Author: subhra-katwa

  • Google Play Store: জাতীয় সুরক্ষায় গুগল প্লে স্টোরের ১১৯ অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    Google Play Store: জাতীয় সুরক্ষায় গুগল প্লে স্টোরের ১১৯ অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে বহু অ্যাপকে নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র সরকার।আজ বৃহস্পতিবারই এক নির্দেশিকা জারি করে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে ১১৯টি অ্যাপকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভিডিও অথবা ভয়েস চ্যাটিং অ্যাপ বলে জানা গিয়েছে। খবর মিলেছে, এই অ্যাপগুলির সঙ্গে চিন ও হংকং যোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

    তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারায় নির্দেশিকা

    তবে চিন ও হংকং ছাড়া সিঙ্গাপুর, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ারও অ্যাপ (Google Play Store) রয়েছে ওই তালিকায়, এমনটাই জানা গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯(এ) ধারায় এই নির্দেশিকা জারি করেছে। মূলত দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস না করতে এবং ওই অ্যাপগুলির কন্টেন্টের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার (Indian Govt)। এর আগে ২০২০ সালেই চিনা অ্যাপ টিকটক ও শেয়ার ইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। করোনাকালে ২০২০ সালের ২০ জুন প্রায় ১০০টি চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার।

    কোন কোন অ্যাপ (Google Play Store)?

    অ্যাপগুলির (Google Play Store) মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুরের ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপ চিলচ্যাট, এছাড়াও সেখানে রয়েছে ম্যাঙ্গোস্টার টিমের তৈরি গেমিং প্ল্যাটফর্ম। গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রায় ১ মিলিয়ন অর্থাৎ দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ তা ডাউনলোড করেছিলেন বলে জানা যায়। গুগল প্লে স্টোরে ৪.১ রেটিংও রয়েছে ওই অ্যাপগুলির। চিনের তৈরি চাংঅ্যাপও রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার তৈরি হানিক্যাম অ্যাপও রয়েছে নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিন ও ভারতের কূটনৈতিক বিবাদের কারণে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে টিকটক। মূলত, জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি বিধিগুলির কারণে দেশে এই অ্যাপগুলি ব্লক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছে যে, এই নিষিদ্ধকরণ প্রক্রিয়া আগামীদিনেও জারি থাকবে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পুরীর মতো দিঘার মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘পুরীর মতো দিঘার মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই নাকি তৈরি হচ্ছে দিঘার মন্দির! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমাজ মাধ্যমে দাবি করেন, বুকের পাটা থাকলে পুরীর মতো দিঘার মন্দিরেও (Digha Jagannath Temple) অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক্স মাধ্যমে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, গতকাল বিধানসভায় আপনি দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ও আমার বুকের পাটা সংক্রান্ত মন্তব্য করার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। যেহেতু আপনি দাবি করছেন যে, সনাতন ধর্মের অন্যতম পীঠস্থান পুরীর জগন্নাথ ধামের অনুকরণ করে মন্দির নির্মাণ করছেন, দিঘায় তীর্থক্ষেত্র স্থাপন করার উদ্দেশ্যে, তাই আমি আপনাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, যদি আপনার বুকের পাটা রয়েছে, তাহলে আজই নির্দেশ দিন যে, সরকারি অর্থ ব্যয় করে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত সরকারি নথিতে জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা বদলে শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির করে দেওয়া হোক।’’

    বন্ধ হোক অহিন্দুদের প্রবেশ

    একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ করার বিষয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘‘পুরীর শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু ব্যতীত আর কোনও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষজনের প্রবেশাধিকার নেই। মন্দিরের সিংহদ্বারের কাছে পাথরের ফলকে পাঁচটি ভাষায় (হিন্দি, ওড়িয়া, বাংলা, ইংরেজি এবং উর্দু) স্পষ্ট ভাবে প্রবেশ সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী লেখা রয়েছে। আপনিও নির্দেশ দিন উৎকলের শ্রীক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ ধামের মতোই দিঘাতেও মন্দিরের প্রধান দ্বারের পাশে ফলক লাগানো থাকবে যে হিন্দু ব্যতীত অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী মানুষজনের প্রবেশাধিকার নিষেধ।’’

    মমতাকে হারের খোঁচা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    এর পাশপাশি, নন্দীগ্রামে ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর খোঁচা ফের একবার দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি আমার বুকের পাটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাই আপনার জ্ঞাতার্থে আর একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি যখন ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছিলেন, তখন বুকের পাটা ছিল বলেই ১৯৫৬ ভোটে আপনাকে হারিয়েছিলাম।’’

  • Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মমতার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগীর মতে, সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে অ্যাখ্যা দেন মমতা। এরপরই বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার প্রবল ঝড়। রাস্তায় নামে বিজেপি। এরপরেই গতকাল বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পাল্টা জবাব দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) অপমান তৃণমূলের

    মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন আলোচনা করছি, তখন কুম্ভে (Mahakumbh) ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। ভারতের আস্থা বা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করছেন, মিথ্যা ভিডিও দেখাচ্ছেন, তারা ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এই ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা যদি অপরাধ হয়, তবে সরকার এই অপরাধ করবে।’’

    মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘সরকার এঁদের পাশে রয়েছে। যথা সম্ভব সাহায্য করব আমরা। কিন্তু এটা নিয়ে কী রাজনীতি করা উচিত?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বিজেপি সরকারের সৌভাগ্য যে মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে, আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। আমরা নিজেদের দায়িত্ব জানি। গোটা দেশ ও বিশ্ব মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছে। এই সব মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না।’’

    ষড়যন্ত্র চলছে কুম্ভকে বদনাম করতে

    বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘এরা প্রথম দিন থেকেই কুম্ভের বিরোধিতা করছে। কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে। ওদের ভাষা সভ্য সমাজের ভাষা নয়। অনর্গল মিথ্যা প্রলাপ মানুষের আস্থার উপর আঘাত করছে। মানুষ ওদের অপপ্রচার মানছে না। কুম্ভের প্রচার করা অন্যায় নাকি!উত্তর প্রদেশ নিয়ে এখন মানুষের ধারণা বদলেছে। এরা আকবরের কেল্লার কথা জানে না। অক্ষয় বটের কথা জানত না। রেলের কাজ যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।’’

    সনাতন ধর্মের অপমান মমতার স্বভাব তোপ শিবরাজের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকুম্ভ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের অপমান করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতি আজকের নয়। হাজারো বছর ধরে গঙ্গার জলের মতো ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবাহিত হয়ে আসছে। যাঁরা সনাতন ধর্মের দিকে আঙুল তোলেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের লোকসান করছেন। মানুষের আস্থা-ভরসা-ভাবনার উপর আঘাত করা অপরাধ সমান।’’

  • Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, শুভেন্দুদের সাসপেন্ড ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে প্রতিবাদ জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠি দিলেন রাজ্যপালকে। এই চিঠিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সারা ভারত এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ হিন্দুর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতো প্রশাসনিক আসনে আসীন কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অনভিপ্রেত।’’ একইসঙ্গে শুভেন্দু সহ চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য আরেকটি চিঠি লিখেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দলের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু, এটা উদ্বেগের যে যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন, তাঁদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।’’

    সাসপেন্ড প্রত্যাহারের আবেদন

    শুভেন্দুদের ওপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে সুকান্ত লেখেন, ‘‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা-সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

    মহাকুম্ভ মেলা হিন্দুদের পবিত্র জমায়েত (Sukanta Majumdar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্ত তাঁর পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ মেলা হিন্দু ঐতিহ্যের অন্যতম পবিত্র জমায়েত। যা আস্থা, উৎসর্গ এবং আধ্যাত্মিক উন্মেষের প্রতীক। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এই আয়োজনকে মৃত্যুকুম্ভ বলার অর্থ হল, তা আসলে সেই কোটি কোটি ভক্তের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, যাঁরা মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করেছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আশঙ্কা, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ‘শুধুমাত্র ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনই নয়, সেইসঙ্গে এর ফলে সমাজে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিভাজনও সৃষ্টি হবে।’’

    রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

    নিজের চিঠিতে সব শেষে এই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি বোসের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) । তিনি এও আবেদন জানিয়েছেন, বিধানসভার রেকর্ড থেকে যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার অংশটুকু বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাঁর এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন, রাজ্যপালকে সেই বিষয়টিও দেখতে আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত।

  • Daily Horoscope 20 February 2025: পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 February 2025: পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য।

    ২) বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট ভোগ।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Daily Horoscope 19 February 2025: বাড়িতে কোনও শুভ কাজ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 19 February 2025: বাড়িতে কোনও শুভ কাজ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) পড়াশোনার জন্য দূরে ভ্রমণ।

    ২) যে কোনও দিক থেকে আয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) ভালো কাজে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হবে।

    ২) কর্মস্থানে দক্ষতার জন্য সুনাম পাবেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) বাড়িতে কোনও শুভ কাজ হতে পারে।

    ২) পড়ে থাকা কাজ সেরে ফেলুন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আপনার হাতের কাজের জন্য সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) বাড়ির কাছে ভ্রমণের ব্যাপারে আলোচনা।

    ২) মানসিক কষ্ট থাকবে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে।

    ২) বিবাহ নিয়ে অশান্তি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) সামাজিক কাজে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) মধুর বক্তব্যের দ্বারা শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবেন।

    ২) দাম্পত্য কলহের অবসান।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) কর্মস্থানে গুপ্তশত্রু হতে পারে।

    ২) আপনার আচরণে পরিবারের কেউ আঘাত পেতে পারেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) সংসারে মনঃকষ্ট।

    ২) বাক্‌পটুতায় শত্রুর মন জয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) কাউকে অতিরিক্ত বিশ্বাসের খেসারত দিতে হতে পারে।

    ২) মামলা-মোকদ্দমায় হঠাৎ ফেঁসে যেতে পারেন।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) প্রতিবেশীদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয়।

    ২) নামী কারও সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Whatsapp New Feature: এবার হোয়াটসঅ্যাপেই খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকের লিঙ্ক! কীভাবে?

    Whatsapp New Feature: এবার হোয়াটসঅ্যাপেই খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম-ফেসবুকের লিঙ্ক! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোয়াট্সঅ্যাপের (Whatsapp New Feature) সঙ্গে এবার যুক্ত হল ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক। এ বার একই হোয়াট্‌সঅ্যাপ প্রোফাইল থেকে খোলা যাবে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের লিঙ্ক। একইসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া স্ট্যাটাস চাইলে যে কেউ নিজেদের ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও সরাসরি পোস্ট করতে পারবে। মেটার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) বিটা সংস্করণেই আপাতত এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে, শীঘ্রই জনসাধারণের জন্যেও খুলে দেওয়া হবে এই পরিষেবা।

    হোয়াটসঅ্যাপের অ্যাকাউন্ট সেটিংস অপশন থেকে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামের লিঙ্ক যোগ করা যাবে

    হোয়াটসঅ্যাপবিটাইনফো (ডব্লিউএবিটাইনফো)-র সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের (Whatsapp New Feature) প্রোফাইলে গিয়ে অ্যাকাউন্ট সেটিংস অপশন থেকে ইনস্টাগ্রামের লিঙ্ক যোগ করা যাবে। এর পাশাপাশি, বিটার সবচেয়ে আপডেটেড সংস্করণ থেকে ফেসবুক ও থ্রেডের লিঙ্কও খোলা যাবে। তবে সবার জন্য মিলবে না এমন সুবিধা। এর জন্য বিটার নতুন সংস্করণকে আপডেট করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা তাদের স্ট্যাটাস ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকেও শেয়ার করতে পারবেন। চাইলে যেকোনও কাউকে ট্যাগও করতে পারবেন বলে জানিয়েছে মেটা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এরফলে নিজেদের প্রোফাইলে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের লিঙ্কও শেয়ার করতে পারবেন। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রোফাইলে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক পোস্টের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর নাম, পরিচয় গোপন রাখার ব্যবস্থাও করেছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp New Feature)।

    একের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে (Whatsapp New Feature)

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপের আইওএস ভার্সনে আসতে চলেছে নতুন ফিচারের সাপোর্ট। জানা গিয়েছে, আইফোন ইউজাররা একটি আইফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সুবিধা পাবেন। সুইচ অ্যাকাউন্ট অপশনের মধ্যমে একের বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রাখা যাবে। তবে কবে এই ফিচার সমস্ত আইওএস ইউজারদের জন্য চালু হবে তা এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, অনেক ব্যবহারকারী কাজের জন্য কর্মক্ষেত্রে একটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য থাকে আরেকটি নম্বর। নতুন ফিচার চালু হলে আইফোন ব্যবহারকারীরা একটি ফোনেই দুটো হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp New Feature) অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারবেন, দুটো আলাদা নম্বর থেকে। একটি পেশাদার কাজে, অন্যটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে দুটো আলাদা ডিভাইসের অর্থাৎ ফোনে প্রয়োজন হবে না।

  • Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে (Mahakumbh) ভক্ত সংখ্যা ৫৩ কোটি ছাড়িয়েছে, সোমবারই একথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রসঙ্গত ১৩ জানুয়ারি যে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিদিনই কোটি কোটি মানুষ পবিত্র স্নান সারছেন গঙ্গা-যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে। পরিসংখ্যান বলছে, গত রবিবারই মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ১.৩৬ কোটি ভক্ত। শুধুমাত্র ভারত নয়, বিদেশ থেকেও বিপুলসংখ্যক ভক্তরা (Mahakumbh) আসছেন।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’

    মহাকুম্ভে স্নান সারছেন শিখরাও

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বড় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি সেরেছেন পবিত্র স্নান। মহাকুম্ভে শিখ সম্প্রদায় মানুষদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাঁরাও সেখানে হাজির হয়েছেন পুণ্য অর্জনের আশায়। প্রচুর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁরা পবিত্র স্নান সারছেন। গত ২৯ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই সময় মৌনী অমাবস্যায় কোটি কোটি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন প্রয়াগ্ররাজে। সেদিনই পবিত্র স্নান সারে দমদামি তাকশাল নামের একটি শিখ সংগঠনের প্রধান হরনাম সিং ধুমমা। এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শিখ সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা এবং উদাসীন ও নির্মল আখড়া কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছে।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়করা নাকি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। এই অভিযোগে গত সোমবারই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৪ জন বিধায়ককে। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভার বাইরে ধর্না করবেন তাঁরা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অতীত মনে করালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ২০০৬ সালে মমতার নেতৃত্বে বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাও মনে করান শুভেন্দু।

    বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বিধানসভাকে একসময়ে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনিই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার সদস্য না হয়েও এখানে ঢুকে সব আসবাব ভেঙেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারকে কাগজ আর চাদর ছুড়ে মেরেছিলেন। আর আজ এই মুখ্যমন্ত্রীই বিধানসভা থেকে লাইভ করছেন। এদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাই নেই।’’ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) খোঁচা, ‘‘সরকার যেমন চালান, দল যেমন চালান, পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে এই বিধানসভাকেও নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।’’ সাসপেনশন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা হচ্ছে তৃণমূলের এক ধরনের নিত্যকর্ম। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে এবং ইচ্ছে করে তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছে।’’

    গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পাঠাগার কমিটি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি, শ্মশান কমিটি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাই।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমনিতেই শেষ করে দিয়েছেন মমতা। এখন শুধু নিজের রাজত্ব কায়েম করার ইচ্ছে রয়েছে মমতার।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত।

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে কী বললেন?

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই নিয়ে পাঁচবার আমাকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠানো হলো। ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। ওরা হিন্দু দেবদেবীর সম্মান, হিন্দুদের আওয়াজে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল রাজনৈতিক দল নয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আতঙ্ক থেকে সম্প্রীতির কথা বলেছে। সরস্বতী পুজোর জন্য কেন হাইকোর্টে যেতে হবে? কেন মূর্তি ভাঙা হবে?’’

  • Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব। সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় একটি উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। এরপরেই বন্ধ করা হয় ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানটি ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৌলবাদীদের বাধার মুখে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সবরকম প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে মৌলবাদীদের বাধার মুখে আয়োজকরা এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    মৌলবাদীদের বাধার মুখে উৎসব (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে (Bangladesh) পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একসঙ্গেই পালিত হয়। তবে ইউনূস জমানায় এই দুই উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ওই এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে মৌলবাদীরা বাধা দিলেও মোকাবিলার ক্ষেত্রে ইউনূস সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই দেখা যায়নি। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, তৌহিদী জনতা নামে একটি মৌলবাদী সংগঠন এগুলো করছে। এর পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে হেফাজতে ইসলাম নামের অন্য একটি সংগঠনের বিরুদ্ধেও।

    মহিলা সমিতির নাট্য উৎসব বাতিল

    গত শনিবারই ঠিক বিকাল ৫টা নাগাদ ঢাকার (Dhaka) মহিলা সমিতির উদ্যোগে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’-এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্য উৎসব চলার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক এক দিন আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে কিছু মৌলবাদী লোক এসে হামলা করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাই সবরকমের প্রস্তুতি থাকার পরও তা কার্যকর করা যায়নি। আন্তজার্তিক সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজকরা।

    কী বললেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক (Bangladesh)

    অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান জানিয়েছেন, গত দুই মাস ধরে ৮৫টি নাট্যদলের কর্মীরা এই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন যখন প্রায় সম্পন্ন, তখনই ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির কর্মীদের কাছে রমনা থানা থেকে ফোন আসে এবং এই উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরে মহিলা সমিতির সদস্যরা থানার ওসির সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে থানায় একটি আবেদনপত্র জমা দেন। তবে এর কোনও সুরাহা হয়নি।

    মৌলবাদীদের নির্দেশে চলছে পুলিশ

    থানার পুলিশ কর্তার সঙ্গে দেখা করার পরে উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওসি সাহেব সব শুনে আশ্বস্ত করেন। বলেন, আমরা চাই উৎসবগুলো হোক। কিন্তু একটু অসুবিধা আছে, একটা নাটক বাদ দিতে হবে।’’ এরপরেই কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘থানার ওই কর্মকর্তা ‘পায়ের আওয়াজ পায়’ নামের নাটকটি বন্ধের কথা বলেছিলেন। উনি কেন এখানে ওই নাটক বাদ দিয়ে বাকিগুলো করতে বললেন, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। কিন্তু মনে হল, উনি কোথাও থেকে কোনও নির্দেশনা পেয়ে এরকম একটি মন্তব্য করছেন।’’

    নিরাপত্তার কথা ভেবে বাতিল উৎসব

    কামাল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘সবগুলো দল মিলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু একটি দলকে বাদ দিয়ে বাকিরা অংশগ্রহণ করবে এটা হতে পারে না।’’ উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘তাঁদের টিম রমনা থানা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকজনের একটি ‘মব’ থানায় ঢুকে এবং ধমক-টমক দিয়ে গালাগালসহ মহিলা সমিতির কর্মকর্তাকে উৎসব বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সমিতি ভয় পেয়ে যায়। তাই তাঁরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই অনুষ্ঠান বাতিল করেন।’’

    পুলিশের বিবৃতি

    গত শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে তারা আবার ওই নাটক বন্ধ নিয়ে পুলিশের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে। বিবৃতিতে তারা বলে, ‘‘ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত নাট্যোৎসব বন্ধ করা বা স্থগিত করা সম্পর্কে কোনও নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। যেকোনও ধরনের সৃজনশীল ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ডকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করে থাকি। কী কারনে আলোচ্য নাট্যোৎসব স্থগিত হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। উক্ত নাট্যোৎসব ঘিরে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’’

    চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে বাতিল আবৃত্তি সংগঠনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, শনিবার চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে একটি আবৃত্তি সংগঠন প্রমার উদ্যোগে বসন্ত উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এই মাঠের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। প্রথমে অনুমতি দিলেও পরে তা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিআরবিতে সারাদিনের অনুমতি ছিল তাদের। শনিবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সকালের অধিবেশন হয়। দুপুরের বিরতির পর পরবর্তী অধিবেশন তিনটায় শুরু করার কথা ছিল। এমন সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কল করে আয়োজকদের বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে পারব না।’’ অনুমতি বন্ধের কোনও কারণ অবশ্য জানাতে পারেননি বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ।

    উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ

    একের পর এক এভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন সেদেশের নাগরিকরাও। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই উৎসব বন্ধের খবরগুলি শেয়ার করে সরকারের সমালোচনাও করেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (Bangladesh) জোবাইদা নাসরীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। ধারাবাহিক ঘটনা।’’ নাগরিক সমাজের একাংশের মতে, ‘‘যা ঘটছে, তা অপরিকল্পিত বা অরাজনৈতিক না। একটি বিশেষ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এগুলো করছে। অথচ কারা করছে, কী প্রক্রিয়ায় করছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনও বক্তব্য এবং পদক্ষেপ নেই।’’ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মতে, ‘‘ইউনূস সরকারের কোনওরকম বক্তব্য যে নেই, এটিও রাজনীতির-ই অংশ। সরকার কোনও জায়গায় কথা বলছে, কোন জায়গায় কথা বলছে না। সরকার কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মৌলবাদীদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও আস্কারা রয়েছে। এমন ধরনের হুমকি, অনুষ্ঠান বন্ধ, এগুলো অন্তত তিন মাস ধরে চলছে।’’ নাগিক সমাজের একাংশের মতে, এইসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত।

LinkedIn
Share