Author: user

  • Maoists in Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র

    Maoists in Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ৭ মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল সাত মাওবাদী (Maoists in Chhattisgarh)। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের একটি দল সে রাজ্যের নারায়ণপুর, দন্তেওয়াড়া জেলার সংযোগস্থলে জড়ো হয়েছিল। গোপন সূত্রে সেই খবর আসে ছত্তিশগড় জেলা পুলিশের কাছে। তারপরে এই সমস্ত জায়গায় ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গ্রুপ এবং আইটিবিপির যৌথ বাহিনীর সঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে, অবুঝমার এলাকায় যৌথ বাহিনী ঢুকতেই তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীদের দলটি। পাল্টা জবাব দেন যৌথ বাহিনীর জওয়ানরাও। দু পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই শুরু হয়। এই সংঘর্ষেই সাত মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি তিন জওয়ান আহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।

    ঘটনাস্থলে অস্ত্র উদ্ধার

    এর পাশাপাশি ওই স্থান থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে নারায়ণপুরের এসপি প্রভাত কুমার জানিয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকেই এই সংঘর্ষ (Maoists in Chhattisgarh) শুরু হয়। শনিবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে যৌথ বাহিনী। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি সপ্তাহের ২ জুন ওই নারায়ণপুরেরই দুরমি নামের একটি গ্রামে মোবাইল টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা। তারপর থেকেই সেখানে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এই আবহে সাত মাওবাদীর মৃত্যু ঘটনা সামনে এল।

    মাওবাদী দমনে কড়া কেন্দ্র সরকার 

    প্রসঙ্গত, গত মাসেও ২৫ মে বিজাপুরের এবং কামকানার জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে দুইজন মাওবাদী (Maoists in Chhattisgarh) নিহত হয়। সম্প্রতি মাওবাদীদের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছিলেন যে মাওবাদী সমস্যার মোকাবিলায় বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র এবং আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশ থেকে এই সমস্যার সমাধান হবে। নিজের সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ আরও জানিয়েছিলেন যে সম্প্রতি প্রায় ৩৭৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে এই সমস্যা ঝাড়খন্ড, বিহার, তেলেঙ্গনা, ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ  মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে বেতন, ডিএ অনেক কম পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তা নিয়ে ভোটের আগে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে সেই ক্ষোভের আঁচ ধরা পড়েনি। কারণ, দক্ষিণবঙ্গে সরকারি কর্মীরা শাসক দলের ওপর আস্থা রেখেছেন। পোস্টাল ব্যালটে তার প্রমাণ মিলেছে। বিজেপির থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তবে, উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেখানকার সরকারি কর্মীদের আস্থা রয়েছে বিজেপির ওপর। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর পোস্টাল ব্যালটের পরিসংখ্যান সেই কথা বলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ ভোটারদের মতো উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় সরকারি কর্মীদের মন যে পায়নি, তা পরিষ্কার। কোচবিহার থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এই আটটি কেন্দ্রে শাসক দলের চেয়ে সরকারি কর্মীদের ভোটের নিরিখে ভাল ভোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটে ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা (Election Result 2024)

    কেন্দ্র এবং রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) বৈষম্যের জেরেই সরকারি কর্মীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বেতন বৈষম্য, পদোন্নতি, পোস্টিং নিয়েও দলের অন্দরে নানা বক্তব্য রয়েছে। সংগঠনের মধ্যে মতানৈক্য, বিভেদ, গোষ্ঠী রয়েছেই। তাতে শাসক দলের সংগঠন যতটা শক্তিশালী থাকার কথা, তা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কর্মীদের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকেন ভোট-প্রক্রিয়ার সঙ্গে। ভোট দেন পোস্টাল ব্যালটে। ভোটের আগে বিরোধীর মুখে বার বার ফিরে এসেছে ডিএ নিয়ে বঞ্চনার বিষয়টি। দেড় বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেখানে উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তৃণমূল নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩৮,৬৪৮ পোস্টাল ব্যালটের ভোট পড়েছে। এগুলোর অধিকাংশই বা কিছু ক্ষেত্রে সবই সরকারি কর্মীদের ভোট। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর দেখা যায়, তাতে বিজেপি সাড়ে ২২ হাজার ৪২৫টি ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের সংখ্যা ১৬ হাজার ২২৩টি ভোট।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির নেতার কী বক্তব্য?

     তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য গৌতম দেব বলেন, “দলের তরফে পর্যালোচনা হবে। দলের ফলে কোথায়, কী হয়েছে, তা সবই খতিয়ে দেখা হবে।”সরকারি ফেডারেশনের অনেক নেতাই মনে করছেন, সরকারি কর্মীদের ভোট (Election Result 2024) শুধু পোস্টাল ব্যালটে নয়, তাঁদের পরিবারের ভোটেও প্রভাব ফেলেছে তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে। আগামী বিধানসভার আগে এই পরিস্থিতি না বদল হলে, শাসকের বিরুদ্ধেই যে সরকারি কর্মীদের ভোট পড়বে তা স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 18th Lok Sabha: রাত পোহালেই শপথ প্রধানমন্ত্রীর, সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে?

    18th Lok Sabha: রাত পোহালেই শপথ প্রধানমন্ত্রীর, সংসদের প্রথম অধিবেশন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্চ মাসে হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা। তার পরেই দেশজুড়ে জারি হয়ে গিয়েছিল আদর্শ আচরণ বিধি। এই বিধির গেরোয় প্রায় আড়াই মাস থমকে গিয়েছিল উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। রবিবার ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন এনডিএর সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পর দ্রুত শুরু হয়ে যাবে নয়া সংসদের অধিবেশন (18th Lok Sabha)।

    কবে শুরু অধিবেশন (18th Lok Sabha)

    জানা গিয়েছে, ১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে অষ্টাদশ লোকসভার অধিবেশন। প্রথা অনুযায়ী অধিবেশন তলব করার আগে নির্বাচন করতে হবে স্পিকার। সূত্রের খবর, এই কাজটি এনডিএ সারতে পারে সোমবারই। এদিনই লোকসভা ও রাজ্যসভার যৌথ অধিবেশন ডাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন যেদিন বসবে, সেদিনই নয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে সাংসদদের পরিচয় করিয়ে দেবেন নয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ১৫ জুন শুরু হওয়া লোকসভা অধিবেশন (18th Lok Sabha) চলতে পারে ২২ জুন পর্যন্ত। যেহেতু এবার লোকসভা নির্বাচন ছিল, তাই বাজেট নয়, পেশ হয়েছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। এই অধিবেশনে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হতে পারে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর।

    সরকার গড়ছে এনডিএ

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হয়েছে পয়লা জুন। ফল প্রকাশ হয়েছে ৪ জুন। নির্বাচন হয়েছিল লোকসভার ৫৪৩টি আসনে। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি আসন। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ঝুলিতে গিয়েছে ২৯৩টি আসন। সরকার গড়তে প্রয়োজন ছিল ২৭২ জন সাংসদের সমর্থন। তার চেয়েও বেশি সাংসদের সমর্থন থাকায় সরকার গড়ছে এনডিএ। সাংসদ ভাঙানোর খেলায় ব্যর্থ হয়ে বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’।

    আর পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদির শপথ অনুষ্ঠান, বহুস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়ে রাজধানী

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতিভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র পেশ করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে ভেঙে যায় মন্ত্রিসভা। ৫ জুন সেই মন্ত্রিসভা ভেঙে যাওয়ার পর নয়া প্রধানমন্ত্রী শপথ নেবেন ৯ জুন। তার আগে শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে সরকার গঠনের আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার পরেই মোদিকে শপথ গ্রহণের জন্য ডেকে পাঠান রাষ্ট্রপতি (18th Lok Sabha)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 40: “মহাকাল জেনেছেন কালীর মর্ম, অন্য কেবা জানে তেমন”

    Ramakrishna 40: “মহাকাল জেনেছেন কালীর মর্ম, অন্য কেবা জানে তেমন”

    পঞ্চম পরিচ্ছেদ

    ভক্তিযোগের রহস্য—The Secret of Dualism

    ভগবান দুই কথায় হাসেন। কবিরাজ যখন রোগীর মাকে বলে, মা! ভয় কি? আমি তোমার ছেলেকে ভাল করে দিব—তখন একবার হাসেন; এই বলে হাসেন, আমি মরছি, আর এ কিনা বলে আমি বাঁচব! কবিরাজ ভাবছে, আমি কর্তা, ঈশ্বর যে কর্তা—এ-কথা ভুলে গেছে। তারপর যখন দুই ভাই দড়ি ফেলে জায়গা ভাগ করে, আর বলে এদিকটা আমার, ওদিকটা তোমার, তখন ঈশ্বর আর-একবার হাসেন; এই মনে করে হাসেন; আমার জগদ্‌ব্রহ্মাণ্ড, কিন্তু ওরা বলছে, এ-জায়গা আমার আর তোমার।

    উপায়বিশ্বাস ও ভক্তি

    তাঁকে কি বিচার করে জানা যায়? তাঁর দাস হয়ে, তাঁর শরণাগত হয়ে তাঁকে ডাক।

    বিদ্যাসাগরের প্রতি সহাস্যে-আচ্ছা তোমার কি ভাব?

    বিদ্যাসাগর মৃদু মৃদু হাসিতেছেন। বলিতেছেন, আচ্ছা সে কথা আপনাকে একলা-একলা একদিন বলব।(সকলের হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) (সহাস্যে)—তাঁকে পাণ্ডিত্য দ্বারা বিচার করে জানা যায় না।

    এই বলিয়া ঠাকুর প্রমোন্মত্ত হইয়া গান ধরিলেনঃ

    ঈশ্বর অগম্য অপার

    কে জানে কালী কেমন?

    ষড় দর্শন না পায় দরশন।।

    মূলাধারে সহস্রারে সদা যোগী করে মনন।

    কালী পদ্মবনে হংস-সনে, হংসীরূপে করে রমণ।।

    আত্মারামের আত্মা কালী প্রমাণ প্রণবের মতন।

    তিনি ঘটে ঘটে বিরাজ করেন, ইচ্ছাময়ীর ইচ্ছা যেমন।।

    মায়ের উদরে ব্রহ্মাণ্ড ভাণ্ড, প্রকাণ্ড তা জানো কেমন।

    মহাকাল জেনেছেন কালীর মর্ম, অন্য কেবা জানে তেমন।।

    প্রসাদ ভাষে লোকে হাসে, সন্তরণে সিন্ধু-তরণ।

    আমার মন বুঝেছে প্রাণ বুঝে না ধরবে শশী হয়ে বামন।।

    দেখলে, কালীর (Ramakrishna) উদরে ব্রহ্মাণ্ড প্রকাণ্ড ভাণ্ড তা জানো কেমন! আর বলছে ষড় দর্শনে না পায় দরশন। পাণ্ডিত্যে তাঁকে পাওয়া যায় না।

    আরও পড়ুনঃ “মৃত্যুকে সর্বদা মনে রাখা উচিত, মরবার পর কিছুই থাকবে না।”

    আরও পড়ুনঃ“গীতা গীতা দশবার বলতে গেলে, ত্যাগী ত্যাগী হয়ে যায়”

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরের (Post Poll Violence) ঘটনায় ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। হামলার সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাবে বাড়ি ভাঙচুর। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের উপর করা হয় অত্যাচার। ঘটনা ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরে।

    বিজেপির বক্তব্য (Post Poll Violence)

    স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)। বীরভূম বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা এবং ভাইকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট আটজন তৃণমূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক। এই হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদাইপুর পুলিশের কাছে।

    আরও পড়ুনঃভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু সন্ত্রাস

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র লুটপাট করেছে। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের সন্ত্রাস আটকানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজন হলে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এমন মন্তব্যও করেছে কোর্ট। কিন্তু তাতেও মমতার হেলদোল নেই।

    উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণে অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট হয়েছিল ব্যাপক। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জয়ী হওয়ার পরও হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের কোন্দল থামছে না। আর আক্রমণের তির এবারও সেই সদ্য জয়ী তৃণমূল সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। ভোট মিটতেই এবার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তেওয়ারির রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের ঘরোয়া দ্বন্দ্ব একাবারে সামনে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন মনোজ তেওয়ারি? (Howrah)

    লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দলীয় বিধায়কের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তেওয়ারি বলেন, ভোটের সময় আমরা প্রসূনকে জেতাতে যথেষ্ট সহায়তা করেছিলাম। কিন্তু, নির্বাচন মিটতেই আর নাকি যোগাযোগ রাখেননি হবু সাংসদ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন মনোজ। তাতে তিনি বলেন, “প্রসূনদা আপনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। ৮ তারিখ হয়ে গেল একটা ফোন এল না। এটা ঠিক করলেন না। যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না। আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, এই নিয়ে চতুর্থবার হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, এলাকায় দেখা যায় না প্রসূনকে। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। প্রার্থীকে নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও ছিল। মনোজ তিওয়ারি আরও বলেন, এই সব কিছু উপেক্ষা করেই আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা প্রসূনদাকে জেতাতে দিনরাত এক করে প্রচার করেছিলাম। ২০১৯ এর তুলনায় অনেক বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তিনি। এমনকী, শিবপুর কেন্দ্র থেকেও এবারে ভোটের মার্জিন অনেকটাই বেশি রয়েছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভাবী সাংসদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি আমার সঙ্গে। পরিবর্তে তৃণমূল সাংসদ তাঁদের বেশি সময় দিচ্ছেন যাঁরা নির্বাচনের আগে তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা (Howrah) তৃণমূলের এক নেতা বলেন, বিষয়টি কী হয়েছে তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে, দলীয় বিধায়কের এই ভিডিও বার্তা শাসক দল বেশ কিছুটা চাপে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার এই লোকসভা নির্বাচনে পারাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে। বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভার নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু জেতার পরও গলায় কাঁটা তৃণমূলের। এই লোকসভার শহর অঞ্চলের পুর এলাকাগুলিতে একদম দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। বাজিমাত করেছে বিজপি। কিন্তু কেন এমন হাল হল তৃণমূলের? এই নিয়ে অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

    ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, পুরসভার ২৪টি ওয়র্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার বাঁকুড়া বিধানসভার সাপেক্ষে তৃণমূলের থেকে বিজেপি মোট ১৬৩১২ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে এই কেন্দ্রে কীভাবে এই পুর ও শহর এলাকায় তৃণমূল ধারশায়ী হয়েছে, তা নিয়ে দলের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহর অঞ্চলে আমাদের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা হল। গত আড়াই বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, ড্রেন সহ নানা পরিষেবায় আমরা অনেক কাজ করেছি। হয়তো দলের কোনও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত দেখা দিলে আমরা দলের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

    আরও পড়ুনঃ নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    বিজপির বক্তব্য

    বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “মোদি সরকারের আমলে দেশের বিদেশনীতি, সুরক্ষানীতি, অর্থনীতি মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের মানুষ এই বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষকে বিপক্ষে ভোট দান করতে প্রভাব ফেলেছে। তবে সামগ্রীক ভাবে কীভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    Bardhaman: নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকল মোটর ভেহিক্যাল ইন্সপেক্টর (এমভিআই) অফিসার সেজে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে চার যুবকের বিরুদ্ধে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে চলছিল তোলাবাজি। এই অভিযোগে অভিযুক্ত যুবকদের গ্রেফতার করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) কটোয়াতে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কাজ হারানো সিভিক ভলেণ্টিয়ারও। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bardhaman)?

    বৃহস্পতিবার রাত্রি দেড়টা নাগাদ কাটোয়া (Bardhaman) থানার পুলিশের কাছে খবর আসে যে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের কাছে কয়েকজন যুবক মিলে পাথরবোঝাই গাড়িকে আটক করেছে। ওই যুবকদের সঙ্গে গাড়ি চালকের অনেকক্ষুণ বাগবিতণ্ডা চলে। এই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পুলিশ যুবকদের কাগজপত্র দেখতে চান। জানা যায়, যুবকেরা ভুয়ো এমভিআই আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার দাবি করেছে। এরপর অভিযুক্ত যুবকরা সঠিক তথ্য না দিতে পারায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে আরও জানা যায়, অজয় নদের বালিঘাটে গিয়েও প্রথমে টাকা তোলার চেষ্টা করে যুবকরা। কিন্তু সুবিধা না মেলায় রাজ্যসড়কে তোলাবাজি শুরু করে।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    অভিযুক্তদের পরিচয়

    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান (Bardhaman)-কাটোয়া রাজ্য সড়কে তোলাবাজির অভিযোগে চার যুবকে পাকড়াও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আটক করা হয়ে হয়েছে একটি চার চাকার গাড়ি। একই ভাবে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০টি মোবাইল ফোন এবং ১৯ হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শুভঙ্কর মণ্ডল, কৃপাময় ঘোষ ওরফে রিণ্টু, বিপ্লব সরকার, সুব্রত মণ্ডল। শুভঙ্করের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা থানার নিত্যনন্দপুর গ্রামে। কৃপাময় কেতুগ্রামের রসুইগ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজনের বাড়ি নাদনঘাট থানার মধ্যে শ্রীরামপুর এলাকায়। কৃপাময় আগে কেতুগ্রাম থানায় সিভিক ভলেণ্টিয়ারের কাজ করতেন কিন্তু একাধিকবার মারামারির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকায় কাজ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। এই ঘটনায় গাড়ি চালকদের মধ্যে চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Train Service: শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    Sealdah Train Service: শিয়ালদা শাখায় বাতিল বহু লোকাল ট্রেন, চরম দুর্ভোগ, চালু বিশেষ বাস পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়ালদা (Sealdah Train Service) স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজের জন্য বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। যার জেরে দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, রবিবার এই কাজ শেষ হলে, শিয়ালদা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলি দমদমের দিকের অংশ ৬০ মিটার করে বাড়ানো হবে। তারজন্য চলতি মাসেই ফের ২-৩দিনের ব্যস্ত সময়ে চরম ভোগান্তি। কোথাও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে রুট। সেইসঙ্গে দেরিতে চলাচল করছে ট্রেন। এই দুর্ভোগ চলবে রবিবার পর্যন্ত। কারণ, ১২ কামরার ট্রেনের উপযোগী প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা স্টেশনে ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে। স্টেশনের বাকি ১৬টি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন চলাচল চালু থাকলেও, অনেক ট্রেন দেরিতে ঢুকছে। সমস্যা মেটাতে বাস চালানোর আবেদন করেছিল রেল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশেষ বাস চালানো শুরু করল রাজ্য সরকার।

    বিশেষ সরকারি বাসের ব্যবস্থা, কোন কোন রুটে চলবে জেনে নিন (Sealdah Train Service)

    ডিআরএম শিয়ালদা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে বারাকপুর থেকে ডানলপ এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন লাগোয়া দমদম জেল থেকে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত দু’টি রুটে সরকারি বাসের শাটল পরিষেবা মিলবে। বারাকপুর থেকে টিটাগড়, খড়দা, পানিহাটি, রথতলা হয়ে ডানলপ পর্যন্ত বাস চলবে। অন্যদিকে, দমদম জেল থেকে নাগেরবাজার, লেক টাউন, পাতিপুকুর হয়ে বেলগাছিয়া মেট্রো পর্যন্ত সরকারি বাস করে। যাত্রীদের অধিকাংশেরই বক্তব্য, ‘বারবার শিয়ালদা শাখায় (Sealdah Train Service) পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে যাত্রী ভোগান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়।’ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও এতকিছুর পরও যাত্রী দুর্ভোগের অভিযোগ ওড়াচ্ছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    প্রায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল!

    শিয়ালদা এই কাজের জন্য প্রায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল। শিয়ালদা সেকশনে (Sealdah Train Service) প্রতিদিন ৮৯৪টি ট্রেন যাতায়াত করে। তার মধ্যে বেশ কিছু লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেইমতো সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৮০৬। সেই ৮০৬টা ট্রেনের মধ্যে ১৪৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং বারাসাত পর্যন্ত যাতায়াত করছে সেগুলি। এছাড়া শিয়ালদা থেকে বারাকপুর, ডানকুনি এবং নৈহাটিগামী ট্রেনের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এ ছাড়া, রানাঘাট, মধ্যমগ্রাম, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা থেকে চলে- এমন বেশ কিছু লোকাল বাতিল করা হচ্ছে। বাতিল থাকছে শিয়ালদা থেকে সিউড়ি এবং জঙ্গিপুর রুটের দু’টি মেমু এক্সপ্রেসও। এরই সঙ্গে শিয়ালদা থেকে চলা অজমের এক্সপ্রেস, হাটে-বাজারে এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এবং আসানসোল এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে চালানো হবে। 

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “শিয়ালদার ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালাতে শুরু করব খুব তাড়াতাড়ি। ৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে ৯ তারিখ দুপুর ২টো পর্যন্ত অফিস টাইম বাদ বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করেছি। কিছু ট্রেনকে শিয়ালদায় নিতে পারছি না। এই সময়ে কিছু ট্রেন বারাসাত, দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হবে। জুন বা জুলাই মাসে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারি সেই আশা রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share