Author: user

  • Ramakrishna 48: “হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি”

    Ramakrishna 48: “হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে নরেন্দ্রাদি অন্তরঙ্গ ও অন্যান্য ভক্তসঙ্গে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    দক্ষিণেশ্বরে কেদারের উৎসব

     ওস্তাদটি বেশ গান গাহিয়াছিলেন। ঠাকুর (Ramakrishna) প্রসন্ন হইয়াছেন। তাঁহাকে বলিতেছেন, যে মানুষে একটি বড় গুণ আছে, যেমন সঙ্গীতবিদ্যা, তাতে ঈশ্বরের শক্তি আছে বিশেষরূপে!

    ওস্তাদ—মহাশয়, কি উপায়ে তাঁকে পাওয়া যায়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তিই সার, ঈশ্বর তো সর্বভূতে আছেন; তবে ভক্ত কাকে বলি? যার মন সর্বদা ঈশ্বরেতে আছে। আর অহংকার অভিমান থাকলে হয় না। আমি রূপ ঢিপিতে ঈশ্বরের কৃপারূপ জল জমে না, গড়িয়ে যায়। আমি যন্ত্র।

    (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সব পথ দিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়। সর্ব ধর্মই সত্য। ছাদে উঠা নিয়ে বিষয়। তা তুমি পাকা সিঁড়ি দিয়েও উঠতে পার; কাঠের সিঁড়ি দিয়েও উঠতে পার; বাঁশের সিঁড়ি দিয়েও উঠতে পার; আর দড়ি দিয়েও উঠতে পার। আবার একটি আছোলা বাঁশ দিয়েও উঠতে পার।

    যদি বল, ওদের ধর্মে অনেক ভুল, কুসংস্কার আছে, আমি বলি, তা থাকলেই বা, সকল ধর্মেই ভুল আছে। সব্বাই মনে করে আমার ঘড়িই ঠিক যাচ্ছে। ব্যাকুলতা থাকলেই হল; তাঁর উপর ভালবাসা, টান থাকলেই হল। তিনি যে অন্তর্যামী, অন্তরের টান ব্যাকুলতা দেখতে পান। মনে কর, এক বাপের অনেকগুলি ছেলে, বড় ছেলেরা কেউ বাবা, কেউ পাপা—এই সব স্পষ্ট বলে তাঁকে ডাকে। যারা ‘বা’ কি ‘পা’ পর্যন্ত বলতে পারে—বাবা কি তাদের উপর রাগ করবেন? বাবা জানেন যে, ওরা আমাকেই ডাকছে তবে ভালকরে উচ্চারণ করতে পারে না। বাপের কাছে সব ছেলেই সমান।

    আবার ভক্তেরা তাঁকেই নানা নামে ডাকছে; এক ব্যক্তিকেই ডাকছে। এক পুকুরের চারটি ঘাট। হিন্দুরা জল খাচ্ছে একঘাটে বলছে জল; মুসলমানরা আর-এক ঘাটে খাচ্ছে বলছে পানি; ইংরেজরা আর-একঘাটে খাচ্ছে বলছে ওয়াটার; আবার অন্যলোক একঘাটে বলছে aqua।

    এক ঈশ্বর (Ramakrishna) তাঁর নানা নাম।

    আরও পড়ুনঃ “সচ্চিদানন্দলাভ হলে সমাধি হয়, তখন কর্মত্যাগ হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ “তিনি দাঁড়াইলে ঠাকুর বলিলেন, বলরাম! তুমি? এত রাত্রে?”

    আরও পড়ুনঃ “পাপ করলে তার ফল পেতে হবে! লঙ্কা খেলে তার ঝাল লাগবে না?”

    আরও পড়ুনঃ “ব্যাকুলতা না এলে কিছুই হয় না, সাধুসঙ্গ করতে করতে ঈশ্বরের জন্য প্রাণ ব্যাকুল হয়”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • EVM: ‘‘ইভিএম হ্যাক হতে পারে’’, ইলন মাস্কের মন্তব্যের কী জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    EVM: ‘‘ইভিএম হ্যাক হতে পারে’’, ইলন মাস্কের মন্তব্যের কী জবাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই ভারতে শেষ হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে ইভিএম-এর মাধ্যমে। সেই ইভিএম (EVM) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন টেসলা কর্তা ইলন মাক্স। এক্স-এর মালিকের মতে, ইভিএমও হ্যাক হতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-র মাধ্যমে অথবা মানবিক বুদ্ধির মাধ্যমে ইভিএমকে হ্যাক করা সম্ভব। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে। ইলন মাস্কের দাবিকে নস্যাৎ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইলন মাক্সের এই মত আমেরিকার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। কারণ সেখানে ইভিএম-এর সঙ্গে ইন্টারনেটের যোগ থাকে। কিন্তু ভারতে ব্যবহৃত ইভিএম আলাদাভাবে তৈরি করা হয় এবং এখানে ইভিএম-এর সঙ্গে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট কোনও কিছুরই যোগ থাকে না।

    মাস্কের ট্যুইট

    ইভিএম হ্যাক নিয়ে ইলন মাস্ক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘আমাদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM)  ব্যবহার করা উচিত নয়। মানুষ বা এআই দ্বারা হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তার ফল হতে পারে খারাপ।’’

    ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জবাব

    ইলেন মাস্কের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক্স মাধ্যমে টেসলা কর্তাকে ট্যাগ করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের দাবি, এটা এমন একটা বার্তা যাতে মনে হচ্ছে কেউ কোনদিন সুরক্ষিত ডিজিটাল হার্ডওয়ার তৈরি করতেই পারবে না। এর পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টেসলা কর্তাকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, তিনি অত্যন্ত খুশি হবেন যদি তিনি ইলন মাস্ককে শেখাতে পারেন যে কীভাবে সুরক্ষিত ইভিএম (EVM)  তৈরি করা হয়। প্রসঙ্গত, ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের নানা দাবিকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার নস্যাৎ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ইভিএমকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ইভিএম-এর ভোট সম্পূর্ণভাবে স্বচ্ছ বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: ফ্রিজে গোমাংস, মধ্যপ্রদেশে চলল বুলডোজার অ্যাকশন

    Madhya Pradesh: ফ্রিজে গোমাংস, মধ্যপ্রদেশে চলল বুলডোজার অ্যাকশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোমাংস পাচারের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ১১ টি বাড়িতে চলল বুলডোজার অ্যাকশন। মধ্যপ্রদেশের সরকারি জমিতে তৈরি ১১ টি বাড়ির ডিপ ফ্রিজে গো-মাংস পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশে গরু নিধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং গো-মাংসের কারবার বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।

    >

    ১৫০ টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ (Madhya Pradesh)

    জানা গিয়েছে পুলিশ গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মন্ডলার ভানিওয়াহি এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই এলাকায় জবাই করার জন্য গরু (Cow Meat Smuggling) নিয়ে আসা হয়েছে। বাড়ির পিছনের উঠোন থেকে বাঁধা অবস্থায় প্রচুর গরু উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর অন্তত ১৫০ টি গরু ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এরপর যেই বাড়ির পেছনে গরু বাঁধা ছিল সেই সমস্ত বাড়িতে ঢুকে পড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। দেখা যায় বিশাল আকৃতির ডিপ ফ্রিজ গুলি থেকে মাংস উদ্ধার হয়। মাংসগুলো গরুর কী না নিশ্চিত করার জন্য পশু চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মাংসের নমুনা হায়দ্রাবাদে পাঠানো হয়েছে এছাড়াও ওই বাড়িগুলি থেকে পশুর চর্বি, চামড়া ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।

    গো অপরাধের শীর্ষে ভানিওয়াহি

    এই ঘটনায় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি বাড়িওয়ালাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। যে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের সম্বন্ধে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে ১৫০টি গরুকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরেই বুলডজার অ্যাাকাশান শুরু হয় প্রশাসনের।

    আরও পড়ুন: পিএম কিষান প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবেন প্রধানমন্ত্রী

    সরকারি জমিতে গজিয়ে ওঠা ওই বাড়িগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সরকারি জমিতে অবৈধ কাজ  বর্দাস্ত করা হবে না জানিয়েছে প্রশাসন। ভানিওয়াহি এলাকায় সম্প্রতি গরু পাচার চরমে পৌঁছয়। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) আইন অনুযায়ী গরুর নিধনের ক্ষেত্রে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hikes fuel prices: পেট্রোল-ডিজেলের সেলস ট্যাক্স ৩ টাকা বাড়াল কর্নাটক সরকার, প্রতিবাদ বিজেপির

    Hikes fuel prices: পেট্রোল-ডিজেলের সেলস ট্যাক্স ৩ টাকা বাড়াল কর্নাটক সরকার, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ল (Hikes fuel prices) যথাক্রমে ৩ টাকা ও ৩.০২ টাকা। রবিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, অবিলম্বে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে হবে, নয়তো তারা রাস্তায় নামবে। জানা গিয়েছে, কর্নাটক সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের ওপরে সেলস ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এমন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকার পেট্রোলের ওপর সেলস ট্যাক্স ২৫.৯২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করেছে ২৯.৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ডিজেলের ক্ষেত্রে সেলস ট্যাক্সের পরিমাণ ১৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮.৪ শতাংশ।

    প্রতিবাদ বিজেপির 

    কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকারের এমন সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই অবিলম্বে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর (Hikes fuel prices) দাবি জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিওয়াই বিজয়নেন্দ্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অবিলম্বে দাম কমানো না হলে তাঁরা রাজ্যব্যাপী আন্দোলন শুরু করবেন। সোমবার থেকে এই নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই জানা যাচ্ছে। সোমবারে কর্নাটকের সমস্ত জেলা ও অন্যান্য জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা রীতিমতো অভিযোগ করেছেন, কংগ্রেস নিজেদের আসল চেহারা দেখাতে শুরু করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, কংগ্রেস একই মুখে বলে যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে, অথচ যে রাজ্যে তারা ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায়।

    অখুশি রাজ্যের সাধারণ মানুষও

    কংগ্রেসকে নিশানা করে বিজেপি মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, কংগ্রেসের এমন সিদ্ধান্ত কৃষক বিরোধী, সাধারণ মানুষের বিরোধী এবং এটি এক ধরনের ফতোয়া। কর্নাটকের গাড়িচালকদেরও বড় অংশ কংগ্রেস সরকারের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বেঙ্গালুরুর এক বাইকার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধনীরা পেট্রোল কিনতে পারবে কিন্তু তাঁরা কোথায় যাবেন। প্রতিমাসে বিপুল বাড়তি খরচ (Hikes fuel prices) তাঁরা কোথা থেকে পাবেন, এমন প্রশ্নও তুলেছেন ওই গাড়ি চালক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ice Cream: আঙুলের পর আইসক্রিমে বিষাক্ত বিছে! ঢাকনা খুলতেই কিলবিল করে উঠল

    Ice Cream: আঙুলের পর আইসক্রিমে বিষাক্ত বিছে! ঢাকনা খুলতেই কিলবিল করে উঠল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই আইসক্রিম (Ice Cream) থেকে বেরিয়েছিল কাটা আঙুল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আইসক্রিমের প্যাকেট থেকে বের হল আরও এক মারাত্মক জিনিস। কার্যত ঢাকনা খুলতেই দেখা গেল মস্ত একটি বিছে। যিনি অর্ডার করেছিলেন দেখেই ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। এরপর ভিডিও করে সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করেন।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Ice Cream)?

    চলতি সপ্তাহেই মুম্বইতে এক মেয়ে আইসক্রিম (Ice Cream) বক্স খুলে কাটা আঙুল পেয়েছিলেন। ঠিক তার কয়েকদিন যেতে না যেতেই আইসক্রিমের মধ্যে দেখা গেল বিছে। ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের নয়ডার সেক্টর ১২ এলাকায়। দীপা নামে এক মহিলা ব্লিনকিট থেকে আমূলের একটি আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু বক্সের ঢাকনা খুলতেই দেখা যায় ভিতরে বরফে রয়েছে একটি বড় মাপের বিছে। এরপর তিনি দেখেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন। তারপর অনলাইনে ব্লিনকিটে অভিযোগ করেন। যদিও ডেলভারি সংস্থার তরফ থেকে আইসক্রিমের দাম ফেরৎ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দীপা নিজের পাঁচ বছরের ছেলেকে ম্যাংগো শেক খাওয়ানোর জন্য অর্ডার করেছিলেন আইসক্রিম। কিন্তু ছেলের বায়না মেটাতে যা ঘটল তা দেখে ভীষণভাবে স্তম্ভিত পরিবার।

    মহিলার বক্তব্য

    দীপা বলেছেন, “ব্লিনকিটের তরফে আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে আমূল সংস্থাকে (Ice Cream) অভিযোগ জানানো হবে। তবে এখনও পর্যন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা হয়নি। কিন্তু এই রকম ঘটনা আমাদের দারুণ ভাবে আতঙ্কিত করছে। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে খাবার খাওয়াটা বিপদজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ“পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    আগে আঙুল পাওয়া গিয়েছিল

    দিন কয়েক আগেই মুম্বইয়ে এক যুবতী আইসক্রিমের (Ice Cream) ভিতর থেকে মানুষের আঙুল পান। চিকিৎসক ওই যুবতী পশ্চিম মালাডের বাসিন্দা ছিলেন। একটি দোকান থেকে আইসক্রিম অর্ডার করেছিলেন। যখন কামড় বসাতে গেলেন তখন চোখে পড়ল আইসক্রিমের মধ্যে নখ সমেত কাটা আঙুল। ঘটনার ভিডিও করে সামজিক মধ্যমে পোস্ট করতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই যুবতী মালাড থানায় গোটা বিষয়টি জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    BJP Core Committee Meeting: ভোটের ফল নিয়ে সাংগঠনিক ৫টি জোনে আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে রাজ্য বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে এরাজ্যে বিজেপির আশানুরূপ ফল হয়নি। বিজেপির ফলাফল পর্যালোচনার (BJP Core Committee Meeting) জন্য শনিবারই কলকাতায় দলের কোর কমিটির বৈঠক বসেছিল। সূত্রের খবর, শনিবারের সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে সাংগঠনিকভাবে সমীক্ষা চালিয়ে ফলাফল বিশ্লেষণ করা হবে। প্রসঙ্গত এ রাজ্যের সাংগঠনিক কাজ করার জন্য বিজেপির পাঁচটি জোন রয়েছে, সেগুলি হল- উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঁচটি জোনেই আলাদা আলাদা ভাবে সমীক্ষা চালাবে দল। এর পাশাপাশি কেন বিজেপির ফল এমন হল? তা খোঁজা হবে। এই সমস্ত বৈঠকগুলিতে হাজির থাকবেন লোকসভার প্রার্থীরা এবং সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিরা।

    কারা হাজির ছিলেন বৈঠকে?

    শনিবারের ওই বৈঠকে (BJP Core Committee Meeting) আরও স্থির হয়েছে সাংগঠনিকভাবে এই গোটা প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করবেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। শনিবার বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি পাঁচ জন সাধারণ সম্পাদক- জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং দীপক বর্মনও ছিলেন এই বৈঠকে। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও হাজির ছিলেন। উত্তরবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী হাজির ছিলেন না এই বৈঠকে।

    ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ও উপনির্বাচন নিয়েও আলোচনা

    বিজেপি সূত্রে (BJP Core Committee Meeting) জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের পরে কর্মীদের ওপর আক্রমণের খবর ঘন ঘন আসছে এবং বৈঠকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতিতে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে সংগঠন এবং প্রার্থীদের। আগামী ১০ জুলাই রয়েছে রাজ্যের চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন রয়েছে। শনিবারের বৈঠকে সে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তিনজন প্রার্থীর নাম বাছা হয়েছে। অর্থাৎ চার কেন্দ্রে মোট ১২ জনের নাম আজই তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে। সেখান থেকে প্রার্থী বাছবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    শনিবার বঙ্গ বিজেপির বৈঠকের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এবারও অন্তত তিনটি আসন (বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ ও রায়গঞ্জ) দখলে রাখব। চারটি আসনেও জিততে পারি। মানিকতলাতে আমরা মাত্র তিন হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছি। সেটাও শুধুমাত্র হয়েছে শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর বদমায়েশি ও গুন্ডামির জন্য। শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু টাইট হলে পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে কুণ্ডুবাবুরও জেনে রাখা উচিত, একদিন না একদিন ওঁরও সময় আসবে।’’

    কেন ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন

    প্রসঙ্গত, রানাঘাট দক্ষিণে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। লোকসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ও রানাঘাট আসন থেকে প্রার্থী হয়ে পরাস্ত হন। অন্যদিকে রায়গঞ্জে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। পরে দল বদলান। তিনিও এবারের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কিন্তু পরাস্ত হন। বাগদা বিধানসভার আসনটি খালি হয়েছে সেখানকার বিশ্বজিৎ দাস লোকসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য। প্রসঙ্গত বাগদা বিধানসভাও ২০২১ সালে বিজেপি নিজেদের দলে রেখেছিল। পরে দলবদল করেন বিশ্বজিৎ। অন্যদিকে সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরে খালি হয় মানিকতলা আসন। দু’বছর ধরে কোর্টে মামলা চলার পরে অবশেষে সেখানে উপনির্বাচন হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    Jiban Krishna Saha: “পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা”, জেলখাটা জীবনকৃষ্ণের পোস্টে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। এবার তাঁর একটি পোস্ট করা লেখাকে ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তিনি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়ে লেখেন, “পদ মানে ক্ষমতা নয়। পদ মানে দায়িত্ব। পদ মানে লুটেপুটে খাওয়া নয়, লোককে সেবা করা। এটা ভুলে গেলে আসে অহংকার। তারপর পতন।” এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। তবে মাধ্যম এই ভাইরাল বার্তালাপের সত্যতা যাচাই করেনি।

    কেন এই পোস্ট (Jiban Krishna Saha)?

    তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে এই পোস্ট করে কী বার্তা দিতে চাইছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্টতা আসেনি। কেউ কেউ বলছেন তা হলে কি চৈতন্য উদয় হয়েছে বিধায়কের? কারণ তৃণমূলের একাংশের লোকজন মনে করছেন, তাঁর জেলে যাওয়া প্রসঙ্গে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই খুন্ন হয়েছে। তবে এমন হওয়াটা কাম্য ছিলনা। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া এবং প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। নিজেকে স্বচ্ছ এবং নির্দোষ প্রমাণ করতেই এই পোস্ট করেছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিধায়কের উত্তর পাওয়া যায়নি।

    পুকুরে মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নিজের বাড়ি থেকে রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। যখন তদন্তকারী অফিসারেরা বাড়িতে তল্লাশি করছিলেন, সেই সময় পাঁচিল টপকে পুকুরে নিজের মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন। পরে কার্যত ২ দিন ধরে পুকুরের জল তুলে সেই মোবাইল উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর থেকে জেলে ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃউত্তরবঙ্গে তিন জেলায় লাল সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, তীব্র গরমে নাজেহাল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha) নিজে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর মোবাইল থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। চাকির বিক্রি করার বিষয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তার চ্যাট পাওয়া গিয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন খারিজ হয় সেখানে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে গেলে তাঁর জামিন গৃহীত হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে নিজের বিধানসভার বাইরে যেতে পারবেন না জীবনকৃষ্ণ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে তিন জেলায় লাল সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, তীব্র গরমে নাজেহাল

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে তিন জেলায় লাল সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই, তীব্র গরমে নাজেহাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ যেখানে বানভাসি, সেখানে দক্ষিণবঙ্গ গরমে নাজেহাল! চাতকের মতো প্রহর গুনছেন মানুষ। ইতিমধ্যে রবিবার উত্তরের তিন জেলায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাহাড় লাগোয়া অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কথা জানিয়েছে হাওয়া ওফিস (Weather Update)। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি। আগামী মঙ্গলবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গে সতর্কতা (Weather Update)!

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতি বার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ (Weather Update) চলবে। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। তবে কোথাও কোথাও তার চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে রবিবার এবং সোমবারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই ভাবে দার্জিলিং, কালিম্পঙেও ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় সোমবার পর্যন্ত বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া চলবে। তবে এই তিন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ নেই।

    আরও পড়ুনঃহিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবেন?

    দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেনি

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা (Weather Update) প্রবেশ করেনি। রবিবার থেকে সব জেলায় বর্ষার আগের অনুকুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। আজ সকালের পূর্বাভাসে জানা গিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদবাদে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও গরমের অস্বস্তি বজায় থাকবে। মঙ্গলবারের আগে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই। মঙ্গলবার থেকে সব জেলায় বৃষ্টি হবে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আবার কোথাও কোথাও হাওয়ার বেগ ৪০ থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। চলতি সপ্তাহের শেষে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে। রবিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। অপর দিকে শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • K. D. Singh: লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা! উত্তরপ্রদেশে মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিং

    K. D. Singh: লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণা! উত্তরপ্রদেশে মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কে ডি সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লগ্নিকারীদের সঙ্গে প্রতারণার করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিং-এর (K. D. Singh) বিরুদ্ধে। মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল বিউরো অফ ইনভেস্টিগেশন। কে ডি সিং ছাড়াও আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলায় লগ্নিকারীদের ঠকানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ অ্যালকেমিস্ট রিয়েলিটি (Alchemist Reality) এবং অ্যালকেমিস্ট টাউনশিপ লিমিটেডের (Alchemist Township Project) আওতায় ২০০৯ সালে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। এই দুটি কোম্পানিতে যারা বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এর আগেও ভুঁইফোড় সংস্থা খুলে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। নতুন মামলায় ফের বিপাকে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ।

    বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারনার অভিযোগ  (K. D. Singh)

    জানা গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের  ১৮% বার্ষিক রিটার্ন এবং বিনিয়োগের পরিমাণ অনুসারে জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ উঠছে হাজারো বিনিয়োগকারীকে না জমি দেওয়া হয়েছে, না তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ অবধি বিনিয়োগকারীরা তাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ছিলেন। এবছর কোম্পানির (Alchemist) আধিকারিকদের উপর বিনিয়োগকারীরা টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করতেই কোম্পানি দফতর গুটিয়ে পালায়, এমনটাই এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে। কে ডি সিং  (K. D. Singh) ছাড়া আর বাকি ৬ জন অভিযুক্ত কোম্পানির ডিরেক্টর এবং অফিসের আধিকারিক বলে জানা গিয়েছে।

    পশ্চিমবঙ্গেও মামলা রয়েছে কে ডি সিং-এর বিরুদ্ধে  (K. D. Singh)   

    অ্যালকেমিস্ট এর বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে মামলা হওয়ার আগে পশ্চিমবঙ্গে একাধিক মামলা রয়েছে (K. D. Singh)  তাঁর বিরুদ্ধে। সারদা রোজভ্যালি ছাড়া অ্যালকেমিস্ট সংস্থাও সেবি’র কালো তালিকাভুক্ত ভুঁইফোড় সংস্থা বলে  চিহ্নিত হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গেও আলকেমিস্টের ফাঁদে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ সর্বস্ব খুইয়েছেন। “যে ব্যক্তি চিট ফান্ড খুলে বহু মানুষকে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ তাঁকেই একদা তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    সারদা চিটফান্ড সহ অন্যান্য মামলা এখন স্মৃতির অতলে চলে গিয়েছে। নতুন যে মামলা হয়েছে তাতে যেন যারা সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে তাঁদের সঙ্গে যাতে ন্যায় বিচার হয়।” বলছেন বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন চার বিজেপির প্রবীণ নেতা। তাঁরা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত একাধিক এলাকায় যাবেন। হিংসায় আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং এরপর সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে বিশেষ রিপোর্ট তুলে ধরবেন।

    কোথায় কোথায় যাবে দল (BJP)?

    রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসা একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্যের মতো বাকি অন্য রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র এরকম আর দেখা যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছে বিজেপির প্রতিনিধি দল প্রথমে যাবে মাহেশ্বরী সদনে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ‘ঘর ছাড়া’ এবং ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলবেন দলের সদস্যরা। এরপর সোমবার হিংসা কবলিত এলাকা এবং মানুষের জন-জীবন খতিয়ে দেখতে, রাজ্য বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি, বাসন্তী ঘুরে দেখবেন সদস্যরা। এরপর দলের সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে, ওই দিন রাতেই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এরপর সেখানে হিংসা কবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে আবার দিল্লি ফিরে যাবেন।

    বিজেপির দাবি

    লোকসভা নির্বাচনের পর এই রাজ্যে কেবল মাত্র ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার কারণ বিশ্লেষণ এবং হিংসার পরিমাণ কতটা ভয়াবহ, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিজেপি (BJP) এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। দলের সদস্যদের নির্বাচন করেছেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শনিবার দিল্লির সদর দফতর থেকে এই নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে এই চার সদস্য দলের মধ্যে রয়েছেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ কবিতা পাতিদার। চার সদস্যের এই দল ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তুলে দেবেন।

    “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রেস বিবৃতির বক্তব্য

    বিজেপি (BJP) এই রাজ্যের হিংসা সম্পর্কে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গোটা দেশে এবার লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে। অথচ কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বাংলায় হিংসার ঘটনা অব্যহত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share