Author: user

  • Poachers in Sundarbans: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    Poachers in Sundarbans: মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ! চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনরক্ষী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরাশিকারীদের (Poachers in Sundarbans) হাতে খুন বনদফতরের কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছে। বন দফতর সূত্রে খবর, রাতে টহল দেওয়ার সময় হরিণশিকারিদের আক্রমণের মুখে পড়ে বনকর্মীদের একটি দল। সেই সময় কুপিয়ে খুন করা হয় এক বনকর্মীকে। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে দেহ। 

    ঠিক কী ঘটছিল? (Poachers in Sundarbans) 

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যে বেলা বোট নিয়ে টহল দিতে বেরিয়েছিলেন বনকর্মী অমলেন্দু হালদার। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বনকর্মী ও বোটের দুই কর্মী। সেই সময় বাংলাদেশের দিক থেকে হেতালবাড়ি জঙ্গলে ঢোকে চোরাশিকারিদের নৌকা। বিষয়টি নজরে আসার পরই চোরাশিকারিদের বাধা দিতে যান অমলেন্দু । এরপর চোরাশিকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় তাঁর। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনদফতরের ওই কর্মীর। প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন বাকি কর্মীরা। কিন্তু এরপর অন্ধকারে আর অমলেন্দুর দেহর খোঁজ মেলেনি। চোরাশিকারিদেরও নাগাল পাননি বন দফতরের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত রবিবার ভোরে নেতিধোপানি ক্যাম্পের কাছ থেকে অমলেন্দুর দেহ উদ্ধার হয়। 

    খুনের মামলা দায়ের 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমলেন্দুকে কুড়ুল জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোও হয়েছে। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। বন দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে কোথা থেকে এসেছিলেন চোরাশিকারিরা (Poachers in Sundarbans), ঠিক কী ঘটেছিল, কারাই বা এর নেপথ্যে রয়েছে, সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    এ প্রসঙ্গে এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘বনকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ (Poachers in Sundarbans) দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এইটুকু পরিষ্কার যে, গুলি চলেনি। দেহে গুলি লাগার চিহ্ন নেই। ধারালো কিছুর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে ভূরিভোজ! উত্তরবঙ্গ রুটে মিলবে সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারতে ভূরিভোজ! উত্তরবঙ্গ রুটে মিলবে সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ রুটের বন্দে ভারতে (Vande Bharat Express) চড়লেই মিলবে দারুণ সব বাঙালি খাবার। পাত পেড়ে যাত্রীরা খেতে পাবেন সর্ষে মাছ থেকে বাসন্তী পোলাও চিকেন কষা । ট্রেনে কবজি ডুবিয়ে রসনা মেটাতে পারবেন বাঙালি পর্যটকরা। আর কোনও হোটেলে যেতে হবে না! এবার বন্দে ভারতেই মিলবে হরেক রকমের বাঙালি খাবার। এমনই ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-এ মিলবে এই সমস্ত খাবার।

    বাংলার সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার থাকবে যাত্রীদের পাতে 

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলিকে ইতিমধ্যেই রাখা হয়েছে মেনুতে। যেমন ব্রেকফাস্টে বাঙালি ভ্রমণকারীরা (Vande Bharat Express) ব্রেড অমলেট-এর বদলে পাবেন ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, আটার রুটি প্রভৃতি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের সময় যাত্রীদের দেওয়া হবে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা। দুপুরের মেনুতে থাকবে সোনামুগের ডাল তার সঙ্গে মাছের ঝোল, সরষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ, ক্ষীর কদম্ব ইত্যাদি। পাহাড় ঘুরতে গেলে চেনা ভাত রুটির বাইরেও বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষার স্বাদ নিতে পারবেন যাত্রীরা।

    আরও পড়ুন: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতে সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    রেলযাত্রীদের সফরকে স্মরণীয় করে তুলতেই এমন উদ্যোগ 

    প্রসঙ্গত, হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) এক্সপ্রেস অত্যন্ত উচ্চগতিতে চলে, অন্যান্য বন্দ্যে ভারতের মতোই। এতে রয়েছে বিলাসবহুল সুযোগ সুবিধা এবং বিশ্বমানের সমস্ত কিছু ব্যবস্থা। রেল যাত্রীদের জন্য রেল যাত্রার অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ভারতীয় রেলের তরফে এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মোদি সরকারের আমলেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) ট্রেন চালু হয় এবং তা মেক-ইন-ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমেই সারা দেশে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতেই সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    PM Narendra Modi: মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতেই সাধুদের অপমান করছেন মমতা, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারে ভোট প্রচারে বাংলায় এসে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, ‘‘মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে এবং ভোট পেতে সাধুদের অপমান করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ প্রসঙ্গত শনিবার একটি সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের নাম করে তাঁকে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন।’’ এর পাশাপাশি আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশন এবং ইসকনকেও নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি, এই সংস্থাগুলি বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। এই ইস্যুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তীব্র আক্রমণ মোদির

    তীব্র আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সাধু-মহারাজদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘৪ জুন নতুন সরকার তৈরি হওয়ার পরে দুর্নীতিগ্রস্ত জনগণের ঠাঁই হবে জেলে। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত ইন্ডিয়া জোট, তাতেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এটা মোদির গ্যারান্টি, কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ সুরক্ষিত থাকবে না।’’

    ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    তিনি (PM Narendra Modi) আরও বলেন, ‘‘দেশে ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রকাশ্যেই ধমকাচ্ছেন। মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। বিশ্ব জুড়ে ইসকন, মিশনের লোক থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য, মানুষের সেবা করা। নিজের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে এখন তাঁদেরকেই ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। লাখো মানুষের ভাবনার কথা ভাবছেন না।’’

    প্রধানমন্ত্রী তুলে আনেন স্বামী বিবেকানন্দর প্রসঙ্গ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) তুলে আনেন স্বামী বিবেকানন্দর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী বিবেকানন্দ বিদেশের মাটিতে গিয়েছিলেন, যখন ভারতের কথা বলতেন, তখন লাখো মানুষ ওঁর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এক জন এমন ছিলেন, যিনি ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ছিল, তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে ধমকিয়েছিলেন, খুব অপমান করেছিলেন। এখন  আবারও সেরকম হচ্ছে। আজ সেরকমই বাংলার মাটিতে হচ্ছে।  নির্বাচনে বাংলার মানুষকে ভয় দেখানো, ধমকানো, হিংসা করানোর তৃণমূল সরকার এবার সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    Narendra Modi: “যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে”, বঙ্গে ভোটপ্রচারে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ২৫ মে, ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে পুরুলিয়ায়। আর তার আগে পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতোর সমর্থনে বাংলায় আরও একবার ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর এদিনও মঞ্চে উঠে দুর্নীতি, টাকা উদ্ধার, শেখ শাহজাহান সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী। 

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মোদি (Narendra Modi)

    এদিন মোদি সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘শাহজাহানকে বাঁচাতে সন্দেশখালির মহিলাদের দোষী বলছে। তাঁদের চরিত্র নিয়ে আঙুল তুলছে। ওঁদের জন্য যে ভাষায় কথা বলছে, তার জবাব বাংলার সব মহিলা দেবেন। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মাধ্যমে জবাব দেবেন। তৃণমূলকে বরবাদ করবেন।’’পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সন্দেশখালিতে যে পাপ হয়েছে, তাতে বাংলার মহিলাদের ভাবাতে বাধ্য করছে। এসসি, এসটি পরিবারের লোকদের তো তৃণমূল মানুষই ভাবে না। 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে খোঁচা মোদির

    কেবল সন্দেশখালির প্রসঙ্গই নয় এদিন প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) মুখে উঠে এল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘তোলাবাজি, চুরি করা তৃণমূল সরকারের বিচার, আচার। যে বাংলায় সরস্বতীর পুজো হয়, সেখানে তৃণমূল শিক্ষায় চুরি করে। শিক্ষক নিয়োগে হাজার হাজার যুবকের ভবিষ্যৎ বরবাদ করেছে। সকলকে ধারে ডুবিয়েছে। বাংলার গ্রামে আজ শিক্ষক নেই। বাচ্চাদের ভবিষ্যৎও চুরি করেছে। তৃণমূল, কংগ্রেস একই।’’
    এছাড়াও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি (Narendra Modi)বলেন, ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক আপনারা নন। তাই ওদের আপনাদের জন্য একটুও কোনও দরদ নেই। তৃণমূল মিথ্যা বলছে, যে মা মাটি মানুষের রক্ষা করবে। আজ তৃণমূল মা মাটি মানুষেরও ভক্ষক হয়েছে। বাংলার মানুষের ভরসা তৃণমূলের ওপর থেকে চলে গিয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত মোদি

    উল্লেখ্য, এদিন পুরুলিয়ায় অগণিত জনসমুদ্র দেখে আপ্লুত হন মোদি (Narendra Modi)। কপ্টার থেকে নেমে তিনি চলে গিয়েছিলেন জনসমুদ্র দেখতে। তিনি বলেন, ‘‘এত লোক দেখে দর্শন করতে চলে গেছিলাম। বিকশিত ভারত, আত্মনির্ভর ভারতের জন্য আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। দিল্লির এসি ঘরে বসে সব হিসাব করে। এখানে এসে দেখে, ৪ জুন কী হবে?’’এছাড়াও এদিন মোদি বলেন, ‘‘পুরুলিয়া, জঙ্গলমহল বিজেপিকে অসীম স্নেহ দিয়েছে। আজ মোদি আপনাদের থেকে শুধু ভোট (Lok Sabha Election 2024) চাইতে আসেননি। বরং সবার কাছে আশীর্বাদ চাইতে এসেছি। ৪ জুন আর বেশি দিন বাকি নেই।  মোদী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের  পোল খুলে ফেলেছে।’’ 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Mamata Banerjee: “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চমদফা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করলেন। সাধুদের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা, কার্তিক মহারাজ সম্পর্কে বলেন, “তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন।” পাল্টা মহারাজ এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছেন। একই ভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে ‘ইমামদের রাজনীতি’ করার কথা বলে পাল্টা নিশানা করেন।

    ঠিক কী বলেছেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শনিবার আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে সাধুদের একাংশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “কেউ কেউ করেন না। সব সাধু সমান হন না। বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি তিনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেবেন না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতি করছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।” এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আসানসোলে একটি রামকৃষ্ণ মিশন আছে। সিপিএম যখন খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল সেই সময় আমি পুরো সমর্থন করে ছিলাম, ইসকনকেও আমি ৭০০ একর জমি দিয়েছি। কিন্তু দিল্লি থেকে নির্দেশ আসে বলে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য বলো কেন করবেন সাধুসন্তরা এই কাজ? কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশনকে সবাই শ্রদ্ধা করেন। তাঁদের কাছে একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে। ওঁদের আমি ভালবাসাতে পারি। কিন্তু ওঁরা ভোট দেয় না কখনও। আমি কেন তাহলে ওদের ভোট দিতে বলব। তবে কেউ কেউ ভায়োলেট করছে, সবাই নয়।”

    পাল্টা বক্তব্য কার্তিক মহারাজের

    ভারতসেবাশ্রম সঙ্ঘের স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ অর্থাৎ কার্তিক মহারাজ, মমতার (Mamata Banerjee), বক্তব্যের অভিযোগকে অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কোনও জায়গায় এই রকম বক্তব্য রাখিনি। আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের লোক নই। আমি একজন সন্ন্যাসী, তবে হিন্দু ধর্মের উপর যখন আঘাত আসে আমি প্রতিবাদ করি। আমাদের উপর আঘাত আসলে আমাদের অনুগামীরা নানা ভাবে প্রতিবাদ করে থাকেন। তবে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমাদের ভক্তরা হাইকোর্টে যাবেন, মামলাও দায়ের করবেন।”

    আরও পড়ুনঃ কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতার (Mamata Banerjee) এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বলেন, “ইমামেরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা? বিজেপির কোনও মঞ্চে তাঁরা ছিলেন না। তাঁরা বাংলায় সনাতন হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করবেন। বিজেপি নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করে কিন্তু মমতা হুমায়ুন কবীরের কথা চুপ করে শোনেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drugs Seized: ভোটের আবহেই উদ্ধার মাদক, বেআইনি নগদ, টাকার অঙ্ক জানেন?

    Drugs Seized: ভোটের আবহেই উদ্ধার মাদক, বেআইনি নগদ, টাকার অঙ্ক জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে লোকসভা নির্বাচন। ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন। ২০ মে, সোমবার হবে পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার আগে শনিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন-পর্বে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকার সামগ্রী। এর ৪৫ শতাংশই মাদক (Drugs Seized)।

    কী জানাল কমিশন? (Drugs Seized)

    কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়মিত তল্লাশি অভিযান চালানোয় মাদক এবং সাইকোট্রপিক জিনিসপত্র মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জিনিসপত্র। এর সিংহভাগই মাদক। পয়লা মার্চ থেকে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা, চালাচ্ছে নজরদারিও। তার ফলেই বাজেয়াপ্ত হয়েছে মাদক-সহ বিপুল পরিমাণ জিনিসপত্র। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে মাদক, মদ, দুর্মূল্য ধাতু, খয়রাতির জিনিসপত্র এবং নগদ টাকা (Drugs Seized)।

    বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ মাদক 

    জানা গিয়েছে, নির্বাচন শুরুর আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু বৈঠক করেন রাজ্যের ডিজির সঙ্গে। বৈঠকে ছিলেন ডিআরআই, ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড, রাজ্য পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর গত দু’মাসে বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিপুল পরিমাণ জিনিসপত্র। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, গত তিন দফার নির্বাচনের প্রচারের ওপর কড়া নজর রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টা হচ্ছে কিনা, সেদিকেই নজর রাখা হয়েছিল। সিইও এবং এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলিকে এ ব্যাপারে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আর পড়ুন: “ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে সব করতে পারে ইন্ডিয়া ব্লক”, তোপ মোদির

    মাদক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার এই অভিযান চলবে বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন জানিয়েছে, গুজরাট এটিএস, এনসিবি এবং ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড একাধিকবার যৌথ অভিযান চালিয়েছে। গত তিন দিনের এই অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৯২ কোটি টাকা মূল্যের মাদক। এই নির্বাচন সাক্ষী হয়ে রইল মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি ছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকেও বাজেয়াপ্ত হয়েছে মাদক (Drugs Seized)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের বাড়ির সামনে ‘হায় হায়’ স্লোগান! বিক্ষোভে সামিল মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার পঞ্চম দফার ভোট রয়েছে শ্রীরামপুরে। তাই শনিবার ছিল শেষ বেলার প্রচার। কিন্তু আচমকাই শনিবার বিকেলে শ্রীরামপুরের (Sreerampur) তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    শনিবার প্রচার পর্ব শেষ করে নিজের ফ্ল্যাটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শ্রীরামপুরের (Sreerampur) বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ঠিক সেই সময়েই আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘হায় হায়’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদে সামিল একদল মহিলা। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ?

    মহিলাদের অভিযোগ, মহিলাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথাবার্তা বলছেন তৃণমূল প্রার্থী (Kalyan Banerjee)। সেই কারণেই তাঁরা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে আসেননি তাঁরা। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, ‘‘তিনি মহিলাদের সম্পর্কে বিভিন্ন রকম কথা বলে যাচ্ছেন। তাঁকে কে এই অধিকার দিয়েছে? মহিলাদের সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্যগুলি করছেন, সেটা বন্ধ করা হোক।’’ বিক্ষোভরত মহিলাদের দাবি, তৃণমূল প্রার্থী যেন মহিলাদের কাছে ক্ষমা চান তাঁর মন্তব্যের জন্য। 

    আরও পড়ুন: প্রচারের শেষ বেলায় রচনা আর ধোঁয়া দেখার ‘রিস্ক’ নিলেন না!

    কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য (Kalyan Banerjee) 

    এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বাম-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ উস্কে দিয়েছেন। কল্যাণের বক্তব্য, ‘‘আমার মনে হয়, বিজেপি ও সিপিএম মিলে আমার উপর যে কোনও মুহূর্তে হামলা করতে পারে। সেলিমের সঙ্গে বিজেপির অসম্ভব ভাল সেট। সেলিম এখানে আসার পর থেকে বিভিন্ন রকমের ঘটনা ঘটছে। ওঁর সঙ্গে কবীরশংকর বোসেরও কথা হয়েছে। ওঁরা মিলিতভাবে আমার উপর আক্রমণ করতে পারে।’’ 
    অন্যদিকে আবার এ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বোস পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন,‘‘ইন্ডিয়া জোটে কে আছে! তৃণমূল ও সিপিএম। বিজেপিকে ওঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prajwal Revanna: প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা, কোথায় গেলেন দেবগৌড়ার নাতি?

    Prajwal Revanna: প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা, কোথায় গেলেন দেবগৌড়ার নাতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় আরও বিপাকে জেডিএস সাংসদ প্রোজ্জ্বল রেভান্না (Prajwal Revanna)। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বেঙ্গালুরুর এক বিশেষ আদালত। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রোজ্জ্বলের বাবা কর্নাটকের বিধায়ক এইচডি রেভান্নাও। রেভান্না দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পুত্র। সেদিক থেকে প্রোজ্জ্বল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি। রেভান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক নির্যাতিতাকে অপহরণ করেছিলেন। সাতদিন জেলবন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন জামিনে।

    ইন্টারপোলের পদক্ষেপ (Prajwal Revanna)

    এদিকে, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে (Prajwal Revanna) দেশ যখন তোলপাড়, তখন হাসন লোকসভা কেন্দ্রের এই সাংসদ গা-ঢাকা দিয়েছেন বিদেশে। তাঁকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়ার সরকার। প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে সিট গঠন করেছে কর্নাটক পুলিশ। তবে প্রোজ্জ্বল ঠিক কোথায়, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই সিটের কাছে। জেডিএসের এই প্রার্থীর খোঁজ পেতে ব্লু কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। তার পরেও রবিবার দুপুর পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি প্রোজ্জ্বলের।

    প্রোজ্জ্বল কোথায়?

    প্রসঙ্গত, একটি আপত্তিকর ভিডিও ঘিরে তোলপাড় কর্নাটকের রাজনীতি। এই ভিডিওয় প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটের আগেই ভাইরাল হয় ভিডিওটি। তার পরেই বেঙ্গালুরু ছেড়ে চলে যান প্রোজ্জ্বল। সংবাদ মাধ্যমের একটি সূত্রের দাবি, বেঙ্গালুরু থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি। প্রোজ্জ্বলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আগে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া লিখেছিলেন, “প্রোজ্জ্বল রেভান্নার অশ্লীল ভিডিও মামলায় একটি বিশেষ তদন্ত দল (সিট) গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হাসান জেলায় অশ্লীল ভিডিও ক্লিপগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মহিলারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন।”

    আর পড়ুন: “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, প্রোজ্জ্বলের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তাঁর দাদু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া। পরে অবশ্য মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “কেউ অপরাধী হলে পদক্ষেপ করা হবে।” তবে তাঁর দাবি, প্রোজ্জ্বলের (Prajwal Revanna) বিরুদ্ধে আনা যৌন নিগ্রহ ও এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ বানানো বলেও দাবি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: কাকদ্বীপে গায়ের জোরে জমি দখল করে টোটো স্ট্যান্ড! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে আবার শাসকদলের দাদাগিরি! আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নিজের জায়গায় পাঁচিল দিতে পারছেন না অভিযোগকারী। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোটের মধ্যেই এই আচরণ শাসক দলের। এই আচরণ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই জেলায় জোর করে জমি দখলের ঘটনায় বিজেপি বার বার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। 

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (South 24 Parganas)?

    ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর হাট এলাকায়। উল্লেখ্য অভিযোগকারী চিত্তরঞ্জন হালদার পেশায় ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে নিজের রায়ত্ব জায়গায় পান, এরপর বরজের বিভিন্ন বাঁশ খুঁটি পাটকাঠি রেখে ব্যবসা করে আসছিলেন। কিন্তু  শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধানের স্বামী এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীরা হঠাৎ করে জোর করে সেই জায়গার উপরে ঘর বেঁধে টোটো স্ট্যান্ড করে দেয়। এরপর জোড়া ফুলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কাজে বাধা দিতে গেলে চিত্তরঞ্জন হালদার এবং তাঁর পরিবারের মহিলাদের উপরে নানা রকম অত্যাচার করা হয়। ঘটনার সেই ভিডিও দেখে আঁতকে উঠে পরিবার। আর সেই সময়ের ভিডিও ভাইরাল হয় সামজিক মাধ্যমে। সেখানে বিধায়কের নামের স্লোগান দিতে দিতে দখল করা হয় জায়গা। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    দায়ের হয়েছে অভিযোগ (South 24 Parganas)

    এই বিষয়ে হারু পয়েন্ট কোস্টাল থানায় (South 24 Parganas) একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত, এমনকি চিত্তরঞ্জন হালদার কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের জায়গায় পাঁচিল করার অনুমতি পায়। কিন্তু বর্তমানে কোর্টের নির্দেশে পাঁচিল করতে গেলে আবার শাসক দলের নেতারা জোর করে তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসকদলের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ পরিবার। নিজের রায়ত্ব জায়গায় দলিল রেকর্ড, কোটের অর্ডার বর্তমান থাকা সত্ত্বেও কেন ঘর করতে পারছে না, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিবার। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে শাসকদলের তৃণমূলের যুব সভাপতি দেবপ্রসাদ প্রামাণিক বলেন, “এই জায়গাটি বিদ্যুৎ দফতরের জায়গা, চিত্তরঞ্জন হালদার ভুয়া কাগজপত্র করেছেন।” তবে এই বিষয় নিয়ে কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও কিছুই প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুনঃ “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    বিজপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন, কোর্ট-আদালত কোনও কিছুই মানে না এই ছবি সর্বত্র রয়েছে। যদি বিদ্যুৎ দফতরের জায়গা হয় তাহলে বিদ্যুৎ দফতর কেন বাধা দিচ্ছে না, কেন পার্টি অফিসের টোটো স্ট্যান্ড করা হচ্ছে  সে প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: প্রচারের শেষ বেলায় রচনা আর ধোঁয়া দেখার ‘রিস্ক’ নিলেন না!

    Hooghly: প্রচারের শেষ বেলায় রচনা আর ধোঁয়া দেখার ‘রিস্ক’ নিলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় ভোট হুগলিতে (Hooghly)। তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত এ বছর প্রথমবারের জন্য ভোটের ময়দানে নেমেছেন রচনা ব্যানার্জি। তিনি এ বছর হুগলি লোকসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে প্রচারে নেমে প্রথম দিন থেকেই শিরোনামে রয়েছেন রচনা। প্রচারের প্রথম দিন শিল্প কলকারখানার ধোঁয়া দেখেছিলেন তিনি। তারপর কম ট্রোলের শিকার হতে হয়নি অভিনেত্রী তথা হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার ভোটের আগেই শেষ মুহূর্তের প্রচারে শনিবার অন্য কিছু দেখলেন তৃণমূল প্রার্থী। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর কেন্দ্রে প্রচারের শেষ দিনে কী দেখলেন তিনি? নিজেই জানালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ধোঁয়ার জায়গায় কী দেখলেন রচনা? (Hooghly)

    নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সোমবার ভোটের আগে শনিবারই শেষ প্রচার সারতে পারবেন প্রার্থীরা। সেই মতোই শনিবার সকাল থেকে পান্ডুয়ার বৈঁচি নুনিয়াডাঙা থেকে রোড শো শুরু হয় রচনার। তবে শেষ দিনে কি ধোঁয়া দেখতে পেলেন? এদিন সাংবাদিকদের এই এ প্রশ্নে রচনা বলেন,”আজ ধোঁয়ার জায়গায় নেই। আমি আজ শুধু মানুষের হাসি মুখ দেখতে পেলাম। যাই হোক না কেন প্রচুর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফেরত যাব।”
    এছাড়াও এদিন রচনা জানান, দেড় মাস ধরে প্রচার চলছে তাঁর। মানুষের ভাল সাড়া পেয়েছেন। দিন দুয়েক আগে হুগলির (Hooghly) বৈঁচিতে প্রচারে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি সময়ের অভাবে যেতে পারেননি। তা নিয়ে দলের কর্মীদের ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী কিছুটা মজার ছলে বলেন, “আমাকে দু টুকরো করে দিলে ভাল হয়। তাহলে আমি সব জায়গায় পৌঁছতে পারি। না হলে আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সব জায়গায় পৌঁছনো। সবাই আশা করছে কিন্তু কিছু করার নেই। গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেয়। সবার সাথে হাত মেলাতে হয়। সেই কারণে হয়ত পৌঁছতে পারিনি। ওই জন্য আজ সকালে এসে সেখানে প্রচার করলাম।” 

    আরও পড়ুন: তারিখ ২৩, সময় সকাল ৯টা! দেবকে নিয়ে বোমা ফাটানোর ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু

    আগে কী বলেছিলেন রচনা? 

    এর আগে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পর প্রথম দিন সিঙ্গুরে এসে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পের ধোঁয়া দেখেছিলেন। সেই সময়  তিনি বলেছিলেন,‘‘আমি যখন (কলকাতা থেকে) আসছিলাম, তখন দেখলাম চারদিকে ধোঁয়া আর ধোঁয়া। চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বার হচ্ছে। কে বলছে শিল্প হয়নি? দিদি তো কত শিল্প করে দিয়েছেন। আরও করবেন।’’ আর তাঁর এই উক্তি নিয়েই বিস্তর ‘মিম’ ছড়িয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তবে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে শেষ প্রচারে বৈঁচির রোড শো শেষে রচনাকে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল প্রার্থী জানান, শেষ দিনে শুধু মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share