Author: user

  • Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪এর লোকসভা ভোটের ফলাফল। আর লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ঘোষণা করলেন আপ নেতা গোপাল রাই (Gopal Rai)। পরবর্তী বিধানসভায় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নয়, বরং একাই লড়বে আপ (Aam Aadmi Party), বৃহস্পতিবার একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোপাল রাই।  

    আপ নেতার মন্তব্য

    এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে দলীয় বিধায়ক ও প্রবীণ নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপাল রাই (Gopal Rai) বলেন, ,”এটা শুরু থেকেই পরিষ্কার যে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট (INDIA) গঠিত হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কোনোও জোট নেই। আমরা দিল্লির জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” 
    তিনি (Gopal Rai) আরও বলেন, “আমরা সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের শীর্ষ নেতারা জেলে। সব আসনেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর দলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও কঠিন পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং ‘একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করেছে। অন্যদিকে জোটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান কমেছে।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    এছাড়াও এদিন আপ নেতা জানান, আগামী ৮ জুন তাদের  কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে এবং ১৩ জুন দিল্লির সমস্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। বর্তমানে কেজরিওয়াল যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তাদের লড়াই চলবে। অন্যদিকে নির্বাচনের পরে আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় উন্নয়নের কাজে গতি আনতে শনি ও রবিবার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সব বিধায়ক।  
    উল্লেখ্য, দিল্লির লোকসভা ভোটে এবারে কংগ্রেস (Congress) জোট শূন্য ড্র করেছে, অন্যদিকে বিজেপি তৃতীয়বারের জন্য সাতটি সংসদীয় আসনে ক্লিন সুইপ করেছে। আর এরই মধ্যে এবার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জোট ছাড়া একাই লড়ার কথা জানিয়ে দিল আপ নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল টিটাগড় (Titagar) । তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বোমাবাজির সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagar)

    বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সেই আনন্দে বৃহস্পতিবার খড়দার টিটাগড় (Titagar) ডোমপট্টি এলাকায় তৃণমূলের এক পক্ষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাতে সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানের বাইরে কালু ও রামু গোষ্ঠীর এক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে অর্জুন বাঁশফোড় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই সময় খবর পেয়ে রামু ও কালুর গোষ্ঠীর দলবল সেখানে যায়। তারপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ ধস্তাধস্তি- সংঘর্ষের মাঝে চার রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    দুপক্ষই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন

    অর্জুন বাঁশফোড় ঘনিষ্ঠ আকাশ বাঁশফোড় বলেন, অনুষ্ঠান শেষে টিটাগড়ে (Titagar) খাওয়া দাওয়া চলছিল। পাড়ার মহিলারা তখন খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। সেই সময় রামুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। আমাদের লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। সবাই খাবার ফেলে ভয়ে পালিয়ে যায়। রামুরা সব বিজেপি কর্মী। যদিও রামু বাঁশফোড় বলেন, আমরা বিজেপি করি না। তৃণমূল দল করি। পার্থ ভৌমিকের মিটিংয়ে আমরা গিয়েছিলাম। বরং, অর্জুন, আকাশরা বিজেপি করে। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা কোনও গুলি চালাইনি। বোমাবাজি করিনি। ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বারাকপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ফল বের হওয়ার পর মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছিল। আর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই সব ঘটনা দলের অনুমোদন নেই। পুলিশ প্রশাসন দেখছে। বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়়িত নই। এটা তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সহ চার বিধায়ক। তাঁরা হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ইতিমধ্যে ভোটের পর জামিন পেয়েছেন। বাকি তিনজন এখনও জেলে। লোকসভার ফলাফলকে (Election Result 2024) এবার বিধানসভা নিরিখে খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দুই জন তৃণমূল প্রতিনিধি নিজের কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছেন। এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। 

    বিধানসভায় পিছিয়ে জীবনকৃষ্ণ (Election Result 2024)

    মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার বিধানসভা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা (Election Result 2024) কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। বড়ঞার বিধানসভায় জীবনকৃষ্ণ ৫০০ ভোটে কংগ্রেসের কাছে পিছিয়ে রয়েছেন। এই বিধানসভায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অধীর। আর তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন তৃতীয়। এক নম্বরের উঠে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। ফলে তৃণমূলের দুর্নীতি, এই কেন্দ্রে একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে বলা যেতে পারে লোকসভায় তৃণমূল জয়ী হলেও বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক পিছিয়ে পড়েছেন।

    হাবড়ায় পিছিয়ে জ্যোতিপ্রিয়

    রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। এই বিধানসভা বারাসত কেন্দ্রের অন্তর্গত। তৃণমূল প্রার্থী কাকালি ঘোষ দস্তিদার হাবড়া কেন্দ্রে ২৯ হাজার ভোটে (Election Result 2024) পিছিয়ে পড়েছেন। ফলে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল মন্ত্রী নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছেন। আবার জেল সূত্রে খবর, জেলের মধ্যে গণনার সময় পার্থ টিভির সমানে যাননি, বালু-মানিক উভয়ে টিভিতে ফলাফল দেখেছেন। বালু উচ্ছ্বসিত হলেও, মানিক খুব একটা ভাব প্রকাশ করেননি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “এই ফলাফলকে (Election Result 2024) সরলীকরণ করা যাবে না। সবটাই স্থানীয় প্রভাব পড়েছে। নিচুতলা থেকে সব কিছু ভালো করে দেখতে হবে। কারণ কী ছিল এবং ফলাফলকে ভাল করে পর্যালোচনা করতে হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! সম্প্রতি এই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন জনকে গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) করল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে চলছিল সিকিউরিটি চেকিং। সেই সময় সংসদ ভবনের ফ্ল্যাপ গেট এন্ট্রিতে সিআইএসএফ কর্মীরা এই তিনজনকে আটক করে। তারপর এদের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই তিন জন সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (3 arrested In Parliament)

    মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের গণনা চলছিল সারা দেশে। আর সে দিনই ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন পেশায় শ্রমিক এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)  বাসিন্দা কাসিম, মোনিস এবং শোয়েব। সংসদের একটি প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সময় তাঁদের দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হলে তিন জনেই আধার কার্ড দেখান। কিন্তু সেই আধার কার্ড দেখে জওয়ানদের সন্দেহ আরও বাড়ে। খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, তিনটি আধার কার্ডই ভুয়ো। 

    আরও পড়ুন: দুই মন্ত্রীকে নিয়ে মোদির শপথ গ্রহণে আসছেন মুইজ্জু?

    অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের 

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই তিন জন (3 arrested In Parliament) সংসদ চত্বরে একটি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তাঁরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই তিনজনকে কাজে ঢুকিয়েছিল ডি ভি প্রজেক্টস লিমিটেড। সংসদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এমপির লাউঞ্জ নির্মাণে নিযুক্ত ছিল তারা। ঘটনার পরেই তিন অভিযুক্তকে সিআইএসএফ কর্মীরাই দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কারন বর্তমানে সিআরপিএফ এবং দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বদলে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৪৬৫ ধারা (জালিয়াতি),৪১৯ ধারা (প্রতারণা), ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) সহ বিভিন্ন ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধৃত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা শত্রুদেশের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ জাল আধার কার্ড ছাড়াও ধৃত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল পাসপোর্টও। 
    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক রয়েছে এনডিএ-র। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জোটের তাবড় সব নেতারা। এর পরই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথেরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ঠিক তার আগে সংসদ ভবন চত্বর থেকে এই তিন সন্দেহভাজনের গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। যদিও শেষ হাসি হেসেছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয়বারের জন্য বালুরঘাট লোকসভার মানুষ তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন। এমনকী বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। বালুরঘাটের ২৫ টি ওয়ার্ডেই ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। শহরে প্রায় ২৫ হাজার লিড পেয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    প্রবল গেরুয়া ঝড়ে বালুরঘাট পুরসভায় কুপোকাত হয়েছে তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    গতবার লোকসভায় লিড ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। প্রবল গেরুয়া ঝড়ে এবার কুপোকাত হয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা (Sukanta Majumdar)। খোদ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি এমনকী গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ওয়ার্ডেও খাবি খেয়েছে তৃণমূল। প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের দিক থেকে কার্যত মুখ ফিরিয়েছেন বালুরঘাট শহরের ভোটাররা। বিধানসভাতেও বিজেপিকে ব্যাপক লিড দিয়েছিল এই শহর। প্রসঙ্গত,বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রায় ৬৮১ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর ওয়ার্ড ১৮ নম্বরেও ৬৩৮ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল। এছাড়াও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারপার্সন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তথা সুকান্ত মজুমদারের নিজের ওয়ার্ড ২২ নম্বরে তৃণমূল ৬০৩ ভোটে পিছিয়ে। টাউন সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডলের ওয়ার্ড ১২ নম্বরে ৭৮১ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তবে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ সাহার ওয়ার্ডে সব থেকে কম ৪৫১ ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। একইভাবে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার এমসিআইসি মহেশ পারেখের ওয়ার্ডে ৫৭৮ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। বাকি ওয়ার্ডে এক, দেড় হাজারের বেশি ভোটে লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    শহরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার লিড নিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ভোটের আগে বিপ্লব মিত্র গোষ্ঠীর নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে, তাতে লাভ কিছুই হয়নি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বালুরঘাটে এসে  নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর বালুরঘাটের চেয়ারম্যান, টাউন সভাপতি ও কাউন্সিলররা কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছিলেন। এরপরও কার্যত গেরুয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বালুরঘাট শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির ১০ হাজার মার্জিন কমাতে পারলেই জিততেন দলের প্রার্থী। তাই, একদিকে যখন তৃণমূল শহরে বিপদ দেখছে, বিজেপি ধন্যবাদ জানাচ্ছে সেখানকার ভোটারদের। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আগেই বলেছিলাম জিতব। এই শহরের মানুষ আমাকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। শহরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। এই শহরের মানুষের আশীর্বাদ মাথায় রেখে আমি আবার উন্নয়নের কাজে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, গত লোকসভা, বিধানসভাতেও আমরা পিছিয়ে ছিলাম। আমরা কেন শহরের ভোটারদের মন জয় করতে পারছি না তা পর্যালোচনা করে দেখব। এবারের ফল আমাদের অবাক করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    Abhijit Ganguly: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে হারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন তমলুকের বাসিন্দারাও। তাঁরাও মনে প্রাণে চাইছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) জয়। তমলুক লোকসভার ফলাফলই সেকথা বলছে। কারণ, এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার কোথাও দাঁত ফোটাতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী।

    সাতটি বিধানসভাতেই জয় বিজেপির (Abhijit Ganguly)

    চাকরি চুরি মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) তৃণমূলের স্বরূপ প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। ফলে, হাজার অপপ্রচারের পরেও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে জিততে পারল না তৃণমূল। এখানকার সাতটি বিধানসভাতেই জয়ী হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে নন্দীগ্রাম, ময়না এবং হলদিয়া বিধানসভা ছিল বিজেপির দখলে। বাকি তমলুক , পাঁশকুড়া পূর্ব, নন্দকুমার এবং মহিষাদল ছিল তৃণমূলের দখলে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ময়না কেন্দ্রে। তিনি এই কেন্দ্রে ১, ১০, ৯০১টি ভোট পেয়েছেন। এখানে তিনি ৯,৫৪৮টি ভোট বেশি পেয়েছেন তৃণমূলের চেয়ে। তবে, সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। হলদিয়া কেন্দ্রে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পেয়েছেন মোট ১,১০,৭৭২টি ভোট। সেখানে ৮৯,৪৭১ ভোট পেয়েছে তৃণমূল।  

    আরও পড়ুন: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    তমলুক পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে ধরাশায়ী তৃণমূল

    তমলুক বিধানসভায় বিজেপি লিড পেয়েছে  ১৮, ২১৭টি ভোট। এই কেন্দ্রে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। এখানে ১,১০,৮৯৫টি ভোট পেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এই তমলুক কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে তৃণমূল পরিচালিত তাম্রলিপ্ত পুরসভা। এখানকার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। জেলা শহরেই তৃণমূলের ভরাডুবি ঘটেছে বলা যায়। নন্দকুমার এবং পাঁশকুড়া পূর্বে লিড পেয়েছে বিজেপি। এছাড়া মহিষাদল বিধানসভায় তৃণমূলের থেকে ৯৬৩১টি ভোট বেশি পেয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    নন্দীগ্রামে জয়ের মার্জিন বাড়িয়েছে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মানুষজন এবার ঢেলে ভোট দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। এখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১৯৫৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেখানে বিজেপির জয়ের মার্জিন বেড়ে হয়েছে ৭২৯৮টি। এবার এখানে বিজেপি পেয়েছে ১,০৯,১৫৪টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১,০১,৮৫৬টি ভোট।  এছাড়া পোস্টাল ব্যালটের ভোটেও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তৃণমূলের চেয়ে ১৭৭৮টি ভোট বেশি পেয়েছেন। তাঁর জেতায় তমলুকের মানুষজন খুশি। জেলার তমলুক-সহ প্রতিটি বিধানসভা ও পুরসভায় তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    Murshidabad: কান্দিতে বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে সরকারি ট্যাপ কল এবং জলের পাইপ লাইনের সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিজেপির লিড পাওয়া ওয়ার্ডে ট্যাপ কল- পাইপ লাইন কাটছে দুষ্কৃতীরা (Murshidabad)

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি পুরসভা বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার অধীনে রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র চারটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। ১২ টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে বিজেপি এবং দুটি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ভোটের এই ফল সামনে আসতেই দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিজেপি সহ বিরোধীরা যে সব ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে, সেখানে রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা রাস্তার ধারে থাকা ট্যাপ কল এবং জলের সংযোগের লাইন কেটে দিয়ে পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতী তান্ডব নিয়ে বৃহস্পতিবার কান্দি পুরসভা কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কান্দি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: রবি-সন্ধ্যায় শপথ মোদির, নতুন সরকারে আইনমন্ত্রী হচ্ছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    কান্দি পুরসভার (Murshidabad) চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক বলেন, ‘নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মনে পুরসভার সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য গত দু’দিন ধরে রাতের অন্ধকারে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ট্যাপ কল ও জলের সংযোগ ভেঙে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই আমরা গোটা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং আমাদের বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে জানিয়েছি।’ চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, ‘কিছু মানুষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন লোকসভা নির্বাচনে কান্দি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল আশানুরূপ ভোট না পাওয়াতে বদলা নেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে পরিষেবা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। যারা এই কাজ করছেন, সকলকে অনুরোধ করছি আপনাদের কোনও সমস্যা থাকলে পুরসভাতে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। আমরা সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা সম্পাদিকা বিনীতা রায় বলেন,”কান্দি পুরসভা এলাকায় পরাজয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বদলা নেওয়ার জন্য কল ভেঙেছে। আমরাও গোটা বিষয়টি নিয়ে কান্দি থানার দ্বারস্থ হয়েছি। গোটা ঘটনার সমাধান করার জন্য পুলিশ আমাদের কাছ থেকে দু’দিনের সময় চেয়েছে ।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    Balurghat: “দোকান ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করল তৃণমূলের ছেলেরা”, বললেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিজেপির এক বুথ সভাপতির দাদার দোকান সহ আরও দুটি দোকান ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) লোকভার গঙ্গারামপুর থানার নিউমার্কেট এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    আক্রান্ত চশমা ব্যবসায়ী সৌম্যকান্তি আঢ্য গঙ্গারামপুর (Balurghat) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, চার-পাঁচ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী দোকানে এসে হামলা চালায়। সৌম্যকান্তি আঢ্য বলেন, আমার চশমা এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। দোকানের সিসিটিভিও ভেঙ্গে দেয়। দুষ্কৃতকারীরা আমাকে দোকান ঘর থেকে টেনে এনে বেধড়ক মারধর করে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য এমন ঘটনা বলে জানান তিনি। ওই চশমার দোকানদার সৌম্য কান্তি আঢ্য এর মামাতো ভাই এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি জ্যোতির্ময় সাহা। অভিযোগ, লোকসভা ভোটে গঙ্গারামপুর এলাকা থেকে তৃণমূল কম ভোট পাওয়ায় এবং ভাই বিজেপির বুথ সভাপতি হওয়ায় তার দোকানে এসে হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় সহ বিজেপির কর্মীরা। এদিন আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় যান তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে গঙ্গারামপুরের (Balurghat) বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, ভোটের পরে এইখানে আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া খারাপ করার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গঙ্গারামপুরের ৩ টি দোকান ভাঙচুর করে। একটি চশমার দোকানের মালিক কে মারধর করে। কারণ তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছে। গঙ্গারামপুরের মানুষের একটাই দোষ যে তারা বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে সাড়ে চার হাজার ভোট বেশি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে জিতিয়েছেন। সেই কারণে আমাদের কর্মীর উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমরা এই বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এইটা তাঁদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে হতে পারে। এইটার মধ্যে তৃণমূলের কোনও হাত নেই। নির্বাচনে জেলায় তৃণমূল কোনও গন্ডগোল করেনি, বিজেপি গন্ডগোল করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনই এইবারের লোকসভা নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসের চিত্র অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার, ফল প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, বারুইপুর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা অফিসে খোলা হয়েছে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’।

    আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে আইনি সহযোগিতা (Post Poll Violence) 

    ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তীতে তৃণমূল রীতিমতো তাণ্ডব (Post Poll Violence) চালিয়েছে। কোথাও রড, কোথাও বাঁশ, আবার কোথাও আসবাবপত্র ফেলে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। নিজের প্রাণকে হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা বিজেপির কার্যালয়ের খোলা হয়েছে অফিস। এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে করা হচ্ছে কর্মীদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার। বাড়ি ছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে প্রশাসনের একাধিক স্তরে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আইনি সহযোগিতা। জেলার বিজেপির নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই জেলা কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছিল। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী এবং মা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এই বিজেপি পরিবার। বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।” আবার আজ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি লিখে হিংসায় নিপীড়িত মানুষের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • WBJEE Exam 2024: “খুঁটিয়ে পড়তে হবে পাঠ্য বই,” টিপস দিলেন জয়েন্টের কৃতীরা

    WBJEE Exam 2024: “খুঁটিয়ে পড়তে হবে পাঠ্য বই,” টিপস দিলেন জয়েন্টের কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়েন্ট এন্ট্রাসে ফের জেলার পড়ুয়াদের জয়জয়কার। জয়েন্টের (WBJEE Exam 2024) মেধাতালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছেন সিবিএসই বোর্ডের ৪ জন পরীক্ষার্থী। আবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে পাশ করেছেন ৪ জন পরীক্ষার্থী এবং বাকি দুজন আইএসসি বোর্ডের ছাত্র-ছাত্রী। রাজ্য জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল। তৃতীয় হয়েছেন কৃষ্ণগরের বিবস্বন বিশ্বাস। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম আলিপুরদুয়ারের অভীক দাস, জয়েন্টে সপ্তম স্থান অর্জন করেছেন।

    এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম (WBJEE Exam 2024)

    রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে (WBJEE Exam 2024) প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জিলা স্কুলের কিংশুক পাত্র। বাঁকুড়া শহরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা কিংশুক, ছোট থেকেই বাঁকুড়া জিলা স্কুলের ছাত্র। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪৭৭ নম্বর পেলেও মেধা তালিকায় স্থান পাননি। তবে, এবার সকলকে টপকে একেবারে রাজ্যে প্রথম হয়েছেন কিংশুক। কিংশুকের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবার। তাঁর পছন্দের বিষয় অঙ্ক। কিংশুক বলেন, “এক থেকে দশের মধ্যে থাকব আশা করেছিলাম। তবে, প্রথম হব আশা করিনি। খবরটা জানতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে। আমি মোটামুটি সারাদিন পড়াশুনা নিয়েই থাকতাম। পড়াশুনা ছাড়া বিশেষ কিছু করতাম না। বিজ্ঞান নিয়ে আমার বেশি আগ্রহ। মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং দু’টোই পেয়েছি। এবার যেটা ভাল লাগবে সেটা নিয়ে এগোব। আলাদা করে আমার কোনও স্বপ্ন নেই। ভবিষ্যতে যেখানে কাজ করব সেটাই ভাল করে করতে চাই।আর পড়াশুনার বিষয়ে বলব, পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পরিশ্রমের বিকল্প নেই।”

    আরও পড়ুন: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    পাঠ্য পুস্তুক খুঁটিয়ে পড়তে হবে

    জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (WBJEE Exam 2024) দ্বিতীয় হয়েছেন হালিশহরের জেঠিয়ার নান্না হসপিটাল রোডের শুভ্রদীপ পাল। তিনি পড়াশুনা করতেন কল্যাণীর স্কুলে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিকের ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন তিনি। ছেলের এই সাফল্যে খুশি বাবা-মা প্রতিবেশীরাও। জগদীশ চন্দ্র বোস ইনস্টিটিউটে তিনদিনের একটি ক্যাম্প চলছে। সেখানে রয়েছেন শুভ্রদীপ। বাবা নীশিথ পাল বলেন, ছেলেকে পড়াশুনার জন্য বলতে হত না। ছেলের এই সাফল্যে আনন্দের ভাষা নেই। শুভ্রদীপ বলেন, পাঠ্য পুস্তুক খুঁটিয়ে পড়তে হবে। আর প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা মন দিয়ে পড়লেই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share