Author: user

  • PM Modi: অফিসে গিয়ে প্রথমেই কিষান নিধি প্রকল্পের কিস্তির ফাইলে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: অফিসে গিয়ে প্রথমেই কিষান নিধি প্রকল্পের কিস্তির ফাইলে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের কাজই যে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান, ভারতবাসীর কল্যাণই যে নিরন্তর সাধনা, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৯ জুন, রবিবার প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিয়েছেন এনডিএর সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি।

    অফিসে প্রথম দিন মোদির (PM Modi)

    সোমবার প্রথম অফিস করেন তিনি। এদিন অফিসে প্রথম যে কাজটি করলেন প্রধানমন্ত্রী, সেটি হল পিএম কিষান নিধি প্রকল্পের সপ্তদশ ইনস্টলমেন্টে স্বাক্ষর। এর ফলে উপকৃত হবেন ৯.৩ কোটি কৃষক। তাঁদের মধ্যে বিলি করা হবে ২৯ হাজার কোটি টাকা। শপথ নেওয়ার পর এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যান সাউথ ব্লকে, অফিসে। সেখানেই তিনি স্বাক্ষর করেন পিএম কিষান নিধি প্রকল্পে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়ে কিষান নিধি প্রকল্প চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কৃষক কল্যাণ

    কৃষক কল্যাণে তাঁর সরকার যে দায়বদ্ধ, এনডিএ সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এদিন কিষান নিধি প্রকল্পে সপ্তদশ ইনস্টলমেন্টে স্বাক্ষর করে তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নানা সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, তাঁর সরকার পুরোপুরি কৃষকদের প্রতি দায়বদ্ধ। এদিন ফাইলে স্বাক্ষর করে তিনি বলেন, “আমাদের সরকার কিষান কল্যাণে পুরোপুরি দায়বদ্ধ। তাই দায়িত্ব নিয়েই আমি প্রথম যে ফাইলটিতে সই করলাম, সেটি কৃষক কল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি আরও বেশি করে কৃষক এবং কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করে যাব।”

    আর পড়ুন: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা,” অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬তম কিস্তির টাকা পাওয়ার দিন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে সরকার ৯ কোটিরও বেশি কৃষকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ১৫তম কিস্তির টাকা ঢুকেছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় বন্ধ ছিল ওই প্রকল্পে বরাদ্দ। নির্বাচন-পর্ব সাঙ্গ হতেই এ সংক্রান্ত ফাইলে সই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূলের অত্যাচারে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, দোকানে তালা”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। সোমবার ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আমতলায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের বাড়িতে রয়েছেন ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা। সেখানে গিয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    আক্রান্ত ঘরছাড়া কর্মীদের নামের তালিকা, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নেতৃত্বের কাছ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিয়ে নেন। ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় বাড়ি গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন, তার জন্য অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বাধীনভাবে যাতে কাজ করতে পারে এবং আগামী দুর্গাপুজো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রাখা হয়, সেই আবেদনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে রাখা হয়েছে বলে বিরোধী দলনেতা জানান। শুভেন্দু বলেন, “এই লুটের ভোটের শেষ দেখে ছাড়ব। তবে, এই বিষয়টি আজকে বলছি না, আগামী বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবো। চারটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করব।” তারমধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ দাস থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    এক হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, ছশো কর্মীর দোকানে তালা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সাংবাদিকরা পর্যন্ত নিজেদের ভোট দিতে পারেননি। এর আগেও এই কেন্দ্রে সৌমেন মিত্র, শমীক লাহিড়ীর মতো নেতারা ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁরা তো অত ভোট পাননি। আর তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) এত বড় নেতা যে তিনি ৭ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়ে গেলেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” আর তৃণমূলের সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১০০০ বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। ৬০০ কর্মীর দোকানে তালা ঝোলানো হয়েছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া। আক্রান্ত সকল কর্মীর পাশে রয়েছে বিজেপি। এদিন সকলের অভাব-অভিযোগ শুনতে এসেছি। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wishes for Pm Modi: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় বার সরকার গড়ার শুভেচ্ছা জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

    Wishes for Pm Modi: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তৃতীয় বার সরকার গড়ার শুভেচ্ছা জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে বিপর্যস্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জাস্টিন ট্রুডো অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রুডোর অফিস থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, “মোদি বলেছিলেন যে ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কানাডার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।”

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানালেন ট্রুডো

    গত বছর ট্রুডো যখন খালিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন তখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনমন হয়। ভারত এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাল্টা বার্তায় ট্রুডোকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন “অভিনন্দন বার্তার জন্য @CanadianPM আপনাকে ধন্যবাদ। ভারত পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং একে অপরের উদ্বেগের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কানাডার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।” সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ৬ জুন একটি পোস্টে, ট্রুডোর অফিস বলেছে, যে কানাডা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তার সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। “ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর নির্বাচনী বিজয়ের জন্য অভিনন্দন। কানাডা সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। মানবাধিকার, বৈচিত্র্য এবং আইনের শাসনের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ”

    নিজ্জার মামলার তথ্য জানায়নি কানাডা দাবি নয়া দিল্লির

    প্রসঙ্গত গত মাসে কানাডা নিজ্জার হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তারের কথা ভারতকে জানায়। নয়াদিল্লি, এদিকে,দাবি করেছে যে কানাডা “আজ পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট বা প্রাসঙ্গিক প্রমাণ বা তথ্য ভারতের সঙ্গে ভাগ করেনি”। গত সপ্তাহে, একটি কানাডিয়ান সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কানাডার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলির জন্য “দ্বিতীয়-সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদেশী হস্তক্ষেপের হুমকি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত”। প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ভারতের কথিত বিদেশী হস্তক্ষেপ কানাডায় “খালিস্তানপন্থী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের বাইরেও প্রসারিত হয়েছে”। ৯২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ৪৪ বার ‘ভারত’ উল্লেখ করা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানানোর একদিন পরে এই প্রতিবেদনটি এসেছে। অর্থাৎ ভারতের সঙ্গে নরমে গরমে সম্পর্ক রাখতে চায় কানাডা। যদিও সরকারে এসে পাল্টা কৌশল নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wishes for PM Modi on Third Term: পাকিস্তানের বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মোদিকে শুভেচ্ছা

    Wishes for PM Modi on Third Term: পাকিস্তানের বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মোদিকে শুভেচ্ছা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নওয়াজ শরিফ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ সোমবার তৃতীয়বারের মত কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নওয়াজ সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন যে, “লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে জনগণের আস্থা প্রতিফলিত করে এবং আশা করি ঘৃণার বদলে শান্তি আসবে। তৃতীয়বারের মত দায়িত্ব নেওয়ায় মোদীজিকে আমার উষ্ণ অভিনন্দন (Wishes for PM Modi on third term)। সাম্প্রতিক নির্বাচনে আপনার দলের সাফল্য আপনার নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা প্রতিফলিত করে। আসুন ঘৃণাকে আশা দিয়ে প্রতিস্থাপন করি এবং দুই বিলিয়ন মানুষের ভাগ্য গঠনের সুযোগটি কাজে লাগাই। দক্ষিণ এশিয়ার,” তিনি সমাজ মাধ্যম X এ লেখেন।

    পাকিস্তানে বর্তমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানালেন (Wishes for PM Modi on third term)

    পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ এক সপ্তাহ আগে একটি বিবৃতিতে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানানো এখনও খুব দ্রুততা হবে। এখন পাক প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন (Wishes for PM Modi on third term) জানানোয় জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানান। প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিবেশী দেশ এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।


    অতীতে ব্যর্থ ভারতের শান্তির প্রয়াস

    ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক সবসময় হিমশীতল ছিল, কিছু ক্ষেত্রে উভয় দেশের নেতারা (Wishes for PM Modi on third term) সংঘাত কমানোর জন্য একসঙ্গে বসেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে “অমন কি আশা” বাংলায় বলতে গেলে শান্তির প্রয়াস। পাকিস্তানের সেনার রুজি রুটির সঙ্গে জড়িত জঙ্গি কার্যকলাপ।

    আরও পড়ুন: “একযোগে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ”, মোদিতে আস্থা রেখে বার্তা হাসিনার

    তাই আমন্ত্রণ তালিকা থেকে শেহবাজ শরীফকে বাদ দেওয়া দুই দেশের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনাকে প্রতিফলিত করে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৯৩ টি আসন পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদি টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য শপথ নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘শাহজাহান-কর’ দিতে না পেরে ইটভাটা বিক্রি করেন একাধিক মালিক, আদালতে দাবি ইডির

    Sandeshkhali: ‘শাহজাহান-কর’ দিতে না পেরে ইটভাটা বিক্রি করেন একাধিক মালিক, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের তৃণমূল দল লোকসভার ভোটে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও, এখনও গলার কাঁটা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তিনি নাকি এলাকায় ‘শাহজাহান-কর’ চাপিয়েছিলেন। ইটভাটার মালিকদের উপর এই করের জুলুমবাজির জন্য বাধ্য হয়ে ভাটা বিক্রি করতে হয়েছে। এমনটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে আদালতে। বসিরহাটে শাসক দল তৃণমূল জয়ী হলেও, তৃণমূল নেতার এই কয়লা পাচারের তথ্য রাজনীতির আঙিনায় শোরগোল ফেলেদিয়েছে।

    ইটভাটা মালিকের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অনেক ইটভাটার মালিক ইডির অফিসারদের কাছে তোলাবাজির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। এক ভাটার মালিক জানিয়েছেন, “দাদার হুকুম মেনে ওঁদের কাছ থেকেই কয়লা কিনতে হতো।” প্রত্যেক ইটভাটার মালিকদের এই কর দিতে হতো। ভাটা চালাতে গেলে যে কয়লা লাগে, তা বলপূর্বক কিনতে হতো এই তৃণমূল নেতার কাছ থেকেই। এমনকী দাম বেশি দিয়ে খারাপ মানের কয়লাকেই ব্যবহার করতে হতো ভাটায়। এই ভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকায় করের বোঝায় ইটভাটা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ঠিক এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিন্তু রাজ্যের কয়লা পাচার মামলায় শাহজাহানের কথা না উঠে আসলেও এইবার কয়লা দুর্নীতিতে তাঁর নামের সূত্র পাওয়া গিয়েছে।

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রের খবর, শাহজাহানের হুকুম মানতে বাধ্য হতেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ও ন্যাজাটের ২৯টি ইটভাটা মালিকেরা। ইট ভাটার ব্যবসায় প্রচুর কয়লা লাগে। তাই কয়লার জোগানে সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন শাহজাহান। ইটভাটার মালিক রামালিক বার বার ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং আরও অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। ভাটার মালিকদের প্রতি টন পিছু ২-৩ হাজার টাকা শাহজাহানকে দিতে হতো। কিন্তু এই বিরাট খরচের বোঝা বহন না করতে পেরে ধামখালির দুটি ইটভাটার মালিক নিজেদের ভাটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    বিজেপির বক্তব্য

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেতা বিকাশ সিং বলেন, “আমরা অনেকবার বলে এসেছি, শেখ শাহজাহান অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ইডির তদন্তে সেগুলিই উঠে আসছে। ২০১৬ সাল থেকে কয়লার কারবারের দিকে চোখ ছিল তাঁর।“

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nawaz Sharif wishes Modi: শপথের পরেরদিন পড়শি দেশ থেকে এল শুভেচ্ছা বার্তা! মোদিকে অভিনন্দন নওয়াজ ও শেহবাজের

    Nawaz Sharif wishes Modi: শপথের পরেরদিন পড়শি দেশ থেকে এল শুভেচ্ছা বার্তা! মোদিকে অভিনন্দন নওয়াজ ও শেহবাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা তৃতীয়বার (PM 3.0) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি শপথ নেওয়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শুভেচ্ছা-বার্তা পেয়েছেন তিনি। এবার পাকিস্তান থেকেও এল শুভেচ্ছা-বার্তা। সোমবার পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও নওয়াজ শরিফ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তবে কি এবার পড়শি দেশের সঙ্গে শত্রুতা ঘুচবে ভারতের? মোদির জয়ে পাকিস্তানের এই শুভেচ্ছা বার্তায় আশার আলো দেখছেন অনেকেই। 

    শেহবাজ শরিফের শুভেচ্ছা বার্তা (Shehbaz Sharif) 

    সোমবার দুপুর ১২.৫৫ মিনিট নাগাদ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ একটি পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেই এক্স-বার্তায় মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন শরিফ। এক্স-বার্তায় তিনি লেখেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ (PM 3.0) নেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন।” 

    নওয়াজ শরিফের শুভেচ্ছা বার্তা (Nawaz Sharif wishes Modi)

    অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে নওয়াজ শরিফ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ” মোদিজি কে আমার উষ্ণ অভ্যর্থনা, তাঁর তৃতীয়বার (PM 3.0) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য।” 

    তবে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধানরা উপস্থিত থাকলেও পাকিস্তানের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। অথচ, ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর প্রথমবার যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মোদি, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেহবাজ শরিফের বড়ভাই এবং পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। তারপর দশ বছর ধরে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ। এখন দেখার ভবিষ্যতে দুই দেশের সমকরণ ঠিক কোন অবস্থায় থাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসা! বিজেপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Cooch Behar: কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসা! বিজেপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত কোচবিহারে (Cooch Behar)। জেলার তুফানগঞ্জ -২ ব্লকে বিজেপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের (Cooch Behar) গাবুয়ারডাঙা এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় রয়েছে। রবিবার রাতে সেই কার্যালয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনই অভিযোগ বিজেপির। ভেঙে ফেলা হয় কার্যালয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল। একটি টিভিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সোমবার বিজেপি কর্মীরা কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূলই এই হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপি কর্মীরা সরব হন। যদিও বিজেপির তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির (Cooch Behar) শালবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ দাস বলেন, “রবিবার রাত দশটা পর্যন্ত আমরা দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। সেখানে বৈঠক করছিলাম। কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পরই সেখানে তৃণমূল হামলা চালায়। আসলে আমাদের দলীয় কর্মসূচি ভেস্তে দিতেই তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ওরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” অন্যদিকে, শালবাড়ি-২ তৃণমূল অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান পরিমল কারজি বলেন, “কিছু দিন আগেই ওই এলাকায় সালিশি সভার নাম করে বিজেপির শক্তি প্রমুখ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর তার জেরেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল সব সময় এলাকায় শান্তিরক্ষার চেষ্টা করে আসছে। সবই বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    Murshidabad: “চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি”, দলের চেয়ারম্যানকে তোপ হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই ফের দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মু্র্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এতদিন ভোটের আগে ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এবার তাঁর আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন রেজিনগরের বিধায়ক তথা জেলার চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী। হুমায়ুনের বক্তব্য সামনে আসতেই তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি (Murshidabad)

    এমনিতেই বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভায় ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হতেই দলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। প্রার্থীর হয়ে খাটবেন না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ তাঁর মুখ বন্ধ করা সম্ভব হয়। এরপর ভোটপর্বে ‘লক্ষ্মীছেলে’ হয়েই থেকেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। দল বিড়ম্বনায় পরে, এমন কোনও কথা তাঁর মুখে অন্তত ভোটপর্বে শোনা যায়নি। তবে, ভোট মিটতেই আবারও দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন হুমায়ুন। হুমায়ুন বলেন, “ইউসুফকে জেতাতে আমাকে অনেক বাধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। জেলার সভাপতি বা জেলার যে নেতাদের হাতে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব ছিল, তাঁরা আমার এলাকায় প্রচারে পর্যন্ত আসতে দেননি ইউসুফকে। একদিন আনা হয়, তাও ভরদুপুরে। আমার যে বিধায়ক, যিনি দলের চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন, তিনি পর্যন্ত আমাদের মতো লোককে একদিনও বলেননি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোটটা করতে হবে। এমনকী একদিন আসা বা কোনওভাবে সহযোগিতা করা, চায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি। আমি নিজে যতটুকু পেরেছি, কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে কাজ করেছি।”

    আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ডাকাতি-ছিনতাই, চলল গুলি, এবারও টার্গেট সেই সেনকো গোল্ড, আতঙ্ক

    দলে প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আমার!

    হুমায়ুন আরও বলেন, “আমি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতির লোক। তাই মেনে নিয়েছি। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করেন, বকাঝকাও করেন। তবে, আমি মনে করি শাসন করার অধিকার তারই থাকে যিনি স্নেহও করেন। দলের মধ্যেও আমার প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বী আছে। তাঁরা চান না হুমায়ুন কবীর সম্মান নিয়ে দলে থাকুন। আমার ভোট করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, সেটাই বললাম।”

  • Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর মালদায় (Malda) ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়ল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একক ভাবে পেয়েছে ২৯টি আসন। কিন্তু মালদা উত্তর এবং দক্ষিণ দুই কেন্দ্রেই হেরেছে তৃণমূল। জেলার উত্তরের আসনে জয়ী বিজেপি এবং দক্ষিণে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এই হারের দায় নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ফাটল আরও স্পষ্ট হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Malda)?

    ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই সামজিক মাধ্যমে মালদা (Malda) জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা সমালোচনার কথা প্রকাশ করছিলেন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। একই সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা একাধিকবার জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই মালতিপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা সভাপতি নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। এই নিয়ে কে কোথায় কে কী করেছে তা বলা সম্ভব নয়। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা আলোচনায় বসবো। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে সব ঠিক করে নেব।”

    আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির জেলা (Malda) সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সর্বত্র। তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে কেউ মানতে চাইছেন না আর। গোটা মালদা জেলা জুড়েই এই ঘটনা ঘটছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ঘরছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী

    Post Poll Violence: ঘরছাড়া কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-এর ভয়ানক রাজনৈতিক রোগ ফিরে এসেছে ২০২৪-এ। ভোট মিটতেই শাসকদলের অত্যাচারে (Post Poll Violence) ঘরছাড়া হয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার কর্মী। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ বিজেপির সদস্য। এবার লোকসভা ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় ঘর ছাড়াদের নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার আদালতে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

    হাইকোর্টে বিজেপি কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে মামলা

    প্রসঙ্গত এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র এবং অপূর্ব সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ ৬ই জুন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছিল। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সেদিন শুনানি হয়। শুনানি চলাকালীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে অবিলম্বে যাতে (Post Poll Violence) হিংসা বন্ধ হয় তার জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেদিন হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশ অক্ষম হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার হুঁশিয়ারি দেয়। অভিযোগ উঠছে ভোট পরবর্তী হিংসায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘর ছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার। ইতিমধ্যেই কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে ঠাঁই দাওয়া হয়েছে বহু বিজেপি কর্মীদের। তাঁরা কবে বাড়ি ফিরতে পারবেন তার জন্য দিন গুনছেন। রাজ্যে সাত দফায় ভোট হয়েছে। অন্য বারের তুলনায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষ হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে শাসক দলের অত্যাচার। খুন, জখম, মারধরের পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িঘর ঘিরে হামলা করা হচ্ছে। অনেকেই এর জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন। তাই আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ফিরে এল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)

    প্রসঙ্গত ২০২১ সালেও ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপির কয়েক হাজার কর্মী এক বছরের বেশি সময় ঘরছাড়া ছিলেন। যারা ঘরে ফিরেছিলেন তাঁরাও নিজের ভিটে মাটিতে উঠতে পেরেছিলেন কয়েক মাস পর। অনেকে কোন রাজনৈতিক দল না করার মুচলেকা লিখে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্য বিজেপির নেতাদের। সেবার ভোটের পর বিভিন্ন কমিশন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার পর প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল।

    আরও পড়ুন: মানিকতলা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তারিখ জানাল কমিশন

    এবার পরিস্থিতি আরো বিপজ্জনক বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির অভিযোগ এলাকায় এতটাই সন্ত্রাস (Post Poll Violence) যে বিষয়গুলো সামনে সামনে আনাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসছে না এতটাই সন্ত্রাস রয়েছে ওই সমস্ত গ্রামীণ এলাকায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share