Author: user

  • Cyclone Remal: দিনভর রেমালের দাপাদাপি! হাওড়ায় জলমগ্ন রেললাইন, ব্যাহত পরিষেবা, দুর্ভোগ

    Cyclone Remal: দিনভর রেমালের দাপাদাপি! হাওড়ায় জলমগ্ন রেললাইন, ব্যাহত পরিষেবা, দুর্ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দাপট দেখাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal) । সোমবার  সকাল থেকে অঝোরে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। সকাল থেকে হাওড়া-শিয়ালদা শাখায় ট্রেন দেরিতে চলছে। আর এবার নাগাড়ে বর্ষণে ব্যাহত হাওড়া স্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব রেলের ট্রেন চলাচলাও।

    পাম্প চালিয়ে রেল লাইনের জল নামানোর চেষ্টা, বহু ট্রেন বাতিল (Cyclone Remal)

    রেমালের দাপটে (Cyclone Remal) টিকিয়াপাড়া রেল ওয়ার্ডে রেল লাইনের ওপর জল উঠে গিয়েছে। সেই কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ছয়টি লোকাল ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ার কারণে। ৩৮৪৩৩ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল, ৩৮৪৪৮ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল, ৩৮৩১৭ হাওড়া-মেচেদা লোকাল, ৩৮৩০৪ মেচেদা- হাওড়া লোকাল, ৩৮৪২৫ হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল এবং ৩৮৪৪০ পাঁশকুড়া-হাওড়া লোকাল এদিনের জন্য বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত মেওয়া হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে। বাতিল রয়েছে আপ দিঘা ও ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসও। যদিও এছাড়া আর কোনও দূরপাল্লার ট্রেন এখনও পর্যন্ত বাতিল করা হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই পাম্প চালিয়ে রেল লাইনের ওপর থেকে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ

    সোমবার দুপুরে বন্ধ হয়ে গেল শেওড়াফুলি-তারকেশ্বর লাইনের ট্রেন চলাচল। এই লাইনে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে জি টি রোডও। জানা গিয়েছে, রেমালের (Cyclone Remal) জেরে ঝড় হওয়ায় নসিবপুর স্টেশনের কাছে একটি বাঁশগাছ হেলে পড়েছে। ট্রেনের রোডও। জানা গিয়েছে, রেমালের জেরে ঝড় হওয়ায় নসিবপুর স্টেশনের কাছে একটি বাঁশগাছ হেলে পড়েছে। ট্রেনের ওভারহেড তারে ঠেকে রয়েছে সেটি। সেই কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দুপুরের পর থেকে আপ লাইনে কোনও ট্রেন এগোতে পারছে না।শেওড়াফুলি চার নম্বর রেল গেটে দাঁড়িয়ে আছে একটি আপ লাইনের ট্রেন। ফলে গেট খোলা যাচ্ছে না। গেট বন্ধ থাকায় শেওড়াফুলিতে জিটি রোড স্তব্ধ গিয়েছে। কতক্ষণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা বুঝতে পারছেন না রেল যাত্রী থেকে পথচলতি মানুষ। ডাউন লাইনে ট্রেন চলছে স্বাভাবিক গতিত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ট্রেনের কর্মীরা।

     ট্রেন বাতিলের জেরে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

    রেলের তরফে আগেই বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। পরে ঝড়ের প্রভাবে আরও বেশি কিছু লাইনে পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, রীতিমতো দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পরে, রেমাল-এর ধাক্কা সামলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল শুর হয় সোমবার সকালে। শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে একে একে সব লোকার ট্রেন এবার ছাড়তে শুরু করে। তবে, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বাতিল করা হল একাধিক ট্রেন। ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ক্যানিং, বজবজ, হাসনাবাদ, মাঝেরহাট- হাসনাবাদ, বনগাঁ সহ একাধিক লাইনে ৪৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    JP Nadda: “যতদিন বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন…”, সংরক্ষণ নিয়ে কী বললেন নাড্ডা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যত দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হবে না।” বারাণসীতে সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। বিজেপি বিরোধীরা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন নাড্ডা। বলেন, “সংবিধানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চলবে না।” তার পরেই তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ হবে না।

    কী বললেন নাড্ডা? (JP Nadda)

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (JP Nadda) বলেন, “আমাদের দলিত, উপজাতি, পিছড়েবর্গ এবং একেবারে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণে কাউকেই আমরা অনধিকার প্রবেশ করতে দেব না। আপনারা দেখবেন, ৪ জুন কী হয় (এদিনই ফল প্রকাশ হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের)।” নাড্ডা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি মানে ছিল ডিভাইড অ্যান্ড রুল। কিন্তু এখন দেশে চলছে উন্নয়নের রাজনীতি।” দশ বছর আগে দেশের রাজনৈতিক অবস্থান কি ছিল, সে প্রশ্নও তোলেন নাড্ডা।

    গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক!

    তিনি বলেন, “ওই সময় ভারতকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে গণ্য করা হত। কিন্তু বড় সমস্যা ছিল রাজনীতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষ উদাসীন থাকতেন। রাজনীতির প্রতি তাঁদের বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। কিন্তু গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতে পেরেছেন। দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন।” বিরোধীরা যে বর্ণ বিভাজনের রাজনীতি করতেন, তা-ও মনে করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বলেন, “বিরোধীরা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করত, কাস্টইজমে ইন্ধন জোগাত। এই সংস্কৃতির বিলোপ ঘটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ দেশে চলছে উন্নয়নের রাজনীতি। এর ভিত্তিই হল, সবকা সাথ, সবকা প্রয়াস আউর সবকা বিশ্বাস।”

    আর পড়ুন: ইউপিএ জমানায় ৩৫ মুসলিম শ্রেণি ওবিসি তালিকাভুক্ত হয়েছিল মমতার সুপারিশে!

    এদিন কালভৈরব মন্দিরে পুজোও দেন না্ড্ডা। বলেন, “যখনই আমি বারণসীতে আসি, কালভৈরব মন্দিরে পুজো দিই। পুজো দিই সঙ্কটমোচন এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরেও।” তিনি বলেন, “কাশীকে আমরা ধর্মীয় নগরী বলেই জানি। এই শহরই সনাতন ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এখানে এলে আমি নতুন করে শক্তি নিয়ে ফিরি (JP Nadda)।” প্রসঙ্গত, এই বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রেই বিজেপির বাজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এই কেন্দ্রের দু’বারের সাংসদ। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ramakrishna 29: “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    Ramakrishna 29: “বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ…দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর”

    দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

    বিদ্যাসাগর

    সিঁড়ি দিয়া উঠিয়া একেবারে প্রথম কামারাটিতে (উঠিবার পর ঠিক উত্তরের কামরাটিতে) ঠাকুর ভক্তগণসঙ্গে প্রবেশ করিতেছেন। বিদ্যাসাগর কামরার উত্তরপার্শ্বে দক্ষিণাস্য হইয়া বসিয়া আছেন; সম্মুখে একটি চারকোণা লম্বা পালিশ করা টেবিল। টেবিলের পূর্বধারে একখানি পেছন দিকে হেলান-দেওয়া বেঞ্চ। টেবিলের দক্ষিণপার্শ্বে ও পশ্চিমপার্শ্বে কয়েকখানি চেয়ার। বিদ্যাসাগর দু-একটি বন্ধুর সহিত কথা কহিতেছিলেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) প্রবেশ করিলেন পর বিদ্যাসাগর দণ্ডায়মান হইয়া অভ্যর্থনা করিলেন। ঠাকুর পশ্চিমাস্য, টেবিলের পূর্বপার্শ্বে দাঁড়াইয়া আছেন। বামহস্ত টেবিলের উপর। পশ্চাতে বেঞ্চখানি। বিদ্যাসাগরকে পূর্বপরিচিতের ন্যায় একদৃষ্টে দেখিতেছেন ও ভাবে হাসিতেছেন।

    বিদ্যাসাগরের বয়স আন্দাজ ৬২/৬৩, ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অপেক্ষা ১৬/১৭ বৎসর বড় হইবেন। পরনে থান কাপড়, পায়ে চটি জুতা, গায়ে একটি হাত-কাটা ফ্লানেলের জামা। মাথার চতুপার্শ্বে উড়িষ্যাবাসীদের মতো কামানো। কথা কহিবার সময় দাঁতগুলি উজ্জ্বল দেখিতে পাওয়া যায়,–দাঁতগুলি সমস্ত বাঁধানো। মাথাটি খুব বড়। উন্নত ললাট ও একটু খর্বাকৃতি। ব্রাহ্মণ—তাই গলায় উপবীত।

    বিদ্যাসাগরের অনেক গুণ। প্রথম—বিদ্যানুরাগ। একদিন মাস্টার কাছে এই বলতে বলতে সত্য সত্য কেঁদেছিলেন, আমার তো খুব ইচ্ছা ছিল যে, পড়াশুনা করি, কিন্তু কই তা হল! সংসারে পড়ে কিছুই পেলাম না। দ্বিতীয়—দয়া সর্বজীবে, বিদ্যাসাগর দয়ার সাগর। বাছুরেরা মায়ের দুধ পায় না দেখিয়া নিজেকে কয়েক বৎসরের ধরিয়া দুধ খাওয়া বন্ধ করিয়াছিলেন, শেষে শরীর অতিশয় অসুস্থ হওয়াতে অনেকদিন পর আবার ধরিয়াছিলেন। গাড়িতে চড়িতেন না– ঘোড়া নিজের কষ্ট বলিতে পারে না। একদিন দেখলেন, একটি মুটে কলেরা রোগে আক্রান্ত হইয়া রাস্তায় পড়িয়া আছে। দেখিয়া নিজের কোলে করিয়া তাহাকে বাড়িতে আনিলেন ও সেবা করিতে লাগিলেন। তৃতীয়–স্বাধীনতাপ্রিয়তা। কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে একমত না হওয়াতে, সংস্কৃত কলেজের প্রধান অধ্যক্ষের (প্রিন্সিপ্যাল) কাজ ছাড়িয়া দিলেন। চতুর্থ—লোকাপেক্ষা করিতেন না। একটি শিক্ষককে ভালবাসিতেন; তাঁহার কন্যার বিবাহের সময়ে নিজে আইবুড়ো ভাতের কাপড় বগলে করে এসে উপস্থিত। পঞ্চম—মাতৃভক্তি ও মনের বল। মা বলিয়াছেন, ঈশ্বর তুমি যদি এই বিবাহে (ভ্রাতার বিবাহে) না আস তাহলে আমরা ভারী মন খারাপ হবে, তাই কলিকাতা হইতে হাঁটিয়া গেলেন। পথে দামোদর নদী, নৌকা নাই, সাঁতার দিয়া পার হইয়া গেলেন। সেই ভিজা কাপড়ে বিবাহ রাত্রেই বীরসিংহায় মার কাছে গিয়া উপস্থিত! বলিলেন মা এসেছি!

    আরও পড়ুন: “আমাকে বিদ্যাসাগরের কাছে কি লইয়া যাইবে? আমার দেখিবার বড় সাধ হয়”

    আরও পড়ুনঃ “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghar Wapsi: বাংলা ও অসমে ‘ঘর ওয়াপসি’, হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন তিন কন্যা

    Ghar Wapsi: বাংলা ও অসমে ‘ঘর ওয়াপসি’, হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন তিন কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুসলিমরা ধর্মান্তকরণের মাধ্যমেই হিন্দু থেকে ইসলামকে গ্রহণ করেছেন – এ তত্ত্ব আজ প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু সংস্কৃতিকে ভালোবেসে তাই অনেকেই ফিরে আসছেন সনাতন ধর্মে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই ঘটনা দেখা দেল পূর্ব ভারতের অসম ও পশ্চিমবঙ্গে। ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরে মুসলিম মেয়েদের নামকরণও বদলে গেল (Ghar Wapsi)। বিবাহ বন্ধনে প্রত্যেকেই আবদ্ধ হলেন হিন্দু ছেলের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের বানু খাতুন হলেন অনু এবং অনীশা খাতুন হলেন অন্বেষা। অন্যদিকে অসম রাজ্যের আমিনা হলেন রাধা রবিদাস।

    পশ্চিমবঙ্গের ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi)

    তবে ‘ঘর ওয়াপসি’-র এই কাজ যে খুব সহজে হয়েছে এমনটা নয়। তাঁদেরকে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়। কোনও ভাবেই দুই কন্যার বাড়ির লোকজন চায়নি এমন সম্পর্ক মেনে নিতে। এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংহতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রীতিমতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদেরকে হিন্দু সমাজে স্বাগত জানানো হয়। ‘ঘর ওয়াপসি’-র মাধ্যমে হিন্দু ধর্মে ফিরে আসা প্রত্যেকেই মনে করছেন, এই ধর্মে মেয়েদের জন্য রয়েছে ব্যাপক স্বাধীনতা ও সম্মান। ‘ঘর ওয়াপসি’-র পরপরই প্রত্যেকে নিজেদের পরিচয়কে গোপন রেখেছিলেন তাঁদের নিজস্ব নিরাপত্তার কারণেই। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি ‘ঘর ওয়াপসি’র ঘটনা সামনে এসেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার লুৎফন্নেসা খাতুন হিন্দু ধর্মকে গ্রহণ করেছেন।

    অসমের ‘ঘর ওয়াপসি’ (Ghar Wapsi)

    অন্যদিকে অসমের ‘ঘর ওয়াপসি’-র (Ghar Wapsi) ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার করিমগঞ্জ জেলাতে। সেখানে নতুনভাবে ঘর বেঁধেছেন ইসলাম ত্যাগ করে আসা আমিনা। তাঁকেও স্বাগত জানাতে রীতিমতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ২৬ মে আমিনাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। জানা যায়, ২০২০ সালেই প্রেমিক শ্যাম রবিদাসকে বিয়ে করেন আমিনা। জানা গিয়েছে, শ্যামের পরিবার আমিনার পরিবারের সঙ্গে বিবাদে যেতে চায়নি। তাই তারা মানেনি এই বিয়ে। কিন্তু দম্পতি বিশেষ বিবাহ আইনে স্বামী-স্ত্রী হয়ে যায়, তাই তাদের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতেও পারেনি। চার বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে থাকে তারা। এই সময়ের মধ্যে আমিনা একটি সন্তানের মা হয়। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে শ্যাম এবং আমিনা ফিরে আসার কথা চিন্তা করে। এরপরেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদে এগিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    Bankura: পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এলাকায় পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। তবে, এখনও পানীয় জল পরিষেবা শুরু হয়নি। এমনিতেই টিউবওয়েল থেকে জল ঠিক মতো বের না হওয়ায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর এলাকায়। আর জলের পরিষেবা দিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পাঠানো পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো। সেই জল খেয়ে বিপত্তি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) সিমলাপাল ব্লকের লক্ষ্মীসাগর দাসপাড়া পানীয় জলের সমস্যার কারণে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত থেকে ট্যাঙ্কারে পানীয় জল পাঠিয়েছিল। সেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রায় ২০ জন। এরইমধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের দিন স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের তরফে ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়। সেখান থেকেই জলপান করেন গ্রামের লোকেরা। অভিযোগ, সেই জল খেয়েই অসুস্থ হতে শুরু করেন লোকজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমির উপসর্গ দেখা হয়। একজন বা দুজন নয়। এলাকায় ওই জল যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে, পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে ২০ জন অসুস্থ

    হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক গ্রামবাসী বলেন, “পঞ্চায়েতের পাঠানো ট্যাঙ্কের জল খেয়ে এরকম হয়েছে। ট্যাঙ্কের জল আসে এখানে। ওই জল খেয়ে ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি। বমি, পায়খানা, পেটে ব্যথা। বাচ্চাদেরও হয়েছে।” জানা গিয়েছে, একের পর এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পাইপ লাইন থাকলেও জলের বালাই নেই। ভোটের আগে জলের ট্যাঙ্কার এনে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাতেই এমন কাণ্ড! আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলতে চাননি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bank Holiday June 2024: জুনের প্রথম দিনেই ছুটি ব্যাঙ্ক! পরিষেবা ব্যাহত আরও ১২ দিন  

    Bank Holiday June 2024: জুনের প্রথম দিনেই ছুটি ব্যাঙ্ক! পরিষেবা ব্যাহত আরও ১২ দিন  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ছুটির তালিকা অনুযায়ী জুনেও অনেকদিন ছুটি থাকবে ব্যাঙ্ক (Bank Holiday June 2024) । ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় ছুটি, আঞ্চলিক উৎসব ও সপ্তাহান্তের ছুটির কারণে জুন মাসে মোট ১২ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্কগুলি। যদিও বিভিন্ন রাজ্যে এই ছুটির তালিকায় ভিন্নতা রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্য রাজ্যের ব্যাঙ্ক ছুটির তালিকার ভিন্নতা রয়েছে। মাসের প্রথম দিনই ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে কলকাতায়। কারণ এদিন ভোট রয়েছে কলকাতা ও শহরতলী এলাকায়। জুন মাসে আর কবে কবে ছুটি? দেখে নিন একনজরে…

    কবে কোথায় ব্যাঙ্ক বন্ধ (Bank Holiday June 2024)

    ১ জুন: সপ্তম দফার লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024) । ৮ রাজ্যের ৫৭টি কেন্দ্রে স্থানীয়ভাবে বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। এরাজ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনায় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।

    ৯ জুন: হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থান রাজ্যে মহারানা প্রতাপ জয়ন্তীর কারণে ছুটি।

    ১০ জুন: পাঞ্জাবের শ্রী গুরু অর্জুন দেবের শহিদ দিবসের কারণে ছুটি।

    ১৪ জুন: ওড়িশার ব্যাঙ্কগুলি এই দিনে পহিলি রজর জন্য বন্ধ থাকবে।

    ১৫ জুন: উত্তর-পূর্ব রাজ্য মিজোরামের ব্যাঙ্কগুলি ওয়াইএমএ দিবসের জন্য বন্ধ থাকবে; এবং ওড়িশার ব্যাঙ্কগুলি রজ সংক্রান্তির জন্য বন্ধ থাকবে।

    ১৭ জুন: বকরি-ইদ বা ইদুজ্জোহা উপলক্ষে কিছু রাজ্য ছাড়া ভারতজুড়ে ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে।

    ২১ জুন: বতঁ সাবিত্রী ব্রতের জন্য অনেক রাজ্যের ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।

    সপ্তাহ শেষের ব্যাঙ্ক ছুটির তালিকা

    ৮ জুন দ্বিতীয় শনিবার ভারত জুড়ে ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে।

    ২২ জুন চতুর্থ শনিবার ভারত জুড়ে ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে।

    ২, ৯, ১৬, ২৩ এবং ৩০ জুন মাসের পাঁচ রবিবার ভারত জুড়ে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে।

    ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধ থাকলেও ব্যাহত হবে না অনলাইন পরিষেবা

    ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এখন দুটি দিক। একটি শাখার কাজকর্ম, অন্যটি অনলাইন (Online Banking) পরিষেবা। মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।

    আরও পড়ুন: রেমালের প্রকোপে প্রায় দশ ঘণ্টা পর শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলল ট্রেন

    যেদিন ব্যাঙ্কের শাখা আপনার এলাকায় বন্ধ থাকবে সেদিন UPI-এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি নগদ তোলার জন্য এটিএম ব্যবহার করতে পারেন। এখন ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের জমানায় ঘরে বসেই টাকা পাঠানো যায়। তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের শাখায় যেতেই হয়। সেই কাজের জন্য আগামী দিনে ব্যাঙ্কে যাওয়ার আগে আপনার এলাকায় ছুটির (Bank Holiday June 2024) তালিকা দেখে নিন। না হলে ব্যাঙ্কে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হবে আপনাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: ২৮ মে অশোকনগরে মোদির সভা, ঘূর্ণিঝড়কে উপেক্ষা করেই কর্মীদের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    PM Narendra Modi: ২৮ মে অশোকনগরে মোদির সভা, ঘূর্ণিঝড়কে উপেক্ষা করেই কর্মীদের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ২৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) জনসভা করতে আসছেন রাজ্যে। ১ জুন হল শেষ দফা তথা সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচন। এই শেষ দফা নির্বাচনের আগে তিনি সভা করবেন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। কিন্তু রাজ্যে ইতিমধ্যে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সভার প্রস্তুতি ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির বক্তব্য যে সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে, লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে মোদির সভায়। অপর দিকে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী রাজ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছে। ২৮ তারিখ কলকাতায় একটি রোড শো করার কথাও রয়েছে মোদির। 

    ৩৭ বছর পর ফের প্রধানমন্ত্রীর সভা (PM Narendra Modi)

    জানা গিয়েছে, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) সভাকে ঘিরে অশোকনগরে তৈরি করা হচ্ছে হেলিপ্যাড। অন্যদিকে কাজ চলছে সভমঞ্চ তৈরি করার। প্রায় ৩৭ বছর পর এই এলাকায় পা রাখতে চলেছেন দেশের আরও এক প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৭ সালে শেষবারের জন্য এসছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী, এবার আসবেন মোদি। এখন তাই হরিপুর ময়দানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সভাস্থলের কাজ চলছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কি বড় বাধা হবে? এটা বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যে মাঠে জমেছে জল। কিন্তু সব বাধাকে অতিক্রম করে বিজেপির কর্মীরা ময়দানে নেমে পড়েছেন।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    রেন কোট পরে কাজ চলছে

    সভার প্রস্তুতির কাজ শেষ করতে ইতিমধ্যে বিজেপির কর্মীরা রেন কোট পরে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভার কয়েক কিলোমিটার দূরে করা হয়েছে দুটি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড, এখানেই নামবেন প্রধানমন্ত্রী। খারাপ আবহাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বায়ুসেনা মহড়া দিতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়া কেমন থাকে, সেটা একটা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হেলিপ্যাডের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা বেশ চিন্তিত। কাজ আজকের মধ্যেই শেষ করতে হবে। বিজেপির দাবি, এই সভায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে খামতি রাখছে না প্রশাসন। মোদি (PM Narendra Modi) নামবেন বিধানচন্দ্র ক্রীড়াঙ্গনে, এখান থেকে সভাস্থল পর্যন্ত দুই ধারে কয়েক কিমি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। এলাকায় বিজেপির কর্মীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উচ্ছ্বাস।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    Lok Sabha Election 2024: “বিজেপি নেতা গ্রামে এলে পিছমোড়া করে বেঁধে রাখুন”, নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও শেষ দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) বাকি রয়েছে। ১ জুন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। সপ্তমদফা ভোটের আগে বিজেপির জেলা সভাপতিকে তীব্র আক্রমণ করলেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল প্রার্থী? (Lok Sabha Election 2024)

    গত ২০ মে বনগাঁ লোকসভায় ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন মালিদা ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে দুপক্ষের কর্মী-সমর্থক জখম হন। তবে, তৃণমূলের হামলায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। জখম কর্মীদের দেখতে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল তৃণমূলের হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ঘুরে যাওয়ার পর আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান তৃণমূল প্রার্থী তথা বনগাঁর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। ভোটপ্রচারে বেরিয়ে তাঁর মতো তৃণমূল নেতার মুখে শোনা গেল বিতর্কিত মন্তব্য। তিনি বলেন, “বিজেপির জেলা সভাপতি গ্রামে এলে পিছমোড়া করে তাঁকে বেঁধে রাখবেন।” কর্মীদের এই নিদান দেওয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতির সমালোচনায় মুখর হয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বললেন?

    যদিও এ নিয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও পাল্টা এক হাত নেন বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি বলেন, তৃণমূলের কাজ হল হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো। এসব বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। সেটা ওরা বুঝতে পেরেছে। তাই, এই ধরনের আওয়াজ দিচ্ছে। আমি দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার পর ওই এলাকা. গিয়েছিলাম। আবারও যাব। আমি ওইসব হুমকি কে ভয় পাই না। তবে, এটুকু বলতে পারি, ৪ জুনের পর সাধারণ মানুষই বিশ্বজিৎ দাসকে বেঁধে রাখবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pune Porshe Case: রক্তের নমুনা বদলে অভিযুক্তকে বাঁচাবার চেষ্টা, গ্রেফতার দুই চিকিৎসক

    Pune Porshe Case: রক্তের নমুনা বদলে অভিযুক্তকে বাঁচাবার চেষ্টা, গ্রেফতার দুই চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুণের পোর্শে কাণ্ডে (Pune Porshe Case) দুই সিনিয়র ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে তাঁরা রক্তের নমুনা বদল করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সরকারি হাসপাতাল সাসুন জেনারেল হাসপাতালে দুই বর্ষীয়ান চিকিৎসক এই কাজ করেছেন বলে পুলিশের দাবি। যে আলালের দুলাল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মদের নেশায় চুর হয়ে বেপরোয়া গতিতে বিলাসবহুল পৌঁছে গাড়ির ধাক্কায় ২ যুবক-যুবতীর প্রাণ কেড়ে নেয়। অভিযুক্তের রক্তের নমুনা বদল করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃত চিকিৎসকরা হলেন ডক্টর অজয় তাওড়ে এবং ডক্টর শ্রীহরি হারনোল। অজয় বাবু হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান।

    ঠিক কী হয়েছিল

    ১৯ মে পুণেতে পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় (Pune Porshe Case) দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ, গাড়িটির চালকের আসনে ছিল ১৭ বছরের ওই নাবালক। মদ্যপ অবস্থায় পার্টি থেকে ফিরছিল সে। ওইসময় দ্রুতগতিতে পোর্শে গাড়ি দিয়ে বাইকে থাকা যুগলকে ধাক্কা মারে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পেশায় আইটি কর্মী আনিস দুদিয়া ও তাঁর বান্ধবী অশ্বিনী কস্তারের। পরদিন ওই অভিযুক্ত তরুণকে সাসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বেলা ১১ টার সময় তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রক্তের নমুনা যে অনেক দেরিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল তার স্বীকার করেছেন পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার। তিনি বলেন, “পুলিশ জানতে পেরেছে শাসন হাসপাতালে ওই নাবালকের রক্তের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট বদলে দেওয়া হয়েছিল। যাতে রক্তের অ্যালকোহলের উপস্থিতি না পাওয়া যায়। ১৯ মে বিকেলের পর আরও একবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেটা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাবা বিশাল অগ্রওয়াল ধনকুবের। তিনি পেশায় রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক। দুর্ঘটনার দুদিন পর ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে পুলিশ ওই নাবালকের বিরুদ্ধে গাফিলতি, অনিচ্ছাকৃত খুন এবং মোটর ভেহিকেলস আইন লঙ্ঘন সহ মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অপরাধ এফআইআরে এই যুক্ত করে।

    বাবা জেলে, ঠাকুরদা পুলিশ হেফাজতে (Pune Porshe Case)

    আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে জুভেনাইল আদালত ওই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে দেয়। কিন্তু বিতর্কের ঝড় ওঠায় পুনরায় ২২ মে জুভেনাইল আদালত তাঁকে পর্যবেক্ষণ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই ওই তরুনের বাবা এবং ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবা জেল হেফাজত এবং ঠাকুরদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওই পরিবারের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Remal Cyclone: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    Remal Cyclone: রেমালে বিপর্যস্ত হাওড়া, জলমগ্ন নিচু এলাকা, বেহাল জনজীবন! নামখানায় মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেমাল (Remal Cyclone) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হাওড়ার একাধিক এলাকা। নিচু এলাকাগুলিতে জল জমে গিয়েছে। রবিবার রাত থেকেই ঝড় এবং বৃষ্টির প্রভাবে হাওড়া পুরসভার একাধিক জায়গায় জল জমে জনজীবন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, ঘুসুড়ি, কোনা এক্সপ্রেস এবং লিলুয়ার একাধিক জায়গায় জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। অপর দিকে নামখানার মৌসিুনি দ্বীপে এক ৮০ বছরের বৃদ্ধা ঝড়ের কবলে গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ায় মারা গিয়েছেন আরও এক ব্যক্তি।

    হাওড়া পুরসভার বক্তব্য (Remal Cyclone)

    রেমাল (Remal Cyclone) ঝড় এবং বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে সমস্যায় পড়েছেন হাওড়া সদর এলাকার মানুষ। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১১টি পাম্পের মাধ্যমে জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও সাতটি মোবাইল ভ্রাম্যমান পাম্পের মাধ্যমে জল নামানোর কাজ করা হচ্ছে। নিচু এলাকা থেকে জল নামানোই এখন প্রধান কাজ। ঝড়ের দাপটে মধ্যহাওড়া হালদারপাড়া সেকেন্ড বাই লেন-সহ কয়েকটি বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী কাজ করে চলেছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

    হাওড়ায় ট্রেন চলাচল মোটের উপর স্বাভবিক

    হাওড়া স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটের উপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রেমালের কারণে ঘূর্ণিঝড়ে সোমবার হাওড়া-দিঘা এবং ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস বন্ধ রাখা হয়েছে। চালু হয়েছে অন্য কিছু ট্রেন। যোগাযোগ সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে হাওড়া-কলকাতায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়ার (Remal Cyclone) উন্নতি না ঘটলে নদীপথে পরিবহণ স্বাভাবিক করা যাবে না।

    আরও পড়ুন:রেমালের প্রকোপে প্রায় দশ ঘণ্টা পর শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলল ট্রেন

    নামখানায় মৃত ১

    রেমালের (Remal Cyclone) দাপটে গাছ ভেঙে ঘরের উপর পড়লে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। টিনের ছাউনি দেওয়া ঘরের মধ্যে রান্না করছিলেন রেণুকা মণ্ডল নামের ওঁই বৃদ্ধা। কিন্তু আচমকা ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান বৃদ্ধা। কিন্তু দ্রুত তাঁকে হাসপাতলে নিয়ে গেলে শেষ রক্ষা হয়নি। ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন ফেজারগঞ্জের পুলিশ। তাঁর দেহ এরপর ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই ঝড়ের দাপটে বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অনেক গাছপালা ভেঙে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের উপকূল এলাকার ১ লক্ষ ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share