Author: Susanta Das

  • Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ ব্লকের (INDIA Block) অন্ধকার দশা চলছে।” দিল্লি নির্বাচনে (Delhi Election) আপ দুর্গে ধস নামানোর পর মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা প্রকাশ রেড্ডি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের। অথচ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোট। এই জোটে রয়েছে আপও।

    মুখোমুখি লড়াই (Delhi Election)

    সেই আপের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের জেরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আপ এবং কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হলে দিল্লি বিধানসভার অন্তত ১৩টি আসনের ফল অন্যরকম হত। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে ‘ইন্ডি’ ব্লক। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক মহল বিশ্লেষণ করছে যে ভারতের রাজনীতিতে আর কোনও নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট থাকবে না। সংসদ নির্বাচনের পর ইন্ডি জোট জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং এখন দিল্লিতে এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি।” এর পরেই তিনি বলেন, “ইন্ডি জোটের এখন অন্ধকার দশা চলছে (Delhi Election)।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই ঘটনাগুলোই জোটের অন্দরে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা প্রমাণ করে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কোনও জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে না।” ইন্ডি জোটের অন্দরে এই কোন্দলের জন্য রেড্ডি দায়ী করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর দাবি, “আঞ্চলিক দলগুলি এখন নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, জোটের অংশ হিসেবে নয়। এসবই ইঙ্গিত করে ইন্ডি জোট ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেসের হাল দেখে সব দল একা একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর ইন্ডি জোটের দুই সদস্য দল কংগ্রেস এবং আপকে নিশানা করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ইন্ডি জোটের (INDIA Block) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীও (Delhi Election)।

  • Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    Satyendra Das: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, আধ্যাত্মিক জগতে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস (Satyendra Das)। বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (Ram Mandir)। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    শোক প্রকাশ যোগীর (Satyendra Das)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “পরম রামভক্ত, শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির, শ্রী অযোধ্যা ধামের পুরোহিত শ্রী সত্যেন্দ্র কুমার দাসজি মহারাজের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখের। এটা আধ্যাত্মিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই।” হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, “অযোধ্যা রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাসজি আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। নিউরোলজি ওয়ার্ডের হাই-ডিপেনডেন্সি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল।”

    রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    রাম মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই বলেন, “সত্যেন্দ্র দাস মহারাজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি লখনউতে পিজিআই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তিনি হনুমানঘড়ির সাধু ছিলেন। তিনি ‘বিরাক্ত’ ছিলেন, যিনি শিশুদের সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়াতেন।” অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা মহন্ত সত্যেন্দ্র দাসের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করতেন। অযোধ্যার আন্দোলনের বিষয়ে খুব কম লোকের জ্ঞান আছে। তিনি সেই স্বল্প সংখ্যকদের মধ্যে একজন (Satyendra Das)। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকসন্তপ্ত।”

    ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদকাণ্ডের সময় সত্যেন্দ্র দাস রাম মন্দিরের অস্থায়ী পুরোহিত ছিলেন। সেই থেকেই তিনি রামলালার সেবায় নিয়োজিত। ধীরে ধীরে তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পদে উন্নীত হন। নির্বাণী আখড়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সত্যেন্দ্র। ভক্তরা চাইলেই তাঁর সাক্ষাৎ পেতেন। যে কোনও সমস্যায় তাঁরা ছুটে যেতেন সত্যেন্দ্রর কাছে। অযোধ্যা ও রাম মন্দির সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল গভীর। ২০২৪ সালে নতুন মন্দিরে রামলালার অভিষেকের সময় সত্যেন্দ্রর সঙ্গে পরিচয় ঘটে দেশবাসীর। রাম মন্দিরের তরফে প্রদীপ দাস জানান, এদিনই হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হবে প্রবীণ পুরোহিতের দেহ (Ram Mandir)। বৃহস্পতিবার সরযূ নদীর তীরে হবে তাঁর শেষকৃত্য (Satyendra Das)।

  • ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    ED: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ফের তৎপর ইডি, তল্লাশি হাওড়ার ৩ জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি (Ration Case) মামলায় ফের তৎপর ইডি (ED)। দিন কয়েক আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপর বুধবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। হাওড়ার অন্তত তিন জায়গায় হানা দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার নজরে রয়েছে ব্যবসায়ীদের বাড়ি এবং গোডাউনও।

    জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় (Ration Case)

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তার পর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি বিশেষ ইডি আদালত ৫০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড এবং ২৫ হাজার টাকার দুটি জামিন বন্ডে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তারপর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফের তৎপর হল ইডি।

    হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ইডির হানা

    এদিন সকালে ইডির দফতর থেকে বিভিন্ন দিকে বেরিয়েছে একাধিক দল। সকাল সকালই একটি দল পৌঁছে যায় হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ সন্তোষপুরে কৃষ্ণপদ মাল নামে এক ধান ব্যবসায়ীর বাড়িতে। অন্য একটি দল হানা দেয় তাঁর গোডাউনে। এছাড়াও, হাওড়ার একটি সমবায় সমিতিতে চলছে ইডির (ED) অভিযান।

    ইডির আর একটি দল হানা দিয়েছে হাওড়ারই শ্যামপুরের সসাটিতে ব্যবসায়ী পার্থেন্দু জানার বাড়িতেও। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে বিভিন্ন রাইস মিলে বিক্রি করেন পার্থেন্দু। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। এদিন যখন ইডির দল তাঁর বাড়িতে হানা দেয়, তখন অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না তিনি। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, মহাকুম্ভে গিয়েছেন পার্থেন্দু।

    ২০২০ সালে নদিয়া থেকে ৭৬২ কিলো কালোবাজারির আটা উদ্ধারকে কেন্দ্র করেই রেশন কেলেঙ্কারির তথ্য আসে পুলিশের হাতে। প্রথমে নদিয়ার তিনটি থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পরে অভিযোগ ওঠে, রেশনের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ গম সরিয়ে ফেলে তাতে সরকারি ছাপ দিয়েই বিপুল টাকায় বিক্রি করা হত কালোবাজারে। এরই তদন্তভার পায় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়কে। গ্রেফতার (Ration Case) করা হয় বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য-সহ বেশ কয়েকজনকে (ED)।

  • Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    Woman Chief Minister: এবার দিল্লিতে ফের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! কে কে রয়েছেন দৌড়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ বছর পরে হয়েছে দিল্লি বিজয়। সেই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Woman Chief Minister) ছিলেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। তার পর দিল্লিতে (Delhi) কায়েম হয় কংগ্রেস ও আপের রাজত্ব। এবার ফের পালাবদল ঘটেছে। দিল্লির রাশ ফের এসেছে পদ্ম-পার্টির হাতে। এবারও কি তাহলে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছেন দিল্লিবাসী? চলছে নানা গুঞ্জন।

    মহিলা মুখ্যমন্ত্রী! (Woman Chief Minister)

    এক পক্ষের মতে, আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী পদে। তবে বিজেপিরই অন্য এক অংশের মতে, এবার কোনও মহিলার মাথায় উঠতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সামাজিকভাবে প্রতিনিধিত্বশীল পটভূমি থেকে একজনকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হতে পারে। দিল্লির এই নয়া মন্ত্রিসভায় মহিলা এবং দলিতদের জোরালো উপস্থিতিও দেখা যেতে পারে।

    মোদি দেশে ফিরলেই ঘোষণা!

    সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভায় গেরুয়া পার্টি পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। এবার দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস। যেহেতু দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি, তাই সরকার গড়বে পদ্ম পার্টি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কাকে বসানো হবে, তা জানা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিদেশ সফর সেরে ফিরলে।

    এক প্রবীণ বিজেপি নেতার ইঙ্গিত, বিজেপি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে সম্ভাব্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করছে। এই বিবেচনা থেকেই বেছে নেওয়া হতে পারে পূর্বাঞ্চলীয় পটভূমির কোনও প্রার্থীকে। শিখ কিংবা কোনও জাঠ নেতাকেও বসানো হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। কোনও মহিলাকেও মনোনীত করা হতে পারে। বিজেপির ওই নেতার কথায়, এটাই হবে সব চেয়ে উপযুক্ত (Woman Chief Minister)।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে যেসব মহিলা এগিয়ে রয়েছেন, তাঁরা হলেন রেখা গুপ্ত। শালিমার বাগের বিধায়ক তিনি। বিজেপির মহিলা ইউনিটের জাতীয় সহ সভাপতি তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি হারিয়েছেন সাড়ে ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে। দৌড়ে রয়েছেন গ্রেটার কৈলাশের বিধায়ক শিখা রায়, ওয়াজিপুরের বিধায়ক (Delhi) পুনম শর্মা, নজফগড়ের বিধায়ক নীলম পেহলওয়ান, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ (Woman Chief Minister)।

  • Bangladesh: মেটানো হবে টাকা, চাই পুরো বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ আর্জি জানাল আদানিকে

    Bangladesh: মেটানো হবে টাকা, চাই পুরো বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ আর্জি জানাল আদানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পাওয়ারকে পুরো ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কট চরমে ওঠে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই। এরপরে বকেয়া শোধের কারণে আদানি পাওয়ার (Adani Power) অর্ধেক পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার আদানি পাওয়ারকে (Adani Power) ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের আর্জি জানিয়েছে। এরপরেই বেড়ে গিয়েছে আদানি পাওয়ারের স্টকের দাম। এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ লাফ দিয়েছে এই স্টক। এখন ৫১১.৯০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে এই স্টকের দাম।

    শেখ হাসিনার জমানায় হয় চুক্তি (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারকে ২৫ বছরের জন্য একটি বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি করেছিল। এরপরেই আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, সেখানে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট রয়েছে। এখান থেকেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। জানা গিয়েছে, এরপরেই বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডারের ঘাটতি দেখা দেয় এবং সেই সঙ্কটের কারণে আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এর জন্য পাওয়ার প্ল্যান্টের একটি ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ৪২ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছিল।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের বিবৃতি

    বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ইতিমধ্যে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা বকেয়া শোধের জন্য আদানি পাওয়ারকে প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে আদানি পাওয়ারকে (Adani Power), আরও টাকা শোধের চেষ্টা করে চলেছে। আদানি পাওয়ার এবিষয়ে জানিয়েছে, বিপিডিবি সংস্থার কাছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা ছিল, কিন্তু তারা বলেছিল পাওনা বকেয়া রয়েছে মাত্র ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।

  • TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    TMC Inner Clash: তিহাড় থেকে ফিরেছেন অনুব্রত, চরমে গোষ্ঠীকোন্দল, বোমার ঘায়ে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন তিহাড় জেলে ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে ফিরেছেন গাঁয়ে (West Bengal)। তার পরেই তৃণমূলের কাজল শেখ গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরেরই অনুব্রত মণ্ডলের অন্তর্দ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash) চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। তার জেরে হয় ব্যাপক বোমাবাজি। বোমাবাজির জেরে উত্তপ্ত বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালি বিক্রির টাকার বখরা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। বোমার ঘায়ে পা উড়ে গিয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। নাম শেখ সাত্তার আলি। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন ও তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ।

    তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত (TMC Inner Clash)

    গত প্রায় দু’বছর ধরে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, মমতা ঘনিষ্ট অনুব্রত যতদিন জেলে বন্দি ছিলেন, ততদিন একপ্রকার শান্তই ছিল বীরভূম। তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন নিষ্ক্রিয় হয়েছিলেন। অনুব্রত জেলায় ফিরতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর।

    তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

    বেশ কয়েক জায়গায় অনুব্রত গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়েছে। অনুব্রতর অবশ্য দাবি (TMC Inner Clash), বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তবে তৃণমূলের এই নেতা যে ঠিক বলছেন না, তা দাবি করেছেন তাঁর দলেরই একটি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, উজ্জ্বল অনুব্রতের কাছের লোক। আর স্বপন, কালো শেখরা কাজল গোষ্ঠীর বলে জেলায় পরিচিত। বালির টাকার বখরা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তার জেরেই সোমবার রাতভর জেলায় হয় বোমাবাজি। যার জেরে পা খোয়ান তৃণমূলের সাত্তার।

    উজ্জ্বলের অভিযোগ, তাঁকে খুনের উদ্দেশ্যেই সোমবার রাতে তৃণমূল নেতা কালো শেখের বাড়িতে জড়ো হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মহিবুল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁর দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ওই বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা মজুত করা হচ্ছিল। যদিও কালোর অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ছিলেন তৃণমূল নেতা উজ্জ্বলের অনুগামীরা (West Bengal)। অশান্তি এড়াতে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ (TMC Inner Clash)।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    Ram Mandir: অযোধ্যার রাম মন্দিরে নামছে ভক্তের ঢল, সময় বাড়ল দেবদর্শনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) দেখতে এমনিতেই নিত্য ভিড় হয়। তার ওপর উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ মেলা। স্বাভাবিকভাবেই এক যাত্রায় পৃথক ফল যাতে না হয়, তাই কুম্ভে অমৃতস্নান করে পুণ্যার্থীরা চলে যাচ্ছেন অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনে। স্বাভাবিকভাবেই অযোধ্যায় ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভিড় সামাল দিতেই মন্দিরের দর্শন (পুজো)-এর সময়সূচি পরিবর্তন করলেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এখন থেকে মন্দির খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত। এর আগে রামলালার এই মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলত সকাল ৭টায়।

    বদলাল আরতির সূচিও (Ram Mandir)

    যেহেতু দর্শনের সময়সীমা এক ঘণ্টা বেড়েছে, তাই বদলে গিয়েছে আরতির সূচিও। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগে মঙ্গল আরতি হত ভোর সাড়ে ৪টায়। এখন থেকে সেটাই হবে ভোর ৪টায়। এর পর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে মন্দিরের দ্বার। সকাল ৬টায় হবে শৃঙ্গার আরতি (Ram Mandir)। সেই সময় থেকেই ভক্তরা করতে পারবেন দেব দর্শন। মন্দির ট্রাস্ট আরও জানিয়েছে, রামলালাকে রাজভোগ নিবেদন করা হবে দুপুর ১২টায়। তখনও ভক্তরা দর্শনের সুযোগ পাবেন। সন্ধ্যা আরতি হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকবে ১৫ মিনিটের জন্য। তারপর ফের খোলা হবে। দিনের শেষ আরতি যা শয়ন আরতি নামে পরিচিত তা হবে ১০টায়। আগে হত রাত্রি সাড়ে ৯টায়। এই শয়ন আরতির পরেই দেবতার বিশ্রামের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। খুলবে ফের পরের দিন ভোরে, মঙ্গল আরতির সময়।

    রাম মন্দিরে ভক্তের ঢল

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। সেদিনই হয় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। তার পর থেকেই ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এই অযোধ্যা থেকেই মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে মেলা। সেই মেলা দেখতে এসেই রামলালার দর্শন সেরে যাচ্ছেন ভক্তকুল। পর্যটন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম ছ’মাসে উত্তরপ্রদেশে এসেছেন ৩২.৯৮ কোটি পর্যটক। এঁর সিংহভাগই ঘুরে গিয়েছেন অযোধ্যা ও বারাণসী। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, জানুয়ারির ২৬ তারিখ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর দিন পর্যন্ত (Ayodhya) মাত্র নদিনে এক কোটিরও বেশি ভক্ত অযোধ্যা পরিদর্শন করেছেন (Ram Mandir)।

  • Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    Delhi Chief Minister: আরএসএস ঘনিষ্ঠ কারও মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লি দখল করেছে বিজেপি। ৭০ আসনের এই বিধানসভায় বিজেপি একাই পেয়েছে ৪৮টি। বাকি ২২টিতে জয়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিজয় হওয়ার পর বিজেপির অন্দরে যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল কার মাথায় উঠবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের তাজ (Delhi Chief Minister)? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়ে গিয়েছে পদ্ম পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। তার পরেই ফ্রান্স উড়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কানাঘুষোয়, শোনা যাচ্ছে তিনি দেশে ফিরলে, তবেই জানা যাবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সিতে কে বসবেন।

    মসনদে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কেউ (Delhi Chief Minister)

    তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরে শোনা যাচ্ছে পদ্মময় দিল্লির মসনদে বসানো হতে পারে আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে। এর মধ্যে রয়েছেন উত্তম নগর থেকে জয়ী পবন শর্মা। পবন প্রাক্তন সংঘ প্রচারক। দিল্লি রাজ্য সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকও তিনি। পবন ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন আরও একজন। তিনি আদর্শ নগর কেন্দ্র থেকে জয়ী রাজকুমার ভাটিয়া। এবিভিপির সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। রোহিণী থেকে জয়ী জিতেন্দ্র মহাজন পাঞ্জাবি এবং বৈশ্য উভয় সম্প্রদায়েরই প্রতিনিধি। তবে তিনি সংঘ পরিবারের বাইরের। তাই তাঁর কপালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের শিকে ছেঁড়ার সম্ভাবনা কম।

    মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে কারা

    বিজেপি (Delhi Chief Minister) যদি আরএসএস ঘনিষ্ঠ কাউকে দিল্লির কুর্সিতে বসায়, তাহলে দৌড়ে এগিয়ে পবন এবং রাজকুমার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ সফর থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না বলেই জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফিরবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার পরেই চূড়ান্ত হতে পারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নাম। বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “আরএসএস বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবে। যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট জাতি বা সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা বিজেপিকে দেওয়া সমর্থন অন্যতম।” বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বিজেপির দিল্লি বিজয় যাদের জন্য সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে মূলত রয়েছেন ব্রাহ্মণ, জাঠ এবং পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের ভোটার। তাই এই তিন সম্প্রদায়ের থেকেই কাউকে বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপ-মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লি বিধানসভার স্পিকার এবং মন্ত্রিসভার সাতজন মন্ত্রীর নামও চূড়ান্ত করা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে (Delhi Chief Minister)।

  • Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: “শনিবার দুপুরের মধ্যেই বন্দিদের মুক্তি দিন, না হলে…,”হামাসকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে (Hamas) চরম হুঁশিয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। সাফ জানিয়ে দিলেন, শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে সব কিছু ভেঙে পড়বে।

    হামাসের অত্যাচার! (Donald Trump)

    ইহুদি রাষ্ট্র ইজায়েলের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে যুদ্ধ চলেছে গাজার মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের। সম্প্রতি ৪২ দিনের যুদ্ধ বিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতি পর্বে অল্প অল্প করে হামাস মুক্তি দিচ্ছে বন্দিদের। যাঁদের এই জঙ্গি গোষ্ঠী মুক্তি দিচ্ছে, তাঁরা যে নিদারুণ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বন্দিদশা পর্বে, তা জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্তরা। এহেন আবহে এল মার্কিন প্রেসিডেন্টেরে হুঁশিয়ারি।

    চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    সোমবার ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলছি, যদি শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সমস্ত বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া হয়—আমি মনে করি এটি একটি উপযুক্ত সময়—তাহলে আমি বলব, যুদ্ধবিরতি বাতিল করুন এবং সমস্ত কিছু ভেঙে পড়ুক।” খানিক থেমে তিনি বলেন, “তবে আমি আমার নিজস্ব মতামত দিচ্ছি। ইজরায়েল এটি অগ্রাহ্য করতে পারে।”  ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি গাজা কেনার এবং মালিকানা নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের এটি পুনর্গঠনের বিষয়ে, আমরা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশকে এর কিছু অংশ গড়ে তোলার দায়িত্ব দিতে পারি। অন্যরা আমাদের তত্ত্বাবধানে এটি করতে পারে। কিন্তু আমরা এর মালিকানা নেওয়া, এটি দখলে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস যাতে ফিরে আসতে না পারে, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিরে আসার মতো কিছুই নেই। এটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবশিষ্ট অংশও ভেঙে ফেলা হবে।”

    প্রসঙ্গত, হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র সোমবারই এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, পরবর্তী বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া, যা আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ নির্ধারিত ছিল, তা পরবর্তী ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। হামাস জানিয়েছে, বন্দিবিনিময় পুনরায় (Hamas) শুরু করা ইজরায়েলি দখলদার বাহিনীর প্রতিশ্রুতি মেনে চলা এবং বিগত কয়েক সপ্তাহের দায়বদ্ধতা পূরণের ওপর নির্ভর করছে (Donald Trump)।

  • Atishi Marlena: ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন’’, অতিশীকে বললেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    Atishi Marlena: ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন’’, অতিশীকে বললেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মসনদ দখল করেছে বিজেপি। আপের পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইতিমধ্যে উঠে আসছে নানা তত্ত্ব। গতকাল রবিবার রাজভবনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী (Atishi Marlena)। সেই সময়ই দিল্লির গভর্নর তাঁকে বলেন, ‘‘যমুনা মায়ের অভিশাপেই আপনারা হেরেছেন।’’ জানা গিয়েছে, গভর্নর আতিশী মারলেনাকে (Atishi Marlena) আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নদী পরিষ্কারের একটি প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়ার পর তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে যমুনার অভিশাপ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) অবশ্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তাছাড়া, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় থেকেও এই কথোপকথনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কমিটি গঠন

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যমুনা নদীতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির ঘটনায় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত নদী পরিষ্কার পর্যবেক্ষণের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীনে একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করে। পরবর্তীকালে এই কমিটি কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেজরিওয়াল সমর্থন জানিয়েছিলেন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দেন। পরে দিল্লি সরকার জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। এই সময়ই আপ আইনজীবী রাখে কংগ্রেস নেতা তথা সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে। তিনি যুক্তি দেন যে একজন বিশেষজ্ঞকে কমিটির প্রধান করা উচিত। এরপর তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, এই নিষেধাজ্ঞা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কার্যকর রয়েছে।

    ভোটাররা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন

    জানা গিয়েছে, পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Vk Saksena) আপ সুপ্রিমোকে বলেছিলেন যে তাঁকে যমুনার অভিশাপের মুখোমুখি হতে হবে। ২০১৫ সালের নির্বাচনের আগে কেজরিওয়াল পাঁচ বছরের মধ্যে যমুনা পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণে তাঁর ব্যাপক ব্যর্থতা নির্বাচনী প্রচারে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে ওঠে। বিজেপি এই জন্য তাঁকে কটাক্ষও শুরু করে। ভোট-পরবর্তী বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে পূর্বাঞ্চলের একটি বড় অংশই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকেই ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছিল বিজেপি।

LinkedIn
Share