Author: user

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় ভোটদানে শীর্ষে বাংলা, বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় ভোটদানে শীর্ষে বাংলা, বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়াই নির্বিঘ্নে উতরোল ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচনও (Lok Sabha Election 2024)। পয়লা জুন হবে সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন। ২৫ মে শনিবার নির্বাচন হয়েছে দেশের ৫৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। ভোটদানের হারে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গই। বাংলার আটটি আসনের মধ্যে এগিয়ে বিষ্ণুপুর। এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.৪৭ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে তমলুক। এখানে ভোট পড়েছে ৭৯.৭৯ শতাংশ। কাঁথিতে মত দিয়েছেন ৭৫.৬৬ শতাংশ মানুষ। ঘাটালে ৭৮.৯২, বাঁকুড়ায় ৭৬.৭৯, মেদিনীপুরে ৭৭.৫৭ এবং পুরুলিয়ায় ৭৪.০৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ভোটদানের হার ৭৭.৯৯ শতাংশ।

    এই দফায় গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024)

    ষষ্ঠ দফায় গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর-পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। নতুন দিল্লি কেন্দ্রে আম আদমি পার্টির মন্ত্রী সোমনাথ ভারতীর বিরুদ্ধে লড়ছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি। হরিয়ানার কারনাল কেন্দ্রে বিজেপির তাস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মনোহরলাল খট্টর। কুরুক্ষেত্র কেন্দ্রে লড়ছেন শিল্পপতি নবীন জিন্দল। গুরগ্রাম কেন্দ্রে এদিন ভাগ্য পরীক্ষা হয়েছে রাজ বব্বরের। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বিজেপির মানেকা গান্ধী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও।  অনন্তনাগ-রাজৌরিতে লড়ছেন(Lok Sabha Election 2024) জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি

    কমিশন সূত্রে খবর, এদিন ভোট হয়েছে দেশের আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত গড় ভোটদানের হার ৪৯.২ শতাংশ। এদিন দিল্লিতে ভোট দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভোট দিয়ে বেরিয়ে বলেন, “ভোট দিয়ে দেশের নাগরিক হিসেবে আমি নিজের দায়িত্ব পালন করলাম। আমি আগেও বলেছি, এটা প্রত্যেক দেশবাসীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।” রাঁচির একটি বুথে ভোট দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। দিল্লিতে সস্ত্রীক ভোট দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেবও। তিনি বলেন, “নিজের কেন্দ্রের জন্য সঠিক প্রার্থী বাছাই করাটা খুব জরুরি।”

    আর পড়ুন: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    এদিকে, দেশের বাকি আসনগুলিতে বিঘ্নহীনভাবে নির্বাচন হলেও, এদিনও অশান্তির আঁচ লাগল বাংলায়। কেবল দুই মেদিনীপুরে কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৩৩৭টি। এদিন ভোট হয়েছে বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে। হলদিয়ায় বিজেপির এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেশপুরের বুথে বিজেপির এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেবাংশু লড়ছেন তাঁরই বিরুদ্ধে।

    দেবাংশুর অভিযোগ (Debangshu Bhattacharya)

    তৃণমূলের এই প্রার্থীই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েবকাস্টিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের যে কোনও সারবত্তা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বুথের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে, তার উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) (ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। দেবাংশুর দাবি, ভিডিওটি নন্দীগ্রাম ১ এর সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেবাংশুর অভিযোগ, এই বুথে বিজেপি দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।

    কমিশনের দাবি

    তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সামনে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর কাছে। তিনি জানেন, অভিজিতের কাছে গোহারা হারবেন। তাই গেয়ে রেখেছেন আগাম গাওনা। দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিজিৎও। তিনি বলেন, “কমিশন আগেও ওঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কোথাও কোনও ছাপ্পার অভিযোগ নেই।”

    আর পড়ুন: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির

    তবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে তা জানার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতর, সিইওর দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর থেকে। ওয়েবকাস্টিংয়ের পাশওয়ার্ড রয়েছে হাতে গোণা কয়েকজনের কাছে। তাই কীভাবে বাইরে এল ভিডিও ফুটেজ? সিইও দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে ফুটেজ বের হয়নি। তাহলে বাকি রইল জেলাশাসকের দফতর। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তা সার্ভিস রুল অবমাননার শামিল। ফুটেজ লিকের নেপথ্যেই বা কে, তাও জানার চেষ্টা করছে কমিশন (Debangshu Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। তাই, ভোটের আগের দিন রাত জেগেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন। আর সকাল হতেই কেশপুরে (Keshpur) গড় সামলাতে তিনি ছুটে যান। কিন্তু, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর প্রবল বাধায় তিনি কেশপুর এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারেননি। গোটা বিধানসভা জুড়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে তৃণমূলের মস্তানবাহিনী। বুথে বুথে চালিয়েছে লুঠতরাজ। এমনই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ষষ্ঠ দফার ভোটদানপর্ব শেষ হতে না হতেই কেশপুর বিধানসভা এলাকায় পুনর্নির্বাচন দাবি করলেন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ বলেন, ‘এটা দেখে পশ্চিমবঙ্গ মনে হচ্ছে না কি? কেশপুরকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

    দিনভর অশান্তি কেশপুরে (Keshpur)

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই অশান্ত হয়ে ওঠে কেশপুর (Keshpur)। রাস্তায় অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিজেপি প্রার্থী হিরণের গাড়ি রুখে দেয় তৃণমূল। হিরণের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন অনেকে। লাঠি হাতে বিজেপি প্রার্থীকে রুখে যান তৃণমূল কর্মীরা। তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় হামলা চালাতে পারেননি। তবে, দফায় দফায় কেশপুরে চরম বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় বিজেপি প্রার্থীকে। শুধু তৃণমূল নয়, পুলিশও নানা অছিলায় বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে দিনভর অশান্ত ছিল কেশপুর।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা, পুনর্নির্বাচন দাবি

    এই পরিস্থিতির জন্য দিনের শেষে ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। তিনি বলেন, “এটা ভোট হয়েছে না কি? এখানে তো পাগলু ড্যান্স হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে, লাঠি নিয়ে পাগলুরা ডান্স করেছে। ওরা জানে, এভাবে ভোট না করালে ওরা জিততে পারবে না। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই, বুথে বুথে ওদের বাহিনী লুঠ চালিয়েছে। আমাকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আসলে এটা পশ্চিমবঙ্গ বলে মনে হচ্ছে না। পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে। আমরা কেশপুরে (Keshpur) পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। কমিশনকে আজই দাবি জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    PM Modi: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করেছিল চন্দ্রযান-৩। জায়গাটির নাম ‘শিব-শক্তি’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) দাবি, এই নামটি দেওয়া হয়েছে যাতে ভারতের নাগরিক এই নামের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করতে পারেন। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশানা করেন কংগ্রেসকে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে ওই জায়গাটির নাম পরিবারের কোনও সদস্যের নামে করে দিত।”

    শিব-শক্তি নাম কেন? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চন্দ্রযান-৩ প্রথম যেখানে ভূমি স্পর্শ করেছিল তার নাম অন্য কিছুও হতে পারত। তবে তারা(কংগ্রেস) ক্ষমতায় থাকলে, তারা জায়গাটির নাম তাদের পরিবারের কারও নামে নামকরণ করতে পারত…কিন্তু আমি সেটা করতে পারি না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত তামাম বিশ্বকে একটা দর্শন (ফিলোজফি) দিয়েছে। আমি গর্ব অনুভব করি এই ভেবে যে এর (চাঁদের ওই ভূমি) যে নাম দেওয়া হয়েছে, সেই শক্তি মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে।”

    পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি যখন বলি শিব-শক্তি, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ এর সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেন। যদি একটা পরিবারের নামে এর নামকরণ করা হত, তাহলে জনগণের একটা অংশ মাত্র এর সঙ্গে নিজেকে রিলেট করত। শিব-শক্তি হল একটা নাম, যেটা আমাদের মোটিভেট করে, শক্তি জোগায়। এটা এমন একটা নাম যা কোটি কোটি মানুষকে গাইড করে।”

    আর পড়ুন: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। আজ, শনিবার হল ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হবে পয়লা জুন। তার আগে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কংগ্রেসকেই চাঁদমারি করেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা সময় তিনি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেসের আমলে চন্দ্রাভিযান-৩ সফল হলেও, যে তার ব্যতিক্রম হত না, এদিন প্রকাশ্যেই তা জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে চন্দ্রযান-৩। বিশ্বে ভারতই প্রথম দেশ, যারা এই অঞ্চলে ল্যান্ড করতে সক্ষম হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ প্রথম যে জায়গাটিতে ল্যান্ড করে, সেখানকার নাম দেওয়া হয় শিব-শক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকপোল করতে আসা বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) ফকির চাঁদ কলেজে চলছিল মকপোল। আর সেই সেখানেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের হয়ে মকপোল করতে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অনুপম রায় ও তাঁর সঙ্গীরা। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁদের ওপর। তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে মকপোল করতে আসা আমাদের দোষ। ওরা চর-কিল -ঘুষি-লাথি মারার পাশাপাশি আমাদের মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে ডিএম থেকে শুরু করে এসপি প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনই পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    শনিবার ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) থানায় যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ডায়মন্ডহারবার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। তবে এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী ও অভিজিৎ দাস বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় ভাইপো অভিষেকের দুষ্কৃতী বাহিনীর সন্ত্রাসের আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে এলাকার মানুষজন। বিরোধী কর্মীদেরকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে না এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    Rajasthan Govt: মুসলমানদের ওবিসি শংসাপত্র, এবার খতিয়ে দেখবে রাজস্থান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের ৭৭টি শ্রেণিকে (যার সিংহভাগই মুসলমান এবং তাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল জমানায়) দেওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও উচ্চতর আদালতের এই রায়ের প্রসঙ্গে নিশানা (Rajasthan Govt) করেছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যকে কষিয়ে এক থাপ্পড়।”

    কাদের ওবিসি শংসাপত্র! (Rajasthan Govt)

    আদালতের এই রায়ের দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজস্থান সরকার পূর্বতন সরকারের আমলে কাদের ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে চলেছে। ২৪ মে রাজস্থানের সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট মন্ত্রী অবনীশ গেহলট বলেন, “তুষ্টিকরণের রাজনীতির অংশ হিসেবে কংগ্রেস ১৪টি মুসলিম শ্রেণিকে ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে এসেছিল।” তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সমস্ত সার্কুলার আমাদের রয়েছে। যথা সময়ে দফতর ও সরকার এটি পুনর্মূল্যায়ন করবে।” গেহলট বলেন (Rajasthan Govt), “ধর্মের ভিত্তিতে কোনও শ্রেণিকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা সংবিধানের নীতিবিরুদ্ধ। আমরা এ ব্যাপারে একগুচ্ছ অভিযোগ পেয়েছি। দফতর অভিযোগগুলি যাচাই করে দেখছে। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজস্থানে সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের হার ২১ শতাংশ। চলতি বছর এপ্রিল মাসে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের কোটা কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের ঢালাও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে এক নির্বাচনী জনসভায় অভিযোগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এরা কী দলিত, উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ কমিয়ে দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করবে না? যদি তা না করে, তাহলে দেশবাসীকে কথা দিতে হবে।”

    আর পড়ুন: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে বাতিল হতে চলেছে প্রায় ৫ লাখ ওবিসি সার্টিফিকেট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত। তবে বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন না বলেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের। বেঞ্চের নির্দেশ, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজ্যকে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে (Rajasthan Govt)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার মা রথিবালা আড়িকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত মাকে জড়িয়ে ধরে খুনি তৃণমূলীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন মেয়ে সঞ্জু আড়ি। শনিবার তিনি বুথে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন। ভোট পূর্ববর্তী হিংসা’য় মাকে হারানো সঞ্জু ভোট দিয়ে বেরিয়ে বললেন, বাড়ির বাকিরাও ভোট দেবেন।

    থমথমে মনসা বাজার (Nandigram)

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) গড়চক্রবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়াগামী সড়ক ধরে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিলে মনসা বাজার। ভোটের দিন সকালে দেখা গেল বাজারে তেমন লোক নেই। পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ওই মূল রাস্তার ডান দিক থেকে ছোট্ট পাকা রাস্তা ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হাঁটাপথ ধরে এগিয়ে গেলেই রথিবালাদের বুথ। সাউদখালি জলপাই গ্রামের এই রাস্তায় ঢুকতেই অদ্ভুত এক থমথমে পরিস্থিতি মালুম হয়। গোটা এলাকায় চোখে পড়ছে বিজেপির পতাকা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথিবালাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় নতুন করে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রথিবালাদেবীর মেয়ে সঞ্জু এক জনের স্কুটিতে চেপে বুথে যান।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম

    বুথের বাইরে সতর্ক প্রহরায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান। সেখানেই সকাল সকাল ভোটদান করলেন রথিবালার মেয়ে সঞ্জু। তাঁকে দেখেই দ্রুত বুথের ভিতরে যাওয়ার রাস্তা ছেড়ে দিলেন অন্যরা। ছলছল চোখে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সঞ্জু বলেন, “মাকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে দুই দাদা এবং বউদি। বড় দাদা সঞ্জয় গুরুতর জখম হয়ে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাড়িতে ওর স্ত্রী আর দুই শিশু আছে। আর এক দাদা এবং তার স্ত্রী-ও বাড়িতে আছে। আমি আগে এলাম। বাড়ির বাকি সবাই ভোট দিয়ে যাবে। ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    Ramakrishna 27: “সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য”

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) কেশবের প্রতি স্নেহজগন্মাতার কাছে ডাবচিনি মানা

    আজ কমলকুটিরে সেই বৈঠকখানাঘরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে উপবিষ্ট। ২রা এপ্রিল ১৮৮২, বেলা ৫টা। কেশব ভিতরের ঘরে ছিলেন, তাঁহাকে সংবাদ দেওয়া হইল। তিনি জামা-চাদর পরিয়া আসিয়া প্রণাম করিলেন। তাঁহার ভক্তবন্ধু কালীনাথ বসু পীড়িত, তাঁহাকে দেখিতে যাইতেছেন। ঠাকুর আসিয়াছেন, কেশবের আর যাওয়া হইল না। ঠাকুর বলিতেছেন, তোমার অনেক কাজ, আবার খপরের কাগজ লিখতে হয়; সেখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যাবার অবসর নাই; তাই আমিই তোমায় দেখতে এসেছি। তোমার অসুখ শুনে ডাব-চিনি মেনেছিলুম; মাকে বললুম, মা! কেশবের যদি কিছু হয়, তাহলে কলিকাতায় গেলে কার সঙ্গে কথা কইব।

    শ্রীযুক্ত প্রতাপাদি ব্রাহ্মভক্তদের সহিত শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) অনেক কথা কহিয়াছেন। কাছে মাস্টার বসিয়া আছেন দেখিয়া তিনি কেশবকে বলিতেছেন, ইনি কেন ওখানে (দক্ষিণেশ্বরে) যান না; জিজ্ঞাসা করত গা; এত ইনি বলেন, মাগছেলেদের উপর মন নাই। মাস্টার সবে এক মাস ঠাকুরের কাছে যাতায়াত করিতেছেন। শেষে যাইতে কয়দিন বিলম্ব হইয়াছে তাই ঠাকুর এরূপ কথা বলিতেছেন। ঠাকুর বলিয়া দিয়াছিলেন, আসতে দেরি হলে আমায় পত্র দেবে।

    ব্রাহ্মভক্তেরা শ্রীযুক্ত সমাধ্যায়ীকে দেখাইয়া ঠাকুরকে বলিতেছেন, ইনি পণ্ডিত, বেদাদি শাস্ত্র বেশ পড়িয়াছেন। ঠাকুর বলিতেছেন, হাঁ এঁর চক্ষু দিয়া ভিতরটি দেখা যাচ্ছে, যেমন সার্সীর দরজার ভিতর দিয়া ঘরের ভিতরকার জিনিস দেখা যায়।

    শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য গান গাইতেছেন। গান গাইতে গাইতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালা হইল, গান চলিতে লাগিলেন। গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর হঠাৎ দণ্ডায়মান—আর মার নাম করিতে করিতে সমাধিস্থ। কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া নিজেই নৃত্য করিতে করিতে গান ধরিলেনঃ

    সুরা পান করি না আমি সুধা খাই জয় কালী বলে,

    মন-মাতালে মাতাল করে মদ-মাতালে মাতাল বলে।

    গুরুদত্ত গুড় লয়ে, প্রবৃত্তি তায় মশলা দিয়ে;

    জ্ঞান শুঁড়িতে চোঁয়ায় ভাঁটি পান করে মোর মন মাতালে।

    মূল মন্ত্র যন্ত্রভরা, শোধন করি বলে তারা;

    প্রসাদ বলে এমন সুরা খেলে চতুর্বর্গ মেলে।

    শ্রীযুক্ত কেশবকে ঠাকুর স্নেহপূর্ণ নয়নে দেখিতেছেন। যেন কত আপনার লোক; আর যেন ভয় করিতেছেন, কেশব পাছে অন্য কারু, অর্থাৎ সংসারে হয়েন! তাঁহার দিকে তাকাইয়া আবার গান ধরিলেন;

    কথা বলতে ডরাই; না বললেও ডরাই

    মনের সন্দ হয়; পাছে তোমা ধনে হারাই হারাই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর; দিলাম তোরে সেই মন্তোর।

    এমন মন তোর, যে মন্ত্রে বিপদেতে তরী তারই।।

    আমরা জানি যে মন-তোর সেই মন্তোর; এখন মনতোর। অর্থাৎ সব ত্যাগ করে ভগবানকে ডাক,–তিনিই সত্য আর সব অনিত্য; তাঁকে না লাভ করলে কিছুই হল না! এই মহামন্ত্র।

    আবার উপবেশন করিয়া ভক্তদের সঙ্গে কথা কহিয়াছেন।

    তাঁহাকে জল খাওয়াইবার উদযোগ হইতেছে। হলঘরের একপাশে একটি ব্রাহ্মভক্ত পিয়ানো বাজাইতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) হাস্যবদন, বালকের ন্যায় পিয়ানোর কাছে গিয়া দাঁড়াই দেখিতেছেন। একটু পরেই অন্তঃপুরে তাঁহাকে লইয়া যাওয়া হইল। জল খাইবেন। আর মেয়েরাও প্রণাম করিবেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের জলসেবা হইল। এইবারেই তিনি গাড়িতে উঠিলেন। ব্রাহ্মভক্তেরা সকলেই গাড়ির কাছে দাঁড়াইয়া আছেন। কমলকুটির হইতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরাভিমুখে যাত্রা করিল।

    আরও পড়ুনঃ“এই স্থানে নরেন্দ্রের গান ঠাকুর প্রথমে শুনেন ও তাঁহাকে দক্ষিণেশ্বরে যাইতে বলেন”

    আরও পড়ুনঃ “দক্ষিণেশ্বরের পরমহংস সামান্য নহেন, এক্ষণে পৃথিবীর মধ্যে এত বড় লোক কেহ নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyber Slaves Rescued: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাইবার ক্রাইম করানো, কম্বোডিয়াতে উদ্ধার ৩৬০ ভারতীয়

    Cyber Slaves Rescued: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাইবার ক্রাইম করানো, কম্বোডিয়াতে উদ্ধার ৩৬০ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বোডিয়াতে উদ্ধারকাজে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় দূতাবাস। জানা গিয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরেই ৩৬০ জন ভারতীয় নাগরিককে মোটা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কম্বোডিয়াতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে সেখানে তাঁদেরকে দিয়ে জোর করে সাইবার ক্রাইমের (Cyber Slaves Rescued) কাজ করানো হয়। বিষয়টি জানা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়ে ভারত সরকার এবং কম্বোডিয়ার ভারতীয় দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এঁদের প্রত্যেককে উদ্ধার করা হয়।

    ভারতীয় দূতাবাস কী জানাল 

    সে দেশের ভারতীয় দূতাবাস নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, বিদেশে ভারতীয়দের উদ্ধার কাজে সদা তৎপর থাকে সরকার। উদ্ধার করা নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে কম্বোডিয়া সরকারকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সহযোগিতার জন্য। জানা গিয়েছে, বিগত ৪-৫ মাস ধরেই মোট ৩৬০ জন ভারতীয়কে জোর করে সাইবার ক্রাইম করানো হয় (Cyber Slaves Rescued)। এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান সাইবারক্রাইম কো-অর্ডিনেসন সেন্টারের  সিইও রাজেশ কুমার। প্রসঙ্গত, প্রথম ব্যাচে ৬০ জনকে ফেরানো হয়েছে দেশে। আগামী সপ্তাহে আরও  ৬০ জনকে ফেরানো হবে। এইভাবে ধাপে ধাপে প্রত্যেকে দেশে ফিরে আসবেন।

    উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন 

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়া, মায়ানমার, লাওস প্রভৃতি দেশগুলিতে সাইবার ক্রাইম এর ঘটনা বেড়েই চলেছে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তু বানানো ভারতকে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে চলতি মাসের ১৬ তারিখে ভারত সরকার প্রতিটি দেশের সঙ্গে ইন্টার-মিনিস্টিয়াল কমিটি তৈরি করেছে যাতে সাইবার হানা ঠেকানো যায়। ওই কমিটির চেয়ারম্যান (Cyber Slaves Rescued) করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্পেশাল সেক্রেটারিকে। এর পাশাপাশি কমিটিতে রয়েছেন বিদেশ মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশন, সিবিআই এনআইএ প্রভৃতির আধিকারিকরাও। ইতিমধ্যে এই কমিটির দুবার মিটিংও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share