Author: user

  • Sundar Pichai: ছোলে বাটুরে থেকে দোসা! কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়?

    Sundar Pichai: ছোলে বাটুরে থেকে দোসা! কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুগলের প্রধান কর্মকর্তা সুন্দর পিচাইয়ের (Sundar Pichai) পছন্দের ভারতীয় খাবারের তালিকায় রয়েছে দেশের বৈচিত্র্যময় এবং সমৃদ্ধ কিছু খাবার। সম্প্রতি ইউটিউবার বরুণ মায়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, সুন্দর পিচাই তার পছন্দের ভারতীয় কিছু খাবারের নাম জানান। তিনি জানিয়েছেন তার পছন্দের খাবারের তালিকায় এক দুটি নয়, বরং বিভিন্ন শহরের তিনটি ভিন্ন খাবার রয়েছে। যে খাবারগুলিকে তিনি তাঁর প্রিয় ভারতীয় খাবারের তালিকায় স্থান দিয়েছেন।    

    কী কী রয়েছে সুন্দর পিচাইয়ের পছন্দের খাবারের তালিকায়? 

    ৫১ বছর বয়সি সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) জানিয়েছেন যে, বেঙ্গালুরুতে থাকলে দোসা, দিল্লিতে ছোলে বাটুরে এবং মুম্বইতে থাকলে পাও ভাজি। এই তিন ভারতীয় খাবারই খেতে সব থেকে পছন্দ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) বলেন, “আমি যখন ব্যাঙ্গালোরে ছিলাম তখন আমার পছন্দ ছিল দোসা, যখন দিল্লিতে ছিলাম তখন ভালো লেগেছিল ছোলে বাটুরে। আর মুম্বাইতে থাকলে খেতাম পাও ভাজি।” 

    আরও পড়ুন: জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের চাবি কোথায়? নবীনকে নিশানা মোদির

    ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর রেফারেন্স    

    প্রায় ১০ মিনিটের ভিডিওতে, সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি ভারতীয় প্রকৌশলীদের কীভাবে শিল্পে প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আমির খানের সুপারহিট মুভি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর রেফারেন্স নিয়ে তাঁর ধারণাগুলিকে আরও গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ছবির আইকনিক মোটর দৃশ্যের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পুরো সাক্ষাৎকারটি এখনও প্রকাশিত না হলেও, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি স্নিপেট ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

    উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে জন্মগ্রহণ করেন সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। এরপর ২০১৫ সালে তিনি আইআইটি খড়গপুর থেকে স্নাতক হন এবং পরবর্তীকালে গুগলের সিইও হিসেবে নির্বাচিত করা হয় সুন্দর পিচাইকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISIS: আইপিএল চলাকালীন হামলার ছক? চার সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি গ্রেফতার

    ISIS: আইপিএল চলাকালীন হামলার ছক? চার সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে চারজন সন্দেহভাজন আইসিস জঙ্গিকে (ISIS) গ্রেফতার করল গুজরাট এটিএস। সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর ধৃতরা সকলেই শ্রীলংকার (Sri Lanka) বাসিন্দা। এরা চেন্নাই হয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। এরপর পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষা করছিল তাঁরা। বর্তমানে আইপিএল (IPL) চলছে গুজরাটের আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামে। এই স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কলকাতার মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এর জন্য বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ছিল।

    বড়সড় অঘটন ঘটাতে চেয়েছিল জঙ্গিরা

    বিমানবন্দরের এক আধিকারিক বলেন, এখন অবধি এই জঙ্গিদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুরোপুরি ভাবে জানা যায়নি। তবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে বড়সড় অঘটন যে তাঁরা ঘটাতে চেয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। গত বছর গুজরাটের (Gujrat)পোরবন্দর এলাকায় একজন আইসিস জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    আরও পড়ূন: পুড়ে ছাই ৪০ জাহাজ! বন্দরে কিভাবে লাগল আগুন?

    এছাড়াও চলতি বছরের মার্চ মাসে অসমের ধুবরি এলাকা থেকে দুই আইসিস জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আইসিস নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। ভারতে কী ভাবে আইসিস নেটওয়ার্কের মাথা ও তাঁদের সহযোগীদের বিষয়েও গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন।

    সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে

    আমেদাবাদ পুলিশ জানিয়েছে শ্রীলংকা থেকে ভারতে এসে এরা একটা বড়সড় জঙ্গি হানার ছক কষেছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে এরা চেন্নাই থেকে আমেদাবাদে এসেছিল। এদের সম্পর্কে ইন্টেলিজেন্স ইনপুট ছিল। কিন্তু এরা হাতিয়ার হাতে পাওয়ার আগেই এদের গ্রেফতার করে ফেলা হয়। ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের (ISIS) নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। তাঁদের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এই চারজন আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন জনবহুল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ২৬/১১-র কায়দায় খুন-খারাপি করার পরিকল্পনা করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    Narendra Modi: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চমদফা ভোটের দিনেই ষষ্ঠদফা নির্বাচনে প্রচারে ফের আসলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। যদিও আজ প্রথমে তমলুকে প্রথমে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পৌঁছনো সম্ভবপর হয়নি। তাই ঝাড়গ্রাম থেকে একযোগে প্রচার করে তৃণমূলকে নিশান করলেন তিনি। মোদি বলেন, “কাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসকে গালাগাল দিচ্ছিল, আজ বলেছে ইন্ডিজোটের অংশ। কংগ্রেস দুবন্ত জাহাজ, তৃণমূল কংগ্রেসের নৌকাতেও ছিদ্র হয়ে গিয়েছে, ডুবে যাবে।”

    গতকাল রবিবার পুরুলিয়া, মেদিনীপুর এবং বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সন্ন্যাসীর অপমানের বিরুদ্ধে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন মোদি। একই ভাবে মুসলমান কট্টরপন্থীদের চাপে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করছেন এমন কথা বলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)?

    সোমবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই নির্বাচন ভারতের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা ভারতকে দশকের পর দশক ধরে পিছনের দিকে নিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মানুষ বর্জন করেছেন। বিশ্বের বাকি দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে কিন্তু ভারতকে পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তাঁরা। গত ষাট বছর ভারতকে দারিদ্র্যতা মুক্তির কথা বললেও কংগ্রেস সরকার তা করতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু বিশ্ববাসী আজ জেনে গিয়েছেন ভারত কীভাবে পঞ্চম অর্থ ব্যবস্থার দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের পুরাতন সকল সমস্যার সমাধান করবে মোদি। ধারা ৩৭০ বাতিল হওয়ায় জঙ্গি সংগঠন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পথে রয়েছে। পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে যোগ্য জবাব পেয়েছে। নকশাবাদীদের কোমর ভেঙে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতা কৌস্তুব বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    আর কী বললেন মোদি?

    সোমবার লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেন, “একদিকে মোদি কাজের বিচারে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করছে, ওপর দিকে তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই আছে রেটকার্ড। তৃণমূল কংগ্রেস প্রত্যেক চাকরির জন্য রেটকার্ড তৈরি করে রেখেছে। টাকা দাও চাকরি নাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তৃণমূলের নেতারা চাকরির নিলাম করেছেন। এই সবকিছু তৃণমূল শাসনের মধ্যেই হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল সরকার। ইডি-সিবিআই-কে ঠিক ভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এই রাজ্যে। প্রত্যেক দিন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। বিজেপি কর্মীদের প্রকাশ্যে খুন করা হয় এখানে। বাংলায় পরিবর্তন দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chuknagar Massacre: হাজার হাজার হিন্দু নিধন! ফিরে দেখা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের চুকনগর গণহত্যা

    Chuknagar Massacre: হাজার হাজার হিন্দু নিধন! ফিরে দেখা ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের চুকনগর গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুকনগর (Chuknagar Massacre) হল বর্তমান বাংলাদেশের খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার একটি ছোট্ট গ্রাম। ১৯৭১ সালের ২০ মে এখানে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। সে ইতিহাস প্রায় বিস্মৃত। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সৈন্য এবং রাজাকারদের দ্বারা যে গণহত্যা সংঘটিত হয় তা সারা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণহত্যা হিসেবে গণ্য হয়। গণহত্যার বলি সব থেকে বেশি হন হিন্দুরা। আনুমানিক ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবন হানি হয় এই গণহত্যায়। মনে করা হয়, দু লাখ থেকে চার লাখ পর্যন্ত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। প্রায় এক কোটি হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তু হন। এ ছাড়া জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ সমেত অন্যান্য অত্যাচারও করা হয়। সেই রকম একটি গণহত্যা আজ থেকে ৫৩ বছর আগে সংঘটিত হয় চুকনগরে। হাজার হাজার হিন্দুকে নিধন করা হয়। পাকিস্তানি সৈন্য এবং রাজাকাররা সর্বদাই টার্গেট করত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের। এর বেশিরভাগটাই ছিল সেদেশের হিন্দু সংখ্যালঘু নাগরিকরা। এর পাশাপাশি ছিল আওয়ামী লিগের কর্মীরাও। পাকিস্তানি সৈন্যরা সে সময়ে প্রগতিশীল এবং দেশপ্রেমিক মুসলমানদেরকেও হিন্দু সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত ভারতীয় সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করত। তাদের ওপরেও নেমে আসত অত্যাচার।

    বাংলাদেশে পাকিস্তানি সৈন্যদের অপারেশন সার্চ লাইট

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচার চরমে পৌঁছায়। সে সময় সে দেশে থাকা রাজাকাররাও পাকিস্তানি সৈন্যদের সাহায্য করতে থাকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট। এ সময় ঢাকায় নিরীহ নাগরিকদের ওপর চরম অত্যাচার চলতে থাকে। ভেঙে ফেলা হয়  রমনা কালী মন্দিরকে।

    চুকনগর গণহত্যা (Chuknagar Massacre)

    সে সময় চুকনগর ছিল একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের দিনগুলিতে এই গ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কারণ তা ছিল ভারতীয় সীমান্তের কাছে। সহজেই এই গ্রাম হয়ে ভারতে পৌঁছানো যেত। ভদ্রা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে খুলনা, বাগেরহাট, যশোর বরিশাল, ফরিদপুর প্রভৃতি জেলা থেকে ভীত এবং আতঙ্কিত হিন্দুরা চুকনগর হয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরে পালাতে থাকে। তাঁরা বিভিন্নভাবে নৌকায়, পায়ে হেঁটে এবং গরুর গাড়িতে চড়ে চুকনগরের আশেপাশে আশ্রয় নিতে থাকে। যাতে তারা সহজেই ভারতে চলে আসতে পারে। চুকনগরকে (Chuknagar Massacre) কেন্দ্র করে অসংখ্য বাংলাদেশী নাগরিক যে ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে তা পাকিস্তানি সৈন্যদের কানে পৌঁছায়। জানা যায়, তৎকালীন বাংলাদেশের মুসলিম লীগের নেতা গোলাম হোসেন হিন্দুদের এই জমায়েতের খবর তৎকালীন সাতক্ষীরা জেলার পাকিস্তানি সৈন্যদের দিয়ে দেয়।

    বর্বরোচিত আক্রমণ

    ১৯৭১ সালের ১৯ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে সকাল পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার পুরুষ মহিলা এবং শিশু সেখানকার বিভিন্ন স্কুল, মন্দির ও বিভিন্ন জনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে থাকে। যারা আশ্রয়ের জায়গা পায়নি তারা খোলা ধান ক্ষেতে রাত কাটায়। এরপরেই ২০ মে সকাল দশটা নাগাদ ৩টি ট্রাক ভরতি পাকিস্তানি সৈন্য চুকনগর (Chuknagar Massacre) বাজারে হাজির হয়। তাদের সঙ্গে ছিল মেশিনগান এবং স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। স্থানীয় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্যদের পথ চিনিয়ে দিতে থাকে। স্থানীয়দের মুখ ঢাকা ছিল কাপড়ে, যাতে তাদেরকে সহজে কেউ চিনতে না পারে। পাকিস্তানি সৈন্যদের তিনটি ট্রাক চুকনগর বাজারে ঢুকতেই হিন্দু শরণার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে পাক সেনারা। গুলি চালাতে চালাতে তারা ভারতীয় সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়। সে সময় গুলি চালানোর প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় কৃষক যার নাম ছিল চিকন আলি। তাঁকেও গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। 

    সারাদিনব্যাপী চলতে থাকে গণহত্যা

    ২০ মে সারাদিনব্যাপী চলতে থাকে হত্যাযজ্ঞ। ধানের ক্ষেতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালাতে থাকে পাকিস্তানি সৈন্যরা। এই গণহত্যা শেষ হওয়ার পরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের উঠোনে, স্কুলে, মন্দির প্রাঙ্গণে, ভদ্রা নদীতে, খোলা নৌকায়, ধানের ক্ষেতে মৃতদেহ সারিবদ্ধভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যারা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তাদেরকেও পিছন থেকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। ভদ্রা নদীতে কেউ কেউ সাঁতার কেটে নিরাপদে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাঁচতে পারেনি তাঁরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, চুকনগরে ১৯৭১ সালের ২০ মে আনুমানিক প্রায় দশ থেকে বারো হাজার গরিব শরণার্থী নিহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। এত অল্প সময়ের (Chuknagar Massacre) মধ্যে এত বড় গণহত্যা সাম্প্রতিক অতীতে সত্যিই বেনজির।

    ভদ্রা নদীতে ভাসছিল লাশ

    ভদ্রা নদীতে সেদিন ভাসতে থাকে লাশ (Chuknagar Massacre)। সারাদিনব্যাপী গণহত্যা চালিয়ে সন্ধ্যার পরে ফিরে যায় পাকিস্তানি সৈন্যরা । আশেপাশের গ্রামের মানুষজনেরা জমায়েত হন এবং প্রত্যেকে সাধ্যমত লাশ উদ্ধার করতে থাকেন। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে সংঘটিত এই মর্মান্তিক গণহত্যা আজ বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছে। স্থানীয় কিছু সংগঠন এবং ব্যক্তি এই গণহত্যার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে বেশ কিছু উৎসাহী মানুষ চুকনগর গণহত্যা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন এবং বেশ কিছু তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে এটির উপরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ebrahim Raisi: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি, সর্বোচ্চ পদে এবার কে?

    Ebrahim Raisi: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসি, সর্বোচ্চ পদে এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি (Ebrahim Raisi)। সোমবার এ খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। রইসির মৃত্যুতে খালি ইরানের প্রেসিডেন্টের কুর্সি। কে বসবেন এই তখতে? কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন নয়া ইরানি প্রেসিডেন্ট?

    কী বলছে ইরানি সংবিধান? (Ebrahim Raisi)

    ইরানি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আচমকা মৃত্যু হলে সাময়িকভাবে ওই দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি সরকারের তিন সদস্যের কাউন্সিলের একজন সদস্য হিসেবেই ওই দায়িত্ব সামলাবেন। সেই মতো আপাতত প্রেসিডেন্টের যাবতীয় কাজকর্ম সামলাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবর। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই তাঁকে সামলাতে হচ্ছে যাবতীয় কাজ। ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের কাউন্সিলের আর দুই সদস্য হলেন ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের প্রয়াণের ৫০ দিনের মধ্যে এই কাউন্সিল নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করবে। সেখানেই স্থির হবে, প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসবেন কে।

    কপ্টার দুর্ঘটনা

    রবিবার রাতে পূর্ব আজহারবাইজানে একটি পাহাড়ে গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে রইসির (Ebrahim Raisi) কপ্টার। প্রেসিডেন্টের চপারে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় চপারের ধ্বংসাবশেষ। ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুঃখ প্রকাশ করেছেন আরবীয় মালভূমির বিভিন্ন দেশের প্রধানরাও।

    ২০২১ সালে ইরানের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন রইসি। সেই সময়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন মোখবরও। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন রইসি। বছর ঊনসত্তরের মোখবরই আপাতত সামলাচ্ছেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব।

    আর পড়ুন: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘ভারত বন্ধু’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রইসি। তাঁর আমলেই ভারত-ইরানের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে। উল্লেখ্য যে. ইরানের বিদেশ নীতি কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেই। প্রেসিডেন্টের কাজ সেই সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা। রইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে প্যালেস্তাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস। এই হামাসকেই নানাভাবে মদত দিয়ে গিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধেও তিনি (Ebrahim Raisi) পক্ষ নিয়েছিলেন পুতিনের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, আবাসনে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Howrah: হাওড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, আবাসনে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) একাধিক এলাকায় ক্ষমতা দেখালো তৃণমূল। কোথাও বোমাবাজি করে ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। কোথাও আবার বিজেপির ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পঞ্চম দফা নির্বাচনে হাওড়া জুড়়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ছবি সামনে এসেছে।

    বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর (Howrah)

    এদিন হাওড়ার (Howrah) উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকা বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপিও প্রতিহত করার চেষ্টা করে। হামলার জেরে জখম হয়েছেন দু-পক্ষের বেশ কয়েকজন। উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকায় বিজেপির ক্যাম্প ভাঙচুর হয়। সেই খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি যেতেই পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তাঁকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রবিবার রাত থেকেই তারা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকরা হাই ইসলামিয়া হাই স্কুলের বুথের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমায়েত করার অভিযোগ উঠেছে। পরে, ভিড় সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে ওই স্কুলে পৌঁছন। তাঁর অভিযোগ, যেখানে সংখ্যালঘু ভোট বেশি, সেখানে ইচ্ছা করে বাহিনী সব করছে। এই নিয়ে বিজেপি-সিপিএমকেও দোষেন তৃণমূল প্রার্থী। শ্রীরামপুর লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। দু’দলেরই বেশ কয়েক জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    হাওড়ার আবাসনে বোমাবাজি

    হাওড়ার (Howrah) আবাসনে বোমাবাজি! ভোটারদের আটকাতে তৃণমূল আবাসনের মূল গেট বন্ধ করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গেট খুললে নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা গেট বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে গেট খুলে দেয়। হাওড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ। গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দু-পক্ষ। মারধরে মাথা ফাটে দু-পক্ষের বেশ কয়েকজনের। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ এবং র‍্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডের অন্যতম শক্তিপীঠ উগ্রতারা ছিন্নমস্তা মন্দির, দুর্গাপুজো হয় টানা ১৬ দিন ধরে!

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডের অন্যতম শক্তিপীঠ উগ্রতারা ছিন্নমস্তা মন্দির, দুর্গাপুজো হয় টানা ১৬ দিন ধরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের নিকটতম প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লাতেহার জেলা বিখ্যাত তার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য। এখানকার গভীর-অগভীর অরণ্য, বন্যপ্রাণী, ঝর্ণা, পাহাড় সহজেই যে কোনও প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকের হৃদয় জয় করে নিতে পারে। কিন্তু লাতেহার মানেই কি শুধু বেতলা অরণ্য অথবা নেতারহাট? এর বাইরেও এই অঞ্চলে রয়েছে এমন কিছু স্থান, যেগুলির আকর্ষণও কিন্তু কোনও অংশে কম নয়।এমনই একটি স্থান হল টোরির উগ্রতারা ছিন্নমস্তা মন্দির বা উগ্রতারা নগর ভগবতী মন্দির। প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দিরটি ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে নির্মাণ করেন টোরির রাজা। স্বয়ং রানী অহল্যা বাই এই মন্দিরে পুজো দিয়ে গিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডের অন্যতম শক্তিপীঠ বলে এই মন্দিরকে মান্যতা দেন ভক্তজনেরা। এখানে টানা ১৬ দিন ধরে দুর্গাপুজো হয়, যা সচরাচর অন্য কোথাও দেখা যায় না।

    দূর দূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা (Jharkhand) 

    মন্দির স্থাপনের পর থেকেই এখানকার পরম্পরা অনুযায়ী ‘জিউনিয়া তেওহার’-এর দ্বিতীয় দিন মায়ের পবিত্র কলস স্থাপন করা হয় এবং মা অষ্টাদশভূজার পুজো শুরু হয়। তার পর থেকে ভক্তি সহকারে এবং বিবিধ আচার মেনে ১৬ দিন ধরে মায়ের পুজো হয়। এই সময় দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে। শুধু মাত্র ঝাড়খণ্ড থেকেই নয়, এখানে পুজো দিয়ে মনস্কামনা পূর্ণ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ভক্তরা আসেন পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা থেকেও। মূলত মিছরি এবং নারকেল দিয়ে মায়ের পুজো দেওয়া হয়। তবে পশুবলি দেওয়ার প্রথাও আছে এখানে।

    বেতলা থেকে সময় লাগে তিন-চার ঘণ্টা

    লাতেহার শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ৩৮ কিমি। চটকা-চতরা মূখ্য মার্গে (Jharkhand) অবস্থিত এই মন্দিরে পৌঁছনোর সড়ক পথ আছে। টোরি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিমি। আর রাঁচি থেকে টোরির দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি। যাওয়া যায় বেতলা অরণ্য থেকেও। বেতলা থেকে যেতে সময় লাগে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা। এই সমগ্র পথেই রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি পর্যটন স্থল। ঘুরে নেওয়া যায় সেগুলোও। আর যাতায়াতের পথের দৃশ্যও বেশ মনোরম।

    যাতায়াত এবং থাকা (Jharkhand)

    যাতায়াত-রাঁচি বা বেতলা, দুই জায়গা থেকেই এই মন্দির দর্শন করে আবার ফিরে গিয়ে রাত্রিবাস করা যায় রাঁচি বা বেতলায়। সেক্ষেত্রে ট্রেনে এসে রাঁচি বা বেতলা থেকে গাড়ি নিয়ে আসাই সুবিধার। 
    থাকা খাওয়া-রাঁচিতে রয়েছে প্রচুর হোটেল। এছাড়াও এই পথে রয়েছে বেশ কিছু বন বাংলো। বুকিং করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে ডিএফও-র সঙ্গে। প্রয়োজনে ফোন করা যেতে পারে ০৯৯৫৫৫২৭৩৭১ নম্বরে। আর গাড়ি বা জঙ্গল সাফারির জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে ০৬২০৬২২০৩১৪ নম্বরে (Jharkhand)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    Lok Sabha Election 2024: বিজেপি নেতা কৌস্তুভ বাগচীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা! অশান্তি একাধিক জায়গায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চমদফা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সকাল থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসছে। বারাকপুর, হুগলি, হাওড়া একাধিক কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী এজেন্টদের মারধর, বুথজ্যাম, ছাপ্পার অভিযোগের খবর উঠে এসেছে। আবার বারাকপুরের বিজেপি নেতা কৌস্তভের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, “আমার ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়েছে।” এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    গাড়ি ভাঙচুর কৌস্তভের (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে বারাকপুরের মন্ডলপাড়ায় প্রথমে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে ঘিরে বিক্ষোভ এবং পরে গাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল সমর্থকেরা। পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মন্ডলপাড়া অশনি সংঘ ক্লাবের কাছে জমায়েত দেখে গাড়ি থেকে নামেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় তৃণমূলের কর্মীরা। এরপর বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এই বিজেপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বুথ জ্যাম করা হচ্ছে এরপর আমাকে হামলা করা হয়। সেই সঙ্গে ভেঙে দেওয়া হয় আমার গাড়ির কাচ।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় টিটাগড় থানার পুলিশ ও বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর জমায়েত সরিয়ে দেয় পুলিশ।

    টিটাগড়ে বুথ জ্যাম

    টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) অর্জুন সিং-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ধ্স্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অর্জুন সিং-কে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান। এরপর অর্জুনের সমর্থনে জড়ো হন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। পরে পুলিশকর্তাদের নির্দেশে বিরাট বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

    কাউগাছিতে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে বাধা

    ভোটের দিনে (Lok Sabha Election 2024) বারাকপুর কাউগাছি ২ এলাকায় ৪৯, ৫০, ৫১ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহ। বিজেপি এজেন্টরা বুথে ঢুকাতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী সমর্থকরা তাঁকে বাধা দেন। এরপর প্রার্থীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এজেন্টদের বুথে ঢুকিয়ে দিয়ে সেখান থেকে বের হন প্রার্থী।

    আরও পড়ুনঃ মমতাকে আইনি নোটিস কার্তিক মহারাজের, ক্ষমা না চাইলে মামলার হুঁশিয়ারি

    আমডাঙায় ভোটারদের হুমকি

    আমডাঙা বিধানসভার বোদাই সরদারপাড়া এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে সাধারণ ভোটারদের (Lok Sabha Election 2024) বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিরুদ্ধে। ঘটনায় বারাসাত পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কিউআরটি টিম পৌঁছায়। মানুষের অভিযোগ, ভোট দিতে গেলে রাতের বেলা বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে হাত কেটে নেওয়া হবে। আর এই কারণে গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ কেউই ভোট দিতে যেতে পারছে না ভোট কেন্দ্রে। একই ভাবে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    বনগাঁ অসুস্থ প্রিসাইডিং অফিসার

    বনগাঁ লোকসভার নদিয়ার একটি কেন্দ্রে বিজেপির কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বনগাঁর বুথ কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার (Lok Sabha Election 2024)। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বন্ধ হয় ভোট গ্রহণ কিছু সময়ের জন্য। ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর ১০৭ নম্বর বুথে। অসুস্থ হলে তাঁকে বাগদা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আধঘণ্টা পর আবার ওই বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagaddala Mahavihara: প্রাচীন ভারতের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়! কেমন ছিল জগদ্দলা মহাবিহারের রোজকার জীবন?

    Jagaddala Mahavihara: প্রাচীন ভারতের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়! কেমন ছিল জগদ্দলা মহাবিহারের রোজকার জীবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলা মহাবিহারের (Jagaddala Mahavihara) ধ্বংসাবশেষ বর্তমান বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত। এই ভৌগোলিক অঞ্চল প্রাচীনকালে বরেন্দ্রভূমি নামেই পরিচিত ছিল। জগদ্দলা মহাবিহার ছিল বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার ও বিদ্যাচর্চার কেন্দ্র। ঐতিহাসিকদের মতে, এই মহাবিহারকে স্থাপন করেছিলেন পাল রাজবংশের রাজা রামপাল। ১০৮৪ খ্রিস্টাব্দে এই মহাবিহার প্রতিষ্ঠিত হয় বলে জানা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে জগদ্দলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। সাধারণভাবে তৎকালীন সময়ে যেকোনও স্থাপত্য নির্মাণ করা হতো কালো ব্যাসল্ট পাথর এবং বেলে পাথর দিয়ে। কিন্তু গ্রানাইট ছিল বিরল এবং তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সেই গ্রানাইট জগদ্দলা মহাবিহারে ব্যবহার করা হয়েছিল। সন্ধ্যাকর নন্দীর রচিত রামচরিতে জগদ্দলা মহাবিহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিবেদনে জগদ্দলা  বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করব। 

    নালন্দা ও বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতনের পরে জগদ্দলাতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আশ্রয় নেন

    জানা যায় নালন্দা এবং বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতনের পরে অনেক বৌদ্ধ পণ্ডিত জগদ্দলা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jagaddala Mahavihara) চলে আসেন এবং এখান থেকেই গবেষণা ও অধ্যাপনা চালাতে থাকেন। ১৯৯৯ সালে জগদ্দলা  বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা রাখা হয়েছিল। জানা যায়, বৌদ্ধ ধর্মের তিনটি ভাগ ছিল হীনযান, মহাযান এবং বজ্রযান। এর মধ্যে জগদ্দলা মহাবিহার ছিল বজ্রযান বৌদ্ধ কেন্দ্র।

    বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জগদ্দলা মহাবিহার সম্পর্কে

    – তিব্বতের বেশ কিছু বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত যেমন বিভূতি চন্দ্র, দানশীলা, মোক্ষকার গুপ্তা, শুভাকার গুপ্ত এই মঠে অধ্যাপনা করতেন। 

    – জানা যায়, পাঁচটি বিখ্যাত মহাবিহারের মধ্যে জগদ্দলা ছিল অন্যতম। বাকি চারটি মহাবিহার হল বিক্রমশীলা, নালন্দা, সোমপুরা ও ওদন্তপুরী।

    – ঐতিহাসিকদের মতে, জগদ্দলাতে (Jagaddala Mahavihara) বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হতো যার মধ্যে অন্যতম ছিল সংস্কৃত সাহিত্য তথা বৌদ্ধ ধর্ম। জগদ্দলাতে সুভাষিতরত্নকোষ যা সাহিত্যের প্রাচীনতম সংকলনগুলির মধ্যে অন্যতম, তা পাওয়া গিয়েছে।

    – এছাড়াও এখানে প্রচুর সংখ্যক তিব্বতীয় গ্রন্থ লেখা হয়েছিল বা সেগুলোকে প্রতিলিপি করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

    – ১২০৭ খ্রিস্টাব্দে অন্যান্য বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতো এটিও ধ্বংস করে মুসলিম আক্রমণকারীরা। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে সমৃদ্ধ করেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।

    বাংলাদেশের পাহাড়পুরে মেলে ধ্বংসাবশেষ

    জানা যায়, ১০৫ মিটার দীর্ঘ ও ৮৫ মিটার প্রস্থ মহাবিহারের ধ্বংসাবশেষ  বাংলাদেশের পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে আবিষ্কৃত হয়েছে পোড়ামাটির ফলক, ইট, পেরেক ও দেবতাদের তিনটি পাথরের মূর্তি। এছাড়াও সেখানে মিলেছে আরও দেড়শটিরও বেশি বস্তু। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে মাটির পাত্র, বাটি, পোশাক পরা পাথরের মূর্তি। এর পাশাপাশি বিষ্ণু মূর্তিও সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই বিষ্ণু মূর্তিটি জগদ্দলা মহাবিহারের দক্ষিণ অংশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য বিষ্ণু মূর্তির সঙ্গে যেমন দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি থাকে, এখানে সেইরকম কিছু মেলেনি।

    উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে পণ্ডিত এবং ছাত্ররা এখানে আসতেন

    জগদ্দলা মহাবিহার বিভিন্ন কারণেই বৌদ্ধ ধর্ম তথা প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এক অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে চলেছে। বৌদ্ধ শিক্ষা, বিভিন্ন ধর্মীয় সাহিত্যের ভাণ্ডার এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের অন্যতম আবাসস্থল ছিল এই মহাবিহার। নালন্দা এবং ওদন্তপুরীর মতই জগদ্দলা মহাবিহারেও উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে পণ্ডিত এবং ছাত্ররা আসতেন। স্বাভাবিকভাবেই বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন তত্ত্ব বহির্বিশ্বের সঙ্গে আদান-প্রদানের এক উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল এই মহাবিহার। বলা যেতে পারে তা বহির্বিশ্বের সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতির এক সেতুবন্ধনের কাজও করত। জগদ্দলা মহাবিহার থেকে পাওয়া শিক্ষা নিয়ে ছাত্ররা তিব্বত সমেত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং তার বাইরেও বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার করতেন।

    জগদ্দলা মহাবিহারের শিক্ষকরা 

    জানা যায়, জগদ্দলা মহাবিহারে (Jagaddala Mahavihara) অনেক প্রথিতযশা পণ্ডিত এবং শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এক আদর্শ শিক্ষার পরিবেশ নির্মিত হয়েছিল। জগদ্দলার সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পণ্ডিত রয়েছেন।

    অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান: অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান একজন বিখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত এবং অধ্যাপক ছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, জীবনের একটি বড় অংশ তিনি জগদ্দলাতে কাটিয়েছেন। তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। জানা যায় বজ্রযান সম্প্রদায়ের প্রচার করতেন তিনি।

    রত্নাকরসন্তি: রত্নাকরসন্তি একজন বিখ্যাত বৌদ্ধ দার্শনিক ছিলেন এবং তিনি জগদ্দলাতে শিক্ষকতা করতেন বলে জানা যায়। বিভিন্ন বৌদ্ধ গ্রন্থের উপরে তাঁর ভাষ্য ভারত ও তিব্বতে সমাদরে গৃহীত হয়েছে।

    জ্ঞানশ্রীমিত্র: জ্ঞানশ্রীমিত্র একজন বিশিষ্ট শিক্ষক এবং দার্শনিক ছিলেন। তিনিও জগদ্দলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    জগতলা মহাবিহারের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য

    প্রধান ভবন: জগদ্দলা মহাবিহারের কেন্দ্রস্থলে ছিল প্রধান ভবনটি। এটি ছিল অত্যন্ত প্রশস্ত। এখানে একাধিক হল, ধ্যানকক্ষ এবং শ্রেণিকক্ষ ছিল। অসংখ্য বৌদ্ধ ভিক্ষুক এবং ছাত্ররা এখানে গবেষণার কাজ করতেন।

    প্রাঙ্গণ: জগদ্দলা মহাবিহার বাগান দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল। একটি সুপ্রশস্ত প্রাজ্ঞণ ছিল এখানে। শান্তির পরিবেশ বিরাজ করত। বৌদ্ধ ভিক্ষুক এবং ছাত্ররা এখানে ধ্যান করতেন।

    গ্রন্থাগার-অধ্যয়ন কক্ষ: প্রাচীন ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই জগদ্দলা মহাবিহারে একটি বড় গ্রন্থাগার ছিল। সেখানে বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের সংগ্রহ ছিল।

    আবাসন: দেশ বিদেশ থেকে আগত ছাত্রদের এবং সন্ন্যাসীদের থাকার জন্য এখানে একটি আবাসনও গড়ে তোলা হয়েছিল

    জগদ্দলা মহাবিহারের সন্ন্যাস জীবন

    জগদ্দলা মহাবিহারের সন্ন্যাস জীবন, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে কঠোর অনুশাসন মেনেই চলত। আধ্যাত্মিক বিকাশের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হত। সন্ন্যাসী এবং ছাত্রদের অহিংসা পালন, ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিক কর্তব্যবোধ -এ সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করতে হতো। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র এবং শিক্ষকরা একসঙ্গে বসে ধ্যান করতেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেরও সেখানে আয়োজন করা হতো। সন্ন্যাসীরা আশেপাশের গ্রামে ভিক্ষা করতেন।

    প্রতিদিনের রুটিন কেমন ছিল

    জানা যায়, প্রত্যেক সন্ন্যাসী এবং ছাত্রকে ভোরবেলায় উঠতে হতো এবং তারপরেই তাঁরা ধ্যান করতেন। এরপরেই সন্ন্যাসীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ, দর্শন এবং যুক্তিবিদ্যার পাঠ ছাত্রদের দিতেন। মহাবিহারে দর্শন এবং বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তৃতা এবং বিতর্কের আয়োজন করা হতো। জগদ্দলা মহাবিহারে পণ্ডিতরা বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থ রচনার কাজেও নিযুক্ত ছিলেন। সারাদিন এভাবেই কাটতো। তারপরে প্রত্যহ সন্ধ্যায় জপ এবং অন্যান্য আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিন শেষ হতো।

    জগদ্দলা মহাবিহারের পতনের কারণ

    মনে করা হয়, জগদ্দলা মহাবিহারের (Jagaddala Mahavihara) পতনের কারণের মধ্যে প্রধান কারণ ছিল মুসলিম আক্রমণ। সে সময়ে মুসলমান শাসকরা অন্য যেকোনও ধর্ম মতের বিরোধী ছিলেন এবং ইসলাম বিপন্ন হতে পারে এই আশঙ্কায় একাধিক বৌদ্ধ বিহারকে ধ্বংস করা হয়, গ্রন্থাগারগুলিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জগদ্দলাকেও ধ্বংস করে মুসলিম আক্রমণ। অন্যদিকে ভারতবর্ষে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ক্রমশ কমতে থাকে। এর ফলে প্রাসঙ্গিকতা হারায় জগদ্দলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “আমি বনি! কী করবি, কিচ্ছু করতে পারবি না!” বারাকপুরে পুলিশের সামনেই অর্জুনকে হুমকি

    Arjun Singh: “আমি বনি! কী করবি, কিচ্ছু করতে পারবি না!” বারাকপুরে পুলিশের সামনেই অর্জুনকে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম দফা ভোটের দিন বারাকপুর লোকসভায় তৃণমূলের দাদাগিরির সাক্ষী থাকলেন বীজপুরবাসী। বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে (Arjun Singh) পুলিশের সামনেই হুমকি দেন এক তৃণমূল কর্মী। প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে হুমকি দিলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে বীজপুর বিধানসভার কাঁচরাপাড়ার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Arjun Singh)

    এদিন সকালে ভোট দিয়ে অর্জুন সিং (Arjun Singh) নিজের লোকসভার একাধিক বিধানসভা চষে বেড়ান। এদিন সকালে কাঁচরাপাড়া ভূতবাগান এলাকায় একটি বুথে কর্মীদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আসে। একই সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জাম করার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং যান। তাঁকে দেখে তৃণমূলীরা গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরইমধ্যে বিজেপির এক মহিলা কর্মী অর্জুন সিংয়ের কাছে নালিশ জানিয়ে বলেন, “তৃণমূলের লোকজন আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।” পরিস্থিতি এমন হয়, যে রাস্তার এক প্রান্তে অভিযুক্ত, আরেক প্রান্তে অর্জুন সিং। এক জন আরেক জনের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন। তাঁদের আটকাচ্ছেন অনুগামীরা। এরপরই অর্জুন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, তৃণমূল সন্ত্রাস করে ভোটে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। অভিযুক্তের সামনে দাঁড়িয়েই তিনি বলতে থাকেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। ভোট দিতে যাচ্ছিল মেয়েটাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। ও একটা ক্রিমিন্যাল। পরিচিত ক্রিমিন্যাল। আমাকে হমকি দিচ্ছে।” যে তৃণমূল কর্মীকে দেখিয়ে অর্জুন এই কথাগুলি বলছিলেন তিনি পাল্টা হুমকি দেন। তিনি বলতে থাকেন, “কোন মহিলাকে আমি মেরেছি বলুন। আমি ক্রিমিন্যাল? কে বলছে আমাকে ক্রিমিন্যাল? অর্জুন সিং আমার নাম বনি। আমি বনি। কী করবি? কিচ্ছু করতে পারবি না। বাড়াবাড়ি করিস না। একদম বাড়াবাড়ি করবি না।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    কে এই বনি?

    জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বনি। তাঁর পুরো নাম অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি স্থানীয় স্তরে নেতৃত্ব দেন। তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তবে, একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর (Arjun Singh) সঙ্গে তৃণমূল কর্মীর ওই আচরণে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share