Author: user

  • Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি মহিলা কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নন্দীগ্রাম। সেখানেই সভা করে কার্যত তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজেপির সভায় কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সভা থেকেই শাসকদলকে উৎখাতের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। একইসঙ্গে অভিষেককে তোপ দাগেন।

    ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু (Suvendu Adhikari)

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গতকাল উস্কানি দিয়ে গিয়েছেন যিনি, ভাইপোকেও উস্কানিদাতা হিসাবে আইনের আওতায় আনার জন্য আমাদের লড়াই চলছে চলবে। আর পুলিশ যদি কিছু না করে, মৃতের পরিবারকে নিয়ে কোর্টে যাব।” প্রসঙ্গত, বুধবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে সভা করেন তিনি। আর তারপরই বুধবার রাতেই বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সেই নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারী অভিষেকের নাম না করে বলেন, ” হেলিকপ্টার করে এখানে এসে মিটিং করেছেন। আমতা, উদয়নারায়ণপুর হাওড়া থেকে গাড়ি করে লোক নিয়ে এসেছিল। নন্দীগ্রামের লোক ছিল না। এসে বলছেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় উনি ভয় পেয়েছেন। আরে ভয় পাওয়ার লোক আমি নই। আপনি কাওয়ার্ড ভীতু। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন, প্রোটেকশন নিয়ে ভোটে লড়ছেন লজ্জা লাগে না? ভোট ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেছেন আমি ভোট লড়ব, ভোটের প্রচার করব, আমাকে যেন সিবিআই ইডি না ধরে। ১০ জুন পর্যন্ত প্রোটেকশন নিয়ে আপনি হেলিকপ্টার চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র আমাকে বলছেন ভয় পেয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ভূপতিনগরকাণ্ডে এনআইএ আধিকারিক ধনরামের বদলি চেয়েছিল তৃণমূল! হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব

    বৃহস্পতিবার দিনভর তপ্ত ছিল নন্দীগ্রাম। তৃণমূলের হামলায় বিজেপি মহিলা কর্মী খুনের পাশাপাশি ৭ জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এই সভার আগে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। একজনের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁকে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। থানায় গিয়েছিলাম। এফআইআরের নম্বর বসে থেকে নিয়ে এসেছি। খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। তারপরও যদি কিছু না করে আমি ওনার মেয়েকে দিয়ে উচ্চ আদালতে যাব সিবিআই তদন্তের দাবিতে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৪/০৫/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৪/০৫/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।

    ৩) মনে আনন্দ থাকবে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি নানান সমস্যায় ভরে থাকবে।

    ২) কাজকর্মে সমস্যা থাকবে, যা দূর করার জন্য আপনাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কিছু সমস্যা হতে পারে।

    মিথুন

    ১) প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য সামাজিক জীবনে সক্রিয় থাকুন।

    ২) প্রেম জীবনের জন্য আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ৩) দাম্পত্য জীবনে সময় বের করে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) আজ মানসিক শান্তি লাভ করবেন।

    ২) অতীতে অর্থ লগ্নি করে থাকলে, তার দ্বারা আজ লাভান্বিত হবেন।

    ৩) দাম্পত্য জীবনের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    সিংহ

    ১) অর্থ ব্যয় হয়ে যাওয়ায় কিছুটা কষ্ট পাবেন।

    ২) বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন।

    ৩) প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়বে, তাঁদের কাছ থেকে নতুন আইডিয়া পাবেন।

    কন্যা

    ১) আজ পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটান।

    ২) ঋণের প্রয়োজনে বহুদিন ধরে এর জন্য চেষ্টা করে থাকলে, তা এবার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের পাশে থাকুন।

    তুলা

    ১) প্রাণশক্তি ও উৎসাহে পরিপূর্ণ থাকবেন।

    ২) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতকদের আর্থিক লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দপূর্ণ সময় কাটাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের অভ্যাসের কারণে সমালোচনার শিকার হতে পারেন।

    ২) কোনও কথা শুনলেও পাল্টা উত্তর দিতে যাবেন না।

    ৩) অর্থ ব্যয় হবে, তবে অর্থাভাব দেখা দেবে না।

    ধনু

    ১) আজ কিছু বলার আগে দুবার ভাবুন।

    ২) আপনার চিন্তাভাবনা অজান্তেই কাউকে আহত করতে পারে।

    ৩) ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাহায্যে ভালো পরিমাণে ধন লাভ।

    মকর

    ১) কেউ আপনাকে প্রেম নিবেদন করতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দায়িত্ব পেতে পারেন, এর ফলে আয় ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) জীবনসঙ্গী আপনাকে খুশি রাখার চেষ্টা করবেন।

    কুম্ভ

    ১) সাফল্যের কাছাকাছি পৌঁছেও হতাশ হবেন।

    ২) ব্যাঙ্ক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ৩) ধর্মীয় স্থানে যেতে পারেন।

    মীন

    ১) স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

    ২) পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, যার ফলে মানসিক শান্তি থাকবে।

    ৩) প্রিয় মানুষকে নতুন ভাবে চেনার সুযোগ পাবেন আজ।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    Nandigram: তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে “গো ব্যাক” স্লোগান, ফের তপ্ত নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির মহিলা কর্মীর খুন হওয়ার খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram)। তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দল ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এমনিতেই নন্দীগ্রাম জ্বলছে। এই অবস্থায় ভোটের আগে রাজনীতি করতে এসেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এলাকার মানুষ তা মেনে নিয়ে পারেননি বলেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

    তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে গো ব্যাক স্লোগান (Nandigram)

    ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের (Nandigram) সোনাচূড়ায় প্রাণ গিয়েছে এক বিজেপি কর্মীর। জখম আরও অন্তত সাত জন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাঁকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এদিকে এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিনিধি দলকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেন গ্রামবাসীরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যরা। নন্দীগ্রামে প্রতিনিধি দল যেতেই, তাঁদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মনসাবাজার এলাকার বাসিন্দারা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল মনসাবাজার এলাকায় এসে লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কোন কোন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যাঁরা হামলা চালিয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় কী সবটাই জানার চেষ্টা করছিলেন। সূত্রের খবর, ঠিক সেই সময় মনসাবাজার লাগায়ো গ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে সোনাচূড়া (Nandigram) এলাকায় সশস্ত্র বাইক বাহিনী হামলা চালায়। প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভও দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে পথ অবরোধও চলে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, বুধবার রাতের ঘটনা পুরোটাই পারিবারিক বিবাদ থেকে হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। জোর করে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    Arjun Singh: ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! কমিশনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন বীজপুরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী অর্জুন সিংকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের হামলায় ভাটপাড়ায় তিনজন বিজেপি কর্মী জখম হন। এবার ভোটের আগে অর্জুন সিংকে ভয়েস ম্যাসেজ করে খুনের হুমকি দিল এক দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীর পাঠানো সেই ভয়েস রেকর্ডিংসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করলেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অর্জুনকে গুলি করে খুনের হুমকি! (Arjun Singh)

    ভয়েস ম্যাসেজে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) নাম করে ভোজপুরি ভাষায় বলা হয়েছে, “২৯ তারিখ পর্যন্ত অর্জুন তুই বেঁচে আছিস। এরপর তোর কাহানি খতম করব। ভরা বাজারে সকলের সামনেই তোকে গুলি করে খুন করব।” ৪১ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে বিজেপি প্রার্থী খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি ফোন প্রসঙ্গে অর্জুন সিং এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কোন জায়গায় গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। একজন সহজেই আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছে। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয়  পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেছি।

    <

    p> 

    গণনার দিন শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল করতে পারে!

    অন্যদিকে, ভোট গণনার দিন পুলিশ, এসডিও’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে শাসকদলের নেতারা গন্ডগোল তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh)। শুধু আশঙ্কা প্রকাশ নয়, তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদনও জানিয়েছেন। আগামী ৪ জুন রয়েছে ভোট গণনা। বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। সেই মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। গণনা কেন্দ্রে তৃণমূল নেতারা গন্ডগোল পাকাতে পারেন এমনই আশঙ্কা বিজেপি প্রার্থীর।

    পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কমিশনকে দেওয়া চিঠি পোস্ট করে অর্জুন সিং লিখেছেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমি জানতে পেরেছি বারাকপুরের পুলিশ, এসডিওর সঙ্গে যোগসাজস করে শাসক দলের নেতারা ভোট গণনা কেন্দ্রে অশান্তি তৈরি করতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে গণনার সময়  তৃণমূল নেতারা  গণনা  কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার  করেছিলেন। মূলত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক, চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরা বিরোধী দলের এজেন্টদের হুমকি দিয়ে গণনা কেন্দ্র থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিলেন। এবারও সেরকম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র তৃণমূল প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট এবং গণনা এজেন্ট ছাড়া যাতে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর যাতে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা তথা জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ভোটের আগে বার বার একের অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধ দেখেছেন বারাকপুরবাসী। তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, আসলে ভোটের দিনই বুঝে গিয়েছেন ফল কী হতে চলেছে। তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছেন। আর হুমকির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”, নন্দীগ্রাম থানার পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে থানায় ঢুকে পুলিশকে বিজেপির মহিলা কর্মী খুনের বিরুদ্ধে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আইসি মিটিং করেছেন খুনিদের সঙ্গে! মজা দেখাব”-ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেকের উস্কানি মূলক ভাষণের জন্যই খুনের ঘটনা ঘটেছে, এই অভিযোগ করেন শুভেন্দু। এদিন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনীকে উদ্দেশে করে খুনের বদলা নেওয়া হবে বলে তোপ দাগেন তিনি।

    উল্লেখ্য সকাল থেকেই বিজেপির ক্ষোভের আগুনে অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রামের মনসা বাজার এলাকা। রাস্তায় গাছ ফেলে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    গতকাল রাতপাহারা দিতে গিয়ে গোলমালের মধ্যে খুন হন বিজেপি মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি। একই ভাবে গুরুতর জখম হন ছেলে সঞ্জয়। আজ বৃহস্পতিবার থানায় ঢুকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রাম থানায় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার বলেন, “খুনিরা থানায় এসেছিল। যারা খুন করেছে মাকেই খুন করছে। রথীবালা আড়ি শুধু সঞ্জয় আড়ির মা নন। তিনি আমারও মা। খুনিদের ডেকে কেন মিটিং করা হয়েছে? আইসিকে মজা দেখাব।” এই প্রসঙ্গে তিনি অভিষেককে নিশানা করে আরও বলেন, “আগের দিন বেশ কিছু জায়গায় ভাইপো সভা করে উস্কানি মূলক ভাষণ দিয়ে গিয়েছেন। এই খুনের পিছনে ভাইপোর মদত রয়েছে। একজন তপশিলি সম্প্রদায়ের মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এসসি সমাজের মানুষের জীবনের মূল্য এত কম? আমরাও বদলা নেবো। নন্দীগ্রামও সন্দেশখালিতে পরিণত হয়েছে। সিবিআই তদন্তের দাবি করব।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, “বিজেপিতে নব্য এবং আদি তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়েছে। সেই সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন রথীবালা।” কিন্তু বিজেপির দাবি তৃণমূল খুন করেছে। এরপর নন্দীগ্রাম থানায় ঢুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। 

    আরও পড়ুনঃ রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    Siliguri: অবশেষে ফিরলেন মহারাজরা! রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলে শাসকদল ঘনিষ্ঠ মাফিয়ার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ধীমান নামে এক জমি মাফিয়া শিলিগুড়িতে (Siliguri) রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার মূল পান্ডা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইছে না। এদিকে ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার সেভক রোডে রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে ফিরে আসেন মহারাজরা।

     কে এই ধীমান? (Siliguri)

    পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধীমান নামে জনৈক জমি মাফিয়া কলকাতার বাসিন্দা। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার ওঠাবসা। সেই সুবাদে রাজ্য পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাই পুলিশ প্রশাসনকে হাতের পুতুল করে তিনি শিলিগুড়িতে অনেকদিন ধরেই জমির অবৈধ কারবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আর জমির এই অবৈধ করাবারের সুবিধার জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে সেখানে এসে থাকেন।

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কেন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টা?

    আইনি জটিলতা, পারিবারিক কলহ থাকা জমির ওপর নজর ধীমান নামে ওই ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে তাঁর একাধিক এজেন্ট বা গুন্ডা রয়েছে। তাদের দিয়েই জমি দখল নেওয়া হয়। রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের কাজে তিনি প্রদীপ রায়কে ব্যবহার করেছিলেন। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসিন্দাদের ভয় দেখিয়ে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে জমির দখল নেওয়া হয়। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের প্রাণকেন্দ্র সেভক রোডের ধারে যেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি রয়েছে সেখানে এক কাঠা জমির দাম কোটি টাকারও বেশি। রামকৃষ্ণ মিশনের এখানে প্রায় দু’একর জমি রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এই জমির মোট মূল্য ১০০কোটি টাকারও বেশি। পুলিশ জানিয়েছে এই জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনের।

    ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের একাংশের মদত রয়েছে!

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি দীপক সরকার বলেন, জমিটি প্রথমে টুকরে সিং বলে এক ব্যক্তির ছিল। তিনি ওই জমি হরদওয়াল সিং গিল নামে আরেকজনের কাছে বিক্রি করেন। হারদওয়াল সিং গিল পরেওই জমি এসকে রায় নামে একজনকে বিক্রি করেন। সেই ব্যক্তির উত্তরাধিকার না থাকায় জমিটি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করেন। তবে, মিউটেশন না হওয়ায় সরকারি নথিতে জমিটির মালিক এখনও টুকরে সিংকে দেখাচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন, এতদিন পর কীভাবে প্রদীপ রায় ও সঙ্গীরা এখবর পেল। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফরের একাংশ  এধরনের জটিল জমির খবর জমি মাফিয়াদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ধীমান নামে জনৈক ব্যক্তি এই ধরনের জমির খোঁজে থাকেন। 

    অবশেষে সেবকে রামকৃষ্ণ মিশনে ফিরলেন মহারাজ

    বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ ভক্তিনগর থানার আইসি’র নেতৃত্বে মিশনের ভেতরে প্রবেশ করেন। মিশনের জমির দ্বায়িত্ব মহারাজের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, সেবক হাউস থেকে ফের আগের মতো আমাদের মিশনের বিভিন্ন কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramkrisha Mission: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    Ramkrisha Mission: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকারীর ছবিতে মিলল পুলিশকর্তা-তৃণমূল নেতার যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার ঘটনায় যুক্ত প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে শুভম মাহাতোর সঙ্গে ভক্তিনগর থানার প্রাক্তন আইসির ছবি ভাইরালের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। আবার এই শুভেমের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা, ডেপুটি মেয়রের ছবি সমানে এসেছে। ছবিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাহলে কি এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের যোগ স্পষ্ট হল? এই প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে ঘোরাফেরা করছে।

    পুলিশের সঙ্গে মাফিয়াদের যোগ (Ramkrisha Mission)?

    ছবিতে দেখা গিয়েছে শুভমের সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং ভক্তি নগর থানার আইসি অমরেন্দ্র সিং। জমি বেচাকেন এবং জবর দখলের কাজ কি একটি যৌথ প্রয়াস? রাজনীতির একাংশের মানুষের মধ্যে এমন প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ হলেন সমাজে আইনের রক্ষক। আবার জমি দখলকারী মাফিয়াদের সঙ্গে যদি পুলিশ আধিকারিকের ছবি দেখা যায়, তাহলে আইন রক্ষকদের দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলাকারীদের মধ্যে ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজন শুভম। আবার ভাইরাল হওয়া ছবির মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং পুলিশ অফিসারের উপাস্থিতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রশাসন-শাসকদলের পরোক্ষ মদত এই হামলার পিছনে রয়েছে? এলাকার মানুষের মনে ঠিক এমনই প্রশ্ন উঠছে। তবে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের দাবি, “নেতাদের সঙ্গে বহু মানুষ এসে ছবি তোলেন। কিন্তু দলের সঙ্গে শুভমের কোনও যোগ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    একাধিক প্রশ্ন পুলিশের বিরুদ্ধে

    প্রাক্তন আইসির সঙ্গে শুভমের ছবির কোনও ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি। আবার রামকৃষ্ণ মিশনে (Ramkrisha Mission) হামলার সঙ্গে যুক্ত প্রধান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কেন তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়নি কেসে? উল্টে প্রদীপ রায় মিশন থেকে চলে যাওয়া এক সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এই সব প্রশ্নের উত্তর পুলিশ ঠিক করে দিতে পারেনি। আবার পুলিশ নিজেই তদন্ত করে জানিয়েছে, জমির প্রকৃত মালিক মিশন। প্রদীপ জমির মালিক নয়। ফলে তারপরে কেন এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত? এই প্রশ্ন আরও জোরাল হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)। অন্তত এমনই দাবি করলেন ভোট কুশলী তথা ‘জন সুরাজ পার্টি’র প্রধান প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। কেবল তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দেশে যে কোনও ক্ষোভ নেই, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন পিকে।

    কী বলছেন পিকে? (Lok Sabha Election 2024)

    দিন দুই আগেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও একই কথা বলেছিলেন পিকে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিজেপি যে জিতবে, তা আমি গত পাঁচ মাস ধরে বলে আসছি।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই ভোট কুশলী বলেন, “রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় এলে সোনা ফলবে, এমন কথা আমরা শুনিনি। তাঁর সমর্থকরা তা বলতে পারেন, কিন্তু আমি বলছি বৃহত্তর পরিসর সম্পর্কে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই, নেই তাঁর প্রতিস্পর্ধীকে নিয়ে বিরাট কিছু মাতামাতিও।” প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারায় বিজেপি-বিরোধী দলের জোটের সমালোচনাও করেন পিকে।

    বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী কে?

    প্রসঙ্গত, ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’ যে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে ব্যর্থ, সেকথা নানা জনসভায় বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। শাসক দলের বিরুদ্ধে জোরালো কোনও ইস্যু কিংবা বিশ্বস্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে ধরতে না পারাটা বিরোধীদের দুর্বলতা বলেও মনে করেন ‘জন সুরাজ পার্টি’ সুপ্রিমো। তিনি বলেন (Lok Sabha Election 2024), “ভোটারদের একটা অংশের চাহিদা পূরণ করতে পারেনি মোদি সরকার। তাই তাঁদের মধ্যে হতাশা ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বিরোধীরা। নানা সময় আসা সুযোগগুলো কাজে লাগালে অতীতে দুর্বল করে দেওয়া যেত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে, নড়বড়ে করে দেওয়া যেত বিজেপির অবস্থানকে।”

    আর পড়ুন: “ক্যান্সারের চেয়েও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ইন্ডি ব্লক”, তোপ মোদির

    পিকে বলেন, “গত জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময়ই কার্যত বিরোধীরা হাতের অস্ত্র ফেলে দিয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠল, তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তার আগেই বিজেপি তার হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে (Lok Sabha Election 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sharada Peeth: আদি শঙ্করাচার্য পাঠ দিতেন, কেমন ছিল প্রাচীন ভারতের সারদা বিশ্ববিদ্যালয়?

    Sharada Peeth: আদি শঙ্করাচার্য পাঠ দিতেন, কেমন ছিল প্রাচীন ভারতের সারদা বিশ্ববিদ্যালয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাচীন ভারতের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সারদা পীঠ (Sharada Peeth)। ঐতিহাসিকদের মতে, দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র ছিল। এখানেই আদি শঙ্করাচার্য, কলহন শিক্ষাদান করতেন বলে জানা যায়। সারদা পীঠেই রচিত হয়েছিল অসংখ্য সংস্কৃত পান্ডুলিপি। সংস্কৃত শিক্ষার পীঠস্থান হয়ে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীরের অবস্থিত। সারদা পীঠের বর্তমান অবস্থান পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে এবং জম্মু কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে। সারদা পীঠে বিভিন্ন বৈদিক ধর্মের কাজ, ধর্মগ্রন্থ রচনা, অনুবাদ, ভাষ্যের কাজ চলত বলে জানা যায়। এরপাশাপাশি একাধিক বিষয়ে ছাত্ররা পাঠ নিতেন পণ্ডিতদের কাছে। অনেক ঐতিহাসিকের মতে সারদা পীঠ ছিল তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক এবং নালন্দার চেয়েও বহু পুরনো। 

    সারদা নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিদ্যার দেবী অর্থাৎ দেবী সরস্বতী নাম 

    সারদা (Sharada Peeth) নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিদ্যার দেবী অর্থাৎ দেবী সরস্বতী নাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন নামকরণ থেকেই বোঝা যায় জ্ঞান ও বিদ্যা চর্চার এক উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। প্রসঙ্গত, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, দেবী সরস্বতীর আবাস ছিল কাশ্মীরে এবং সেই অনুযায়ী এই শ্লোক আজ ও উচ্চারিত হয়- 
    “नमस्ते शारदे देवी काश्मीरपुरवासिनि, त्वामहं प्रार्थये नित्यं विद्यादानं च देहि मे”

    ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থাপন করা হয়েছিল

    ঐতিহাসিকদের গবেষণা থেকে জানা যায়, ২৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থাপন করা হয়েছিল। আবার অনেক গবেষক মনে করেন, কুষাণদের রাজত্বকালে প্রথম শতাব্দীর দিকে এটি নির্মিত হয়েছিল। সারদা পীঠের (Sharada Peeth) সঙ্গে আদিগুরু শঙ্করাচার্যের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। মনে করা হয় আদিগুরু শঙ্করাচার্য সারদা পীঠের দায়িত্ব নেওয়ার আগে সেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরাই শিক্ষাদান করতেন। দেশভাগের আগে পর্যন্ত সারদা পীঠ ছিল ভারতের তিনটি প্রধান মন্দিরের অন্যতম। অন্য দুটি হল মার্তন্ড সূর্য মন্দির অমরনাথ মন্দির।

    সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাঁচ হাজারেরও বেশি পণ্ডিত ও ছাত্র 

    ঐতিহাসিকদের গবেষণা থেকে জানা যায়, সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পাঁচ হাজারেরও বেশি পণ্ডিত ও ছাত্র। সেখানে একটি লাইব্রেরিও ছিল। এই গ্রন্থাগার নালন্দার থেকে কোনও অংশে কম ছিল না। এখানে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা যেমন দেওয়া হতো, তেমনই ইতিহাস, ভূগোল, স্ট্রাকচারাল সায়েন্স, যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ইত্যাদিও পড়ানো হতো। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, প্রাচীন ভারতের সবথেকে বৃহত্তম গ্রন্থাগার সারদা বিশ্ববিদ্যালয়তেই ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি নিজস্ব লিপির কথাও জানা যায়, একটি হল সারদা লিপি এবং অপরটি হল নাগরী লিপি।

    সারদা পীঠে হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি জৈন সমাজের পণ্ডিতরাও যুক্ত ছিলেন

    সারদা পীঠে (Sharada Peeth) হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি জৈন সমাজের পণ্ডিতরাও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। রামানুচার্য সারদাপীঠ দর্শন করেছিলেন বলে জানা যায়। চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং সারদা পীঠে আসেন। এই পীঠকে জ্ঞান ও শিক্ষার এক উৎকর্ষ এবং সমৃদ্ধ কেন্দ্র হিসেবে তিনি নিজের বিবরণীতে লেখেন। দেশভাগের পরবর্তীকাল থেকেই পাকিস্তান মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হানা চলতে থাকে জম্মু-কাশ্মীরে। যার ফলে এই মন্দিরটি পরিত্যক্ত হয়ে ওঠে। ২০০৫ সালে কাশ্মীরে ভূমিকম্পের ফলে মন্দিরটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও পাকিস্তান সরকার এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও রকমের ব্যবস্থা নেয়নি।

    আদি শঙ্করাচার্য পাঠদান করতেন

    বহু উল্লেখযোগ্য পণ্ডিতদের নাম জড়িয়ে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন-

    কলহন: কলহন ছিলেন প্রাচীন ভারতবর্ষের একজন ঐতিহাসিক। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ রাজতরঙ্গিনী সংস্কৃত ভাষায় লেখা। এটি কাশ্মীরের ওপর লেখা একটি ইতিহাস।

    আদি শঙ্করাচার্য: আদি শঙ্করাচার্যের নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দু ধর্মের পুনর্জাগরণের ইতিহাস। আদি শঙ্করাচার্যও যুক্ত ছিলেন সারদা পীঠের সঙ্গে।

    কুমারজীব: সারদা পীঠের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ পণ্ডিত কুমারজীবের নাম যিনি একজন অনুবাদক ছিলেন।

    হিন্দুদের বিশ্বাস, সতীর ডান হাত এখানে পড়েছিল

    প্রসঙ্গত, ৫১ শক্তি পীঠের মধ্যে অন্যতম হল সারদা পীঠ। হিন্দুদের বিশ্বাস, সতীর ডান হাত এখানে পড়েছিল। ঐতিহাসিকদের মতে, কলহন তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ রাজতরঙ্গিনীতে লেখেন, অষ্টম শতাব্দীতে গৌড় রাজা ললিতাদিত্যের শিষ্যরা সারদা মন্দিরের দর্শনের জন্য বাংলা থেকে কাশ্মীরে এসেছিলেন। আকবরের সভাকবি আবুল ফজলের লেখাতেও উল্লেখ মেলে সারদা পীঠের।

    সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার সারদা পীঠ খবরের শিরোনামে এসেছে

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ফের একবার সারদা পীঠ খবরের শিরোনামে এসেছে। গত বছরেই ২২ মার্চ ২০২৩ সালে কুপওয়ারাতে সারদা মন্দিরের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন অমিত শাহ এবং সে সময় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সারদা পীঠ যা বর্তমানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত, এটি ভারত থেকে আসা হিন্দু তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সারদা পীঠের মতোই শিখ তীর্থযাত্রী যাত্রীদের জন্য কর্তারপুরে একটি করিডোর ইতিমধ্যে খোলা হয়েছে। সেরকমই সারদা পীঠে (Sharada Peeth) হিন্দু তীর্থযাত্রীদের জন্য করিডর খোলা হবে নাকি তা ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে দেবের অ্যাকাউন্টে”, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের নাম আগেই জড়িয়েছিল। এই নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছিল। হাজিরাও দিয়েছিলে দেব। এবার এনামুলের ডায়রির পাতা পোস্ট করে বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গরু পাচারের টাকা দেবের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে, এই বিষয়টি সামনে আসতেই ষষ্ঠদফা নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ‘দেবের কীর্তি’! (Suvendu Adhikari)

    বৃহস্পতিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন। তার ক্যাপশন ছিল ‘দেবের কীর্তি’। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ নামে একটি সংস্থার লেজ়ার অ্যাকাউন্ট। তার ওপরে রয়েছে অন্য একটি সংস্থার নাম। তার শুধুমাত্র ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ অংশটি শুভেন্দুর পোস্টে দৃশ্যমান। পুরো নাম স্পষ্ট নয়। ওই লেজ়ার অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এবং ‘ভেনচার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ লেখা সংস্থার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ২০১৬ সালের ২৪ এবং ২৫ নভেম্বর ২৫ লক্ষ টাকা করে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। অন্য একটি জায়গায় দেখা যাচ্ছে, একটি ডায়েরির পাতায় হাতে লেখা ‘দেব মোবাইল: ৭২ হাজার টাকা’ এবং ‘দেব ঘড়ি: ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা’। পাশেই একটি পাতায় ছাপানো অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা ‘দেব মোবাইল অ্যান্ড দেব ওয়াচ’। শুভেন্দু বলেন, যে ডায়েরির পাতা আমি পোস্ট করেছি, তা এনামুল হকের। এনামুল গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। আবার হিরণ দাবি করেছেন, ‘আরণ্যক ট্রেডার্স’ এনামুলেরই সংস্থা। এনামুলের সংস্থা থেকে দেবের সংস্থার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল।

    দেবের কীর্তি:

    আরও পড়ুন: আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল! সরাসরি আঘাত কলকাতাতে, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    দেব কী বললেন?

    পাল্টা দেব এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ও শুভেন্দুদা, তুমি নাকি কোথায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছ, হিরণের পাল্লায় পড়ে তোমাকে তো কাউন্সিলরে নামিয়ে দিচ্ছে। ভালবাসি বলে বললাম, আমিও জানি তুমি আমাকে ভালবাসো। আর রইল কথা গরু চুরির টাকা, তোমার কোলের ছেলে হিরো হিরণ, সে-ও পিন্টু মণ্ডলের থেকে টাকা নিয়েছে, তা হলে উনিও কি গরু চোর?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share