Author: user

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিদেশি ভূখণ্ড, আদালতে কবুল পাক সরকারের

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর বিদেশি ভূখণ্ড, আদালতে কবুল পাক সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরের (POK) যে অংশ থেকে কাশ্মীরি কবি ও সাংবাদিক আহমেদ ফারহাদ শাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তা কাশ্মীরের অংশ নয়, বিদেশি ভূখণ্ড।” শুক্রবার ইসলামাবাদ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এ কথা কবুল করে নিলেন পাক সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল।

    ভারতের দাবি (POK)

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তাঁর সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের এহেন স্বীকারোক্তিতে যারপরনাই উল্লসিত ভারত। কারণ ভারত বরাবরই দাবি করে আসছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। জোর করে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। এদিন শরিফ সরকারের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের এহেন স্বীকারোক্তিতে আদতে ভারতের দাবিই মান্যতা পেল বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    পাক আদালতের প্রশ্ন

    ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত (POK)। তখনও রাজন্যশাসিত রাজ্য ছিল জম্মু-কাশ্মীর। রাজা হরি সিংহ। স্বাধীনতা লাভের পর জম্মু-কাশ্মীরের একাংশ জোর করে দখল করে নিয়েছিল পাকিস্তান। পরে কাশ্মীরের ভারতভুক্তিতে সায় দেন হরি সিংহ। এর পরেই পাক সেনার দখল করা ভূখণ্ডের একটা অংশ দখলমুক্ত করে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের দখলে থেকে যায় বাকি অংশটা। এই অংশই ভারতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নামে পরিচিত। এই অংশেই বাস করেন স্বাধীনতাপন্থী সাংবাদিক তথা কবি ফারহাদ।

    গ্রেফতারির পর ফারহাদকে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। সেখানেই সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীর যেহেতু বিদেশি ভূখণ্ড, তাই ফারহাদকে হাজির করানো যাবে না ইসালামাবাদ হাইকোর্টে। এর পরেই মোক্ষম প্রশ্নটি ছুড়ে দেয় আদালত, “যদি সেটি বিদেশি ভূখণ্ডই হবে তবে কোন অধিকারে সেখানে প্রবেশ করে শিবির তৈরি করে পাক সেনা ও রেঞ্জার্স বাহিনী? কোন অধিকারে গ্রেফতার করে বিদেশি নাগরিককে?”

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিতে ভোট লুট করল তৃণমূল! ভাঙচুর করা হল বাইক, রক্ত ঝরল বিজেপি নেতা-কর্মীর

    গত ১৪ মে রাওয়ালপিণ্ডি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ফারহাদ। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পরের দিন ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ফারহাদের স্ত্রী উরুজ জাইনাব। বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর উসমা আওয়া ফারহাদের গ্রেফতারির খবর জানান। তিনি এও জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পুলিশের হেফজতেই রয়েছেন ওই সাংবাদিক (POK)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gratuity Limit Hike: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাসি আরও চওড়া হল, বাড়ল গ্র্যাচুইটির পরিমাণ

    Gratuity Limit Hike: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হাসি আরও চওড়া হল, বাড়ল গ্র্যাচুইটির পরিমাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ্য ভাতার (DA) পর এবার গ্রাচুইটি (Gratuity) নিয়ে সুখবর দিল কেন্দ্র সরকার। এখন অবসর ও মৃত্যুজনিত গ্রাচুইটির (Death Gratuity) সীমা ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করা হল। বর্ধিত এই লাভ ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।

    কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের গ্র্যাচুইটির পরিমাণ বাড়ল

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এর জেরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৫০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ মে জারি হওয়া অফিস মেমোরেন্ডামে (OM) বলা হয়েছে, “সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস পেনশন বিধি, ২০২১ বা কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (জাতীয় পেনশন সিস্টেমের অধীনে গ্র্যাচুইটির অর্থ প্রদান) নিয়ম ২০২১-এর অধীনে, ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে অর্থাৎ ২০ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের (Office Memorendum) পর থেকেই অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি এবং ডেথ গ্রাচুইটি সহ অন্যান্য ভাতা দ্রুত বৃদ্ধি হবে এমনটাই আশা করা হচ্ছিল। অবশেষে সেই সুখবর এল কেন্দ্র সরকারের তরফে। যদিও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতার ফারাক এখনও অনেকটাই। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও পিছিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার।

    টানা পাঁচ বছর চাকরি করলেই মিলবে গ্র্যাচুইটি

    প্রসঙ্গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষাধিক কর্মচারী এবং পেনশন ভগিরা স্বস্তি পেয়েছিলেন। নিয়ম অনুসারে একজন কর্মচারী অন্তত পাঁচ বছর যদি একটানা কাজ করেন তাহলে তিনি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য। পেমেন্ট অফ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী, মৃত্যু বা পদত্যাগের সময় পর্যন্ত প্রদেয় অর্থ পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: কন্যাকুমারীতে ধ্যানমগ্ন প্রধানমন্ত্রী, আজ মোদি-গড় সামলাচ্ছেন বিশ্বস্ত অমিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ডিয়ারনেস রিলিফ (Dearness Relief) এবং মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Allowance) ৪ শতাংশ বাড়িয়েছে। কয়েক লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এটি একটি বিশাল স্বস্তির খবর ছিল। ডিএ ৫০ শতাংশে বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের বেতনের অন্যান্য অংশগুলিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    Baranagar: খড়দায় বিজেপি নেতাকে মার, গাড়়ি ভাঙচুর, বরানগরে সন্ত্রাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দমদম লোকসভা ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনও রয়েছে বরানগরে (Baranagar)। আর এই বিধানসভায় লাগামছাড়া সন্ত্রাস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দেয়নি। সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এমনকী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি এই লোকসভার খড়দায় বিজেপি নেতাকে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    বিজেপি এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা! (Baranagar)

    বরানগরের (Baranagar) বনহুগলিতে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বুথের মধ্যে তৃণমূলের এক বহিরাগত ঢুকে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেন। যদিও তিনি নিজেকে সৌগত রায়ের এজেন্ট বলে দাবি করেন। তবে, এজেন্টের কোনও পরিচয় পত্র তিনি দেখাতে পারেননি। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরতেই তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর এই বিষয় নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে। পরে, বুথের ভিতরেই বিজেপি প্রার্থীকে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের এক কর্মী। তাঁর সঙ্গে সজলবাবু বচসায় জড়িয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বিজেপির এজেন্ট বসতে না দেওয়ার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বুথ চত্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে এক সাংবাদিক আক্রান্ত হন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি প্রার্থী (Baranagar) সজল ঘোষ বলেন, “ফর্মে স্ট্যাম্পের কথা কোথাও লেখা নেই। আর তৃণমূলের লোকজন স্ট্যাম্প ছাড়া ঢুকতে দেবে না। প্রিসাইডিং অফিসার মেনে নিচ্ছেন। তৃণমূলের লোকজন বাধা দিচ্ছে। তবে, যিনি আমাকে বাধা দিয়েছেন তিনি তৃণমূলের বহিরাগত। তাঁর নিজের কোনও কাগজ নেই। আমরা চেপে ধরতেই তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এসব হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এখানেই শেষ নয়। ওই একই বুথে রাজ্য পুলিশকে দেখা গেল ভিতরে। আঙুল উঁচিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। যদিও পুলিশ আধিকারিক জানান ভিতরে সব ঠিক আছে কি না জানার জন্য গিয়েছিলেন।

    খড়দায় বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর

    দমদম লোকসভা কেন্দ্রের খড়দা বিধানসভার বিলকান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের লেলিনগড় ২৩৭ নম্বর বুথে বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সহ-সভাপতি শেখ রমজান আলিকে বাঁশ দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর গাড়িও ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলির সহ-সভাপতি সেখ রমজান আলি বলেন, আমি দলীয় ক্যাম্পে বসেছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা এসে আমাকে বেধড়ক পেটায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট আর বাঁশ দিয়ে আমাকে পিটিয়েছে। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত বলেন, হেরে যাবে বুঝতে পেরেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে।

    বরানগরে আক্রান্ত বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য

    বাম প্রার্থীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, শনিবার বরানগর (Baranagar) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র কলেজের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান। সেখানেই বরানগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁর। দু’জনকে নিরস্ত করতে দৌড়ে আসেন দু’দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আমি বনহুগলি এলাকার ওই বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে দেখেই নাকি ‘চোর-চিটিংবাজ’ বলে চিৎকার করেন কাউন্সিলর এবং তাঁর অনুগামীরা। আমায় দেখে কাউন্সিলর বললেন, আপনি এখানে কেন? আমি পাল্টা বললাম আমি তো প্রার্থী, কিন্তু আপনি এখানে কেন? এখান থেকে চলে যান বলে ওরা হামলা চালায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Energy Security: প্রচলিত শক্তি উৎসের বিকল্প হতে পারে ‘হাইড্রোজেন’! উৎপাদন বাড়ছে ভারতেও

    Energy Security: প্রচলিত শক্তি উৎসের বিকল্প হতে পারে ‘হাইড্রোজেন’! উৎপাদন বাড়ছে ভারতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশকে যদি বাঁচানো যায় তবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে তা পৃথিবীর জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মনুষ্যজনিত কাজেই পরিবেশের ভারসাম্য সবথেকে বেশি বিঘ্নিত হয়। এই আবহে প্রচলিত শক্তির নিরাপত্তাও (Energy Security) প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। ক্রমশই তা ফুরিয়ে আসছে বলে উদ্বেগ প্রকাশও করছেন বিজ্ঞানীরা। আবার প্রচলিত শক্তির বিপুল ব্যবহারের ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে দূষণ। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে আবার প্রচলিত শক্তির অভাব ব্যাপক দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, সারা বিশ্বজুড়ে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৬৭ কোটি মানুষ রয়েছেন যাঁদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, আমাদের দেশ ভারত আগামী কুড়ি বছরের বিশ্বব্যাপী শক্তির চাহিদা ২৫ শতাংশ মেটাতে সক্ষম হবে। প্রচলিত শক্তির নিরাপত্তা যখন চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি অনেক বেশি ভরসার জায়গা দেখাচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এখন পরিবেশের ভারসাম্যকে বজায় রাখতে যতটা সম্ভব পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আজকের আমাদের প্রতিবেদনে শক্তি নিরাপত্তা, শক্তি নিরাপত্তায় হাইড্রোজেনের ভূমিকা এবং ভারতের প্রচেষ্টা এই নিয়ে আলোচনা করব।

    শক্তি নিরাপত্তা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট জিনিস নয় তবে তা অন্য সমস্ত জিনিসের একটি মৌলিক উপাদানও বটে। অর্থাৎ বায়ু, জল, মাটি- এ সমস্ত কিছুরই মৌলিক উপাদান হল শক্তি। জোরের সঙ্গে বলা যায় যে মানব সভ্যতার বিকাশের লক্ষ্যে শক্তি নিরাপত্তা একটা মৌলিক প্রয়োজন। ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, শক্তির উৎসকে অত্যন্ত সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তারা। অর্থাৎ সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে শক্তিকে। এমন অবস্থায় সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শক্তির উৎসগুলি। ঠিক এই কারণেই সূর্য শক্তি, বায়ু শক্তি, জৈব বস্তু, হাইড্রোজেন ইত্যাদির মতো পুনর্নবীকরণ শক্তিগুলির ওপরে জোর দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পুনর্নবীকরণ শক্তি অত্যন্ত সাশ্রয়ী। এই শক্তিগুলি পরিবেশবান্ধবও হয়। 

    বিশ্বে শক্তির ৮৪ শতাংশ আসে খনিজ তেল-কয়লা-গ্যাস থেকে 

    একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে , এখনও সারা বিশ্বে শক্তির ৮৪ শতাংশ আসে খনিজ তেল, কয়লা এবং গ্যাস থেকে। তবে একথা ঠিক শক্তির উৎস সব দেশে সমান নয় এবং এক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দেশে আলাদা আলাদা রকমের শক্তির উৎস রয়েছে। কোনওটাতে খুব বেশি, কোনওটাতে একেবারেই নেই। ঠিক এই কারণেই শক্তি সম্পদের অসম বন্টন হয়। পৃথিবীব্যাপী কয়েকটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলেই খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তির উৎস হিসেবে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সর্বোচ্চ খনিজ তেল উৎপাদনকারী দেশ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, ইরাক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কয়লা উৎপাদনে চিন শীর্ষস্থান অধিকার করে। গ্যাসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী দেশ হল রাশিয়া। বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন, জ্বালানি নিরাপত্তাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

    হাইড্রোজেন কি আমাদের শক্তি নিরাপত্তা দিতে পারে?

    বিজ্ঞানীরা হাইড্রোজেনকেই ভবিষ্যতের জ্বালানি (Energy Security) হিসেবে দেখছেন। হাইড্রোজেনের ব্যবহার বাড়লে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে। জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তির ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য সর্বদা বিঘ্নিত হয়। পরিবেশ দূষিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিষয়গুলিও এর সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু হাইড্রোজেনের ব্যবহারের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে বেশিরভাগ হাইড্রোজেনে জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলেই জল তৈরি হয়। এভাবে জলকে বিশ্লেষণ করে হাইড্রোজেন তৈরি হতে পারে। হাইড্রোজেনকে আলাদাভাবে বিচ্ছিন্ন করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইলেকট্রোলাইসিস, গ্যাসিফিকেশন ইত্যাদি। গঠনের ওপর ভিত্তি করে হাইড্রোজেনকে ধূসর, বাদামী, নীল এবং সবুজ এই হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।

    পৃথিবীর সব দেশেই সম্ভব হাইড্রোজেনের উৎপাদন 

    পৃথিবীর সব দেশেই হাইড্রোজেন উৎপাদিত (Energy Security) হতে পারে। পৃথিবীজুড়ে খনিজ তেল, গ্যাস ও কয়লা উৎপাদনে যে নির্দিষ্ট কিছু ভৌগোলিক অবস্থান রয়েছে সে প্রভাব থেকে হাইড্রোজেন মুক্ত। এর ফলে লাভবান হতে পারে উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলি। এতে শক্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না। তার কারণ হাইড্রোজেন উৎপাদিত বস্তু এবং তা জল থেকেই বিভিন্ন পদ্ধতিতে বিশ্লিষ্ট হয়ে পাওয়ার যাবে। পাশাপাশি সূর্য শক্তি, বায়ু শক্তি, বায়োমাসের মতো পুনর্নবীকরণ শক্তির সাহায্যে উৎপাদিত হলে প্রকৃতিতে দূষণও ছড়াবে না হাইড্রোজেন। উৎপাদিত হাইড্রোজেনকে সাধারণভাবে সবুজ হাইড্রোজেন বলা হয়। হাইড্রোজেনের উৎপাদনের ফলে তা কাজে লাগবে পরিবহন ব্যবস্থার জ্বালানিরূপে ও শিল্পের কাজে।

    ভারত ও হাইড্রোজেন (Energy Security)

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অর্থাৎ মোদি জমানায় ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ব্যাপক হয়েছে। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দিক থেকে ভারত পিছনে ফেলে দিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকেও। সাধারণভাবে ভারতে যে সমস্ত শক্তির চাহিদা রয়েছে তার ৮০ শতাংশ মেটে তিনটি জ্বালানি থেকে। এগুলি, কয়লা, তেল ও বায়োমাস। এছাড়াও ভারতে ক্রমবর্ধমান যেভাবে পরিবহন চাহিদা বেড়ে চলেছে সে কারণে খনিজ তেলের ব্যবহার (Energy Security) এবং আমদানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত বছরগুলিতে প্রচলিত শক্তির ব্যবহার থেকে ভারত পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহারে অনেক বেশি ঝুঁকেছে। সবুজ হাইড্রোজেন ও বৈদ্যুতিক যানবাহনও বহুল পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। ভারতে চালু হয়েছে ১৯ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার ‘ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশন’। এর ফলে প্রতি বছর 5MMT হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে। সবুজ হাইড্রোজেনকে বাণিজ্যিকভাবে আরও বেশি জনপ্রিয় করাই এই মিশনের লক্ষ্য। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে। কারণ দেশে হাইড্রোজেন ইকোসিস্টেম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অর্থাৎ হাইড্রোজেন উৎপাদনের যে পরিকাঠামো তা আরও বাড়াতে হবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় হাইড্রোজেন মিশন, এই দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৮তম জি২০ সম্মেলন। সেখানেই একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যার নাম ছিল ‘গ্রীন হাইড্রোজেন পাইলটস ইন ইন্ডিয়া’, এখানেই ভারতের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত নানা গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্পগুলিকে প্রদর্শন করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    Rekha Patra: প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র, বিক্ষিপ্ত অশান্তিতেও আশাবাদী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । যদিও ভোটের দিনে বেলা গড়াতেই ছবিটা বদলে গেল বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের এই অঞ্চলে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হল এই কেন্দ্রে। তাঁর মধ্যেই জীবনে প্রথমবার ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র (Rekha Patra) । এককালে শেখ শাহজাহানদের দাপটে প্রথমে বাম, পরে তৃণমূলের প্রার্থীরা এই অঞ্চল থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পেয়েছেন। উঠত ভয়ঙ্কর ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ। এবার প্রথম শান্তিতে ভোট হচ্ছে সন্দেশখালিতে।

    প্রথম বার ভোট দিলেন রেখা পাত্র

    প্রথমবার ভোট দিয়ে রেখাপাত্র বলেন (Rekha Patra), “জীবনে প্রথমবার ভোট দিলাম। সন্দেশখালীর মা-বোনেরাও এবার অনেকে প্রথমবার ভোট দিয়েছে। এর জন্য মোদীজি কে ধন্যবাদ জানাই। ২০১১ সাল থেকে এখানকার লোকেরা ভোট দিতে পারেনি। তবে আমাদের লড়াই শুধু ভোট দেওয়ার জন্য ছিল না। ছিল আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার লড়াই। সেই লড়াইয়ের একটা অঙ্গ এই ভোটদান। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ওরা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ সন্দেশখালীর মা-বোনেরা একত্রিত হয়ে এখনও তাঁদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    প্রসঙ্গত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির খবর এসেছে। তবে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বেশিরভাগ বুথে। নখ, দাঁত বের করার চেষ্টা করলেও সেভাবে আস্ফালন দেখাতে পারছে না শাসক দলের বাহুবলীরা। সকাল থেকেই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী।

    মোটের উপর শান্তিপূর্ন নির্বাচন সন্দেশখালিতে

    সন্দেশখালিতে এখনও চালু রয়েছে সিবিআই ক্যাম্প। আঁটোসাটো নিরাপত্তা প্রত্যেকটি বুথে। গোটা সন্দেশখালি অতি স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রশ্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে, আপনারা চলে গেলে কী হবে। বসিরহাটের অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্সের নিশ্ছিদ্র পাহারা। রেখা পাত্র (Rekha Patra) জানিয়েছেন তাঁদের এক কর্মীর এদিন মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শাসক দলের কর্মীরা। তবে বেশির ভাগ বুথেই শান্তিপূর্ণভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। গন্ডগোল এড়াতে মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সঙ্গে মোবাইল নিয়ে আসলেও সুইচ অফ করে বুথে ঢুকতে হচ্ছে। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    Mithun Chakraborty: ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই’’, ৪০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘মহাগুরু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার ছবির কথা বলব। রাজনীতির কথা বলব না।” পয়লা জুন, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পর কথাগুলি বললেন অভিনেতা কাম রাজনীতিক বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন,  ‘‘আমি বিজেপির ক্যাডার, লিডার নই”।

    ভোটের লাইনে মিঠুন

    বেলগাছিয়ার ২৪৮ নম্বর বুথের ভোটার মিঠুন। সকালেই চলে যান বুথে। লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো। ঠায় চল্লিশ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। যদিও তাঁকে এগিয়ে গিয়ে আগে ভোট দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন লাইনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন ভোটার। তবে এই সুযোগ নিতে রাজি হননি এই অভিনেতা-রাজানীতিক। এদিকে, রূপোলি পর্দার ‘মহাগুরু’কে হাতের কাছে পেয়ে যথারীতি এল সেলফি তোলার আবেদন। মিঠুন তাতে রাজি হলে বাধ সাধেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তৃণমূলের দেবিকা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করছেন মিঠুন। ততক্ষণাৎ অভিনেতা-কাম রাজনীতিক (Mithun Chakraborty) বলেন, “আমি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আমি কাউকে চিনি না।”

    কী বললেন অভিনেতা-রাজনীতিক?

    এর পরেই বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, “নির্বাচনের ডিউটি ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। দলের নির্দেশ ছিল। আমি পূরণ করেছি। এবার আমার কাজ হল পেশাগত জীবনে চলে যাওয়া। শনিবার থেকে আমি আমার পেশাগত জীবনে ঢুকছি। এদিন থেকেই আমি ছবির কাজ করব।” পদ্ম শিবিরের এই তারকা রাজনীতিক বলেন, “আমি কোনও সময় দুটো কাজ এক সঙ্গে করি না। তাই এবার থেকে ছবির কথা বলব, রাজনীতির কথা নয়।”

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি আয়োজিত ব্রিগেডের জনসভায় ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত মিঠুন হাতে তুলে নিয়েছিলেন গেরুয়া ঝান্ডা। তার আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। পদ্ম-পার্টিতে যোগ দিয়েই জোর কদমে জনসভা করতে শুরু করেন মিঠুন। বিজেপি সূত্রে খবর, সেই সময় এক এক দিনে মিঠুন সভা করেছিলেন চার-পাঁচটি করে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে সভা-সমাবেশ-মিছিল এবং রোড-শো করেছেন মিঠুন। তবে বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় কম। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবার তুলনামূলকভাবে কম সভা করেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    TMC: নির্বাচনী প্রচারে ৫২১ বার কপ্টার ব্যবহার করেছে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মা-মাটি-মানুষের নেত্রী! থাকেন টালির চালের বাড়িতে। তৃণমূল নেত্রীর এই ছবি দেখিয়েই ঘাসফুল প্রতীককে গরিবের দল বলে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (TMC)! অথচ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এই দলই সব চেয়ে বেশি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে বলে খবর।

    কপ্টার ব্যবহারে এগিয়ে তৃণমূল (TMC)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চলতি নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে ৫২১বার। আর রাজ্যে তার বিরোধী দল বিজেপি ব্যবহার করেছে মাত্রই ১২৪ বার। কংগ্রেস ব্যবহার করেছে দু’বার। নির্দল প্রার্থীরা কপ্টার ব্যবহার করেছেন কংগ্রেসের মতোই, দু’বার। বাংলায় একবারও কপ্টার ব্যবহার করেনি বামেরা। একটা আঞ্চলিক দল(তৃণমূল অবশ্য দাবি করে তারা সর্বভারতীয় দল। তবে সর্বভারতীয় দল হতে গেলে যে মানদণ্ডের চৌকাঠ পেরতে হয়, তা পেরতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।) তৃণমূলের (TMC) কপ্টার ব্যবহারের বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজনৈতিক মহলের।

    রাজ্যে প্রচারে রেকর্ড 

    কমিশন সূত্রে খবর, ৬৭৬ বার কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল তৃণমূল। তবে এতবার অনুমতি দেওয়া হয়নি। কপ্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৫২১ বার। গত ১৬ মার্চ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। পয়লা জুন সপ্তম দফার নির্বাচন। ৩০ মে ছিল প্রচারের শেষ দিন। পঁচাত্তর দিন ধরে চলা নির্বাচনী প্রচারেও এগিয়ে বাংলা। কমিশন সূত্রে খবর, এই পঁচাত্তর দিনে বাংলায় সব মিলিয়ে প্রায় এক লাখ সভা, মিছিল হয়েছে। দেশে যা নজিরবিহীন। কমিশন সূত্রে খবর, দেশের কোথাও আর এত সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়নি।

    আর পড়ুন: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    জানা গিয়েছে, বাংলায় কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আবেদন জমা পড়েছিল ১৯ হাজার ২৭৬টি। এর মধ্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৯৫ হাজার আবেদনের। এ রাজ্যে সব চেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। সেখানে সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৮টি। এই তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। অন্যান্য জেলায় সভা-সমাবেশ-মিছিল হয়েছে তুলনায় কম (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফা ভোটে অশান্ত ভাঙড়, জয়নগর, আক্রান্ত বিজেপি, জলে ফেলা হল ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বাংলায় রক্ত ঝরল বিরোধীদের। কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হল। বুথে এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতার মেয়েকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই অভিযুক্ত তৃণমূল। ফলে, শনিবার সপ্তম দফা ভোটে সকাল থেকে একাধিক লোকসভা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

    ভাঙড়ে অশান্তি! (Lok Sabha Election 2024)

     শনিবার মধ্যরাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। তৃণমূল- আইএসফ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মূলত, পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। ঝামেলায় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে। অভিযোগ আইএসএফের দিকে। পাল্টা দলীয় পতাকা লাগাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ। শনিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল এলাকায়। আইএসএফও-এর দাবি, তাদের কর্মীরাও আহত হয়েছেন। তাদেরও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিকে, ভোটের রাতে দলীয় প্রার্থী নুর আলম খানের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। সেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রাতেই ভাঙড় থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতভর ভাঙরের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালেই ভোটকে (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্র করে আইএসএফ-তৃণমূল খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এ বার ঘটনাস্থল ভাঙড়ের ফুলবাড়ি এলাকায়। অভিযোগ, বুথে এজেন্ট বসাতে গেলে আইএসএফ কর্মীদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল। উল্টোদিকে, আইএসএফের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ভোট-হিংসায় রাশ টানতে ফলাফলের পরেও রাজ্যে মোতায়েন থাকবে বাহিনী, জানাল কমিশন

    জলে ফেলা হল ইভিএম

    কাশীপুরের বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তাপস রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কুলতলিতে বিজেপিসহ বিরোধীদের ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপরই রাগে ইভিএম জলে ফেলে দিয়েছেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ক্যানিং গোলাবাড়ি বাজারে বিরোধী দলের ভোটারদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এক সংবাদ কর্মী গুরুতর আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    জয়নগরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ

    জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি বিধানসভার মেরিগঞ্জ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ এবং ৪১ নম্বর বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। আহত ৬ জন। বিজেপির ২ জন এবং তৃণমূলের ১ জন কর্মীকে আহত অবস্থায় কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বিজেপি নেতার মেয়ের ওপর হামলা

    বারাসাত লোকসভার কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপির বুথ সভাপতির মেয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়ড়া শিবতলা এলাকার ঘটনা। আক্রান্ত ওই নাবালিকাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 01 June 2024: আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছেন? উন্নত হবে আজ

    Daily Horoscope 01 June 2024: আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবছেন? উন্নত হবে আজ

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজ প্রাক্তন প্রেমীর সঙ্গে দেখা হতে পারে, আপনাদের সম্পর্কের নতুন সূচনা হবে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করবেন।

    ৩) চোখ বন্ধ করে কারও ওপর ভরসা করবেন না।

    বৃষ

    ১) মনে আনন্দ থাকবে।

    ২) নতুন উৎস থেকে ধন লাভ করতে পারবেন।

    ৩) ধর্ম-কর্মের কাজে ব্যস্ত থাকবেন।

    মিথুন

    ১) সামাজিক পদ-প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) অর্থ আগমনের নতুন পথ প্রশস্ত হবে।

    ৩) গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) নিজের কাজে আগত চ্যালেঞ্জ কড়া হাতে মোকাবিলা করবেন।

    ২) সাবধানে নিজের দায়িত্ব পালন করুন।

    ৩) জীবনের বড়সড় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকুন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ থাকবে।

    ২) আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে আধিকারিকদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কন্যা

    ১) সম্পর্কে আগত তিক্ততা দূর হবে।

    ২) সম্পর্কে প্রেম ও বিশ্বাস বাড়বে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অনুকূল পরিবেশ থাকবে।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি সাধারণ থাকবে।

    ২) ব্যবসায়ে ধন লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে, তবে ভেবেচিন্তে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

    বৃশ্চিক

    ১) আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকবেন।

    ২) প্রেম সম্পর্কে মাধুর্য আসবে।

    ৩) সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।

    ধনু

    ১) প্রেম জীবনে রোম্যান্স বাড়বে।

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে উন্নতি করতে পারবেন।

    মকর

    ১) সাফল্য লাভের জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) লেখালেখি ও বৌদ্ধিক কাজে আয়ের নতুন উৎস পাবেন।

    ৩) চাকরিতে স্থান পরিবর্তনের যোগ রয়েছে।

    কুম্ভ

    ১) পারিবারিক জীবনে আনন্দের আগমন হবে।

    ২) আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবেন।

    ৩) কাজে আগত বাধা দূর হবে।

    মীন

    ১) পেশাগত জীবনে উন্নতির পূর্ণ সুযোগ পাবেন।

    ২) কেরিয়ারে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।

    ৩) সমাজে আপনাদের মান-সম্মান বাড়বে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    Alipurduar: “পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা এনেছে”, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করেই শাসক দলকে নিশানা করেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকার খেলার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর এই অভিযোগকে কেন্দ্র রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশ গ্রিন করিডর করে টাকা নিয়ে এসেছে! (Alipurduar)

    শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মাদারিহাটের (Alipurduar) বিধায়ক তথা এবারের লোকসভা ভোটের বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা চলছে। এই টাকা কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে এক ব্যবসায়ীর কাছে আসে। তারপর পুলিশ গ্রিন করিডর করে আলিপুরদুয়ারে আনে। আমাদের কাছে খবর আছে, আলিপুরদুয়ারের এক ব্যবসায়ীর কাছে কলকাতা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এসেছে। এর আগে তৃণমূলের দুই নেতা কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপরই মঙ্গল-বুধবার নাগাদ পুলিশের সহযোগিতায় আলিপুরদুয়ারে টাকা আনা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, এই টাকা ব্যবহার করে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার আসনটি জেতার চেষ্টা করছে।” পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এডিএম (জেলা পরিষদ) গত পঞ্চায়েত ভোটে  বেআইনিভাবে পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে শাসক দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তাই আগামী ৪ জুন উনি গণনাতে ওই আধিকারিক থাকলে সঠিকভাবে গণনা হবে না।”

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “আসলে বিজেপি আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) হারবে বুঝেই এসব কথা বলছে। আমি বিজেপির নেতাদের মনে করিয়ে দিতে চাই , ইডি তো বিজেপির পকেটে থাকে। তাদের নেতাদের নির্দেশ শুনেই ওরা কাজ করে। তা এটাও জানাক ইডিকে। ওরা টাকা বাজেয়াপ্ত করুক। আসলে টাকার গল্পটা কিছুই নয়, এটা হচ্ছে হার স্বীকার করে নেওয়া। ওরা আলিপুরদুয়ারে হারতে চলেছে বুঝে আগাম একটা গীত গেয়ে রাখল। তৃণমূল এসব করে না। কারণ, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share