Author: subhra-katwa

  • Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    Operation Sindoor: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হওয়া মুজিবের পাক যোগ প্রমাণিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান জানতে চেয়ে গ্রেফতার হয়েছিল মুজিব। এবার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য (Operation Sindoor) । ধরা পড়ল তার পাকিস্তানি যোগ। মুজিবের সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা একাধিক পাকিস্তানি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলের সঙ্গে তার যোগ পেয়েছেন (Pak Extremist)। এই প্রোফাইলগুলিতে সর্বদাই ভারত বিরোধী প্রচার চালানো হয় বলে দেখা যাচ্ছে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, instagram-এর একাধিক পাকিস্তানি অ্যাকাউন্টকে মুজিব ফলো করে, যেগুলি পাকিস্তানি উগ্রপন্থীরা চালায়। এর পাশাপাশি তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন সে মাদকাসক্তও বটে। তাকে ফের একবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে পরবর্তী তদন্তের (Pak Extremist) জন্য।

    সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে অস্বীকার করে মুজিব (Operation Sindoor)

    পুলিশ জানিয়েছে যখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়, তখনই মুজিব অস্বীকার করে তার সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড দিতে। এতেই সন্দেহ আরও তীব্র হয় প্রশাসনের। এরপরেই তার সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে একাধিক পাকিস্তানি উগ্রপন্থী প্রোফাইলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। বর্তমানে তদন্তকারীরা জানার চেষ্টা করছেন এই পাকিস্তানি উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সে কীভাবে যোগাযোগ রাখত।

    আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান 

    প্রসঙ্গত, কোচি হারবার পুলিশ স্টেশন মুজিবকে আগেই গ্রেফতার করে। কারণ সে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে কোচি নৌ ঘাঁটিতে ফোন করে আইএনএস বিক্রান্তের অবস্থান ঠিক কোন জায়গায় সেটা জানতে চেয়েছিল। এক্ষেত্রে সে নিজের পরিচয় দিয়েছিল যে সে প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে ফোন করছে এবং নিজের নাম বলেছিল রাঘবন। ফোন কল ভুয়ো জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এমন ফোন কল আসায় বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয় প্রশাসন। মুজিবকে আটক করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৯ (২) ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করে কোচি পুলিশ। এরপরেই মুজিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদতে কোঝিকোড়ের বাসিন্দা হল এই মুজিব রহমান।

  • Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Operation Sindoor: ‘‘লেজ গোটানো ভীতু কুকুরের মতো ভারতের কাছে যুদ্ধ বিরতি চায় পাকিস্তান’’! বড় দাবি প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা ভীত-সন্ত্রস্ত কুকুর যেমন লেজ গুটিয়ে নেয়, পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতি চেয়ে সেভাবেই ভারতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল। একথা বললেন পেন্টাগনের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন (Michael Rubin)। বর্তমানে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন সিনিয়র ফেলো মাইকেল রুবিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। এটা তারা অস্বীকার করতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক সবদিক থেকেই বিজয়ী হয়েছে।’’ তাঁকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ৭ মে ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে (Operation Sindoor) তিনি কী চোখে দেখেন? তখন পেন্টাগনের প্রাক্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘‘ভারত কূটনৈতিক এবং সামরিক দুই দিক থেকেই জিতেছে এই যুদ্ধ। ভারতের কূটনৈতিক জয় এটা এই কারণেই যে সারা বিশ্বের এখন দৃষ্টি রয়েছে পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা এদিকেই।’’

    পাকিস্তানে জঙ্গি-আইএসআই-সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, মত রুবিনের

    এরপর তিনি (Michael Rubin) এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জঙ্গিদের শেষকৃত্য অংশগ্রহণ করেছে। এখানেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের জঙ্গি, আইএসআই এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। এখন সারা বিশ্ব দাবি জানাচ্ছে, পাকিস্তান যেন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে সন্ত্রাসকে বাদ দেয়। একটা জিনিস আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, তা হল ভারতের সঙ্গে প্রতিটা যুদ্ধ পাকিস্তানই শুরু করে।’’

    পাকিস্তান শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে

    পেন্টাগণের এই প্রাক্তন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান যখন পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে ভারত তা রুখে দেয় এবং প্রত্যাঘাত করে। প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলিকে ভারত অকেজো করে দিতে সক্ষম হয়। এই সময়েই পাকিস্তান একটি ভীত কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য ছুটতে শুরু করে। তার কারণ হল ভারতের এমন প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ করার মত কিছুই ছিল না। তারা কেবল শুধু হেরেছে তা নয়, খুব খারাপ ভাবে হেরেছে (Operation Sindoor)।’’ এখন প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তান কী করবে! তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যেও সমস্যা রয়েছে। বিতর্ক রয়েছে। তাদের সেনা প্রধান আসিফ মুনিরকে নিয়েও সমস্যা কম নয়!’’

    কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস

    অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতিতে (Operation Sindoor) নিজের কৃতিত্ব দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়েই মাইকেল রুবিন বলেন, ‘‘কৃতিত্ব দাবি করার প্রবণতা ট্রাম্পের বরাবরের অভ্যাস। তাঁর কাছে ডানতে চাওয়া হলে, তিনি ইন্টারনেট আবিষ্কারেরও কৃতিত্ব নেবেন। তিনি বলে দিতে পারেন বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনিই। আবার তিনি ক্যান্সার নিরাময় করতেও সক্ষম, এমন দাবিও করে দিতে পারেন।’’ এ নিয়েই প্রাক্তন মার্কিন আমলার বক্তব্য যে, ভারতীয়রা ট্রাম্পকে যেন আক্ষরিক অর্থে কোনও গুরুত্ব না দেয়।

    ভারত-পাক উত্তেজনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে

    একইসঙ্গে রুবিন ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে (Operation Sindoor) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ যাতে না হয়, সেইই কারণে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, ‘‘যখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হল অবাধ যুদ্ধ রোধ করা এবং যেকোনও ধরনের পারমাণবিক যুদ্ধকে আটকানো। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবিষয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ– দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখবে, এটাই স্বাভাবিক।’’

    অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয়

    পহেলগাঁও হামলার জবাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই অভিযানের ফলে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিন (এইচএম) এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ভারতের এমন অভিযানের পরেই পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সেসব কিছুকে প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারত পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিগুলিতে রেডার পরিকাঠামো, বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হয়।

  • Bangladesh: মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘নিঁখোজ’ বাংলাদেশের পাক-হাইকমিশনার

    Bangladesh: মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হতেই ‘নিঁখোজ’ বাংলাদেশের পাক-হাইকমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি এক মহিলার (Bangladesh) সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হল সেদেশে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারের। এতেই লজ্জায় ঢাকা ছাড়লেন পাক হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এমন ঘটনায় মুখ পুড়েছে পাকিস্তানেরও। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিতে এনিয়ে রীতিমতো খবরও প্রকাশিত হয়েছে। কমবেশি সমস্ত সংবাদমাধ্যমই দাবি করেছে, পাক হাইকমিশনারের (Pak High Commissioner) নাকি খোঁজ মিলছে না। সম্প্রীতি এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় তাঁকে। হানি ট্র্যাপের এই ভিডিও ভাইরাল হতেই গা ঢাকা দেন ওই পাক কূটনীতিক। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র (Bangladesh) ‘প্রথম আলো’-তে। প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, ইন্টারনেট মাধ্যমে হানি ট্র্যাপের ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।

    অনেকের মতে ইসলামাবাদে রয়েছেন মারুফ

    এক্ষেত্রে অনেকে মনে করছেন যে তিনি অন্য কোনও দেশে পালিয়ে গিয়েছেন। অন্য সূত্রের খবর, তাঁকে নাকি অবিলম্বে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মারুফ এই কাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরেই পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার পদে নিযুক্ত মহম্মদ আসিফকে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি জানাচ্ছে যে গত ১১ মে মারুফ পালিয়ে যান। অনেকে আবার এটাও মনে করছেন, ঢাকা ছেড়ে তিনি দুবাই হয়ে ইসলামাবাদে গিয়েছেন।

    ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে দায়িত্বে ছিলেন মারুফ (Bangladesh)

    এমন কাণ্ড ঘাটিয়ে মারুফের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে (Pak High Commissioner) বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রককে জানিয়েছে। অন্যদিকে, একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ যে মারুফ দু সপ্তাহের জন্য ছুটিতে থাকবেন। কোনও কোনও রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে তিনি বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। নিজের দেশে ফেরার পরেই তিনি একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে পাকিস্তানের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মারুফকে। বাংলাদেশ (Bangladesh) একাধিক কূটনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন তিনি।

  • Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: মাত্র ২৩ মিনিটেই সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’, কীভাবে চিনা প্রতিরক্ষা ধ্বংস করা হয়, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২৩ মিনিটেই ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) সফল করতে সক্ষম হয়েছে। বুধবারই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবিষয়ে জানিয়েছে। পাকিস্তানের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকেজো করেই এই হামলা চালিয়েছে ভারত। এই ভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সম্পূর্ণ অভিযানে ভারতের কোনও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।

    কী বলা হল প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিবৃতিতে?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে (Operation Sindoor) বলা হয়েছে, ‘‘অপারেশন সিঁদুরে পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুকের মতো যুদ্ধ-প্রমাণিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ব্যাট্‌ল প্রোভেন এডি) ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র। ‘আকাশ’ একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, যা সংবেদনশীল এলাকাগুলিকে আকাশপথে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে। ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থলবাহিনী, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার সম্মিলিত সম্পদের মাধ্যমে গঠিত, যা দেশের আকাশে অভেদ্য দেওয়াল তৈরি করে দিয়েছিল। পাকিস্তান এর ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।’’

    দেশের উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রুখে দেয় পাক হামলার প্রচেষ্টা

    প্রসঙ্গত, ৭ এবং ৮ মে রাতে পাকিস্তান ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র (Operation Sindoor) ব্যবহার করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথলা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, ভাটিন্ডা, চণ্ডীগড়, নাল, ফালোদি, উত্তরলাই এবং ভূজ সহ বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ভারতের (India) উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এগুলিকে অকেজো করে দেয়।

    ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ বা আত্মঘাতী ড্রোন হামলা চালায় ভারত

    ভারত (India) প্রত্যাঘাত চালানোর জন্য নিশানা করে পাকিস্তানের নূর খান এবং রহিমইয়ার খান বায়ুসেনা ঘাঁটিকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Operation Sindoor) জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলিতে হামলার জন্য ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘লয়টারিং মিউনিশনস্‌’ এক ধরনের আত্মঘাতী বা কামিকাজে ড্রোন, যা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছায়। এরপর আকাশে বেশ কিছু ক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। তারপরেই হামলার উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করে এবং আঘাত হানে।

    কোনও হামলাতেই ভারতের কোনও সম্পত্তির ক্ষতি হয়নি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘কোনও হামলাতেই (Operation Sindoor) ভারতের সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। আমাদের প্রযুক্তি, পরিকল্পনা এবং নজরদারির কার্যকারিতা এর থেকেই প্রমাণিত হয়। ভারতের বায়ুসেনা চিনের দেওয়া পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা পাশ কাটিয়েছে এবং অকেজো করে দিয়েছে। সমগ্র মিশন ২৩ মিনিটে সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর থেকে প্রমাণিত হয়।’’

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

    একইসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) পাকিস্তানের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রমাণ সহ তুলে ধরেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পাকিস্তানের হামলার চেষ্টার পরেই ভারতের মাটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চিনে তৈরি পিএল-১৫ মিসাইলের টুকরো। একইসঙ্গে তুরস্কের ইউএভি ‘ইহা’ এবং একাধিক রকেটও উদ্ধার হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে কোয়াডকপ্টার ও ড্রোনেরও। এগুলি পাকিস্তান থেকে ছোড়া হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান যে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাবে তা আগেই আন্দাজ করেছিল ভারতীয় সেনা। সেই অনুযায়ীই বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল সমস্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম। ভারতের সীমান্তের আকাশজুড়ে তৈরি ছিল ‘কাউন্টার আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’, ‘শোল্ডার-ফায়ার্‌ড অস্ত্র, লিগ্যাসি এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র এবং মডার্ন এয়ার ডিফেন্স অস্ত্র। এমন বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।

    সাহায্য করেছে ইসরোর উপগ্রহ

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একথাও নিজেদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরোর ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ অনবরত কাজ করছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে সফল করতে। তাদের সাহায্যেই সমুদ্র ও ভারতের বিস্তীর্ণ উত্তর ভাগে নজরদারি চালানো হয়।

    আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে, পেচোরা, ওএসএ-একে এবং এলএলএডি বন্দুক এর মতো যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর ফলেই ভারত রুখে দেয় পাকিস্তানের বিমান, ড্রোন ও মিসাইল হামলা। আকাশের মতো দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতেই কুপোকাত হয় পাকিস্তানের হামলার প্রচেষ্টা। প্রসঙ্গত, আকাশ হল একটি স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম। বিমান হামলা থেকে স্থানগুলিকে রক্ষা করে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টার মেজারস (ECCM) বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • Daily Horoscope 15 May 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 15 May 2025: গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারেন।

    ২) গর্ভবতী মহিলাদের আজ অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

    ৩) প্রিয়জনদের কাছ থেকে আজ আপনি উপহার পেতে পারেন।

    বৃষ

    ১) সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন আজ।

    ২) প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) প্রিয়জনদের সঙ্গে আজ অবশ্যই কিছুটা সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) সজ্জন ব্যক্তির সান্নিধ্যে সুখ।

    কর্কট

    ১) দূরে ভ্রমণ না করাই ভাল।

    ২) সমাজে মর্যাদা লাভ হতে পারে।

    ৩) কারও চিকিৎসার কাজে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) পরিশ্রম বৃদ্ধিতে শারীরিক অসুস্থতার যোগ।

    ২) মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) পিতার সঙ্গে অর্থ নিয়ে তর্ক।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির যোগ।

    ২) সন্তানদের কাজে সাহায্য করতে হতে পারে।

    ৩) ব্যবসায় নতুন কর্মী নিয়োগ করার আগে ভাল করে নজর দিন।

    তুলা

    ১) বাসস্থান কেনাবেচার পরিকল্পনা এখন বন্ধ রাখুন।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ বাধতে পারে।

    ৩) ছোটখাটো আঘাত লাগতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বুদ্ধির বলে শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।

    ২) বাড়িতে অতিথি সমাগম হতে পারে।

    ৩) দিনের শেষভাগে সম্মানপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ধনু

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়বে।

    ২) কেনাবেচা করার জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) খুব দরকারি কাজ থাকলে দুপুরের পরে করুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সন্তানদের চাকরির খবরে আনন্দ লাভ।

    ৩) আইনজীবীদের সামনে শুভ সময়।

    কুম্ভ

    ১) বন্ধুর সঙ্গে বিবাদ।

    ২) ধর্মালোচনায় সুনাম অর্জন করবেন।

    ৩) বাড়তি উপার্জন হতে পারে।

    মীন

    ১) সঙ্গীতশিল্পীদের শুভ সময়।

    ২) চাকরিতে বদলির সম্ভাবনা।

    ৩) ব্যবসায় জট ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 14 May 2025: ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 May 2025: ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কর্মস্থানে সহকর্মীদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) বাইরের লোকের জন্য দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    Chicken Neck: চিকেন নেক-এর কাছে গ্রেফতার কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি ‘কাশ্মীর’, মাথার দাম ছিল ১০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেন নেকের (Chicken Neck) খুব কাছেই ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল জেল পালানো খালিস্তানি জঙ্গি-নেতাকে। অপারেশন সিঁদুরের আবহেই নিরাপত্তা এজেন্সির জালে ধরা পড়ল কুখ্যাত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর সিং গালওয়াদ্দি ওরফে বলবীর সিং। যার মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুর শুরু হতেই বাড়তি তৎপরতা শুরু হয় উত্তরবঙ্গ করিডরে। নেপাল-পাকিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন অমিত শাহ। গত সপ্তাহেই নেপাল-বিহার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে চার চিনা নাগরিককে গ্রেফতারের করা হয়। এবার গ্রেফতার করা হল এই কুখ্যাত জঙ্গিকে। নেপালে বসেই ভারত-বিরোধী নানা কাজ করত কাশ্মীর, এমনটাই জানা গিয়েছে। এনআইএ-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের লজিস্টিক সাপোর্ট এবং হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করত খালিস্তানি জঙ্গি কাশ্মীর। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে পাঞ্জাবের একটি জেল ভাঙার ঘটনায় অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা কাশ্মীর বব্বর খালসা ইন্টার ন্যাশানাল ও রিন্দা নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাসীরা নেপাল সীমান্ত ব্যবহার করেই বারবার কেন ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে! এটাই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

    কেন অনুপ্রবেশের জন্য উত্তর-পূর্ব করিডর (Chicken Neck) বেছে নিচ্ছে জঙ্গিরা

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, বাংলা ও বিহারের বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে রয়েছে নেপাল সীমান্ত। সহজেই নেপালে আশ্রয় নিয়ে থাকা যায় এবং প্রয়োজনে বাংলা ও বিহারে আসা যায়। এই জায়গাটাই কাজে লাগাতে চায় সন্ত্রাসীরা। সেই উত্তর-পূর্বের এই এলাকাকে (Chicken Neck) বেছে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে চিন-পাক যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার প্রেস ব্রিফিংয়েও ভারতের ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেছেন, “অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এই অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে জঙ্গিকার্যকলাপে নিযুক্ত হয়। আমাদের কাছে এমনও তথ্য রয়েছে যে, সেটা পাকিস্তানি সেনাও হতে পারে, যারা আমাদের পোস্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।” ভারতের ডিজিএমও-র এমন মন্তব্যের ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কুখ্যাত জঙ্গি গ্রেফতার হল চিকেন নেকের (Chicken Neck) কাছ থেকে।

    ২০১৬ সালে জেল ভেঙে পালায় কাশ্মীর

    পাঞ্জাবের পাতিয়ালার নাভাতে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর কার্যত তাণ্ডব চালায় খালিস্তানপন্থীরা। ওই দিন সকাল ৯ টা নাগাদ ২৪ জন সশস্ত্র জঙ্গি পাতিয়ালার উচ্চ নিরাপত্তা সম্পন্ন নাভা জেলে হামলা করে। এরপর গার্ডদের থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। সেদিন মোট ৬ কুখ্যাত অপারেটিভ, গ্যাংস্টারকে জেল থেকে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, যে ৬ জন সেদিন জেল ভেঙে পালিয়েছিল তারমধ্যে ছিল কুখ্যাত খলিস্তানি কাশ্মীর সিংও। ঘটনার সাড়ে ৮ বছর পরে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হল।

    খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য কাশ্মীর সিং

    জানা গিয়েছে, খালিস্তানি লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম সক্রিয় সদস্য হল এই কাশ্মীর সিং। তাকে গত ৮ বছর ধরে খুঁজে চলেছিল ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি। পাঞ্জাব সহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জঙ্গি সংক্রান্ত ঘটনায় রয়েছে এই খলিস্তানির যোগ মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। বহুদিন ধরেই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কাছে সে ছিল ওয়ান্টেড। উল্লেখ্য, গ্রেফতার করার পরে ফের তাকে নাভা জেলেই আনা হচ্ছে বলে খবর।

    নেপালে সক্রিয় বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল গ্যাং

    ২০১৬ সালে নাভা জেল ভাঙা কাণ্ডে মোট ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কোর্ট। এদের মধ্যে ২ জন ছিল অফিসার পদ মর্যাদার। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল রমনজিৎ সিং রোমিকে। কুখ্যাত রোমিকে ২০২৪ সালে হংকং থেকে প্রত্যর্পণ করা হয় । তাকেও নাভা জেলে রাখা হয়েছে। তবে প্রথমে তাকে অমৃতসরের জেলে রাখা হয়। এর মাঝেই ২০২৫ সালে এল কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতারির খবর। নাভার পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মনদীপ কৌর কাশ্মীরের গ্রেফতারির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা যাচ্ছে, জেল ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার (Khalistani Militant) পরেই বহু খলিস্তানি নেতার সঙ্গে সংযোগ করতে থাকে কাশ্মীর। তাদের মধ্যে অন্যতম হল বিদেশে থাকা বব্বর খালসা নেতা হরবিন্দর সিং সান্ধু ওরফে রিন্দা। এক্ষেত্রে বলা দরকার, বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল শিবিরের রিন্দা গ্যাং খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতা চালিয়ে থাকে।

    খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং

    এই গ্যাং বর্তমানে নেপালে খুবই সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে। এরকম গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীর সিংয়ের গ্রেফতার হল। অপারেশন সিঁদুরের আবহে এই ঘটনা এনআইএর কাছে বড় সাফল্য। খালিস্তানি জঙ্গিদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থার দায়িত্বে ছিল এই কাশ্মীর সিং। এমন খবর গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছিলেন বলে খবর। পাঞ্জাবের গোয়েন্দা হেডকোয়ার্টারে হামলার ঘটনাতেও উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। এছাড়া ভারত বিরোধী নানা কাজে উঠে আসে কাশ্মীরের নাম। ২০২২ সালে খলিস্তানি জঙ্গি নাশকতার ষড়যন্ত্রেও উঠে আসে তার নাম (Khalistani Militant)। এবার ফের তাকে ফিরতে হচ্ছে নাভা জেলে।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের আবহেই শোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ সেনার, খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরের আবহেই শোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ সেনার, খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) থেকে সন্ত্রাসকে নির্মূল করত ফের বড়সড় অভিযান চালাল সেনা। অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) আবহে মঙ্গলবারই সোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লার’ চালিয়ে ৩ জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তাবাহিনী। এরা প্রত্যেকেই লস্কর জঙ্গি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

    সোপিয়ানের জিনপাথের জঙ্গলে শুরু হয় গুলির লড়াই

    প্রসঙ্গত,পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই অ্যাকশন মোডে (Operation Sindoor) নামে ভারত সরকার। উপত্যকাজুড়ে লাগাতার অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গির বাড়ি। সন্ত্রাসযোগের অভিযোগে শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। এর পাশাপাশি খতম করা হয় একাধিক জঙ্গিকে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সোপিয়ানের জিনপাথের কেল্লের জঙ্গলঘেরা এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির গোপন খবর পায় সেনা। এরপরেই শুরু হয় অভিযান। যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন কেল্লার’। গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। এই অবস্থায় পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গে পালটা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে দুপক্ষের গুলির লড়াই। এরপরেই খবর আসে ৩ জঙ্গি নিহত হওয়ার।

    জঙ্গিদের পরিচয় জানাল সরকার

    সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃত এক জঙ্গির নাম শাহিদ কুট্টে। মহম্মদ ইউসুফ কুট্টের ছেলে। সোপিয়ানের ছোটিপোড়া হিরাপোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল। ২০২৩ সালের ৮ মার্চ সে লস্কর-ই-তৈবাতে যোগ দিয়েছিল। ২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল ড্যানিস রিসর্টে গুলি চালানোর ঘটনার যুক্ত ছিল সে। সেদিন দুজন জার্মান পর্যটককে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। এক চালক আহত হয়েছিলেন। সোপিয়ানের হিরাপোরাতে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করার ঘটনাতেও যুক্ত ছিল সে। ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুলগামে গুলি চালানোর ঘটনায় সে যুক্ত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

    দ্বিতীয় জঙ্গিকেও শনাক্ত করা গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যটকের নাম আদনান শাফি দার। সে মহম্মদ শাফি দারের ছেলে। তারও বাড়ি সোপিয়ানে। সোপিয়ানের ওয়ানদুনা মেলহোরা এলাকার বাসিন্দা ছিল সে। সে লস্করে যোগ দিয়েছিল ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর। ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর সোপিয়ানে স্থানীয় নয় এমন কয়েকজন শ্রমিকের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও এই জঙ্গি জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তৃতীয় জঙ্গির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এই বর্বর হামলা অপারেট করা করা পাকিস্তানে বসেই। বেছে বেছে হিন্দুদের ধর্মীয় পরিচয় দেখে হত্যা করা হয় ২৫ পর্যটককে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক কাশ্মীরি যুবক (Jammu and Kashmir)। এমন হামলার পরে গত ৭ মে পাকিস্তানে জঙ্গিদের আঁতুড়ঘরে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় শতাধিক জঙ্গির। তবে সন্ত্রাসের বুকে আঘাত হানতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সন্ত্রাসের মদতদাতারা। ভারতের ওপর পালটা হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। তবে তা রুখে দেয় ভারতের উন্নত মানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাকিস্তানের ওপর কড়া প্রত্যাঘাত করে ভারত। পাকিস্তানের বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ অন্তত ১১টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতের সেনা। এরপরেই পাকিস্তানের তরফে আসে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব। এরপর ভারত সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি।

    মোদির কড়া বার্তা (Operation Sindoor)

    সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সন্ত্রাস নির্মূল করতে কড়া বার্তা দেন তিনি। তারপরে মঙ্গলবারই জঙ্গি দমনে সেনার সাফল্য সামনে এল। সোমবার মোদি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয়, তাহলে ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি সহ্য করবে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে যদি বাঁচতে হয় ওদের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মূল করতে হবে। ‘টেরর’ ও ‘টক’ (সন্ত্রাস ও আলোচনা) এক সঙ্গে চলতে পারে না। জল এবং রক্ত একই সঙ্গে বইতে পারে না।” অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্টেট স্পনসর্ড টেররিজমের বড় উদাহরণ হল পহেলগাঁওকাণ্ড। প্রতিটি যুদ্ধের ময়দানে আমরা পাকিস্তানকে পর্যুদস্ত করেছি। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ও আমরা সেই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছি। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ হাতিয়ার তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।”

    পহেলগাঁও হত্যালীলায় জড়িত জঙ্গিদের ছবি-সহ পোস্টার সাঁটানো হয়েছে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের খোঁজও জারি রয়েছে। চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা। এই আবহে মঙ্গলবারই সামনে এসেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশিত একটি ভিডিও। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলওয়ামা জেলার বিভিন্ন জায়গায় মঙ্গলবার সকালে পহেলগাঁও হত্যালীলায় জড়িত জঙ্গিদের ছবি-সহ পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পহেলগাঁওকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের কোনও খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, তিন পাক জঙ্গির স্কেচ আগেই প্রকাশ করেছিল পুলিশ। এ বার তাদের ছবি ছাপিয়ে পোস্টার পড়ল কাশ্মীরে। পহেলগাঁও হামলার পরে তিন জন পাকিস্তানি জঙ্গিকে চিহ্নিত করে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। জানা যায়, এদের এক জন স্থানীয় জঙ্গিকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। জঙ্গিদের খুঁজতে পুলিশ, সেনার পাশাপাশি এই হামলার তদন্ত চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও। জঙ্গিদের সহযোগিতা করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে একশোরও বেশি স্থানীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত তাঁরা জঙ্গিদের ‘ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ হিসেবে কাজ করত।

  • Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে থাকা জঙ্গি-নেতা হাফিজ রউফকে ‘সাধারণ মানুষ’ বলে দাবি পাকিস্তানের

    Operation Sindoor: সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে থাকা জঙ্গি-নেতা হাফিজ রউফকে ‘সাধারণ মানুষ’ বলে দাবি পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) খতম হওয়া জঙ্গিদের শহিদের মর্যাদা দেয় পাকিস্তান সেনা। আমেরিকা ঘোষিত জঙ্গি তালিকায় নাম থাকা হাফিজ আব্দুর রউফের (Hafiz Abdur Rauf) সঙ্গে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেখা যায় পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সেনা কর্তাদের। এই ঘটনায় ফের একবার প্রমাণিত হয় পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতেই চলে সন্ত্রাসবাদ। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সেই ছবি। এরপরই পাকিস্তানের সেনা দাবি করে যে সে (হাফিজ আব্দুর রউফ) নাকি একজন সাধারণ মানুষ। একজন নাগরিক হিসেবেই নাকি সে হাজির ছিল (Operation Sindoor)  শেষকৃত্যে। পাকিস্তানি সেনার ডিরেক্টর জেনারেল অফ ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) লেফট্যানেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী মানতেই চাননি হাফিজ একজন সন্ত্রাসবাদী তিনি হাফিজ রউফকে একজন নিরীহ সাধারণ মানুষ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।

    বর্তমানে ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশনের প্রধান হাফিজ

    সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের সেনা দাবি করে আব্দুর রউফ যে কিনা হাজির রয়েছে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে। সে একজন সাধারণ মানুষ। তার রয়েছে তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। সেনা আরও জানায়, হাফিজ আব্দুর ১৯৭৩ সালে মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করে। এরপরই ভারত এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় এবং উল্লেখ করে যে পাকিস্তানের সেনা এবং জঙ্গিরা একে অপরের পরিপূরক। পাকিস্তানি সেনা হাফিজ আব্দুর রউফের (Hafiz Abdur Rauf) যে বিবরণ দিচ্ছে সে ১৯৯৯ সাল থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের নেতা। এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসীদের তালিকাতেও তার নাম রয়েছে। জানা যাচ্ছে, রউফ বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াত ফাউন্ডেশন (এফআইএফ) এর প্রধান।

    জঙ্গি নেতার ঠিকানাও সামনে এসেছে (Operation Sindoor)

    এই জঙ্গি নেতার সম্পর্কে অনেক তথ্যও সামনে এসেছে। তার দুটি ঠিকানাও সামনে আনা হয়েছে। একটি ঠিকানা হল, ৪ লেক রোড; বাড়ি নং ৭, চোবুরজি দোলা খুর্দ; ১২৯ জিন্না ব্লক; ৫-চেম্বারলেইন রোড। এটি অবস্থিত পাকিস্তানের লাহোরে। অন্যদিকে আওয়ান টাউন, মুলতান রোড, স্ট্রিট নং ৩, খানেওয়াল জেলাতেও তার বাড়ি রয়েছে। পাকিস্তানের ভোটার তালিকায় তার ভোটার নং সামনে এসেছে। এটি হল NIC 277-93-113495.

  • India Pakistan War: ভারতের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানের ছোড়া চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোন, ধ্বংসাবশেষ দেখাল সেনা

    India Pakistan War: ভারতের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানের ছোড়া চিনা ক্ষেপণাস্ত্র ও তুরস্কের ড্রোন, ধ্বংসাবশেষ দেখাল সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক বিমানবাহিনীর ব্যবহার করা চিনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র পিএল-১৫ ধ্বংস করেছে ভারত (India Pakistan War)। একইসঙ্গে তুরস্কের তৈরি বয়কর ইহ-৩ কামিকাজে (আত্মঘাতী) এবং Songar ড্রোনও ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। সোমবারই সাংবাদিক বৈঠকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ধ্বংসাবশেষ দেখায় ভারতীয় সেনা। জানা যাচ্ছে, বেজিঙের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার। তবে পাকিস্তানকে বিক্রি করা চিনের তৈরি পিএল-১৫ গুলি সর্বোচ্চ ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ছিল (Indian Army)। কিন্তু তা মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে। অনেকেই তাই মজার ছলে বলছেন, ‘চায়নার জিনিসের সত্যিই গ্যারান্টি নেই’! অন্যদিকে, সোনগার ড্রোনের বিশেষত্ব হল, এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় মেশিনগান, ছোট-ক্ষেপণাস্ত্র বা ৮১ মিলিমিটারের মর্টার রাউন্ড। যা পছন্দমতো সাজিয়ে নেওয়া যায়। যা সাধারণ মানুষ, যানবাহনের পাশাপাশি ছোট জায়গায় হামলা চালাতে অত্যন্ত দক্ষ। তবে, ভারত সহজেই এগুলিকে ভূপতিত করে।

    উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (India Pakistan War)

    প্রসঙ্গত ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন শাখার প্রধান টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করেন সোমবারই (India Pakistan War)। সেখানেই ভারতের অপারেশনের সাফল্যগাথা তুলে ধরেন তাঁরা। এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী উল্লেখ করেন যে, দেশের আকাশসীমা প্রতিরক্ষা ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী। যে কোনও ধরনের হামলা রুখতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এমন সাফল্যের জন্য তিনি সাম্প্রতিক বাজেটে বরাদ্দ এবং সরকারের নীতিগত সহায়তাগুলিকেও উল্লেখ করেন (Indian Army)।

    কী বললেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই?

    ওই সাংবাদিক বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেন যে, ‘‘নিরীহ নাগরিকদের ওপর হামলায় পাকিস্তানের পাপের ঘড়াকে পূর্ণ করেছিল। বোঝা গিয়েছিল নৃশংসতার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়েছে (India Pakistan War)। তাই এর পাল্টা প্রত্যাঘাত প্রয়োজন ছিল।’’ অন্যদিকে, নৌবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস এডমিরাল এ এন প্রমোদ বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমাদের সমন্বয়। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। ধর্ম বেছে বেছে হত্যা করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এরপরেই গত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর প্রয়োগ করে ভারত।

LinkedIn
Share