Author: user

  • Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১২ সালে টাইমস গ্রুপ পশ্চিমবঙ্গে চালু করে ‘এই সময়’ দৈনিক সংবাদপত্র (Ei Samay)। যার প্রাত্যহিক সার্কুলেশন ছিল প্রায় ১.৭ লাখ কপি। সম্প্রতি টাইমস গ্রুপের এই সংবাদপত্রকে কিনে নিয়েছে একটি কোম্পানি, যার বয়স মাত্র এক মাস। এই কোম্পানির মাথা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আইনজীবী সঞ্জয় বসু।

    সঞ্জয় বসুর বিবৃতি

    ‘এইসময়’ পত্রিকাকে (Ei Samay) কিনে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লিঙ্কডিনে বিবৃতি আসে সঞ্জয় বসুর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেডের অনুরাগ চৌধুরীর সঙ্গে এই দৈনিকটি তাঁরা কিনে নিয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে ওই বিবৃতিতে সঞ্জয় বসু দাবি করেন, “আজ আমরা খুব অল্প লোক একত্রিত হয়েছি এবং ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটি অধিগ্রহণ করেছি।” এই অল্প কয়েকজন লোক বলতে তিনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ যে কোম্পানি ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে অধিগ্রহণ করেছে তার বয়স এক মাসও নয়। এর পাশাপাশি ‘এই সময়’ এর কোন অ্যাসেট নেই।

    রাতারাতি ১৮ কোটি বিনিয়োগ

    পরবর্তীকালে দেখা যায় এক সপ্তাহ পরেই এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে ওই ১৮ কোটি টাকার মধ্যে সঞ্জয় বসু বিনিয়োগ করেছেন ৯.৯২ কোটি টাকা। রকেট মার্কেটিং নামে একটি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে ৫.৪১ কোটি টাকা এবং গৌতম আগরওয়াল নামে একজন বিনিয়োগ করেছেন ২.৭ কোটি টাকা।

    কে এই সঞ্জয় বসু

    সঞ্জয় বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দুজনের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সঞ্জয় বসু খবরের শিরোনামে আসেন, কারণ ইডি তখন পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে তল্লাশি চালায় তাঁর বাড়িতে। সেই সময় ইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার জন্য এই তল্লাশি করা হয়েছিল। ইডি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায় যে ‘পিনকন গ্রুপ’ নামের একটি চিট ফান্ড এইভাবে ১৫৬ কোটি টাকা তুলেছে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এবং ‘টাওয়ার ইনফোটেক লিমিটেড’ নামের অপর একটি কোম্পানি ৬৩৮ কোটি টাকা তুলেছে একইভাবে। সেই সময় সঞ্জয় বসুর হয়ে ব্যাট ধরেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ইডির এই তল্লাশি অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন।

    অনেক দিন ধরেই বিক্রির চেষ্টা করছিল টাইমস গ্রুপ

    প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, টাইমস গ্রুপ ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটিকে বিক্রি করার জন্য অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল। এমনটাই জানিয়েছেন পত্রিকার এক পুরনো কর্মচারী। আগেই ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে (Ei Samay) অপর একটি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল টাইমস গ্রুপ। কিন্তু সেই সংস্থা এটিকে কিনতে চাইনি। সূত্রের খবর, লকডাউনের পর থেকেই কাগজটি ক্রমশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল এবং বর্তমানে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ চালান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। মেদিনীপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পল। এই লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথ কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। বুথের মধ্যেই পুলিশ ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেই পুলিশকে বার করে দেন বুথের ভিতর থেকে। এরপর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসান। কিন্তু বুথ থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবার খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “পুলিশ অত্যন্ত নির্লজ্জ। বুথের ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের গতকাল রাত থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। আজ সকালে অনেককে কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমাদের বুথে নতুন করে এজেন্ট বসাতে হচ্ছে। মমতা সরকারের পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে সরাসরি কাজ করাচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাচ্ছে পুলিশ।“ একই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা কী চোখে দেখতে পান না? পুলিশ কীভাবে বুথের বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পায়। আপনারা কর্তব্য ঠিক মতো পালন না করলে আমরা অভিযোগ জানাবো কমিশনে। হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম।” একই ভাবে বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা।

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    ঝাড়গ্রামে প্রণত টুডুর গাড়িতে আক্রমণ

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০ নম্বর বুথে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Behari Bose: আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন তাঁর হাতেই, আজ বিপ্লবী রাসবিহারী বোসের জন্মদিন

    Rash Behari Bose: আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন তাঁর হাতেই, আজ বিপ্লবী রাসবিহারী বোসের জন্মদিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহান বিপ্লবী রাসবিহারী বোসের জন্মদিন আজ। ১৮৮৬ সালের ২৫ মে বর্ধমান জেলার (বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান) সুবলদহ গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। বিপ্লবী রাসবিহারী বোসের (Rash Behari Bose) রোমহর্ষক কর্মকাণ্ড, স্বদেশপ্রম, দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম তাঁকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। রাসবিহারী বোস স্থান পেয়েছেন সাহিত্যেও। অনেকের মতে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের সব্যসাচী চরিত্র যেন রাসবিহারী বোসের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।

    আমি রাসবিহারীকে দেখেছি 

    আরও বিভিন্ন সাহিত্যে তুলে ধরা হয়েছে বিপ্লবীর (Rash Behari Bose) বীরত্ব গাধা। এমনই একটি বই হল – ‘আমি রাসবিহারীকে দেখেছি’, লেখক নারায়ণ সান্যাল। এই বইতে নারায়ণ সান্যাল লিখছেন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে লোকটা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে, সঙ্গী আছেন নদীয়ার বসন্ত বিশ্বাস। হঠাৎই তিনি অল্পবয়সী সঙ্গীকে বললেন, ‘‘ভাল দেখে দুটো পাটনার টিকিট নিয়ে আয়।’’ লোকটাকে এর আগে দেখেনি বসন্ত বিশ্বাস! তারপর এই ধরনের কথাবার্তার জন্য ঠিকঠাক বনিবনাও হচ্ছিল না। সে বলল, ‘‘টিকিট আবার ভাল দেখে খারাপ দেখে হয় নাকি!!” আহ! কথা বাড়াস নি, টিকিট নিয়ে আয়। টিকিট এল পাটনার। লোকটি বসন্ত বিশ্বাসকে নিয়ে ছুটে গিয়ে উঠল দেরাদুন এক্সপ্রেসে। বসন্ত বিশ্বাস এবার নিশ্চিত হল লোকটা পাগল। ট্রেনে উঠেই বাথরুমে। বহুক্ষণ পর বেরিয়ে এসে বললেন, ‘‘দেখিস নি একটা টিকটিকি আমাকে ফলো করছিল, বেচারা কাল সকালে পাটনায় নেমে আমাকে খুঁজবে, ভেরি প্যাথেটিক।’’ লেখকের আরও সংযোজন, ‘‘দিল্লির বুকে বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা পড়ল। ওদিকে দেরাদুনে সন্ত্রাস বিরোধী সভা শুরু হল। সভাপতি রাসবিহারী বোস (Rash Behari Bose)। সেকি ভাষণ!! বন্ধু পুলিশ কী করছিল! গোয়েন্দারা এখন কোথায়!! এ যে ভারত আত্মার ওপর হামলা! সারা পৃথিবী আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। এমন ঘৃণ্য ঘটনা যারা ঘটায় তাদের দিল্লির চাঁদনি চকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া উচিত! পিছনের সারিতে বসে এই ভাষণ শুনছিল বসন্ত বিশ্বাস। সদ্য সে হার্ডিঞ্জকে বোমা মেরে এসেছে। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না সে। এসব কথা কে বলছেন? যিনি নিজের হাতে  আমাকে বোমা বানাতে শিখিয়েছিলেন! যিনি নিজে বোমা নিক্ষেপের সময় আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শ্রদ্ধায় ভক্তিতে মাথা নত হয় তার।’’

    ব্রিটিশ পুলিশ অতি সক্রিয় হয়েও ধরতে পারেনি তাঁকে  

    রাসবিহারী বোস (Rash Behari Bose) সম্পর্কে ওই বইতে আরও লেখা রয়েছে, সুনীল ঘোষ, দুঁদে গোয়েন্দা! স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন ‘‘ঘড়িয়ালটাকে আমি প্রচুর টাকা দিয়েছি, রাজভক্ত কর্মচারী হিসেবে বিপ্লবীদের ধরিয়ে দেওয়া নাকি তার কর্তব্য!! তাকে আমি এজেন্ট রেখেছিলাম ! আমার কাছে টাকা নিয়ে সে বিপ্লবীদের জন্য বোমা বানাতো।’’ সমগ্র ব্রিটিশ প্রশাসনকে চোখের জলে, নাকের জলে করে ছেড়েছিলেন। তিনিই ছিলেন একমাত্র বিপ্লবী যাঁকে শেষ দিন পর্যন্ত অতিসক্রিয় হয়েও ব্রিটিশ পুলিশ ধরতে পারেনি।

    প্রাথমিক জীবন

    মাত্র তিন বছর বয়সেই রাসবিহারী বোসের মাতৃদেবী পরলোক গমন করেন এরপরে তিনি তাঁর মামার কাছে মানুষ হন। জানা যায় রাসবিহারী বসু প্রাথমিকভাবে তাঁর দাদু কালীচরণ বোসের তত্ত্বাবধানে সুবলদহে এবং পরবর্তীকালে চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজে শিক্ষা লাভ করেন। তৎকালীন সময়ে সারা দেশে ব্রিটিশ শাসন থাকলেও চন্দননগর ফরাসি শাসনের অধীনে ছিল। বাল্যকালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আনন্দমঠ উপন্যাস পড়ে তিনি অনুপ্রাণিত হন। তাঁর জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষণ ঘটে স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন লেখা এবং বক্তৃতা পড়ে। জানা যায়, বিপ্লবী তাঁর বাবার ইচ্ছায় সিমলা চলে যান এবং সেখানে সরকারী প্রেসে কাজ করতে থাকেন। এরপর সেখান থেকে এক সহকর্মীর পরামর্শে বিপ্লবী মহানায়ক প্রমথনাথ ঠাকুরের বাড়িতে দেহরাদুনে থাকতে শুরু করেন। সেখানে ‘দেরাদুন ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউশন’-এ কেরানির চাকরি করতে থাকেন তিনি।

    ১৯১২ সালে বড়লাটের ওপর বোমা নিক্ষেপ

    ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পরে বিভিন্ন বিপ্লবী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়তে থাকেন রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose)। তিনি ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘা যতীন)। ১৯১২ সালে ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়। যার মূল কারিগর ছিলেন রাসবিহারী বসু নিজে। সঙ্গী ছিলেন দুজন, বসন্ত বিশ্বাস ও অবোধ বিহারী বোস। দিল্লির শোভাযাত্রায় মহিলার বেশে বোমা ছোঁড়ার আগে বসন্ত বিশ্বাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন দেরাদুনে। প্রশিক্ষক ছিলেন রাসবিহারী বসু। টিনের সিগারেটের কৌটোতে পাথর ভরে, তা ছুড়তেন বসন্ত বিশ্বাস। ১৯১২ সালে ২৩ ডিসেম্বর বড়লাট হাতির পিঠে সওয়ার ছিলেন। সেসময় বোমা ছোড়া হয় তাঁর ওপরে। বোমার আঘাতে জখম বড়লাটকে ডাক্তার এসি সেনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অবোধ বিহারী ও বসন্ত বিশ্বাস দুজনেরই ফাঁসি হয়। কিন্তু রাসবিহারী বোসকে শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পুলিশ ধরতে পারেনি।

    সেনা বিদ্রোহের প্রচেষ্টা 

    বড়লাট মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেলেও রাসবিহারী বসুর বিপ্লবী প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। ১৯১৪ সাল নাগাদ, ভারতের বিপ্লবী কাজকর্মের জন্য আমেরিকা, কানাডা থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক পদার্থ ভারতে আনা হয়েছিল। এই কাজগুলি করত মূলত আমেরিকার গদর পার্টি। এই সময়ে সামনে আসেন বিষ্ণু গনেশ পিংলার নাম। যিনি আমেরিকারতে একজন প্রশিক্ষিত গদর পার্টির নেতা। তিনি বারাণসীতে রাসবিহারী বোসের সঙ্গে দেখা করেন এবং এক বড় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। সেই মতো ১৯১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীতে বিপ্লব করার দিনক্ষণ স্থির করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, সমস্ত পুলিশ ফাঁড়িগুলিকে দখল করে নেওয়া হবে, এমন পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু মাত্র ছয় দিন আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি কৃপাল সিং এর বিশ্বাসঘাতকতায় এই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

    ছদ্মবেশে দেশ ত্যাগ ও জাপানে গিয়ে বিবাহ 

    এরপরেই ওই বছরেই অর্থাৎ ১৯১৫ সালের ১২ মে রাজ রাসবিহারী বসু ছদ্মবেশে কলকাতা ত্যাগ করেন। তিনি রাজা পিএন ঠাকুর হিসেবে জাপানে যান এবং নিজেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দেন। সে মতো পাসপোর্টও তিনি বানিয়েছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক বলেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি অবগত ছিলেন রাসবিহারী বসুর এই ছদ্মবেশ সম্পর্কে। ১৯১৫ সালের ২২ মে সিঙ্গাপুরে এবং ওই বছরের জুন মাসে তিনি টোকিওতে পৌঁছান। ১৯১৫ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত রাসবিহারী বসু সতেরোবার তাঁর আবাসস্থল পরিবর্তন করেন বলে জানা যায়। পরবর্তীকালে তিনি বিয়ে করেন জাপানেই এবং সেখানকার নাগরিকত্ব নেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল তোসিকো। তাঁদের দুই সন্তান ছিল। একটি ছেলে এবং অপরটি মেয়ে। ছেলের নাম ছিল মাসাহিদ আর মেয়ের নাম ছিল তেতাকু।

    আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন 

    ১৯৪২ সালের ২৮ মার্চ টোকিও-তে একটি সম্মেলনের পরে তিনি ‘ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরেই সেই লীগের সভাপতি করার কথা ঘোষণা করেন সুভাষচন্দ্র বসুকে। জাপানিদের হাতে বন্দি ভারতীয় সেনাদের ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মিতে যোগদান করানো হয়, যা আজাদ হিন্দ ফৌজ নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose), দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই টোকিওতে প্রয়াত হন। জাপান সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করে। ‘দ্য সেকেন্ড অর্ডার অফ মেরিট অফ দ্য রাইসিং সান’ সম্মান লাভ করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyber Crime: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    Cyber Crime: সাইবার জালিয়াতি রুখতে ৩ হাজারেরও বেশি সোশ্যাল সাইট, লিঙ্ক বন্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দিনে বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা। আর এবার সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) আটকাতে কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার। একসাথে ৩০০০টিরও বেশি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) সাইট, ওয়েবসাইট ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে ১৪সি এবং রাজ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির সুপারিশে ৩৪০১টি ইউআরএল এবং ৫৯৫ টি অ্যাপ আইপিসির আইটি আইনের ৬৯এ ধারার অধীনে ব্লক করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৯০% ফিশিং এবং জালিয়াতি সাইট মেটা অ্যাপে প্রচারিত হয়েছিল।

    এ প্রসঙ্গে সাইবার জালিয়াতি (Cyber Crime) বিভাগের সিইও রাজেশ কুমার বুধবার জানান, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)বি এর অধীনে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত আইনের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    সাইবার জালিয়াতির পদ্ধতি 

    এদিন রাজেশ কুমার জানান, সাইবার ক্রাইমের অপরাধীরা স্ক্যাম বা অপরাধ করার জন্য মূলত তিনটি সিস্টেমের অপব্যবহার করে থাকে। প্রথমটি হল, টেলিকম অবকাঠামো। যার মাধ্যমে সিম কার্ড এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করা হয়। দ্বিতীয়টি হল, ইন্টারনেট। অর্থাৎ ভুয়ো অনলাইন বিজ্ঞাপন বা বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতারণা বা জালিয়াতি (Cyber Crime) করা। আর তিন নম্বরটি হল আর্থিক পরিষেবা, অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক স্কিমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা। 

    এই স্কিমগুলি সাধারন মানুষকে প্রায়ই প্রচুর লাভের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটা আসলে একটা কৌশল। সাইবার অপরাধীরা তাঁদের কৌশলের মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রলুব্ধ করে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা বর্তমানে  অনেক বেড়েছে। সব ক্ষেত্রেই বড় রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণের টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। তাই এই জালিয়াতি বন্ধ করতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল সরকার। 

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন, কী করবেন না-জানুন

    ভুয়ো একাউন্ট ফ্রিজ  

    জানা গিয়েছে এই সাইবার প্রতারণা (Cyber Crime) আটকাতে গত চার মাসে প্রায় ৩ লক্ষ্য ২৫ হাজার ভুয়ো একাউন্ট ফ্রিজ করেছে সরকার। এছাড়াও ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার সিম কার্ড এবং ৮০ হাজারেরও বেশি আইএমইআই নম্বর বাতিল বা প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    PM Modi: মোদির ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের সুফল, ব্যাপক বংশবৃদ্ধি গাঙ্গেয় ডলফিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বিভিন্ন রাজ্যে গঙ্গা শোধন প্রকল্প হাতে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। গঙ্গার দূষণ রোধ ও বিভিন্ন ঘাট সংস্কারের জন্য বরাদ্দও হয়েছিল কোটি কোটা টাকা। প্রকল্পের নাম ছিল ‘নমামি গঙ্গে’। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের জন্যও নানা সময় বরাদ্দ হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এই প্রকল্পে ২০২২ সালেই পশ্চিমবঙ্গের জন্য ২৫টির বেশি নিকাশি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল মোদি সরকার।

    গাঙ্গেয় ডলফিনের বংশবৃদ্ধি (PM Modi)

    এই নমামি গঙ্গে (PM Modi) প্রকল্প রূপায়িত হওয়ায় ক্রমেই সংসার বাড়ছে লুপ্ত হতে বসার জোগাড় গাঙ্গেয় ডলফিনের। গঙ্গার স্বচ্ছ জলেই বাস ডলফিনের একটি প্রজাতির। এই প্রজাতির ডলফিন গাঙ্গেয় ডলফিন নামেই পরিচিত। দূষণের জেরে যারা হারিয়ে যেতে বসেছিল, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের জেরে তারাই বাড়ছে ঝাড়েবংশে। ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান বলছে গঙ্গা ও তার শাখানদীগুলিতে এই মুহূর্তে ডলফিন রয়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে কমবেশি ২ হাজার গঙ্গা ডলফিন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যার জেরে উৎসাহিত উত্তরপ্রদেশ সরকার নয়া পর্যটন নীতি নিয়েছে। চম্বল স্যাংচুয়ারিকে তারা ডলফিন স্যাংচুয়ারি বলেও ঘোষণা করেছে।

    ডলফিনের সংখ্যা দ্বিগুণের লক্ষ্যমাত্রা

    ডলফিন প্রজেক্টের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই বেড়ে গিয়েছে ডলফিন নিয়ে আমজনতার আগ্রহ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নমামি গঙ্গে প্রকল্পে যে কেবল গঙ্গার দূষণ কমেছে তাই নয়, ডলফিনের বংশবৃদ্ধি হওয়ায় এই প্রাণীটি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। আধিকারিকরা জানান, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানুষের অংশগ্রহণের ফলে সফল হয়েছে নমামি গঙ্গে প্রকল্প। ২০৩০ সালের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যা দ্বিগুণ করতে একটা লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করা হয়েছে।

    আর পড়ুন: ভারতে ৩৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে আইডিএফসি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    নমামি গঙ্গে প্রকল্পে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, নদী বিশেষজ্ঞ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং গঙ্গা যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা। এই প্রকল্প রূপায়িত হওয়ায় যেহেতু দূর হয়েছে গঙ্গার ময়লা, তাই এই নদী ও শাখানদীগুলি হয়ে উঠেছে গাঙ্গের ডলফিনের বিচরণ ক্ষেত্র। যা যে কোনও জলজ প্রাণীর বংশবৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, গাঙ্গেয় ডলফিনের দেখা মেলে কেবল ভারতীয় উপমহাদেশেই (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর অনুগামীরা। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Anubrata Mondal)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটে তাঁর অনুগামীরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করে। এবার ফের নতুনহাটে দলীয় কার্যালয়ের দখলকে ঘিরে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শান্ত সরকারের অভিযোগ, আমাদের নেতা অনুব্রত। দাদা এখন জেলে বলে আমরা ব্রাত্য। আমাদের অনুগামীদের চড়-থাপ্পড় মেরে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী বর্তমান উপপ্রধার ছাহিম মল্লিকের দলবল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্ত সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোটে জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন। একদা অনুব্রতর স্নেহধন্য ছিলেন। আর তাঁরাই এখন দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অনুব্রত গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ-সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষকেই কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের তরফেও তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের দরজায় আরও একটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    পুলিশ তালা দিয়েছে পার্টি অফিসে

    মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘অফিস কখনও কারও ব্যক্তিগত হয় না। তৃণমূলের অফিসে সমস্ত দলীয় কর্মীরা বসবেন। এলাকায় অশান্তি রুখতে পুলিশ ওই অফিসে তালা দিয়েছে। আবার সময় হলে অফিস খুলে দেবে। আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নেতৃত্ব যা বলবে তাই হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মেঘনাথ দাস বলেন, তৃণমূলের জঘন্য রাজনীতিতে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট লুট করেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়ায় লুঙ্গি খুলিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্যান্ট পরালেন জ্যোতির্ময়

    Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়ায় লুঙ্গি খুলিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্যান্ট পরালেন জ্যোতির্ময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ষষ্ঠ দফা ভোট গ্রহণ চলছে। কিন্তু ভোটের দিনেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল তাঁর প্রাক্তন স্বামী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে নজীরবিহীন আক্রমণ করলেন। বিজেপি প্রার্থীকে ‘পাগল-ছাগল’ বললেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি বাঁকুড়া কেন্দ্রের একাধিক বুথে শাসল দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের জেলা সদরে একাধিক বিজেপির বুথ ক্যাম্প ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঘমুণ্ডিতে প্রিসাইডিং অফিসার নিজে লুঙ্গি পরে ভোট করাচ্ছিলেন, তাই প্রার্থী জ্যোতির্ময় লুঙ্গি খুলিয়ে প্যান্ট পরালেন তাঁকে।

    পুরুলিয়াতে লুঙ্গি পরে ভোট গ্রহণ

    পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি বিধানসভায় ঝালদা গার্লস হাইস্কুলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে লুঙ্গি পরে ভোট করাচ্ছেন। ঠিক বুথে (Lok Sabha Election 2024) ঢুকে হাতে নাতে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মুসলিমদের প্রভাবিত করতে এই কাজ করা হচ্ছিল।” এক মহিলা ভোটার কার্ড নিয়ে এলেও নাম বলেতে পারেননি। ফলে ব্যাপক তর্ক বাঁধে। এরপর শুরু হয় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে গো ব্যাক শ্লোগান।

    কী বললেন সুজাতা মণ্ডল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন সকাল সকালেই তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বিজেপি প্রার্থীকে আক্রমণ করে বলেন, “সৌমিত্র পাগল-ছাগল, পরপর দুইবার সাংসদ হয়েও এলাকায় কোনও কাজ করেননি। আমি ওঁকে প্রতিপক্ষ বলে মনে করিনা। বিজেপির লোকেরাই ওঁকে ভোট দেবে না। বিজেপি ইচ্ছে করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে।”

    বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের রিগিং-এর অভিযোগ

    বিষ্ণুপুরে সারেস্বর মন্দিরে তৃণমূলের রিগিং রুখতে শিবের কাছে পুজো দিলেন সৌমিত্র খাঁ। পুজো দিয়ে বলেন, “বাবার কাছে পুজো দিলাম। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন যে সকল জায়গায় রিগিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমরা শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    তৃণমূলের অভিযোগ

    অপর দিকে ভোট গ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বাঁকুড়া তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তিন বলেন, “ইভিএম-এর এক নম্বর বোতামকে ইচ্ছে করে কাত করে আড়াল করা হয়েছে। রঘুনাথপুরে ৫টি মেশিনে শুধু বিজেপির স্টিকার লাগিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে এখনই অভিযোগ করব।” আবার বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “বুথে থাকা বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। তাঁরা অতি সক্রিয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    Next Generation Nuclear Fuel: “নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে ভারত”, বললেন রুশ কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত এক প্রধান অংশীদার এবং এই দেশ চলতি গ্রীষ্মেই নেক্সট জেনারেশন পারমাণবিক জ্বালানি পাবে।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাশিয়ার (Next Generation Nuclear Fuel) স্টেট নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন রোশাটম প্রধান অ্যালেক্সি লিখাচেভ। সিবেরিয়ার তোমস্ক অঞ্চলে তাঁকে স্বাগত জানান ‘দ্য রাশিয়ান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে’র চেয়ারম্যান অজিত কুমার মোহান্তি। আরটি ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহান্তিকে ফোর্থ জেনারেশন সাইট দেখানো হয়। এটাই ইতিহাসে নিরাপদতম অ্যাটমিক রিয়েক্টর হোস্ট করবে।

    রুশ কর্তার মুখে সহযোগিতার প্রশংসা (Next Generation Nuclear Fuel)

    লিখাচেভ এদিন দুই দেশের সহযোগিতার প্রশংসাও করেন। তার পরেই তিনি ভারতকে পারমাণবিক ক্ষেত্রে প্রধান অংশীদার বলে সম্বোধন করেন তিনি। এদিন তোমস্ক অঞ্চলের সেভের্সে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোহান্তি ও রোসাটমের প্রধান। সেভের্সকে (Next Generation Nuclear Fuel) পাইলট ডেমস্ট্রেশন এনার্জি কমপ্লেক্স চত্বর ঘুরে দেখেন রাশিয়ান ও ভারতের নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। রোসাটমের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্ট্র্যাটেজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্টের ব্রেকথ্রুর অংশ হিসেবেই তাঁরা এই সাইট দর্শন করেছেন। যৌথ পরিদর্শনের সময় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয় ভারত ও রাশিয়া দুই দেশের নেতাদের মধ্যে।’

    কী বললেন রুশ কর্তা?

    লিখাচেভ বলেন, “শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়তে আমরা প্রস্তুত। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের কোনও নতুন সাইটে রাশিয়ার ডিজাইন করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ধারাবাহিক পারমাণবিক পাওয়ার ইউনিট নির্মাণও। পারমাণবিক ফুয়েল সাইকেল এরিয়া বাড়াতে ভারতকে সহযোগিতাও করব। পারমাণবিক প্রযুক্তির নন-পাওয়ার অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োগ করতেও সহযোগিতার হাত বাড়াব।” অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান মোহান্তির সঙ্গে রাশিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমারও তোমস্কে সাইট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এদিন তাঁরা তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ও পরিদর্শন করেন। স্থানীয় গভর্নর ভ্লাদিমির মাজুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

    আর পড়ুন: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাজুরের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা করেন ফার্মাসিউটিক্যালস, উচ্চ প্রযুক্তি, শিক্ষা ও রিসার্চ নিয়েও। এদিন কুমার তোমস্ক স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণও দেন। বক্তৃতার বিষয় ছিল, ‘ইন্ডিয়া-রাশিয়া রিলেশনস ইন কারেন্ট সিনারিও’। তোমস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি (Next Generation Nuclear Fuel)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে নিজের গড় বাঁচাতে রাত জাগলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। শনিবার ভোর থেকে ফের এলাকায় এলাকায় চষে বেড়়ালেন তিনি। পুলিশি সন্ত্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কেশপুরে অর্ধেক বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি (Hiran Chaterjee)

    এদিন সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, ‘সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু’জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে। আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    হিরণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ!

    এদিন সকালে কেশপুর সহ একাধিক এলাকা চষে বেড়ানোর সময় বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লাঠি হাতে তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share