Author: Susanta Das

  • Mahakumbha 2025: মহাকুম্ভে তৈরি হওয়ার পথে চার-চারটে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, জানেন কী কী?

    Mahakumbha 2025: মহাকুম্ভে তৈরি হওয়ার পথে চার-চারটে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, জানেন কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। বিগত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা (Mahakumbha 2025) চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১৪৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে মাঘী পূর্ণিমার আগেই ভক্তদের সংখ্যা সেখানে ৪০ কোটি পৌঁছে যাবে। প্রথম ২৪ দিনেই কুম্ভ মেলায় ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। কুম্ভ মেলা যেন সব কিছুকেই এক করে দিয়েছে। সাধারণ ভক্ত থেকে রাষ্ট্রনেতা থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে পবিত্র স্নান সারছেন। এমন ঘটনা বিশ্বের কোথাও আর দেখা যায় না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার মাঘী অষ্টমী বা ভীষ্ম অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান সেরেছেন। স্নান করেছেন ভুটানের রাজাও। মহাকুম্ভ (Guinness World Records) পৃথিবীর সবথেকে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে। এই আবহে আরও উল্লেখযোগ্য খবর সামনে এসেছে।

    মহাকুম্ভে (Mahakumbha 2025) তৈরি হচ্ছে ৪ নয়া রেকর্ড

    মহাকুম্ভে (Mahakumbha 2025) তৈরি হতে চলেছে চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। এর মধ্যে প্রথমটি হল ১৫ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে মহাকুম্ভের ঘাটগুলি পরিষ্কার করবেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি এই নয়া রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে মহাকুম্ভে। এর আগে ২০১৯ সালের অর্ধ কুম্ভে এমন চিত্রই দেখা গিয়েছিল। সে সময় দশ হাজার সাফাই কর্মী একসঙ্গে ঘাট পরিষ্কার করেছিলেন। অর্থাৎ ভারত তার নিজের রেকর্ডই ভাঙছে। ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভের যে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন সাফাই কর্মীরা, তাঁরাই আবার নিজেদের রেকর্ড ভাঙছেন ২০২৫ সালে। মহাকুম্ভে এই ঘটনা অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।

    দ্বিতীয় ও তৃতীয় রেকর্ড (Mahakumbha 2025)

    অন্যদিকে, দ্বিতীয় যে রেকর্ড হতে চলেছে হতে চলেছে সেটি ১৫ ফেব্রুয়ারি সবার নজরে আসবে। ওইদিন তিনশোর বেশি মানুষ একসঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমের জলকে পরিষ্কার করবেন। এমনভাবেই ওই তিনশো কর্মী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মহাকুম্ভকে স্থান দেবেন। এরপরে ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের নয়া একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলবে মহাকুম্ভ। জানা গিয়েছে, ওই দিন ১০০০-এরও বেশি ই-রিকশা হাজির হবে কুম্ভের প্রাঙ্গণে। এরপরে তারা প্যারেড করবে। এটিও একটি নয়া ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। দেখা যাচ্ছে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৫০০ বাস প্যারেড করেছিল অর্ধকুম্ভে। তার নিয়ন্ত্রণকর্তা ছিল উত্তরপ্রদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। সেই সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের এমন উদ্যোগ নয়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করে, ‘ লার্জেস্ট প্যারেড অফ বাসেস’। এবার সেটি হতে চলেছে লার্জেস্ট প্যারেড অফ ই-রিস্কা। প্রসঙ্গতই বাসগুলি চলে ছিল ৩.২ কিলোমিটার এক সঙ্গে। এর আগে বাসের প্যারেডের রেকর্ড ছিল আবুধাবিতে। সেটি ২০১০ সালে তৈরি হয়েছিল এবং সে সময় ৩৯০টি বাস একসঙ্গে চলেছিল।

    তৃতীয় রেকর্ড

    প্রসঙ্গত, এর পরের রেকর্ডটি তৈরি হতে চলেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন ১০ হাজার লোক একসঙ্গে নয়া ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করবেন। জানা গিয়েছে, ১০,০০০ লোক একসঙ্গে হ্যান্ড প্রিন্টিং করবেন আট ঘণ্টা ধরে, গঙ্গা প্যান্ডেলের মধ্যে। বর্তমানে এই ওয়ার্ল্ড রেকর্ড রয়েছে কুম্ভের নামেই। ২০১৯ সালে একসঙ্গে বসে ৭,৬৬৪ জন হ্যান্ড পেইন্টিং করেছিলেন। ৬ বছর আগে অর্ধকুম্ভের প্রয়াগরাজে যে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল, তা এবার ভাঙছে ২০২৫ সালে। এই রেকর্ড নতুন ভাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান পাচ্ছে।

    কী বলছেন আধিকারিক?

    মহাকুম্ভের গোটা ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছেন উচ্চপদস্থ আমলা বিজয় কিরণ আনন্দ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘চারটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে মহাকুম্ভ নাম তুলতে চলেছে। এটি সত্যিই খুব আনন্দের এবং যার শুরু হতে চলেছে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথমটি স্বচ্ছতায়। পরেরটি নদী পরিষ্কার করাতে, এরপরে একটি ই-রিক্সার ক্ষেত্রে এবং সর্বশেষটি হ্যান্ড প্রিন্টিং-এর ক্ষেত্রে।’’ এই সমস্ত ইভেন্টগুলির প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজয় কিরণ আনন্দ।

    বিদেশি ভক্তদেরও আকর্ষণের কেন্দ্রে মহাকুম্ভ

    ১৪৪ বছর পরে হওয়া এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছে। পর্যটক বলতে আধ্যাত্মিক পর্যটক, যাদের আমরা তীর্থযাত্রীও বলতে পারি। এখনও পর্যন্ত, ৩৮ কোটির বেশি পুণ্যার্থী সঙ্গমে স্নান করেছেন। পবিত্র স্নানের উদ্দেশেই ভক্তরা এখানে সমবেত হচ্ছেন। বিশ্বাস, কুম্ভের ডুব জীবনে আনে অপার শান্তি ও সুখ। মহাকুম্ভে এই ব্যাপক পরিমাণে ভক্তদের আগমন শুধুমাত্র ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না, অর্থাৎ ভারতীয়রা শুধুমাত্র যে প্রয়াগরাজে হাজির হচ্ছেন এমনটা নয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিপুল পরিমাণে তীর্থযাত্রী ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিতে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে যে, আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করার ৪৮ শতাংশ ভিসা মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) দিকেই যাচ্ছে।

  • Daily Horoscope 07 February 2025: বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 07 February 2025: বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে  বিশেষ আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীর সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সাবধানতা অবলম্বন করুন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) দিনটি কম বেশি ভালোই কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Darien Gap: এ যেন নরকের দ্বার! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার হন ডারিয়েন গ্যাপ, কেন জানেন?

    Darien Gap: এ যেন নরকের দ্বার! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাখ লাখ মানুষ পার হন ডারিয়েন গ্যাপ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডারিয়েন গ্যাপ (Darien Gap), একে নরকের দ্বারও বলা যেতে পারে। ফি বছর প্রাণের তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমান এই পথেই। কী কারণে বিপদসঙ্কুল, বিস্তৃত, দুর্ভেদ্য ঘন অরণ্যের মাঝ দিয়ে যেতে চান লাখ লাখ মানুষ? মূলত ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, কলম্বিয়া, ব্রাজিলের মতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে উত্তর আমেরিকার অভিবাসী হওয়ার জন্য জীবন বাজি রেখে এই পথে পানামা পৌঁছতে চায়। পুরোটাই চলে বেআইনি অনুপ্রবেশ।

    ১০৬ কিমির বিস্তৃত এই জঙ্গল (Darien Gap)

    প্রসঙ্গত, কলম্বিয়া-পানামার মাঝে বিপজ্জনক জঙ্গল হল এই ডারিয়েন গ্যাপ। এতটাই ঘন ও দুর্ভেদ্য যে বহু চেষ্টা করেও, ১০৬ কিমি এই জঙ্গল কেটে তৈরি করা সম্ভব হয়নি কোনও রাস্তা। নিস্তব্ধ, জনমানবহীন।অনেকে বলেন, উত্তর আমেরিকার আলাস্কা থেকে কোনও ব্যক্তি যদি গাড়ি চালিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা যেতে চান, তাহলে সেই যাত্রায় ছেদ টানতে হবে ডারিয়েন গ্যাপের কারণে। জঙ্গলের মধ্যে নেই যানবাহন চলার মতো কোনও রাস্তাই নেই। ভরসা একমাত্র জলপথ। এই অঞ্চলে তুরিয়া নদী ও তার সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলিতে ছোট ছোট পিরাগুয়া বোট চলে। এই দুর্গম অঞ্চল পেরোতে সেগুলিই ভরসা।

    মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও (Darien Gap)

    জঙ্গলে কী না নেই (Darien Gap Migrants)! যেন ঠিক চাঁদের পাহাড় উপন্যাসকেই তুলে ধরেছে ড্যারিয়েন গ্যাপ। বিষাক্ত সাপ, কাঁকড়াবিছে, আগুনে পিঁপড়ে, জাগুয়ার, বন্য শূকর এবং অন্য হিংস্র জীবজন্তু ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে মাদক পাচারকারী ও চোরাশিকারিদের ব্যাপক দৌরাত্ম্যও। এখান দিয়েই চলে মানব পাচার। প্রশাসনের সাধ্য নেই এই অঞ্চলে নজরদারি চালানোর। সঙ্গে রয়েছে তুরিয়া নদীর হড়পা বান, সামান্য বৃষ্টিতেই বনভূমি ভাসিয়ে নিয়ে যায় চোখের পলকে। ভরা বর্ষায় তো হড়পা বান রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। এত বিপদের হাতছানি সত্ত্বেও ডারিয়েন গ্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে উঠেছে (Darien Gap), লাখ লাখ মানুষ পেরতে চান উন্নত জীবন পাওয়ার আশায়।

    কী জানাচ্ছেন ইউনিসিফের কর্তা

    ইউনিসেফের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক টেড চাইবান জানিয়েছেন, ডারিয়েন গ্যাপ শিশুদের চলাচলের জন্য উপযোগী নয়। এই কঠিন ও বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেক শিশু মারাও গিয়েছে। এমনকি নারীরা এ পথে চলতে চলতে সন্তান প্রসবও করেছেন। পুরনো পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই ১ লক্ষ ১৭ হাজার অভিবাসী দীর্ঘ বিরামহীন যাত্রা পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছে।

  • Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4)। ওই অভিযানে চাঁদের পাথর, মাটির নমুনা নিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। একইসঙ্গে, ‘গগনযান’ (Gaganyaan Mission) ও ‘সমুদ্রযান’ (Samudrayaan Mission) মিশনের সময়ও ঘোষণা করেন তিনি। ফলে, আগামী তিন বছর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সময় আসতে চলেছে (ISRO Future Projects)।

    চাঁদের পাথর-মাটি নমুনা সংগ্রহ

    জিতেন্দ্র জানান, চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযানে প্রথমবার ব্যবহার করা একটি নয়, দুটি হভি লিফ্ট এলভিএম ৩ রকেট (LVM3 Rocket)। দুই ভারী রকেটে করে পাঠানো হবে এই মিশনের জন্য প্রয়োজন পাঁচটি বিভিন্ন অংশকে। সেগুলি দুটি ভাগে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে সেখানে জুড়বে। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসা। অন্যদিকে, গগনযান অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিতেন্দ্র জানান, আগামী বছর মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। ওই মিশনে পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে চার ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। শুধু মহাকাশ নয়, সমুদ্রের গভীরেও বিশেষ অভিযান চালাবে ইসরো। সেটাও আগামী বছরেই। জিতেন্দ্র জানান, মিশন সমুদ্রযান-এর মাধ্যমে তিনজন বিজ্ঞানী বিশেষভাবে নির্মিত সাবমার্সিবল (ডুবো) ভেসেলে চেপে সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে গিয়ে গবেষণা চালাবেন। সিং বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশের এই অগ্রগতি বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভারতকে একাসনে বসাবে।’’

    সমুদ্রযান অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম

    গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সমুদ্রযানের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন জিতেন্দ্র জানান, সমুদ্রযান অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হল সমুদ্রতলের মূল্যবান সম্পদ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের উন্মোচন করা যা আখেরে ভারতের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্যপূরণের জন্য অপরিহার্য। গগনযান মিশন নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, চলতি বছর এই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে দেশে তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট ‘বিয়োমিত্র’-কে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এর পর, সামনের বছর মানব-অভিযান সম্পন্ন করা হবে (ISRO Future Projects)।

    মোদি জমানায় মহাকাশ সেক্টরে বিপুল উন্নতি

    জিতেন্দ্র সিংয়ের মতে, মোদি জমানায় গত এক দশকে মহাকাশ সেক্টরে (India Space Sector) প্রভূত পরিমাণ উন্নতি করেছে ভারত। পরিকাঠামোগত হোক বা বিনিয়োগ এই ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপকহারে অগ্রসর হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ইসরো (ISRO) গঠন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর দুদশক পার করার পর ১৯৯৩ সালে দেশে প্রথম লঞ্চপ্যাড (রকেট উৎক্ষেপণের প্ল্যাটফর্ম) গড়ে তোলে ভারত। দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ‘‘এখন ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আমরা প্রথমবার তৃতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ করছি। পাশাপাশি, শ্রীহরিকোটার চাপ কমাতে এবং ছোট রকেট উৎক্ষেপণের জন্য তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে নতুন উৎক্ষেপণকেন্দ্র গড়ে তুলছি।’’

    দেশের মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগর জোয়ার

    বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতির মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই গতিতে চললে, আগামী এক দশকে তা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। আর তেমনটা হলে, মহাকাশ-শক্তিধর হিসেবে বিশ্বের হাতে গোনা দেশগুলির সঙ্গে একই সরণিতে চলে আসবে ভারত। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, মোদি জমানায়, এই মহাকাশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বহু বেসরকারি সংস্থাও। যার ফলে, এখন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের জোয়ার চোখে পড়ছে (ISRO Future Projects)।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের ঐতিহাসিক সফর! বদলে যাবে বঙ্গ রাজনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বেশ কিছু সমাধানসূত্র বের করা বাকি গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা ঠিক করতে হবে। ২০২১ এর পর যে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তার জেরে আরএসএসেরও (RSS) সেভাবে শ্রী বৃদ্ধি হয়নি। তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পর পর বাধা। বাংলায় দুয়ারে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকট। এই পরিস্থিতিতেই বঙ্গে দশ দিনের জন্য সফরে আসছেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সংঘের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা না হলেও অনুগামীদের আশা সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গে আসছেন মোহন ভাগবত। ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সংঘের কার্যকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংগঠনিক বিষয়ে বৈঠক করবেন। সূত্রের খবর সেখানে আরএসএস এবং শাখা সংগঠনগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ১১ এবং ১২  ফেব্রুয়ারি সংঘের অখিল ভারতীয় টোলি অর্থাৎ জাতীয় স্তরের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সর্বভারতীয় কর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে সংঘের নতুন প্রান্ত কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে এবং ১৬ই ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে মধ্য বঙ্গ প্রান্ত কর্তাদের প্রকাশ্য সম্মেলন হবে।

    কী বলছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ

    প্রসঙ্গত, এর আগে বঙ্গে কোনওদিন কোনও সংঘপ্রধান ১০ দিনের জন্য আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই এর একটা সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, যেভাবে রাজ্যে অনুপ্রবেশ, সীমান্ত সমস্যা, জন্যবিন্যাসে বদল এসেছে, তা ভালোভাবে নেয়নি আরএসএস। তাই সমাজের কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করতে নির্দেশ আসার ইঙ্গিত রয়েছে সংঘ প্রধানের তরফে (Mohan Bhagwat)। সেই বার্তা এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দিয়েছেন ক্ষেত্রীয় সহ প্রচার প্রমুখ জিষ্ণু বসু।

    ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের জন্য নির্ণায়ক লড়াই হতে চলেছে। তার জন্য এখন থেকেই সর্বশক্তিতে ঝাঁপানো প্রয়োজন। মনে করা হচ্ছে সেই দিশা দেখাতেই বঙ্গে আসছেন আরএসএস (RSS) প্রধান। তাঁর দেখানো পথেই বঙ্গ জয়ের রণকৌশলের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হতে চলেছে। শাখা সংগঠনগুলিতেও সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে (Mohan Bhagwat)।

  • Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    Delhi Election: দিল্লি বিধানসভার কুর্সিতে এবার পদ্ম, বলছে জনমত সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দল আপকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন দিল্লিবাসী (Delhi Election)! অন্তত একাধিক জনমত সমীক্ষায় (Exit Poll) উঠে এসেছে এমনই তথ্য। ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় হয়েছে দিল্লির ৭০ আসনে নির্বাচন। নির্বাচনের ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, দিল্লিতে এবার ফুটছে পদ্ম।

    জনমত সমীক্ষার ফল (Delhi Election)

    জেভিসির এক্সিট পোল বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৫টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ২২ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন। পি মার্কের জনমত সমীক্ষা বলছে দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৯টি আসন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপ পেতে পারে ২১ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেসের অবস্থা শোচনীয়। সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল পেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন।

    দিল্লি পদ্মময়

    পিপলস ইনসাইটের এক্সিট পোলের (Delhi Election) রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৯টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ০ থেকে ১টি আসন। পিপলস প্লাসের জনমত সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৫১ থেকে ৬০টি আসন। কেজরিওয়ালের দল পেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন।

    চাণক্যস স্ট্র্যাটেজি বলছে, পদ্ম পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৩৯ থেকে ৪৪টি আসন। আপ পেতে পারে ২৫ থেকে ২৮টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২ থেকে ৩টি আসন। ম্যাট্রিজের জনমত সমীক্ষা বলছে, দিল্লিতে বিজেপি পেতে পারে ৩৫ থেকে ৪০টি আসন। আপের ঝুলিতে যেতে পারে ৩২ থেকে ৩৭টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে মাত্র ১টি আসন।

    জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত বাস্তবায়িত হলে এবার দিল্লি হবে পদ্মময়। অবসান হবে আপ জমানার। তবে সাতটি জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, খাস দিল্লিতেই কংগ্রেসের অবস্থা করুণ। তারা বড়জোর পাবে ১ থেকে ৩টি আসন। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত দিল্লিতে (Exit Poll) ভোট পড়েছে ৫৭.৭০ শতাংশ (Delhi Election)।

  • Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    Fort William Renamed: মুছে গেল ঔপনিবেশিকতার ছায়া, ফোর্ট উইলিয়ামের নতুন নাম ‘বিজয় দুর্গ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম বদলে গেল শতাব্দী-প্রাচীন ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed)। সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও, ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) সদর দফতরের প্রশাসনিক কাজকর্মে এখন থেকেই নতুন নামে ডাকা হচ্ছে ২৫০ বছরের পুরনো এই সামরিক প্রতিষ্ঠানকে। এই নাম বদল নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোড়ন পড়েছে। তবে, কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, ঐতিহ্যের পুনঃস্থাপন এবং ব্রিটিশ যুগের প্রভাব সরিয়ে ফেলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে…

    মুঘল এবং ঔপনিবেশিকতার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যে মোদি জমানায় দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে জায়গা ও প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করা হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। যেমন এলাহাবাদ শহরের নাম পাল্টে করা হয়েছে প্রয়াগরাজ। দেশের ব্যস্ততম মোগলসরাই রেল স্টেশনের নাম পাল্টে করা হয়েছে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন। আবার রাজধানীর রাজপথের নাম পাল্টে করা হয়েছে কর্তব্য পথ। সেই ধারাকে অব্যাহত রেখে এবার কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলে দেওয়া হল।

    এখন থেকে ফোর্ট উইলিয়াম হল ‘বিজয় দুর্গ’

    এ প্রসঙ্গে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কমান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফোর্ট উইলিয়ামকে ‘বিজয় দুর্গ’ (Vijay Durg) নামেই ডাকা হবে। তিনি আরও জানান, গত ২ ডিসেম্বর নাম বদলের নির্দেশ আসে। শুধু ফোর্ট উইলিয়াম নয়, এর মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি জায়গার নামবদলও হয়েছে। যেমন ফোর্টের মধ্যে থাকা সেনা কমান্ডারের বাসভবন কিচেনার হাউসের নতুন নাম হয়েছে মানেকশ হাউস। দক্ষিণ প্রান্তের গেটের নাম ছিল সাউথ গেট বা সেন্ট জর্জ গেট। সেটি হয়েছে শিবাজি দ্বার। আবার পূর্ব প্রান্তের গেটের নাম রাখা হয়েছে স্বর্নিম বিজয় দ্বার। সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের (Army Eastern Command) এক সূত্রের মতে, ঔপনিবেশিকতা ছাপ মুছতেই ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William Renamed) নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    ফোর্ট উইলিয়ামের ইতিহাস

    ১৭৭ একর জমির ওপর তৈরি ২৫০ বছরের পুরনো ফোর্ট উইলিয়াম সেই তখন থেকেই কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে। জানা যায়, ১৬৯৬ সালে মূল দুর্গটি তৈরি করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। কিন্তু, সেই সিপাই বিদ্রোহের সময় এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা। তাতে বিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুর্গটি। পরে, নতুন করে শুরু হয় নির্মাণ। প্রথমে ১৭৫৮ সাল থেকে তৈরি শুরু হয় এই সেনা ছাউনি তৈরির কাজ। পরে ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন।

    নতুন নামকরণের তাৎপর্য (Fort William Renamed)

    সেনা সূত্রে খবর, বিজয় দুর্গ নামকরণের নেপথ্যে বড় যুক্তি রয়েছে। মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গে রয়েছে বিজয় দুর্গ। যা ছত্রপতি শিবাজি মহাজারাজের নৌবহরের ঘাঁটি ছিল। বলা হয়, এই দুর্গ অভেদ্য ছিল। পুনর্নির্মাণের পর একবারের জন্যও আক্রমণ হয়নি এই ফোর্ট উইলিয়াম। নতুন আক্রমণ ঠেকাতে এখানে ৪৯৭টি তোপ মোতায়েন করেছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু, একবারের জন্যও তা চালাতে হয়নি। আবার কিচেনার হাউসের নাম পাল্টে মানকেশ হাউস করার নেপথ্যেও রয়েছে বড় ইতিহাস। এই বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়েছিল সেনা কমান্ডারদের থাকার জন্য। ফিল্ড মার্শাল হোরাশিও হার্বার্ট কিচেনার ছিলেন ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনার তৎকালীন সেনা কমান্ডার। তিনি ফোর্ট উইলিয়ামে ছিলেন ১৯০২-১৯১০ সাল পর্যন্ত। তাঁর নামেই নাম রাখা হয় বিল্ডিংটির (Fort William Renamed)। সেই নাম পাল্টে করা হয়েছে মানেকশ-র নামে, যিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। শুধু তাই নয়। ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময়, তিনি ছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান, যার আমলে পাকিস্তান পর্যুদস্ত হয়েছিল এবং জন্ম হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। সেই যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল এই ইস্টার্ন কমান্ড (Army Eastern Command)। এখানেই শেষ নয়। শোনা যায়, ভারতের কাছে ৯০ হাজার পাক সেনার আত্মসমর্পণের পর তাদের তৎকালীন কমান্ডার এএকে নিয়াজিকে এই কিচেনার হাউসেই এনে আটক রাখা হয়েছিল।

  • India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    India Defence: শক্তি বাড়ছে ‘পিনাকা’ সিস্টেমের, ১০ হাজার কোটি দিয়ে বিশেষ রকেট কিনছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তি বাড়তে চলেছে ভারতীয় সেনায় বিপুল জনপ্রিয় দেশে তৈরি পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চারের (Pinaka MBRL System)। বিশ্বের নজর টানা এই আর্টিলারি রকেট সিস্টেমকে আরও ক্ষমতাশালী করতে সম্প্রতি ২টি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। এই এক জোড়া চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ফলে, পিনাকা সিস্টেমের ধার ও ভার উভয়ই প্রভূত পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে (India Defence)।

    দু’ধরনের রকেট উৎপাদনের চুক্তি

    প্রথম চুক্তির মূল্য ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। চুক্তিটি করা হয়েছে ৪৫ কিলোমিটার পাল্লা সম্পন্ন হাই-এক্সপ্লোজিভ প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড রকেট অ্যামুনিশন কেনার জন্য। দ্বিতীয় চুক্তির মূল্য ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এই চুক্তির আওতায় ৩৭ কিলোমিটার পাল্লার এরিয়া ডিনাইয়াল অ্যামুনিশন কেনা হবে, যেগুলি ব্যবহার করা হবে ভারতীয় সেনার ১০টি পিনাকা রেজিমেন্টের জন্য। এরিয়া ডিনাইয়াল মুনিশনের বিশেষত্ব হল এটি ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ও মাইন-বিধ্বংসী হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এই বিশেষত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে (India Defence)।

    সেনায় আরও গুরুত্ব পিনাকা-কে

    জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মুনিশনস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ রকেট ও অস্ত্রগুলি উৎপাদন করবে নাগপুরস্থিত বেসরকারি সংস্থা সোলার গ্রুপ। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই মর্মে দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনায় ৪টি পিনাকা রেজিমেন্ট রয়েছে। এর একাংশ বর্তমানে দুর্গম চিন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে। নতুন আরও ৬টি রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান।

    পিনাকা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতের

    কেন্দ্রীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিনাকা সিস্টেমে (Pinaka MBRL System) ব্যবহৃত রকেটের একাধিক সংস্করণ তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। কোনওটার পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার তো কোনওটার ৭৫ কিমি পর্যন্ত। অধিক দীর্ঘ পাল্লার (৭৫ কিমি) রকেটগুলি গাইডেড প্রকৃতির। তবে, এখানেই থামতে রাজি নয় ডিআরডিও। ভবিষ্যতে, এই রকেটের পাল্লা আরও বৃদ্ধি করে প্রথমে ১২০ কিমি এবং আরও পরে ৩০০ কিমি পর্যন্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর মতে, একবার এই পাল্লা ভারতের হাতে চলে এলে, পিনাকা হয়ে উঠবে বাহিনীর অন্যতম প্রধান অস্ত্র (India Defence)।

    কারগিলে জাত চিনিয়েছিল পিনাকা

    পুরাণ মতে, দেবাদিদেব মহাদেবের ধনুকের নাম ‘পিনাক’। সেই অনুসারে এই রকেটের নামকরণ করা হয় ‘পিনাকা’। সাবেক সোভিয়েত আমলের ‘গ্রাদ বিএম-২১’ রকেট লঞ্চারের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় পিনাকা। প্রথম এটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারগিল যুদ্ধে। সেখানেই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল এই দেশীয় রকেট সিস্টেম। কারগিল যুদ্ধের সময় দুর্গম এলাকায় এই পিনাকা ব্যবহার করে পাক ফৌজকে পর্যুদস্ত করেছিল ভারতীয় সেনা (India Defence)। সেই সময় পাক সেনার ওপর মুহুর্মুহু আঘাত হেনেছিল পিনাকা রকেট। কার্যত রকেটের বর্ষণ হয়েছিল, যা পাক হামলার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিল। এখন পিনাকা মোতায়েন রয়েছে চিন সীমান্ত লাগোয়া দুর্গম অঞ্চলে।

    পিনাকায় মজেছে পশ্চিমি দুনিয়া

    বর্তমানে পিনাকা বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্টিলারি সিস্টেম (India Defence)। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেমের দৌলতে। এখন এই সিস্টেমের সর্বাধিক পাল্লা ৬০ কিমি। দুর্গম এলাকার লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম পিনাকা। যে কারণে, পাশ্চাত্য দেশেও এটি ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে। আরমেনিয়া ইতিমধ্যে এই সিস্টেম কিনেছে এবং চুক্তি মোতাবেক প্রথম ব্যাচ তাজের হাতে পৌঁছে গিয়েছে। ফ্রান্স সহ বিশ্বের একাধিক দেশ পিনাকা (Pinaka MBRL System) কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

  • PM Modi: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ মোদির, খোঁচা রাহুলকেও

    PM Modi: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ মোদির, খোঁচা রাহুলকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের অস্ত্রেই কংগ্রেস বধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)! নিহত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মন্তব্যকে অস্ত্র করেই দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক উন্নয়নের প্রশ্নে রাহুল গান্ধীর দলকে খোঁচা দিলেন নিহত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে (Budget Session)।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন (PM Modi)

    ১৯৮৫ সালে রাজীব বলেছিলেন, দিল্লির সরকার যদি মানুষের কল্যাণে ১ টাকা বরাদ্দ করে, শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, গরিব মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে মাত্র ১৫ পয়সা। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে জবাবি ভাষণে রাজীবের সেই মন্তব্যের উল্লেখ করে কংগ্রেস সাংসদদের বেঞ্চের দিকে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “তখন তো দিল্লি থেকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত এঁদেরই রাজত্ব ছিল। বাকি পয়সা কোথায় যেত?” প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন নিজেই – “ভুল হাতে যেত।” সেই হাত কংগ্রেসের, সে দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য – “আমি হাতের কথা বলেছি। কার হাত বলিনি।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান দিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীর হাতে খুন হওয়া প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এদিন সেই অস্ত্রও প্রয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “পাঁচ দশক আগে থেকে দেশবাসী গরিবি হটাও স্লোগান শুনেছেন। আর এখন ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা শুধু জমির অধিকারের কথা বলিনি, মানুষকে জমির অধিকার দিয়েছি। এর জন্য- দূরদৃষ্টির প্রয়োজন।” রাহুলের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু কিছু মানুষের সেটা নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা গরিব বাড়ি গিয়ে ফোটোশেসন করেন, সংসদে গরিবদের উন্নয়নের কথা তাঁদের কাছে পানসে লাগবে।”

    ‘একুশ শতকের ভারত’ গড়ার স্লোগান দিয়েছিলেন রাজীব। এদিন তাকেও ‘অস্ত্র’ করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “আমাদেরই একজন প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বিশ শতক, একুশ শতক বলতেন। প্রয়াত আরকে লক্ষ্মণ তা নিয়ে চমৎকার একটি কার্টুন এঁকেছিলেন – ঠেলার ওপর রয়েছে একটি বিমান। বিমানে বসে রয়েছেন এক পাইলট (প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বিমান চালাতেন রাজীব)। কেন পাইলট, তা আমি বলতে পারব না। কিন্তু সেই ঠেলাটিকে নিয়ে চলেছেন এক শ্রমিক। ঠেলার গায়ে লেখা রয়েছে একুশ শতক! আসলে ওই প্রধানমন্ত্রী বিংশ শতাব্দীর চাহিদাই বুঝে উঠতে পারেননি।” তুষ্টিকরণের রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা সংবিধান বুকে নিয়ে ঘোরেন, তাঁরা মুসলিম মহিলাদের দুর্দশা দেখতে পেতেন না। আমরা তিন তালাক প্রথা বাতিল করে মুসলিম মহিলাদের স্বস্তি দিয়েছে।” মহাত্মা গান্ধীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “যাঁরা পিছিয়ে রয়েছে, তাঁদের দিকে প্রথমে নজর (Budget Session) দিতে হবে।” বিজেপি বিষের রাজনীতি করে না বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

  • Delhi Elections 2025: “দিল্লিতেও উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Delhi Elections 2025: “দিল্লিতেও উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে,” বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বসন্ত পঞ্চমীর আগমনের সঙ্গে যেভাবে ঋতুর পরিবর্তন হয়, ঠিক তেমনি দিল্লিতেও একটি উন্নয়নের নতুন বসন্ত শুরু হবে।” নয়াদিল্লির (Delhi Elections 2025) আরকে পুরমে আয়োজিত এক সভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    আপকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Delhi Elections 2025)

    সোমবার নয়াদিল্লিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনায় আম আদমি পার্টিকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপ সরকার শুধুমাত্র ভালো নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদেরই নবম শ্রেণির পর এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়, যাতে তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি শুনেছি, দিল্লিতে তারা (আপ সরকার) নবম শ্রেণির পর শিক্ষার্থীদের এগোতে দেয় না। শুধুমাত্র যাদের পাস করার নিশ্চয়তা আছে, তারাই যেতে পারে। কারণ যদি তাদের ফল খারাপ হয়, তাহলে সরকারের সুনাম নষ্ট হবে। এই কারণে খুবই অসৎ কাজ করা হয়।”

    ১১ বছর নষ্ট

    তিনি বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে উন্নয়নের নতুন বসন্ত আসতে চলেছে। এবার দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হতে চলেছে। ‘আপ-দা পার্টি’ ১১ বছর নষ্ট করেছে। আমার সবচেয়ে বড় অনুরোধ হল, আমাদের দিল্লির জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হোক। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের প্রতিটি সমস্যার সমাধানে আমি যে কোনও সীমা পর্যন্ত যেতে প্রস্তুত। দিল্লিতে একটি ডবল-ইঞ্জিন সরকার আসবে, যা প্রতিটি গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনকে সমৃদ্ধ (Delhi Elections 2025) করবে।” তিনি বলেন, “বস্তিবাসীদের জন্য ৫ টাকায় পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। অটো চালক ও গৃহকর্মীদের জন্য একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে।” চালু কোনও কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অটোচালক ও গৃহকর্মীদের জন্য একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করা হবে, যা তাদের জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা কভারেজ প্রদান করবে। বিজেপি সরকার শিশুদের স্কুলের ফি দিয়েও সহায়তা করবে।” তিনি বলেন, “আমি আরও একটি গ্যারান্টি দিচ্ছি। এই আপ-দা লোকেরা মিথ্যা প্রচার করছে। দিল্লির একটি (PM Modi) বস্তিও ভাঙা হবে না। দিল্লির জনগণের জন্য চালু থাকা কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিও বন্ধ করা হবে না (Delhi Elections 2025)।”

     

LinkedIn
Share