Author: user

  • Kaushik Basu: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    Kaushik Basu: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে গত দশ বছরে। মোদি জমানায় ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র যে ঊর্ধ্বগামী, তাও মেনে নিয়েছেন বিশ্বের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগই। দেশ এগোচ্ছে উন্নত ভারতের স্বপ্ন বুকে নিয়ে। এহেন আবহে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বকেই হাতিয়ার করছেন বিরোধীরা। এবার তাতে ইন্ধন জোগালেন প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুও (Kaushik Basu)।

    নেটিজেনদের নিশানায় অর্থনীতিবিদ (Kaushik Basu)

    তার পরেই তাঁকে নিশানা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তাঁরা বলছেন, “ভুল তথ্য দেবেন না, বিপথে চালিত করবেন না। দেশে বেকারত্বের হার মাত্রই দু’শতাংশ।” বুধবার কৌশিক সরকারকে অনুরোধ করেছেন ভারতে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বে রাশ টানতে। তিনি বলেন, “সিএমআইই-র সাম্প্রতিক ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতের যুব বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে অ্যালার্মিং লেভেলে। বর্তমানে এর হার ৪৫.৪ শতাংশ, বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।”

    কী বলেছেন কৌশিক বসু?

    কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন অর্থনীতির পাঠ দেন কৌশিক (Kaushik Basu)। তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থে আমরা অবশ্যই স্লোগানের আড়ালে লুকিয়ে যাব না। রাজনীতিকে সরিয়ে রাখব এক পাশে। এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করব।” কৌশিকের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে সমালোচনার ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার সাথী বেল্লাম লিখেছেন, “যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা আপনি বলছেন, এরা ২০-২৪ বছর বয়সী। এদের অধিকাংশই এখনও পড়াশোনা করছেন। ৩০ এর ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার মাত্র ২ শতাংশ। এর অর্থ হল, পড়াশোনা শেষ করে অধিকাংশই কাজ পেয়ে যাচ্ছেন।”

    কৌশিকের ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব তত্ত্বের দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন এক প্রবীণ টেকনোক্র্যাট অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও। সাথীর মতো তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্বের কথা বলা হচ্ছে, তারা সবাই ২০-২৪ বছর বয়সী। যাঁদের সিংহভাগই পড়াশোনা করছেন। তিনি লিখেছেন, “৩০ বছর এবং তার ওপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার মাত্র ২ শতাংশ। এই একই রিপোর্ট অনুযায়ী, আপনি উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। অপপ্রচারের চূড়ান্ত (Kaushik Basu)।”

    আর পড়ুন: ভারতীয় অর্থনীতি পজিটিভ, জানিয়ে দিল এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Highest Temperature: ৫২.৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল দিল্লি, দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

    Highest Temperature: ৫২.৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলল দিল্লি, দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপপ্রবাহে রেকর্ড গড়ল দিল্লি, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছায় রাজধানীতে (Highest Temperature) ৫২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস । ভারতে এর আগে কোথাও এত বেশি তাপমাত্রা কখনও দেখা যায়নি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শেষের দিকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর যে রাজধানীতে তীব্র তাপপ্রবাহ হতে চলেছে। সেই মতো আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪৫ ডিগ্রির থেকে সামান্য বেশি। কিন্তু সেই যাবতীয় পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে ৫২ ডিগ্রির বেশি ছুঁয়েছে তাপমাত্রা।

    এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল

    এর আগে ভারতের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই বছরের ১৯ মে রাজস্থানের ফলোদি শহরে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, কিন্তু বুধবার সেই সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে দিয়েছে দিল্লি। ঘটনাক্রমে বুধবার ফালোদির তাপমাত্রা ছিল ৫১° সেলসিয়াস। হরিয়ানার সিরসায় এদিন তাপমাত্রা পৌঁছায় ৫০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান, কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “দিল্লিতে আগেই তীব্র গরম আবহাওয়া ছিল। রাজস্থান থেকে আসা গরম বাতাসের কারণে রাজধানীর কিছু বিশেষ অংশের আবহাওয়া আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। মুঙ্গেশপুর, নারেলা এবং নজফগড়ের মতো অঞ্চলগুলিতে (Highest Temperature) এই গরম বাতাসের পূর্ণ শক্তি দেখা যাচ্ছে।”

    জল নষ্ট করলেই নাগরিকদের দিতে হবে জরিমানা  

    অন্যদিকে এই সময়ে দিল্লি সরকার ঘোষণা করেছে যে জল নষ্ট করলেই নাগরিকদের দিতে হবে জরিমানা। জল অপচয় করতে দেখা গেলেই দু হাজার টাকা করে জরিমানা নেওয়া হবে। কারণ প্রচণ্ড গরমে ইতিমধ্যে রাজধানীতে জল সংকট দেখা দিয়েছে। ওই নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল উপচে পড়লে, ব্যক্তিগত গাড়ি বা অন্যান্য যানবাহন ধোয়া নির্মাণ ও বাণিজ্যিক কারণে পানীয় জল (Highest Temperature) ব্যবহার করলে জরিমানা গুনতে হবে। কোথাও কোনও জল অপচয় হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ২০০টি দল মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলেই দিতে হবে জরিমানা। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে এই ২০০টি দল কাজ শুরু করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    ECI: ভোটে নাক গলানোয় ওড়িশায় সাসপেন্ড আইপিএস অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে একশো শতাংশ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন (ECI)। অযাচিতভাবে নির্বাচনে নাক গলানোয় এবার সাসপেন্ড করা হল এক আইপিএস অফিসারকে। এই আধিকারিকের নাম ডিএস কুট্টে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কুট্টে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের স্পেশাল সেক্রেটারি। তিনি ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। অ্যাডিশনাল ডিজি পদমর্যাদার অফিসার তিনি।

    কমিশনের নির্দেশ (ECI) 

    কমিশনের (ECI) নির্দেশে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ ব্যাচের আইপিএস তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সচিব ডিএস কুট্টেকে নির্বাচন পরিচালনায় অযথা হস্তক্ষেপের জন্য প্রাসঙ্গিক পরিষেবা বিধির আওতায় সাসপেন্ড করা হবে। কমিশন জানিয়েছে, কুট্টের সদর দফতর ওড়িশার রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসে ২৯ মে বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। কমিশনের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, ওড়িশার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কুট্টেকে চার্জশিটের খসড়া সরবরাহ করবেন এবং ওড়িশার মুখ্যসচিব ৩০ মে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিষেবা বিধি অনুসারে চার্জশিটের ব্যবস্থা করবেন।

    কুট্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, গত মাসে কুট্টের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে বসে বিজু জনতা দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। দ্রুত তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি কল ডিটেলস রেকর্ড পুনরুদ্ধার করার দাবি জানানো হয়। এদিকে, আর এক আইপিএস অফিসার আশিস সিংহকেও মেডিক্যাল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। গত ৪ মে থেকে মেডিক্যাল লিভে রয়েছেন তিনি। ৩০ মে-র মধ্যে তাঁকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য হাজিরা দিতে হবে। ভুবনেশ্বরের এইমসে এই পরীক্ষা হবে, পরীক্ষার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন। আশিস ২০১০ ব্যাচের আইপিএস।

    আর পড়ুন: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, গত ২৭ মে সিইওর তরফে অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে এই দুই আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, খোরধা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রার্থী প্রশান্ত জগদেবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার একটি বুথে ইভিএম ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে (ECI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    Suvendu Adhikari: ভাঙড়ে একই দিনে স্থানীয় তৃণমূল নেতার সভা, শুভেন্দুর সভাকে বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সপ্তম দফা ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। আগামী ১ জুলাই শেষ পর্বের ভোট গ্রহণ হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুই দিনে আশোকনগর, যাদবপুর, কাকদ্বীপে তিনটি জনসভা এবং কোলকাতায় একটি রোডশো করেছেন। তাঁর ভোটের প্রচার ছিল দারুণ জমজমাট। এই প্রচারের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ভাঙড়ে একটি সভা করার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সেই সভাকে অনুমতি দিল না প্রশাসন। ঘটনায় প্রশাসন এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল করায় বিজেপি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে এই সভাকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা যে স্থানীয় তৃণমূল নেতার একই দিনে সভা রয়েছে। তাই সেই জন্য বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গভীর চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছে বিজেপি। ভাঙড়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সভা করলে মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে, আর তাই শাসক দলের মনে বিজেপিকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে সভা স্থগিত হলেও নির্ধারিত সময়ে সভাস্থলে শুভেন্দু যাবেন এবং এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    আরও পড়ুনঃ “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    আইন শৃঙ্খলার সমস্যা

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। ৫ জন মানুষের রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। একাধিক সময়ে বোমা, গুলি, বন্দুকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের তির ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি খুনের মামলায় তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার একাধিক পুলিশ আধিকারিকদের বদল হয়েছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে সভায় অনুমতি না দেওয়ার পিছনে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের বাজারে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভা বাতিল হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: পরিকাঠামো নেই, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে মৃত্যু, সরব বিজেপি

    Balurghat: পরিকাঠামো নেই, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে মৃত্যু, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও আবাসিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়েছে, আবার কখনও নেশামুক্তি কেন্দ্রে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তেতে উঠেছে এলাকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) জেলা জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রচুর। তবুও, প্রশাসন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ। নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়। কোন লাইসেন্সের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এসব নেশামুক্তি কেন্দ্র, কে দিয়েছে অনুমতি, কিছুই জানা যায় না। স্বাস্থ্য দফতর, সমাজকল্যাণ দফতর থেকে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে এই অভিযোগ ঘুরপাক খায়। এসব নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলির বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন গঙ্গারামপুরের বিজেপির বিধায়ক সত্যেন রায়।

    নেশামুক্তির পরিকাঠামো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Balurghat)

    এক সরকারি আধিকারিক বলেন, একটি দোতলা বা তিনতলা বাড়ি, সেখানে ঝাঁ চকচকে অফিস ঘরে মাদক নিয়ে সচেতনতার প্রচার সংক্রান্ত ইংরেজিতে লেখা পোস্টার বা ছবি। তাতেই চালু হয়ে যাচ্ছে নেশামুক্তি কেন্দ্র। সঙ্গে রয়েছে সংস্থার নাম আর ফোন নম্বর। মৌখিক প্রচারেই মাদকাসক্তদের পরিবারের যাতায়াত শুরু হয় সেখানে। মাসে মাসে মোটা টাকা রোজগার করছে সংস্থাগুলি। ভিতরে কী পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে কোনও চিকিৎসক আছেন কিনা, রোগীর পরিবার সেসব বিষয়ে কিছুই জানতে পারেন না। এমনকী রোগীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করানোর কথা থাকলেও তা মানা হয় না। এই গোপনীয়তার সুযোগেই বাড়ছে অপরাধ। প্রায়শই কেন্দ্রগুলি থেকে রোগীমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    নেশামুক্তি কেন্দ্রে ঘটছে রোগীমৃত্যু!

    মাসকয়েক আগে বালুরঘাট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনের রাস্তায় একটি মৃতদেহ পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। কারা দেহ ফেলে গিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, পতিরামের একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে মৃত এক আবাসিককে সেখানে ফেলে গিয়েছিল কর্তৃপক্ষই। ওই ঘটনার তদন্ত শেষ না হতেই গত শনিবার আরও একটি কেন্দ্রে এক আবাসিকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই অসুস্থ আবাসিককে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ভর্তি না করে রায়গঞ্জের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতেই উঠেছে প্রশ্ন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় জানাচ্ছেন, ‘জেলায় অনেক নেশামুক্তি কেন্দ্র আছে যা সম্পূর্ণ বেআইনি। খবর এসেছে, বহু কেন্দ্রে রোগীদের মারধর, অত্যাচার করা হয়। নেই কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা ফার্মাসিস্ট। আবাসিকদের বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে। এসব কেন্দ্র বন্ধ হোক।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    Siliguri: বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী! আন্দোলনে নামার হুমকি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়রের অপদার্থতায় ১৫ দিন ধরে বিষ জল পান করলেন শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরবাসী। এমনই অভিযোগ বিজেপির। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জল পান না করার জন্য মেয়রের আবেদনে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র গৌতম দেব স্বীকার করেন, প্রায় গত ১৫ দিন ধরে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়েছে তা দূষিত। পিএইচই থেকে দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই জল ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত। অক্সিজেন কম। তাই এই জল যেন এখন থেকে আর কেউ পান না করেন।

    কেন দূষিত জল সরবরাহ করা হল? (Siliguri)

    গজলডোবায় তিস্তার বাঁধ মেরামতে জন্য শিলিগুড়ি (Siliguri) পানীয় জল প্রকল্পে তিস্তার জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, শহরবাসী যাতে জলকষ্টে না পড়েন তারজন্য মহানন্দা নদীর জল সরবরাহ করে কাজ করা হচ্ছিল। সেই জলের নমূনা পিএইচই কলকাতায় পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট এসেছে, এই ভয়ঙ্কর মাত্রায় দূষিত, এই জল পানের অযোগ্য। এখন প্রশ্ন হল, পরীক্ষা না করে কেন মহানন্দার জল নেওয়া হল? অনেক আগেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, রাজ্যের ভয়ঙ্কর দূষিত নদীগুলির মধ্যে মহানন্দা প্রথম তিনে রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আগে কেন পরীক্ষা করে দেখা হল না?

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

     কী বলছেন মেয়র?

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, শহরবাসী (Siliguri) যাতে জলকষ্টে না পড়েন তার জন্য মহানন্দার জল নিয়ে পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এই জলের নমুনা জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর থেকে কলকাতায় পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসতে পাঁচ-ছ’দিন সময় লাগে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই আমরা শহরবাসীকে এই জল পান না করার আবেদন জানাচ্ছি।

    দূষিত জল পান করে বাড়ছে পেটের রোগ!

    গত দুই সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে পেটে ব্যথা। সেই সঙ্গে বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) হাসপাতালে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা নৌকাঘাটের চম্পা রায়, শান্তিনগরের জবা ঘোষ বলেন, আমরা সারা বছর পুরসভার জল খাই। কিন্তু, গত দু’সপ্তাহ ধরে এই জল খাওয়ার পর থেকে আমরা দেখছি হঠাৎ করে পেটে কামড় দিচ্ছে, তারপর ব্যথা। কখনও কখনও পাতলা পায়খানা হচ্ছে। তাই হাসপাতালে এসেছি। 

    বিষ জল পান করছেন শিলিগুড়িবাসী

    বিজেপির শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, মেয়রের অযোগ্যতাতে এই জিনিস ঘটেছে। শিলিগুড়ি মানুষ আজ ভয়ঙ্কর ঝুঁকির মুখে। এনিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এনিয়ে মেয়রকে জবাবদিহি করতে হবে। যদি তিনি সন্তোষজনক উত্তর না দেন এবং এই বিষ জল পানের ফলে শহরের বিপর্যয় দেখা যায়, তাহলে আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আগামীদিনে চরম আন্দোলন নামব। মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা আমরা বরদাস্ত করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: “মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” আরামবাগে বাড়ি ভাঙচুর নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ১ জুন রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভার নির্বাচন। এর মধ্যেই শাসকদল তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হলেন এক বিজেপি কর্মী। এইবার আক্রমণের শিকার হলেন, আরামবাগের (Arambagh) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির সংখ্যালঘু বুথ সভাপতি। মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীরা রাতে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া দেয় এবং ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে আক্রান্তের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Arambagh)?

    হুগলিতে (Arambagh) বিজেপির আক্রান্ত সংখ্যালঘু বুথ সভাপতির নাম হল মইউদ্দিন মল্লিক। তিনি বলেন, “আমি নির্বাচনের দিনে বুথে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছিলাম। আর ভোট মিটে যাওয়ার পর থেকে আমাকে অনেকবার হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। এরপর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, মুসলিম হয়ে কেন বিজেপি করছিস!” এই ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়ে বিজেপির প্রার্থী অরূপকান্তি দিগার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “হারের ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের জনমত ভোটে প্রকাশ পাবে।”

    আরও পড়ুনঃ সপ্তম দফা ভোটের আগে উত্তপ্ত জয়নগর, গুলি-বোমার আঘাতে আহত এক ব্যক্তি!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই প্রেক্ষিতে আরমাবাগের (Arambagh) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের বিষয়কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের নেতা শেখ মহম্মদ বলেন, “শুনেছি এই হামলার কথা। মদ্যপ অবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপির অপর আরেক এজেন্ট। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে এই সমস্ত করছে দুষ্কৃতীরা। তবে তৃণমূলের কেউ এই কাজে যুক্ত নয়।”  

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার ও বুধবারে নির্বাচনী প্রচার করেন রাজ্যে। অপর দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ভোটের প্রচার করেন। শেষ দফা প্রচারে নির্বাচনী প্রচার রাজ্যে জমে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা, বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের ফল পছন্দ না হলে ইভিএম পরীক্ষার আবেদন করতে পারবেন ‘হেরো’ প্রার্থীরা। তবে সবাই নন, কেবল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীরা কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) কাছে এই আবেদন করতে পারবেন। গণনা শেষের সাত দিনের মধ্যেই আবেদন জানাতে হবে ক্রস-ভেরিফিকেশনের। এজন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ও অভিযোগের বয়ান জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে। ইভিএমে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আবেদনকারীকে ফেরত দেওয়া হবে তাঁর জমা দেওয়া টাকা। কমিশনের এহেন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া শাসক-বিরোধী সব শিবিরেই।

    ইভিএম পরীক্ষার সুযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024) সূত্রে খবর, ফল ঘোষণার পর আবেদন করলে ইভিএমের মাইক্রো-কন্ট্রোলারের (যার মাধ্যমে ভিভিপ্যাট স্লিপ মেলে) বার্নট মেমরি পরীক্ষার সুযোগ পাবেন পরাজিত প্রার্থীরা। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবেন ইভিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইসিআইএলের ইঞ্জিনিয়ররা। জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচ শতাংশ বুথে এই পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনও একটি ইভিএমে কোন প্রতীকের পাশের বোতাম কতবার টেপা হয়েছে, ভিভিপ্যাটে তার ক’বার প্রতিফলন ঘটেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখবেন মেশিন প্রস্তুতকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা।

    ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়

    কমিশন জানিয়েছে, ভোট গণনায় জড়িত আধিকারিকদের কর্মশালায় বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনও নির্দেশিকা জারি করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব বলেন, “নির্দেশিকা প্রকাশের জন্য এখনও অনেক সময় রয়েছে।” প্রসঙ্গত, ইভিএমের ক্ষেত্রে সেমি-কন্ডাক্টর যন্ত্রটি পরীক্ষা করলেই বোঝা যায়, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে কিনা। নির্বাচন কমিশন বারংবার দাবি করেছে, ইভিএমে কোনওভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। কিন্তু ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।

    আর পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ কেজরির আবেদন, আপ সুপ্রিমো ফিরছেন তিহাড়েই!

    এঁদেরই কেউ কেউ আবার ব্যালট পেপারের যুগে ফিরে যাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন নানা সময়। তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ব্যালটে ভোট নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একাধিকবার। বিরোধীদের এই সব অভিযোগে সন্দেহ দানা বাঁধতে পারে ভোটারদের মনেও। হেরো প্রার্থীর পাশাপাশি ভোটারদের মনে জন্ম নেওয়া সেই সন্দেহ নিরসনেরই ইভিএম পরীক্ষা করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশনের (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    Eastern Railway: ট্রেনের টয়লেটে বের হবে না দুর্গন্ধ! নয়া ডিভাইস বসছে হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক্সপ্রেস ট্রেনে টয়লেটের অব্যবস্থা নিয়ে অনেকবার যাত্রীরা অভিযোগ করে থাকেন। এবার সেই সমস্যা অনেকটাই মিটতে চলেছে। এবার ফুরফুরে হবে ট্রেনের টয়লেট। বের হবে না দুর্গন্ধ। এমনই উদ্যোগ নিয়ে ভারতীয় রেল। পূর্ব রেলের (Eastern Railway) ট্রেনের টয়লেটে বিশেষ ধরনের ডিভাইস যুক্ত করা হচ্ছে। এর আগে মুম্বই জোনের ট্রেনের টয়লেটে এই ধরনের ডিভাইস চালু ছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর এবার পূর্ব রেলও এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। নতুন এই ডিভাইসের নাম দেওয়া হয়েছে গন্ধভেদ (আইওটি ভিত্তিক রিয়েল টাইম হাইজিন মনিটরিং সিস্টেম)। হাওড়া-শিয়ালদা ডিভিশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই ডিভাইস? (Eastern Railway)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য রেলওয়ের (মুম্বই জোন) কয়েকটি স্টেশন টয়লেটে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছিল। সেখানে সফল হওয়ার পর, রেলওয়ে (Eastern Railway) বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেনে নতুন এই উদ্যোগ কার্যকরী হতে চলেছে। হাওড়া ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, শিয়ালদা ডিভিশনের ৩টি ট্রেন, আসানসোল ডিভিশনের ২টি ট্রেন এবং মালদা ডিভিশনের ২টি ট্রেনে গন্ধভেদ ডিভাইস পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে চলেছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে ট্রেনের শৌচাগারটি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটা পর্যালোচনা করবে। সেই অনুসারে সংকেত পাঠানো হবে। সাফাইকর্মীর কাছে সেই সংকেত যাবে। সেই অনুসারে সাফাই কর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের একটাই অস্ত্র, এটা হতে দেব না,” বাংলায় এসে তীব্র আক্রমণ মোদির

    গন্ধভেদ ডিভাইসে কী কী সেন্সর রয়েছে জানেন?

    রেল (Eastern Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্রটিতে ব্যবহৃত গন্ধ সেন্সর অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন সালফাইড, মিথেন, ট্রাইমিথাইল অ্যামাইন, মিথাইল মারক্যাপ্টান, ইথানল ইত্যাদি শনাক্ত করে। আরেকটি সেন্সর টোটাল ভোলাটাইল অর্গানিক যৌগ শনাক্ত করে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সমানভাবে ক্ষতিকর। জীবাণুনাশক ও এয়ার ফ্রেশনারের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করার সেন্সরও রয়েছে ডিভাইসটিতে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টয়লেটে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা সনাক্ত করা অপরিহার্য। ‘গন্ধভেদ’ যন্ত্রটি এই প্যারামিটারগুলিও পর্যবেক্ষণ করবে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পরে, ট্রেনের শৌচাগারগুলির স্বয়ংক্রিয় স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ব রেলওয়েতে ধীরে ধীরে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 31: “না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর, তুমি ক্ষীরসমুদ্র!”

    Ramakrishna 31: “না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর, তুমি ক্ষীরসমুদ্র!”

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণকে বিদ্যাসাগরের পূজা ও সম্ভাষণ

    ঠাকুর (Ramakrishna) ভাবাবিষ্ট হইতেছেন ও কিয়ৎক্ষণ ভাবে দাঁড়াইয়া আছেন। ভাব সংবরণ করিবার জন্য মধ্যে মধ্যে বলিতেছেন, জল খাব। দেখিতে দেখিতে বাড়ির ছেলেরা ও বন্ধুরা আসিয়া দাঁড়ালেন।

    ঠাকুর ভাবাবিষ্ট হইয়া বেঞ্চের উপর বসিতেছেন। একটি ১৭/১৮ বছরের ছেলে সেই বেঞ্চে বসিয়া আছে—বিদ্যাসাগরের কাছে পড়াশুনার সাহায্য প্রার্থনা করিতে আসিয়াছে। ঠাকুর ভাবাবিষ্ট, ঋষির অন্তর্দৃষ্টি, ছেলের অন্তরের ভাব সব বুঝিয়াছেন। একটু সরিয়া বসিলেন ও ভাবে বলিতেছেন, মা! এ-ছেলের বড় সাংসারসক্তি! তোমার অবিদ্যার সংসার! এ অবিদ্যার ছেলে!

    যে-ব্যক্তি ব্রহ্মবিদ্যার জন্য ব্যাকুল নয়, শুধু অর্থকারী বিদ্যা উপার্জন তাহার পক্ষে বিড়ম্বনা মাত্র, এই কথা কি ঠাকুর (Ramakrishna) বলিতেছেন?

    বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া একজনকে জল আনিতে বলিলেন ও মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন, কিছু খাবার আনিলেন ইনি খাবেন কি? তিনি বলিলেন, আজ্ঞা, আনুন না। বিদ্যাসাগর ব্যস্ত হইয়া ভিতরে গিয়া কতকগুলি মিঠাই আনিলেন ও বলিলেন, এগুলি বর্ধমান থেকে এসেছে। ঠাকুরকে কিছু খাইতে দেওয়া হইল, হাজরা ও ভবনাথ কিছু পাইলেন। মাস্টারকে দিতে আসিলে পর বিদ্যাসাগর বলিলেন, ও ঘরের ছেলে, ওর জন্য ছেলে, ওর জন্য আটকাচ্ছে না। ঠাকুর একটি ভক্তছেলের কথা বিদ্যাসাগরকে বলিতেছেন। সে ছোকরাটি এখানে ঠাকুরের সম্মুখে বসে ছিল। ঠাকুর (Ramakrishna) বলিলেন, এ-ছেলেটি বেশ সৎ আর অন্তঃসার যেমন ফল্গু নদী, উপরে বালি, একটু খুঁড়লেই ভিতরে জল বইছে দেখা যায়!

    মিষ্টিমুখের পর ঠাকুর সহাস্যে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে কথা কহিতেছেন। দেখিতে দেখিতে একঘর লোক হইয়াছে, কেহ উপবিষ্ট কেহ দাঁড়াইয়া।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আজ সাগরে এসে মিললাম। এতদিন খাল বিল হদ্দ নদী দেখেছি, এইবার সাগর দেখছি। (সকলের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর (সহাস্যে)—তবে নোনা জল খানিকটা নিয়ে যান! (হাস্য)

    শ্রীরামকৃষ্ণ—না গো! নোনা জল কেন? তুমি অবিদ্যার সাগর নও, তুমি যে বিদ্যার সাগর! (সকলের হাস্য) তুমি ক্ষীরসমুদ্র (সকালের হাস্য)

    বিদ্যাসাগর–তা বলতে পারেন বটে।

    বিদ্যাসাগর চুপ করিয়া রহিলেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন—

    আরও পড়ুনঃ “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share