে ডেকে আনা হয়েছিল।এরপর ওয়ান শটারের মতো আগ্নেয়াস্ত্র থেকে অন্তত চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়।পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ (Bhangar News)। রেজ্জাক খাঁ-র মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি বাইক উদ্ধার হয়েছে।
    তদন্তে আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে।এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত বাইকের নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা জানিয়েছেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    শওকত মোল্লা কী বলছেন?

    এই ঘটনায় সরাসরি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নাম নেন শওকত মোল্লা।তিনি বলেন, “নওশাদের মদতেই রেজ্জাক খাঁ-কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।দু’টি মিটিং সেরে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে ও পরে কুপিয়ে মারা হয়।ভাঙড়ে আইএসএফের প্রভাব কমে যাওয়াতেই এ ধরনের সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা।সমাজবিরোধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

    নওশাদের বক্তব্য

    অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের কোনও কর্মী বা সমর্থক জড়িত নয়।এটি তৃণমূলের অন্দরমহলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করুক এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দিক।”ভাঙড়ের ঘটনা ফের প্রশ্ন তুলল মমতা জমানার ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।

  • Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    Greece: গ্রিসে রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তুলতে গিয়ে গ্রেফতার চার চিনা নাগরিক, আনা হল গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) রাফাল যুদ্ধবিমানের ছবি তোলার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন চিনা নাগরিককে (Chinese Nationals), যাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে সেদেশের প্রশাসন। এই ঘটনার পর গ্রিসের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা দেশের সমস্ত বিমানঘাঁটি এবং বিমান নির্মাণ ও মেরামতি কেন্দ্রগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা জারি করেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা দেশের টানাগ্রা শহরের কাছে হেলেনিক অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি (HAI)-এর সংলগ্ন একটি সেতুর উপর উঠে রাফাল এবং তার অস্ত্রসজ্জার ছবি তুলছিলেন। ওই এলাকাতেই অবস্থিত গ্রিক বায়ুসেনার ১১৪তম কমব্যাট উইং এবং বিমান মেরামতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। গোপনে ছবি তোলার সময় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

    শুরু হয়েছে তদন্ত (Greece)

    গ্রিসের সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে—কেন বিদেশি নাগরিকেরা এমন স্পর্শকাতর এলাকায় গোপনে ছবি তুলছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল।ইতিমধ্যে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে, এই চেষ্টার পেছনে চিনের রাফাল সংক্রান্ত গোপন তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা থাকতে পারে। উল্লেখ্য, ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন-এর তৈরি রাফাল বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্যতম আধুনিক যুদ্ধবিমান। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল (Greece)।

    মোবাইল ফোন ও ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে

    এর আগে দাসো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছিল, চিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাফালের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে এবং বিমানটির প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে (Chinese Nationals)। ফলে এই নতুন ঘটনার সঙ্গে ভারত ও রাফালকে ঘিরে গুপ্তচর কার্যকলাপের যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রিসের পুলিশ জানিয়েছে, আটক চার চিনা নাগরিককে কড়া নজরদারির মধ্যে রেখে বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে এই ঘটনার পেছনে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র বা গুপ্তচরবৃত্তির যোগ আছে কি না, তা বোঝা যায়। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশে যোগাযোগ, চলাফেরার রুট এবং পূর্বের সফর সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

  • ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (ssc Scam) থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে—এই মর্মে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কোনও অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, তবে সেই আবেদন বাতিল করতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে ৩০ মে এসএসসি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তার ভিত্তিতেই নিয়োগ এগোতে পারে—এই অংশে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।

    রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা (ssc Scam)

    এই রায় কার্যত রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সরাসরি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। কোর্টের রায় সামনে আসতেই অনেক প্রাক্তন চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন—”যোগ্যদের বঞ্চিত রেখে রাজ্য কেন বারবার অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়াতে চাইছে?” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর শিক্ষা দফতর নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ২০২5 সালের SSC-র বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই

    চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগ পরীক্ষায় (ssc Scam) অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে তাদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন যোগ্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, SSC সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে এবং অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে যোগ্যদের সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই মামলায় রায় দেন, SSC-র সিদ্ধান্ত অনুচিত এবং অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং ২০১৬ সালের চাকরির নিয়মাবলি অনুসরণ না করেই জারি করা হয়েছে। তাঁরা দাবি করেন, ওই বছরের বাছাই প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের নিয়মেই সম্পন্ন হওয়া উচিত এবং আবেদনকারীরাও সে সময়কার প্রার্থী হতে হবে। বয়সের ছাড় সংক্রান্ত নিয়মও মানা হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।

    অযোগ্যদের পাশে রাজ্য

    তাঁরা এ-ও বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছিল, যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই নতুন প্রক্রিয়াও যেন পুরনো নিয়মনীতির আলোকে চলে—এমনটাই তাঁদের জোর দাবি।সোমবার আদালতে এসএসসি ও রাজ্য তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও সরাসরি উল্লেখ নেই যে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করার অধিকার নেই।

    কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়, জানান বিচারপতি

    তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।ফলত, আদালতের নির্দেশ—চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—রাজ্য সরকার বারবার কেন অযোগ্যদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে?

    ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এরপরই চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই অনুযায়ী ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা চ্যালেঞ্জ করে ৯টি পৃথক মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে, রাজ্য ও এসএসসি ফের অযোগ্যদের পক্ষেই সওয়াল করে, যা আদালতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) পাকিস্তানের ভেতরে শুরু করেছে বড়সড় অভিযান—‘অপারেশন বাম’ (Operation Baam)। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে , এই অভিযানের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৭টি হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বালোচিস্তানের বিভিন্ন সরকারি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে, যা গোটা অঞ্চলকে নাড়িয়ে দেয়।

    ‘অপারেশন বাম’ শব্দের অর্থ কী?

    ‘বাম’ শব্দটি স্থানীয় ভাষায় ‘ভোর’ বোঝায়। এই নামেই অভিযান চালাচ্ছে বিএলএফ, যারা বহুদিন ধরেই স্বাধীন বালোচিস্তানের (Operation Baam) দাবি তুলে আসছে। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালোচিস্তানের তুরবাত এলাকায় এক বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নারী ও শিশু সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে বাড়িটির পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গ্রেনেড ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া সিবি এলাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। কেচ জেলার তুরবাতে মকরান ডিভিশনের এক ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারের আধিকারিক মহম্মদ ইউনুসের বাড়িও হামলার শিকার হয়। এসব হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বালোচ বিদ্রোহীরা (Operation Baam) আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

    হামলার লক্ষ্য পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন

    এএনআই জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো। বিএলএফ মুখপাত্র গওহারাম বালোচ এক বিবৃতিতে জানান, ‘অপারেশন বাম’ বিস্তৃত হবে মাকরান উপকূল থেকে শুরু করে কোহ-ই-সুলেমানের পাহাড়ি অঞ্চল পর্যন্ত।বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বালোচিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনা হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই অভিযানের জেরে অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরোতে পারেননি। আতঙ্কে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, যানবাহন চলাচল—সব কিছুই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।‘অপারেশন বাম’-এর কারণে পাকিস্তান এখন রীতিমতো কোণঠাসা।একের পর এক বিস্ফোরণ ও হামলায় সেনা ও প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে।

  • Daily Horoscope 11 July 2025: পেটের কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 11 July 2025: পেটের কষ্ট বাড়তে পারে এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) মায়ের তরফ থেকে কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

     

    মিথুন

    ১) অধিক খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) সখপূরণ হবে।

     

    কর্কট

    ১) শেয়ারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ভালোই কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    Ramakrishna 406: ঠাকুর মাস্টারকে বলিলেন, “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    তবে “ঈশ্বরের পথে যেতে যেও না”—এই কথা ছাড়া বাকি সব কথা শুনবি।
    “দেখি তোর হাত দেখি,”—এই বলিয়া ঠাকুর তারকের হাত দেখিতেছেন।
    হাত যেন খুব ভারি, মনোযোগ দিয়ে দেখিয়া একটু পরে বলিলেন,
    “একটু আড় আছে… কিন্তু ওটুকু কেটে যাবে। একটু প্রার্থনা করিস, আর এখানে একবার আসিস—ওটুকু চলে যাবে।”

    ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন:
    “কলকাতার বহুবাজারে বাসা তুই করেছিস?”
    তারক উত্তর দিল:
    “আমি আগে করিনি, তারা করেছিল।”

    শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যে বলিলেন:
    “তুই করেছিস—তাড়াতাড়ি, বাঘের ভয়ে!”
    (ঠাকুর কামিনীকে কি বাঘ বলিতেছেন?)

    তারক প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন।

    ঠাকুর তখন ছোট খাটে শুয়ে ছিলেন, যেন ভাবিতেছেন তারকের কথা। হঠাৎ মাস্টার-কে বলিলেন,
    “এদের জন্য আমি এত ব্যাকুল হই কেন?”

    মাস্টার চুপ করিয়া আছেন, যেন কী উত্তর দিবেন ভাবিতেছেন।
    ঠাকুর আবার জিজ্ঞাসা করিলেন,
    “বল না!”

    এই সময় মোহিনী মোহনের পরিবার ঠাকুরের ঘরে আসিয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর তাহাদের এক পাশে বসতে দিলেন।

    ঠাকুর তখন তারকের সঙ্গীর কথা মাস্টার-কে বলিতেছেন:
    “ওকেও কেন সঙ্গে আনলি?”
    মাস্টার বলিলেন:
    “রাস্তার সঙ্গী ছিল, অনেকটা পথ একসঙ্গে এসেছে, তাই সঙ্গে আনতে হয়েছে।”

    এই কথার মধ্যে হঠাৎ ঠাকুর মোহিনীর পরিবারকে উদ্দেশ করে বলিলেন,
    “অপঘাত মৃত্যু হলে পেত্নী হয়। সাবধান! মনকে বুঝাবি। এত কিছু দেখলি, শুনলি, শেষে কী—এই হলো?”

    মোহিনী এবার বিদায় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুরকে ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করিলেন, পরিবারও প্রণাম করিল।

    ঠাকুর ঘরের মধ্যে উত্তর দিকের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছেন।
    পরিবারটি মাথায় কাপড় ঢেকে আস্তে আস্তে ঠাকুরকে কিছু বলিতেছেন।

  • Health Insurance: চিকিৎসা খরচে লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্র, আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার পোর্টাল

    Health Insurance: চিকিৎসা খরচে লাগাম টানতে উদ্যোগী কেন্দ্র, আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার পোর্টাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত চিকিৎসা খরচ আদায় করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের (Health Insurance)। এবার সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় সরকার ও ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI)। এই ধরনের অনিয়ম যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সরকার নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে (Finance Ministry)।

    আসছে স্বাস্থ্য বীমা পাওনার (Health Insurance Claim) পোর্টাল

    অতিরিক্ত চার্জ থেকে রোগীদের রক্ষা করতে, কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক ও IRDAI মিলে স্বাস্থ্য বীমা পাওনা সংক্রান্ত একটি পোর্টাল চালুর কথা ভাবছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে বীমা সংস্থা (Health Insurance), হাসপাতাল এবং রোগীদের মধ্যে একটি স্বচ্ছ সংযোগ গড়ে উঠবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ন্যাশনাল হেলথ ক্লেইমস এক্সচেঞ্জ (NHCE) নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ নির্ধারণে একাধিক স্তরে নজরদারি থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তত্ত্বাবধানে হাসপাতালগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারবে না, যা সাধারণ মানুষের জন্য অনেকটাই স্বস্তির (Finance Ministry)।

    স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেড়েই চলেছে (Health Insurance)

    সম্প্রতি আওন গ্লোবাল মেডিকেল ট্রেন্ড রেটস নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ভারতের স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই হারে বৃদ্ধি বৈশ্বিক গড় ১০ শতাংশের চেয়েও বেশি। ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে চিকিৎসা ব্যয় ১২ শতাংশ বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে ধস (Health Insurance)

    স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম আয়ে বড় ধরনের পতন লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দেশের স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম ইনকাম নেমে এসেছে মাত্র ৯ শতাংশে, যেখানে এর আগের বছর এই হার ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেক হারে কমে গেছে স্বাস্থ্যবিমার বাজারে প্রবাহিত অর্থ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল বিমার প্রিমিয়াম বারবার বাড়তে থাকায় তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার এখন আর নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে একদিকে নতুন পলিসি কেনার আগ্রহ কমেছে, অন্যদিকে পুরনো পলিসিগুলির পুনর্নবীকরণেও অসুবিধা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যসুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মানুষ, তেমনই দীর্ঘমেয়াদে বিমা শিল্পের উপরও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    Russian Labour Ministry: ১০ লক্ষ ভারতীয় কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নেই, জানাল রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেদেশে তৈরি হয়েছে শ্রমিক সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া (Russian Labour Ministry) নাকি ভারত থেকে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, এমনই এক প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে দ্য মস্কো টাইমস-এ। প্রতিবেদনে অনুসারে, উরাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রধান আন্দ্রে বেসেদিন সম্প্রতি এই মন্তব্য করেন (Indian worker)। তিনি জানান, রাশিয়ায় ভারতীয় শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু ভারত নয়, শ্রীলঙ্কা ও উত্তর কোরিয়া থেকেও কর্মী নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

    অস্বীকার করল রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক

    তবে রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রক (Russian Labour Ministry) এই দাবি অস্বীকার করেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা বর্তমানে সরকারের নেই।  প্রসঙ্গত, জানা গেছে গত এক বছরে ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। অনেক ভারতীয় শ্রমিক বর্তমানে কালিনিনগ্রাদ ও মস্কোর বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে যুক্ত আছেন।

    ভারতীয় নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭১,৮১৭টি জায়গা

    চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার (Russian Labour Ministry) কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়ে পরীক্ষামূলক নিয়োগ কর্মসূচিও শুরু করে। এর আওতায় নির্মাণ শ্রমিকদের একটি পাইলট প্রোগ্রাম চালানো হয়। তবে রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলি খুব একটা সফল হয়নি। রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকটের মধ্যে, ২০২৪ সালে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মোট ২,৩৪,৯০০টি পদ নির্ধারণ করেছে রুশ সরকার। এই কোটা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের রাশিয়ার নির্মাণ, উৎপাদন, পরিষেবা ও কৃষি খাতে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মোট কোটার মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ৭১,৮১৭টি পদ।

    রাশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (Russian Labour Ministry) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির বহু পুরুষ নাগরিক সামরিক দায়িত্বে নিযুক্ত হওয়ায়, অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহণ, কৃষি এবং বিভিন্ন পরিষেবা খাতে অভাব দেখা দিয়েছে দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের।

  • Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    Water Crisis: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে কাবুল, চরম সংকটে লক্ষ লক্ষ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম ‘জলশূন্য’ শহর হতে চলেছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (Water Crisis)। বর্তমানে এই শহর চরম জলসংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মার্সি কর্পস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, কাবুল হতে পারে আধুনিক যুগের প্রথম শহর, যেখানে সম্পূর্ণরূপে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ২০৩০ সালের মধ্যেই কাবুলের সমস্ত ভূগর্ভস্থ জলের (Kabul) উৎস শুকিয়ে যেতে পারে। এটি শুধুমাত্র শহরের ৭০ লক্ষ মানুষের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য এক গভীর সংকেত। দ্য গার্ডিয়ান-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দশকে কাবুলের ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ৩০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

    শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য

    দ্রুত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের কারণে কাবুলে জলের সংকট চরমে উঠেছে। কেবল জলস্বল্পতাই নয়, কাবুলের জলের গুণমানও আজ প্রশ্নের মুখে। মার্সি কর্পস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের ৮০ শতাংশ ভূগর্ভস্থ জল পান করার অযোগ্য। এতে রয়েছে পয়ঃনিষ্কাশনের বর্জ্য, লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মতো বিষাক্ত উপাদান। কাবুলের (Kabul) অনেক পরিবার প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস বিশুদ্ধ জলের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। কিছু পরিবার তাঁদের আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ শুধু জল কেনার পেছনে খরচ করছে, আবার দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পরিবার জলের জন্য ঋণে জর্জরিত।

    জল এখন বিলাসবহুল বস্তু (Water Crisis)

    কাবুলের খায়ের খানহ্ এলাকার এক শিক্ষিকা নাজিফা বলেন, “জলের অভাব এখন আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। ভালো মানের নলকূপের জল এখন দুর্লভ।” তিনি আরও জানান, কিছু বেসরকারি কোম্পানি এই সংকটকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে। তারা বেপরোয়াভাবে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে। নাজিফার কথায়, “আগে ১০ দিনের জন্য ৫০০ আফগানি মুদ্রায় জল কিনতাম, এখন সেই পরিমাণ জলের জন্য লাগে ১০০০ আফগানি। গত দুই সপ্তাহে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে জলের দাম আরও বেড়ে যাবে।”

    সংকট বাড়ছে কেন?

    ২০০১ সালে কাবুলের (Water Crisis) জনসংখ্যা ছিল ১০ লক্ষেরও কম, যা এখন সাত গুণ বেড়ে গেছে। এই বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জলের চাহিদাও কয়েকগুণ বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরুতে আফগানিস্তানে জল ও স্যানিটেশন প্রকল্পের জন্য ২৬৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও, এখন পর্যন্ত মাত্র ৮.৪ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক অনুদান অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে পাঞ্জশির নদীর পাইপলাইন প্রকল্প কাবুলের জল সংকটের একটি বড় সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ২০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল পাবে। এই প্রকল্পের (Kabul) নকশা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে (২০২৪ সালে), তবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ব্যয় মেটাতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।

  • Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    Shubhanshu Shukla: আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা, গতি পাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছেন ভারতীয় নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। তাঁর এই মহাকাশে পাড়ি দেওয়া ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরোর মহাকাশ-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলি—যেমন গগনযান, চন্দ্রযান-৪ ও চন্দ্রযান-৫—নতুন গতি পাচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুভাংশু শুক্লার মহাকাশ অভিজ্ঞতা গগনযান মিশনের গবেষণায় অনেক সাহায্য করছে। উদাহরণস্বরূপ, মহাকাশে কোয়ারেন্টাইনে থাকা, সেখানে মানসিক চাপ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, কী ধরনের ওষুধ প্রয়োগযোগ্য—এই সমস্ত দিকগুলোতে নতুনভাবে তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে (Indian Space Innovation)।

    অ্যাক্সিয়াম-৪ মিশনে কাজ করেছেন ইসরোর ৭ বিজ্ঞানী

    একই সঙ্গে, শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে উপস্থিতি ভারতের অর্থনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যে মহাকাশযানে করে তিনি গিয়েছেন—সেই Axiom-4 (অ্যাক্সিয়াম-৪) মিশনে কাজ করেছেন বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা, যার মধ্যে ইসরোর বিজ্ঞানীর সংখ্যা ছিল ৭ জন। তাঁরা নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন।

    কোন কোন দিক উঠে আসছে গবেষণায়

    মহাকাশে শুভাংশু শুক্লার (Shubhanshu Shukla) অবস্থানের ফলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় যে নতুন দিকগুলো উঠে আসছে, তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।

    মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাব না থাকায়, সেখানে ভারতীয় ফসলের বীজ কীভাবে রোপণ করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা গবেষণা করেছেন ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

    এ ছাড়াও মহাকাশে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সম্পর্কেও নতুন তথ্য উন্মোচিত হয়েছে। মাধ্যাকর্ষণশূন্য পরিবেশে মানুষের শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, স্বাভাবিক থাকতে গেলে কী ধরনের থেরাপি ও ট্রিটমেন্ট দরকার হয়—সেগুলো নিয়ে গবেষণা চলছে।

    তাছাড়া, নভোচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গবেষণা হচ্ছে—কীভাবে তাঁরা স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করেন, মহাকাশে মানানসই জীবনশৈলী কেমন হওয়া উচিত, সেসব বিষয়ও গবেষণার আওতায় এসেছে।

    উল্লেখযোগ্যভাবে, গত ৫ জুলাই নভোচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla) গবেষণা করেছেন মহাকাশে মানুষের হাড় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় সে বিষয়ে। এর পাশাপাশি তিনি মানবদেহের কোষ মহাকাশে কেমনভাবে বিকশিত হয় ও পুনর্গঠন হয়, তাও গবেষণার বিষয় করেছেন।

    আরও একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা হল—মহাকাশে চারা গাছ রোপণ। দেখা গেছে, শুভাংশু শুক্লা মেথি ও মুন (মুগ)—এই দুটি চারা গাছ রোপণ করেছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

LinkedIn
Share