Author: user

  • Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    Rajiv Kumar: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন কবে, জানিয়ে দিলেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই হয়ে যাবে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই একথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগেই (সেপ্টেম্বরের মধ্যেই) শেষ হবে উপত্যকার নির্বাচন। তবে জম্মু-কাশ্মীরে ঠিক কবে হবে বিধানসভার নির্বাচন, এবার তা জানিয়ে দিলেন জাতীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই আয়োজন করা হবে ওই নির্বাচনের। প্রসঙ্গত, ভূস্বর্গে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে।

    সাংবাদিক বৈঠকে রাজীব (Rajiv Kumar)

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজীব। সেখানেই তিনি জানান, কাশ্মীরে এবার ভোটের হার বেড়েছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত।” এর পরেই তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরে আমরা খুব শীঘ্রই বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছি। সেখানে লোকসভায় যে হারে মানুষ ভোট দিয়েছেন, তাতে আমরা উৎসাহিত।” জম্মু-কাশ্মীরে লোকসভার আসন রয়েছে পাঁচটি। জম্মুতে ভোট পড়েছে ৫৮.৫৮ শতাংশ। আর কাশ্মীরে ৫১.০৫ শতাংশ। রাজীব (Rajiv Kumar) বলেন, “চার দশকের মধ্যে এবার লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে ভোট পড়েছে সর্বোচ্চ, শতাংশের হিসেবে ৫৮.৫৮।”

    ভূস্বর্গে শেষ ভোট

    ২০১৪ সালের শেষের দিকে শেষ বারের মতো বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ভূস্বর্গের মানুষ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার দিল্লির তখতে ফিরে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে দেয় মোদি সরকার। এই ধারার বলে ভূস্বর্গ ভোগ করত বিশেষ অধিকার। সেই সময় বিলোপ করা হয়েছিল রাজ্যের মর্যাদাও। যদিও রাজনৈতিক অচলাবস্থার জেরে তার বছর তিনেক আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জারি হয়েছিল রাষ্ট্রপতি শাসন। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিধানসভার নির্বাচন হয়নি উপত্যকায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পায়নি জম্মু-কাশ্মীর।

    আর পড়ুন: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কেবল বিধানসভা নয়, অন্য কোনও ভোটও হয়নি উনিশের লোকসভা নির্বাচনের পর। দীর্ঘদিন পর এবার লোকসভা নির্বাচনে তাই হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছেন উপত্যকাবাসী। যার জেরে উৎসাহিত কেন্দ্রের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও (Rajiv Kumar)। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arjun Singh: “তৃণমূলের নির্দেশে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার করছে পুলিশ”, সরব অর্জুন

    Arjun Singh: “তৃণমূলের নির্দেশে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার করছে পুলিশ”, সরব অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভোট গণনা শুরু হবে। তার  আগেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। গণনা কেন্দ্রে কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে তৃণমূল। এমনকী বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ! এনিয়ে ট্যুইটও করেছেন তিনি।

    কাউন্টিং এজেন্টদের গ্রেফতার নিয়ে সরব অর্জুন (Arjun Singh)

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, বীজপুর বিধানসভার দুজন বিজেপি কর্মী তৃণমূলের অত্যাচারে ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁরা কল্যাণীতে ঘরভাড়া করে থাকেন। ভোটের দিন তাঁরা বুথে এজেন্ট ছিলেন। আমরা তাঁদের এবার কাউন্টিং এজেন্ট করেছি। তাঁদের দুজনকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে গয়েশপুর ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে ট্যুইট করেছিলাম। পরে, শুনলাম সোমবার তাঁদের ছে়ড়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে তৃণমূলের পুলিশ এই কাজ করেছে। কাউন্টিং এজেন্টদের এভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই।

    <p

    style=”text-align: justify;”> 

    গণনা কেন্দ্রে জমায়েত তৃণমূলের, কমিশনে কাছে নালিশ অর্জুনের

    অর্জুন (Arjun Singh) আরও বলেন, টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ গণনা কেন্দ্রের পাশেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের শিবির করা যায় না। আর যদি শাসক দল ওখানে তাদের শিবির করে, তাহলে আমাদেরও ক্যাম্প করার অনুমতি দিতে হবে। আমি বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, নির্বাচন কমিশন সকলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কারণ, এভাবে জমায়েত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। সেটা তারা করতে পারে না। বিশ্বস্ত সূত্র আমি খবর পেয়েছি, পুলিশ আমাদের ভোট গণনার কর্মীদের নাকা চেকিংয়ের নামে আটকানোর চেষ্টা করবে। তবে, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানে বাধা পাবে, সেখানেই পাল্টা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে অর্জুন  সিং গণনা কেন্দ্রে পুরসভার চেয়ারম্যান, বিধায়কদের না ঢুকতে দেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, তৃণমূলের চেয়ারম্যান, বিধায়করা গণনা কেন্দ্রে ঢুকে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় বারাণসীর মন্দিরে রুদ্রাভিষেক

    Lok Sabha Election: মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় বারাণসীর মন্দিরে রুদ্রাভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফা লোকসভার ভোট শেষ হতেই দেশ জুড়ে সামনে এসেছে এক্সিট পোল। প্রতিটি এক্সিট পোলেই দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয়জয়কার। সারা দেশের নজর এখন ৪ জুনের ফলাফলের দিকে। ঠিক এই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় (Lok Sabha Election) বারাণসীর মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দিরে রুদ্রাভিষেক করলেন জ্ঞানবাপী মামলার একদল মামলাকারী এবং আইনজীবী। এই রুদ্রাভিষেক পর্বে বিধি অনুসারে মহাদেবের দুগ্ধাভিষেক ও জলাভিষেক করা হয়।

    কী বললেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের একটাই প্রার্থনা যে বিজেপি তথা এনডিএ যেন ৪০০ আসন পায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন বড় জয় পান। এই কামনাই আমরা মহামৃত্যুঞ্জয় ভগবানের কাছে করেছি।’’ প্রসঙ্গত, বারাণসী কেন্দ্র থেকেই ২০১৪ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Election)। ২০১৯ সালের মতো এবারেও তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কংগ্রেসের অজয় রাই। দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে পরিচিত বারাণসীতে অষ্টাদশ লোকসভায় ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছে গত ১ জুন।

    আরও পড়ুন: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাম মন্দিরের মতো সমস্যার সমাধান হোক মথুরা ও জ্ঞানবাপী

    জ্ঞানবাপীর অন্যতম মামলাকারী শোভনলাল আর্য, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যেভাবে ভগবান রামচন্দ্রের মন্দির অযোধ্যাতে তৈরি হয়েছে, ঠিক একইভাবে জ্ঞানবাপী এবং মথুরাতেও সমস্যার সমাধান হোক। এটাই চাইছি। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও শক্তিশালী নীতি নেওয়া প্রয়োজন এবং এগুলো তখনই সম্ভব যখন ভারতীয় জনতা পার্টি ব্যাপকভাবে জিতে আসবে (Lok Sabha Election)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল সাফল্য কামনায় আজকে সংকল্প নেওয়া হয়েছে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দিরে এবং রুদ্রাভিষেক করা হয়েছে ভগবানের কাছে। প্রার্থনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি যেন বড় ব্যবধানে জেতেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    Odisha Train accident: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট-সিগন্যালের সমস্যায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ৩ জুন। ওড়িশার বাহানাগার রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদেহের স্তূপ থেকে শনাক্ত করা হয়েছিল মোট এই রাজ্যের ৯০ জনের মৃতদেহকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারের একজন করে স্পেশাল হোমগার্ডে চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল খড়্গপুরের হীরা নায়েকের। আজ এক বছর অতিক্রম করলেও চাকরি মেলেনি হীরার মেয়ে ভবানীর। দরিদ্র অসহায় পরিবার দিন কাটাচ্ছেন আর্থিক সঙ্কটে।

    রেল দুর্ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছিলেন(Odisha Train accident)?

    গত বছর ৫ জুন হুগলির টোল প্লাজায় রেল দুর্ঘটনায় (Odisha Train accident) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি ঠিক করেছি মৃত পরিবারকে পাঁচ লাখ করে টাকা দেব, সঙ্গে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেব।” এরপর থেকে কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। খড়্গপুরের প্রশাসনের লোকেরা হীরার বাড়িতে গিয়ে চাকরির জন্য নথি দিতে বলেছিলেন। কিন্তু লাভ কিছুই মেলেনি মৃতের পরিবারগুলির। চাকরি আজও মেলেনি। প্রশ্ন করলে বর্তমান প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসক যোগেশ আশোকরাও বলেন, “ওই রেল দুর্ঘটনার অনেক পরে আমি এখানে দায়িত্বে এসেছি। আমার কাছে কেউ এই বিষয়ে সরাসরি এসে এখনও পর্যন্ত কেউ কিছু বলেননি। যদি এমন কোনও ঘটনা থাকে, তা হলে ৪ জুনের পরে আমার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    পরিবারের বক্তব্য

    খড়্গপুরের আম্বেডকর রেলবস্তির বাসিন্দা হলেন ভবানী। গত বছর ২ জুন মৃত্যু হয়েছিল হীরা নায়কের। যশবন্তপুরের ইঞ্জিন থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল হীরার দেহ। মা কশিতা দাসকে চিকিৎসা করে কটক থেকে এই যশবন্তপুর এক্সপ্রেসেই ফিরছিলেন হীরা। কিন্তু পথেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Odisha Train accident) ঘটেছিল। রাজ্য সরকারের সাহায্য বা চাকরির কোনও সুবিধাই পাননি তাঁরা। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। দুবেলা খাবার ঠিক মতো জোটে না ভাল ভাবে। হীরার পরিবারের তরফ থেকে মেয়ে ভবানী বলেছেন, “বার বার ঘুরেও নতুন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নের শ্রমদফতরে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু চাকরি হয়নি। মাননীয়া চাকরি দেবেন বলায় আমরা চেয়েছিলাম, কিন্তু চাকরি হল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    Burglar Enters House: চুরি করতে এসে এসি ঘরে ঘুমিয়ে গেল চোর! পুলিশের ডাকে ভাঙল ঘুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একি আজব কাণ্ড বলুন দেখি! চুরি করতে এসে স্বয়ং চোরই (Burglar Enters House) কিনা ঘুমিয়ে পড়ল? আসলে চুরি করতে এসে এসির ঠান্ডা হাওয়া পেতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। আর সেই ঘুম ভাঙল পুলিশের ডাকে। মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজধানী লখনউতে (Lucknow)। আর এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হেসে লুটোপুটি খেতে শুরু করে নেটিজেনরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    জানা গিয়েছে, ঘটনাটি লখনউ-এর (Lucknow) ইন্দিরানগর থানা এলাকার সেক্টর-২০ এর। সুনীল পান্ডে নামের ওই এলাকার এক ব্যক্তির ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে পড়ে চোর। পেশায় ডাক্তার সুনীলবাবু ওইদিন  কাজের সূত্রে ছিলেন বারাণসীতে। আর সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে (Burglar Enters House) ঢুকে পড়ে চোর। বাড়ির মেন গেট খুলে ড্রয়িং রুমে পৌঁছতেই সেখানে এসি রয়েছে দেখে সেটা চালিয়ে দেয় সে। ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করতেই চোখ ক্রমশ পড়ে আসতে থাকে চোরের। আর এরপর চুরি করা বাদ দিয়ে এক সময় সে মেঝেতে শুয়ে পড়ে। কিছুক্ষনের মধ্যেই গভীর ঘুমে চলে যায় চোর। 
    এদিকে, প্রতিবেশীরা গেট খোলা দেখে বাড়ির মালিক ডাক্তারবাবুকে ফোন করে খবর দেন। এরপর সুনীল বাবু বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ (police) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় চোর ঘরের এসি চালিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।   

    আরও পড়ুন: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বাংলার ৫৫ গণনাকেন্দ্রেই! ভোটগণনা ঘিরে তৎপর কমিশন

    পুলিশ আধিকারিকের মন্তব্য (Burglar Enters House) 

    এ প্রসঙ্গে ঘটনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক বলেন, “চোর চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকেছিল (Burglar Enters House) কিন্তু সে এসির ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং এতটাই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে যায় যে সে আর উঠতে পারেননি। প্রতিবেশীরা খবর দিলে তাকে আটক (Arrest) করা হয়।”

      
    যদিও চুরি করতে এসে চোরের ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অন্ধ্র প্রদেশের গোদাবরী জেলায় এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি করতে এসে এসি-র মায়ায় পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল চোর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diarrhea: জামালপুরে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ১০০জন, মৃত্যু হল এক মহিলার, আতঙ্ক

    Diarrhea: জামালপুরে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ১০০জন, মৃত্যু হল এক মহিলার, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেটের গোলমাল,বমি-সহ ডায়ারিয়ার (Diarrhea) নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ প্রায় ১০০ জন গ্রামবাসী। ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আর এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের  জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া গ্রামে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কী করে একসঙ্গে এতজন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হল তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    আক্রান্তের সংখ্যা ১০০! (Diarrhea)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন-চারদিন ধরেই ওই গ্রামে ডায়ারিয়ার (Diarrhea) প্রকোপ দেখা দেয়। ঘরে ঘরে বমি, পায়খানা। গ্রামের লোকজনকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি চলে। সূত্রের খবর, মোট ৩২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সন্ধ্যা রায় নামে ৫৪ বছরের এক মহিলার মৃত্যু হয়। জামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান তিনি। গ্রামবাসীদের দাবি, ডায়ারিয়াতে মারা গিয়েছেন তিনি। দিনের পর দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, কী কারণে গ্রামের এতজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ল তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ কী বললেন?

    এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ চন্দন মজুমদার বলেন, “আশা কর্মী, মেডিক্যাল অফিসার, মেডিক্যাল টিম সবই গ্রামে পাঠানো হয়েছে। জলও পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ একটা ছিল, তবে তা কমেছে। ফুড সেফটি অফিসার, বিডিও, ওসি এসেছিলেন।” ডায়ারিয়ায় (Diarrhea) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত ওই রোগী স্থিতিশীলই ছিলেন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল। এই অবস্থায় রোগীর আচমকাই শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা শুরু হয়। এমার্জেন্সি হিসাবে যা যা মেডিক্যাল সাপোর্ট দেওয়া দরকার ছিল, দেওয়াও হয়। তবে, দুর্ভাগ্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর হয়ে যায় তাঁর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    Lok Sabha Election 2024: গণতন্ত্রের ইতিহাসে রেকর্ড, ভারতে ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস সৃষ্টি করল অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। দেশে এই প্রথম নির্বাচন-পর্ব চুকে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তিন কর্তা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের নির্বাচনের দিকে নজর ছিল তামাম বিশ্বের। কত মানুষ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেন, কত প্রাণ বলিদান হয়, রক্ত ঝরে কিনা, মূলত এসবের দিকেই নজর ছিল বিশ্ববাসীর।

    বিশ্ব রেকর্ড (Lok Sabha Election 2024)

    এবার লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, এবার ভোট দিয়েছেন ৬৪.২ কোটি ভোটার। জি৭-এর সদস্য দেশগুলির মোট ভোটারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পুনর্নির্বাচন হয়েছিল ৫৪০টি আসনে। এবার হচ্ছে মাত্র ৩৯টি। গত চার দশকের মধ্যে এবার সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরেও। রাজীব বলেন, “উপত্যকার মানুষ গণতন্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে প্রস্তুত। এবার প্রথম হিংসা হয়নি ভোটে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার মতো জায়গায় আগে কী হত, তা আপনারা দেখেছেন, এবার শান্তিপূর্ণ ভোট করার জন্য দু’বছর ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না।”

    বাজেয়াপ্ত টাকার পরিমাণ

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “এবার লোকসভা নির্বাচনে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। এটাও কমিশনের তৎপরতার ফল। আগে কীভাবে টাকা ছড়ানো হত, মদ-শাড়ি দেওয়া হত, তা আপনারা দেখেছেন। দক্ষিণ ভারতে কীভাবে টাকা দেওয়া হত, তাও দেখেছেন।” তিনি বলেন, “আমরা ভুয়ো খবর নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। এবার অবশ্য সেভাবে কিছু হয়নি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে ভুয়ো ছবি-ভিডিও সেভাবে ছড়ায়নি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৪৯৫টি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরই সমাধান করা হয়েছে। অনেক বড় নেতাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    ভোট গণনা-পর্বেও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানান রাজীব। বলেন, “ভোটগণনা খুবই বলিষ্ঠ একটি প্রক্রিয়া। দেশে মোট সাড়ে ১০ লাখ বুথ রয়েছে। ৩০-৩৫ লাখ পোলিং এজেন্ট থাকবেন বাইরে। থাকবে নজরদারি দলও। থাকবেন গণনা অফিসাররা। কোনও ভুল হতেই পারে না। সিসি ক্যামেরা থাকবে। মানুষের ভুল হতেই পারে, তবে গণনায় কারচুপির কোনও সম্ভাবনাই নেই (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতের উন্নয়নের গতিপথ আমাদের অহংকার ও গর্বের স্বপ্ন পূরণ করেছে।” ভারতবাসীর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নির্বাচনী প্রচারের শেষে দেশের দক্ষিণতম বিন্দু কন্যাকুমারীতে গিয়ে টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর উপলব্ধি (PM Modi)

    কন্যাকুমারীর ধ্যান মণ্ডপে (যেখানে বসে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন) প্রায় দু’দিন ধরে ধ্যান করার পর তাঁর উপলব্ধি, “এই দু’দিন বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম আমি।” চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমাদের দেশে আজই (পয়লা জুন) শেষ হচ্ছে গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব। এই দেশ গণতন্ত্রের মাতৃস্বরূপা। কন্যাকুমারীতে তিনদিনের আধ্যাত্মিক যাত্রা শেষে আমি এই মাত্র দিল্লির উড়ান ধরলাম। এই দিনে কাশী এবং আরও কয়েকটি আসনে ভোট গ্রহণ-পর্ব চলছে। আমার মনে অনেক অভিজ্ঞতা, আবেগ সঞ্চিত হয়েছে।” তিনি (PM Modi) লিখেছেন, “আমি নিজের মধ্যে অপার শক্তির প্রবাহ অনুভব করেছি। এই সময় নির্বাচনের কোনও তাপ-উত্তাপ, কূট-কচালি আমায় স্পর্শ করেনি।”

    চিঠিতে কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “আমার মধ্যে বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্নতার একটা ভাব এসেছিল…আমার মন বর্হিজগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এত বিশাল দায়িত্বের মধ্যে ধ্যান করে যাওয়াটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কন্যাকুমারীর ভূমি এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রেরণা আমার কাজকে অনায়াস করে দিয়েছিল।” তিনি লিখেছেন, “আমি নিজেও একজন প্রার্থী, আমার প্রচারের ভার আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম আমার প্রিয় কাশীবাসীর ওপর। তাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে আমি এখানে চলে এসেছিলাম। আমি ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞ এই ভেবে যে আমার জন্মের সময় থেকে তিনি আমার মধ্যে এই মূল্যবোধ গেঁথে দিয়েছিলেন। আমি আজীবন এটাকেই লালন-পালন করেছি। চেষ্টা করেছি এই মূল্যবোধ নিয়েই বেঁচে থাকতে।”

    আর পড়ুন: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    তিনি লিখেছেন, “বহির্জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও, অপার শান্তি এবং নীরবতার মধ্যে থাকলেও আমার মন নিরন্তর ভেবে গিয়েছে উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে, ভারতের লক্ষ্য নিয়ে। কন্যাকুমারীর উদীয়মান সূর্য আমার চিন্তা-ভাবনাকে এক নয়া উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল। দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র আমার ধারণাকে প্রসারিত করেছে। মহাবিশ্বের মধ্যে নিহিত ঐক্য এবং একত্ব আমায় উপলব্ধি করিয়েছে আকাশ আর সমুদ্রের মিলনরেখা (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    Nadia: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। শনিবার রাতে নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের চাঁদঘর এলাকায় বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক  মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার বারুইহুদা মনীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীর ওপর ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল কর্মীদের রাগ ছিল। কারণ, বিজেপি না করার জন্য বলার পরও ভোটে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ওই বিজেপি কর্মীকে মাঝ রাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। মারের চোটে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। আরও একজন জখন হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীর স্ত্রী বলেন, আচমকা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করে তারা। ওরা মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। এক প্রতিবেশী যুবতী বলেন, যেহেতু মলয় বিশ্বাস বিজেপির সক্রিয় কর্মী, সেই কারণে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়।  

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    বিজেপি প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    জখম বিজেপি কর্মীদের দেখতে যান কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। তিনি বলেন, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত। তাই,  কাউন্টিং সেন্টারে যাতে আমাদের এজেন্টরা ঢুকতে ভয় পান, তারজন্য এসব সন্ত্রাস তৈরি করছে। এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি সম্পূর্ণ বিষয়টি লিখিত আকারে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসিকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share