Author: subhra-katwa

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফের মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে গেলে অবাক হব না।’’ রবিবারের অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। এদিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর মায়ের কথাও। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, একদা তাঁর মাকেও এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদনও জানান শুভেন্দু।

    ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের অনুষ্ঠান (Suvendu Adhikari)

    রবিবার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। আমি নিজে ভিকটিম। আমার মা শ্রীমতী গায়েত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা বরিশালের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাদের শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন (BJP)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আওয়ামি লিগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার অপরাধে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে পালিয়ে এসেছেন, তাদের দয়া করে জেলে পুরবেন না। আগেও হাসিনা, বঙ্গবন্ধু মুজিবরের পরিবারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, জাত-ধর্ম কিছু দেখতে হবে না, যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের তাড়াবেন না। তারা শরণার্থী। আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা, যাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, তাদের জেলে ভরবেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মহারাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

  • CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ গর্ভনমেন্ট এফিসিয়েন্সির আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে একটি তালিকা দেওয়া হয়। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার নাম ছিল। ওই সংস্থাগুলির অর্থনৈতিক বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় একটি বিশেষ সংস্থার নাম রয়েছে। তা হল— কনসর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেংথেনিং (Consortium for Elections and Political Process Strengthening বা সংক্ষেপে সিইপিপিএস (CEPPS)। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাকে বাইডেন প্রশাসন বরাদ্দ করেছিল ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার। এই বিপুল তহবিলের মধ্যে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই সংস্থা ব্যয় করেছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮২ কোটি টাকা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ ওই মার্কিন সংস্থা কার নির্দেশে করেছিল, এই নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। প্রথমেই আমরা জেনে নেব সিইপিপিএস আসলে কী!

    ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা (CEPPS)

    জানা যায়, এই সংস্থা (CEPPS) তৈরি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। নিজেদের উদ্দেশ্য হিসেবে এই সংগঠন দেখায় যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করা, গণতন্ত্রের প্রচার করা, সুশাসন ব্যবস্থার প্রচার করাই তাদের কাজ। যখন এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এটি একটি এনজিও। এই ধরনের যত বেসরকারি সংস্থা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলির কেন্দ্রীয় সংস্থা হল সিইপিপিএস। এই সংস্থা জানিয়েছিল তাদের তিনটি শাখা রয়েছে। একটি হল ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম, দ্বিতীয়টি হল ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয়টি হল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট।

    কোন উদ্দেশে তৈরি করা হয়?

    প্রসঙ্গত, এই সংস্থার তরফ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং যারা নির্বাচন পরিচালনা করে সেই ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। এর পাশাপাশি, যে কোনও দেশের সংসদে, নাগরিক সমাজের সঙ্গে গণতন্ত্র ওপর কাজ করে এই সংস্থা। তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সমাজ কর্মীদের সঙ্গে তারা বৈঠক করে। তাদেরকে সাহায্য করে। তাদের জন্য কর্মসূচির স্থির করে এবং গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলি তারা করে। এই সংস্থা আরও দাবি করেছে যে, তাদের বর্তমানে শাখা রয়েছে পৃথিবীব্যাপী ১৪০টিরও বেশি দেশে। এই দেশগুলিতে তারা সক্রিয়। এই দেশগুলিতে তারা কাজ করে চলেছে নিরন্তর ভাবে। সংস্থার (CEPPS) আরও দাবি করেছে যে, প্রত্যেকটি দেশে তারা গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, সুশাসন- এই সমস্ত বিষয়ে কর্মসূচি নেয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে যে সিইপিপিএস নামের এই সংগঠনকে ফান্ডিং করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত ইউএসএআইডি বা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট— ক্ষমতায় এসেই যাদের ফান্ডিং আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বন্ধ ওয়েবসাইট

    এই সিইপিপিএস সংস্থা ইউএসএআইডির পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকেও তাদের তহবিল সংগ্রহ করে। বছরের পর বছর ধরে তারা এমন কাজ করে যাচ্ছে। সিইপিপিএস দাবি করে যে, তারা যে কোনও দেশের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ করে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরেশিয়া, আমেরিকা এই সমস্ত জায়গাতেই তারা কাজ করে বলে জানিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে যে, প্রতিষ্ঠা হওয়া ইস্তক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান পেয়েছে সিইপিপিএস। ঘটনা হল সিইপিপিএস-এর আর কোনও আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বর্তমানে কার্যকর নেই। এই সংস্থা ইউএসএআইডি থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের তহবিল নিয়েছে এবং ১৯৯৫ সাল থেকেই তারা সক্রিয় কিন্তু ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ সালের পর থেকে তারা তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

    সংস্থাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক

    ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইউএসএআইডি যে নথি প্রকাশ করছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য তারা দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে আসছে যে, ২০২১ সালে ইউএসএআইডি তাদের মোট তহবিলের ৬৬ শতাংশই প্রদান করছে সিইপিপিএস -কে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সিইপিপিএস যে দাবি করে, তা কিন্তু আসল সত্য নয়। সিইপিপিএস কোনও সরকারি সংস্থা নয়। কিন্তু একে অর্থনৈতিকভাবে তহবিল প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না সিইপিপিএস। এটি সরাসরি সেদেশের রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজকে ফান্ডিং করে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এখানেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। অর্থাৎ কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে হরণ করা, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বদল করার কাজও করে তারা।

    ২০১৯ সালের প্রতিবেদন

    ২০১৯ সালে ইউএসএআইডির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা করার জন্য তারা সিইপিপিএস-এর মত একটি সংস্থার উপরে নির্ভর করে। সিইপিপিএস-এর উপর এই নির্ভরশীলতা ইউএসএআইডিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা কমতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠতে থাকে।

    দেশ বিরোধী শক্তির ফান্ডিং

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে এই সংস্থা কাজ চালিয়েছে তাদেরই শাখা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসকে নিয়ে। ২০১২ সালে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশির সঙ্গে এই ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এক চুক্তি করে। প্রেস বিবৃতি জারি করে তৎকালীন ভারতের নির্বাচন কমিশন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্ট্রোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর  সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে দেশের নির্বাচন কমিশন। যৌথ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। একইসঙ্গে গবেষণা চলবে কিভাবে গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করা যায়। আসল উদ্বেগের বিষয় হল আইএফইএস ইতিমধ্যে সেই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে যেগুলি ভারত বিরোধী সংগঠন বলেই পরিচিত। এরমধ্যে রয়েছে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। এই ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এর মালিক জর্জ সরোস ভারত বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত। এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এইভাবে দেশবিরোধী শক্তির ফান্ডিং নিয়ে আসলে কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করেছিল ওই মার্কিন সংস্থা।

    ইউএসএআইডি-র ওপরে রাশ (USAID)

    ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

  • USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    USA: ‘‘শিকলে বাঁধা ছিল হাত-পা’’, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত দলজিৎ সিং শোনালেন অভিজ্ঞতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতেই আমেরিকা (USA) থেকে অমৃতসরে পৌঁছায় সে দেশ থেকে বিতাড়িতদের বিমান। এই বিমানেই ছিলেন একজন। তাঁর নাম দলজিৎ সিং। রবিবার তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি জানান যে আমেরিকা (USA) থেকে নিয়ে আসার সময় তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নেমে সাংবাদিকদের এই কথাগুলো বলেন দলজিৎ সিং।

    হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং

    জানা গিয়েছে পাঞ্জাবের (Punjab) হোশিয়ারপুর জেলার কুড়ালা কালাম গ্রামের বাসিন্দা দলজিত সিং। প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার রাতে অবৈধ বসবাসের অভিযোগে ১১৬ জন ভারতীয়কে নিয়ে একটি বিমান নামে অমৃতসরে এবং সেই বিমানেই ছিলেন দলজিৎ সিং। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে তাঁকে বেআইনি পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA)। অন্যদিকে দলজিৎ সিং-এর স্ত্রী কমলপ্রীত কৌর অভিযোগ করেছেন যে তাঁর স্বামীকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট প্রতারিত করেছিল। ওই এজেন্ট তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাঁকে বেআইনিভাবেই সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এতে তাঁর (দলজিৎ সিং) কোনও দোষ নেই বলেই জানিয়েছেন কমলপ্রীত। জানা গিয়েছে, গ্রামের একজন বাসিন্দা দলজিৎকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ট্রাভেল এজেন্ট এর সাহায্য নিয়ে আমেরিকা (USA) গেলে সুবিধা হবে। গ্রামের ওই ব্যক্তি ট্রাভেল এজেন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল দলজিতকে। ট্রাভেল এজেন্ট দলজিৎ সিংকে বৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু জানা যায় তাঁকে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র না নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই দলজিৎ তাঁর যাত্রার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেন।

    কোন কোন রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন বিমানে

    শনিবার রাত ১১:৩৫ নাগাদ অবতরণ করে সি১৭ বিমান। সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে ফেরে। এরপরে রবিবার ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ পাঞ্জাব (Punjab) পুলিশের গাড়িতে করে বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। হরিয়ানার যে সমস্ত বাসিন্দা আমেরিকাতে ছিলেন, অবৈধ অভিবাসীরূপে, তাঁদেরও পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার রাতে যে বিমান নামে, সেখানে ৬৫ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, আটজন গুজরাটের, দুইজন উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং একজন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা ছিলেন। বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। আজ রবিবার ১৫৭ জন ভারতীয়কে নিয়ে তৃতীয় বিমানটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • Indian Railway: রেলের টিকিটে প্রবীণদের ৫০ শতাংশ ছাড়, জানুন বিস্তারিত

    Indian Railway: রেলের টিকিটে প্রবীণদের ৫০ শতাংশ ছাড়, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য টিকিটের দামে ছাড় চালু করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, ৫৮ বছর বা তার বেশি বয়সি মহিলারা ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন এবার থেকে টিকিটে। অন্যদিকে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ছাড় হবে ৪০ শতাংশ। জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল সীমিত আয়ের প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizen) ভ্রমণের খরচ কমানো।

    আরও খুঁটিনাটি (Indian Railway)

    ছাড়ের প্রধান শর্ত হল, মহিলাদের বয়স কমপক্ষে ৫৮ বছর এবং পুরুষদের কমপক্ষে ৬০ বছর হতে হবে। এছাড়া, নিয়মিত বুকিংয়ের ক্ষেত্রেই শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই এই ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। তবে একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, তৎকাল টিকিটে এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। অনলাইন বুকিংয়ের (Indian Railway) ক্ষেত্রে প্রথমে যেতে IRCTC ওয়েবসাইটে। এরপর লগ ইন করে ভ্রমণের বিবরণ পূরণ করতে হবে। তারপর সিনিয়র সিটিজেন কনসেশন বিকল্পটি বাছতে হবে। এরপর বয়সের প্রমাণপত্র আপলোড করে টাকা জমা দিতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি হয়ে গেলে টিকিট ডাউনলোড করতে পারবেন।

    প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুযোগ

    অনুরোধ করলে প্রধান স্টেশনগুলিতে হুইলচেয়ারের সহায়তা পেয়ে থাকেন দেশের প্রবীণ নাগরিকরা (Indian Railway)। টিকিট বুকিং এবং চেক-ইন প্রক্রিয়ার সময় পৃথক সারির ব্যবস্থা থাকে, যা সময় বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, স্লিপার এবং এসি কামরায় লোয়ার বার্থ মেলে।

    কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    এই ছাড় মেল, এক্সপ্রেস, রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত ট্রেনগুলিতে প্রযোজ্য থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল। আইআরসিটিসি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই ছাড় পেতে পারেন অথবা আধার কার্ড বা ভোটার আইডির মতো বৈধ নথিপত্র-সহ রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বুক করা যেতে পারে। বন্দে ভারত এবং তেজসের মতো ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে টিকিটে প্রবীণদের জন্য ছাড়-সহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিদা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে ভারতীয় রেল। ভবিষ্যতে নামমাত্র মূল্যে অতিরিক্ত ভ্রমণ বিমাও চালু করতে পারে রেল (Indian Railway)।

  • Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur: গত ২ দিনে মণিপুরে গ্রেফতার ১১ জঙ্গি, জানাল নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুই দিনে মণিপুর (Manipur) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জন জঙ্গিক। একথা জানিয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মির সাতজন সদস্য রয়েছে। যাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গত শুক্রবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে (Security Forces) কুকি ন্যাশনাল আর্মির জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়।

    শনিবার ইম্ফল পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে অভিযান (Manipur)

    অন্যদিকে গতকাল শনিবার ইম্ফল (Manipur) পূর্ব জেলার হুইকাপ গ্রামে আরেকটি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন কাঙ্গেলিপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিডব্লিউজি গ্রুপ) এর চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই জঙ্গিদের (Manipur) কাছ থেকে দুটি AK-47 রাইফেল, পিস্তল, গুলি ও বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন জারি (Manipur)

    গত বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বয়ানে লেখা হয়েছে, ‘আমি মণিপুরের রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। ওই রিপোর্ট দেখে ও অন্য তথ্যগুলির ভিত্তিতে আমার মনে হয়েছে, সংবিধান অনুসারে সেখানে সরকার চালানো সম্ভব হচ্ছে না।’

    উত্তপ্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। ২০২৩ সালে মে মাসে প্রথম মেইতেই ও কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছুদিনের জন্যে শান্ত ছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে (Manipur) নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অসংখ্য ঘরবাড়ি। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং এবং রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের খবর, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মণিপুরের দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরে সাময়িক বিরতি হয় অশান্তিতে। কিছুদিন পরেই ফের তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যবাসীকে সংযত হওয়ার অনুরোধও করেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে রাজ্যে। তার পরেও অশান্তির আগুনে পুড়েছে রাজ্য। সম্প্রতি জারি করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন।

  • Pakistan News: পাকিস্তানে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত ১৫ সন্ত্রাসী ও ৪ নিরাপত্তা আধিকারিক

    Pakistan News: পাকিস্তানে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, নিহত ১৫ সন্ত্রাসী ও ৪ নিরাপত্তা আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan News) সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর। শনিবারও পাক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার সংঘর্ষ বাধে। বিশেষ করে সেদেশের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বালুচিস্তানে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০২২ সালে স্বাক্ষরিত একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করার পর থেকেই এই সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খাইবার পাখতুনখোয়ায় পৃথক দুটি অভিযান চালায় পাক সেনাবাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীবাদীদের সঙ্গে সেনার প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে।

    পাক নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান (Pakistan News)

    সেদেশের সরকার এনিয়ে বিবৃতি দিয়েছে, ডেরা ইসমাইল খান জেলার হাথালা এলাকায় প্রথম অভিযান (আইবিও) চলাকালে ৯ সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। এরপরেই পাকিস্তানের (Terrorists) উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার মিরান শাহ এলাকায় দ্বিতীয় অভিযান চালায় পাক নিরাপত্তা বাহিনী। এই সময় আরও ছয় সন্ত্রাসবাদী নিহত হয় বলে জানা গিয়েছে। সরকারের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে নিহত সন্ত্রাসীরা এলাকায় অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। এই অভিযানে ৪ জন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।চারজন নিহত সেনার মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। এঁরা হলেন, নায়েব সুবেদার মুহাম্মদ বিলাল (৩৯), তিনি ডেরা ইসমাইল খান জেলার বাসিন্দা। লাকি মারওয়াত জেলার বাসিন্দা ফারহাত উল্লাহ (২৭) এবং মোমান্দ জেলার বাসিন্দা হিমত খান (২৯)।

    সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান (Pakistan News)

    পাকিস্তান (Pakistan News) ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। পিআইসিএসএস-র প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ। তথ্য বলছে, এই সময়ে দেশব্যাপী কমপক্ষে ৭৪টি জঙ্গি হামলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক সরকার। এই হামলার ফলে ৩৫ নিরাপত্তা কর্মী, ২০ জন সাধারণ নাগরিক এবং ৩৬ জন সন্ত্রাসীসহ ৯১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১১৭ জন, যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫৩ সদস্য, ৫৪ জন সাধারণ নাগরিক ও ১০ সন্ত্রাসী।

  • ISRO Chairman: গগনযান মিশন নিয়ে কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন?

    ISRO Chairman: গগনযান মিশন নিয়ে কী বললেন ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO Chairman) আগামী এক দশকের জন্য অনেক বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই অভিযানগুলি মহাকাশ গবেষণায় পৃথিবীর মানচিত্রে ভারতের অবস্থান আরও উল্লেখযোগ্য করে তুলবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। এর মধ্যে রয়েছে নতুন একটি প্রোপালসন সিস্টেম, শুক্রগ্রহে অভিযান, মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠানো, চন্দ্রযান-৪, চন্দ্রযান-৫ ও গগনযান কর্মসূচি। ইসরো চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন (V Narayanan) এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।

    কী বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান (ISRO Chairman)?

    ওই সাক্ষাৎকারে ইসরো চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) গগনজান মিশন সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন এবং এই অভিযানে চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেন। প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই জানিয়েছিলেন যে গগনযান অভিযান ২০২৬ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথমে মানববিহীন যান পাঠানো হবে মহাকাশে। ইসরো চেয়ারম্যান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রথমে মোট তিনটি মানববিহীন পরীক্ষামূলক যান পাঠানো হবে। ২০২৫ সালে শ্রী হরিকোটা থেকে প্রথম মানববিহীন যানটি পাঠানোর কথা রয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে প্রথমে ওই যানটি মহাকাশচারীদের ১৭০ কিলোমিটার ওপরে এবং তারপরে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথের রেখে নিরাপদে ফের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।

    নিসার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ (ISRO Chairman)

    জানা গিয়েছে, ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে নিসার (NISAR) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার কথা রয়েছে চলতি বছরের মার্চ মাসে। এটি প্রতি ১২ দিনে প্রায় সমস্ত ভূমি ও বরফ স্ক্যান করবে। পাঠাবে হাই রেজোলিউশনের ছবি। এলভিএম৩-এম৫ মিশন রূপায়ণ হবে প্রথম ত্রৈমাসিকে। এই মিশনটি একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহকের জন্য স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। এটি মহাকাশ অর্থনীতিতে ভারতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা প্রদর্শন করবে। এর পর রয়েছে গগনযান মানব মিশন। তবে এই অভিযানের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ব্যোমমিত্র মিশনের সাফল্য প্রশস্ত করবে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ।

  • Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    Kumbh Devotees: কুম্ভমেলার ভক্তদের ভিড়, নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে (New Delhi Railway Station) মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। কুম্ভযাত্রীদের ভিড় এবং ধাক্কাধাক্কির কবলে পড়ে তিন শিশু, ১৪ মহিলা-সহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশপাশি অজস্র মানুষ আহত হয়েছেন (Kumbh Devotees) বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথমে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর পরে দিল্লি পুলিশ ১৮ জনের প্রাণ হারানোর খবর নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণাও করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এর পাশপাশি, এই ঘটনায় যাঁরা গুরুতর জখম হয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হবে আড়াই লক্ষ টাকা। যাঁরা সামান্য আঘাত পেয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

    হঠাৎ রটে গুজব?

    সূত্রের খবর, শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলার ভক্তদের (Kumbh Devotees) ব্যাপক ভিড় ছিল। ওই দুই প্ল্যাটফর্মেই ট্রেন আসতেও দেরি করছিল। এমন সময় গুজব রটে যায় দু’টি ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে ব্যাপক দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, একেবারে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় ওই দুই প্ল্যাটফর্মে । রেল জানিয়েছে, এই সবই গুজব ছিল।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    এই ঘটনার পরেই শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স মাধ্যমে লেখেন, “পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।” একইসঙ্গে শোক বার্তা এসেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছ থেকেও।

    শোক প্রকাশ করেছেন (Kumbh Devotees) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “স্টেশনে পদপিষ্টের ফলে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।” পাশাপাশি, তিনি মৃত পরিবারদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

    নিজের এক্স মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আহতদের সবরকমের সাহায্য করা হবে। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শোক প্রকাশ (Kumbh Devotees)

    দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রেল পুলিশের ডিসি বলেন, “প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”

  • Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্যালাইনকাণ্ডের পরে আরও এক ওষুধ দুর্নীতি! সমাজমাধ্যমে পোস্ট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন কাণ্ড নিয়ে রাজ্য তোলপাড় হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়। সেই রেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি। তারই মধ্যে আবারও বিরাট অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।

    সমাজ মাধ্যমে লম্বা পোস্ট শুভেন্দুর

    এনিয়েই সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি লম্বা পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি উল্লেখ করেন, ‘‘সরকারের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলি সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে, তা বর্জন করতে। হাসপাতালে যদি স্টক থাকে তাহলে তা যেন অব্যবহৃত রাখা হয়। এর কারণ, গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে।’’

    এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে, দাবি শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে, কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’’ এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকে জবাব চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, এমন কী হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল এবং আর কোন কোন ওষুধ উৎপাদন হবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলাও। ঘটনা গত মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। তার মধ্যেই আবার নয়া এক ওষুধ দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

LinkedIn
Share